৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬:১১ পিএম
উৎসবমুখর পরিবেশে শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ম্যারাথনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এই সময় চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বিপি, এসবিপি, ওএসপি, বিএএম, এনডিসি, পিএসসি, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ, এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন স্পন্সরবৃন্দ, গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ এবং ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি দৌড়বিদ উপস্থিত ছিলেন।
এই ম্যারাথনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯ হাজার ৭৬০ জন পুরুষ ও ৭৬৭ জন নারীসহ সর্বমোট ১০ হাজার ১২৭ জন দৌড়বিদ অংশগ্রহণ করেন।
ফুল ম্যারাথনে পুরুষ বিভাগে মো: আল-আমিন এবং মহিলা বিভাগে পাপিয়া খাতুন ১ম স্থান অধিকার করার গৌরব অর্জন করেন। হাফ ম্যারাথনে পুরুষ বিভাগে মো: আশিক আহমেদ এবং মহিলা বিভাগে রিঙ্কি বিশ্বাস ১ম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। এছাড়াও, ১০ কিলোমিটার (সাধারণ) পুরুষ বিভাগে এম সোয়ান এবং মহিলা বিভাগে প্রিয়া আক্তার ; ১০ কিলোমিটার (প্রথমবার) অংশগ্রহণকারী পুরুষ বিভাগে মো: তুহিন আল মামুন এবং মহিলা বিভাগে মোসাঃ সুমাইয়া আখতার এবং ১০ কিলোমিটার (ভেটেরান) পুরুষ বিভাগে জসিম উদ্দিন আহমেদ এবং মহিলা বিভাগে ইরি লি কৈকি ১ম স্থান অর্জন করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর বক্তব্যে বলেন, “এই ম্যারাথন শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি বিশ্বব্যাপী সংহতি ও সুস্বাস্থ্যের বার্তা বহন করছে।” ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন ২০২৫ বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে সামাজিক এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরিশেষে তিনি, ঢাকা আন্তর্জাতিক ম্যারাথন-২০২৫ এ অংশগ্রহণকারী সকল দেশি-বিদেশি অ্যাথলেটবৃন্দকে এবং এই আয়োজনকে সাফল্যমন্ডিত করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য যে, সকাল ৫টায় প্রধান অতিথি হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান, বিএসপি, এনডিসি, এইচডিএমসি, পিএসসি, পিএইচডি প্রধান অতিথি হিসেবে এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
ম্যারাথনটি ঢাকার ৩০০ ফিট সড়কের পাশে অবস্থিত নৌবাহিনীর ঘাঁটি হতে শুরু হয়ে ৩০০ ফিট রাস্তা দিয়ে কাঞ্চন ব্রীজ হয়ে একই রাস্তায় ফেরত এসে নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে শেষ হয়।
২৫ জুন ২০২৫, ৫:২৬ পিএম
২০ জুন ২০২৫, ৫:৩৫ পিএম
চার দেশের প্রতিযোগিরা উপস্থিত ঢাকায়। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মুয়েথাই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত আয়োজক যমুনা গ্রুপও। আজ বেলা তিনটায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হবে চার দেশের ক্রীড়াবিদদের এই প্রতিযোগিতা। যার পোষাকি নাম ‘ডাবলহর্স নকআউট ফাইট নাইট জিরো জিরোট ওয়ান’। প্রতিযোগীতায় স্বাগতিক বাংলাদেশের সর্বাধিক ২৭, ভারতের ৩ এবং থাইল্যান্ড ও কিরগিজিস্থানের দু’জন করে ৩৪ জন ক্রীড়াবিদ ১৭টি ফাইটে অংশ নিচ্ছেন। এই টুর্নামেন্টে নারীদের একটি ইভেন্ট থাকছে। অংশ নেওয়া দু’জনেই স্বাগতিক ফাইটার। প্রতিযোগিতায় পাঁচটি পেশাদার ও ১২টি অ্যামেচার লড়াই অনুষ্ঠিত হবে।
এমেচার ইভেন্টে ৩ মিনিট করে ৩টি বাউট হবে এবং প্রফেশনাল ইভেন্টে ৩ মিনিট করে পাঁচটি বাউটের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এক দিনের এই টুর্নামেন্টে ৯৫০টি সিটের টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। টিকিফাই অনলাইনে এই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার হোটেল হলিডে ইনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান যমুনা গ্রুপের অন্যতম পরিচালক ইয়াসিন ইসলাম নাজেল। এ সময় চার দেশের ক্রীড়াবিদ এবং ক্রীড়ানুরাগীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রথমবারের মতো দেশে এমন টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে পেরে বেশ উ”চ্ছ্বসিত যমুনা গ্রুপের পরিচালক ইয়াসিন ইসলাম নাজেল, ‘দেশে প্রথমবার আমরা আন্তর্জাতিক মুয়েথাই টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে যাচ্ছি। এটা আমাদের জন্য বড় মাইলফলক।’ অনুষ্ঠানে কিরগিস্তান থেকে আগত ক্রীড়াবিদ ও কোচেরা ঐতিহ্যবাহী কিরঘিজ টুপি ও গাউন পরিয়ে দেন ইয়াসিন ইসলামকে। এটা ভ্রাতৃত্বের বন্ধন বলেই বিবেচনা করছেন তিনি, ‘আমাকে এই গাউন ও টুপি যেমন উপহার দিয়ে সম্মানিত করেছেণ কিরঘিজ ভাইয়েরা, আমাদের এখান থেকেও পুরস্কার স্বরুপ বেল্ট উপহার পাবেন তারা।
দুই দেশের দুই স্মারক বিনিময় হয়ে যাবে তাহলে।’ মুয়েথাইয়ের মতো একটি টুর্নামেন্টের বিষয়ে ইযাসিন ইসলাম বলেন, ‘আমি মুয়েথাইসহ অন্য মার্শাল আর্টও খেলে থাকি। সেই খেলা থেকেই আমার ভেতরে একটি দায়িত্ববোধ জাগে এমন একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের। তাই এমন আয়োজন।’ এই টুর্নামেন্টের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলেও জানান যমুনা গ্রুপের এই পরিচালক, ‘এটাতো মাত্র শুরু। এটা লিগের মতোই খেলা। আগামী ১০ বছর নিয়মিত এমন টুর্নামেন্ট আয়োজনের ভাবনা রয়েছে আমাদের।’ থাইল্যান্ডের অন্যতম একটি খেলা মুয়েথাই। এই টুর্নামেন্ট পরিচালনার জন্য থাইল্যান্ড থেকে চারজন বিচারক এসেছেন। তারা সঙ্গে করে পাঁচটি প্রফেশনাল বাউটের জন্য পাঁচটি সুদৃশ্য বেল্টও সঙ্গে করে এনেছেন।
বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় পল্টনস্থ শহীদ নূর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে “জাতীয় ভলিবল প্রতিযোগিতা ২০২৫ (৩০তম পুরুষ ও ২৫তম মহিলা)” এর মূল পর্বের খেলা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা করেন ভলিবল ফেডারেশনের সভাপতি ফারুক হাসান। উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা।
প্রতিযোগিতা চলবে আগামি ৩০ জুন পর্যন্ত। উদ্বোধনী দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে মোট তিনটি খেলা। পুরুষ বিভাগে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২৫-০৯, ২৫-১৭ ও ২৫-১৪ পয়েন্টে ৩-০ সেটে বগুড়া জেলা’কে পরাজিত করে। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ২৫-০৯, ২৫-১৬, ২৫-১৭ পয়েন্টে ৩-০ সেটে কুষ্টিয়া জেলার বিপক্ষে জয় তুলে নেয়। আর তৃতীয় খেলায় মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ওবাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি খেলা চলমান।
নারী বিভাগে প্রথম ম্যাচে সাতক্ষীরা জেলাকে সরাসরি সেটে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ পুলিশের মেয়েরা। জয় তুলে নেয় ২৫-১৭, ২৫-১৩ ও ২৫-১৯ ব্যবধানে। দ্বিতীয় খেলায় মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিডি এবং যশোর জেলা।
বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন ও জেলা প্রশাসক ময়মনসিংহের ব্যবস্থাপনায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি এর পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স, রমনা ও ময়মনসিংহ ক্লাব, ময়মনসিংহে আগামী ২৭ জুন ২০২৫ হতে ০৪ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত ‘এমটিবি ময়মনসিংহ বিভাগীয় টেনিস প্রতিযোগিতা ২০২৫’ এর আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতা উপলক্ষে রমনাস্থ জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিটিএফ সহ-সভপতি ও বিটিএফ টুর্নামেন্ট উপ-কমিটির মেম্বার ইন-চার্জ জনাব আশরাফুজ্জামান খাঁন (পুটন), সহ-সভাপতি, বিটিএফ, সাধারণ সম্পাদক জনাব ইশতিয়াক আহমেদ (কারেন), মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি এর হেড অব ব্র্যান্ড জনাব মো: রোজার ইবনে আজাদ।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ কর হয় যে, প্রতিযোগিতায় নিম্নবর্ণিত ইভেন্টসমূহ অন্তর্ভূক্ত থাকবে :
(ক) সিনিয়র দ্বৈত : (১) সিনিয়র দ্বৈত ৩৫+, (২) সিনিয়র দ্বৈত ৪৫+ এবং (৩) সিনিয়র দ্বৈত ৫৫+ :এই ইভেন্টে বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগের খেলোয়াড়গণ অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রতিযোগিতার সকল খেলা ময়মনসিংহ ক্লাব, ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হবে।
