১১ মে ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
ম্যাচের শুরুটা দেখে মনে হচ্ছিল, মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে ভিন্ন ছন্দেই হাজির রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম দিকে এলেমেলো ফুটবল খেলা বার্সেলোনা খুব দ্রুতই নিজেদের গুছিয়ে নিল। বিরতির আগেই চার গোল খেয়ে বসা রিয়ালের হয়ে একাই লড়ে গেলেন কিলিয়ান এমবাপে, করলেন দারুণ এক হ্যাটট্রিক। তবে কার্লো আনচেলত্তির দলের রক্ষণভাগের ভুলে যাওয়ার মত এক ম্যাচে শেষ হাসি হাসল ইয়ামাল-রাফিনিয়ারাই। আর তাতে চলে গেল লা লিগা জয়ের আরও কাছে।
লা লিগায় রোববারের এল ক্লাসিকোর মহারণে আরও একবার বার্সেলোনার কাছে হেরেছে রিয়াল। ৪-৩ গোলে দুর্দান্ত জয়ে মৌসুমে রিয়ালকে টানা চার ম্যাচে হারের তেতো স্বাদ উপহার দিল ফ্লিকের দল।
আরও পড়ুন
| ‘ইয়ামাল বাচ্চা না, এমন পারফরম্যান্সই চায় বার্সা’ |
|
এই জয়ে বার্সেলোনার লিগ জয়ও প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। তিন ম্যাচ হাতে রেখে ৮২ পয়েন্ট কাতালান ক্লাবটির। আর দুইয়ে থাকা রিয়ালের অর্জন ৭৫ পয়েন্ট।
লা লিগায় বড় ধরণের নাটকীয়তা না দেখা দিলে এই হারে নিশ্চিত হয়ে গেছে রিয়ালের শিরোপাহীন মৌসুম। দুই দফায় রিয়ালকে অসাধারণ সব সাফল্য এনে দেওয়া আনচেলত্তির জন্য শেষটা হতে যাচ্ছে ভুলে যাওয়ার মতোই।
ম্যাচে রিয়ালের শুরুটা অবশ্য হয় স্বপ্নময়। পাউ কুবার্সির দুর্বল ব্যাকপাস থেকে বল পেয়ে গতিতে বক্সের ভেতর প্রবেশ করেন এমবাপে। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে তাকে ফাউল করে বসেন গোলকিপার ওয়েজেচ সেজনি। পেনাল্টির বাঁশি সাথে সাথেই বাজিয়ে দেন রেফারি। ফরাসি তারকার বাঁদিকে নেওয়া নিচু শটে হাত লাগালেও আটকাতে পারেননি সেজনি।
এটি ছিল চলতি মৌসুমে লিগে এমবাপের ২৫তম গোল। লিড নিয়ে রিয়াল অব্যাহত রাখে ইতিবাচক ফুটবল। একের পর পর আক্রমণ শানায় দলটি। বিপরীতে ফ্লিকের দল গুছিয়ে নিতেই নষ্ট করে কিছুটা সময়।
নবম মিনিটে বলার মত প্রথম আক্রমণে বক্সের ভেতর কঠিন এঙ্গেল থেকে শট নিয়েছিলেন এরিক গার্সিয়া, তবে রিয়ালের জন্য তা বিপদের কারণ হয়নি।
১৪তম মিনিটে ফের বার্সেলোনার জালে বল, আর এবারও স্কোরার সেই এমবাপেই। তবে বল বানিয়ে দেওয়ার একটা বড় কৃতিত্ব পাবেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। প্রায় মাঝমাঠ থেকে দারুণ এক ডিফেন্সচেড়া পাসে খুঁজে নেন ফ্রানের বিশ্বকাপ জয়ী তারকাকে। বল রিসিভ করে জায়গা বানিয়ে সেজনিকে পরাস্ত করে রিয়ালের লিড বড় করেন এমবাপে।
গোলের লক্ষ্যে প্রথম দুই শট থেকেই জালের দেখা পাওয়া রিয়ালের আক্রমণের সামনে সেই সময়ে বেকায়দায় ছিল বার্সেলোনা। ১৮তম মিনিটে বক্সের একটু বাইরে থেকে লামিন ইয়ামালের কার্লিং শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ব্লক করেন থিবো কোর্তোয়া।
পরের মিনিটে আরেকটি ভালো সেভ দিলেও শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় কোর্তোয়াকে। ফেররান তরেসের কর্নার কিক থেকে হেডারে জাল খুঁজে নেন এরিক গার্সিয়া, যিনি কোপা দেল রের ফাইনালেও রিয়ালের বিপক্ষে গোল করেছিলেন।
আরও পড়ুন
