৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ৯:৫১ এম

“আশরাফুল ভাই ব্যাটসম্যান হিসেবে যেমন ছিলেন, এনালিস্ট হিসেবে এখন তারচেয়েও ভালো করছেন” - চমকে যাবেন না। এটা স্রেফ সিলেটের একজন দর্শকের মতামত। এর পক্ষে-বিপক্ষে যাওয়ার আগে বরং একটু আলোকপাত করা যাক ব্রডকাস্টার মোহাম্মদ আশরাফুলকে নিয়ে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার কে, এই প্রশ্নের উত্তর একটাই - মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশের বেশ কিছু ইতিহাস গড়া ম্যাচে হেসেছিল তার ব্যাট৷ আনন্দের রেণু হয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছিল ‘আশার ফুল’ সুরভীতে। সেই আশরাফুল এখন পুরোদস্তুর ব্রডকাস্টার, এই বিপিএলে কাজ করছেন দেশের প্রথম স্পোর্টস চ্যানেল টি স্পোর্টসের হয়ে। ক্রিকেটার আশরাফুলের মত নতুন ভূমিকাতেও চমক দেখাচ্ছেন বেশ।
আরও পড়ুন: তিনবার পৃথিবী ঘুরা দূরত্ব পেরিয়ে কানুভাইয়ের কাছে আশরাফুল 'শচীন'
আশরাফুল এখনও পেশাদার ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি অবসর নেননি। তবে এর মধ্যেই ক্রিকেট এনালিস্ট হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে দেখা গেছে তাকে। সেখানে বিশ্লেষক হিসেবে নিজের প্রতিভা দেখান এই ডানহাতি ব্যাটার।
তবে ব্রডকাস্টার আশরাফুল সবাইকে বিমোহিত করেন মূলত ভারতের মাটিতে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে। ম্যাচগুলো নিয়ে তার বিশ্লেষণী ক্ষমতা ছিল চোখে পড়ার মত। একজন ব্যাটারের ঠিক কোথায় সমস্যা হচ্ছে, কি করলে সমাধান মিলবে বা নির্দিষ্ট ব্যাটারকে কোথায় বল করতে হবে - সূক্ষ্ম এই ব্যাপারগুলো দারুণভাবে উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয়ের নায়ক আশরাফুল।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার বিপিএলেও আছেন আশরাফুল। যথারীতি এখানেও দেখা যাচ্ছে তার সুন্দর সুন্দর বিশ্লেষণ। ফিটনেস ইস্যুতে সিলেট স্ট্রাইকার্স অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে নিয়ে তার করা একটি মন্তব্য বেশ সাড়াই ফেলে দিয়েছিল। সেটা ছাড়াও স্থানীয় ও বিদেশী ক্রিকেটারদের নিয়ে আশরাফুলের বিশ্লেষণ এখন পর্যন্ত চমৎকার হচ্ছে।
