টেনিস

বিদেশে বিকেএসপির টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭:০৬ পিএম

news-details

৪০ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ১৩ টেবিল টেনিস খেলোয়াড় চীন থেকে দেশে ফিরেছেন।  চীন ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার অ্যাডভান্স ট্রেনিং এর আওতায় উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন তারা। 


প্রশিক্ষণ দলের সদস্যরা ছিলেন- জয় ইসলাম, নাফিজ ইসলাম, আবুল হাসেম হাসিব, মো. তাহমিদুর রহমান, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. মাহাতাবুর রহমান, মুসরাত জান্নাত সিগমা, আসমা খাতুন, নুসরাত জাহান অনন্যা, হাবিবা খাতুন, খৈ খৈ সাই মারমা ও রেশমী। আর প্রশিক্ষক হিসেবে  ছিলেন বিকেএসপির কোচ  ইসরাত জাহান নাহিমা। 


মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুনীরুল ইসলাম উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা টেবিল টেনিস দলের সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সংস্থাটির মহাপরিচালক সবার খোঁজখবর নেন।


চীনের হুনান প্রদেশের ভোকেশনাল কলেজে গত ২৮ জুলাই থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় প্রশিক্ষণ ক্যাম্পটি।  প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় বহন করে চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন এজেন্সি।

No posts available.

bottom-logo

টেনিস

সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে দেশ ছাড়া জোকোভিচ

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:০৬ পিএম

news-details

সার্বিয়ায় ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে দেশই ছাড়তে হলো সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচের।


আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন, সার্বিয়া ছেড়ে পরিবারসহ গ্রিসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন জোকোভিচ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নভি সাদ শহরের একটি রেলস্টেশনে ছাদ ধসে ১৬ ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি এবং ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেন।


জোকোভিচ তাঁর ১১ বছর বয়সী ছেলে স্তেফান এবং ৮ বছর বয়সী মেয়ে তারাকে গ্রিসের রাজধানী অ্যাথেন্সে অবস্থিত সেন্ট লরেন্স কলেজে ভর্তি করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সমুদ্রের ধারে একটি বাড়িও কিনেছেন। গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জোকো, যা তাঁকে গ্রিসে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেবে।


আরও পড়ুন

টানা দুই হ্যাটট্রিকে ভুটান লিগে উজ্জ্বল শামসুন্নাহার টানা দুই হ্যাটট্রিকে ভুটান লিগে উজ্জ্বল শামসুন্নাহার


প্রতিবাদের পক্ষে সাহসী অবস্থান- ২০২৪ সালের নভি সাদ রেলস্টেশন ট্র্যাজেডির পর সার্বিয়ার ছাত্ররা দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে। জোকোভিচ সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে এই আন্দোলনের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানান।


অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয় এক আহত ছাত্রকে উৎসর্গও করেন জোকোভিচ। বেলগ্রেডে একটি বাস্কেটবল ম্যাচে ‘স্টুডেন্টস আর চ্যাম্পিয়নস’ লেখা সোয়েটার পরে উপস্থিত হন। এ ছাড়া তিনি আন্দোলনের সময়কার কিছু ইমোশনাল ছবি ইতিবাচক বার্তাসহ সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন, যা ব্যাপক সাড়া ফেলে।


আরও পড়ুন

বিসিসিআই প্রধান ‘হচ্ছেন না’ শচীন বিসিসিআই প্রধান ‘হচ্ছেন না’ শচীন


নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জোকোভিচ লেখেন, 

‘আমি যুবসমাজের শক্তি এবং তাদের ভালো ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষায় গভীরভাবে বিশ্বাস করি। তাদের কণ্ঠস্বর শোনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার্বিয়ার সম্ভাবনা অপরিসীম, আর এর শিক্ষিত যুবক-যুবতীরাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের প্রয়োজন বোঝাপড়া এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা। তোমাদের পাশে আছি – নোভাক।”