| আবেগে ভেসে, চোখের জলে বায়ার্নকে বিদায় জানালেন কিংবদন্তি মুলার |
|
এক গোল শোধ দিয়ে ক্রমেই রিয়ালকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। খেই হারিয়ে ফেলা রিয়ালের খর্বশক্তির রক্ষণের জন্য গতিময় ইয়ামালকে সামলানো শুরু থেকেই ছিল কঠিন। ৩২তম মিনিটে তরেসের পাস থেকে কাট করে বক্সের ভেতর বাঁদিক থেকে বা পায়ের কোনাকুনি এক শটে গোল করেন স্প্যানিশ এই উইঙ্গার, লা লিগায় এটি এই মৌসুমে ইয়ামালের সপ্তম গোল।
পরপর দুই গোলের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে ফের গোল হজম করে বসে রিয়াল, যেখানে ফুটে ওঠে তাদের ছন্দপতন। বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন এমবাপে, তবে ঠিক তার সামনে দাঁড়িয়ে যান সতীর্থ লুকাস ভাজকেস। দুজনের ভুল বোঝাবুঝি থেকে পাল্টা আক্রমণে বল পেয়ে যান রাফিনিয়া। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে প্রথমবারের মত বার্সেলোনাকে লিড এনে দেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড।
শুরুতে ঝলক দেখানো রিয়াল এরপর আশা জাগিয়েছিল সমতা টানার। পেনাল্টি আদায় করেছিলেন এমবাপে। তবে তিনি নিজেই অফসাইড থাকায় সেটা আর মেলেনি।
উল্টো ৪৫তম মিনিটে আরেক গোল খেয়ে বসে রিয়াল। এবারও কেন্দ্রবিন্দু সেই ভাজকেসই। রিয়াল অধিনায়কের কাছ থেকে বক্সের বাইরে বল কেড়ে রাফিনিয়াকে পাস বাড়ান তরেস, ফাঁকায় থাকা দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই উইঙ্গারের সমস্যা হয়নি জালের দেখা পেতে। লা লিগায় এটি মৌসুমে রাফিনিয়ার ১৮তম গোল ছিল।
অবিশ্বাস্য এক প্রথমার্ধে রিয়াল শুরুর দুই গোলের পর লক্ষ্যেই আর শটই রাখতে পারেনি। বিপরীতে ১১টি শট নিয়ে ৭টি লক্ষ্যে রাখে বার্সেলোনা।
বিরতির পরও একই ছন্দ ধরে রাখে বার্সেলোনা। রিয়ালের জোড়াতালি দেওয়া রক্ষণভাগকে আরও একবার বিপদে ফেলেই দিচ্ছিলেন রাফিনিয়া। ৫৩তম মিনিটে বাঁদিক থেকে তার পাস থেকে ফাঁকায় দাঁড়ানো ইয়ামাল টোকা দিয়ে বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে আর মেলেনি গোল।
ম্যাচের ধারার বিপরীতে এর তিন মিনিট পর একটা সুযোগ পেয়েছিলেন এমবাপে, তবে শট উঁচিয়ে মেরে হতাশ করেন রিয়ালকে। পাল্টা আক্রমণ থেকে এরপর দুরন্ত গতিতে এগিয়ে ডান দিক থেকে ক্রস বাড়ানোর চেষ্টা করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, তবে সেটা বাধাপ্রাপ্ত হয় আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের ক্লিয়ারিংয়ে।
শেষ পর্যন্ত এই জুটির হাত ধরেই গোল পায় রিয়াল। আরও একটি কাউন্টার এটাক থেকে বল পেয়ে দুজন এগিয়ে যান বার্সেলোনার বক্সে। নিজের সামনে সুযোগ থাকলেও গোলের সামনে এমবাপেকে দিয়ে হ্যাটট্রিক করান ভিনিসিয়ুস। ২৭তম গোলের মাধ্যমে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের তালিকায় রবার্ট লেভানদভস্কির চেয়ে দুই গোলে এগিয়ে যান ফরাসি ফরোয়ার্ড।
৭৪তম মিনিটে স্কোরলাইন ৫-৩ করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন রাফিনিয়া। তার সামনেও ছিল হ্যাটট্রিকের আশা। ইয়ামালের ক্রসে ছিলেনও ভালো পজিশনে, তবে ছয় গজের ভেতর থেকে বল পোস্টের ওপর দিয়ে মেরে টিকিয়ে রাখেন রিয়ালের ম্যাচে ফেরার আশা।