তো দর্শকরা কিভাবে দেখছেন তাদের প্রিয় ক্রিকেটারকে নতুন পেশায়? সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবারের দুটি ম্যাচ দেখতে উপস্থিত জামাল নামের এক ব্যক্তি উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়াই জানালেন আশরাফুলকে নিয়ে। “মানেন আর নাই মানেন, আশরাফুলই বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা ব্যাটসম্যান। উনি যে ক্রিকেট কত ভালো বোঝানে সেটা এখন দেশবাসী দেখতে পাচ্ছে। বাংলাদেশ দলে তাকে হয়ত আর দেখা যাবে না, কিন্তু টিভিতে আশরাফুলকে দেখে অনেক ভালো লাগছে।”
আরও পড়ুন: বিপিএল শুরু ১৯ জানুয়ারি, সব খেলা টি স্পোর্টসে
স্টেডিয়ামের বাইরে টিকিটের লাইনে থাকা ব্যবসায়ী আব্দুল আওয়াল সেভাবে এখন আর খেলা দেখার সময় পান না। সিলেটে বিপিএল হচ্ছে বলে তাই এসেছেন সরাসরি উপভোগ দেখতে। তার বিশ্বাস, বিশ্বের সেরা বিশ্লেষকদের একজন হবেন আশরাফুল। “প্রথমেই টি স্পোর্টসকে ধন্যবাদ, কারণ তারাই আশরাফুলের মাঝে লুকিয়ে থাকা এই প্রতিভা আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। এক দুইটা ম্যাচে তার কথা শুনছি, ইনশাআল্লাহ অনেক ভালো করবেন সামনে।”
আশরাফুলের আবেদন যে এখনও একটুও কমেনি, তা দেখা গেল রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ম্যাচ চলাকালীন সময়ে। গ্যালারির পাশ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন এই তারকা। গ্যালারি থেকে ভেসে আসল ‘আশরাফুল ভাই, আশরাফুল ভাই’ চিৎকার। ভক্তদের নিরাশ না করে গ্রিলের এপার থেকেই ছবি তোলার জন্য পোজ দিলেন আশরাফুল।
আরও পড়ুন: শুরু হচ্ছে টি টেন লিগ, সব ম্যাচ দেখা যাবে টি স্পোর্টসে
কিছুক্ষণ বাদে তাদের একজনের সাথে কথা হল গ্যালারিতে। নাম রুহুল আমিন, কাজ করেন একটি মুদি দোকানে। ছুটি নিয়ে খেলা দেখতে এসে আশরাফুলের সাতে ছবি তুলতে পেরে তার উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। “ভাই, কোনোদিন চিন্তাও করিনাই যে আশরাফুল ভাইয়ের সাথে ছবি তুলতে পারব। টিভিতে তার খেলা দেখে বড় হইসি। অস্ট্রেলিয়ার সাথে তার সেই সেঞ্চুরির ভিডিও এখনও ইউটিউবে দেখি। সেলেব্রিটি হলে অনেকেই ভক্তদের আর গোনায় ধরেনা, কিন্তু আশরাফুল ভাইকে আমরা ডাক দেওয়ার সাথে সাথেই উনি দাঁড়িয়ে গেছেন। সিলেট আজকে না জিতলেও সমস্যা নাই, আমি খুশি।”
সিলেট শেষ পর্যন্ত হেরেই গেছে আবারও, তবে আশরাফুলের সেই ভক্ত হয়ত খুশিই থাকবেন। কারণ প্রিয় তারকার সাথে ছবি যে তোলা হল!
ব্রডকাস্টার আশরাফুল এভাবেই তার ভক্তদের আনন্দের উপকরণ হচ্ছেন। যেমনটা একটা সময় হত তার ব্যাটিং। বাংলাদেশের খেলা মানেই তখন আশরাফুলের ব্যাটিংয়ের দিকে সবার চোখ। কখনও হাসিয়েছেন, কখনও কাঁদিয়েছেন। তবে আনন্দের মাত্রাটা তীব্র বলেই আজও সজীব একজন আশরাফুল, বা একজন ব্রডকাস্টার আশরাফুল!
No posts available.
