২৯ মার্চ ২০২৪, ৩:১৭ পিএম
গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগে আজ শুক্রবার, (২৯ মার্চ) দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। দিনের প্রথম খেলায় মুখোমুখি হয় সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ক্লাব এবং দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব। ম্যাচটি ৪-২ গোলের ব্যবধানে জেতে বীমা। জয়ী দলের ভারতীয় রিক্রট আশুর জোড়া গোলে এ জয় তুলে নেয় দলটি। এছাড়া বীমার শাকিল হোসেন এবং আরেক ভারতীয় রবি একটি করে গোল করেন। অন্যদিকে দিলকুশার পারভেজ এবং শাসন একটি করে গোল পেলেও দলের পরাজয় ঠেকাতে পারেননি। এই হারে রেলিগেশন অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেল দিলকুশার। কিন্তু জিতলেও খুব একটা স্বস্তিতে নেই বীমা। ১০ ম্যাচে ওদের পয়ন্ট ১২। আর এক ম্যাচ কম খেলা অ্যাজাক্স স্পোর্টিংয়ের পয়েন্ট ১১। অ্যাজাক্সের শেষ ম্যাচ অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল দিলকুশার সাথে। তাই ওই ম্যাচে অ্যাজাক্স জিতলে সুপার সিক্সে ওঠার আর সুযোগ থাকবে না সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের। তাই ওদের আপাতত তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে অ্যাজাক্স ম্যাচের দিকে। যদিও এখনো ২ ম্যাচ বাকি বাংলাদেশ বাংলাদেশ স্পোর্টিংয়ের। ওদের পয়েন্ট ৮। কিন্তু বাংলাদেশ স্পোর্টিংয়ের বাকি দুই ম্যাচ মোহামেডান ও মেরিনার্সের মতো শক্ত প্রতিপক্ষের সাথে।
এদিকে দিনের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামে ঊষা ক্রীড়া চক্র। যাদের প্রতিপক্ষ আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব। ম্যাচটি একতরফা খেলে ৭-০ গোলের ব্যবধানে জেতে ঊষা। জয়ী দলের ভারতীয় রিক্রট নিখিল নন্দলাল পরদেশির হ্যাটট্রিকে এ জয় তুলে নেয় দলটি। এছাড়া জয়ী দলের অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড হাসান যুবায়ের নিলয় জোড়া গোল করেন, আরেক ফরোয়ার্ড আরশাদ হোসেন এবং মিডফিল্ডার রাজু আহমেদ তপুর স্টিক থেকে আসে অপর দুটি গোল।
৩০ জুন ২০২৪, ৮:০৬ পিএম
বাংলাদেশের হকিতে ‘ওস্তাদ ফজলু’ এক পরচিত নাম। পুরো নাম হাজি মো. ফজলুল ইসলাম হলেও দেশের হকিতে সবাই ‘ওস্তাদ ফজলু’ নামেই চেনে তাঁকে। আজ সবার পরিচিত ফজলু চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
ওস্তাদ ফজলুর হাত ধরে রফিকুল ইসলাম কামাল, রাসেল মাহমুদ জিমিসহ বহু খেলোয়াড় বাংলাদেশের হকিতে নাম লিখিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে হকির আঙিনায় বুধবারে নেমেছে শোকের ছায়া। বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিজ বাসার বারান্দায় পড়ে যান। হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষনে সব শেষ।
পুরোদস্তুর একজন হকি অন্তঃপ্রাণ মানুষ ছিলেন ফজলু। স্টিক আর বল কখনোই ছাড়তে পারেননি। তারই স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সম্মাননা। পেয়েছেন আরও কিছু পুরস্কারও। হকির জন্য নীরবে দীর্ঘদিন কাজ করে যান তিনি।
আগের দুইবারই ইউরোর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা বাদ পড়েছিল শেষ ষোলোতে। ইতালির সামনে সুযোগ ছিল এই ধারা ঘোচানোর। তবে সেটা তারাও পারেনি। আসর থেকে নিয়েছে ভীষণ বাজে পারফরম্যান্স দেখিয়ে। এমন ব্যর্থতায় দলটির গোলরক্ষক দোনারুম্মা করেছেন দুঃখ প্রকাশ, আর কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি পুরো দায়টাই নিয়েছেন নিজের কাঁধে।
ক্রোয়েশিয়ার সাথে একদম শেষ মূহর্তে মাত্তিয়া জাকাগনির গোলে রক্ষা হয়েছিল ইতালির। তাতেই মিলেছিল শেষ ষোলোর টিকেট। তবে সুইজারল্যান্ডের সাথে তেমন কিছু হয়নি। ইউরোর এই আসরজুড়ে বাজে ফুটবল প্রদর্শনীর ধারা অব্যহত রেখে বিদায় নিয়েছে শেষ ষোলো থেকেই।
পুরো ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি ইতালি। আশার আলো হয়ে একাই লড়ে গেছেন দোনারুম্মা। নিজে ভালো করলেও ম্যাচ শেষে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। “এটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আমরা সবাইকে নিজেদের পারফরম্যান্সের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে পারি। তারা যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে। পুরো ম্যাচ জুড়েই আমরা ভুগেছি।”
প্রথমার্ধে তো কোনো অন টার্গেট শটও নিতে পারেনি জার্মানি। চার ম্যাচ খেলে তারা হজম করেছে পাঁচ গোল আর প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে দুই গোল। রক্ষণের জন্য ইতালির যে চিরায়ত সুনাম, এই আসরে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা সেটাও ধরে রাখতে পারেনি। আর আক্রমণে দুর্বলতা চলছিল বেশ কিছুটা সময় ধরেই। দুইয়ের মেলবন্ধনই ঘটেছে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে।
দলের এমন ছন্নছাড়া ফুটবলে চরম হতাশ স্পালেত্তি। “আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমার দল নির্বাচনের কারণে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। যেভাবে আমি দল পরিচালনা করেছি তাতে সব দায় আমার।”
No recent posts available.