১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬:৫২ পিএম

নারীদের টেনিসে ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণের বিপক্ষে সরব আরিনা সাবালেঙ্কা। নারীদের জন্য ‘জৈবিকভাবে পুরুষ’ খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলা ন্যায়সঙ্গত নয় বলে মন্তব্য করেছেন টেনিসের বিশ্বের এক নম্বর র্যাঙ্কধারী বেলারুশিয়ান তারকা।
আজ ব্রিটিশ উপস্থাপক পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবালেঙ্কা বলেন,
‘ট্রান্সজেন্ডাররা এখনো নারীদের তুলনায় বড়সড় সুবিধা পায়। নারীদের জন্য এটা ন্যায়সঙ্গত নয়।’
তিনি আরও বলেন,
'একজন নারী সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। তারপর তাকে এমন কারও মুখোমুখি হতে হয় যে জৈবিকভাবে আরও শক্তিশালী- খেলাধুলায় এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’
উইমেনস টেনিস ফেডারেশনের (ডব্লিউটিএ) নীতিমালা অনুযায়ী, ডব্লিউটিএ ট্যুরে ট্রান্সজেন্ডার নারীরা খেলতে পারেন কিছু শর্তে- কমপক্ষে চার বছর নারী পরিচয় ঘোষণা, টেস্টোস্টেরন কমানো, এবং নিয়মিত মেডিকেল পরীক্ষা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেশাদার টেনিসে অবশ্য ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড় দেখা যায়নি। তবে ১৯৭৭–৮১ সালে রেনে রিচার্ডস নারী সার্কিটে খেলেছিলেন। পরে মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার কোচ হিসেবেও কাজ করেন। ১৮টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী কিংবদন্তি নাভ্রাতিলোভা নারীদের খেলায় ট্রান্সজেন্ডারদের অন্তর্ভুক্তির প্রকাশ্য বিরোধী।
গত বছর ব্রিটেনের লন টেনিস অ্যাসোসিয়েশন জাতীয় ও আন্তঃক্লাব প্রতিযোগিতায় ট্রান্সজেন্ডার নারীদের নিষিদ্ধ করে। গত দুই বছরে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাও পুরুষ কৈশোর অতিক্রম করা অ্যাথলেটদের নারী বিভাগে অংশগ্রহণে সীমাবদ্ধতা দিয়েছে।
No posts available.

৩০ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল জাতীয় টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা। সাত দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতার ভেন্যু ছিল পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়াম। কিন্তু খেলোয়াড়দের প্র্যাকটিসের ভেন্যুর সীমাবদ্ধতার কথা চিন্তা করে টুর্ণামেন্ট পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। কারণ একই ভেন্যুতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। যে কারণে আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা।
প্রতিযোগিতা ৯ দিন পেছানোর পাশাপশি এবার টুর্ণামেন্ট শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-৯, ১১, ১৩, ১৫ এবং ১৭ বালক এবং বালিকাদের সিঙ্গেলস র্যাংকিং টুর্ণামেন্টের মাধ্যমে। প্রতিযোগিতার প্রথম ২ দিন, তথা ৯ ও ১০ জানুয়ারি বালক ও বালিকাদের কেবল সিংগেলস র্যাংকিং অনুষ্ঠিত হবে। অনূর্ধ্ব ১৯ এর নীচে বাংলাদেশের জাতীয় কোন র্যাংকিং নেই।
১১ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮ দিন অনূর্ধ্ব ১৯ বালক-বালিকা এবং সিনিয়র পুরুষ- মহিলাদের মধ্যে সর্বমোট ১৪ টি ইভেন্টে খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সিনিয়র ক্যাটাগরিতে ৭টি ইভেন্ট এবং জুনিয়র (অনূর্ধ্ব ১৯) ক্যাটাগরিতে ৭টি ইভেন্ট। এগুলো হলো- পুরুষ দলগত, পুরুষ একক, পুরুষ দ্বৈত, মহিলা দলগত, মহিলা একক, মহিলা দ্বৈত, মিশ্র দ্বৈত।
জুনিয়র (অনূর্ধ্ব ১৯) ক্যাটাগরিতে বালক ও বালিকা বিভাগের মধ্যে ইভেন্ট হবে- বালক একক, বালক দ্বৈত, বালক দলগত, বালিকা একক, বালিকা দ্বৈত, বালিকা দলগত এবং মিশ্র দ্বৈত।
জাতীয় টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় বালক বিভাগের শীর্ষ ৮ জন খেলোয়াড় সিনিয়র ক্যাটাগরিতে পুরুষদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবে। বালিকাদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সংখ্যার কোন সীমাবদ্ধতা নেই, অর্থাৎ যে কোনো বয়সি বালিকারা সিনিয়র ক্যাটাগরিতে খেলার সুযোগ পাবেন।
জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার খেলোয়াড় কর্মকর্তাবৃন্দ যাতায়াত ভাতা (নিজ জেলার থেকে নন-এসি পরিবহনের প্রকৃত ভাড়া) দৈনিক ভাতা বাবদ ফেডারেশন কতৃর্ক নির্ধারিত টাকা পাবেন। যে সব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন- জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, শিক্ষা বোর্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয়। সার্ভিসেস দলসমূহ- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, বাংলাদেশ জেল পুলিশ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, বিকেএসপি, বাংলাদেশ রেলওয়ে, বিআরটিসি, বিটিএমসি, পল্লী বিদ্যুৎ, কাস্টমস।
প্রতিযোগিতায় এন্ট্রি পাঠানোর শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর, বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত। আরও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে হবে ফেডারেশনের সঙ্গে।