জোকোভিচের এই অবস্থানের কারণে তাঁকে এখন সার্বিয়ান সরকারের বিরাগভাজন হতে হয়েছে। এক সময় যিনি ছিলেন দেশের গর্ব, এখন তিনি সরকারের চোখে বিতর্কিত ব্যক্তি। তবে তাতে জোকোভিচের অবস্থান বদলায়নি—তিনি বিশ্বাস করেন, সত্য ও ন্যায়ের পাশে দাঁড়ানো একজন ক্রীড়াবিদের দায়িত্ব।

bottom-logo

টেনিস

ফেদেরারের রেকর্ড ভাঙতে প্রস্তুত ‘ভয়ঙ্কর’ আলকারাজ

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:৫৪ পিএম

news-details

নিউ ইয়র্কের কার্ড কোর্টে আবারও রাজত্ব দেখালেন কার্লোস আলকারাজ। ২২ বছর বয়সেই দ্বিতীয়বারের মতো জিতলেন ইউএস ওপেনের ট্রফি। ফাইনালে চার সেটের লড়াইয়ে হারালেন ইতালির ইয়ানিক সিনারকে। এ জয়ের মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা নিজের করে নেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরের আসনও পুনরুদ্ধার করলেন এই স্প্যানিশ তারকা।


জয়ের পর টেনিস বিশ্লেষক ও সাবেক গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী ম্যাটস ভিলান্ডার আলকারাজকে ভাসালেন প্রশংসায়। তাঁর মতে, আলকারাজের খেলায় কোনো দুর্বলতা নেই। বরং বয়স, ফিটনেস ও খেলার মান বিবেচনায় ভবিষ্যতে রজার ফেদেরারের ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড ছোঁয়ার মতো সামর্থ্য রাখেন তিনি।


আলকারাজ প্রসঙ্গে ভিলান্ডার বলেন, ‘আমি মনে করি ও আরও অনেক জিতবে। প্রশ্ন হলো- সেটা কি ফেদেরার, নোভাক জোকোভিচ বা রাফায়েল নাদালের সমান হবে? ২০টা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারবে? আমার মনে হয় এর যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে।’


বর্তমানে পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জিতেছেন জোকোভিচ (২৪)। এরপর আছেন নাদাল (২২) ও ফেদেরার (২০)। আলকারাজ এখন পর্যন্ত মাত্র ছয়টি শিরোপা জিতেছেন। তবে তাঁর বয়স ও ধারাবাহিকতা বিবেচনায় টেনিস বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সময়টা কেবল তাঁরই।


২০২৫ সালে এ পর্যন্ত চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মধ্যে দুটি জিতেছেন আলকারাজ- ফ্রেঞ্চ ওপেন ও ইউএস ওপেন। অন্য দুটি জিতেছেন তাঁরই সমসাময়িক প্রতিদ্বন্দ্বী সিনার, যিনি ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত চারটি শিরোপা জিতেছেন। মৌসুমজুড়ে দুজনই বাকি সবার চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবে ফ্লাশিং মিডোর ফাইনালে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও, সেদিন স্পষ্টতই এগিয়ে ছিলেন আলকারাজ।


ভিলান্ডার বলেন, ‘সে এতটাই মনোযোগী ছিল, ভুল প্রায় করেনি বললেই চলে। সার্ভ যেমন ছিল, তাতে কোনো দুর্বলতা চোখে পড়েনি। ভয়ংকর ব্যাপার হলো- সে এখনো এত তরুণ। সিনারকেও আমি এগিয়ে ভাবছিলাম, কিন্তু আলকারাজ যখন ফর্মে থাকে, তখনই সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়।’


এই জয়ে আলকারাজ আবারও শুরু করলেন বিশ্ব এক নম্বর হিসেবে তাঁর পঞ্চম মেয়াদ। সব মিলিয়ে ৩৭ সপ্তাহ ধরে তিনি শীর্ষে অবস্থান করছেন। ভিলান্ডারের মতে, আলকারাজ শুধু অসাধারণ টেনিস খেলোয়াড়ই নন, তিনি ভদ্র, বিনয়ী ও প্রাণবন্ত একজন প্রতিনিধি, যিনি টেনিসকে আরও জনপ্রিয় করে তুলছেন।