আরও পড়ুন
| ড্র করে সুযোগ মিসের হতাশায় গার্দিওলা |
|
জমে ওঠা ম্যাচের ৮২তম মিনিটে বার্সেলোনা শিবিরে জোর দাবি ওঠে পেনাল্টির। বক্সের ভেতর অহেলিয়া চুয়ামেনির সম্ভাব্য হ্যান্ডবল সময় নিয়ে স্ক্রিনে দেখে রেফারি নাকচ করেন পেনাল্টির আবেদন। হাফ ছেঁড়ে বাচে রিয়াল।
৮৮তম মিনিটে ভিনিসিয়ুসের বদলি হিসেবে নামা তরুণ ফরোয়ার্ড ভিক্টর মুনজ প্রথম টাচেই পেয়েছিলেন হিরো হওয়ার সুযোগ। তবে লক্ষ্যে শট রাখলেই গোল, এমন পজিশন থেকে তিনি বল মেরে দেন পোস্টের বাইরে।
গোলের জন্য মরিয়া রিয়ালকে আরও একবার পাল্টা আক্রমণে চমকে দেয় বার্সেলোনা। ৯৫তম মিনিটে কাট করে বক্সে ঢুকে কোর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠান ফেরমিন লোপেজ। তবে হ্যান্ডবল হওয়ায় বাতিল হয় সেই গোল। বাকি সময়ে কোনো দলই পারেনি বলার মত আর সুযোগ তৈরি করতে।
No posts available.
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৬ পিএম

সেলহার্স্ট পার্কে আজ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে মাত্র ৩৮ শতাংশ বল দখলে রাখতে সক্ষম হয় ক্রিস্টাল প্যালেস। অথচ ম্যাচজুড়ে প্রতিপক্ষমুখী ১৬ বার শট নিয়েছে অলিভার গ্লাসনারের শিষ্যরা।
মুহুর্মুহু আক্রমণ চালিয়েও ৩–০ গোলে হেরে যায় ক্রিস্টাল প্যালেস। তবে অস্বীকার করার উপায় নেই, পুরো ম্যাচজুড়ে স্নায়ুচাপে ভুগেছেন সিটিজেন কোচ পেপ গার্দিওলা। ম্যাচ শেষে তিনি প্রতিপক্ষের দাপটের কথা স্বীকার করেন।
সিটিজেন বস গার্দিওলা বলেন,
“এখানে খেলতে আসা সত্যিই খুব কঠিন। জেরেমি পিনো, মাতেতা ও ইসমাইলা সারকে নিয়ে তারা যখন আক্রমণে ওঠে, তা দেখোর মতো হয়ে ওঠে।”
তিনি যোগ করেন,
“ক্রিস্টাল প্যালেসের ডিফেন্সও দুর্দান্ত—খুবই শক্ত। মোটকথা, তারা একটি ভালো দল। এই মৌসুমে তারা যা করছে, সেটাই তার প্রমাণ।”
প্রিমিয়ার লিগে টানা চার জয় তুলে নিয়েছে ম্যানসিটি। পয়েন্ট টেবিলেও এগিয়ে তারা। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের থেকে সিটিজেনদের ব্যবধান মাত্র দুই পয়েন্ট। লিগের মাঝপথে কিছুটা পথ হারালেও এখন আবার দাপুটে ছন্দে ফিরেছে গার্দিওলার দল।
পেপ বলেন,
“আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, নিয়মিত পরিশ্রম করছি। এখনও আমরা সেরা অবস্থায় নেই, আরও উন্নতি করতে হবে। তবে এটা ঠিক যে আমরা ভালো অবস্থানে আছি এবং খেলোয়াড়রা দারুণ পারফর্ম করছে।”
এ সময় মাতেউস নুনেসের প্রশংসা করেন গার্দিওলা। তাঁর মতে, মাতেউস একজন অসাধারণ ফুলব্যাক। পর্তুগিজ এই ডিফেন্ডারের সঙ্গে আর্লিং হলান্ডের দারুণ বোঝাপড়া রয়েছে বলেও মনে করেন স্প্যানিশ কোচ।
তিনি বলেন,
“মাতেউস দিন দিন আরও ভালো হচ্ছে। সে একজন দারুণ ফুলব্যাক, আর হলান্ডের সঙ্গে তার বোঝাপড়াও চমৎকার।”
হলান্ডের জোড়া গোলের বিপরীতে একটি গোল করেন ফিল ফোডেন। তবে পারফরম্যান্সে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন পেপ।
তিনি বলেন,
“ফোডেন আজ খুব একটা ভালো খেলেনি। সে বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেছে। প্রতিটি কাজে সে একটু তাড়াহুড়ো করছিল। তাকে আরও শান্তভাবে খেলতে হবে, বল ধরে রাখতে হবে এবং ঠিক সময় বুঝে গতি বাড়াতে হবে। তবে এসব বলার পরও বলতে হয়, দলের জন্য সে দারুণ কাজ করছে।”

