ক্রিকেট

‘আমরা তো সাধারণ মানুষই ভাই, খালি ক্রিকেট খেলি এই যা’

 
মাজহারুল ইসলাম রিমন
মাজহারুল ইসলাম রিমন
ঢাকা

৯ মার্চ ২০২৪, ৪:৪৫ পিএম

news-details

শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন মসজিদে পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায়ের পর বের হতে হতে জাতীয় দলের এক খেলোয়াড় বললেন কথাটা সতীর্থকে। অনেক প্রেক্ষাপটেই এমন কিছু বলাটা সম্ভব, কারণ ক্রিকেট ও ক্রিকেটের তুমুল জনপ্রিয়তার সুবাদে খ্যাতির বিড়ম্বনার মুখে তাদেরই সবচেয়ে বেশি পড়তে হয়। তবে যে পরিস্থিতিতে এই মন্তব্যটি করা, সেখানে আকুতিটা ছিল খানিকটা সময়ের জন্যও ক্রিকেটার পরিচয় ছাপিয়ে সাধারণ মানুষ হিসেবে চলতে না পারার আক্ষেপ। 

একটা সময়ে বাংলাদেশের অলিখিত জাতীয় খেলা ছিল ফুটবল। ঘরোয়া ফুটবলে আবাহনী-মোহামেডান লড়াইয়ে নিয়ে যেসব অবিশ্বাস্য ঘটনার অবতারণা ঘটত, তা এখন রূপকথার গল্প বলেই মনে হবে। কারণ, ফুটবলের সেই সুদিন যে আর নেই। ক্রিকেট পরিণত হয়েছে এই দেশের জাতীয় খেলায়। ১৯৯৭ সালের সেই আইসিসি ট্রফি জয় দিয়ে যার শুরু। তাতে দিনকে দিন ক্রিকেট, ক্রিকেটার ও কিছু ক্ষেত্রে তাদের খেলোয়াড়ির পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনও হয়ে উঠেছে জনমানুষের আগ্রহের বিষয়বস্তু।


আরও পড়ুন: আত্নবিশ্বাসটাও ফিরে পাচ্ছেন সৌম্য


আর তাই ক্রিকেটাররা মাঠের বাইরে কী করেন, কোথায় যান, কী খান, কী করেন - এই ২০২৪ সালে এসে তা হয়ে ওঠে ‘কন্টেন্ট’! কেননা লোকেরা যা দেখতে চাইবে, আপনি তো তাদের সেটাও দেখাতে চাইবেন। তবে বলাবাহুল্য, এই দুইয়ের মেলবন্ধন সবসময় ক্রিকেটারদের জন্য খুব একটা সুখকর হয়ত হয় না। সব ক্রিকেটারই যে সেলেব্রিটি ট্যাগ গায়ে মেখে ঘুরতে পছন্দও করেন, তা নয় মোটেও। ফলে তাদের জন্য প্রায়ই নিজেদের এই কন্টেন্টের বিষয়বস্তু হয়ে ওঠাটা বিব্রতকর হয়ে ওঠে। 

গেল শুক্রবারের জুম্মাতেই ফিরে যাই। সকাল ১০টা থেকে অনুশীলন সেরে আজানের পর থেকে একে একে ক্রিকেটাররা মসজিদের দিকে যেতে থাকেন। কেউ পাঞ্জাবিতে, কেউ টি-শার্ট, আবার কয়েকজন অনুশীলনের জার্সি পড়েই৷ আর সেটা নিয়ে পড়ে গেল হুলস্থুল। পড়িমরি করে ছুটতে গিয়ে এক বেচারা ভীষণভাবে পড়ে আহতও হলেন, তবে উঠেই আবার কাজে লেগে পড়লেন। পেশাদারিত্ব তো একেই বলে!