(খ) উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় পুরুষ একক, পুরুষ দ্বৈত, মহিলা একক ও মহিলা দ্বৈত ইভেন্ট অন্তর্ভূক্ত থাকবে। উন্মুক্ত ইভেন্টে নিম্নবর্ণিত খেলোয়াড়গণ অংশগ্রহণ করবে। প্রতিযোগিতার উন্মুক্ত ইভেন্টে টাকা ২,৮১,০০০/- (দুই লক্ষ একাশি হাজার) মাত্র প্রাইজমানি প্রদান করা হবে।
(গ) এছাড়াও প্রতিযোগিতা উপলক্ষে ময়মনসিংহে জুনিয়র টেনিস ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রামের আওতায় জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ময়মনসিংহ ক্লাবে টেনিস প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
প্রতিযোগিতার মোট খেলোয়াড়ের সংখ্যা: ১৮৭ ও জুনিয়র টেনিস ইনিশিয়েটিভ প্রোগ্রামে অংশগ্রহকারী খেলোয়াড় ১৫০ জন সর্বমোট অংশগ্রহণকারী ৩৩৭ জন।
প্রতিযোগিতায় বিকেএসপি, পুলিশ ক্লাব, আমেরিকান ক্লাব, জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স, ধানমন্ডি স্পোর্টিং ক্লাব, সেনা বাহিনী অফিসার্স ক্লাব, নেভি ক্লাব, ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব, মাদারীপুর টেনিস ক্লাব, জার্মান ক্লাব, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা, মাসা টেনিস একাডেমী, নরডিক ক্লাব, প্রো টেনিস একাডেমী ঢাকা, গোপালগঞ্জ টেনিস ক্লাব, ঠাকুরগাও স্টেশন ক্লাব, খুলনা ক্লাব, ঝালকাঠি টেনিস ক্লাব, এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্স - রাজশাহী, জেলা টেনিস ক্লাব মাগুরা, অফিসার্স ক্লাব - ঢাকা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা হতে খেলোয়াড়গণ অংশগ্রহণ করবে।
প্রতিযোগিতাটি সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য টুর্নামেন্ট কমিটি, অফিসিয়েটিং কমিটি, টেনিস কোর্ট ও আবাসন উপ-কমিটিসহ সকল উপ-কমিটির সদস্যগণ সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। প্রতিযোগিতাটি সফলভাবে আয়োজনের জন্য ফেডারেশনের টুর্নামেন্ট কমিটির কনভেনর জনাব শফিকুল ইসলাম সরকার (সোহেল) কে টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর মনোনিত করা হয়েছে ।
প্রতিযোগিতার টুর্নামেন্টে রেফারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আইটিএফ হুয়াইট ব্যাজ রেফারী মাসফিয়া আফরিন । প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ঢাকার বহির হতে আগত উন্মু্ক্ত ইভেন্টের খেলোয়াড় ও প্রশিক্ষকগণের ফেডারেশনের অভ্যন্তরে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিযোগিতার আপডেট তথ্যাবলী টুর্নমেন্ট ডেস্ক সফটওয়ারে সংরক্ষণ করা হবে।
প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আগামী ২৭ জুন ২০২৫ বিকাল ৪:০০ টায় জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স, রমনায় অনুষ্ঠিত হবে। জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মাননীয় উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রশিক্ষণ এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের ক্রীড়াবিদ গড়ে তোলার আশ্বাস দিয়েছেন।
বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে
“তৃণমূল পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি ২০২৪-২০২৫”- এর সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, “প্রতিভা অন্বেষণই একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে আমারা ভবিষ্যৎ ক্রীড়াবিদদের খুঁজে পাব; যারা পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে এবং বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।”
উপদেষ্টা এরপর কাজের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন।
