বিজয় দিবস টেনিস প্রতিযোগিতার ফাইনালে পুরুষ এককে আর্মি অফিসার্স ক্লাবের জারিফ আবরার ৪-৬, ৬-১, ৬-২ গেমে আমেরিকান ক্লাবের মো: রুস্তম আলীকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতেন। পুরুষ দ্বৈতে আমেরিকান ক্লাবের মো: রুস্তম আলী ও মিলন হোসেন জুটি ৬-৩, ৭-৬ গেমে পাশা’র হানিফ মুন্না ও মাহাদি হাসান আলভিকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। মেয়েদের এককে বিকেএসপির হালিমা জাহান ৬-২, ৬-১ গেমে বিকেএসপির সুবর্না খাতুনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
নারী দ্বৈতে ঝালকাঠি টেনিস ক্লাবের সুস্মিতা সেন ও সুমাইয়া আক্তার জুটি ৬-১, ৭-৫ গেমে বিকেএসপির সুবর্না খাতুন ও জান্নাত ফেরদৌসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। বালক এককে (অনূর্ধ্ব-১৮) বিকেএসপির কাব্য গায়েন ৭-৬, ৬-২ জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সের মো: সায়েমকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বালিকা এককে (অনূর্ধ্ব-১৮) বিকেএসপির হালিমা হাজান ৬-৩, ৬-৩ গেমে বিকেএসপির জান্নাতুন ফেরদৌস মিতুকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। বালক এককে (অনূর্ধ্ব-১৪) বিকেএসপির কাব্য গায়েন ৭-৬, ৬-২ গেমে প্রো টেনিস একাডেমীর মো: আকাশ হোসেনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বালিকা এককে (অনুর্ধব-১৪) মাদারীপুর টেনিস ক্লাবের জান্নাত হাওলাদার ৬-১, ৬-১ গেমে প্রো টেনিস একাডেমীর মাসতুরা আফরিনকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
এবারের প্রতিযোগিতায় মোট ৮টি ইভেন্টে জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স, বিকেএসপি, অফিসার্স ক্লাব, ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব, গুলশান ইয়ুথ ক্লাব, উত্তরা ক্লাব , ইঞ্জিনিয়ার্স রিক্রিয়েশন সেন্টার, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্স - রাজশাহী, নওগাঁ টেনিস ক্লাব, সিলেট টেনিস ক্লাব, নরসিংদী টেনিস ক্লাব, ঝালকাঠি টেনিস ক্লাব, মাদারীপুর টেনিস ক্লাব, নেত্রকোনা টেনিস ক্লাব, সেনাবাহিনী অফিসার্স ক্লাব, নরডিক ক্লাব, আমেরিকান ক্লাব, ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব, ডাচ ক্লাব, বাগেরহাট টেনিস ক্লাব, পুলিশ মেস অফিসার্স ক্লাব, আজিমপুর কমিউনিটি সেন্টার টেনিস ক্লাব, বোট ক্লাব, উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব, মুন্সীগঞ্জ টেনিস ক্লাব, গুলশান ক্লাব, কাস্টমস ক্লাব, প্রো টেনিস একাডেমি, ইমপেক্ট টেনিস একাডেমি, বাগেরহাট টেনিস ক্লাব মোট ৩০ টি ক্লাব/ সংস্থা হতে মোট ২১০ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করছে।
প্রতিযোগিতায় মোট প্রাইজমানি তিন লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা। ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক পিএলসি’র ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার, সহ-সভাপতি মো: সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ (কারেন), টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম সরকার (সোহেল) ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম.এম. সাইফুল ইসলাম, ব্যাংকের জেএবিপি ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান কে এম হারুনুর রশীদসহ শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ।
No posts available.
রমনার জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে গতকাল পর্দা নামলো ৩৫তম বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড টেনিস ট্যুর জুনিয়র জে-৩০ প্রতিযোগিতার। সাত দিন ধরে চলা লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল ১২টি দেশের ৭৫ জন তরুণ খেলোয়াড়। বালক এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন থাইল্যান্ডের আরিয়াফল লিকুল। বালিকা এককে শিরোপা জিতেছেন ভারতের সানমিথা হারিনি।
শুক্রবার বালক এককের ফাইনালে আরিয়াফল ৬-৪, ৬-৩ গেমে চীনের চুয়ান ডিংকে হারান। আরিয়াফল বাংলাদেশের জারিফ আবরারকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন। বালিকা এককের ফাইনালে ভারতের সানমিথা ৬-৪, ৬-২ গেমে থাইল্যান্ডের তারিতা হংসইয়ককে হারান। সেমিফাইনালে তিনি মালদ্বীপের আসাল আজিমকে পরাজিত করেন।
শেষ দিনের আগেই বালক দ্বৈতে ভারতের শৌনক চ্যাটার্জি ও অমৃত ধনকর জুটি এবং বালিকা দ্বৈতে মালদ্বীপের আরা আসাল আজিম ও ভারতের সানমিথা হারিনি জুটি চ্যাম্পিয়ন হন।
ফাইনাল শেষে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার। পুরস্কার বিতরণের পর আতশবাজির আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের টুর্নামেন্ট।
বয়সের ছাপ স্পষ্ট। তারুণ্যের কাছে হার মানতে হচ্ছে প্রায়ই। তবু থামতে আপত্তি নোভাক জোকোভিচের। অবসরের কোনো পরিকল্পনাই নেই রেকর্ড ২৪বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ীর। সার্বিয়ান কিংবদন্তি খেলা চালিয়ে যাওয়ার প্রেরণা নিচ্ছেন ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, এনবিএ তারকা লেব্রন জেমস, সাবেক এনএফএল খেলোয়াড় টম ব্র্যাডির কাছ থেকে।
এ বছর চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের চারটিতেই সেমি ফাইনালে শেষ হয় জোকোভিচের যাত্রা। ইয়ানিক সিনার-কার্লোস আলকারাজের মতো টেনিসের বর্তমানদের কাছে নিয়মিতই আত্মসমর্পন করতে হচ্ছে তাকে। সর্বশেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা এসেছে ২০২৩ সালে। চোট আর বয়সের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে ৩৮ বছর বয়সী কিংবদন্তিকে। এরপরও দৃঢ় মানসিকতার অধিকারী জোকোভিচ চালিয়ে যেতে যান খেলা।
জোকোভিচ আছেন এখন সৌদি আরবে। মধ্য প্রাচ্যের দেশটিতে ‘সিক্স কিংস স্ল্যাম’-এর সেমিফাইনালে আরও একবার সিনারের কাছে হেরেছেন তিনি। সেমিতে জোকোকে ৪-৬, ২-৬ সেটে হারিয়েছেন চারবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী ইতালিয়ান। আরেকটি ব্লকবাস্টার ফাইনালে আগামীকাল মুখোমুখি হবেন আলকারাজ-সিনার।
সেমিতে সিনারের কাছে হারের পর রিয়াদে জয় ফোরামে ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলেন জোকোভিচ। অবসরের প্রশ্নে বলেন,
‘দীর্ঘ ক্যারিয়ারই এখন আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা। আমি দেখতে চাই, আমি কত দূর যেতে পারি। বিশ্বজুড়ে খেলাধুলায় লেব্রন জেমসকে দেখুন—সে এখনো দারুণ খেলছে, বয়স ৪০। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও তাই, টম ব্র্যাডিও ৪০ বছর পেরিয়ে খেলেছেন। অবিশ্বাস্য! তারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করে। তাই আমিও চালিয়ে যেতে চাই—এটাই আমার অন্যতম অনুপ্রেরণা।’
টেনিসের পরিবর্তনশীল ভবিষ্যতের অংশ হতে চাওয়ার কথাও জানিয়ে জোকোভিচ বলেন,
