বড় বড় সব ইভেন্ট মিলিয়ে ২০২৪ সালটা সমর্থকদের জন্য ছিল স্মরণীয় একটি বছর। ক্রিকেট কিংবা ফুটবল সবখানেই ছিল বড় বড় টুর্নামেন্ট। ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর ফুটবলে চারটি মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট সমর্থকদের যুগিয়েছে বিনোদনের খোরাক। সেদিক থেকে ২০২৫ সালটা ফুটবল সমর্থকদের জন্য কিছুটা হতাশ জাগানিয়াই। কারণ, এই নতুন বছরে নেই কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। ক্রিকেট অবশ্য সমর্থকদের সুযোগ মিলছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দিকে নজর রাখার।
ফুটবলে যা যা থাকছে :
আগামী বছর আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেই বড় আসর। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দলগুলোকে পার করতে হবে ব্যস্ত সময়। মার্চ, জুন, অক্টোবর, নভেম্বরে চলবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রস্তুতি। এছাড়াও সুযোগ মিলবে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ কিংবা মহাদেশীয় টুর্নামেন্টগুলোর বাছাই পর্বের জমজমাট লড়াই দেখারও।
বাংলাদেশ ফুটবল দল সেই হিসেবে পাবে বেশ কিছু ম্যাচ। যেখানে দেখা মিলবে হামজা চৌধুরীকে। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে যেখানে শুরুটা হবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। মার্চে ভারতের মাটিতে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচ খেলবে হাভিয়ের কাবরেরার দল। দুই মাসের বিরতি দিয়ে জুনে বাংলাদেশে আসবে সিঙ্গাপুর। এরপরের ব্রেকটা তিন মাসের। অক্টোবরে আবারও ঘরের মাঠে খেলবে বাংলাদেশ আর প্রতিপক্ষ হংকং।
একই মাসে বাংলাদেশ আবারও মাঠে নামবে হংকংয়ের বিপক্ষে সেকেন্ড লেগে। সেটা অবশ্য জামাল-তপুদের জন্য হবে অ্যাওয়ে ম্যাচ। আর নভেম্বরে বাংলাদেশ খেলবে বছরের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে লড়বে লাল-সবুজ বাহিনী।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ছেলেদের বড় ইভেন্ট না থাকলেও থাকছে মেয়েদের ইউরো। সুইজারল্যান্ডে ১৬ দল নিয়ে জুলাইতে বসার কথা এবারের ইউরো।
আর ক্লাব ফুটবল চলবে যথারীতি একই ছন্দে। জুনে মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। তবে এবার মৌসুমের শেষ দিকে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের ৩২ ক্লাব নিয়ে গড়াবে এই টুর্নামেন্ট। ২০২৫ সালে ফুটবল সমর্থকদের জন্য এই টুর্নামেন্ট ছড়াতে পারে রোমাঞ্চ।
ক্রিকেটে যা যা থাকছে :
ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য অপেক্ষা করছেন ব্যস্ত একটি বছর। এমনিতেই বছর জুড়ে থাকবে বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ব্যস্ততা। সাথে থাকছে দুটি আইসিসি ইভেন্টও।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আট দলের টুর্নামেন্টের মূল আয়োজক দেশ পাকিস্তান। তবে ভারতের ম্যাচগুলো হবে দুবাইতে। দলটি ফাইনালে গেলে সেটাও হবে দুবাইতেও।
এরপর আছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্স শিপের ফাইনাল। যেটি জুনে সিডনিতে মাঠে গড়ানোর কথা। এছাড়াও রয়েছে এশিয়া কাপ। যেটি আগামী অক্টোবরে ভারত ও দুবাই মিলিয়ে হওয়ার কথা।
২০২৫ সালে বাংলাদেশ দলের জন্য হতে যাচ্ছে আরেকটি ব্যস্ত বছর। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শেষ হবে ফেব্রুয়ারিতে। এর সপ্তাহ খানেক বাদেই টাইগারদের পাড়ি জমাতে হবে পাকিস্তান। উদ্দেশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে ক্রিকেটাররা সুযোগ পাবেন কিছুটা বিশ্রামের।
এরপর এপ্রিলে ঘরের মাঠে এপ্রিলে মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ের। এরপর এক মাস বিরতি দিয়ে বাংলাদেশ দল আবারও পাড়ি জমাবে পাকিস্তান। জুনে অ্যাওয়ে সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল।
পাকিস্তান সফর শেষে জুলাইতে বাংলাদেশের গন্তব্য শ্রীলঙ্কা। দেশে ফিরে আবার মাঠে নামতে হবে টাইগারদের। আগস্টে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। আগামী সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে অংশ নিবে বাংলাদেশ।
এরপর অক্টোবরে বাংলাদেশ খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সেই সিরিজটি হবে অ্যাওয়ে। তবে কোথায় মাঠে গড়াবে, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। সাধারণত আফগানিস্তান তাদের হোম ম্যাচ খেলে ভারত বা দুবাইয়ে। অক্টোবরেই বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খেলবে ওয়েস্ট উইন্ডিজের বিপক্ষে। আর নভেম্বরে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ২০২৫।
No posts available.
