২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮:২১ পিএম

শক্তি-সামর্থ্যে কাবাডিতে বাংলাদেশের চেয়ে সবসময়ই পিছিয়ে নেপাল। ফলে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে লাল-সবুজ দলের জয়টাই অনিবার্য ফলাফল। প্রথম ম্যাচে হয়েছেও তাই। সিরিজের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ২৪ পয়েন্টের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
পল্টন ময়দানে বিকাল সাড়ে তিনটায় সিরিজের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম।
শনিবারের ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দল ৫৩-২৯ পয়েন্টে জয় তুলে নিয়েছে। সাথে লিড নিয়েছে ১-০ ব্যবধানে। প্রথমার্ধ থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দেওয়া বাংলাদেশ নেপালকে চাপে রেখে ২৮-১১ পয়েন্টে এগিয়ে বিরতিতে যায়। দ্বিতীয়ার্ধেও প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ না দিয়ে, বড় জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এই সিরিজের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৫১ বছর পর বাংলাদেশে হচ্ছে কাবাডির টেস্ট সিরিজ। এর আগে সবশেষ ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের প্রথমবারের মত কাবাডি টেস্ট সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর এই প্রতিযোগিতা এবার ফিরল আবার।
প্রথম ম্যাচের মত সিরিজেও বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, ইতিহাস বা পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে নেপালের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত দুই দলের সাক্ষাতে নেপাল জয় পায়নি কখনই।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামী রোববার বিকেল সাড়ে তিনটায় পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।
No posts available.
৯ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫০ এম
৮ নভেম্বর ২০২৫, ৭:১৫ পিএম
৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪:৪১ পিএম
৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪:০২ পিএম

ইসলামিক সলিডারিটি গেমসের দ্বিতীয় দিন ছিল শনিবার। আর এদিন বাংলাদেশকে পদক এনে দেন মারজিয়া আক্তার ইকরা। মেয়েদের ভারোত্তোলনে ৫৩ কেজি ওজনশ্রেণিতে ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি।
সৌদি আরবের রিয়াদে বুলেভার্দ এসইএফ অ্যারেনায় স্ন্যাচে ৭২ ও ক্লিন জার্কসে ৯১সহ মোট ১৬৩ কেজি ভার তুলেছেন মারজিয়া। প্রতিবার ভার তোলার সময় তাঁকে 'আল্লাহু আকবার' বলতে শোনা গেছে।
একই ইভেন্টে ১৮৮ কেজি ভার তুলে সোনা জেতেন তুরস্কের কানসেল ওজকান। রুপা পাওয়া ইন্দোনেশিয়ার বাসেলিয়া বামেরোপের ১৭৪ কেজি। মারজিয়া খুব একটা দূরে রাখেননি নিজেকে।
ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে এবারই প্রথম পদক এলো ভারোত্তোলন থেকে। এর আগে মেয়েদের ৪৮ কেজি ওজনশ্রেণিতে ১৩৯ কেজি ভার তুলে পঞ্চম হয়েছে মোসাম্মৎ বৃষ্টি। ছেলেদের ৬০ কেজি ওজনশ্রেণিতে ২২১ কেজি ভার নিয়ে ষষ্ঠ হয়েছেন আশিকুর রহমান তাজ।

