চলতি আইপিএলে এরই মধ্যে কিছু ম্যাচে রীতিমতো রানবন্যা বইয়ে গেছে। আর এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। একই আসরে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের নিজেদের গড়া রেকর্ড সোমবার নিজেরাই ভেঙেছে প্যাট কামিন্সের। তবে এতেও যেন সন্তুষ্ট নন সেঞ্চুরিয়ান ট্রাভিস হেড। তার আক্ষেপ এখন ৩০০ রান করার!
আরও পড়ুন: স্মিথের পর যুক্তরাষ্ট্রের লিগে নাম লেখালেন হেডও
বোলারদের জন্য ভুলে যাওয়ার এক দিনে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ৩ উইকেটে ২৮৭ রান করে সানরাইজার্স। পেছনে ফেলে দেয় সম্প্রতি নিজেদের করা ২৭৭ রানের রেকর্ড। তবে ইনিংস বিরতিতে চমকেই দিলেন হেড।
দলের পরবর্তী লক্ষ্য কী, এই প্রশ্নে মারকুটে ওপেনার বলেন, “আমাদের স্কোরের শুরুতে এখন একটা ৩ রান দরকার, তাই না!”
ইনিংসে সানরাইজার্স মোট ২২টি ছক্কা হাঁকিয়েছে, যা আইপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি এবং হেড তার শততকের পথে মেরেছেন ছয়টি ছক্কা। ৪১ বলে ১০২ রান করেন অজি ব্যাটার।
সানরাইজার্সের ৩ উইকেটে ২৮৭ রান এখন ২০২৩ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের ৩ উইকেটে ৩১৪ রানের পর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
No posts available.
২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৮ এম
২১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৭ পিএম
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ক্রিকেট লিগ বর্জনের হুমকি দিয়েছিল ঢাকা ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স অ্যাসোসিয়েশনের ক'জন সংগঠক। তাদের সেই হুংকারে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশের ( সিসিডিএম) আঁতকে ওঠার কথা।
তবে গত ৮ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে সব ধরণের ক্রিকেট বর্জনের যে ঘোষণা দিয়েছে ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স অ্যাসোয়েশন, তাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তাদের এই ঘোষণায় রুটি-রুজির পথ বন্ধ হওয়ার উপক্রমের শঙ্কায় ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) নেতৃবৃন্দ সিসিডিএম এবং ক্লাবসমূহের সাথে যোগাযোগ করেছেন। বিসিবির নির্বাচন বর্জন করা তামিম ইকবাল ক্রিকেটারদের স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে এসেছেন। তাতেই লিগ বর্জনের অবস্থান থেকে ক্লাবগুলোর অবস্থানের পরিবর্তন হতে যাচ্ছে।
প্রচলিত নিয়ম ভেঙ্গে ২০২৫-২৬ ক্রিকেট মৌসুমে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ দিয়ে সিসিডিএম তাদের ক্যালেন্ডার শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ক্লাবগুলোকে নিয়ে সিসিডিএম-এর সভা হওয়ার কথা। এই সভাতেই প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যালেন্ডার শুরুর ইতিবাচক আভাস পাচ্ছে সিসিডিএম। মঙ্গলবার এমন সম্ভাবনার কথাই শুনিয়েছেন সিসিডিএম-এর চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন-
'ইতোমধ্যে প্রথম বিভাগের ২০টি ক্লাবের মধ্যে ১৭টি লিগে অংশ নিবে বলে কথা দিয়েছে। বাকি তিনটিকে রাজি করানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি এই তিনটি ক্লাবকেও রাজি করাতে পারব। তামিম ইকবালকে ধন্যবাদ দিতে হবে। কারণ, তিনি ক্রিকেটারদের স্বার্থকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে ক্লাবগুলোকে রাজি করাতে বিশেষ ভুমিকা নিয়েছেন।'