১২ অক্টোবর ২০২৫, ৩:০৫ পিএম
মি. অলিম্পিয়া প্রতিযোগিতায় আবারও চমক দেখিয়েছেন আফগানিস্তানের বডিবিল্ডিং তারকা আলি বিলাল। যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে ২০২৫ মিস্টার অলিম্পিয়া ওয়ার্ল্ড বডিবিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপের ‘মেনস ফিজিক’ বিভাগে রানার্সআপ হয়েছেন তিনি।
আফগানিস্তানের সংবাদ সংস্থা ‘খামা প্রেসের’ প্রতিবেদন, টানা দ্বিতীয়বার মি. অলিম্পিয়া প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক জিতেছেন বিলাল। গত বছরও মিস্টার অলিম্পিয়া ফিজিক প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন। তার আগে আর্নল্ড ক্লাসিকে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন এই আফগান বডিবিল্ডার।
আফগানিস্তানের ইতিহাসে এর আগে কোনো অ্যাথলেট মিস্টার অলিম্পিয়ার মতো মর্যাদাপূর্ণ বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতার এই স্তরে অংশ নেননি। অসাধারণ পারফরম্যান্সে বিচারকদের মুগ্ধ করেন বিলাল।
বিলালের অর্জন শুধু তাঁকে বিশ্বের সেরা বডিবিল্ডারদের কাতারেই নিয়ে যায়নি, তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আফগানিস্তানের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি। এর আগে মর্যাদাপূর্ণ আর্নল্ড ক্লাসিক শিরোপাও জিতে এশিয়ার অন্যতম সফল বডিবিল্ডার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।
মি. অলিম্পিয়া বডিবিল্ডিংকে সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতাকে হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বের সেরা সব বডিবিল্ডারই অংশ নেন সেখানে। বিলালের ধারাবাহিক সাফল্য তাঁকে আফগানিস্তানের ক্রীড়াঙ্গনে দৃঢ়তা ও অগ্রগতির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছে।
টানা দুবারের সাফল্য নতুন প্রজন্মের আফগান ক্রীড়াবিদদের অনুপ্রাণিত করছেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ক্রীড়া বিশ্লেষকদের মতে, বিলালের অর্জন শুধু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আফগানিস্তানের পরিচিতি বাড়ায়নি, বরং দেশটির মানুর মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে—যে খেলাধুলাও হতে পারে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতীক।
দীর্ঘ সাত বছর পর স্পিড স্কেটিংয়ের আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নিয়েই সাফল্যের গল্প বুনেছে বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশন। আর এই সাফল্যের কারিগর বগুড়ার সন্তান নাবীয়ুন ইসলাম পৃথিবী, যিনি একাই জিতেছেন দুটি স্বর্ণপদক।
চীনের জিনজিয়াং রাজ্যের কারামাই শহরে অনুষ্ঠিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড চায়না-আসিয়ান স্পিড রোলার স্কেটিং সিটি ইনভাইটেশনাল টুর্নামেন্ট’-এ বাংলাদেশের স্কেটাররা দুটি স্বর্ণপদকসহ মোট চারটি পদক জিতে ৩০ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
ওয়ার্ল্ড এশিয়া স্কেটিং এবং চায়না রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় নাবীয়ুন ইসলাম পৃথিবীর পারফরম্যান্স ছিল অবিশ্বাস্য। ১১ ও ১২ অক্টোবর রচিত হওয়া এই সাফল্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের ইতিহাসে এক সেরা অধ্যায় যুক্ত হলো।
