১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ৭:২০ পিএম
বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন আয়োজিত ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানে দেশব্যাপী পরিচালিত তারুণ্যের উৎসবের প্রথম পর্ব নীলফামারীতে নানা আয়োজনে সমাপ্ত হয়েছে। বুধবার জেলা প্রশাসক চত্ত্বর থেকে বের হওয়া বর্ণাঢ্য র্যালির মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী উৎসবের যাত্রা শুরু হয়। র্যালিটি চৌরঙ্গী মোড় ও বাটার মোড় হয়ে বড় মাঠে এসে আয়োজন শেষ হয়।
পরবর্তীতে পিঠা উৎসব, লোক সংগীত ও লোক নৃত্যের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দিয়ে উৎসবের রঙিনতা আরও বাড়িয়ে দেয়। নীলফামারীর বড় মাঠে পিঠা উৎসব ও আর্চারি প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশর আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন, জেলা জজ কোর্টের সরকারি কৌশলি আবু মোহাম্মদ সোয়েম। সভাপতিত্ব করেন নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আরচ্যারী ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো: ফারুক ঢালী, ছাত্র প্রতিনিধি শ্রেষ্ঠ সরকার, নীলফামারী জেলা সমন্বয়ক কমিটির আহবায়ক সৈয়দ মেহেদী হাসান আশিক ও জেলা ক্রীড়া অফিসার আবুল হাশেম।
নীলফামারীতে আর্চারির ভালো সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান বক্তারা। বিউটি রায়, দিয়া সিদ্দিকী, পুষ্পিতা জামানের মতো আর্চারিতে উঠে এসেছেন নীলফামারী থেকে।
নীলফামারীতে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ আর্চারি একাডেমি করার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করার কথা বলেছেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। ভারত, শ্রীলঙ্কাও বাংলাদেশে আর্চারি অ্যাকাডেমি করার ব্যাপারে তাদের সম্মতি দিয়েছে বলে জানান আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া আগামী মে মাসে জাতীয় যুব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ নীলফামারীতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বেশ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নীলফামারী সদর সহ ছয়টি উপজেলার আর্চারি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ১২ জন ছেলে ও ১২ জন মেয়ে তীর ধনুকের লড়াইয়ে অংশ নেয়। ছেলেদের বিভাগে সোনা জিতেছেন নীলফামারী সদর উপজেলার মোঃ কাশেম আলী। আর মেয়েদের বিভাগে একই উপজেলার শিগরীতা রানী সোনা জয় করেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন দেশের ৭টি ভেন্যুতে এই উৎসবের আয়োজন করেছে। নীলফামারীর পর পরবর্তী আয়োজনগুলো হবে ১৮ জানুয়ারি ফরিদপুরে।
২৩ জানুয়ারি রাজশাহীতে, ২৬ জানুয়ারি নড়াইলে, ২৭ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গায়, ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এবং চূড়ান্ত পর্ব ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে।
No posts available.
