১ নভেম্বর ২০২৫, ৩:৪৬ পিএম

টানা তৃতীয়বারের মতো জাতীয় মহিলা দাবায় চ্যাম্পিয়ন হলেন নোশিন আনজুম। ১১ রাউন্ডের মধ্যে ৩ ড্র, একটি হার ও ৭টি জয় নোশিনের। শুক্রবার শেষ রাউন্ডে ড্র করেন ওয়ারশিয়া খুশবুর সঙ্গে। তাতে নিশ্চিত হয় চ্যাম্পিয়নের মর্যাদা। ২০১৬ সাল থেকে জাতীয় মহিলা দাবা খেলা নোশিন পড়াশোনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগে। স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। দাবায় জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে আজ শনিবার কথা বলেছেন টি-স্পোর্টসের সঙ্গে।
টি-স্পোর্টস: জাতীয় নারী দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে আবারও চ্যাম্পিয়ন হলেন, অভিনন্দন
নোশিন আনজুম: ধন্যবাদ। অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। এবার অলিম্পিয়াড আছেতো, সেজন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সব কিছু মিলে অনেক খুশি।
টি-স্পোর্টস: প্রতিযোগিতায় কোন ম্যাচটি সবচেয়ে কঠিন মনে হয়েছে?
নোশিন আনজুম: দশম রাউন্ড আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন ছিল। কালো ঘুটি নিয়ে ওই রাউন্ডে ড্র করতে হয়েছিল।
টি-স্পোর্টস: দাবায় আপনার এই অর্জনে কার অবদান বেশি?
নোশিন আনজুম: আমার মায়ের। শুরু থেকেই… ১১-১২ বছর বয়স থেকে আম্মু-ই আমাকে দাবা ফেডারেশনে নিয়ে যায়। তিনিই আমাকে অনুপ্রেরণা দেন।
টি-স্পোর্টস: হেরে গেলে কিংবা চাপের মধ্যে পড়লে ওই সময়টা কি করেন?
নোশিন আনজুম: হারলে তো অবশ্যই খারাপ লাগে। তখন জীবনের সেরা সময়গুলোর কথা ভাবি। হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করি। মা আমাকে মোটিভেট করে।
টি-স্পোর্টস: সামনে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় লক্ষ্য কি?
নোশিন আনজুম: আপাতত অলিম্পিয়াডে ভালো করার লক্ষ্য। কারণ অলিম্পিয়াডে যদি ভালো করি তবে দাবা বিশ্বকাপেও ভালো করতে পারব।
টি-স্পোর্টস: দাবাড় ক্যারিয়ারে কোন অর্জনটা পেলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন?
নোশিন আনজুম: গ্রান্ডমাস্টার হতে চাই।
টি-স্পোর্টস: আপনার চোখে বাংলাদেশে দাবাড়ুদের ভবিষ্যৎ কি?
নোশিন আনজুম: অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করি বাংলাদেশের অবস্থান খুবই খারাপ। দাবায় পপুলারিটি কম। তাতে কি হয়- আমরা স্পন্সর পাই না। আর এটা তো একটা ইনডোর গেমস। অন্যান্য দেশের গ্রান্ডমাস্টার হলে সরকার থেকে সুযোগ-সুবিধা দেয় কিন্তু আমাদের দেশে তা হয় না। কোচিং করিয়ে কিংবা অন্য উপায় টাকা আয় করতে হয়।
টি-স্পোর্টস: এবার জাতীয় নারী দাবার মান কেমন দেখলেন
নোশিন আনজুম: আমার কাছে এবারে প্রতিযোগিতা কঠিন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনে হয়েছে। ১২ জনের মধ্যে ৯জনই তো অনেক ইয়াং ছিলাম।
টি-স্পোর্টস: এবার কাকে সবচেয়ে বেশি কঠিন প্রতিপক্ষ মনে হয়েছে
নোশিন আনজুম: আলোর সঙ্গে আমি হেরেছি। এরপর ওয়ারশিয়া খুশবু এবং জান্নাতও অনেক ভালো খেলেছে। তাদের বিপক্ষে খেলা কঠিন ছিল।
টি-স্পোর্টস: দেশের সেরা নারী দাবাড়ু আপনি, তারপরও রেটিং নর্ম কম, এ নিয়ে আক্ষেপ হয় না?
নোশিন আনজুম: হ্যা অবশ্যই, আক্ষেপ তো থাকেই। রেটিং না বাড়লে তো নর্ম পাবো না। দেশে খেললে আসলে হয় না। কারণ দেশে সব খেলোয়াড়ের রেটিং কম। দেশের বাইরে খেলতে হয়, কিন্তু সেটার জন্য আর্থিক সহায়তা বা স্পন্সর নেই।
টি-স্পোর্টস: দাবাড় বাইরে প্রিয় কাজ কি
নোশিন আনজুম: বই পড়া, গান শোনা।
টি-স্পোর্টস: দাবাড়ু না হলে কি হতেন
নোশিন আনজুম: অন্য কোনো স্পোর্টসে থাকতাম। আমার ব্যাডমিন্টন খেলতে ভালো লাগে। এছাড়া আর্চারি আমার অনেক পছন্দের।
টি-স্পোর্টস: বাংলাদেশের কোনো ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়কে চেনেন?
নোশিন আনজুম: খেলা দেখা হয় না। শীতকাল আসলে খেলা হয়। আসলে খেলতে ভালো লাগে, দেখতে না।
টি-স্পোর্টস: গান শুনতে পছন্দ করেন, শিল্পী হওয়ার ইচ্ছে ছিল কখনও?
নোশিন আনজুম: একদম না।
টি-স্পোর্টস: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুষ্টি বিজ্ঞানে পড়ছেন, অন্য কোনো সাবজেক্ট না নিয়ে এটাই কেন
নোশিন আনজুম: ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্সের অন্য কোনো সাবজেক্ট নিলে… আমার আসলে ম্যাথমেটিক অনেক পছন্দের, ভালো লাগার সাবজেক্ট। কিন্তু সেটা নিলে খেলাটা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হতো। আমি দুইটাই (খেলা এবং পড়াশোনা) এক সঙ্গে চালাতে চেয়েছিলাম।
টি-স্পোর্টস: দাবা এবং পড়াশোনার মধ্যে কোনটিকে প্রায়োরিটি বেশি দেন?
নোশিন আনজুম: অবশ্যই দাবা। এটা আমার প্যাশনের জায়গা। এটা আমি নিজে অনুধাবন করি যখন জোনাল চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে গিয়েছিলাম। পড়ালেখায় খারাপ করলে অতটা খারাপ লাগে না, কিন্তু দাবায় খারাপ করলে নিতে পারি না। এই জন্য আমার কাছে মনে হয় যে যদি দুইটার মধ্যে একটাকে বেছে নিতে হয় তাহলে অবশ্যই দাবাকে নিব।
টি-স্পোর্টস: দাবা খেলা শুরু করেন কখন থেকে
নোশিন আনজুম: ক্লাস ফোরে থাকতে, আমার ৯ বছর বয়স থেকে। ২০১৩ সালে ঢাকায় আসি। পরের বছর ভিকারুননিসায় ভর্তি হই। ওখানে একটা টুর্নামেন্টে সিনিয়র একজনকে হারাই। তখন আম্মুও আমাকে এই খেলাটায় অনুপ্রাণিত করেন। দাবাড় প্রতি ঝোকটাও তখন থেকে বেড়ে যায়।
No posts available.
১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম
১ নভেম্বর ২০২৫, ৮:০১ পিএম

