
৪৩তম জাতীয় মহিলা দাবায় আবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফিদে মাস্টার নোশিন আনজুম। ১১ খেলায় সাড়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনি শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখেছেন। মহিলা দাবায় এটি নোশিনের হ্যাটট্রিক শিরোপা। শুক্রবার শেষ রাউন্ডে নোশিনের প্রয়োজন ছিল ড্র। প্রতিপক্ষ ওয়ারসিয়া খুশবুর সঙ্গে ৬ চালেই ড্র হয়েছে।
নোশিন এবার ৬ রাউন্ড পর্যন্ত পিছিয়ে ছিলেন কুমিল্লা জেলার নুসরাত জাহান আলোর কাছে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জেতেন পরের ম্যাচগুলো। সব মিলিয়ে ১১ রাউন্ডের মধ্যে ৩ ড্র, একটি হার ও ৭টি জয় নোশিনের।
২০১৬ সাল থেকে জাতীয় মহিলা দাবা খেলছেন নোশিন। ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো হন চ্যাম্পিয়ন। পরের বছর খেলা হয়নি। গত বছরের পর এবারও চ্যাম্পিয়ন হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষের এই শিক্ষার্থী।
নোশিন এখনো ফিদে মাস্টার। দুটি আন্তর্জাতিক মাস্টার নর্ম রয়েছে তাঁর। মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে এখনো আরেকটি নর্ম ও ২২০০ রেটিং প্রয়োজন। তাঁর বর্তমান রেটিং ১৯৯০। রেটিং কম ও টাইটেল নিম্ন হলেও এই মুহূর্তে নোশিনই বাংলাদেশের সেরা নারী দাবাড়ু।
No posts available.
২৯ অক্টোবর ২০২৫, ৫:১৯ পিএম
২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম

তিন দিনব্যাপী ষষ্ঠ জাতীয় বেসবল চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হল আজ। ধানমন্ডি রিয়া গোপ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে হয় দ্বিতীয় দিনের কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল ম্যাচসমূহ। আগামীকাল শনিবার হবে প্রতিযোগিতার ফাইনাল। মুখোমুখি বাংলাদেশ পুলিশ এবং বাংলাদেশ আনসার নারী দল।
শুক্রবার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে সাভার কমিউনিটি ক্লাবকে ২০-০০ রানে পরাজিত করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ আনসার। দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে চট্টগ্রাম বেসবল ক্লাবকে ১৫-০০ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে জয়পুরহাট বেসবল ক্লাব।
সেমিফাইনাল পর্বে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ আনসার জয়পুরহাট বেসবল ক্লাবকে ১৫-০০ রানে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নেয়। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশ নারী দল ঢাকা জেলা বেসবল দলকে একই ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে। পুলিশের ম্যাচ সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হন ক্যাচার নিশাত।
আগামীকাল শনিবার দুপুর ১২টায় জয়পুরহাট বেসবল ক্লাব ও ঢাকা জেলা বেসবল দলের মধ্যকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা হবে।
দুপুর ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতার ফাইনাল। যেখানে মুখোমুখি হবে গত পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আনসার এবং বিগত জাতীয় প্রতিযোগিতার রানার্সআপ বাংলাদেশ পুলিশ নারী বেসবল দল।

তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। মুয়াজ্জিনের আজান কিংবা পাখির কিচির মিচির ডাক—সবকিছুই যেন নির্মল সতেজ। রাজধানী তখনো নিরব, ঘুমে বিভোর অনেকে। কাজে যাওয়ার তাড়া নেই, জগিংয়ের শুরুটাও খানিক পরে।
কিন্তু, আলো ফুটে ওঠার আগেই একজন মা ঠিকই জেগে ওঠেন। তিনি জানেন, তাঁকে জাগতেই হবে। মাঠ ডাকছে তাঁর সন্তানকে। তাকে প্রস্তুত করে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়াই প্রাথমিক নিস্তার মায়ের।
আদতে মায়ের দায়িত্ব এখানেই শেষ মনে হলেও এর দৈর্ঘ্য-প্রস্থ বিস্তর। সন্তানের সারাদিনের আহারাদি, স্বাস্থ্য, পড়াশোনা, বিশ্রাম-সবকিছু নিয়েও ভাবতে হয় মাকে। পারিবারিক দায়িত্ব বা সন্তানের ভবিষ্যত নিয়েও মধ্যরাত পর্যন্ত ভাবেন মায়েরা। সন্তান ঘুমিয়ে থাকলেও মাকে থাকতে হয় সজাগ। পরের দিনের কর্মপরিকল্পনা সাজাতে হয় তাঁকে। এই মায়েদের ত্যাগ ও যত্নেই এগিয়ে যাচ্ছে সন্তান, এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী।
এই গুণী মায়েদের জন্যই প্রাণ পেয়েছে বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের স্কুল হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা। বৃহস্পতিবার ছিল লিগ ভিত্তিক সুপার সিক্সের ম্যাচ। ছেলেদের বিভাগে ছয়টি এবং মেয়েদের বিভাগে আজ প্রতিটা দল খেলেছে পাঁচটি করে ম্যাচ। পয়েন্টের ভিত্তিতে দুই বিভাগে হয় চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ। দুই বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকার সানিডেইল স্কুল।
মাঠের লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়নরা যখন উচ্ছ্বসিত, তখন সাইডলাইনে ছিল আরেক উৎসবমুখর পরিবেশ। তরুণ এই খেলোয়াড়দের অভিভাবকরা যেন নিজেদের বাচ্চাদের চেয়েও বেশি খুশি।
প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই পল্টনের শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী জাতীয় স্টেডিয়ামে এমন চিত্র। বৃহস্পতিবার দেখা গেল এমন কয়েকজন মাকে, যারা নিজেদের বাচ্চাকে সমর্থনে এসেছেন। কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের কেউ গৃহিণী, কেউ ডাক্তার, কেউ বা ব্যবসায়ী। তবে হ্যান্ডবল মাঠে সবারই একটি পরিচয়—তরুণ ক্রীড়াবিদদের মা।
এদিন নারিন্দা গভর্মেন্ট হাই স্কুলকে ৩৬-১৭ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জেতে সানিডেইল। ম্যাচ সেরা হন আরিফ ইহতিরাম খান। তিনি টি-স্পোর্টসের প্রতিবেদককে জানান, ‘অনুভূতি বোঝানোর মতো না, অনেক ভালো লেগেছে। মাকে দেখাতে পেরে খুশি।’ ইহতিরাম যখন ট্রফি হাতে উচ্ছ্বসিত, মা তখন আনন্দে আত্মহারা।
ইহতিরামের মা বলেন,
‘অনেক দিন ধরে ওরা টুর্নামেন্ট খেলছে। প্রতিটা ম্যাচ দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে। আসলে ঢাকায় বাচ্চাদের খেলার জন্য খুব একটা জায়গা নেই। খেলার মধ্যে থাকলে ভালো হয়। সব স্কুলে এমন সুযোগ থাকলে ভালো হয়।’
নাজিয়া আক্তার পেশায় একজন ডাক্তার। পাবলিক হেলথে কর্মরত। শত ব্যস্ততার মাঝেও ছুটে আসেন ছেলের সঙ্গে। এদিনও দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলেন হ্যান্ডবল মাঠে। ছেলেকে নিয়ে বলেন,