খেলোয়াড়দের যাওয়ার পথে নানাভাবে ধারণ হল স্টেডিয়াম গেট থেকে মসজিদের গেট পর্যন্ত। কিছু খেলোয়াড় গতি বাড়িতে দিলেন, কেউ কেউ আবার নিচের দিকে তাকিয়ে এগিয়ে গেলেন। স্বাভাবিকভাবেই মসজিদে যাওয়া মুসল্লিরাও দ্রুতই চিনে ফেললেন ক্রিকেটারদের। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদরা তো ভীষণ চেনা মুখই। তাতে যা হল, মসজিদে প্রবেশ করতে করতে ক্যামেরার স্পটলাইট থেকে রক্ষা পেলেও ভেতরে গিয়ে সবার নজরবন্দী হওয়া শুরু হল তাদের।


Download Now

একজন দেখেন, তো আরেকজনকে তা ফিসফাস করে বলেন, তিনিই ঘুরে ঘুরে একটু তাকান। এই করে একটা পর্যায়ে হাতেগোনা কয়েকজন বাদে উপস্থিত সবাই একবারের জন্য হলেও দেখে নিলেন দেশের সেলেব্রিটি ক্রিকেটারদের। যত যাই বলুন না কেনো, আপনাকে সবাই ঘুরে ঘুরে দেখবে, সেটা কিছুটা হলেও আপনাকে অপ্রস্তুত করে দেবেই। সেই কারণেই কিনা, তাইজুল ইসলাম সুযোগ পেতেই সতীর্থদের লাইন থেকে এগিয়ে চলে গেলেন সামনের দিকে, বসলেন দুজন মুরুব্বি বয়স্ক ব্যক্তির সাথে৷ তাতে যা লাভ হল, ক্ষনিকের জন্য তিনিও হয়ে যান ‘সাধারণ মানুষ’। 

সব শ্রেণির মানুষের কাছে ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার কারণে মাঠের বাইরের জীবন কন্টেন্ট হয়ে যাওয়াটা যুগেরই চাহিদা, এটা মানতেই হবে। পাশাপাশি এটাও ঠিক, দিনশেষে তারা ক্রিকেটারই, মূলধারার মিডিয়া জগতের কেউ নন। ফলে প্রায় সবসময় ক্যামেরাবন্দী হওয়াটা তারা হয়ত উপভোগ করতে পারেন। আক্ষেপ আর হতাশা থেকেই নিজেদের সাধারণ মানুষ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন তারা৷ তবে সেটা কতোটা কাজে দেয় বা দেবে, সেটা এক বড় প্রশ্নই বটে।

ক্রিকেট থেকে আরও পড়ুন

No posts available.

bottom-logo

ক্রিকেট

পাকিস্তানের বিখ্যাত মোহাম্মদ পরিবারের বড় ভাইয়ের মৃত্যু

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮:০৯ পিএম

news-details

পাকিস্তানের মোহাম্মদ ভাইদের জ্যেষ্ঠ সদস্য ওয়াজির মোহাম্মদ আর নেই। দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যের বর্মিংহ্যাম শহরে বসবাসরত এই সাবেক ক্রিকেটার সোমবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। ওয়াজির মোহাম্মদের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম সামা টিভি।


পাকিস্তানের মোহাম্মদ ভাইদের গল্প ক্রিকেট ইতিহাসে কিংবদন্তির অংশ। হানিফ মোহাম্মদ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি পরিচিত, যার নামের পাশে লেখা আছে ৪৯৯ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস। সেই হানিফেরই বড় ভাই ছিলেন ওয়াজির মোহাম্মদ, যিনি নিজেও সম্মানিত ও সমাদৃত ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেটে।


পাকিস্তানের জার্সিতে ২০টি টেস্ট খেলেছেন ওয়াজির মোহাম্মদ। করেছেন ৮০১ রান। তাঁর ব্যাটিংয়ের টেকনিক ও দৃঢ়তা (সলিড ব্যাটিং) ছিল প্রশংসিত। ১৯৫০-৬০ দশকে পাকিস্তান ক্রিকেটের উত্থানে তাঁর অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ।


ওয়াজির মোহাম্মদের মৃত্যুতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট মহসিন নাকভি শোক প্রকাশ করেছেন। ক্রিকেটে তার অবদানের জন্য গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছেন তিনি।


