বিকেএসপিতে বুধবার (১৬ জুলাই) প্রথমবারের মতো জুলাই গণঅভ্যূত্থান ও শহীদ দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা অর্ধ্বনমিত রাখা হয়।
দিনের শুরুতে বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মুনীরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রেণির কর্মকর্তা- কর্মচারী ও প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে নিয়ে এক র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
র্যালিটি বিকেএসপির প্রধান ফটক থেকে শুরু করে অডিও ভিজূয়্যলে এসে শেষ হয়। অডিও ভিজ্যুয়াল সেন্টারে জুলাই গণঅভ্যূত্থান ও শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে জুলাই গণঅভ্যূত্থানে আত্মদানকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং উপস্থিত সকলকে জুলাই গণঅভ্যূত্থান থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশকে নতুন ভাবে গড়ে তুলতে আহ্বান জানান।
সেই আলোচনায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, প্রশিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরাও অংশগ্রহণ করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকা বিকেএসপি ছাড়াও আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতেও সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বাদ যোহর জুলাই গণঅভ্যূত্থানে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
১০ জুলাই ২০২৫, ৫:১২ পিএম
২৫ জুন ২০২৫, ৫:২৬ পিএম
বিশ্ব কাবাডির অন্যতম বৃহৎ কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রথম ধাপে আছে বাংলাদেশ। এ জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ২০ বছরের জন্য গোপালগঞ্জ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের অনুকূলে লীজ প্রদান করেছে।
প্রস্তাবিত কাবাডি কমপ্লেক্সে থাকবে পরিপূর্ণ একাডেমিক কার্যক্রম। থাকবে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল ছাড়াও পুরুষ ও নারী জাতীয় দলের অনুশীলন সুবিধা। ফিটনেস ট্রেইনার, রেফারিজ, কোচেস এবং অন্যান্য টেকনক্যিাল কার্যক্রম পরিচালিত হবে এ কমপ্লেক্সে। প্রস্তাবিত কাবাডি কমপ্লেক্সের নানা সুবিধাদি এমনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে যাতে কাবাডি খেলুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ স্থাপনা ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়। যা বাংলাদেশকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাবে।
এ কমপ্লেক্স নির্মাণ সম্পর্কে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলছিলেন, ‘বৈশ্বিক কাবাডি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে তাল মেলাতে হলে সমন্বিত কার্যক্রমের বিকল্প নেই। আপনার হাতে উন্নতমানের কোচ এবং টেকনিক্যাল অফিসিয়াল থাকলে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মত করে আগামী প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে পারবেন। এ জন্য পরিপূর্ণ কমপ্লেক্স নির্মাণের বিকল্প নেই।’
এস এম নেওয়াজ সোহাগ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ কাবাডি উন্নয়নের যুগান্তকারী পদক্ষেপে সহযাত্রী হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং এনএসসি কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করছি, এ কমপ্লেক্স বাংলাদেশকে বিশ্ব কাবাডির পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পথে সহায়ক হবে।’
বরাদ্দকৃত গোপালগঞ্জ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে ইনডোর জিমনেশিয়াম, সুইমিংপুল, হোস্টেল, দুটি খেলার মাঠ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুরো কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর শুরু করা হবে প্রস্তাবিত কাবাডি কমপ্লেক্স।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, দেশের ক্রীড়া অবকাঠামোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং নির্দিষ্ট খেলার প্রসারে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলোকে সহায়তা করাই এই লীজ চুক্তির মূল উদ্দেশ্য। গোপালগঞ্জ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সেকে কাজে লাগিয়ে কাবাডির মতো ঐতিহ্যবাহী খেলার উন্নয়নে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