ইতিহাস গড়ে ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল। এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি বসলেন ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার শীর্ষ আসনে। প্রতিদ্বন্দ্বী থমাস হানকে ২৯-৯ ভোটে হারিয়ে ‘ভূমিধস’ জয়ই পেলেন তিনি।
বিদায়ী কমিটির সহসভাপতি কাজী রাজীব হাত ধরে দুই যুগ আগে বাংলাদেশে আর্চারি খেলার যাত্রা শুরু করে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের আর্চারি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জায়গা করে নেয়।
তাঁর উদ্যোগেই এবার তৃতীয়বারের মতো ঢাকায় বসেছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। আজ জাতীয় স্টেডিয়ামে উদ্বোধন হয়েছে ২৪তম আসরের।
ভোটে বড় জয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল বলছেন চপল, ‘আমি যদি বলতে চাই, আসলে কনফিডেন্স তো অবশ্যই ছিলো। এবং ওভার কনফিডেন্স বলা যাবেনা। কারন গতকাল রাতে আমরা চারটি সার্ভে রিপোর্ট পেয়েছি যে আ্মি কত ভোট পেতে পারি। চারটি গ্রুপই আমাকে রেজাল্ট দিলো ২৯। তো ৫ম রিপোর্টেও ফাইনালে গিয়ে পেলাম ২৯।’
আর্চারি এশিয়ার শীর্ষ আসনে বসে এবার বাংলাদেশকেও আরও ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে চান চপল, ‘আমার একটা স্বপ্ন ছিলো, একটা দেশকে হারাবো। প্রথম দেশ যেটি ছিলো সেটিকে আমরা হারিয়েছি। এবং আরো বড় বড় দেশকে হারিয়েছি। এখন আরেকটা দেশকে হারানো দরকার, ওয়ার্ল্ডের নাম্বার ওয়ান, আমি নাম উচ্চারণ করব না, আপনেরা বুঝে নেন। ওদের হারাতে পারলে এটা বড় একটা অর্জন হবে ইনশাল্লাহ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সহসায় এক নম্বরে পৌছায়ে যাবে।’
পুরো এশিয়ার আর্চারিকে বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় চপলের, ‘আমি বাংলাদেশকে এমন একটি স্তরে নিয়ে যাবো এবং এশিয়ার মান যেন হয় বিশ্বমানের। এশিয়ার যে শুধু একটি দেশ প্রাধান্য বিস্তার করবে সেটা নয়, আমরা চাই, শুধু আমি এটা বলবনা, আমরা যারা কমিটিতে আছি, আমরা চাই প্রতিটা দেশ যেন ওই উন্নতির শিখরে উঠতে পারে।’


ডব্লিউডব্লিউই স্ম্যাকডাউনে অপরাধমূলক আচরণের জের ধরে স্কটিশ রেসলার ড্রু ম্যাকইনটায়ারকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করেছে ডব্লিউডব্লিউই। গত শনিবার শিরোপা লড়াইয়ে হারের পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন ম্যাকইনটায়ার, আর সেই হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটে স্ম্যাকডাউনের লাইভ শোতে—যা ডব্লিউডব্লিউই কর্তৃপক্ষ অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছে।
গতকাল স্ম্যাকডাউনের শোয়ে শুরুতেই উপস্থিত হন আনডিসপিউটেড ডব্লিউডব্লিউই চ্যাম্পিয়ন কোডি রোডস। তিনি জানান, শনিবারের ইভেন্টে ম্যাকইনটায়ারকে হারিয়ে তিনি এখন নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী খুঁজছেন। দর্শকদের মধ্যেই বসে শোয়ের পারফরম্যান্স দেখে তিনি নিজের পরবর্তী চ্যালেঞ্জার ঠিক করতে চান—এমনটাই বলছিলেন রোডস।
এই সময় হাজির হন আলিস্টার ব্ল্যাক ও জেলিনা। ব্ল্যাক–জেলিনার আচরণে সেগমেন্ট উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জেলিনা রোডসকে থাপ্পড় মারলে ডব্লিউডব্লিউই জেনারেল ম্যানেজার নিক অ্যালডিস বাধ্য হন রোডস ও ব্ল্যাকের মধ্যে নন–টাইটেল ম্যাচ ঘোষণা করতে।
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আচমকা রিংয়ে ঢুকে পড়েন ড্রু ম্যাকইনটায়ার। রোডসকে লক্ষ্য করে তিনি একের পর এক আক্রমণ শুরু করেন। আগের ম্যাচের হার থেকে জমে থাকা ক্ষোভ মেটাতে ম্যাকইনটায়ার ব্ল্যাকের সঙ্গে মিলে রোডসকে নির্মমভাবে আঘাত করেন।
তবে এরপর রোডসের পাশে দাঁড়ান ‘আর্চার অফ ইনফ্যামি’ ডেমিয়েন প্রিস্ট। তিনি ম্যাকইনটায়ার ও ব্ল্যাককে পরাস্ত করে রোডসকে রক্ষা করেন, যা দেখে দর্শকেরা উল্লাসে ফেটে পড়েন।
ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জিএম নিক অ্যালডিস রিংয়ে এসে ম্যাকইনটায়ারকে উদ্দেশ করে বলেন,
‘আমি তোমাকে সুযোগ দিই আর তুমি তার অপব্যবহার করো। আর নয়। এই মুহূর্ত থেকেই তুমি সাসপেন্ড!’
এই ঘোষণার মাধ্যমে ডব্লিউডব্লিউই আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাকইনটায়ারকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এক সপ্তাহ আগেই ডব্লিউডব্লিউইর সবচেয়ে বড় শিরোপার জন্য লড়ছিলেন ড্রু ম্যাকইনটায়ার। অথচ অনিয়ন্ত্রিত আচরণের কারণে এখন তিনি নিষিদ্ধ। পরিস্থিতি পুরোপুরি পাল্টে গেছে খুব অল্প সময়ে। ডব্লিউডব্লিউই এখনো জানায়নি, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কতদিন হবে। ২০২০ সালে ব্রক লেসনারকে হারিয়ে ডব্লিউডব্লিউই রয়্যার রাম্বল চ্যাম্পিয়ন হন ম্যাকইনটায়ার।