মহসিন নাকভি এক শোকবার্তায় বলেন, 

‘পাকিস্তান ক্রিকেটে ওয়াজির মোহাম্মদের অবদান চিরস্মরণীয় থাকবে। আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁকে স্মরণ করি।’
bottom-logo

ক্রিকেট

পাকিস্তানের পাল্টা ঘূর্ণিতে চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৩ অক্টোবর ২০২৫, ৭:২৫ পিএম

news-details

লাহোরে দ্বিতীয় দিন সকালে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং। সেনুরান মাথুসামির ঘূর্ণি জাদুতে ইনংসের শেষ ১৬ রানে স্বাগতিকেরা হারায় ৫ উইকেট। বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েও প্রোটিয়া বাঁহাতি স্পিনারের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থেমে যায় ৩৭৮ রানে।


প্রথম দিন ইমাম-উল হকের পর আজ সেঞ্চুরির আক্ষেপ পুড়লেন অধিনায়ক সালমান আলি আগাও। ৫ উইকেটে ৩১১ থেকে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সালমান ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ১৬৩ রান। ৭৫ রানে রিজওয়ানকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মাথুসামি।


লোয়ার অর্ডারে নুমান আলি ও সাজিদ খান রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন। শাহিন শাহ আফ্রিদি ফেরেন ৭ রানে। একপ্রান্ত আগলে সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন সালমান। তবে অপরপ্রান্ত থেকে পাচ্ছিলেন না সঙ্গ। শেষ উইকেট হিসেবে প্রেনেলান সুব্রায়েনের শিকার হওয়ার আগে ৯৩ রান করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ১৪৫ বলে ৯৩ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। ইনিংসে ছিল ৩টি ছক্কা ও ৫টি চার। 


গতকাল ওপেনার ইমামও আউট হয়েছিলেন ৯৩ রানে। শান মাসুদ করেছিলেন ৭৬ রান। আজ রিজওয়ানও ফেরেন সত্তরের ঘরে। ৩২ ওভার বল করে ১১৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন মাথুসামি। টেস্টে এই বাঁহাতি স্পিনারের সেরা বোলিং ফিগার এখন এটি।


তবে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো অবস্থায় নেই দক্ষিণ আফ্রিকাও। ওপেনার রায়ান রিকেলটন (৭১) ও টনি ডি জর্জি ফিফটি করলেও দিন শেষে ২১৬ রান তুলতেই ৬ উইকেট নেই অতিথিদের। ৮১ রানে অপরাজিত আছেন জর্জি, ৬ রানে মাথুসামি। পাকিস্তানের ৯টি উইকেট নিয়েছেন প্রোটিয়া স্পিনাররা। পাল্টা ঘূর্ণি জাদুতে নাকাল হচ্ছে সফরকারীরাও। নুমান এরই মধ্যে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সাজিদ ও সালমান।

ক্রিকেট থেকে আরও পড়ুন

bottom-logo

ক্রিকেট

ছক্কার রেকর্ড গড়ে স্বর্ণার বিধ্বংসী ফিফটি

 
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা

১৩ অক্টোবর ২০২৫, ৭:১৩ পিএম

news-details

টুমি সেখুখুনের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে পয়েন্টের দিকে খেললেন স্বর্ণা আক্তার। দ্রুত ১ রান নিতে পড়ে গেলেন রান আউটের শঙ্কা। কিন্তু উইকেটরক্ষকের ভুলে উল্টো ওভারথ্রো থেকে তিনি পেয়ে গেলেন ২ রান। পৌঁছে গেলেন ব্যক্তিগত পঞ্চাশে, গড়লেন রেকর্ড। 


মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচে সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঝড় তুলেছেন স্বর্ণা আক্তার। মাত্র ৩৫ বলে তিনি খেলেছেন ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৩টি চারের সঙ্গে দুর্দান্ত শটে ৩টি ছক্কা মেরেছেন তরুণ অলরাউন্ডার।