এদিকে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে অংশগ্রহনে ক্লাবসমূহকে রাজি করাতে লোভনীয় অ্যাপিয়ারেন্স ফি, প্রাইজমানি, জার্সি এবং ট্রান্সপোর্ট অ্যালাউন্স বরাদ্দ রেখেছে এবার সিসিডিএম-এর নব গঠিত কমিটি। অ্যাপিয়ারেন্স ফি বাড়িয়েছে ৫০%। ৯ লাখ টাকা থেকে প্রতিটি দলের অ্যাপিয়ারেন্স ফি বেড়ে উন্নীত হয়েছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে ক্লাবসমূহ পয়েন্ট টেবিলের অবস্থান অনুযায়ী পাবে প্রাইজমানি। চ্যাম্পিয়ন দল ৮ লাখ টাকা, সর্বনিম্ন দল ২ লাখ টাকা পাবে। টিম জার্সি খাতে এক একটি দল পাবে আড়াই লাখ টাকা। এর বাইরে প্রতি ম্যাচের জন্য ট্রাভেল অ্যালাউন্স হিসেবে টিম প্রতি ১২ হাজার টাকা বরাদ্দ রেখেছে সিসিডিএম। এই অর্থ দিয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ক্লাবসমূহ খরচের বড় একটা অংশ নির্বাহ করতে পারবেন বলে মনে করছেন সিসিডিএম-এর নবগঠিত কমিটির চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন-
'হিসাব করে দেখেছি, প্রথম বিভাগে যে ক্লাব সবচেয়ে কম অর্থ পাবে, তার পরিমানও ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা। চ্যাম্পিয়ন-রানার্স আপ দল তো ২৫ লাখ টাকার উপরে পাবে।'
সিসিডিএম'র এই লোভনীয় অফার এবং বিসিবির সমন্বিত চেষ্টার ফলটা কী হয়, তা জানতে তাকিয়ে থাকতে হবে বুধবার দুপুরে সিসিডিএম সভার দিকে।
হারারে টেস্টে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে আফগানিস্তান। অতিথিদের একপ্রকার চেপে ধরেছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। ২৩২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ৩৪ রান করে দিন শেষ করেছে সফরকারীরা। এখনো ১৯৮ রানে পিছিয়ে রয়েছে আফগানিস্তান।
আগের দিনের ২ উইকেটে ১৩০ রান নিয়ে আজ ব্যাটিং শুরু করে জিম্বাবুয়ে। বেন কারান ও ব্রেন্ডন টেইলর দলকে এনে দেন ভালো সূচনা। তবে আফগান পেসার জিয়াউর রহমান শরীফির বলে ৩২ রানে থামেন টেইলর। অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, মাত্র ৫ রানে ফেরেন তিনি।
পঞ্চম উইকেটে সিকান্দার রাজা ও কারান গড়েন ৯৯ রানের দারুণ জুটি। ৬৫ রানে রাজা আউট হলেও কারান তুলে নেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ১২১ রানে আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটার। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম জিম্বাবুইয়ান ওপেনার হিসেবে ঘরের মাঠে টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন তিনি। একই সঙ্গে ১৯৯৭ সালের পর হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টেস্ট সেঞ্চুরি করা প্রথম জিম্বাবুইয়ান ওপেনারও বেন কারান।
শেষদিকে ব্র্যাড ইভান্সের ৩৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৫৯ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। আফগানিস্তানের হয়ে জিয়াউর রহমান শরীফি ৯৭ রান দিয়ে শিকার করেন ৭ উইকেট।
জবাবে শুরুতেই বিপদে পড়ে আফগানিস্তান। ওপেনার আবদুল মালিক মাত্র ২ রানে রিচার্ড নাগারাভার বলে ক্যাচ তুলে দেন। ইব্রাহিম জাদরান ২৫ ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৭ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেন।