জুনিয়র-এ গ্রুপ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নাবীয়ুন প্রথম দিনে ৫০০ মিটার স্পিড রেসে এবং দ্বিতীয় দিনে ১০০০ মিটার স্প্রিন্ট রেসে প্রথম স্থান অধিকার করে জোড়া স্বর্ণপদক অর্জন করেন।
বাংলাদেশ রোলার স্কেটিংয়ের বাঙালি ছেলে হিসেবে ৩০ বছরের ইতিহাসে একসঙ্গে দুটি স্বর্ণপদক অর্জনের ঘটনা এটিই প্রথম। গত ৩০ বছরে আন্তর্জাতিক রোলার স্কেটিং ইভেন্টে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ অর্জন। এশিয়া মহাদেশের ১৭টি দেশে তিন শতাধিক স্কেটারের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে এই কীর্তি গড়লেন নাবীয়ুন।
বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘নাবীয়ুন ইসলাম পৃথিবী চীনে বেল্ট অ্যান্ড রোড এশিয়ান রোলার স্কেটিং প্রতিযোগিতায় অবিশ্বাস্য দক্ষতায় পারফর্ম করেছে। এই জয় শুধু বাংলাদেশের নয়, এটি এশিয়ার রোলার স্কেটিং ইতিহাসেও এক মাইলফলক।’ নাবীয়্যূনের জোড়া স্বর্ণপদক ছাড়াও, বাংলাদেশ দলের হয়ে অংশ নেওয়া আতাহার শিহাব অদিত আরও দুটি রৌপ্য পদক জেতেন।
বগুড়া রোলার স্কেটিং ক্লাবের হয়ে অনুশীলনকারী নাবীয়ুন ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা ও কোচ আশরাফুল ইসলাম রহিতের বড় ছেলে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নামার আগে দুটি জাতীয় ইভেন্টে রৌপ্যপদক এবং রোপ স্কিপিংয়ে চলতি বছর উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি।
ছেলের এমন ঐতিহাসিক সাফল্যে গর্বিত বাবা ও কোচ আশরাফুল ইসলাম রহিত জানান, ‘এশিয়ার ১৭টি দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে ৩০ বছরের ইতিহাসে বাঙালি ছেলে হিসেবে দুটি গোল্ড মেডেল পাওয়াটা এক বিশাল অর্জন। দোয়া করি সে যেন আরও এগিয়ে যায়।’
গত ৮ অক্টোবর ১০ সদস্যের বাংলাদেশ দল চীনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দলের খেলোয়াড়রা হলেন-আকিফ হামিদ, মুনজির আফনান বিশ্বাস, আতাহার শিহাব অদিত, জারিফ আহমেদ সরকার, ফ্যালিশা রুজবেহ, আফরাজ বিন আরিফ এবং নাবীয়ুন ইসলাম পৃথিবী।
১৯ অক্টোবর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় শুর হচ্ছে ওয়ার্ল্ড আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। তবে তাঁর আগে বড় এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে আয়োজক দেশটি। শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ইসরায়েলি জিমন্যাস্টদের ভিসা দেওয়া হবে না।
ইন্দোনেশিয়ার এই সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন। বিবৃতিতে ইসরায়েলি ফেডারেশন জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত শুধু ক্রীড়া বিশ্বে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের উদাহরণই নয়, এটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়ার মৌলিক নীতির পরিপন্থী। আমরা আইনগত সব পথেই এর বিরুদ্ধে লড়াই করব।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে এরই মধ্যে জরুরি আপিল করেছে ইসরায়েল। ইন্দোনেশিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় ইসলামিক সংগঠন এবং জাকার্তা সিটি গভর্নমেন্টের আপত্তির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে ইসরায়েলের অলিম্পিক স্বর্ণপদকজয়ী আরতেম ডলগোপিয়াটসহ দেশটির অনেক জিমন্যাস্ট এবার এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছেন না।