এই ইনিংস খেলার পথে মাত্র ৩৪ বলে ফিফটি করেছেন স্বর্ণা। ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের ব্যাটারদের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। চলতি বছরের এপ্রিলেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯ বলে ফিফটি করেছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। ৬ মাসের মধ্যে সেই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন স্বর্ণা।


সব মিলিয়ে মেয়েদের ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়ান্দ্রা ডটিনের। ২০১৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ২০ বলে ফিফটি করেছিলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি।


এছাড়া ছক্কার রেকর্ডেও বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে নিজেকে সবার ওপরে তুলেছেন ১৮ বছর বয়সী ব্যাটার। তার আগে বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার ওয়ানডেতে এক ম্যাচে ৩টি ছক্কা মারতে পারেননি।


বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে এত দিন ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড ছিল জ্যোতির। ২০২৩ সালের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫১ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলার পথে ২টি ছক্কা মেরেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার এই রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছেন স্বর্ণা।


পাঁচ নম্বরে নামা স্বর্ণার তাণ্ডবে শেষ ৫ ওভারে ৫৭ রান পেয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৩২ রান। ওয়ানডে বিশ্বকাপে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। গত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা করেছিলে ৭ উইকেটে ২৩৪ রান। 


ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রয়েসয়ে মন্থর শুরু করে বাংলাদেশ। একাদশে ফেরা ফারজানা হক পিঙ্কি ৭৬ বলে ৩০ ও আরেক ওপেনার রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক ৫২ বলে করেন ২৫ রান। 


পরে দ্বিতীয় উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়েন জ্যোতি ও শারমিন আক্তার সুপ্তা। জ্যোতির ব্যাট থেকে ৪২ বলে ৩২ রান। সুপ্তা খেলেন ৭৭ বলে ৫০ রানের ইনিংস। 


এরপর পাঁচ নম্বরে নেমে তাণ্ডব চালান স্বর্ণা। যার সৌজন্যে এই প্রথম বিশ্বকাপে এক ইনিংসে দুই ফিফটি করার সাফল্য পায় বাংলাদেশ।

bottom-logo

ক্রিকেট

অফ স্পিন থেকে রহস্য স্পিনার হয়ে রুবেলের চমক

 
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা

১৩ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৪১ পিএম

news-details

গড়পড়তা অন্য অনেকের চেয়ে খানিক দেরিতেই স্বীকৃত ক্রিকেটে পথচলা শুরু মোহাম্মদ রুবেলের। বয়সের কাটা ২৯ পেরোনোর পর এই রহস্য স্পিনার খেললেন এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে। চট্টগ্রামের হয়ে নিজের প্রথম সংস্করণেই করলেন বাজিমাত। চট্টগ্রামের বিভাগের হয়ে ৮ ম্যাচে ৫.২১ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ১০ উইকেট। নজরকাড়া পারফরম্যান্সে হাতে তুলেছেন ‘মোস্ট প্রমিজিং ক্রিকেটার’ পুরস্কার। 


এই পর্যায়ে আসতে রুবেলকে অপেক্ষা করতে হয়েছে বেশ লম্বা সময়। ঢাকার দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে খেলেছেন প্রায় ৭ মৌসুম। তারপর সাধারণ অফ স্পিনার থেকে নিজেকে ভেঙে, গড়েছেন রহস্য স্পিনার হিসেবে। বদলে যাওয়ার ছাপ রেখেছেন এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও। অফ স্পিনের সঙ্গে ক্যারম বল, লেগ স্পিনের মিশেলের ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষাই নিয়েছেন।


চট্টগ্রাম ফাইনালে জায়গা করতে না পারলেও নিজেকে নিংড়ে দিয়ে রুবেল পেয়েছেন সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারের খেতাব। এনসিএলে শেষে ব্যক্তিগত সাফল্য, বোলিংয়ে পরিবর্তন, দ্বিতীয় বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগ লিগে সুযোগ তৈরি, সব মিলিয়ে একজন পেশাদার ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে টি স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলছেন রুবেল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ক্রিকেট করেসপন্ডেন্ট শাহাদাৎ আহমেদ সাহাদ


টি স্পোর্টস: শেষ থেকেই শুরু করি। প্রথমবার স্বীকৃত ক্রিকেট খেললেন। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতলেন। সব মিলিয়ে আপনার এই পথচলাটা কেমন ছিল? 