অপেক্ষার প্রহর শেষ। আগামীকাল পর্দা উঠছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের। গত কিছু দিন ধরে টঙ্গী, আউটার স্টেডিয়াম ও জাতীয় স্টেডিয়ামের আঙিনা মুখরিত ছিল এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা আর্চারদের অনুশীলনে। কাল থেকে শুরু হবে তীর-ধনুকের আসল লড়াই।
প্রতিযোগিতায় রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড মিলিয়ে ইভেন্ট ১০টি। পদকের লড়াইয়ে ৩০টি দেশের মোট ২০৯ জন আর্চার অংশ নিচ্ছেন। রিকার্ভে ৫৪ জন, কম্পাউন্ডে ৩৮ জন মিলিয়ে মোট ৯২ জন নারী আর্চার অংশ নিচ্ছেন এবার।
এছাড়া ৮০ জন কোচ, অফিসিয়াল ও ১৭ জন অতিথিও অংশ হচ্ছেন এশিয়ান আর্চারির এবারের আয়োজনে। প্রতিযোগিতা কাল শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ নভেম্বর। তবে ৮-১২ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে এবং পরের দুই দিন আর্মি স্টেডিয়ামে গড়াবে এই প্রতিযোগিতা।
আয়োজক মোটেও সহজ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। ভারত ও চীন ছিল আয়োজক সত্ত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী। ভারত ‘ছাড়’ দিলে চীন ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ভোটাভুটিতে ১৪-১০ ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশ। তাতে নিশ্চিত হয় ২০১৭ ও ২০২১ সালের পর তৃতীয়বারের মতো এই আসরের আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের নাম।
এরপর শুরু হয় বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের নতুন চ্যালেঞ্জ। বিভিন্ন দেশের আর্চারদের, কর্মকর্তাদের ঢাকায় আনা, হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা, প্রস্তুতির ভেন্যু নির্ধারণ, আর্চারদের যাতায়াত ব্যবস্থা করাসহ নানা চ্যালেঞ্জ দাঁড়ায় ফেডারেশনের সামনে।
চ্যালেঞ্জ ছিল আরও। ফিলিস্তিন, সিরিয়া, ইয়েমেনের মতো দেশগুলোর আর্চারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হয়। ফিলিস্তিন থেকে অংশ নিচ্ছেন চার (৪) জন আর্চার।
বাংলাদেশের আর্চারিপ্রেমীদের চোখ অবশ্য থাকবে নিজেদের তারকা আব্দুর রহমান আলিফ, সাগর ইসলাম, বন্যা আক্তারদের দিকে। ২০২১ সালের আসরে একটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তিনটি পদকই ছিল দলগত ইভেন্ট থেকে পাওয়া। রিকার্ভ মিশ্র থেকে এসেছিল রুপার পদক। ২০২৩ সালের সর্বশেষ থাইল্যান্ডের আসরে অবশ্য খালি হাতে ফিরতে হয় দলকে। এবার সে হতাশার বলয় থেকে বাংলাদেশকে বের করে আনতে চান আর্চাররা।
উদ্বোধনী দিনে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে হবে আর্চারির কংগ্রেস ও নির্বাচনও। পরবর্তী চার বছরের জন্য এশিয়ান আর্চারির সভাপতি নির্বাচিত করবেন ৩৮ জন ভোটার। কংগ্রেস বেলা ৩টায় শুরু হয়ে শেষ হবে সন্ধ্যা ৬ টায়। ভোট গ্রহণ শুরু হবে ৩ টা ১৫ মিনিট থেকে, চলবে ৪ টা পর্যন্ত। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভোট হবে।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সদস্য কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল ও বর্তমান সভাপতি চুং ইউসান (Chung Euisun)। চং ইউসান ২০০৫ সাল থেকে এ নিয়ে টানা পাঁচ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার এই ধনকুবের হুন্দাই মোটর গ্রুপের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ও সিইও।