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০১ পিএম
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:২৫ পিএম
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:৫৫ পিএম
২৮ আগস্ট ২০২৫, ৪:৩৫ পিএম
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিতে বসুন্ধরা গ্রুপ চালু করেছে ‘ইয়োগা বসুন্ধরা’ নামে প্রতিদিনের বিনামূল্যে ইয়োগা সেশন। আজ শুক্রবার বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি ও গোল্ড’স জিম বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম নগরজীবনের চাপ ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বিপর্যস্ত মানুষের জন্য নিয়ে এসেছে নতুন আশার বার্তা।
একটি সুস্থ-সচেতন কমিউনিটি গড়ে তোলার স্বপ্ন থেকে মহতী এই উদ্যোগটি এসেছে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এর কাছ, যিনি সবসময়ই সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার লক্ষ্যে কাজ করে আসছেন।
ইয়োগা সেশনগুলো পরিচালনা করছেন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু। প্রতিদিন সকাল ৬টা ৩০ মিনিট থেকে ৭টা ৩০ মিনিট এবং সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট থেকে ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই সেশনগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি, ব্লক-এন-এ অবস্থিত গোল্ড’স জিম বাংলাদেশে। অংশ নিতে পারছেন শুধুমাত্র বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা, যা একেবারেই বিনামূল্যে।
উদ্বোধনী দিনে শতাধিক বাসিন্দা সশরীরে উপস্থিত থেকে ইয়োগা সেশনে অংশগ্রহণ করেন। তাদের জন্য ছিল উষ্ণ অভ্যর্থনা, বিনামূল্যে ইয়োগা টি-শার্ট এবং স্বাস্থ্যকর হালকা নাস্তার আয়োজন। পুরো আয়োজনটি যেন পরিণত হয় এক প্রাণবন্ত কমিউনিটি উৎসবে, যা এলাকাবাসীর আন্তরিক অংশগ্রহণ এবং মিলনমেলার মধ্য দিয়ে নতুন মাত্রা পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইয়োগা শুধু মানসিক চাপ কমানোই নয়, বরং দেহের ভঙ্গি উন্নয়ন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ভারসাম্য রক্ষা এবং সামগ্রিকভাবে মন ও শরীরকে শক্তিশালী রাখার একটি কার্যকর পদ্ধতি। বসুন্ধরা গ্রুপ মনে করে, একটি সুস্থ সমাজ গঠনে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।
ইয়োগা বসুন্ধরার এক কর্মকর্তা বলেন-
“এটি কেবল একটি ব্যায়াম কার্যক্রম নয়, বরং একটি শক্তিশালী, সচেতন ও আন্তঃসংযুক্ত কমিউনিটি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা। আমরা আশা করি, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বসুন্ধরার বাসিন্দারা নিয়মিতভাবে নিজেদের যত্ন নেবেন এবং একসাথে একটি স্বাস্থ্যবান ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবেন। পাশাপাশি ‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে’- এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে বসুন্ধরা গ্রুপ একটি সুস্থ, সচেতন এবং সংযুক্ত কমিউনিটি গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।’’
কম্পাউন্ডে মেয়েদের দলগত ইভেন্টে আগেই হতাশ করে বাংলাদেশ। এবার কম্পাউন্ডের ব্যক্তিগত খেলায় পদক জিততে পারেনি লাল সবুজের মেয়েরা। হেরেছেন বন্যা আক্তার, কুলসুম আক্তার মনি ও পুস্পিতা জামান। তবে দুই রাউন্ড জেতার পর তৃতীয় রাউন্ডে হার মেনে কিছুটা হলেও মান বাঁচিয়েছেন বন্যা।
দক্ষিণ কোরিয়ায় চলমান বিশ্ব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে সোমবার প্রথম রাউন্ড ১/৪৮ পর্যায়ে ১৪৪-১৪৩ ব্যবধানে বন্যা হারিয়ে দেন স্পেনের অলিভেয়ার্স আলেক্সাকে।
পরের রাউন্ডে ১/২৪ পর্যায়ে বন্যার সঙ্গে হাড্ডাহাডি লড়াই হয় ইন্দোনেশিয়ার আর্চার রাতি ফাধলির সঙ্গে। দুজনের পয়েন্ট হয় ১৪৫-১৪৫। এরপর শ্যূটঅফে এগিয়ে যান বাংলাদেশি আর্চার।
তবে ১/১৬ পর্যায়ে চাইনিজ তাইপের আইজু হুয়াংয়ের কাছে ১৪৫-১৪৮ পয়েন্টে হেরে যান বন্যা। তাতে বিশ্ব আর্চারি থেকে পদক না নিয়েই দেশে ফিরতে হচ্ছে তাকে। তবে ১/১৬ পর্যায়ে খেলে সন্তুষ্ট বন্যা আক্তার।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন তিনি।
“অভিজ্ঞতা বলতে ১/১৬ পর্যায়ে খেলেছি, এটা বাংলাদেশি কোনো আর্চারের জন্য অবশ্যই ভালো। তবে আরও ভালো হতে পারতো। এখন সামনে তাকাতে চাই। সামনে ঢাকায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ আছে, ওখানে ভালো করতে এই প্রতিযোগিতার অভিজ্ঞতা কাজে দেবে।”
কম্পাউন্ডের ব্যক্তিগত ইভেন্টে আমনা আলাওদির বিপক্ষে মুখোমুখি হন বাংলাদেশের আরেক আর্চার পুস্পিতা জামান। কিন্তু ১৩৯-১৪১ ব্যবধানে হেরে প্রথম রাউন্ডেই হতাশ করেন তিনি।
তবে প্রথম রাউন্ডে আশার আলো দেখান বাংলাদেশের আর্চার কুলসুম আক্তার মনি। এল সালভাদরের ক্যামিলা আলভারেঙ্গাকে হারিয়ে দেন ১৪৯-১৪৩ পয়েন্টের বড় ব্যবধানে।
কম্পাউন্ডে মেয়েদের দলীয় ইভেন্টে এল সালভাদরের কাছেই আগের দিন হেরেছিল বাংলাদেশ। মনি অবশ্য জয়ের ধারা পরবর্তী রাউন্ডে অব্যহত রাখতে পারেননি। ১৪৬-১৪৭ পয়েন্টে হেরেছেন ব্রাজিলিয়ান আর্চার বিয়ানকা রদ্রিগেজের কাছে।
আগের দিন কম্পাউন্ড পুরুষ ব্যক্তিগত ইভেন্টে অংশ নেন বাংলাদেশের হিমু বাছার। কাজাখস্তানের তায়ুতউন অ্যান্দ্রের কাছে ১৪৬-১৪৫ পয়েন্টে পরাজিত হন তিনি।
সোমবার অবশ্য বাংলাদেশের পুরুষ আর্চারদের কোনো ইভেন্ট ছিল না। প্রাকটিস সেশন করছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার তারা নামবেন র্যাঙ্কিং রাউন্ডে।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনের জেলা বাজাউরের একটি মাঠে স্থানীয় পর্যায়ের ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া হতাহত হয়েছেন আরও অনেকে।
দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশটিতে শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাকিস্তানি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে জানা গেছে এই খবর।
বাজাউর জেলার পুলিশ অফিসার ওয়াকাস রফিক, এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খার তেহসিলের কাউসার ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এই বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। তার মতে, উন্নত প্রযুক্তির বিস্ফোরক যন্ত্র দিয়ে এটি করা হয়েছে।
ওয়াকাস রফিকের মতে, ক্রিকেট মাঠের এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই ঘটানো হয়েছে। এই বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলেই একজন প্রাণ হারান। আহত হন কয়েকজন, যাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের পর ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় চার পাশ। তখন নিজেদের নিরাপদ জায়গায় নিতে এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করতে থাকেন মাঠে উপস্থিত মানুষরা।
এর আগে গত সপ্তাহের শনিবার একটি কোয়াডকপ্টারের মাধ্যমে তেহসিলের একটি থানাতেও হামলা করা হয়েছিল। তাতে একজন পুলিশ সদস্যসহ দুজন আহত হন। এছাড়া প্রাঙ্গণে থাকা একটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বাজাউর জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইসরার খান বলেছেন, বিস্ফোরণে আহতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে জেলা হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এটিকে সম্ভাব্য জঙ্গী হামলা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, কোয়াডকপ্টার দিয়ে থানায় আরও একটি হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল। যেটি লক্ষ্যে আঘাত করেনি।
এখন পর্যন্ত কোনো জঙ্গী গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা এটি জঙ্গী হামলা হিসেবে উল্লেখ করছেন। তাদের মতে, কয়েক সপ্তাহ আগে জঙ্গী বিরোধী 'অপারেশন সারবাকাফ' এর জবাব হিসেবে করা হয়েছে এই হামলা।
খেলাধুলার ইতিহাসে বীরোচিত ঘটনার নজির আছে অনেক। অনেকের মতে খেলাধূলা নিছক কোনো প্রতিযোগিতা নয়, বিনোদনের এই বিভাগকে কেউ কেউ যুদ্ধের সঙ্গেও তুলনা করেন, যেখানে প্রতিটি খেলোয়াড় হয়ে ওঠে একেকজন যোদ্ধা।
কখনও দলের স্বার্থে নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া, কখনও আবার জীবন-মৃত্যুর সীমানায় দাঁড়িয়ে দেশের জন্য লড়াই করে যাওয়ার উদাহারণ সৃষ্টি করে অনেকেই অমর হয়ে আছেন।
ফুটবলের জন্য জনপ্রিয় ব্রাজিলে খেলতে খেলতে জীবন দেওয়ার মতোই ঘটনার জন্ম দিয়েছেন এক ফুটসাল গোলরক্ষক। ব্রাজিলের প্যারা প্রদেশে এক অপেশাদার ফুটসাল টুর্নামেন্টে ঘটেছে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা।
ব্রাজিলের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে গত সোমবার রাতে আয়োজিত এক ফুটসাল ম্যাচে পেনাল্টি ঠেকিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গোলরক্ষক এডসন।
আরও পড়ুন
১১ বছর পর কোয়াবের নতুন সভাপতি |
![]() |
পেনাল্টি শট ঠেকানোর সময় বলটি তার বুকে তীব্রভাবে আঘাত করে। পেনাল্টি সেভ করার পর এডসন কয়েক কদম হেঁটে তার সতীর্থদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই মাঠের মাঝেই মুখ থুবড়ে পড়ে যান ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।
ঘটনাস্থলে থাকা মেডিক্যাল টিম তাৎক্ষণিকভাবে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে এবং দ্রুতই সাও মিগেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি।
এডসনের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় টুর্নামেন্টের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং স্থানীয় জনগণের মাঝেও চরম উদ্বেগ ও শোকের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ওই বিবৃতির অপেক্ষা করছে সবাই।
ফাতেমা মুজিব- তাকে বলা হয় বাংলাদেশের ফেন্সিংয়ের পোস্টার গার্ল। বাংলাদেশে ফেন্সিং খেলা যার মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছিল, চোটের কারণে সেই ফাতেমা মুজিবকে ছাড়াই এবার শুরু হচ্ছে জুলাই রেভুলেশন ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ।
আগামী শুক্র ও শনিবার রাজধানীর শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে হবে এই প্রতিযোগিতা।
সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ফেন্সিংয়ে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম স্বর্ণপদক জেতা ফাতেমা মুজিব এবার চোটের কারণে খেলতে পারছেন না। হাঁটুর চোটের কারণে অন্তত চার মাস তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
২০১৯ সালে কাঠমান্ডুতে হওয়া এসএ গেমসে প্রথমবার অংশ নিয়েই সোনা জিতে আলোচনায় আসেন ফাতেমা। ২০২৬ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এসএ গেমস সামনে রেখে জাতীয় ক্যাম্প শুরু হলেও সেখানে নেই এই ফেন্সার।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কা দলে নতুন মুখ ভিশেন হালামবাগে |
![]() |
প্রস্তুতি নিতে গিয়েই হাঁটুতে গুরুতর আঘাত পান তিনি।
জুলাই রেভুলেশন ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, আনসার ও ভিডিপি, বিজিবি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্লাব সমূহ।
প্রতিযোগিতার কোনো দলগত ইভেন্ট থাকছে না। ইপি, সেবার, ফয়েল-এই তিনটি ব্যক্তিগত ইভেন্টে নারী ও পুরুষ মিলিয়ে অংশ নেবে প্রায় ১৭৫ জন ফেন্সার।