মোহাম্মদ রুবেল: এত বড় জায়গায় প্রথমবার খেলব। খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম। একইসঙ্গে আত্মবিশ্বাসীও ছিলাম, যদি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই তাহলে ভালো কিছু করতে পারব। 


অধিনায়ক থেকে শুরু করে দলের সবাই আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে। সিনিয়র ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ, সবার থেকে অনেক সাহস পেয়েছি। আমার যেহেতু প্রথমবার ছিল, এমন সমর্থন পাওয়ায় ভালো কিছু করাটা সহজ হয়ে গেছে। এটাই আমার জন্য বড় পাওয়া ছিল, এমন সহায়ক একটা দল।


Uploaded Image
ছবি সংগৃহীত



টি স্পোর্টস: এনসিএলের জন্য প্রস্তুতিটা কীভাবে নিয়েছেন?

রুবেল: এনসিএলের আগে চট্টগ্রামে এক মাসের ক্যাম্প হয়েছে। তখন থেকেই আমাকে অধিনায়ক বা সিনিয়র ক্রিকেটাররা বলেছেন, আমি শুরু থেকে এনসিএল খেলার সুযোগ পাব। তাই সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছি।


টি স্পোর্টস: চট্টগ্রাম দলে নাঈম হাসানের মতো অফ স্পিনার আছেন। সচরাচর দুজন অফ স্পিনার একসঙ্গে খেলে না। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দলের পক্ষ থেকে কেমন বার্তা পেয়েছিলেন? 

রুবেল: আমার ট্যাগটা অফ স্পিনার ঠিক আছে, তবে আমি ভ্যারিয়েশন একটু বেশি ব্যবহার করি। গতানুগতিক অফ স্পিনের মতো করি না। এ কারণে হয়তো সুযোগটা একটু বেশি ছিল। নাঈম অফ স্পিনার হিসেবে খেলবে আর আমি অনেকটা মিস্ট্রি স্পিনারের মতো। সেরকমভাবেই আমাকে বলে রেখেছিল। আমিও সেভাবে প্রস্তুত হয়েছি। সেই হিসেব করেই খেললাম। 


প্রথম ম্যাচে উইকেট ১টা পেয়েছি, তবে মাত্র ১৬ রান দিয়েছি। সেই ম্যাচের পরই আসলে আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে গেছে। সেখান থেকে চেষ্টা করেছি যত ভালো করা যায়। রাজশাহীর বিপক্ষে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলাম। অধিনায়কও আমার ওপর খুব আস্থা রেখেছেন, যখন প্রয়োজন আমি বল করতে পারব। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া। প্রথম বছর খেলতে এসেই এই ভরসাটা দিতে পেরেছি, ভালো কিছু করেছি।

 

Uploaded Image
ছবি সংগৃহীত



টি স্পোর্টস: একটু পেছনে ফিরি। বছরের শুরুতে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগে ১৫ ম্যাচে ৪৩ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন। তারপর চট্টগ্রামের রিজিওনাল টি-টোয়েন্টিতে ১৫ উইকেট নিয়ে আবার টপ হলেন। এবার এনসিএলেও ভালো করলেন। বছরটা কী নিজের মনে হচ্ছে?

রুবেল: ২০২৫ সালটা অবশ্যই সব দিক দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে। শুধু এই বছর বলব না, ২০২৩-২৪ মৌসুমের সেকেন্ড ডিভিশন থেকেই সামনের দিকে আছি। সেবার ১৬ ম্যাচে ৩৭ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে ছিলাম। তারপর ২০২৪-২৫ মৌসুমে ফার্স্ট ডিভিশনেও সর্বোচ্চ উইকেট। চট্টগ্রামের রিজিওনাল টি-টোয়েন্টিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো গেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার এনসিএলও খেললাম।


টি স্পোর্টস: যেটা বলছিলেন, আপনি অনেক বৈচিত্র্য ব্যবহার করেন বোলিংয়ে। এনসিএলেও আমরা দেখলাম ক্যারম বল করছেন, একই অ্যাকশনে লেগ স্পিন করছেন। এসব রপ্ত করলেন কীভাবে?