ম্যাচ ঘড়ির তখন ১২ মিনিট। সহজ লক্ষ্য পূরণ করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল ক্রিস্টাল প্যালেসের। তা হেলায় নষ্ট করেন জেরেমি পিনো। তাতেই ম্যানেজার অলিভার গ্লাসনারের মাথায় হাত। বিড় বিড় করে এটা-ওটা বলতে থাকেন। নিজ মাথার চুল হাতের মুষ্টিতে ভরে হেঁচকা টানও দেন।
এমনও হয় না কী, ইশ! তখন কত কী বলছিলেন ক্রিস্টাল প্যালেস ম্যানেজার।
প্রিমিয়ার লিগের রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ঘরের মাঠ সেলহার্স্ট পার্কে ম্যানচেস্টার সিটিকে আতিথ্য দিয়েছিল ক্রিস্টাল প্যালেস। মুহুর্মুহু আক্রমণ চালিয়েও গোল করতে না পারার ব্যর্থতা শেষ পর্যন্ত ইশ আর আক্ষেপে পরিণত হয় দ্য ঈগলসের।
পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে যাওয়ার মিশনে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ৩–০ গোলে হারিয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। অতিথি দলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন আর্লিং হলান্ড। অন্য গোলটি করেন ফিল ফোডেন। লিগে নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার হলান্ডের গোল সংখ্যা দাঁড়াল ১৭। আর টানা চার ম্যাচে গোল পেলেন ইংলিশ স্ট্রাইকার ফিল ফোডেন।
ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে গেল ম্যানসিটি। সিটিজেনদের বর্তমান পয়েন্ট ৩৪। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের থেকে ২ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। তবে অ্যাস্টন ভিলা নিশ্বাস ফেলছে সিটির ঘাড়ে—৩৩ পয়েন্ট ভিলার।
ম্যাচে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ম্যানসিটির। অতিথিরা ৬২ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছে, ৩৮ শতাংশ ছিল ক্রিস্টালের। তবু মোট শটে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। বল দখলে পিছিয়ে থেকেও জোরালো আক্রমণ চালিয়েছে তারা।
ক্রিস্টাল ১৬ বার শট নিয়েছে, যার মধ্যে ৪টি গোলমুখে। অতিথিরা ৭টি শটের মধ্যে ৬টি গোলমুখে রাখতে সক্ষম হয়। বিগ চাঞ্চ তৈরিতেও এগিয়ে সিটি। ২টি বড় সুযোগ তৈরি করেছে তারা, একটিই তৈরি করেছে ক্রিস্টাল। তবে তা থেকে গোল আদায় হয়নি।
বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হওয়া ম্যাচের ৪০ মিনিটে ডেডলক ভাঙে ম্যানচেস্টার সিটি। সিটিজেনদের লিড উপহার দেন হলান্ড। মাতেউস নুনেসের ক্রস হেডারে ক্রিস্টাল প্যালেসের জালে গোল করেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার।
হলান্ডের গোলের মাত্র কিছু মিনিট পরই সিটির ওপর ঝড় বয়ে যায়। ৩০ সেকেন্ডের ব্যবধানে দুইবার বিপদ থেকে বেঁচে যায় সফরকারীরা। বিশেষ করে ফিলিপ মাতেতাকে রুখে যেভাবে দারুণ এক সেভ করলেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা, তা ছিল দেখার মতো।
এর আগে ম্যাচের ১২তম মিনিটে ক্রিস্টাল প্যালেস একপ্রকার গোল পেতে যাচ্ছিল। মধ্যমাঠ থেকে ওঠা আক্রমণে সামনে কেবল সিটি গোলকিপারকে বাঁধা হিসেবে পান জেরমি পিনো। ওয়ান-টু পজিশনে থাকা ক্রিস্টাল ফরোয়ার্ড সেই সুযোগ নষ্ট করেন। ক্রসবারে লেগে বল মাঠের বাইরে চলে যায়। ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে বিরতিতে যায় ম্যানসিটি।