এই চুক্তি গোপালগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ক্রীড়াঙ্গনে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে কাবাডির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন নতুন খেলোয়াড় উঠে আসার সুযোগ তৈরি হবে।
চার দেশের প্রতিযোগিরা উপস্থিত ঢাকায়। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মুয়েথাই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত আয়োজক যমুনা গ্রুপও। আজ বেলা তিনটায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হবে চার দেশের ক্রীড়াবিদদের এই প্রতিযোগিতা। যার পোষাকি নাম ‘ডাবলহর্স নকআউট ফাইট নাইট জিরো জিরোট ওয়ান’। প্রতিযোগীতায় স্বাগতিক বাংলাদেশের সর্বাধিক ২৭, ভারতের ৩ এবং থাইল্যান্ড ও কিরগিজিস্থানের দু’জন করে ৩৪ জন ক্রীড়াবিদ ১৭টি ফাইটে অংশ নিচ্ছেন। এই টুর্নামেন্টে নারীদের একটি ইভেন্ট থাকছে। অংশ নেওয়া দু’জনেই স্বাগতিক ফাইটার। প্রতিযোগিতায় পাঁচটি পেশাদার ও ১২টি অ্যামেচার লড়াই অনুষ্ঠিত হবে।
এমেচার ইভেন্টে ৩ মিনিট করে ৩টি বাউট হবে এবং প্রফেশনাল ইভেন্টে ৩ মিনিট করে পাঁচটি বাউটের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এক দিনের এই টুর্নামেন্টে ৯৫০টি সিটের টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। টিকিফাই অনলাইনে এই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার হোটেল হলিডে ইনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান যমুনা গ্রুপের অন্যতম পরিচালক ইয়াসিন ইসলাম নাজেল। এ সময় চার দেশের ক্রীড়াবিদ এবং ক্রীড়ানুরাগীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথমবারের মতো দেশে এমন টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে পেরে বেশ উ”চ্ছ্বসিত যমুনা গ্রুপের পরিচালক ইয়াসিন ইসলাম নাজেল, ‘দেশে প্রথমবার আমরা আন্তর্জাতিক মুয়েথাই টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে যাচ্ছি। এটা আমাদের জন্য বড় মাইলফলক।’ অনুষ্ঠানে কিরগিস্তান থেকে আগত ক্রীড়াবিদ ও কোচেরা ঐতিহ্যবাহী কিরঘিজ টুপি ও গাউন পরিয়ে দেন ইয়াসিন ইসলামকে। এটা ভ্রাতৃত্বের বন্ধন বলেই বিবেচনা করছেন তিনি, ‘আমাকে এই গাউন ও টুপি যেমন উপহার দিয়ে সম্মানিত করেছেণ কিরঘিজ ভাইয়েরা, আমাদের এখান থেকেও পুরস্কার স্বরুপ বেল্ট উপহার পাবেন তারা।
দুই দেশের দুই স্মারক বিনিময় হয়ে যাবে তাহলে।’ মুয়েথাইয়ের মতো একটি টুর্নামেন্টের বিষয়ে ইযাসিন ইসলাম বলেন, ‘আমি মুয়েথাইসহ অন্য মার্শাল আর্টও খেলে থাকি। সেই খেলা থেকেই আমার ভেতরে একটি দায়িত্ববোধ জাগে এমন একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের। তাই এমন আয়োজন।’ এই টুর্নামেন্টের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলেও জানান যমুনা গ্রুপের এই পরিচালক, ‘এটাতো মাত্র শুরু। এটা লিগের মতোই খেলা। আগামী ১০ বছর নিয়মিত এমন টুর্নামেন্ট আয়োজনের ভাবনা রয়েছে আমাদের।’ থাইল্যান্ডের অন্যতম একটি খেলা মুয়েথাই। এই টুর্নামেন্ট পরিচালনার জন্য থাইল্যান্ড থেকে চারজন বিচারক এসেছেন। তারা সঙ্গে করে পাঁচটি প্রফেশনাল বাউটের জন্য পাঁচটি সুদৃশ্য বেল্টও সঙ্গে করে এনেছেন।
বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় পল্টনস্থ শহীদ নূর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে “জাতীয় ভলিবল প্রতিযোগিতা ২০২৫ (৩০তম পুরুষ ও ২৫তম মহিলা)” এর মূল পর্বের খেলা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন ভলিবল ফেডারেশনের সভাপতি ফারুক হাসান। উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা।