সুপার ওভারে জিততে প্রয়োজন ১১ রান। প্রথম বলই ওয়াইড করলেন আকিল হোসেন। পরের বল 'নো' করলেন তিনি। ডিপ মিড উইকেটে স্লগ করে ২ রান দিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ফ্রি হিটে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি তিনি।
পরে আকিলের বৈধ চতুর্থ ডেলিভারিতে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়ে যান অভিজ্ঞ ব্যাটার। ৩ বলে মাত্র ৩ রান করে আউট হন তিনি। এরপর শেষ পর্যন্ত ১ রানে ম্যাচটি হেরে যায় বাংলাদেশ। অথচ বাঁহাতি স্পিনার আকিলের বলে সৌম্যর সামনেই ছিল বাউন্ডারি মেরে ম্যাচটি জেতানোর।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই নিজের ওপর দায় নিয়ে নেন সৌম্য। কোনো রাখঢাক না রেখে তিনি সোজাসাপটাই বলেন, বাউন্ডারি মারা উচিত ছিল তার।
“হ্যাঁ! এটা বলতে পারেন আমি ব্যর্থ। বাঁহাতি স্পিনার ছিল। আমারও আত্মবিশ্বাস ছিল যে, না আমি একটা বাউন্ডারি এখান থেকে আদায় করতে পারব। কিন্তু হ্যাঁ, এটাও ঠিক যে উইকেটও ওমন ছিল না যে, ছয় বা বাউন্ডারি মারা সহজ। বলটাও অনেক পুরাতন হয়ে গেছে ৫০ ওভারের পরের বল, বল যাচ্ছিল না।”
তবে স্পিন সহায়ক উইকেটে কাজটা যে সহজ ছিল না সেটিও বলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
“মূলত বড় শট করতে গেলে উইকেটের একটা সাহায্য লাগে। বলটা একটু ধীরে আসছিল এবং টার্নও ছিল অনেক বেশি। তো হ্যাঁ! পরবর্তীতে যদি কখনও এরকম উইকেট থাকে, অবশ্যই ঐরকমভাবে অনুশীলন করতে হবে যে এই উইকেটে ছয় মারতে হবে কীভাবে।”
সুপার ওভারের আগে মূল ম্যাচেও ২টি ফ্রি হিট পান সৌম্য। নবম ওভারে প্রথমটিতে কোনো রান নিতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর ২৯তম ওভারে পাওয়া ফ্রি হিটে নেন মাত্র ১ রান।
ফ্রি হিটে ভালো করতে না পারার কথা স্বীকার করে সৌম্য বললেন, সুপার ওভারে সবগুলো বল ফ্রি হিট ভেবেই খেলেছেন তিনি।
“আজকে তিনটা ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারিনি। আগেও অনেকগুলো ফ্রি হিট আছে, সেভাবে ব্যবহার করতে পারিনি। অমন কিছু (মানসিক সমস্যা) ছিল না। সুপার ওভারে যে বল খেলেছি, প্রায় সবই ফ্রি হিট ছিল। আমার টার্গেটই ছিল ছয় বা বাউন্ডারি মারার। আমি পারিনি। হয়তো এখানে আমার কোনো ল্যাকিং আছে।”
চলতি সিরিজের দুই ম্যাচ মিলিয়েই বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাববিস্তারী ব্যাটার ছিলেন রিশাদ হোসেন। কিন্তু সুপার ওভারে ১১ রানের লক্ষ্য পূরণে তাকে ব্যাটিংয়েই নামায়নি বাংলাদেশ। এর পেছনে কারণ হিসেবে সৌম্য সরকার বললেন, কোচ ও অধিনায়কের সিদ্ধান্ত ছিল এটি।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার নিজেদের দীর্ঘ ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম 'টাই' ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। তিন সংস্করণ মিলিয়েই এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম টাই। পরে সুপার ওভারে মাত্র ১ রানে হেরে যায় তারা।
এর আগে মূল ম্যাচে ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩টি করে চার-ছক্কায় মাত্র ১৪ বলে ২৭৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন রিশাদ। প্রথম ম্যাচেও তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ২৬ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ ইনিংস।