ইতালির দুইবারের ফ্রেঞ্চ ওপেন চ্যাম্পিয়ন নিকোলা পিয়েত্রানজেলি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
আজ সোমবার এক বিবৃতিতে নিকোলার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ইতালিয়ান টেনিস ফেডারেশন (এফআইটিপি)।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে,
‘ইতালীয় টেনিস এক কিংবদন্তির মৃত্যুতে শোকাহত। ওয়ার্ল্ড টেনিস হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া একমাত্র ইতালীয় নিকোলা পিয়েত্রানজেলি মারা গেছেন।’
ক্লে কোর্টের বিশেষজ্ঞ এই খেলোয়াড় ক্যারিয়ারে ৪৮টির মতো শিরোপা জিতেছেন। তিনি ডেভিস কাপে রেকর্ড ১৬৪টি ম্যাচ খেলেছেন, যার মধ্যে ১২০টি ম্যাচে জয় পেয়েছেন। ১৯৭৬ সালের ডেভিস কাপজয়ী দলেও ছিলেন নিকোলা।
ইতালিয়ান ওপেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,
‘দুঃখের সঙ্গে নিকোলাকে বিদায় জানাচ্ছি আমরা। তিনি ছিলেন এক সত্যিকারের লেজেন্ড।’

চোটের কারণে ডেভিস কাপ ফাইনাল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা কার্লোস আলকারাজ। সোমবার ইন্সটাগ্রামে এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ইতালির বোলোনিয়ায় আজ ফ্রান্স-বেলজিয়ামের ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ডেভিস কাপ। বৃহস্পতিবার কোয়ার্টার-ফাইনালে চেক রিপাবলিকের মুখোমুখি হবে স্পেন। সেই ম্যাচে স্পেনের হয়ে খেলার কথা ছিল আলকারাজের।
গত রোববার এটিপি ফাইনালে ইয়ানিক সিনারের কাছে ৭-৬ (৭-৪), ৭-৫ ব্যবধানে হেরে যান আলকারাজ। ম্যাচে ডান হ্যামস্ট্রিংয়ে ফোলাভাব অনুভব করেন ২২ বছর বয়সি এই তারকা।
ইন্সটাগ্রামে পোস্টে আলকারাজ লিখেছেন,
“বোলোনিয়ায় স্পেনের হয়ে ডেভিস কাপে খেলতে পারব না। আমার ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে (ইসকিউটিবিয়াল) ফোলা ধরা পড়েছে এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ হলো এখন প্রতিযোগিতায় না নামা। সবসময়ই বলেছি, স্পেনের হয়ে খেলা সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয়। তবে এবার দলকে ‘এনসালাদেরা’ জেতার লড়াইয়ে সাহায্য করতে না পারায় সত্যিই কষ্ট পাচ্ছি। ব্যথিত মন নিয়ে বাড়ি ফিরছি।”
স্প্যানিশ টেনিস ফেডারেশন জানায়, সিনারের বিপক্ষে প্রথম সেট চলাকালীন উরুর পিছনে ব্যথা অনুভব করেন আলকারাজ। সোমবার তিনি স্পেনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যোগ দিলেও মেডিকেল টেস্টে তার হ্যামস্ট্রিংয়ে মাংসপেশির টান ও ফোলাভাব পাওয়া যায়।
চলতি বছর ফ্রেঞ্চ ওপেন ও ইউএস ওপেন জিতে আলকারাজের গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়। গত সপ্তাহে এটিপি ফাইনালের নক-আউটে ওঠার মাধ্যমে বছরশেষের বিশ্ব এক নম্বর স্থান নিশ্চিত করেন তিনি।
ডেভিস কাপে ইতালির দলে নেই বিশ্বের দুই নম্বর তারকা ইয়ানিক সিনার। আগামী মৌসুমের প্রস্তুতির জন্য নাম প্রত্যাহার করেছেন তিনি।