দ্বিতীয়ার্ধে লিড দ্বিগুণ করে ম্যানসিটি। এবার ত্রাতা হয়ে এলেন ফিল ফোডেন। বক্সের বাইরে থেকে পায়ের শটে জালে গোল করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। প্রিমিয়ার লিগে টানা চতুর্থ ম্যাচে গোল পেলেন এই লেফট উইঙ্গার। এর আগে সান্ডারল্যান্ড, ফুলহ্যাম ও লিডসের বিপক্ষে গোল করেছিলেন তিনি।
৮০ মিনিটে একটি গোল শোধের সুযোগ পায় ক্রিস্টাল প্যালেস। সার গোলমুখে শট নিয়েছিলেন। কিন্তু তা সিটি ডিফেন্সের বাধায় ফিরে আসে। কয়েক ধাপে আক্রমণ চালায় তারা, তবে কার্যত ব্যর্থ হয়।
৮৩ মিনিটে বদলি হয়ে নামা এডওয়ার্ড এনকেতিয়াহ স্ব-উদ্যোগে চেষ্টা চালান। সিটির কয়েকজন ড্রিবলিং করে বক্সের বাইরে থেকে বুলেটগত শট নেন। এ যাত্রাতেও ঝাঁপিয়ে দলকে রক্ষা করেন ইতালির গোলরক্ষক।
৮৭ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ওঠে সিটি। একাই নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে আক্রমণে যান সাভিনহো। যদিও ডি-বক্সে ক্রিস্টাল গোলকিপার হেন্ডারসনের বাধার মুখে পড়েন। সেখান থেকে পেনাল্টি পায় সিটি, যা আদায় করেন হলান্ড। মাটি কামড়ে যাওয়া বল সুনিপুনভাবে জালে যায়।
এই মৌসুমে নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার হলান্ড শট নিয়েছেন ৫৯টি, আর ১৭টি গোল করেছেন। লিগে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইগর থিয়াগোর থেকে হলান্ড ছয়টি গোল এগিয়ে রয়েছেন। সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি তাঁর অ্যাসিস্ট সংখ্যা—৩টি।

সাফ নারী ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে আজ রোববার ভারতের ইস্টবেঙ্গলের কাছে ৭-০ গোলে হেরেছে নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি। এক ম্যাচ হাতে থাকতেই বিদায় ঘণ্টা বেজেছে বাংলাদেশের ক্লাবটির।
নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে বাংলাদেশের ক্লাবের জালে ৪ গোল দেয় ইস্টবেঙ্গল। সপ্তম মিনিটে গোলবন্যা শুরু হয় ফাজিলার ইকুয়াপুথের মাধ্যমে। এরপর তিনি হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ২৭ ও ৪৫ মিনিটে গোল করে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭৪ ও ৯০ মিনিটেও জাল কাঁপান ফাজিলা। একাই ৫ গোল করেন ফাজিলা। অন্য দুই গোল আসে সুলঞ্জনা রাউল ও জ্যোতি চৌহানের কাছ থেকে।
তিন ম্যাচে এক ড্র ও ২ হারে এক পয়েন্ট নিয়ে ৫ দলের মধ্যে টেবিলের তলানিতে নাসরিন। প্রথম ম্যাচে নেপালের এপিএফের কাছে ৪-০ গোলে হেরেছে তারা। এরপর ড্র করে করাচি সিটির বিপক্ষে।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর শেষ ম্যাচে ভুটানের ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবেন সানজিদা-প্রীতিরা।

আগামী মঙ্গলবার ফিফার বর্ষসেরা ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কারে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। শনিবার আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থার ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কাতারের দোহায় বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে ড্র অনুষ্ঠান। ফিফার ওয়েবসাইটে এ আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