রুবেল: আমি আগে নরমাল অফ স্পিনই করতাম। কিন্তু ২০২৩-২৪ মৌসুমের সেকেন্ড ডিভিশন শুরুর ২ মাস আগে আমার মনে হলো, যদি নরমাল অফ স্পিনই করি, তাহলে বেশি ওপরে খেলতে পারব না। একটা জায়গায়ই আটকে থাকতে হবে। তাই একটু ভিন্ন চিন্তা করলাম, ভ্যারিয়েশন আনার কথা ভাবলাম। 


তো ওই মোটামুটি ২ মাসের মধ্যেই আমি সব রপ্ত করি। ক্যারম বল, লেগ স্পিন, ব্যাক স্পিন- যা কিছুই পারি, ২ মাসের মধ্যেই সব কিছু আয়ত্তে এনেছি। তারপর সেকেন্ড ডিভিশনে গিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হলাম। আর ফার্স্ট ডিভিশনে খেললাম। তারপর থেকে আল্লাহর রহমতে চলছে।


টি স্পোর্টস: রহস্য স্পিনার হওয়াটা তো সবসময়ই ঝুঁকির ব্যাপার...

রুবেল: আমি টানা ৭ বছর সেকেন্ড ডিভিশন লিগ খেলেছি। তেমন খারাপ করতাম না। ভালো ইকোনমি রেটে প্রতি বছর ২০-২১ উইকেট হয়তো নিতাম। তবে কখনও টপে থাকতে পারতাম না। এখন ভালো জায়গায় খেলতে তো ঝুঁকি নিতে হবে। 


তাই ভাবলাম, ঝুঁকি নিয়েই দেখি। সফল হলে তো ভালো। নইলে আগের জায়গায়ই ফিরে যাব। এই চিন্তা থেকেই ২ মাসে সব ট্রাই করলাম। এখন পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ সব কিছু আমার নিয়ন্ত্রণে আছে।


টি স্পোর্টস: রহস্য স্পিনারদের ক্ষেত্রে প্রায়ই একটা জিনিস দেখা যায় যে, অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। বাংলাদেশের সঞ্জিত সাহা দ্বীপ, আলিস আল ইসলাম বা বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার সুনিল নারাইনকেও অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন শুনতে হয়েছে। আপনি কখনও এসবের সম্মুখীন হয়েছেন?

রুবেল: এখন পর্যন্ত বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সেভাবে কারো থেকে কিছু শুনতে হয়নি। রহস্য স্পিনার হওয়ায় এই ঝুঁকিটা আছে আমি জানি। সামনে আরো যত বড় জায়গায় খেলব, আরো বেশি খুঁটিয়ে দেখা হবে হয়তো। এ ছাড়া অনেকে আবার ঈর্ষাবশতও অনেক কথা বলে। 


তবে আমি সব কিছুর জন্যই আমি প্রস্তুত আছি। কখনো যদি প্রশ্নের মুখে পড়ি, তাহলে পরীক্ষা দিয়ে আবার আসব। যতক্ষণ পর্যন্ত জানি যে, আমার বোলিং অ্যাকশন ঠিক আছে, ততক্ষণ আমার কোনো ভয় বা চিন্তা নেই। সামনে যা আসুক, ওভারকাম করতে পারব। 


টি স্পোর্টস: আপনার বয়স এরই মধ্যে ২৯ পেরিয়ে গেছে। তুলনামূলক বেশ দেরিতে স্বীকৃত ক্রিকেটে পথচলা শুরু করলেন। এর আগের পথটা কেমন ছিল?