‘আমি এমন সময়টায় বাঁচতে চাই। অর্থাৎ এখনো পেশাদার টেনিসে খেলতে চাই—যখন এই খেলাটিতে পরিবর্তন আসবে। আমি এতে ভীষণ রোমাঞ্চিত। আমার মনে হয়, টেনিস এমন এক খেলা, যা ব্যাপকভাবে বদলে যেতে পারে এবং যাবে। আমি সেই পরিবর্তনের অংশ হতে চাই, কেবল অংশ নয়, আমি চাই খেলাটির নবজাগরণের সময় কোর্টে থাকতে, যখন নতুন প্রজন্মের জন্য টেনিসের এক নতুন যুগের ভিত্তি তৈরি হবে।”
এই বছর জেনেভায় ক্যারিয়ারের ১০০তম শিরোপা জেতা জোকোভিচকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়—সিনার বা আলকারাজের মতো তরুণরা কি তাকে হারিয়েই অবসরে পাঠাবে? তখন মুচকি হেসে তিনি জবাব দেন, ‘তাদের হতাশ করতেই হচ্ছে—ওটা হতে যাচ্ছে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস তারকা কোকো গফের পলকে যুক্ত হলো আরও একটি অর্জন। উহান টেনিসের ফাইনালে স্বদেশি জেসিকা পেগুলাকে স্ট্রেইট সেটে হারিয়ে দিয়েছেন টেনিসের তিন নম্বর র্যাঙ্কধারী এই নন্দিনী। টেনিসের হার্ড কোর্টে ৯টি শিরোপা জিতে গড়েছেন রেকর্ড।
উহানে আজ ছন্নছাড়া ও উদ্ভ্রান্তের মতো দেখাচ্ছিল পেগুলাকে। হারের আগেই যেন হেরে বসেন যুক্তরাষ্ট্রের এই টেনিস তারকা। আসরজুড়ে অপ্রতিরোধ্য থাকা ৬ নম্বর র্যাঙ্কধারী পেগুলা ছিলেন অসহায়ের মতো। স্বদেশি গফের কাছে ৬-৪ ও ৭-৫ সেটে হেরে কোর্ট ছাড়েন।
ম্যাচের সব বিভাগেই পিছিয়ে ছিলেন পেগুলা। শক্তিশালী সার্ভিস, ব্যাকহ্যান্ড, ফোরহ্যান্ডে তো ছিলই, দ্রুত কোর্ট কভারিংয়েও সুবিধা নিতে পারেননি তিনি। অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগিয়ে উহান ওপেনের রানী বনে গেলেন গফ।
রেকর্ড শিরোপা জয়ের পর গফ বলেছেন,
‘আমি আমার টিমের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটি এশিয়ার অন্যতম সেরা প্রতিযোগিতা। আমার কোচ ক্রিস্টোফা ফেইরুলা শুরুতে আমাকে এখানে আসতে দিতে চায়নি। কারণ আমার ইউএস ওপেনে সময়টা খারাপ গেছে। কিন্তু আমি তাকে ভুল প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম।’
যুক্তরাষ্ট্রের এই টেনিস তারকা আরও বলেছেন,
‘আমি খুবই জেদি একজন মানুষ। তাই ইচ্ছা করেই তিনি (কোচ) আমাকে আসতে বারণ করেছিলাম। যাতে আমি ভালো রেজাল্ট করি।’
স্বদেশি গফের এই জয় দেশের জয় হিসেবেই দেখছেন পেগুলা। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন,
‘তার (গফ) সঙ্গে খেলতে পারাটা সম্মানের। একজন বন্ধু হিসেবে এবং একজন আমেরিকান হিসেবে। এই প্রথম দুইজন ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছি। খেলাটা বেশ মজার ছিল।’
যুক্তরাষ্ট্রের দুই টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস ও ভেনাস উইলিয়ামসনের মুখোমুখি লড়াইয়ের যে ব্যাপার, তা মঞ্চায়ন হয়েছে সাংহাই মাস্টার্সে। যেখানে শিরোপার মঞ্চে একে অন্যের বিরুদ্ধে র্যাকেট ধরেছেন দুই চাচাতো ভাই ভ্যালেন্টিন ভাচেরোট ও আর্থার রিন্ডারকনেচ।
চীনের সাংহাইয়ে বাংলাদেশ সময় আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার লড়াইয়ে রিন্ডারকনেচকে ৪-৬, ৬-৩ ও ৬-৩ সেটে হারিয়ে দিয়েছেন ভ্যালেন্টিন। যা লেখা হয়েছে খেরোখাতায়। এর আগে সাংহাই মাস্টার্সে র্যাঙ্কিং বিচারে এত নিচে ( সিঙ্গেল, ২০৪) থেকে উপরের (সিঙ্গেল, ৪২) কাউকে হারাতে পারেননি কোনো প্রতিযোগী।
আরও বেশকিছু কারণে রেকর্ডবুকে লেখা থাকবে এই ম্যাচ এবং দুই চাচাতো ভাই। প্রতিযোগিতায় এটি সম্ভবত দ্বিতীয় ফাইনাল, যেখানে ১৯৯১ সালের পর রক্তের সম্পর্কের দুই প্রতিযোগী একে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। তবে কলেজ ও স্কুল জীবনে বহুবার মুখোমুখি হয়েছেন ভ্যালেন্টিন ও আর্থার।