চমক দেখালেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রেজা নীড়। দাবা বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে আজ নরওয়ের গ্র্যান্ডমাস্টার আরিয়ান তারিকে রুখে দিয়েছেন তিনি। তবে হেরেছেন আরেক বাংলাদেশি দাবাড়ু ফাহাদ রহমান।
ভারতের গোয়ায় শনিবার থেকে শুরু হয়েছে দাবা বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড। নীড় এদিন খেলতে বসেন সাদা ঘুঁটি নিয়ে। শুরুটা করেন রোসোলোমিও অ্যাটাক (অবস্থানগত আক্রমণ) কৌশলে। মিডল গেমে ভুল করলেও এন্ড গেমে দারুণ প্রতিরোধ দেখান তিনি। ফলে ৪২তম চালে গিয়ে ড্র মেনে নেন নরওয়ের গ্র্যান্ডমাস্টারও।
অন্যদিকে, সাদা ঘুঁটির সুবিধা পেয়েও ফাহাদ ছিলেন ভুলের মধ্যেই। শেষ মুহূর্তে চেষ্টা করেন ম্যাচ ড্র করার। কিন্তু তাঁকে হারাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ইউক্রেনিয়ান গ্র্যান্ডমাস্টার ভাসিল ইভানচুকের।
আগামীকাল রোববার কালো ঘুঁটি নিয়ে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবেন নীড়-ফাহাদ। জিতলে নীড় পৌঁছে যাবেন দ্বিতীয় রাউন্ডে।
গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবই বাংলাদেশের একমাত্র দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পেরেছিলেন। এবার সেই পথে কেউ হাটতে পারেন কি-না দেখার অপেক্ষা।