আলকারাজকে দারুণ এক অ্যাম্বাসেডর উল্লেখ করে ভিলান্ডার বলেন, ‘সে সব জায়গায় দারুণ। স্থির, নম্র, তরুণ এবং খেলায় আনন্দ খুঁজে নেয়। ছোটবেলা থেকেই একই কোচিং টিমের সঙ্গে আছে। এ কারণেই সে টেনিসের জন্য এক অসাধারণ দূত।’


ভিলান্ডারের মতে, সিনার ও আলকারাজের দ্বৈরথ টেনিসকে আগামী দিনে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।  তিন যোগ করেন, ‘তারা দুজনেই জানে টেনিস দুনিয়া এখন তাদের হাতে। অনেক বছর ধরে তারা গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা ভাগাভাগি করবে।’

bottom-logo

টেনিস

ব্লকবাস্টার ফাইনালে সিনারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন আলকারাজ

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৫১ এম

news-details

আরও একটি কার্লোস আলকারাজ-ইয়ানিক সিনার ফাইনাল। আরও একটি দারুণ ম্যাচ। যেখানে প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত সিনারকে পেছনে ফেলে ইউএস ওপেনের শিরোপা জিতলেন আলকারাজ।


নিউ ইয়র্কের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে রোববার রাতের ফাইনালে সিনারকে ৬-২, ৩-৬, ৬-১, ৬-৪ গেমে হারিয়ে ফাইনাল ম্যাচটি নিজের করে নেন স্প্যানিশ তারকা। 


ফাইনাল ম্যাচটি দেখতে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগমনে পুরো স্টেডিয়াম নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়ার জন্য ৩০ মিনিট দেরিতে শুরু হয় খেলা।


গ্যালারিতে বসে এটিপি র‍্যাঙ্কিংয়ের নাম্বার ওয়ান খেলোয়াড় ইতালিয়ান সিনারের পরাজয় দেখেন ট্রাম্প। ইউএস ওপেনে আলকারাজের এটি দ্বিতীয় শিরোপা আর সব মিলিয়ে ষষ্ঠ গ্র‍্যান্ড স্লাম শিরোপা। 


মাত্র ২২ বছর ১২৫ দিন বয়সে ৬টি গ্র‍্যান্ড স্লাম জিতে উন্মুক্ত যুগে দ্বিতীয় কনিষ্ঠ খেলোয়াড় আলকারাজ। তার চেয়ে কম বয়সে ৬টি গ্র‍্যান্ড স্লাম জিতেছেন শুধু বিয়র্ন বর্গ।


এ নিয়ে চলতি বছরের চারটি গ্র‍্যান্ড স্লাম নিজেদের মধ্যেই ভাগাভাগি করলেন সিনার ও আলকারাজ। এর আগে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছিলেন আলকারাজ। আর সিনারের হাতে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও উইম্বলডন ট্রফি।


সব মিলিয়ে সবশেষ ৮টি গ্র‍্যান্ড স্লাম শিরোপাই ভাগাভাগি করেছেন সিনার ও আলকারাজ। দুজনের মধ্যে এর চেয়ে বেশি শিরোপা ভাগাভাগির ঘটনা দেখা গেছে আর একবার। ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদাল জিতেছিলেন ১১টি গ্র‍্যান্ড স্লাম।


ফাইনালে ২ ঘণ্টা ৪২ মিনিটের লড়াই জিতে প্রায় দুই বছর আবার র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ফিরছেন আলকারাজ। টানা ৬৫ সপ্তাহ এক নম্বরে থাকার পর নেমে যাচ্ছেন সিনার।


bottom-logo

টেনিস

সিনারের পাঁচ না আলকারাজের ছয়

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৫৯ পিএম

news-details

বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম শুরু হওয়ার আগেও এই আলোচনাই হচ্ছিল, এবারও কি আলকারাজ-সিনারের ধ্রুপদী লড়াই? টেনিসের ‘বিগ থ্রি’ এখন অতীত। হার্ড কোর্ট, ক্লে কোর্ট, ঘাসের কোর্ট-সবখানেই আলকারাজ-সিনারের দ্বৈরথ। শেষ পর্যন্ত ঘটলও তাই। 