‘সত্যি বলতে ক্লান্তি লাগে না। আমার সব সময় বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে। ওদের আমি যখন স্কুলে আনতে যাই তখন ভালো লাগে, মনে হয় মা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। পড়াশোনার পাশাপাশি যদি ভালো কাজ করতে পারে তবে খুশি। আমি মনে করি খেলাধুলা থাকলে হার-জিতের মানসিকতা বিকাশ হয়। খেলাধুলা যে শিক্ষা দেয় সেটা অনেক কাজে লাগে।’
নিজের সম্পর্কে মায়ের এমন মন্তব্য শুনে ছেলে ইহতিরাম বলেন,
‘এমন মা সবাই পায় না, আমি খুব খুশি।’
হ্যান্ডবল মাঠে দেখা যায় এক তরুণীকে, খুশিমনে এদিক-সেদিক হাঁটছেন। কিছুক্ষণ পরই এক খুদে হ্যান্ডবল খেলোয়াড়কে জড়িয়ে ধরে উৎসাহ দেন। মূলত ভাইয়ের সঙ্গে এসেছিলেন মাসুরা হোসেন আদিতি। গ্রেগরিজ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে খেলছেন তাঁর ভাই। তিনি বলেন,
‘আমার ভাইকে নিয়ে আমি অনেক গর্ব করি। ও দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। সে বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল, ফুটবল—মোট কথা মাল্টি-ট্যালেন্টেড একটা বাচ্চা। আসলে ওর প্রেরণা আমাদের মা-ই।'
এমনই এক মায়ের অদম্য প্রেরণায় আজ শিরোপা হাতে তুলে নিতে পেরেছেন বলে জানান সানিডেইলের আলিজে চৌধুরী। সপ্তম শ্রেণিতে পড়া আলিজে বলেন,
‘আমি সত্যি খুব প্রাউড ফিল করছি। ওনারা (মা-বাবা) আমাকে খুব সাপোর্ট করে, এমনটা সবাই করে না। একদিন জাতীয় দলে খেলে মায়ের মুখ আরও উজ্জ্বল করতে চাই।’
মেয়ের সেই দিনের অপেক্ষায় মা মিতি চৌধুরী। ব্যক্তি জীবনে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। মেয়ের সাফল্য নিয়ে বলেন,
‘আমি অনেক খুশি। কারণ ভিকারুননিসা অনেক ভালো খেলে, সেই টিমকে হারিয়েছে আমার মেয়েরা।’ ক্যারিয়ার গড়েছেন ব্যবসায়, তবে ছোটবেলায় নিজেও খেলতেন হ্যান্ডবল। এখন মেয়েকে হ্যান্ডবলে দেখে খুশি এই মা বলেন, ‘যখন দেখি বাচ্চার খেলার প্রতি এত আগ্রহ, ওদের স্বপ্ন, ওরা খেলতে চায়, এটা দেখে আমি যত ব্যস্ত থাকি তবুও সময় বের করি। ছোটবেলা থেকে আমি নিজেও হ্যান্ডবল খেলতাম। আমার মেয়েরও ছোটবেলা থেকে হ্যান্ডবলের প্রতি অনেক আগ্রহ ছিল। বাসা থেকে সবার ওর জন্য অনেক সাপোর্ট আছে।’
মা-বাবাদের প্রতি আলিজের মায়ের বার্তা,
‘আমি চাই সবাই যেন তাদের বাচ্চাদের খেলাধুলায় পাঠায়। এটা মেন্টাল হেলথে অনেক সহায়ক।’
সানিডেইলের শিরোপা জেতা দলের অন্যতম সদস্য আমানা। তাঁর মা কায়েছমা জামান এসেছিলেন মেয়ের খেলা দেখতে। তিনি একটি হোম কিচেন পরিচালনা করেন। একজন নারী সফল উদ্যোক্তা। ব্যস্ততার মাঝেও মেয়েকে সময় দেন তিনি। বলেছেন সেটিই,
‘কোচদের ভূমিকা অনেক। কারণ আমাদের প্র্যাকটিস শুরু হয় স্কুল ক্লাসের আগে। ৬টায় যেতে হয়, তখন প্র্যাকটিস করে। এরপর স্কুল শেষ করে বিকেল পাঁচটায় বাসায় আসে। ওদের জন্য আমাদের আরও সকালে উঠতে হয়। যেহেতু ওদের একটা ভালো টিফিন দিতে হয়।’
আমানা এরই মধ্যে খেলেছেন ইংল্যান্ড ও সুইডেনে। সেখানে ছিলেন তাঁর মা কায়েছমা জামান। বাংলাদেশের সঙ্গে দুই দেশের সুযোগ-সুবিধায় যে বিস্তর ফারাক সেটি উল্লেখ করে বলেন,