সময়ের দুই সেরা তারকার ফাইনাল ম্যাচে লড়াই জমিয়েও বারবার শেষে গিয়ে ধরা খেলেন কার্লোস আলকারাজ। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরও একবার সরাসরি সেটে ম্যাচ জিতে নিলেন ইয়ানিক সিনার। একইসঙ্গে জিতলেন এটিপি ফাইনালস শিরোপা।
ইতালির তুরিনে রোববার রাতে এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দুই তারকার ফাইনালে সিনারের জয় ৭-৬ (৭-৪) ও ৭-৫ গেমে। পুরো আসরে অপরাজিত থেকেই এটিপি ফাইনালসে নিজের শিরোপা ধরে রাখলেন ২৪ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান তারকা।
সব মিলিয়ে ইনডোর হার্ড কোর্টে টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত রইলেন সিনার। সবশেষ এই ফাইনাল জিতে তিনি পেলেন ৫০ লাখ ডলারের অর্থ পুরস্কার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৬১ কোটি টাকার বেশি।
আলকারাজের বিপক্ষে ফাইনালে ছয়বারের দেখায় এ নিয়ে দুইবার জিতলেন সিনার। সব মিলিয়ে দুই জনের মুখোমুখি ১৬ ম্যাচে সিনারের এটি ষষ্ঠ জয়।
আরও পড়ুন
| ম্যারাথন ফাইনাল জিতে জোকোভিচের ইতিহাস |
|
টেনিসে চলতি বছরের পুরোটাতেই ছিল সিনার ও আলকারাজের দাপট। দুজন মিলে জিতেছেন মোট ১৪টি শিরোপা। এমনকি বছরের চারটি গ্র্যান্ড স্লামও নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন ইতালিয়ান ও স্প্যানিয়ার্ড দুই তারকা।
২০২৫ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও উইম্বলডন জিতেছেন সিনার। আলকারাজের হাতে উঠেছে ফ্রেঞ্চ ওপেন ও ইউএস ওপেনের ট্রফি।
এটিপি ফাইনালস জিতলেও অবশ্য বছর শেষের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ফিরে পাননি সিনার। এই জায়গায় এক নম্বরেই রইলেন আলকারাজ।
সব মিলিয়ে ২০২৫ সালে ৬টি শিরোপা জিতেছেন সিনার। যা তার ক্যারিয়ারে এক বছরে দ্বিতীয় সেরা। এ বছর খেলা ১২টি টুর্নামেন্টের মধ্যে ১০টিতেই ফাইনালে উঠেছেন তিনি। অথচ ডোপিংয়ের দায়ে বছরের শুরু তিন মাস নিষিদ্ধ ছিলেন এই ইতালিয়ান।

প্রায় ৩ ঘণ্টার দীর্ঘ লড়াইয়ে লরেন্সো মুসেত্তিকে হারিয়ে হেলেনিক চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছেন নোভাক জোকোভিচ। যার সৌজন্যে এটিপি ট্যুরের উন্মুক্ত যুগের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ডও গড়েছেন সার্বিয়ান তারকা।
অ্যাথেন্সে শনিবারের ফাইনালে মুসেত্তিকে ৪-৬, ৬-৩ ও ৭-৫ গেমে হারান জোকোভিচ। দুই শীর্ষ বাছাই খেলোয়াড়ের মধ্যে লড়াইটি চলে ২ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট ধরে।
এটিপি ট্যুর ক্যারিয়ারে জোকোভিচের এটি ১০১তম শিরোপা। এই তালিকায় রজার ফেদেরারের চেয়ে মাত্র ২ শিরোপা দূরে জোকোভিচ। আর ১০৯ শিরোপা নিয়ে সবার ওপরে জিমি কনরস।
হার্ড কোর্টের রেকর্ডে ফেদেরারকে এরই মধ্যে পেছনে ফেলে দিয়েছেন জোকোভিচ। এটি তার ৭২তম শিরোপা। এতদিন ৭১ শিরোপা নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন ফেদেরার ও জোকোভিচ।
প্রথম সেটে জোকোভিচকে ৪-৬ গেমে হারিয়ে লিড নেন মুসেত্তি। তবে ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেননি শীর্ষ বাছাই এই তারকা। দ্বিতীয় সেটে ৬-৩ গেমে জেতেন। পরে টাইব্রেকারে যাওয়া তৃতীয় সেট ৭-৫ গেমে নিজের করে নেন তিনি।
তবে এথেন্সে চ্যাম্পিয়ন হলেও তুরিনের এটিপি ফাইনালসে খেলবেন না জোকোভিচ। কাঁধের চোটের কারণে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সার্বিয়ান তারকা। ফলে তার জায়গায় সুযোগ পাচ্ছেন রানার্স-আপ হওয়া মুসেত্তি।