ঢাকা জেলা প্রশাসক ভলিবলে প্রতিযোগিতায় বালক-বালিকা দুই বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ক্যান্টনমেন্ট শিক্ষা থানা দল। আজ বিকেল ৩টায় শহীদ নূর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ের মেয়েদের ফাইনালে ক্যান্টনমেন্ট শিক্ষা থানা দল ২-০ সেটে হারিয়েছে রমনা শিক্ষা থানা দলকে।
বিকেল ৪টায় ছেলেদের ফাইনালে নবাবগঞ্জ উপজেলা বালক দলকে ২-১ সেটে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় ক্যান্টনমেন্ট শিক্ষা থানা দল। গত ১৮ অক্টোবর থেকে উপজেলা পর্যায়ে শুরু হয় আন্তঃইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। সেখান থেকে ৫টি উপজেলা চ্যাম্পিয়ন দল নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হল জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।
ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় মাহাবুব-উল-আলম। সমাপনী ও বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার প্রদান করেন তিনি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্টেট তানভীর আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভলিবল ফেডারেশনের সভাপতি ফারুক হাসান।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল ওয়ারেছ আনসারী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) ও টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক শামীমা সুলতানা, টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও ঢাকা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা সুমন কুমার মিত্র।
ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য ও সাবেক জাতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনার জাভেদ ওমর বেলিম, জপাল শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল মজিদ, বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিমল ঘোষ বুলুসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

কারাবাও কাপের চতুর্থ রাউন্ডে গত বুধবার রাতে উলভসের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে জয় পায় চেলসি। তবে এই ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন লিয়াম ডেলাপ। এ নিয়ে এবারের মৌসুমে পঞ্চমবার লাল কার্ড দেখলেন চেলসির খেলোয়াড়েরা। যার সবকটি এসেছে সর্বশেষ ৪০ দিনের ব্যবধানে।
চেলসির লাল কার্ড দেখার তালিকায় আছেন- গোলকিপার রবার্ট সানচেজ, ডিফেন্ডার ট্রেভোহ চালোবাহ, স্ট্রাইকার জোয়াও পেদ্রো, ডিফেন্ডার মালো গুস্তো, স্ট্রাইকার লিয়াম ডেলাপ।
মৌসুমে চেলসি কতটা বিশৃঙ্খল ছিল?
ডেলাপকে লাল কার্ড দেখার পর চেলসি কোচ এনজো মারেস্কা নিজের রাগ অনুভূতি লুকাননি, ‘এটি বোকামি ছিল। লাল কার্ড দেখাটা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় ছিল, যদিও এটি একেবারেই প্রাপ্য ছিল। আমরা এই ধরণের লাল কার্ড দেখা এড়াতে পারি এবং আমাদের সেটা করতে হবে। আজ যেভাবে লাল কার্ড দেখা গেল, এটি লজ্জাজনক। ৭ মিনিটের মধ্যে দুটি হলুদ কার্ড ছিল। অথচ দুটিই এড়ানো যেত। এভাবে লাল কার্ড দেখা কোনও ভালো লক্ষণ নয়।’
চেলসির জন্য লাল কার্ড এখনও যেন কোনও আশ্চর্যের বিষয় না। ইএসপিএন গ্লোবাল রিসার্চের মতে, এই মৌসুমে সকল প্রতিযোগিতায় চেলসির পাঁচটি লাল কার্ড ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি প্রধান লিগের মধ্যে সর্বাধিক।