তবু আকিল হোসেনের করা সুপার ওভারে ১১ রানের সমীকরণে রিশাদকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়নি বাংলাদেশ। শুরুতে নামানো হয় সাইফ হাসান ও সৌম্যকে। পরে সৌম্য আউট হয়ে গেলে বাকি ২ বলের জন্য ক্রিজে যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটার মিলে আকিলের ওভারে অতিরিক্ত ৪ রান পাওয়ার পরও সব মিলিয়ে ৯ রানের বেশি নিতে পারেননি। ফলে ১ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজে ফেরে সমতা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সৌম্যর কাছে প্রথম প্রশ্নই করা হয়, সুপার ওভারে কেন নামেননি রিশাদ। উত্তরে কোচ ও অধিনায়কের পরিকল্পনার কথা বলেন বাঁহাতি ওপেনার।
“হ্যাঁ, এটা (রিশাদকে সুপার ওভারে না পাঠানো) কোচ আর অধিনায়ক পরিকল্পনা করেছেন। এটা তাদের পরিকল্পনার একটা অংশ ছিল। তারা চিন্তা করেছে যে, মূল ব্যাটারদের পাঠাবে এই সময়ে।”
আরেক প্রশ্নে কোচ-অধিনায়কের এমন সিদ্ধান্তের পেছনে কারণটাও বোঝানোর চেষ্টা করেন সৌম্য।
“দেখুন এখানে বাঁহাতি স্পিনার বল করছিল। তাই বাঁহাতি ব্যাটার উইকেটে যাওয়ার চিন্তা করাই সবচেয়ে ভালো। তো এটাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাঁহাতি ব্যাটার গেলে দলের জন্য ভালো হবে। তাই এটি ভেবেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এমন ব্যাখ্যার প্রেক্ষিতে সৌম্যর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাঁহাতি স্পিনারের বিপক্ষে বাঁহাতি ব্যাটারই লাগবে- এমন ম্যাচ আপের পরিকল্পনা থেকে বেরিয়ে আসতে পারত কিনা বাংলাদেশ। উত্তরে আবারও কোচ-অধিনায়কের সিদ্ধান্তের পক্ষে ব্যাট ধরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
“এটা নিয়ে তো দলের সবাই আমরা চিন্তা করিনি। এটা কোচ-অধিনায়ক চিন্তা করেছে। ওইখানে আমরা জানতাম না আকিল বল করবে। যদি আমরা দুইটা বাঁহাতি ব্যাটার নেমে যেতাম, ওই সময় যদি কোনো অফ-স্পিনার আসত, তখন কিন্তু দুজন বিপদে পড়তাম। তাই ডানহাতি-বাহাতি ছিল। ওদের ক্ষেত্রেও দেখবেন, ওরাও বাঁহাতি-ডানহাতি ব্যাটিং করেছে।”
নাটকের চেয়েও নাটকীয় বলতে যা বোঝায়, ঠিক সেটাই ঘটেছে আজ হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০০ ওভারের পরও শেষ হয়নি ম্যাচ। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। আর বাংলাদেশ হারল তাদের ইতিহাসের প্রথম সুপার ওভারের ম্যাচে।
ঘটনাবহুল এই ম্যাচে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত ছিল। পুরো ইনিংস স্পিনারদের দিয়ে করানোর সিদ্ধান্ত ছাড়াও সিরিজে ১–১ সমতায় ফিরেছে সফরকারী দল। তার চেয়েও বড় ঘটনা — ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সুপার ওভারে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজদের।
ম্যাচ শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ অধিনায়ক মিরাজ বলেন,
‘এটা আমাদের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা ছিল। আমরা প্রথমবার সুপার ওভারে খেলেছি। ব্যাট করার জন্য উইকেটটা সহজ ছিল না। রিশাদ এই মুহূর্তে দারুণ ছন্দে আছে। যখন বাকি ব্যাটসম্যানরা সংগ্রাম করছিল, সে আত্মবিশ্বাস নিয়ে দারুণ ব্যাটিং করেছে।’
ইনিংসের শেষ ওভারে অলরাউন্ডার সাইফ হাসানকে বোলিংয়ে আনার বিষয়ে মিরাজ বলেন,
‘শেষ ওভারে সাইফকে বোলিং করানো ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো বিকল্প ছিল না। আমি ভাবছিলাম, যদি আরেকটা উইকেট নিতে পারতাম... কিন্তু সেটা হয়নি। সুপার ওভারে আমাদের দরকার ছিল ১০ (আসলে ১১) রান, একটা বাউন্ডারি পেলেই হয়তো ফলাফলটা অন্যরকম হতে পারত।’