আবারও ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠলেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইয়ানিক সিনার। সেমি-ফাইনালে ফেলিক্স অগার আলিয়াসিমকে ৬-১, ৩-৬, ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারিয়ে টানা পঞ্চম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে উঠলেন এই ইতালিয়ান তারকা। আর চলতি মৌসুমে এটি তার চতুর্থ ফাইনাল।
টেনিসের উন্মুক্ত যুগে এক আসরে সবকয়টি গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে ওঠা চতুর্থ খেলোয়াড় সিনার। তার আগে এই কীর্তি গড়েন রড লেভার (১৯৬৯), রজার ফেদেরার (২০০৬-০৭ ও ২০০৯) এবং নোভাক জোকোভিচ (২০১৫, ২০২১ ও ২০২৩)।
আরও পড়ুন
আলকারাজের সামনে পাত্তাই পেলেন না জোকোভিচ |
![]() |
নিউ ইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে শনিবার সকালে কানাডার ২৫ নম্বর বাছাই ফেলিক্সের বিপক্ষে শুরুর সেটে দাপট দেখিয়ে ৬-১ গেমে জিতে যান সিনার।
দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাঁড়ান ফেলিক্স। ৬-৩ গেমে সেট জিতে সমতা আনেন তিনি। এরপর ফেলিক্স কে আর কোন সুযোগ দেননি সিনার। ব্রেক করে জিতেছেন পরের দুইটি সেট।
ম্যাচের পর সিনার বলেন, 'আজকের দিনটা অনেক বিশেষ। আবারও দারুণ এক ফাইনাল হতে যাচ্ছে, অসাধারণ একটি মৌসুম যাচ্ছে।'
এই জয়ে গ্র্যান্ড স্ল্যামে সবশেষ ৩৪ ম্যাচের ৩৩টি জয় এবং হার্ড কোর্টে টানা ২৭টি জয়ের রেকর্ড গড়লেন। ফাইনালে উঠে সিনারের সামনে এখন টানা দুটি ইউএস ওপেন জেতার হাতছানি। ২০০৮ সালে রজার ফেদেরারের পর আর কেউ ইউএস ওপেনে টানা চ্যাম্পিয়ন হয়নি।
শিরোপা লড়াইয়ে সিনারের প্রতিপক্ষ কার্লোস আলকারাজ। প্রথম সেমিফাইনালে নোভাক জোকোভিচকে সরাসরি সেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন ২২ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ তারকা।
আরও পড়ুন
ফাইনালে সাবালেঙ্কার মুখোমুখি আনিসিমোভা |
![]() |
এ নিয়ে এই মৌসুমে তৃতীয়বারের মতো কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন আলকারাজ ও সিনার।
গ্র্যান্ড স্ল্যামের ইতিহাসে একই মৌসুমে প্রথমবারের মতো দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে তিনটি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগে রোলাঁ গারোঁ ফাইনালে জিতেছিলেন আলকারাজ আর উইম্বলডনের শিরোপা জিতেছিলেন সিনার।
No posts available.