চেলসি কি রেকর্ডের পথে?
আপাতদৃষ্টিতে লাল কার্ড দেখার দিক থেকে চেলসির ‘খারাপ ছেলে’ হওয়ার সম্ভাবনা কম। প্রিমিয়ার লিগের এক মৌসুমে সর্বাধিক লাল কার্ড দেখার রেকর্ড ৯টি। সেটি ২০০৯-১০ মৌসুমে সান্ডারল্যান্ড এবং ২০১১-১২ মৌসুমে কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স এর দখলে। আর চেলসির হয়ে এখন পর্যন্ত তিনটি লিগ ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছেন তাদের ফুটবলাররা।
তবে, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি প্রধান লিগে সমস্ত প্রতিযোগিতায় রেকর্ডটি অনেকটাই নাগালের বাইরে। ২০১২-১৩ মৌসুমে সেভিয়াকে ১৭টি লাল কার্ড দেখানো হয়েছিল।
চেলসির তরুণ দল কি দায়ী
চেলসির শৃঙ্খলার অভাবের পেছনে একটা নির্দিষ্ট কারণ থাকতে পারে। যদিও মারেস্কা ইতিমধ্যেই সমস্যাটি চিহ্নিত করেছেন। তাঁর মতে দলে খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতার অভাবে এমনটা বেশি হচ্ছে, ‘এটি আমাদের খেলার একটা অংশ। আমাদের আরও বড় হতে হবে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।’ প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে কম বয়সীদের দল চেলসি। স্কোয়াডে থাকা ফুটবলারদের গড় বয়স ২৪ বছর ১১২ দিন।

৪৩তম জাতীয় মহিলা দাবায় আবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফিদে মাস্টার নোশিন আনজুম। ১১ খেলায় সাড়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনি শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখেছেন। মহিলা দাবায় এটি নোশিনের হ্যাটট্রিক শিরোপা। শুক্রবার শেষ রাউন্ডে নোশিনের প্রয়োজন ছিল ড্র। প্রতিপক্ষ ওয়ারসিয়া খুশবুর সঙ্গে ৬ চালেই ড্র হয়েছে।
নোশিন এবার ৬ রাউন্ড পর্যন্ত পিছিয়ে ছিলেন কুমিল্লা জেলার নুসরাত জাহান আলোর কাছে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জেতেন পরের ম্যাচগুলো। সব মিলিয়ে ১১ রাউন্ডের মধ্যে ৩ ড্র, একটি হার ও ৭টি জয় নোশিনের।
২০১৬ সাল থেকে জাতীয় মহিলা দাবা খেলছেন নোশিন। ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো হন চ্যাম্পিয়ন। পরের বছর খেলা হয়নি। গত বছরের পর এবারও চ্যাম্পিয়ন হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষের এই শিক্ষার্থী।
নোশিন এখনো ফিদে মাস্টার। দুটি আন্তর্জাতিক মাস্টার নর্ম রয়েছে তাঁর। মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে এখনো আরেকটি নর্ম ও ২২০০ রেটিং প্রয়োজন। তাঁর বর্তমান রেটিং ১৯৯০। রেটিং কম ও টাইটেল নিম্ন হলেও এই মুহূর্তে নোশিনই বাংলাদেশের সেরা নারী দাবাড়ু।

তিন দিনব্যাপী ষষ্ঠ জাতীয় বেসবল চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হল আজ। ধানমন্ডি রিয়া গোপ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে হয় দ্বিতীয় দিনের কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল ম্যাচসমূহ। আগামীকাল শনিবার হবে প্রতিযোগিতার ফাইনাল। মুখোমুখি বাংলাদেশ পুলিশ এবং বাংলাদেশ আনসার নারী দল।
শুক্রবার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে সাভার কমিউনিটি ক্লাবকে ২০-০০ রানে পরাজিত করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ আনসার। দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে চট্টগ্রাম বেসবল ক্লাবকে ১৫-০০ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে জয়পুরহাট বেসবল ক্লাব।
সেমিফাইনাল পর্বে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ আনসার জয়পুরহাট বেসবল ক্লাবকে ১৫-০০ রানে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নেয়। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশ নারী দল ঢাকা জেলা বেসবল দলকে একই ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে। পুলিশের ম্যাচ সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হন ক্যাচার নিশাত।
আগামীকাল শনিবার দুপুর ১২টায় জয়পুরহাট বেসবল ক্লাব ও ঢাকা জেলা বেসবল দলের মধ্যকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা হবে।
দুপুর ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতার ফাইনাল। যেখানে মুখোমুখি হবে গত পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আনসার এবং বিগত জাতীয় প্রতিযোগিতার রানার্সআপ বাংলাদেশ পুলিশ নারী বেসবল দল।