“এই ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আরো কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় এবং সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কাজ করছে। দশটি ক্রীড়া ক্ষেত্রে যারা প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বাছাই হয়েছেন তাদেরকে স্ব স্ব ফেডারেশনের সাথে সমন্বয় করে আরো বেশি প্রশিক্ষণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে আগামীদিনের জন্য প্রস্তুত করা হবে। প্রতি ছয় মাস পর পর ফেডারেশনের মাধ্যমে বাছাইকৃত প্রশিক্ষণার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে । প্রশিক্ষণের প্রগ্রেসের উপর ভিত্তি করে তাদের ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার পাথ নির্ধারণ করা হবে।”
উপদেষ্টা আরও বলেন,
“আর্থিকভাবে অসচ্ছল ক্রীড়াবিদদের জাতীয় ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ক্রীড়া বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে যথাযথ অবকাঠাম গড়ে তোলার পাশাপাশি এমন একটি ক্রীড়াবান্ধব ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কাজ করা হচ্ছে যেখানে একজন খেলোয়াড় তৃণমূল পর্যায়ে থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সুযোগ পাবেন।“
উল্লেখ্য, তৃণমূল পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি ২০২৪-২০২৫ এ ১০টি ইভেন্টে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৫০০ জন খেলোয়াড় অংশ নেয়। প্রাথমিক বাছাই শেষে ১৬২ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যার মধ্যে ৮৯ জন বালক ও ৭৩ জন বালিকা।
অবশেষে এশিয়া কাপের মঞ্চে সোনার পদক গলায় তুলতে পারলেন আবদুর রহমান আলিফ। বাংলাদেশের এই আর্চারের সুবাদে সিঙ্গাপুরে উড়ল লাল সবুজের পতাকা। বিদেশের মাটিতে বাজল, ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।’
সিঙ্গাপুরে চলমান এশিয়া কাপ আর্চারির রিকার্ভ পুরুষ এককের ফাইনালে আলিফ ৬-৪ সেট পয়েন্টে হারিয়েছেন জাপানের মিয়াতা গাকুতোকে।
অথচ প্রথম দুই সেটে দারুণভাবে এগিয়ে ছিলেন আলিফ। প্রথম সেটে যেখানে আলিফের স্কোর ছিল ২৮, সেখানে গাকুতোর স্কোর ছিল ২৭। পরের সেটে আলিফ ২৯ করেন, আর গাকুতো ২৮ পয়েন্ট স্কোর করেন।
আরও পড়ুন
নির্বিষ বোলিংয়ের পাশে ক্যাচ ড্রপ, লিডের পূর্বাভাস দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা |
![]() |
কিন্তু এরপরই ঘুরে দাঁড়ান জাপানি আর্চার। পরের দুই সেট আবারও জিতে খেলায় সমতা আনেন। তৃতীয় সেটে গাকুতো করেন ২৮। আলিফ করেন ২৭। চতুর্থ সেটেও এগিয়ে যান গাকুতো। তিনি মারেন ২৭। আলিফ ২৬ স্কোর করে পিছিয়ে পড়েন।
এরপর পঞ্চম সেটে গড়ায় খেলা। রুদ্ধশ্বাস শেষ শটে আলিফ মারেন ২৯। আর গাকুতো ২৬ করেন। উল্লাসে আলিফ মেতে ওঠেন সিঙ্গাপুরের মাঠে। জড়িয়ে ধরেন কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখকে।
বিকেএসপি থেকে উঠে আসা আর্চার আলিফ এর আগে গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর এশিয়ান যুব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে রিকার্ভ এককের ফাইনালে হেরেছিলেন চীনা তাইপের আর্চারের কাছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এর আগে অনেকবারই খেলেছেন আলিফ। বিশ্বকাপ, এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়ান আর্চারি গ্রাঁ প্রিঁর মতো আসরে অংশ নিলেও কখনও কোনও পদক জিততে পারেননি একক ইভেন্টে। এবার অবশ্য রুপার পদকটা নিশ্চিত করেছিলেন ফাইনালে উঠেই। অপেক্ষায় ছিলেন রং বদলে সেটা সোনায় পরিণত করা। আর সত্যিই সেটা পেরেছেন আলিফ।
এবার আর স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়তে হয়নি আলিফকে।
আরও পড়ুন
নাঈমের ফাইফারের পর বাংলাদেশের স্বস্তির দিন |
![]() |
এক সময় বাংলাদেশের আর্চারির পুরুষ বিভাগের রিকার্ভ এককে রাজত্ব ছিল রোমান সানার। এরপর রোমানের পারফরম্যান্সের অবনতি ঘটলে আশা জাগিয়েছিলেন হাকিম আহমেদ রুবেল। কিন্তু আর্চারি ছেড়ে উন্নত জীবনের আশায় দুজনই পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
এরপর এই ইভেন্টের হাল ধরেছেন বিকেএসপির দুই যুবক সাগর ইসলাম ও আলিফ। প্যারিস অলিম্পিকে নিজের যোগ্যতায় সুযোগ পাওয়া সাগর অবশ্য সিঙ্গাপুরে নামের পাশে সুবিচার করতে পারেননি। তিনি হেরে যান প্রথম রাউন্ডেই। তবে সাগর ব্যর্থ হলেও মান বাঁচিয়েছেন পাবনার বেড়া থেকে উঠে আসা আর্চার আলিফ।
No recent posts available.