‘যতটুকু দেখেছি, বাংলাদেশে হ্যান্ডবলের সুযোগ-সুবিধা কম। আমার মেয়ে ইংল্যান্ডে ইনডোর স্কুল টুর্নামেন্ট খেলেছে। সেখানে সুযোগ-সুবিধা অনেক। বাইরের দেশে গেলে বোঝা যায় তারা কতটা এগিয়ে। সুইডেনে দেখেছি ওদের কি পরিমাণ সুযোগ। ইনডোর ও আউটডোর মাঠ আছে। আমার মেয়ে দুবার বিদেশে খেলেছে।’
হ্যান্ডবলে ঢাকার এই নতুন জাগরণ দেখে বেশ আশাবাদী নারী জাতীয় হ্যান্ডবল দলের কোচ ডালিয়া আক্তার। তবে আক্ষেপও আছে তাঁর,
‘ঢাকায় হ্যান্ডবল নিয়ে আগ্রহ নতুন করে তৈরি হয়েছে, এটা সত্যি দারুণ। তবে আমার চাওয়া ঢাকার বাইরেও যেন এমনটা হয়।’
ঢাকার স্কুল হ্যান্ডবলে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই উচ্চবিত্ত পরিবারের। অতীত বলে, তাঁদের মধ্যে খুব কম সংখ্যকই ক্যারিয়ার হিসেবে হ্যান্ডবলকে বেছে নেন। এদের কেউ খেলাটির প্রতি ভালোবাসা থেকেই রয়ে যান। নির্মম বাস্তবতা হলো—দেশের হ্যান্ডবলে সে অর্থে পাওয়ার কিছু নেই। যে কারণে এখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন অনেকেই।
হ্যান্ডবল মাঠে মায়েদের আগমন ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় ডালিয়া,
‘এটা ইতিবাচক দিক। ঢাকার ব্যস্ততার মধ্যেও মায়েরা নিজের সন্তানকে সাপোর্ট দিচ্ছেন, তাদের হ্যান্ডবলে উদ্বুদ্ধ করছেন। তাঁদের দ্বারা এই বার্তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে আমার বিশ্বাস। প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীদের যেভাবে বাধাবিপত্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, সেটির ঢাল হতে পারেন এই মায়েরাই।’

আগামীকাল শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ জাতীয় নারী বেসবল চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রতিযোগিতাটি হবে ধানমন্ডির রিয়া গোপ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা শেখ বশির আহমেদ।
চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে বুধবার পল্টনের জাতীয় স্টেডিয়ামের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ বেসবল-সফটবল অ্যাসোসিয়েশন (বিবিএসএ)।
উপস্থিত ছিলেন বিবিএসএ-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. অনুপম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, টুর্নামেন্ট কমিটির সচিব ও যুগ্ম সম্পাদক ঈমাম হোসেন সোহাগ এবং অংশগ্রহণকারী ১২টি দলের অধিনায়ক ও খেলোয়াড়বৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে অনুপম হোসেন বলেন, ‘নারী বেসবলের বিকাশ, নারীদের ক্রীড়া অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং জাতীয় নারী দল গঠনের লক্ষ্যে এই প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা চাই বাংলাদেশ নারী বেসবল দল শিগগিরই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের প্রতিনিধিত্ব করুক।’
জাতীয় বেসবলে দেশের বিভিন্ন জেলা ও সংস্থার মোট ১২টি দল অংশগ্রহণ করবে। খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে সিঙ্গেল এলিমিনেশন নকআউট পদ্ধতিতে। নভেম্বরের ১ তারিখ হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল।
বিবিএসএ সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের বলেন, ‘নারী বেসবল এখন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে উদীয়মান শক্তি। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা প্রতিভাবান নতুন খেলোয়াড় বেছে নিয়ে জাতীয় নারী বেসবল দলকে আরও শক্তিশালী করব।’

