কিংবদন্তি রজার ফেদেরারের অবসরের পরও টিকে ছিল তার কিছু রেকর্ড। তার একটি ছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এককে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড। চলতি আসরে তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছে সাবেক সুইস তারকার রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছেন নোভাক জোকোভিচ।
৩৭ বছর বয়সী জোকোভিচকে তার ৪৩০তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম একক ম্যাচে ভালোই ফাইট দেন কোয়ালিফায়ার জেইম ফারিয়াকে। তবে শেষ পর্যন্ত ৬-১, ৬-৭ (৪-৭), ৬-৩ ও ৬-২ গেমে জেতেন সার্বিয়ান টেনিস গ্রেট।
এই জয়টির মধ্য দিয়ে পুরুষ ও নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম একক ম্যাচ খেলার সর্বকালের রেকর্ড নিজের করে নেন জোকোভিচ। দুইয়ে নেমে গেছেন তার সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ফেদেরার, তিনি ২০২১ সালে উইম্বলডনে তার শেষ বড় ম্যাচ খেলেছিলেন।
দারুণ এই মাইলফলক গড়ে জোকোভিচ জানিয়েছেন তার আনন্দময় প্রতিক্রয়া। “আমি এই খেলাটি পছন্দ করি। আমি প্রতিযোগিতা পছন্দ করি। আমি প্রতিবারই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি সর্বোচ্চ পর্যায়ে গ্র্যান্ড স্ল্যামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছি।”
এই জয়ের আরেকটি রেকর্ডও গড়েছেন জোকোভিচ। ৩০ বছরের বেশি বয়সী প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে তিনি ১৫০টি গ্র্যান্ড স্লাম একক ম্যাচে জিতেছেন।
রেকর্ড নিয়ে না ভেবে জোকোভিচ অবশ্য মনোযোগ দিচ্ছেন টেনিসকে উপভোগের দিকেই।
“আরেকটি রেকর্ড করতে পেরে আমি খুশি। তবে আমি জিতি বা হারি, যাই হোক না কেন, আমি সবসময় কোর্টে উজাড় করে দেব।”
No posts available.
১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১:২৯ পিএম
১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৪:২৭ পিএম
নিজেকে হারিয়ে আবারও খুঁজে পেলেন দানিয়েল মেদভেদেভ। বাজে সময় পেছনে ফেলে ৮৮২ দিন পর শিরোপায় চুম্বন দিলেন রাশিয়ান টেনিস তারকা। আলমাতি ওপেনের ফাইনালে আজ কোরেন্টিন মাউটেটকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের ২১তম টাইটেল জিতলেন মেদভেদেভ।
২০২৪ রোম মাস্টার্সে
সর্বশেষ শিরোপা জিতেছিলেন মেদভেদেভ। এরপর ভুলে যাওয়ার মতো সময় পার করেছেন। সর্বশেষ
ইউএস ওপেনে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছেন, আসরজুড়ে বলার মতো কোনো দাপুটে পারফরম্যান্স ছিল
না সাবেক নম্বর ওয়ান তারকার।
দীর্ঘদিনের হতাশা থেকে
বের হতে গিয়ে বেশ কিছু কাজ করেছেন মেদভেদেভ। কোচের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন
তিনি। তার একসময়কার কোচ গিলস সার্ভারা এখন আর নেই রাশিয়ান টেনিস তারকার সঙ্গে। কারণ,
পুরোনো কোচের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছিলেন না বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন মেদভেদেভ।
বিশেষ করে সার্ভ করার
সময় সমস্যায় পড়েন মেদভেদেভ। ব্যাকহ্যান্ড, ফোরহ্যান্ডে দুর্বলতা ছিলই, দ্রুত কোর্ট