নিউ ইয়র্কের কার্ড কোর্টে আবারও রাজত্ব দেখালেন কার্লোস আলকারাজ। ২২ বছর বয়সেই দ্বিতীয়বারের মতো জিতলেন ইউএস ওপেনের ট্রফি। ফাইনালে চার সেটের লড়াইয়ে হারালেন ইতালির ইয়ানিক সিনারকে। এ জয়ের মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা নিজের করে নেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরের আসনও পুনরুদ্ধার করলেন এই স্প্যানিশ তারকা।
জয়ের পর টেনিস বিশ্লেষক ও সাবেক গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী ম্যাটস ভিলান্ডার আলকারাজকে ভাসালেন প্রশংসায়। তাঁর মতে, আলকারাজের খেলায় কোনো দুর্বলতা নেই। বরং বয়স, ফিটনেস ও খেলার মান বিবেচনায় ভবিষ্যতে রজার ফেদেরারের ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড ছোঁয়ার মতো সামর্থ্য রাখেন তিনি।
আলকারাজ প্রসঙ্গে ভিলান্ডার বলেন, ‘আমি মনে করি ও আরও অনেক জিতবে। প্রশ্ন হলো- সেটা কি ফেদেরার, নোভাক জোকোভিচ বা রাফায়েল নাদালের সমান হবে? ২০টা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারবে? আমার মনে হয় এর যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।’
বর্তমানে পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জিতেছেন জোকোভিচ (২৪)। এরপর আছেন নাদাল (২২) ও ফেদেরার (২০)। আলকারাজ এখন পর্যন্ত মাত্র ছয়টি শিরোপা জিতেছেন। তবে তাঁর বয়স ও ধারাবাহিকতা বিবেচনায় টেনিস বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সময়টা কেবল তাঁরই।
২০২৫ সালে এ পর্যন্ত চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মধ্যে দুটি জিতেছেন আলকারাজ- ফ্রেঞ্চ ওপেন ও ইউএস ওপেন। অন্য দুটি জিতেছেন তাঁরই সমসাময়িক প্রতিদ্বন্দ্বী সিনার, যিনি ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত চারটি শিরোপা জিতেছেন। মৌসুমজুড়ে দুজনই বাকি সবার চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবে ফ্লাশিং মিডোর ফাইনালে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও, সেদিন স্পষ্টতই এগিয়ে ছিলেন আলকারাজ।
ভিলান্ডার বলেন, ‘সে এতটাই মনোযোগী ছিল, ভুল প্রায় করেনি বললেই চলে। সার্ভ যেমন ছিল, তাতে কোনো দুর্বলতা চোখে পড়েনি। ভয়ংকর ব্যাপার হলো- সে এখনো এত তরুণ। সিনারকেও আমি এগিয়ে ভাবছিলাম, কিন্তু আলকারাজ যখন ফর্মে থাকে, তখনই সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়।’
এই জয়ে আলকারাজ আবারও শুরু করলেন বিশ্ব এক নম্বর হিসেবে তাঁর পঞ্চম মেয়াদ। সব মিলিয়ে ৩৭ সপ্তাহ ধরে তিনি শীর্ষে অবস্থান করছেন। ভিলান্ডারের মতে, আলকারাজ শুধু অসাধারণ টেনিস খেলোয়াড়ই নন, তিনি ভদ্র, বিনয়ী ও প্রাণবন্ত একজন প্রতিনিধি, যিনি টেনিসকে আরও জনপ্রিয় করে তুলছেন।
আলকারাজকে দারুণ এক অ্যাম্বাসেডর উল্লেখ করে ভিলান্ডার বলেন, ‘সে সব জায়গায় দারুণ। স্থির, নম্র, তরুণ এবং খেলায় আনন্দ খুঁজে নেয়। ছোটবেলা থেকেই একই কোচিং টিমের সঙ্গে আছে। এ কারণেই সে টেনিসের জন্য এক অসাধারণ দূত।’
ভিলান্ডারের মতে, সিনার ও আলকারাজের দ্বৈরথ টেনিসকে আগামী দিনে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। তিন যোগ করেন, ‘তারা দুজনেই জানে টেনিস দুনিয়া এখন তাদের হাতে। অনেক বছর ধরে তারা গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা ভাগাভাগি করবে।’
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৫১ এম
আরও একটি কার্লোস আলকারাজ-ইয়ানিক সিনার ফাইনাল। আরও একটি দারুণ ম্যাচ। যেখানে প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত সিনারকে পেছনে ফেলে ইউএস ওপেনের শিরোপা জিতলেন আলকারাজ।