১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:২০ পিএম

তিনি যতটা না দৌড়েছেন, তার চেয়েও বেশি চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন। গতকাল অস্ট্রেলিয়ান টি-টোয়েন্টি ডিভিশন ওয়ান ক্লেঞ্জো গ্রুপ শিল্ডের টি-টোয়েন্টি লিগে বোলারদের ওপর রীতিমতো ঝড় বয়ে দিয়েছেন নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস।
ম্যাচে এডওয়ার্ডস ৮১টি বল মোকাবিলা করেছেন, যাতে ছিল ২৩টি ছক্কা ও ১৪টি চার। তাঁর স্ট্রাইকরেট ছিল ২৮২।
অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সাব-অর্বস চার্চেস অ্যান্ড কমিউনিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত টুর্নামেন্টের চতুর্থ রাউন্ডে ভিক্টোরিয়ার আলটোনা স্পোর্টস ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন এডওয়ার্ডস।
উইলিয়ামস ল্যান্ডিং এসসির বিপক্ষে ম্যাচটি স্বীকৃত কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল না। ফলে ২০১৩ আইপিএলে ক্রিস গেইলের খেলা ১৭৫ রানের ইনিংসই টি-টোয়েন্টিতে এখনো সর্বোচ্চ।
এদিন ২৩ বলে ফিফটি করেন এডওয়ার্ডস। ১১তম ওভারে করেন সেঞ্চুরি, ১৭তম ওভারে ছুঁয়ে ফেলেন ১৫০। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২২৯ রানে, আর দলের স্কোর দাঁড়ায় ৩০৪ রান।
রান তাড়া করতে নেমে উইলিয়ামস ল্যান্ডিং থামে ১১৮ রানে।

বড় জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ যাত্রা শুরু করল ভারত। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২৩৪ রানে হারিয়েছেন আয়ুষ মাত্রেরা।
দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪৩৪ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ৭ উইকেটে ১৯৯ রানে থামে আমিরাতের ইনিংস।
এদিন দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ৪ রান করে আউট হন আয়ুষ মাত্রে। এরপরের গল্প শুধুই বৈভব সূর্যবংশী-এর। মারমুখী ভঙ্গিতে চড়াও হতে থাকেন আরব আমিরাতের বোলারদের ওপর। ৩০ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। পরের ৫০ রানের মধ্যে সেঞ্চুরি করতে ১৪ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটার খেলেন মাত্র ২৬ বল।
৫৬ বলে শতক ছুঁয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন সূর্যবংশী। ৮৪ বলে দেড়শো পেরিয়ে যান এই বাঁহাতি। ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত ৯৫ বলে ১৭১ রানে থামেন।
সূর্যবংশীর ইনিংসে ছিল ৯টি চার, ১৪টি ছয়। যুব ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে আজ সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েন সূর্যবংশী। ২০০৮ সালে ১২ ছয় মারা নামিবিয়ার ব্যাটার মাইকেল হিল-এর রেকর্ড ভাঙেন তিনি।
অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস এটি। সূর্যবংশী ছাড়িয়ে গেছেন শুবমান গিল, শিখর ধাওয়ান এবং মায়াঙ্ক আগারওয়াল-এর রেকর্ড।
সূর্যবংশীর বিধ্বংসী ইনিংসের সঙ্গে আরও দুই ব্যাটারের ফিফ্টিতে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৩৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ভারত।
জবাবে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আমিরাত। ১৪তম ওভারে ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
ষষ্ঠ উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন পৃথ্বী মাধু ও উদিশ সুরি। মাধু ৫০ রানে ফিরলেও ৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সুরি। এই দুজনের নৈপুণ্যে অলআউট হওয়া থেকে রক্ষা পায় আমিরাত।

বয়স ৪৩ পেরিয়ে ৪৪ বছরের পথে। তারপরও পেশাদার ক্রিকেট দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন জেমস অ্যান্ডারসন। আগামী মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তিনি।
শৈশবের ক্লাব ল্যাঙ্কাশায়ারে অধিনায়কত্ব করবেন অ্যান্ডারসন। গত মৌসুমে দুইবার অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। কিটন জেনিংসের পদত্যাগের পর এবার অ্যান্ডারসনকে স্থায়ীভাবে নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়েছে ক্লাবটি।