রুবেল: চট্টগ্রামে শতাব্দী ক্রিকেট একাডেমিতে আবু বকর সিদ্দিক ভাইয়ের কোচিংয়ে আমার শুরু। ২০১২ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ বয়সভিত্তিক ট্রায়ালে গিয়েছিলাম। তখন বয়সের কারণে বাদ পড়ে যাই। তারপর বকর ভাইয়ের কাছে যাই। তখনও চট্টগ্রামে ফার্স্ট ডিভিশন, সেকেন্ড ডিভিশন কিছুই খেলিনি। একদম নতুন ছিলাম। টেপ টেনিস খেলতাম। ক্রিকেট বলে সেভাবে খেলিনি। 


শতাব্দী একাডেমিতে যাওয়ার পর বকর ভাই আমার প্রতিভা দেখেই হয়তো সরাসরি চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার লিগে নিয়ে নেন। তখন থেকেই মূলত আমার শুরু। চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার লিগে বড় বড় প্লেয়াররা খেলতেন। তাদের সঙ্গে খেলে সিরিয়াস ক্রিকেটটা শুরু।




টি স্পোর্টস: চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার ক্রিকেটে কবে এলেন?

রুবেল: শুরুতে আমি আসলে ব্যাটার ছিলাম। ২০১৪-১৫ মৌসুমের চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার লিগে আমি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছিলাম। আমার এক বড় ভাই আছেন, তিনি বললেন, ‘তুই তো প্রিমিয়ার লিগে ভালো খেলছিস, তোকে আমি ঢাকায় নিয়ে যাব।’ ২০১৫-১৬ মৌসুমে আমি সেকেন্ড ডিভিশনের ক্লাব মিরপুর বয়েজ ক্রিকেট ক্লাবে যাই। প্রথমে ট্রায়াল নেয়। কিন্তু সেখানে তাদের পছন্দ হয়নি। বেশি বল খেলার সুযোগও পাইনি নেটে।


আমাকে অন্য আরেকটা দল থেকেও বলছিল। তবে মিরপুর বয়েজে চট্টগ্রামের আরো ৫-৬ জন থাকায় সেখানেই যাই। ট্রায়ালে বাদ দেওয়ার পর বড় ভাইরা ক্লাবের কর্মকর্তাদের বললেন, ‘ভাই ওরে বাদ দিয়েন না। প্রয়োজনে একটা প্র‍্যাকটিস ম্যাচ খেলান। ভালো খেললে রাখবেন। খারাপ খেললে তো নেই।’ ওনারা সিনিয়র প্লেয়ার ছিলেন সেই দলের, তাই ওনাদের কথা রাখলেন। 


তারপর ফতুল্লার আউটার মাঠে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলি। সেদিন ৬ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিই। আবার ব্যাটিংয়ে সাত নম্বরে নেমে ১৭ বলে করি ৪৫ রান। সেখান থেকেই ঢাকা লিগে শুরু। এখন সম্পর্কটা এমন হয়ে গেছে, মিরপুর বয়েজ দলটা সাজাতে আমার অনেক ইনপুট থাকে। ক্লাবের কর্তারা অনেক ভরসা করে আমার ওপর। 


২০২৩-২৪ মৌসুমে যখন সর্বোচ্চ উইকেট নিলাম, তখন ক্লাবের কর্তারাই আমাকে বললেন, তুই যেহেতু সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছিস, সেকেন্ড ডিভিশন আর খেলিস না। এবার ফার্স্ট ডিভিশন খেল। সর্বোচ্চ উইকেট পাইছিস, এখন ফার্স্ট ডিভিশন দলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবি।


টি স্পোর্টস: প্রথম বিভাগে তো শুধু ম্যাচই খেললেন না, আবারও সবার ওপরে ছিলেন...