নিউ ইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে রোববার রাতের ফাইনালে সিনারকে ৬-২, ৩-৬, ৬-১, ৬-৪ গেমে হারিয়ে ফাইনাল ম্যাচটি নিজের করে নেন স্প্যানিশ তারকা।
ফাইনাল ম্যাচটি দেখতে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগমনে পুরো স্টেডিয়াম নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়ার জন্য ৩০ মিনিট দেরিতে শুরু হয় খেলা।
গ্যালারিতে বসে এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের নাম্বার ওয়ান খেলোয়াড় ইতালিয়ান সিনারের পরাজয় দেখেন ট্রাম্প। ইউএস ওপেনে আলকারাজের এটি দ্বিতীয় শিরোপা আর সব মিলিয়ে ষষ্ঠ গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা।
মাত্র ২২ বছর ১২৫ দিন বয়সে ৬টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে উন্মুক্ত যুগে দ্বিতীয় কনিষ্ঠ খেলোয়াড় আলকারাজ। তার চেয়ে কম বয়সে ৬টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন শুধু বিয়র্ন বর্গ।
এ নিয়ে চলতি বছরের চারটি গ্র্যান্ড স্লাম নিজেদের মধ্যেই ভাগাভাগি করলেন সিনার ও আলকারাজ। এর আগে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছিলেন আলকারাজ। আর সিনারের হাতে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও উইম্বলডন ট্রফি।
সব মিলিয়ে সবশেষ ৮টি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপাই ভাগাভাগি করেছেন সিনার ও আলকারাজ। দুজনের মধ্যে এর চেয়ে বেশি শিরোপা ভাগাভাগির ঘটনা দেখা গেছে আর একবার। ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদাল জিতেছিলেন ১১টি গ্র্যান্ড স্লাম।
ফাইনালে ২ ঘণ্টা ৪২ মিনিটের লড়াই জিতে প্রায় দুই বছর আবার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ফিরছেন আলকারাজ। টানা ৬৫ সপ্তাহ এক নম্বরে থাকার পর নেমে যাচ্ছেন সিনার।
বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম শুরু হওয়ার আগেও এই আলোচনাই হচ্ছিল, এবারও কি আলকারাজ-সিনারের ধ্রুপদী লড়াই? টেনিসের ‘বিগ থ্রি’ এখন অতীত। হার্ড কোর্ট, ক্লে কোর্ট, ঘাসের কোর্ট-সবখানেই আলকারাজ-সিনারের দ্বৈরথ। শেষ পর্যন্ত ঘটলও তাই।
এক নম্বর তারকা ইয়ানিক সিনার আরো একবার শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে লড়বেন কার্লোস আলকারাজের বিপক্ষে। আজ রাতে ইউএস ওপেনের পুরুষ এককের ফাইনালে লড়বেন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিনার কি শিরোপা ধরে রাখতে পারবেন? নাকি নিউইয়র্কের ফ্লাশিং মিডোসে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামটি জিতে নিবেন আলকারাজ?
শুধু চলতি বছরে এ পর্যন্ত পাঁচটি ফাইনালে দেখা হয়েছে আলকারাজ ও সিনারের। এর মধ্যে দুই গ্র্যান্ড স্লাম- ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডনে কাব্যিক দুই ফাইনাল দেখেছে ভক্তরা। তবে চার ফাইনালের মধ্যে ফ্রেঞ্চ ওপেন, এটিপি মাস্টার্স সিনিসিটি ও রোমে সিনারকে হারিয়ে ট্রফি জেতেন স্প্যানিশ তারকা আলকারাজ। তাঁকে হারিয়ে উইম্বলডন জেতেন ইতালিয়ান তারকা সিনার।
আরও পড়ুন
নভেম্বরে পাকিস্তানের মাঠে প্রথম ত্রিদেশীয় সিরিজ |
![]() |
এ বছরের চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালের তিনটিতেই খেলছেন আলকারাজ-সিনার। ফেঞ্চ ওপেনের পাঁচ সেটের ঐতিহাসিক ফাইনালে প্রত্যাবর্তনের মহাকাব্য লিখে ক্যারিয়ারের পঞ্চম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে নেন আলকারাজ। তারপর গত জুলাইয়ে উইম্বলডনের ফাইনালে আলকারাজকে হারিয়ে সেই হারের প্রতিশোধ নেন সিনার। ১-১ সমতায়, এবার ফাইনালের লড়াইয়ে নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ তাঁদের।