প্রতিযোগিতা চলবে আগামি ৩০ জুন পর্যন্ত। উদ্বোধনী দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট তিনটি খেলা। পুরুষ বিভাগে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২৫-০৯, ২৫-১৭ ও ২৫-১৪ পয়েন্টে ৩-০ সেটে বগুড়া জেলা’কে পরাজিত করে। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ২৫-০৯, ২৫-১৬, ২৫-১৭ পয়েন্টে ৩-০ সেটে কুষ্টিয়া জেলার বিপক্ষে জয় তুলে নেয়। আর তৃতীয় খেলায় মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ওবাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি খেলা চলমান।
নারী বিভাগে প্রথম ম্যাচে সাতক্ষীরা জেলাকে সরাসরি সেটে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ পুলিশের মেয়েরা। জয় তুলে নেয় ২৫-১৭, ২৫-১৩ ও ২৫-১৯ ব্যবধানে। দ্বিতীয় খেলায় মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিডি এবং যশোর জেলা।
বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন ও জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহের ব্যবস্থাপনায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি এর পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স, রমনা ও ময়মনসিংহ ক্লাব, ময়মনসিংহে আগামী ২৭ জুন ২০২৫ হতে ০৪ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত ‘এমটিবি ময়মনসিংহ বিভাগীয় টেনিস প্রতিযোগিতা ২০২৫’ এর আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতা উপলক্ষে রমনাস্থ জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিটিএফ সহ-সভপতি ও বিটিএফ টুর্নামেন্ট উপ-কমিটির মেম্বার ইন-চার্জ জনাব আশরাফুজ্জামান খাঁন (পুটন), সহ-সভাপতি, বিটিএফ, সাধারণ সম্পাদক জনাব ইশতিয়াক আহমেদ (কারেন), মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি এর হেড অব ব্র্যান্ড জনাব মো: রোজার ইবনে আজাদ।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ কর হয় যে, প্রতিযোগিতায় নিম্নবর্ণিত ইভেন্টসমূহ অন্তর্ভূক্ত থাকবে :
(ক) সিনিয়র দ্বৈত : (১) সিনিয়র দ্বৈত ৩৫+, (২) সিনিয়র দ্বৈত ৪৫+ এবং (৩) সিনিয়র দ্বৈত ৫৫+ :এই ইভেন্টে বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগের খেলোয়াড়গণ অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রতিযোগিতার সকল খেলা ময়মনসিংহ ক্লাব, ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হবে।
(খ) উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় পুরুষ একক, পুরুষ দ্বৈত, মহিলা একক ও মহিলা দ্বৈত ইভেন্ট অন্তর্ভূক্ত থাকবে। উন্মুক্ত ইভেন্টে নিম্নবর্ণিত খেলোয়াড়গণ অংশগ্রহণ করবে। প্রতিযোগিতার উন্মুক্ত ইভেন্টে টাকা ২,৮১,০০০/- (দুই লক্ষ একাশি হাজার) মাত্র প্রাইজমানি প্রদান করা হবে।
(গ) এছাড়াও প্রতিযোগিতা উপলক্ষে ময়মনসিংহে জুনিয়র টেনিস ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রামের আওতায় জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ময়মনসিংহ ক্লাবে টেনিস প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
প্রতিযোগিতার মোট খেলোয়াড়ের সংখ্যা: ১৮৭ ও জুনিয়র টেনিস ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রামে অংশগ্রহকারী খেলোয়াড় ১৫০ জন সর্বমোট অংশগ্রহণকারী ৩৩৭ জন।
প্রতিযোগিতায় বিকেএসপি, পুলিশ ক্লাব, আমেরিকান ক্লাব, জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স, ধানমন্ডি স্পোর্টিং ক্লাব, সেনা বাহিনী অফিসার্স ক্লাব, নেভি ক্লাব, ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব, মাদারীপুর টেনিস ক্লাব, জার্মান ক্লাব, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা, মাসা টেনিস একাডেমী, নরডিক ক্লাব, প্রো টেনিস একাডেমী ঢাকা, গোপালগঞ্জ টেনিস ক্লাব, ঠাকুরগাও স্টেশন ক্লাব, খুলনা ক্লাব, ঝালকাঠি টেনিস ক্লাব, এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্স - রাজশাহী, জেলা টেনিস ক্লাব মাগুরা, অফিসার্স ক্লাব - ঢাকা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা হতে খেলোয়াড়গণ অংশগ্রহণ করবে।
