গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী লিমিটেড এবং মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। আবাহনীর রাকিবুল হাসান রকি এবং মোহামেডানের আমিরুল ইসলাম একটি করে গোল করেন। অনেক নাটকের পর পয়েন্ট ভাগভাগিতে মাঠ ছাড়ে দুদল। শেষ ৫৮ সেকেন্ডের খেলার সমাপ্তি টানতে ৩৫ মিনিট বেশি সময় লেগেছে দুই বিদেশি আম্পায়ার শ্রীলংকার দাইয়ান দেশনায়েকে এবং মালয়েশিয়ার ইসমাদি বিন আলিসের। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার পরও রিভিউয়ের ঘটনা ঘটেছে। মোহামেডান রিভিউ নিয়ে জিতে পেনাল্টি কর্নার পেয়েছে। সেখান থেকে গোলের ঘটনাও ঘটেছে। অবশ্য তার আগে ফ্রিহিটের বাঁশি বাজিয়েছেন আম্পায়ার! বিকেল ৩টা ১৫টায় শুরু হওয়া খেলা শেষ হয়েছে সন্ধ্যা ৬টায়।
মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে আজ শনিবার, (৩০ মার্চ) দিনের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় আবাহনী এবং মোহামেডান। দর্শকরা নড়েচড়ে বসার আগেই ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে রকির ফিল্ড গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী (১-০)। মোহামেডানের গোলমুখ খুলতে তৃতীয় কোয়ার্টার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ৩২ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে সাদা-কালোদের সমতায় ফেরান তরুণ ডিফেন্ডার আমিরুল ইসলাম। ম্যাচে একাধিক পেনাল্টি কর্নার আদায় করে নিলেও একবারই তা লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছে মোহামেডান। অপরদিকে টানা ৮ ম্যাচে যেখানে প্রভাব খাটিয়ে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে পূর্ণ পয়েন্ট আদায় করে নিয়েছে আকাশী-নীলরা, সেখানে মোহামেডানের সঙ্গে আজ অনেকটাই বিবর্ণ ছিল দলটির পারফরম্যান্স। ৯ ম্যাচ শেষে আবাহনীর সংগ্রহ এখন ২৫ পয়েন্ট। টেবিলের শীর্ষ দল তারা। অন্যদিকে ৮ ম্যাচ শেষে মোহামেডানের সংগ্রহ ২০ পয়েন্ট। টেবিলের তিনে অবস্থান দলটির।
৩০ জুন ২০২৪, ৮:০৬ পিএম
বাংলাদেশের হকিতে ‘ওস্তাদ ফজলু’ এক পরচিত নাম। পুরো নাম হাজি মো. ফজলুল ইসলাম হলেও দেশের হকিতে সবাই ‘ওস্তাদ ফজলু’ নামেই চেনে তাঁকে। আজ সবার পরিচিত ফজলু চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
ওস্তাদ ফজলুর হাত ধরে রফিকুল ইসলাম কামাল, রাসেল মাহমুদ জিমিসহ বহু খেলোয়াড় বাংলাদেশের হকিতে নাম লিখিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে হকির আঙিনায় বুধবারে নেমেছে শোকের ছায়া। বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিজ বাসার বারান্দায় পড়ে যান। হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষনে সব শেষ।
পুরোদস্তুর একজন হকি অন্তঃপ্রাণ মানুষ ছিলেন ফজলু। স্টিক আর বল কখনোই ছাড়তে পারেননি। তারই স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সম্মাননা। পেয়েছেন আরও কিছু পুরস্কারও। হকির জন্য নীরবে দীর্ঘদিন কাজ করে যান তিনি।
আগের দুইবারই ইউরোর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা বাদ পড়েছিল শেষ ষোলোতে। ইতালির সামনে সুযোগ ছিল এই ধারা ঘোচানোর। তবে সেটা তারাও পারেনি। আসর থেকে নিয়েছে ভীষণ বাজে পারফরম্যান্স দেখিয়ে। এমন ব্যর্থতায় দলটির গোলরক্ষক দোনারুম্মা করেছেন দুঃখ প্রকাশ, আর কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি পুরো দায়টাই নিয়েছেন নিজের কাঁধে।
ক্রোয়েশিয়ার সাথে একদম শেষ মূহর্তে মাত্তিয়া জাকাগনির গোলে রক্ষা হয়েছিল ইতালির। তাতেই মিলেছিল শেষ ষোলোর টিকেট। তবে সুইজারল্যান্ডের সাথে তেমন কিছু হয়নি। ইউরোর এই আসরজুড়ে বাজে ফুটবল প্রদর্শনীর ধারা অব্যহত রেখে বিদায় নিয়েছে শেষ ষোলো থেকেই।
পুরো ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি ইতালি। আশার আলো হয়ে একাই লড়ে গেছেন দোনারুম্মা। নিজে ভালো করলেও ম্যাচ শেষে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। “এটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আমরা সবাইকে নিজেদের পারফরম্যান্সের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে পারি। তারা যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে। পুরো ম্যাচ জুড়েই আমরা ভুগেছি।”
প্রথমার্ধে তো কোনো অন টার্গেট শটও নিতে পারেনি জার্মানি। চার ম্যাচ খেলে তারা হজম করেছে পাঁচ গোল আর প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে দুই গোল। রক্ষণের জন্য ইতালির যে চিরায়ত সুনাম, এই আসরে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা সেটাও ধরে রাখতে পারেনি। আর আক্রমণে দুর্বলতা চলছিল বেশ কিছুটা সময় ধরেই। দুইয়ের মেলবন্ধনই ঘটেছে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে।
দলের এমন ছন্নছাড়া ফুটবলে চরম হতাশ স্পালেত্তি। “আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমার দল নির্বাচনের কারণে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। যেভাবে আমি দল পরিচালনা করেছি তাতে সব দায় আমার।”
No recent posts available.