সিনারের ইউএস ওপেনের প্রস্তুতিতে ব্যঘাত ঘটে সিনসিনাটিতে ওপেনের ফাইনালে। অসুস্থতার কারণে আলকারাজের বিপক্ষে ম্যাচটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ২৪ বছর বয়সী ইতালিয়ান। তবে ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ড থেকেই দারুণ ছন্দে তিনি। ইউএস ওপেনের এবারের আসরে মাত্র একটি সেট জিততে পারেননি চারবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী।
ফাইনালের আগে সিনারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বছরের তৃতীয়বারের মতো আলকারাজের মুখোমুখি হওয়াটা কি কিছুটা একঘেয়েমির? চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে লড়াইকে নিজের সীমাবদ্ধতা অতিক্রমের সুযোগ বলছেন সিনার,
‘আমি এই চ্যালেঞ্জগুলো ভালোবাসি। নিজেকে এই অবস্থানে রাখতেই বেশি পছন্দ করি। সে এমন একজন, যে আমার সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে দেয়, যেটা দারুণ। কারণ তখনই আপনি একজন খেলোয়াড় হিসেবে যাচাই করতে পারবেন।’
আরও পড়ুন
একুয়েডর ম্যাচে আর্জেন্টিনার একাদশে তিন পরিবর্তনের আভাস |
![]() |
সিনার আরো বলেন,
‘আমরা সম্প্রতি অনেকবার মুখোমুখি হয়েছি, তাই অনেক কিছুই এখন বদলে যাচ্ছে।’
সিনারের সঙ্গে দ্বৈরথের অনুপ্রেরণা টেনিসের ‘বিগ থ্রি’ থেকে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আলকারাজ। এবারের ইউএস ওপেনে একটি সেটেও হারেননি স্প্যানিশ তারকা। সিনারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা নিয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা আলকারাজ বলেন,
‘সিনার এবং আমি এখন লড়ছি এক নম্বর হওয়ার জন্য। আমাদের লড়াই গ্র্যান্ড স্ল্যামের জন্য। আমরা এরই মধ্যে এ বছরে দুটি ফাইনাল খেলেছি, কিছু মাস্টারস ১০০০ ফাইনালও। আমরা টেনিসের বড় অর্জনের জন্য লড়াই করছি, আমি মনে করি এটিই একটি অসাধারণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করে।’
দাপুটে পারফরম্যান্সে ইউএস ওপেনে বিরল কীর্তি গড়লেন আরিনা সাবালেঙ্কা। নারী এককের ফাইনালে আমান্ডা আনিসিমোভাকে ৬-৩, ৭-৬ (৩) গেমে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ইউএস ওপেন শিরোপা জিতলেন বিশ্বের নাম্বার ওয়ান টেনিস তারকা।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ড কোর্টের এই গ্র্যান্ড স্লামে প্রায় ১১ বছর পর ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন হলেন কেউ। সবশেষ ২০১৪ সালে এই কীর্তি গড়েছিলেন টেনিস কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামস।
সেরেনার পাশে বসার পাশাপাশি গ্র্যান্ড স্লাম ক্যারিয়ারে ১০০তম জয় পাওয়ার আনন্দেও ভেসেছেন বেলারুশ তারকা সাবালেঙ্কা। চলতি বছর এটিই তার প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফ্রেঞ্চ ওপেনে ফাইনালে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় সাবালেঙ্কার। আর এবার পরপর দুই ফাইনালে হারলেন আনিসিমোভা। উইম্বলডন ফাইনালে তাকে ৬-০, ৬-০ গেমে হারিয়েছিলেন ইগা শিয়াটেক।
ফ্ল্যাশিং মিডোতে হওয়া ফাইনালের দ্বিতীয় সেটে চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট পাওয়া মাত্রই হার্ড কোর্টে হাঁটু ভেঙে বসে পড়েন সাবালেঙ্কা। এসময় আবেগের স্রোতে ভেসে যান বেলারুশ তারকা। তার চোখেমুখে ছিল স্বস্তির ছাপ।
পরে অনুভূতি জানাতে গিয়েও স্বস্তির কথা বলেন নাম্বার ওয়ান তারকা।
“আমার মতে, চলতি বছরের আগের ফাইনালগুলোর (হারের) কারণে এবারের অনুভূতি বিশেষ। এবার মনে হচ্ছে, শিরোপা জিততে আমাকে অনেক কিছু অতিক্রম করে আসতে হয়েছে। যে পরিমাণ পরিশ্রম করেছি, এই বছর একটি গ্র্যান্ড স্লাম আমার প্রাপ্য ছিল।”
সেই মিশনে সাবালেঙ্কার কাজ মোটেও সহজ ছিল না। কারণ আনিসিমোভার বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে ৩-৬ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলেন সাবালেঙ্কা। সবশেষ উইম্বলডনের সেমি-ফাইনালে আনিসিমোভার কাছেই হেরেছিলেন তিনি।