প্রতিযোগিতাটি সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য টুর্নামেন্ট কমিটি, অফিসিয়েটিং কমিটি, টেনিস কোর্ট ও আবাসন উপ-কমিটিসহ সকল উপ-কমিটির সদস্যগণ সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। প্রতিযোগিতাটি সফলভাবে আয়োজনের জন্য ফেডারেশনের টুর্নামেন্ট কমিটির কনভেনর জনাব শফিকুল ইসলাম সরকার (সোহেল) কে টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর মনোনিত করা হয়েছে ।
প্রতিযোগিতার টুর্নামেন্টে রেফারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আইটিএফ হুয়াইট ব্যাজ রেফারী মাসফিয়া আফরিন । প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ঢাকার বহির হতে আগত উন্মু্ক্ত ইভেন্টের খেলোয়াড় ও প্রশিক্ষকগণের ফেডারেশনের অভ্যন্তরে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিযোগিতার আপডেট তথ্যাবলী টুর্নমেন্ট ডেস্ক সফটওয়ারে সংরক্ষণ করা হবে।
প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগামী ২৭ জুন ২০২৫ বিকাল ৪:০০ টায় জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স, রমনায় অনুষ্ঠিত হবে। জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মাননীয় উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রশিক্ষণ এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের ক্রীড়াবিদ গড়ে তোলার আশ্বাস দিয়েছেন।
বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে
“তৃণমূল পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি ২০২৪-২০২৫”- এর সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, “প্রতিভা অন্বেষণই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আমারা ভবিষ্যৎ ক্রীড়াবিদদের খুঁজে পাব; যারা পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে এবং বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।”
উপদেষ্টা এরপর কাজের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন।
“এই ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আরো কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় এবং সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কাজ করছে। দশটি ক্রীড়া ক্ষেত্রে যারা প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বাছাই হয়েছেন তাদেরকে স্ব স্ব ফেডারেশনের সাথে সমন্বয় করে আরো বেশি প্রশিক্ষণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে আগামীদিনের জন্য প্রস্তুত করা হবে। প্রতি ছয় মাস পর পর ফেডারেশনের মাধ্যমে বাছাইকৃত প্রশিক্ষণার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে । প্রশিক্ষণের প্রগ্রেসের উপর ভিত্তি করে তাদের ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার পাথ নির্ধারণ করা হবে।”
উপদেষ্টা আরও বলেন,
“আর্থিকভাবে অসচ্ছল ক্রীড়াবিদদের জাতীয় ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ক্রীড়া বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে যথাযথ অবকাঠাম গড়ে তোলার পাশাপাশি এমন একটি ক্রীড়াবান্ধব ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কাজ করা হচ্ছে যেখানে একজন খেলোয়াড় তৃণমূল পর্যায়ে থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সুযোগ পাবেন।“
উল্লেখ্য, তৃণমূল পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি ২০২৪-২০২৫ এ ১০টি ইভেন্টে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৫০০ জন খেলোয়াড় অংশ নেয়। প্রাথমিক বাছাই শেষে ১৬২ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যার মধ্যে ৮৯ জন বালক ও ৭৩ জন বালিকা।
No recent posts available.