এক নম্বর তারকা ইয়ানিক সিনার আরো একবার শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে লড়বেন কার্লোস আলকারাজের বিপক্ষে। আজ রাতে ইউএস ওপেনের পুরুষ এককের ফাইনালে লড়বেন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিনার কি শিরোপা ধরে রাখতে পারবেন? নাকি নিউইয়র্কের ফ্লাশিং মিডোসে বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামটি জিতে নিবেন আলকারাজ?


শুধু চলতি বছরে এ পর্যন্ত পাঁচটি ফাইনালে দেখা হয়েছে আলকারাজ ও সিনারের। এর মধ্যে দুই গ্র্যান্ড স্লাম- ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডনে কাব্যিক দুই ফাইনাল দেখেছে ভক্তরা। তবে চার ফাইনালের মধ্যে ফ্রেঞ্চ ওপেন, এটিপি মাস্টার্স সিনিসিটি ও রোমে সিনারকে হারিয়ে ট্রফি জেতেন স্প্যানিশ তারকা আলকারাজ। তাঁকে হারিয়ে উইম্বলডন জেতেন ইতালিয়ান তারকা সিনার। 


আরও পড়ুন

নভেম্বরে পাকিস্তানের মাঠে প্রথম ত্রিদেশীয় সিরিজ নভেম্বরে পাকিস্তানের মাঠে প্রথম ত্রিদেশীয় সিরিজ


এ বছরের চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালের তিনটিতেই খেলছেন আলকারাজ-সিনার। ফেঞ্চ ওপেনের পাঁচ সেটের ঐতিহাসিক ফাইনালে প্রত্যাবর্তনের মহাকাব্য লিখে ক্যারিয়ারের পঞ্চম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে নেন আলকারাজ। তারপর গত জুলাইয়ে উইম্বলডনের ফাইনালে আলকারাজকে হারিয়ে সেই হারের প্রতিশোধ নেন সিনার। ১-১ সমতায়, এবার ফাইনালের লড়াইয়ে নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ তাঁদের।


সিনারের ইউএস ওপেনের প্রস্তুতিতে ব্যঘাত ঘটে সিনসিনাটিতে ওপেনের ফাইনালে। অসুস্থতার কারণে আলকারাজের বিপক্ষে ম্যাচটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ২৪ বছর বয়সী ইতালিয়ান। তবে ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ড থেকেই দারুণ ছন্দে তিনি। ইউএস ওপেনের এবারের আসরে মাত্র একটি সেট জিততে পারেননি চারবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী।


ফাইনালের আগে সিনারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বছরের তৃতীয়বারের মতো আলকারাজের মুখোমুখি হওয়াটা কি কিছুটা একঘেয়েমির? চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে লড়াইকে নিজের সীমাবদ্ধতা অতিক্রমের সুযোগ বলছেন সিনার, 

‘আমি এই চ্যালেঞ্জগুলো ভালোবাসি। নিজেকে এই অবস্থানে রাখতেই বেশি পছন্দ করি। সে এমন একজন, যে আমার সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে দেয়, যেটা দারুণ। কারণ তখনই আপনি একজন খেলোয়াড় হিসেবে যাচাই করতে পারবেন।’


আরও পড়ুন

একুয়েডর ম্যাচে আর্জেন্টিনার একাদশে তিন পরিবর্তনের আভাস একুয়েডর ম্যাচে আর্জেন্টিনার একাদশে তিন পরিবর্তনের আভাস


সিনার আরো বলেন, 

‘আমরা সম্প্রতি অনেকবার মুখোমুখি হয়েছি, তাই অনেক কিছুই এখন বদলে যাচ্ছে।’


সিনারের সঙ্গে দ্বৈরথের অনুপ্রেরণা টেনিসের ‘বিগ থ্রি’ থেকে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আলকারাজ। এবারের ইউএস ওপেনে একটি সেটেও হারেননি স্প্যানিশ তারকা। সিনারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা নিয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা আলকারাজ বলেন, 