সেসব পেছনে ফেলে ৩৮ মিনিটের প্রথম সেটে দাপুটে জয়ই পায় সাবালেঙ্কা। দ্বিতীয় সেটেও ৫-৪ গেমে এগিয়ে ছিলেন তিনি। তখন তার একটি ভুলের সুযোগে সেটটি টাইব্রেকারে নিয়ে যান আনিসিমোভা। সেখানে আর ভুল করেননি সাবালেঙ্কা।
বয়স তো আর কম হলো না। শরীর যদি সায় না দেয়, মনের জোরে কত দূরই আর যাওয়া যায়। টেনিস ইতিহাসের সর্বকালের সেরাদের সঙ্গে লড়ে রেকর্ড ২৪ বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন ৩৮ বছর বয়সী নোভাক জোকোভিচ। তবে ক্যারিয়ারের সোনালি সেই সময় যে পেছনে ফেলে এসেছেন, সেটা মানতেই কষ্ট হচ্ছে সার্বিয়ান কিংবদন্তির।
আজ ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে হেরে জোকোভিচের জন্য ২৫ নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যামটা হয়ে রইল, ‘কত কাছে, তবু কত দূরে।’বর্তমান সময়ের সেরা দুই তারকা কার্লো আলকারাজ আর ইয়ানিক সিনারের সামনে পড়লেই খেই হারাতে হচ্ছে জোকোভিচকে। সবশেষ আট গ্র্যান্ড স্ল্যামের পাঁচটিতেই এই দু’জনের মুখোমুখি হয়ে হারতে হয়েছে তাঁকে।
তারুণ্যে কাছে হার মানাটাই এখন যেন নিয়তি জোকোর। আলকারাজের কাছে ৬-৪, ৭-৬ (৭-৪), ৬-২ গেমে হারের পর শরীরের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পারার কথা বললেন তিনি,
‘কোয়ার্টার ফাইনালের পরও বলেছিলাম, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমার শরীরকে এমন অবস্থায় নিয়ে যেতে, যাতে দীর্ঘ সময় ধরে খেলার সক্ষমতা থাকে। কিন্তু এবার সেটা যথেষ্ট ছিল না। পরিস্থিতি এমন, ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে অনেক কিছ্ইু আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। যতদূর পারি করে যাচ্ছি ।’
আরও পড়ুন
বাদ পড়া শ্রেয়াসকে 'এ' দলের অধিনায়ক করল ভারত |
![]() |
আলকারাজ কিংবা সিনারের মতো তরুণদের বিপক্ষে পাঁচ সেটে লড়ে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়েছে সেটা অকপটেই স্বীকার করেন জোকোভিচ,
‘আমার মনে হয়, তিন সেটের ম্যাচে তাদের বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে, কিন্তু পাঁচ সেটে সেটা কঠিন হয়ে যায়।’
তবে দৃঢ় মানসিকতার অধিকারী জোকোভিচ যে হাল ছাড়ার পাত্র নন সেটা তো সবারই জানা। অন্তত আর একটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি,
‘আমি গ্র্যান্ড স্লাম থেকে এখনও পিছিয়ে আসছি না। আমি লড়াই চালিয়ে যাব এবং আরেকটি ট্রফির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাব। যদিও এটা কঠিন হবে।’
আরও পড়ুন
এশিয়ান কাপে খেলার আশা শেষ বাংলাদেশের |
![]() |
শেষ পর্যন্ত রেকর্ড সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম স্পর্শ করা হবে কি জোকোভিচের? ইংলিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই স্পোর্টসের টেনিস বিশেষজ্ঞ জোনাথন ওভারএন্ডের মতে সেটা কঠিনই,
‘জোকোভিচ চেষ্টা চালিয়ে যাবেন ২৫ নম্বর গ্র্যান্ড স্লামের জন্য। কিন্তু এক একটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শেষ হওয়ার সঙ্গে সেটা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’
টেনিস কিংবদন্তি মার্টিনা নাভ্রাতিলোভাও বয়সের কথাই বললেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও সাফল্যের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় বয়স নামক প্রতিবন্ধকতা। নাভ্রাতিলোভা বলেন,
‘বয়স বাড়লে এমনই হয়। আপনি ঠিকঠাক খেলছেন, কৌশল ঠিক, কিন্তু দেখা গেল এমন একটা শট মিস করলেন যেটা ১০ বছর আগেও চোখ বুজে মারতে পারতেন। এটা সত্যিই হতাশাজনক।’