কভারিংয়েও সুবিধা নিতে পিছপা হচ্ছিলেন তিনি। এ জন্যই নতুন করে থমাস জনসন ও রোহান গোয়েটজির
সঙ্গে চুক্তিতে জড়ান মেদভেদেভ। ফলস্বরূপ আলমাতি ওপেনের ফাইনালে কোরেন্টিনকে ৭-৬, ৪-৬,
৬-৩ সেটে হারিয়েছেন তিনি।
১৯ বছরের ক্যারিয়ারে এটি মেদভেদেভের ২১তম শিরোপা। এটি শুধু একটি জয়ই নয়, বরং নিজেকে ফিরে পাওয়ার মঞ্চ। আর সে মঞ্চে র্যাঙ্কিংয়ের ১৪ নম্বর রুশ তারকা বুঝিয়ে দিলেন, তিনি হারিয়ে যাননি। নিজেকে ভেঙে-চুরে গড়েছেন নতুন করে।
২৯ বছর বয়সি মেদভেদেভ বলেছেন,
‘এই প্রথম কোনো টুর্নামেন্টে আমি জিতেছি, যেখানে আমার দুই কন্যা উপস্থিত ছিল। এটা সত্যিই আমার জন্য দারুণ একটা মুহূর্ত।’
তিনি তার ২১তম টাইটেল দ্বিতীয় কন্যা ভিক্টোরিয়াকে উৎসর্গ করেছেন,
‘আমি যখন আমার প্রথম টাইটেল পেয়েছিলাম, তখন আমার প্রথম কন্যা জন্ম নিয়েছিল। সেটা আমি তাকে উৎসর্গ করি। এবারের ট্রফিটা আমি আমার দ্বিতীয় মেয়েকে (ভিক্টোরিয়া) উৎসর্গ করতে চাই।’
স্প্যানিশ কার্লোস আলকারাজকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ‘সিক্স কিংস স্ল্যাম’র শিরোপা জিতলেন ইতালির টেনিস তারকা ইয়ানিক সিনার। আর সেই সঙ্গে পেলেন টেনিস ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্থ পুরস্কার—৬০ লাখ ডলার! বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭২ কোটি টাকা। গ্র্যান্ড স্ল্যামে চেয়েও পুরুষ এককে এই টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি বেশি।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আয়োজিত এই প্রদর্শনী টুর্নামেন্টে বিশ্বের ছয় শীর্ষ খেলোয়াড় অংশ নেন—নোভাক জোকোভিচ, স্তেফানোস সিৎসিপাস, আলেকজান্ডার জেভরেভ, টেইলর ফ্রিটজ, কার্লোস আলকারাজ ও ইয়ানিক সিনার। সবাই পেতেন অংশগ্রহণের জন্য দেড় মিলিয়ন ডলার করে, তবে চ্যাম্পিয়নের জন্য অপেক্ষা করছিল আকাশছোঁয়া পুরস্কার।
ইনডোর কোর্টে আগ্রাসী সিনার ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। মাত্র এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটে আলকারাজকে হারান সরাসরি সেটে—৬-২, ৬-৪ গেমে। গত মাসেই ইউএস ওপেনে আলকারাজের কাছে হেরেছিলেন সিনার। এবার সেই হার মুছে দিলেন দারুণ জয়ে।
২৪ বছর বয়সী সিনারের এটি শুধু প্রতিশোধ নয়, আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার ম্যাচও। রিয়াদের এই জয়ে আগামী মাসে নিজ দেশ ইতালির তুরিনে এটিপি ফাইনালসের আগে নতুন করে জ্বলে উঠলেন তিনি।
র্যাংকিং পয়েন্ট না থাকলেও, অর্থ আর গৌরবে ভরপুর এই ‘সিক্স কিংস স্ল্যাম’ যেন টেনিসে সৌদি আরবের নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিল।
কার্লোস আলকারাজ ও নোভাক জোকোভিচ—দুজনকেই নিজের অনুপ্রেরণা মনে করেন ইয়ানিক সিনার। নিজের উন্নতির পথে তাঁদের উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটিও অকপটে স্বীকার করেছেন এই ইতালিয়ান তারকা।