কাভা কাপে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে সরাসরি ৩-০ সেটে হেরেছে বাংলাদেশ। মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে আজ লঙ্কানদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি স্বাগতিক দল। আসরে এই প্রথম কোনো ম্যাচে সরাসরি সেটে হারলো বাংলাদেশ।
এদিন প্রথম সেটে ২৫-২০ পয়েন্টে হারে বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় সেটে তুমুল লড়াই হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। এই সেটে শ্রীলঙ্কা ২৫-২৩ পয়েন্ট নিয়ে ২-০ সেটে এগিয়ে যায়। তৃতীয় সেটে লঙ্কানরা ২৫-২০ পয়েন্টে জয় নিশ্চিত করে ৩-০ সেটে ম্যাচ জিতে নেয়।
হোম ভেন্যুর টুর্নামেন্টে চতুর্থ স্থান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এর আগে ২৪ অক্টোবর রাউন্ড রবিন লিগের খেলায় এই দুই দলের সাক্ষাতে বাংলাদেশ ৩-২ সেটে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল।

কাভা কাপের (সেন্ট্রাল এশিয়া ভলিবল অ্যাসোসিয়েশন) ফাইনালে আফগানিস্তানকে ৩-২ সেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তুর্কমেনিস্তান। তৃতীয়বারের মতো কাভা কাপের শিরোপা জিতল মধ্য এশিয়ার দেশটি। এর আগে ২০১৫ ও ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তুর্কমেনিস্তান।
টুর্নামেন্টজুড়ে দাপট দেখিয়েছে তুর্কমেনিস্তান। রাউন্ড রবিন লিগের পাঁচ ম্যাচের সবগুলো জিতে ফাইনালে ওঠে দলটি। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে তারা।
মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে শুরুতেই চমক দেখায় আফগানিস্তান। ২৫-২০ পয়েন্টে প্রথম সেট জিতে ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা। তবে দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ায় তুর্কমেনিস্তান। ২৫-২১ পয়েন্টে জিতে ম্যাচে সমতা আনে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
তৃতীয় সেটে আবারও নাটকীয়তা দেখা যায়। এ সেট দখলে নেয় আফগানিস্তান। ২৫-১৮ পয়েন্টে জিতে আবারও ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আফগানরা। ম্যাচ যখন আফগানিস্তানের দিকে ঝুঁকছিল, ঠিক তখনই দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করে চতুর্থ সেট নিজেদের করে নেয় তুর্কমেনিস্তান। ২৫-২০ পয়েন্টে সেট জিতে তারা খেলাকে ভাগ্য নির্ধারণী পঞ্চম সেটে নিয়ে যায়।
পঞ্চম সেটে ছিল চরম উত্তেজনা। এক সময় দুই দলের স্কোর ১১-১১-তে সমান হয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্নায়ুর চাপ সামলে নেয় তুর্কমেনিস্তান। ১৫-১২ পয়েন্টে সেট জিতে চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করে এবং পুরো দল উল্লাসে মেতে ওঠে।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক এবং সেন্ট্রাল এশিয়া ভলিবল অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ লতিফ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সভাপতি ফারুক হাসান, সিনিয়র সহ সভাপতি লতিফ শাহরিয়ার জাহেদী ও সাধারণ সম্পাদক বিমল ঘোষ ভুলু