রুবেল: সেকেন্ড ডিভিশন শেষ হওয়ার পর আমাকে ৫-৬টা দল থেকে কল করেছে। তুলনামূলক দ্বিগুণ টাকাও দেবে বলেছে। তবে দলের পরিবেশ ও বাকি সব কিছু মিলিয়ে অর্ধেক টাকায় গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমিতে খেলতে রাজি হয়ে যাই। দলের পরিবেশই মূল। সেটা ভালো পাওয়ায় পারফরম্যান্সও ভালো হলো। সেখান থেকেই এখন আলহামদুলিল্লাহ চলছে।


টি স্পোর্টস: স্বীকৃত ক্রিকেটে প্রথম টুর্নামেন্টে ভালো করলেন। সামনের সময় নিয়ে কী ভাবছেন?

রুবেল: সামনে তো এখন এনসিএলের চার দিনের টুর্নামেন্ট আছে। দলে সুযোগ পেলে অবশ্যই ভালো করার চেষ্টা করব। আর বিপিএল খেলার ইচ্ছা তো সবারই থাকে। যদি প্লেয়ার্স ড্রাফটে নাম থাকে, কোনো দলে সুযোগ পাই, তাহলে আত্মবিশ্বাস আছে ভালো করার। নিজের সবটা দিয়েই চেষ্টা করব।

bottom-logo

ক্রিকেট

ফলোঅনে পড়ে উল্টো লিড নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৩ অক্টোবর ২০২৫, ৬:২২ পিএম

news-details

ভারতের বিপক্ষে রুখে দাঁড়ানোর চেয়েও বরং বলা যেতে পারে দিল্লিতে সম্মান বাঁচানোর কাজটা ভালোভাবে সেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলোঅনে পড়ে উল্টো লিড নিয়েছেন রোস্টন চেজেরা।


আজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯০ রানে অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচ জিততে তাতে ভারতের প্রয়োজন পড়ে ১২১ রান। চতুর্থ দিনে সিরিজ জয়ের অর্ধেক কাজ সেরে ফেলেছে স্বাগতিকরা। দিন শেষে ভারতের স্কোর ৬৩/১।


ক্রিজে রয়েছেন লোকেশ রাহুল (২৫*) ও সাই সুদর্শন (৩০*)। মঙ্গলবার শেষ দিনে জেতার জন্য ভারতের প্রয়োজন আর মাত্র ৫৮ রান।


চতুর্থ দিনের খেলায় ভারতের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৯৭ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলকে ইনিংস হার থেকে বাঁচানোর পথে জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন।


এদিন সেঞ্চুরি করে ব্যক্তিগত ১১৫ রানে ফেরেন ক্যাম্পবেল। ১২টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। ক্যাম্পবেল ফিরলেও আরও বেশ কিছুক্ষণ ক্রিজে ছিলেন হোপ। লিড পাওয়ার পর দলীয় ২৭১ রানে আউট হন এই ব্যাটার। তার আগে খেলেন ১০৩ রানের ইনিংস। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১২টি চার ও ২টি ছয়।


ক্যাম্পবেল দলীয় ২১২ রানে ফেরার পর হোপ ফেরেন ২৭১ রানে। এরপরই মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজের পতন শুরু হয়। ২৯৩ রান থেকে ৩১১ রান পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে, যার তিনটিই ছিল কুলদীপ যাদবের।


প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের পর ভারতের এই লেগ স্পিনার দ্বিতীয় ইনিংসে নেন আরও তিনটি।


সফরকারীরা যেখানে ৩২০ রানের মধ্যে গুটিয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে হাল ধরেন জেইডন সিলস। প্রায় ৮২ মিনিটের মতো টিকে থেকে ৩২ রান করেন এই পেসার। জেইডনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯০ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে ১২১ রানের লিড নিতে পারে তাঁরা।


জবাব দিতে নেমে দলীয় ৯ রানে যশস্বী জয়সওয়ালকে হারায় ভারত। তবে শেষ বিকেলে আর কোনো উইকেট পড়েনি। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ভারতের স্কোর ৬৩/১। ক্রিজে রয়েছেন কে এল রাহুল (২৫*) ও সাই সুদর্শন (৩০*)। আগামীকাল নতুন দিন শুরু করবে স্বাগতিকরা।

bottom-logo