ফিফা জানিয়েছে, দোহার ফেয়ারমন্ট কাতারা হলে গালা ডিনারে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ নামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। অন্তত ৮শ অতিথি এতে উপস্থিত থাকবেন।
৮টি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হবে ২০২৫ বর্ষসেরা পুরস্কার। এখানে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন সমর্থকরা। ১ কোটি ৬০ লাখের বেশি ভোটের মাধ্যমে সমর্থকরা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারজয়ী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বলে জানিয়েছে ফিফা।
সমর্থকদের পাশাপাশি বিজয়ী নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ছেলে ও মেয়েদের জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক, কোচ এবং সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।

৭১ শতাংশের বিপরীতে ২৯ শতাংশ—বল পজিশনের পরিস্থিতি দেখলেই স্পষ্ট, আজ সেলহার্স্ট পার্কে রীতিমতো প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। মুহুর্মুহু আক্রমণে স্বাগতিকদের ভীত করলেন আর্লিং হলান্ড ও ফিল ফোডেন। ফলশ্রুতিতে প্রথমার্ধে ১–০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় পেপ গার্দিওলার দল।
বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হওয়া ম্যাচের ৪০ মিনিটে ডেডলক ভাঙে ম্যানচেস্টার সিটি। সিটিজেনদের লিড উপহার দেন হলান্ড। মাতেউস নুনেসের ক্রস হেডারে ক্রিস্টাল প্যালেসের জালে লক্ষ্যবেদ করেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। প্রিমিয়ার লিগে এটি তাঁর ১৬তম গোল। লিগে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইগর থিয়াগোর থেকে হলান্ড পাঁচটি গোল এগিয়ে রয়েছেন।
এই মৌসুমে হলান্ড গোলমুখে শট নিয়েছেন ৫৮টি, যার মধ্যে আদায় করেছেন ১৬টি গোল। সুযোগ তৈরি করার পাশাপাশি তাঁর অ্যাসিস্ট সংখ্যা—৩টি।
হলান্ডের গোলের মাত্র কিছু মিনিট পরই সিটির ওপর ঝড় বয়ে যায়। ৩০ সেকেন্ডের ব্যবধানে দুইবার বিপদ থেকে বেঁচে যায় সফরকারীরা। বিশেষ করে ফিলিপ মাতেতাকে রুখে যেভাবে দারুণ এক সেভ করলেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা, তা ছিল দেখার মতো।
এর আগে ম্যাচের ১২তম মিনিটে ক্রিস্টাল প্যালেস একপ্রকার গোল পেতে যাচ্ছিল। মধ্যমাঠ থেকে ওঠা আক্রমণে সামনে কেবল সিটি গোলকিপারকে বাঁধা হিসেবে পান জেরমি পিনো। ওয়ান-টু পজিশনে থাকা ক্রিস্টাল ফরোয়ার্ড সেই সুযোগ নষ্ট করেন। ক্রসবারে লেগে বল মাঠের বাইরে চলে যায়।
২৮তম মিনিটে ডি-বক্সের কয়েক গজ দূর থেকে শট নেন ফিল ফোডেন। তার ঝাজালো শট ছিল দেখার মতো, তবে দোন্নারুমা দারুণ দক্ষতায় পাঞ্চ করে বল নিরাপদ দুরত্বে পাঠিয়ে দেন।
৩৫ মিনিটে সেট-পিস থেকে ফ্রি কিকে শট নেন পিনো। গোলপোস্টের ৩৫ গজ দূর থেকে নেওয়া চিপ শট কিছুক্ষণ ডি-বক্সে এর-ওর হেডে ঘুরতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বলটি বারে লেগে মাঠের বাইরে যায়।