বৃহস্পতিবার সৌদি আরবে সিক্স কিংস স্ল্যাম প্রদর্শনী টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ২৪ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী জোকোভিচকে ৬-৪, ৬-২ গেমে উড়িয়ে দেন সিনার। আজ রিয়াদে ফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় ও ছয়বারের গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী কার্লোস আলকারাজ।
গত বছর এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী সংস্করণের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিলেন সিনার ও আলকারাজ, যেখানে তিন সেটে জিতেছিলেন সিনার। তবে এটিপি ম্যাচে আলকারাজ এগিয়ে আছেন ১০-৫ ব্যবধানে। তাঁদের শেষ আট ম্যাচের সাতটিতেই জিতেছেন স্প্যানিশ তারকা।
আরও পড়ুন
কবে মাঠে ফিরবেন আর্জেন্টিনার লিসান্দ্রো, জানালেন রেড কোচ |
![]() |
জোকোভিচকে হারানোর পর নেটফ্লিক্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিনার বলেন, ‘আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিজের উন্নতি করা। আমি চাই ক্যারিয়ারের শেষে বলতে পারি—নিজেকে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সাফল্য কখনোই আমাকে বদলাবে না, এটাই আমার বিশ্বাস। প্রতিদ্বন্দ্বিতা খুব দরকার। তোমার চেয়ে ভালো খেলোয়াড় থাকা দরকার। কার্লোস দারুণ প্রতিভাবান, সর্বগুণে গুণান্বিত একজন খেলোয়াড়। কোর্টে আজ আমরা তা দেখেছি—ড্রপশট থেকে শুরু করে সব কিছুই ও পারে।’
আলকারাজ ও জোকোভিচকে দেখে অনেক কিছু শেখেন সিনার, ‘আমি এই দুজনের দিকেই তাকিয়ে থাকি—জোকোভিচ আর কার্লোসের দিকে। তাঁদের দেখে শেখাই আমাকে প্রতিদিন আরও উন্নতির অনুপ্রেরণা দেয়।
কোর্টসাইড সাক্ষাৎকারে সিনার বলেন, ‘প্রতিবার আলকারাজের মুখোমুখি হওয়া আমার জন্য রোমাঞ্চকর। এটা আমাদের জন্যও ভালো—একটা বড় লড়াই হতে যাচ্ছে। আমি যতটা সম্ভব প্রস্তুত থাকার চেষ্টা করব। আবারও ওর বিপক্ষে খেলাটা বিশাল সম্মান।’
সিনার-আলকারাজ দ্বৈরথ এখন টেনিসের নতুন যুগের অন্যতম আকর্ষণ। শেষ পাঁচটি এটিপি প্রতিযোগিতায়, যেখানে দুজনই অংশ নিয়েছেন। তাঁরা মুখোমুখি হয়েছেন ফাইনালে—এর মধ্যে রয়েছে শেষ তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামও। আজ রিয়াদের রাতটা তাই হতে যাচ্ছে দুই তরুণ তারকার এক মহারণ।
রমনার জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে গতকাল পর্দা নামলো ৩৫তম বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড টেনিস ট্যুর জুনিয়র জে-৩০ প্রতিযোগিতার। সাত দিন ধরে চলা লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল ১২টি দেশের ৭৫ জন তরুণ খেলোয়াড়। বালক এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন থাইল্যান্ডের আরিয়াফল লিকুল। বালিকা এককে শিরোপা জিতেছেন ভারতের সানমিথা হারিনি।
শুক্রবার বালক এককের ফাইনালে আরিয়াফল ৬-৪, ৬-৩ গেমে চীনের চুয়ান ডিংকে হারান। আরিয়াফল বাংলাদেশের জারিফ আবরারকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন। বালিকা এককের ফাইনালে ভারতের সানমিথা ৬-৪, ৬-২ গেমে থাইল্যান্ডের তারিতা হংসইয়ককে হারান। সেমিফাইনালে তিনি মালদ্বীপের আসাল আজিমকে পরাজিত করেন।