২০২৪ সালে ৭০৪ টেস্ট উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান অ্যান্ডারসন। তবে নিজের শেকড় ল্যাঙ্কাশায়ারে খেলা থামাননি। ২০০২ সালে শুরু হওয়া তার ল্যাঙ্কাশায়ার ক্যারিয়ার এখনো চলছে। গত মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ৬ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট।
অধিনায়কত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত অ্যান্ডারসন বলেন,
‘ল্যাঙ্কাশায়ারের অধিনায়ক হওয়া বিশাল সম্মানের। আমাদের দলে অভিজ্ঞতা ও তরুণদের দুর্দান্ত মিশেল আছে। লক্ষ্য একটাই- প্রথম ডিভিশনে ফেরার লড়াইয়ে সফল হওয়া।’
২০২৬ সালের ৩ এপ্রিল ল্যাঙ্কাশায়ার তাদের চ্যাম্পিয়নশিপ অভিযান শুরু করবে।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ২৯৭ রানের রেকর্ড রান ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। দুবাইয়ে সামির মিনহাজ ও আহমেদ হুসাইন সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩৪৫ রান তোলে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
৩৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আলি রাজা ও মোহাম্মদ সায়্যামের তোপ দাগানো বোলিংয়ে মাত্র ৪৮ রানে গুটিয়ে যায় মালয়েশিয়া। যুব ওয়ানডে ইতিহাসে এটি তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। রানের দিক থেকে পাকিস্তান পেল নিজেদের সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়, সব দল মিলিয়ে যুব ওয়ানডেতে সপ্তম।
মালয়েশিয়ার ব্যাটারদের ইনিংস ছিল ১১ ডিজিটের মোবাইল নম্বর! কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। তাঁদের ইনিংসগুলো—০, ৫, ৪, ৯, ৫, ৭, ৯, ২, ০, ১ ও ০। পাকিস্তানের দুই পেসার আলি রাজা ও মিনহাজ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১৯.৪ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় মালয়েশিয়া।
সেভেনহি সেভেনস স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান মালয়েশিয়ার অধিনায়ক দিয়াজ পাত্র। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল হতাশার। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৪ রানে ফেরেন ওপেনার উসমান খান (১)।
পাকিস্তানের ওপর আধিপত্য দেখিয়ে দশম ওভারে টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার আলি হাসান বালুচকেও (১৪) ফেরান পেসার নাগিনেস্বরন সাথনাকুমারান। পাওয়ার-প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০ রান তোলে পাকিস্তান। তবে তৃতীয় উইকেটে মিনহাজ ও আহমেদের ২৩৪ বলে ২৯৩ রান জুটিতে পাকিস্তান গড়ে ৩৪৫ রানের পাহাড়সম স্কোর।
১৪৮ বলে ১৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন ওপেনার মিনহাজ। তাঁর ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৮টি ছক্কা। ১১৪ বলে ১৩২ রান করেছেন আহমেদ। মেরেছেন ৮টি চার ও ২টি ছক্কা।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড গড়লেন বাহরাইনের পেসার আলি দাউদ। ভুটানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাঁর ৭/১৯ বোলিং ফিগার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সেরা।
শীর্ষে মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদ্রুস। ২০২৩ সালে চীনের বিপক্ষে ৮ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। তৃতীয়তে হর্ষ ভরদ্বাজ। ২০২৪ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
নাইজেরিয়ার পিটার আহো ৫ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে তালিকায় চারে। ২০২১ সালে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।
পাঁচ নম্বরে ভারতের পেসার দীপক চাহার। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
দুবাইয়ে প্রথমে ব্যাট করে ১৬১ রান তোলে বাহরাইন। লক্ষ্য তাড়ায় নামার পর তৃতীয় ওভারেই আক্রমণে এসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ৩৩ বছর বয়সী এই পেসার। নিজের প্রথম ওভারেই নেন দুই উইকেট।
মাঝে ভুটান চতুর্থ উইকেটে ৬৭ রান যোগ করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে। কিন্তু দাউদ আবারও আঘাত হানেন শেষ ভাগে। ১৬তম ওভারে নেন তিন উইকেট, পরের ওভারে নেন আরও দুই উইকেট।
দাউদের রেকর্ডে ভুটানকে ৩৫ রানে হারিয়েছে বাহরাইন।