মূলত গাজায় চলমান ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে ইসরায়েলি জিমন্যাস্টদের ভিসা দেয়নি ইন্দোনেশিয়া। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় টানা নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এই সময়ে দুই ধাপে মাত্র দুই মাসের কিছুটা বেশি সময় ধরে সেখানে যুদ্ধবিরতি ছিল। বাকি সময়ে হামলা চালিয়ে ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। আহত হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার।
গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে ইন্দোনেশিয়ায়। দেশটির এই পদক্ষেপকে অনেকেই ফিলিস্তিনের প্রতি দীর্ঘদিনের সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছেন। অলিম্পিক গেমসের বাইরে সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ এই জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ৮৬টিরও বেশি দেশ অংশ নিচ্ছে। প্রতিযোগিতাটি চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
চার বছর পর আবারও ফেডারেশন কাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন (টিটি)। ফেডারেশন কাপের পুরুষ্কার হিসেবে খেলোয়াড়দের জন্য প্রাইজমানির পাশাপাশি র্যাংকিং পয়েন্টও থাকবে। সর্বশেষ এই প্রতিযোগিতা হয়েছিল ২০২১ সালে।
আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী চলবে প্রতিযোগিতা। ৪টি ইভেন্টে—পুরুষ দলগত, মহিলা দলগত, পুরুষ একক এবং মহিলা এককে খেলাগুলো হবে। এই টুর্নামেন্টে কোন বয়স ভিত্তিক ইভেন্ট নেই।
অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে দলগত ইভেন্টের জন্য এবং একক ইভেন্টের জন্য আলাদা আলাদা রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের সর্বশেষ তারিখ ২০ অক্টোবর।
ভারতের
গোয়ায় অনুষ্ঠিত দাবা বিশ্বকাপকে সামনে রেখে রাশিয়ান গ্র্যান্ডমাস্টার পিটার কিরিয়াকভকে
কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন। আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠাতব্য সেই
আসরে অংশ নেবেন বাংলাদেশের দুই আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান ও মনন রেজা নীড় ।
বিশ্বের
বহু শীর্ষ গ্র্যান্ডমাস্টার ও আন্তর্জাতিক দাবাড়ুদের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন পিটার।
ফাহাদ ও নীড়ের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির পাশাপাশি পিটারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মাস্টার মোঃ
মিনহাজ উদ্দিন, আবু সুফিয়ান শালিক, ফিদে মাস্টার সুব্রত বিশ্বাস, মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ,
মোহাম্মদ জাভেদ, অনত চৌধুরী, মোঃ শরীফ হোসেন, সেখ নাসির আহমেদ ও নাইম হকরাও শেখার সুযোগ
পাবেন।
বাংলাদেশ
অলিম্পিক এসোসিয়েশন রাশিয়ান কোচের অর্থায়ন করছে। এই অর্থায়নে পিটার অক্টোবর ও নভেম্বর
দুই মাসে বাংলাদেশে কোচিং করাবেন। গ্র্যান্ডমাস্টার রিফাত বিন সাত্তারের তত্ত্বাবধানেও
চলমান আছে দাবাড়ুদের প্রশিক্ষণ। ফিদে মাষ্টার শওকত হোসেন পল্লবের তত্ত্বাবধানে চলছে
উঠতি খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ।