১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৮:৪১ পিএম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনে ফিরিয়ে এনেছে ফরিদপুরের অতীত সমৃদ্ধ ক্রিকেট ইতিহাস এবং ক্রিকেট রোমাঞ্চ। নিকট ভবিষ্যতে ফরিদপুরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজকরা।
এক সময়ে বৃহত্তর ফরিদপুর ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট চর্চার অন্যতম অঞ্চল। আলিউল ইসলাম, রকিবুল হাসানরা উঠে এসেছেন এই ফরিদপুর থেকে। জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি জয়ের অতীতও আছে ফরিদপুরের। ১৯৭৮ সালে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে একটি দুই দিনের ম্যাচ আয়োজন করেছে সে সময়ে বিসিসিবি ফরিদপুরেই।
বিসিসিবি একাদশের বিপক্ষে ২ দিনের সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন যারা, তারা সবাই পরবর্তীতে খেলেছেন টেস্ট। এ এস এম ফারুকের অধিনায়কত্বে বিসিসিবি প্রেসিডেন্ট একাদশে যার খেলেছেন সেই ম্যাচে, তাদের অনেকেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে করেছেন প্রতিনিধিত্ব। সেই ম্যাচে ওয়েটেমুনি -দিলিপ মেন্ডিজের সেঞ্চুরির স্মৃতি জড়িয়ে আছে ফরিদপুর জেলা স্টেডিয়াম।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলই শুধু নয়, এমসিসি ক্রিকেট দল ফরিদপুরে রেখেছে পা, খেলেছে ম্যাচ। যা বাড়িয়ে দেয় এখানে ক্রিকেট ক্রেজ। অথচ, ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিভাগ বনাম রাজশাহী বিভাগের মধ্যে তিনদিনের ম্যাচ দিয়ে অভিষিক্ত প্রথম শ্রেনির এই ভেন্যুটি বিসিবির অবহেলার শিকার। বৈষম্যের শিকার এই ভেন্যুতে আর পা পড়েনি কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের। গত ২৫ বছর এই ভেন্যুতে হয়নি কোনো প্রথম শ্রেনির ম্যাচ। বিসিবির অযত্ন-অবহেলায় এই ভেন্যুর মাঠ, উইকেট হয়ে পড়েছে ক্রিকেটের অনুপযুক্ত।
শনিবার ফরিদপুরে একটি মানসম্পন্ন ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তারা। শনিবার জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ফরিদপুর অঞ্চলের খেলা উদ্বোধণ করতে এসে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক এবং জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক সে পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছেন, “১৯৭৮ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে এই স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৯৯ সালের পর আর কোনো প্রথম শ্রেনির ম্যাচ এখানে হয়নি। আমি এই মাঠে ফুটবল খেলেছি। ভবিষ্যতে আল্লাহ যদি চান, তাহলে ফরিদপুরে ক্রিকেটের জন্য আমরা একটি আধুনিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করবো।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন ফরিদপুরে শৈশব কৈশোরে বেড়ে ওঠার স্মৃতির কথা জানিয়েছেন। “আমার জন্ম এখানে। আমার বাবার চাকুরির সুবাদে আমি এখানেই বড় হয়েছি। আশা করছি এই টুর্নামেন্ট আমাদের ক্রিকেটের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করবে।”
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিম গুল্লুর প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ক্যারিয়ারসেরা (১৮৮ রান) ইনিংস এই ভেন্যুতে। তাই এই ভেন্যুতে পা রেখে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেস্টা জোহারুল হক শাহজাদা মিয়া জিয়া স্মৃতি ক্রিকেটের ফরিদপুর অঞ্চলের খেলা উদ্বোধন করেন। বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সামা ওবায়েদ, জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু, ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব সৈয়দ বোরহানুল হোসেন পাপ্পু, আয়োজক কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুর অঞ্চলের প্রতিযোগিতায় ফরিদপুর রেড ৫ উইকেটে ফরিদপুর গ্রীনকে হারিয়ে চূড়ান্ত পর্বে উঠেছে।তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ এই ম্যাচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে মিনহাজুলের ২০ বলে ৩৪ এবং পার্থিবের ২১ বলে ২৮ রানে ভর করে ফরিদপুর গ্রীন স্কোর দাঁড় করায় ৮ উইকেটে ১৬৭ রানের স্কোর। ফরিদপুর রেড-এর আশিকুল রনি ৩টি (৩/২১) এবং নাজমুল ২টি (২/৩৩) উইকেট পেয়েছেন।
১৬৮ রান তাড়া করতে এসে এক পর্যায়ে স্কোরশিটে ৪৫ উঠতে ৫ উইকেট হারিয়ে যখন বিধ্বস্ত ফরিদপুর রেড, তখন অবিচ্ছিন্ন ৬ষ্ঠ উইকেট জুটির দুই ব্যাটার সেন্টু (৩৬ বলে ৫ চার, ২ ছক্কায় ৫৪*) এবং ইমাম (৪০ বলে ৩ চার, ৭ ছক্কায় ৭২*) ৭০ বলে ১১৪ রান যোগ করলে ৭ বল হাতে রেখে উৎসব করে। ফরিদপুর রেড এর ইমাম ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন।
বিএনপির মিডিয়া উইং এই ম্যাচটি ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেছে। বেলুন উড়িয়ে এবং জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফরিদপুর পর্ব উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বিসিবির কিউরেটর শফিউল ইসলাম বেলাল মাত্র ২ দিনে মানসম্পন্ন পিচ এবং আউটফিল্ড প্রস্তুত করে প্রশংসিত হয়েছেন।
২০ জুন ২০২৫, ৫:৩৫ পিএম
১৭ জুন ২০২৫, ৭:৪০ পিএম
১৩ মে ২০২৫, ৯:৫৩ পিএম
অবশেষে এশিয়া কাপের মঞ্চে সোনার পদক গলায় তুলতে পারলেন আবদুর রহমান আলিফ। বাংলাদেশের এই আর্চারের সুবাদে সিঙ্গাপুরে উড়ল লাল সবুজের পতাকা। বিদেশের মাটিতে বাজল, ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।’
সিঙ্গাপুরে চলমান এশিয়া কাপ আর্চারির রিকার্ভ পুরুষ এককের ফাইনালে আলিফ ৬-৪ সেট পয়েন্টে হারিয়েছেন জাপানের মিয়াতা গাকুতোকে।
অথচ প্রথম দুই সেটে দারুণভাবে এগিয়ে ছিলেন আলিফ। প্রথম সেটে যেখানে আলিফের স্কোর ছিল ২৮, সেখানে গাকুতোর স্কোর ছিল ২৭। পরের সেটে আলিফ ২৯ করেন, আর গাকুতো ২৮ পয়েন্ট স্কোর করেন।
আরও পড়ুন
নির্বিষ বোলিংয়ের পাশে ক্যাচ ড্রপ, লিডের পূর্বাভাস দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা |
![]() |
কিন্তু এরপরই ঘুরে দাঁড়ান জাপানি আর্চার। পরের দুই সেট আবারও জিতে খেলায় সমতা আনেন। তৃতীয় সেটে গাকুতো করেন ২৮। আলিফ করেন ২৭। চতুর্থ সেটেও এগিয়ে যান গাকুতো। তিনি মারেন ২৭। আলিফ ২৬ স্কোর করে পিছিয়ে পড়েন।
এরপর পঞ্চম সেটে গড়ায় খেলা। রুদ্ধশ্বাস শেষ শটে আলিফ মারেন ২৯। আর গাকুতো ২৬ করেন। উল্লাসে আলিফ মেতে ওঠেন সিঙ্গাপুরের মাঠে। জড়িয়ে ধরেন কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখকে।
বিকেএসপি থেকে উঠে আসা আর্চার আলিফ এর আগে গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর এশিয়ান যুব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে রিকার্ভ এককের ফাইনালে হেরেছিলেন চীনা তাইপের আর্চারের কাছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এর আগে অনেকবারই খেলেছেন আলিফ। বিশ্বকাপ, এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়ান আর্চারি গ্রাঁ প্রিঁর মতো আসরে অংশ নিলেও কখনও কোনও পদক জিততে পারেননি একক ইভেন্টে। এবার অবশ্য রুপার পদকটা নিশ্চিত করেছিলেন ফাইনালে উঠেই। অপেক্ষায় ছিলেন রং বদলে সেটা সোনায় পরিণত করা। আর সত্যিই সেটা পেরেছেন আলিফ।
এবার আর স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়তে হয়নি আলিফকে।
আরও পড়ুন
নাঈমের ফাইফারের পর বাংলাদেশের স্বস্তির দিন |
![]() |
এক সময় বাংলাদেশের আর্চারির পুরুষ বিভাগের রিকার্ভ এককে রাজত্ব ছিল রোমান সানার। এরপর রোমানের পারফরম্যান্সের অবনতি ঘটলে আশা জাগিয়েছিলেন হাকিম আহমেদ রুবেল। কিন্তু আর্চারি ছেড়ে উন্নত জীবনের আশায় দুজনই পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
এরপর এই ইভেন্টের হাল ধরেছেন বিকেএসপির দুই যুবক সাগর ইসলাম ও আলিফ। প্যারিস অলিম্পিকে নিজের যোগ্যতায় সুযোগ পাওয়া সাগর অবশ্য সিঙ্গাপুরে নামের পাশে সুবিচার করতে পারেননি। তিনি হেরে যান প্রথম রাউন্ডেই। তবে সাগর ব্যর্থ হলেও মান বাঁচিয়েছেন পাবনার বেড়া থেকে উঠে আসা আর্চার আলিফ।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মোহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে চলছে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক ও বালিকা (অনূর্ধ্ব -১৭)। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত হয় বালিকাদর ৪ টি ম্যাচ।
দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা বিভাগকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রংপুর বিভাগ। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে জমজমাট লড়াই হয়েছে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগের ম্যাচটি। নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে।
শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলে জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ বিভাগ। দিনের তৃতীয় ম্যাচও গড়ায় টাইব্রেকারে। বরিশাল এবং সিলেট বিভাগের ম্যাচ নির্ধারিত সয়ম শেষ হয় ১-১ সমতায়। পরে টাইব্রেকারে ৩-০ গোলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে সিলেট বিভাগ।
দিনের শেষ ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে রাজশাহী বিভাগ। আগামীকাল সকালে ছেলেদের এবং বিকালে মেয়েদের সেমিফাইনাল ৪ টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টের ফাইনাল আগামী ১৯ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে।
আন্তঃজেলা মহিলা ভলিবল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব শুরু হল শনিবার থেকে। শহীদ নূর হোসেন জাতীয় ভলিবল ষ্টেডিয়ামে বিকেলে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মহিলা ভলিবল উপ-কমিটির চেয়ারম্যান শারমিন হাসান তিথি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের এ্যাডহক কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ মাছুদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক বিমল ঘোষ ভুলু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মুমিন সাদ্দাম এবং মহিলা ভলিবল উপ-কমিটির সম্পাদক মোঃ আমিরুল হোসেন আপন।
প্রথম দিনের খেলায় বগুড়া ২৫-১৬, ২৫-২৩, ২৫-১৫ পয়েন্টে ৩-০ সেটে ফরিদপুরকে, চট্টগ্রাম ২৫-১৬, ২৫-১৪, ২৫-১৪ পয়েন্টে ৩-০ সেটে খাগড়াছড়িকে, যশোর ২৫-২১,২৫-১৬, ২৫-১৩ পয়েন্টে ৩-০ সেটে নড়াইলকে, টাঙ্গাইল ২৫-০৬, ২৫-১০, ২৫-১৬ পয়েন্টে ৩-০ সেটে জামালপুরকে এবং রাজশাহী ২৫-০৩, ২৫-০৭, ২৫-১৯ পয়েন্টে ৩-০ সেটে ফরিদপুরকে হারিয়েছে।
চূড়ান্ত পর্বে মোট ১২টি জেলা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। দলগুলোকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। 'ক' গ্রুপে রাজশাহী, বগুড়া ও ফরিদপুর জেলা। 'খ' গ্রুপে পাবনা চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি জেলা। 'গ' গ্রুপে রাজবাড়ী, যশোর ও নড়াইল জেলা। 'ঘ' গ্রুপে সাতক্ষীরা, টাঙ্গাইল ও জামালপুর জেলা।
প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল চলে যাবে সেমিফাইনালে।
আগামী রোববার দুটি সেমিফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। 'ক' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল লড়বে 'গ' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের সাথে। অন্য সেমিফাইনালে 'খ' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল খেলবে 'ঘ' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের সাথে।
আগামী ১৯ মে সোমবার অনুষ্ঠিত হবে আন্তঃজেলা মহিলা ভলিবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচ।
ময়মনসিংহে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থাপনায় ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামের সাঁতার, ফুটবল ও অ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় মঙ্গলবার।
গত ২১ এপ্রিল থেকে ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে ফুটবল ও লেডিস ক্লাব মাঠে অ্যাথলেটিক্স ও ময়মনসিংহ সুইমিং কমপ্লেক্সে শুরু হয়েছিলো অনূর্ধ্ব-১৫ বালক ও বালিকাদের সাঁতার প্রশিক্ষণ।
প্রতিটি ইভেন্টে ৪০ জন করে বালক/বালিকা অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। ২১টি সেশনের এই প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে খেলোয়াড়দের সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা সাঁতার কোচ জনাব মো: আব্দুস সামাদ কাজল, মো: এমদাদুল হক (টুটুল), ফুটবল কোচ মো: মনোয়ার হোসেন মনির অ্যাথলেটিক্স কোচ সোহেল রানা, মো: আতিকুর বাশার ও মো: মাহবুবুর আলম রতন, অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া অফিসার আল-আমিন।
প্রশিক্ষণ থেকে প্রতিভাবান ফুটবল খেলোয়াড়রা অংশ নিবে ডেভেলপমেন্ট কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের এর ময়মনসিংহ বিভাগীয় দলের বাছাইয়ে। এছাড়া ক্রীড়া পরিদপ্তরের আয়োজনে জাতীয় জুনিয়র এ্যাথলেটিক্স ও জাতীয় জুনিয়র সাঁতার প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় বাছাইয়ে সুযোগ পাবে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া অ্যাথলেট ও সাঁতারুরা।
দুই দেশের মধ্যে চলছে যুদ্ধময় এক আবহ। সীমান্তে অস্থিরতার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের সব ধরণের সম্পর্কই এখন প্রায় বন্ধ। এমন এক সময়ে ওমানের মাসকটে দশম এশিয়ান বিচ হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ।
লিগ পর্যায়ের এই ম্যাচে অংশ নিতে ভারত দলের খেলোয়াড়রা কালো আর্মব্যান্ড পরেছিলেন। তবে আয়োজক এবং এশিয়ান হ্যান্ডবল ফেডারেশন (এএইচএফ) পক্ষ থেকে তাদের কালো আর্মব্যান্ড সরিয়ে খেলতে বলা হলে সেটা পরিধান না করেই ম্যাচটি খেলে ভারত। আয়োজকরা ভারতীয় কোচিং স্টাফদের এই ব্যাপারে জানিয়েছিলেন, এই ধরণের কাজ করলে সেটা নিয়ম অনুযায়ী ভারত দলকে টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কার করার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন
মান বাঁচাতে ইউরোপা লিগ জিততে চান আমোরিম |
![]() |
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের সাথে চলমান সংকটের কারণে দেশের মানুষের আবেগের কথা চিন্তা করে ভারত দল এই ম্যাচটি বয়কট করার বিষয়টি বিবেচনা করেছিল। তবে এএইচএফ তাদের এর শাস্তি হিসেবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ও জরিমানা করার ব্যাপারে সতর্ক করার পর খেলতে রাজি হয় দলটি।
হ্যান্ডবল ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া- এর নির্বাহী পরিচালক আনন্দেশ্বর পান্ডে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশনের (আইএইচএফ) নিয়ম অনুসারে, ভারত ম্যাচটি বয়কট করলে তাদের ১০ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হত। এছাড়া ভারতকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সম্ভাবনারও ছিল।
ভিন্ন আবহে হওয়া এই ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে পাকিস্তান। ভারতকে তারা হারায় ২-০ ব্যবধানে।
আরও পড়ুন
৫ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পিএসজি |
![]() |
সেমিফাইনালেও দুই দলের আবার মুখোমুখি হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেই ম্যাচটি খেলা নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেয়নি ভারত। আনন্দেশ্বর পান্ডে জানিয়েছেন, তারা সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে সেভাবেই ম্যাচ খেলা বা বয়কটের সিদ্ধান্ত নেবেন।
No recent posts available.