‘সিনার এবং আমি এখন লড়ছি এক নম্বর হওয়ার জন্য। আমাদের লড়াই গ্র্যান্ড স্ল্যামের জন্য। আমরা এরই মধ্যে এ বছরে দুটি ফাইনাল খেলেছি, কিছু মাস্টারস ১০০০ ফাইনালও। আমরা টেনিসের বড় অর্জনের জন্য লড়াই করছি, আমি মনে করি এটিই একটি অসাধারণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করে।’
bottom-logo

টেনিস

সেঞ্চুরি করে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ চ্যাম্পিয়ন সাবালেঙ্কা

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:০৯ এম

news-details

দাপুটে পারফরম্যান্সে ইউএস ওপেনে বিরল কীর্তি গড়লেন আরিনা সাবালেঙ্কা। নারী এককের ফাইনালে আমান্ডা আনিসিমোভাকে ৬-৩, ৭-৬ (৩) গেমে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ইউএস ওপেন শিরোপা জিতলেন বিশ্বের নাম্বার ওয়ান টেনিস তারকা।


যুক্তরাষ্ট্রের হার্ড কোর্টের এই গ্র‍্যান্ড স্লামে প্রায় ১১ বছর পর ব্যাক টু ব্যাক চ্যাম্পিয়ন হলেন কেউ। সবশেষ ২০১৪ সালে এই কীর্তি গড়েছিলেন টেনিস কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামস। 


সেরেনার পাশে বসার পাশাপাশি গ্র‍্যান্ড স্লাম ক্যারিয়ারে ১০০তম জয় পাওয়ার আনন্দেও ভেসেছেন বেলারুশ তারকা সাবালেঙ্কা। চলতি বছর এটিই তার প্রথম গ্র‍্যান্ড স্লাম। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ।


এর আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফ্রেঞ্চ ওপেনে ফাইনালে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় সাবালেঙ্কার। আর এবার পরপর দুই ফাইনালে হারলেন আনিসিমোভা। উইম্বলডন ফাইনালে তাকে ৬-০, ৬-০ গেমে হারিয়েছিলেন ইগা শিয়াটেক।


ফ্ল্যাশিং মিডোতে হওয়া ফাইনালের দ্বিতীয় সেটে চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট পাওয়া মাত্রই হার্ড কোর্টে হাঁটু ভেঙে বসে পড়েন সাবালেঙ্কা। এসময় আবেগের স্রোতে ভেসে যান বেলারুশ তারকা। তার চোখেমুখে ছিল স্বস্তির ছাপ।


পরে অনুভূতি জানাতে গিয়েও স্বস্তির কথা বলেন নাম্বার ওয়ান তারকা।

“আমার মতে, চলতি বছরের আগের ফাইনালগুলোর (হারের) কারণে এবারের অনুভূতি বিশেষ। এবার মনে হচ্ছে, শিরোপা জিততে আমাকে অনেক কিছু অতিক্রম করে আসতে হয়েছে। যে পরিমাণ পরিশ্রম করেছি, এই বছর একটি গ্র‍্যান্ড স্লাম আমার প্রাপ্য ছিল।”

সেই মিশনে সাবালেঙ্কার কাজ মোটেও সহজ ছিল না। কারণ আনিসিমোভার বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে ৩-৬ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলেন সাবালেঙ্কা। সবশেষ উইম্বলডনের সেমি-ফাইনালে আনিসিমোভার কাছেই হেরেছিলেন তিনি। 


সেসব পেছনে ফেলে ৩৮ মিনিটের প্রথম সেটে দাপুটে জয়ই পায় সাবালেঙ্কা। দ্বিতীয় সেটেও ৫-৪ গেমে এগিয়ে ছিলেন তিনি। তখন তার একটি ভুলের সুযোগে সেটটি টাইব্রেকারে নিয়ে যান আনিসিমোভা। সেখানে আর ভুল করেননি সাবালেঙ্কা।


bottom-logo