শেষ দিনের আগেই বালক দ্বৈতে ভারতের শৌনক চ্যাটার্জি ও অমৃত ধনকর জুটি এবং বালিকা দ্বৈতে মালদ্বীপের আরা আসাল আজিম ও ভারতের সানমিথা হারিনি জুটি চ্যাম্পিয়ন হন।
ফাইনাল শেষে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার। পুরস্কার বিতরণের পর আতশবাজির আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের টুর্নামেন্ট।
বয়সের ছাপ স্পষ্ট। তারুণ্যের কাছে হার মানতে হচ্ছে প্রায়ই। তবু থামতে আপত্তি নোভাক জোকোভিচের। অবসরের কোনো পরিকল্পনাই নেই রেকর্ড ২৪বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ীর। সার্বিয়ান কিংবদন্তি খেলা চালিয়ে যাওয়ার প্রেরণা নিচ্ছেন ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, এনবিএ তারকা লেব্রন জেমস, সাবেক এনএফএল খেলোয়াড় টম ব্র্যাডির কাছ থেকে।
এ বছর চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের চারটিতেই সেমি ফাইনালে শেষ হয় জোকোভিচের যাত্রা। ইয়ানিক সিনার-কার্লোস আলকারাজের মতো টেনিসের বর্তমানদের কাছে নিয়মিতই আত্মসমর্পন করতে হচ্ছে তাকে। সর্বশেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা এসেছে ২০২৩ সালে। চোট আর বয়সের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে ৩৮ বছর বয়সী কিংবদন্তিকে। এরপরও দৃঢ় মানসিকতার অধিকারী জোকোভিচ চালিয়ে যেতে যান খেলা।
জোকোভিচ আছেন এখন সৌদি আরবে। মধ্য প্রাচ্যের দেশটিতে ‘সিক্স কিংস স্ল্যাম’-এর সেমিফাইনালে আরও একবার সিনারের কাছে হেরেছেন তিনি। সেমিতে জোকোকে ৪-৬, ২-৬ সেটে হারিয়েছেন চারবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী ইতালিয়ান। আরেকটি ব্লকবাস্টার ফাইনালে আগামীকাল মুখোমুখি হবেন আলকারাজ-সিনার।
সেমিতে সিনারের কাছে হারের পর রিয়াদে জয় ফোরামে ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলেন জোকোভিচ। অবসরের প্রশ্নে বলেন,
‘দীর্ঘ ক্যারিয়ারই এখন আমার সবচেয়ে বড় প্রেরণা। আমি দেখতে চাই, আমি কত দূর যেতে পারি। বিশ্বজুড়ে খেলাধুলায় লেব্রন জেমসকে দেখুন—সে এখনো দারুণ খেলছে, বয়স ৪০। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও তাই, টম ব্র্যাডিও ৪০ বছর পেরিয়ে খেলেছেন। অবিশ্বাস্য! তারা সবাই আমাকে অনুপ্রাণিত করে। তাই আমিও চালিয়ে যেতে চাই—এটাই আমার অন্যতম অনুপ্রেরণা।’
টেনিসের পরিবর্তনশীল ভবিষ্যতের অংশ হতে চাওয়ার কথাও জানিয়ে জোকোভিচ বলেন,
‘আমি এমন সময়টায় বাঁচতে চাই। অর্থাৎ এখনো পেশাদার টেনিসে খেলতে চাই—যখন এই খেলাটিতে পরিবর্তন আসবে। আমি এতে ভীষণ রোমাঞ্চিত। আমার মনে হয়, টেনিস এমন এক খেলা, যা ব্যাপকভাবে বদলে যেতে পারে এবং যাবে। আমি সেই পরিবর্তনের অংশ হতে চাই, কেবল অংশ নয়, আমি চাই খেলাটির নবজাগরণের সময় কোর্টে থাকতে, যখন নতুন প্রজন্মের জন্য টেনিসের এক নতুন যুগের ভিত্তি তৈরি হবে।”
এই বছর জেনেভায় ক্যারিয়ারের ১০০তম শিরোপা জেতা জোকোভিচকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়—সিনার বা আলকারাজের মতো তরুণরা কি তাকে হারিয়েই অবসরে পাঠাবে? তখন মুচকি হেসে তিনি জবাব দেন, ‘তাদের হতাশ করতেই হচ্ছে—ওটা হতে যাচ্ছে না।’