২৬ বর্ষী ভ্যালেন্টিন সাংহাই মাস্টার্সে জয়ের পর আবেগি বার্তা দিয়েছেন। তার সে বার্তা মন চুয়েছে সকলের। শুরুতেই দাদা-দাদিকে স্মরণ করেছেন। বলেছেন, ‘আশাকরি দাদা-দাদি খুশি হবেন আমার এমন অর্জনে।’
জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে কান্না ধরে রাখতে পারেননি দু’জন। নিজেরা কেঁদেছেন, কাঁদিয়েছেন উপস্থিত সকলকে। ভ্যালেন্টিন বলেছেন,
‘এটা অবিশ্বাস্য, বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে কি ঘটছে। এটা (শিরোপা) কল্পনাও করতে পারছি না।’
‘প্রতিযোগিতায় আমাদের একজন হেরেছে, একজন জিতেছে। তবে আমি মনে করি আজ আমরা দুইজনই জিতেছি। তারচেয়েও বড়-আমাদের পরিবার জিতেছে।’
যোগ করেন তিনি।
চাচাতো ভাইয়ের বিপক্ষে হারের পর আর্থার বলেছেন,
‘ভ্যালেন্টিন, তুমি সর্বোচ্চটা দিয়েছ। আমি তোমার উপর সন্তুষ্ট। আমরা দুই কাজিন এখন আরও বেশি শক্তিশালী।’
থামার সময় বোধহয় চলেই এল। বয়স আর চোটের সঙ্গে লড়াই করে কেবল মনের জোরেই টিকে আছেন। তবে আর কত? এ বছরের সবক’টি গ্র্যান্ড স্ল্যামে তারুণের্য কাছে হার মানতে হয়েছে। এবার তো চোটর্জজর নোভাক জোবোভিচকে হারিয়ে ইতিহাসেই নাম লিখলেন ফরাসি ভ্যালেন্টিন ভাশারো।
সাংহাই মাস্টার্সের সেমিফাইনালে আজ জোবোভিচকে ৩-৬, ৪-৬ সেটে হারিয়েছেন ভ্যালেন্টিন ভাশারো। র্যাঙ্কিংয়ে ২০৪ নম্বরে থাকা এই খেলোয়াড় ইতিহাসের সর্বোনিম্ন র্যাঙ্কিংয়ে থেকে এটিপি মাস্টার্স ১০০০ ফাইনালে উঠলেন।
ফাইনালে ২৬ বছর বয়সী ভাশারোর প্রতিপক্ষ হতে পারে তাঁর চাচাতো ভাই আর্থার রিন্ডারনেক অথবা রাশানা দানিল মেদভেদেভ।
জোকোভিচকে হারিয়ে একেবারে বাকরুদ্ধই হয়ে যান ভাশারো। রেকর্ড ২৪বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ীর বিপক্ষে জয় পেয়ে মনে হচ্ছিল বুঝি স্বপ্ন দেখছেন তিনি। জয়ের পর আবেগঘন কণ্ঠে ফরাসি খেলোয়াড় বলেন,
‘শরীরে চিমটি কেটে দেখতে ইচ্ছে করছে—এটা কি সত্যি? কোর্টের অপর পাশে নোভাক জোকোভিচের মতো কিংবদন্তিকে পাওয়া—এটা আমার জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এই মুহূর্তে কত রকমের অনুভূতি যে কাজ করছে!’
পুরো টুর্নামেন্টেই ইনজুরির সঙ্গে লড়ছিলেন জোকোভিচ। গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে আগের ম্যাচগুলোতে বমিও করতে দেখা গেছে সার্বিয়ান কিংবদন্তিকে। সেমিফাইনালেও পুরনো সমস্যা ফিরে আসে। একাধিকবার চিকিৎসকের শরণাপন্নও হতে হয়েছে ৩৮ বছর বয়সী জোকোকে।
তবুও শরীরের সঙ্গে লড়াই করে দ্বিতীয় সেট পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ে যান জোকোভিচ। দ্বিতীয় সেটে দর্শকদের আশার আলো দেখিয়ে জোকোভিচ ৪-৩ ব্যবধানে এগিয়েও যান। মনে হচ্ছিল হয়তো নাটকীয়ভাবে ম্যাচে ফিরছেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত সেখান থেকেই ভাশারো টানা তিনটি গেম জিতে ম্যাচটা নিজের করে নেন।
ম্যাচ শেষে ভাশারোকে প্রশংসায় ভাসান জোকোভিচ।
‘আমি ভ্যালেন্টিনকে অভিনন্দন জানাই—তার প্রথম মাস্টার্স ফাইনালে উঠাটা একটা দারুণ গল্প। কোয়ালিফায়ার থেকে উঠে এসে এতদূর আসাটা বিস্ময়কর। আমি তাকে নেটের কাছে বলেছি, তার মানসিকতা ও খেলার ধরণ অসাধারণ ছিল। আজকের ম্যাচটা ওর প্রাপ্য ছিল। আমি ওকে ফাইনালের জন্য শুভকামনা জানাই।”
দুর্দান্ত এই জয়ের পর প্রথমবারের মতো বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ১০০-র মধ্যে প্রবেশ করবেন ভাশারো। কোয়ার্টার ফাইনালে হোলগার রুনেকে হারানোর পর থেকেই এই অর্জনের পথ খুলে যায়। আর সাংহাই মাস্টার্সে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে লাইভ র্যাঙ্কিংয়ে এক লাফে ১৪৬ ধাপ এগিয়ে এখন উঠে এসেছেন ৫৮ নম্বরে।