২৭ মার্চ ২০২৪, ১:২২ পিএম
গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগে দারুণ এক জয় পেয়েছে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ক্লাব। আজ বুধবার, (২৭ মার্চ) মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ম্যাচে আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবকে ৬-২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে বীমা। শাকিল হোসেনের জোড়ায় এ জয় তুলে নেয় দলটি। এছাড়া বীমার জার্সিতে রাব্বি সালেহীন রকি, জামিল বিন তালিব শিহাব, হৃদয়ে হোসেন এবং ভারতের আশু একটি করে গোল করেন। অপরদিকে আজাদের মোহাব্বত ও শাহির একটি করে গোল করলেও দলের পরাজয় ঠেকাতে পারেননি।
আজ খেলার সপ্তম মিনিটেই শাকিলের ফিল্ড গোলে শুরুতে এগিয়ে যায় সাধারণ বীমা (১-০)। ১০ মিনিটে শাকিলের জোড়ায় ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি (২-০)। প্রথম কোয়ার্টারে পিছিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে আজাদ। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে গোল দেয়ার প্রাণপন চেষ্টা করেও গোল তুলে নিতে পারেননি আজাদের ফরোয়ার্ডরা। একই চিত্র দেখা গেছে সাধারণ বীমার ক্ষেত্রেও।
তৃতীয় কোয়ার্টারে প্রথম গোলের মুখ দেখে আজাদ। ৩৬ মিনিটে মোহাব্বতের ফিল্ড গোলে ব্যবধান কমায় দলটি (২-১)। ৪০ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করেন বীমার ভারতীয় রিক্রট আশু (৩-১)। পরের মিনিটে শিহাবের গোলে ব্যবধান আরো এগিয়ে নেয় বীমা (৪-১)। চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারের ৫২ মিনিটে রাব্বি সালেহীন রকি গোল করলে ব্যবধান ৫-১ করে সাধারণ বীমা। পরের মিনিটেই আবারো পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে বীমার সঙ্গে গোল পার্থক্য কমিয়ে আনেন শাহির (৫-২)। ৫৫ মিনিটে ম্যাচের শেষ গোলটি সাধারণ বীমার হৃদয়। ৬-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বীমা। এই জয়ে সাধারণ বীমার সাথে পয়েন্ট টেবিলের লড়াই জমে উঠেছে অ্যাজাক্স ও বাংলাদেশ স্পোটিংয়ের মধ্যে।এই তিন দল থেকে পয়েন্টে এগিয়ে থাকা একটি দল উঠবে সুপার সিক্সে।
৩০ জুন ২০২৪, ৮:০৬ পিএম
বাংলাদেশের হকিতে ‘ওস্তাদ ফজলু’ এক পরচিত নাম। পুরো নাম হাজি মো. ফজলুল ইসলাম হলেও দেশের হকিতে সবাই ‘ওস্তাদ ফজলু’ নামেই চেনে তাঁকে। আজ সবার পরিচিত ফজলু চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
ওস্তাদ ফজলুর হাত ধরে রফিকুল ইসলাম কামাল, রাসেল মাহমুদ জিমিসহ বহু খেলোয়াড় বাংলাদেশের হকিতে নাম লিখিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে হকির আঙিনায় বুধবারে নেমেছে শোকের ছায়া। বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিজ বাসার বারান্দায় পড়ে যান। হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষনে সব শেষ।
পুরোদস্তুর একজন হকি অন্তঃপ্রাণ মানুষ ছিলেন ফজলু। স্টিক আর বল কখনোই ছাড়তে পারেননি। তারই স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সম্মাননা। পেয়েছেন আরও কিছু পুরস্কারও। হকির জন্য নীরবে দীর্ঘদিন কাজ করে যান তিনি।
আগের দুইবারই ইউরোর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা বাদ পড়েছিল শেষ ষোলোতে। ইতালির সামনে সুযোগ ছিল এই ধারা ঘোচানোর। তবে সেটা তারাও পারেনি। আসর থেকে নিয়েছে ভীষণ বাজে পারফরম্যান্স দেখিয়ে। এমন ব্যর্থতায় দলটির গোলরক্ষক দোনারুম্মা করেছেন দুঃখ প্রকাশ, আর কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি পুরো দায়টাই নিয়েছেন নিজের কাঁধে।
ক্রোয়েশিয়ার সাথে একদম শেষ মূহর্তে মাত্তিয়া জাকাগনির গোলে রক্ষা হয়েছিল ইতালির। তাতেই মিলেছিল শেষ ষোলোর টিকেট। তবে সুইজারল্যান্ডের সাথে তেমন কিছু হয়নি। ইউরোর এই আসরজুড়ে বাজে ফুটবল প্রদর্শনীর ধারা অব্যহত রেখে বিদায় নিয়েছে শেষ ষোলো থেকেই।
পুরো ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি ইতালি। আশার আলো হয়ে একাই লড়ে গেছেন দোনারুম্মা। নিজে ভালো করলেও ম্যাচ শেষে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। “এটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আমরা সবাইকে নিজেদের পারফরম্যান্সের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে পারি। তারা যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে। পুরো ম্যাচ জুড়েই আমরা ভুগেছি।”
প্রথমার্ধে তো কোনো অন টার্গেট শটও নিতে পারেনি জার্মানি। চার ম্যাচ খেলে তারা হজম করেছে পাঁচ গোল আর প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে দুই গোল। রক্ষণের জন্য ইতালির যে চিরায়ত সুনাম, এই আসরে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা সেটাও ধরে রাখতে পারেনি। আর আক্রমণে দুর্বলতা চলছিল বেশ কিছুটা সময় ধরেই। দুইয়ের মেলবন্ধনই ঘটেছে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে।
দলের এমন ছন্নছাড়া ফুটবলে চরম হতাশ স্পালেত্তি। “আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমার দল নির্বাচনের কারণে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। যেভাবে আমি দল পরিচালনা করেছি তাতে সব দায় আমার।”
No recent posts available.