২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ৭:২৬ পিএম

নতুন বছরটা কী দারুণভাবেই না শুরু করলেন জেনিক সিনার। ২৩ বছর বয়সী টেনিস তারকা আলেক্সান্ডার জ্ভেরেভকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো জিতে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা। সেই সাথে প্রথম ইতালিয়ান হিসেবে তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ডও গড়েছেন সিনার।
রড লেভার অ্যারেনায় রোববার ফাইনালে ৬-৩, ৭ (৭)-৬ (৪), ৬-৩ গেমে জিতেছেন সিনার।
মেলবোর্ন পার্কের তিন সেটের মধ্যে দুই সেটেই সিনার পাত্তা দেননি জ্ভেরেভকে। পুরুষ এককের ফাইনালে দুই ঘণ্টা ৪২ মিনিটের লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছেন সিনার। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে হারার তেতো স্বাদ পেয়েছেন জ্ভেরেভ।
মেলবোর্ন পার্কে টানা ২০ ম্যাচ অপরাজিত ছিলেন সিনার। সেই সংখ্যাটা এবার ২১-এ নিয়ে গেলেন তিনি। আবার নাম লিখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের রেকর্ড বইয়ের একটা পাতায়ও। তিন টেনিস কিংবদন্তী - আন্দ্রে আগাসি, রজার ফেদেরার ও নোভাক জোকোভিচের পাশে লিখিয়েছেন নিজের নাম। এই শতাব্দীতে ব্যাক টু ব্যাক অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতার রেকর্ডটা কেবল ছিল এই তিনজনের। এবার এই শতাব্দীর চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে এই রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন সিনার।
শিরোপা জিতে তাই উচ্ছ্বাসটা ধরে রাখতে পারেননি সিনার। “এই অনুভূতিটা দারুণ। আমারা সবাই অনেক কষ্ট করেছি এটার জন্য। এটা দারুণ একটা টুর্নামেন্ট। আমার জন্য সবচেয়ে বিশেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম। সবাইকে ধন্যবাদ।”
No posts available.

সময়ের দুই সেরা তারকার ফাইনাল ম্যাচে লড়াই জমিয়েও বারবার শেষে গিয়ে ধরা খেলেন কার্লোস আলকারাজ। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরও একবার সরাসরি সেটে ম্যাচ জিতে নিলেন ইয়ানিক সিনার। একইসঙ্গে জিতলেন এটিপি ফাইনালস শিরোপা।
ইতালির তুরিনে রোববার রাতে এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দুই তারকার ফাইনালে সিনারের জয় ৭-৬ (৭-৪) ও ৭-৫ গেমে। পুরো আসরে অপরাজিত থেকেই এটিপি ফাইনালসে নিজের শিরোপা ধরে রাখলেন ২৪ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান তারকা।
সব মিলিয়ে ইনডোর হার্ড কোর্টে টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত রইলেন সিনার। সবশেষ এই ফাইনাল জিতে তিনি পেলেন ৫০ লাখ ডলারের অর্থ পুরস্কার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৬১ কোটি টাকার বেশি।
আলকারাজের বিপক্ষে ফাইনালে ছয়বারের দেখায় এ নিয়ে দুইবার জিতলেন সিনার। সব মিলিয়ে দুই জনের মুখোমুখি ১৬ ম্যাচে সিনারের এটি ষষ্ঠ জয়।
আরও পড়ুন
| ম্যারাথন ফাইনাল জিতে জোকোভিচের ইতিহাস |
|
টেনিসে চলতি বছরের পুরোটাতেই ছিল সিনার ও আলকারাজের দাপট। দুজন মিলে জিতেছেন মোট ১৪টি শিরোপা। এমনকি বছরের চারটি গ্র্যান্ড স্লামও নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন ইতালিয়ান ও স্প্যানিয়ার্ড দুই তারকা।
২০২৫ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও উইম্বলডন জিতেছেন সিনার। আলকারাজের হাতে উঠেছে ফ্রেঞ্চ ওপেন ও ইউএস ওপেনের ট্রফি।
এটিপি ফাইনালস জিতলেও অবশ্য বছর শেষের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ফিরে পাননি সিনার। এই জায়গায় এক নম্বরেই রইলেন আলকারাজ।
সব মিলিয়ে ২০২৫ সালে ৬টি শিরোপা জিতেছেন সিনার। যা তার ক্যারিয়ারে এক বছরে দ্বিতীয় সেরা। এ বছর খেলা ১২টি টুর্নামেন্টের মধ্যে ১০টিতেই ফাইনালে উঠেছেন তিনি। অথচ ডোপিংয়ের দায়ে বছরের শুরু তিন মাস নিষিদ্ধ ছিলেন এই ইতালিয়ান।

প্রায় ৩ ঘণ্টার দীর্ঘ লড়াইয়ে লরেন্সো মুসেত্তিকে হারিয়ে হেলেনিক চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছেন নোভাক জোকোভিচ। যার সৌজন্যে এটিপি ট্যুরের উন্মুক্ত যুগের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ডও গড়েছেন সার্বিয়ান তারকা।
অ্যাথেন্সে শনিবারের ফাইনালে মুসেত্তিকে ৪-৬, ৬-৩ ও ৭-৫ গেমে হারান জোকোভিচ। দুই শীর্ষ বাছাই খেলোয়াড়ের মধ্যে লড়াইটি চলে ২ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট ধরে।
এটিপি ট্যুর ক্যারিয়ারে জোকোভিচের এটি ১০১তম শিরোপা। এই তালিকায় রজার ফেদেরারের চেয়ে মাত্র ২ শিরোপা দূরে জোকোভিচ। আর ১০৯ শিরোপা নিয়ে সবার ওপরে জিমি কনরস।
হার্ড কোর্টের রেকর্ডে ফেদেরারকে এরই মধ্যে পেছনে ফেলে দিয়েছেন জোকোভিচ। এটি তার ৭২তম শিরোপা। এতদিন ৭১ শিরোপা নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন ফেদেরার ও জোকোভিচ।
প্রথম সেটে জোকোভিচকে ৪-৬ গেমে হারিয়ে লিড নেন মুসেত্তি। তবে ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেননি শীর্ষ বাছাই এই তারকা। দ্বিতীয় সেটে ৬-৩ গেমে জেতেন। পরে টাইব্রেকারে যাওয়া তৃতীয় সেট ৭-৫ গেমে নিজের করে নেন তিনি।
তবে এথেন্সে চ্যাম্পিয়ন হলেও তুরিনের এটিপি ফাইনালসে খেলবেন না জোকোভিচ। কাঁধের চোটের কারণে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সার্বিয়ান তারকা। ফলে তার জায়গায় সুযোগ পাচ্ছেন রানার্স-আপ হওয়া মুসেত্তি।

গত সেপ্টেবরে ইউএস ওপেনের ফাইনালে কার্লোস আলকারাজের কাছে হেরে যান ইয়ানিক সিনার। সেই ম্যাচ হারের ফলে ৬৫ সপ্তাহ পর র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান হারিয়ে ফেলেন ইতালিয়ান তারকা। দুই মাস পর আবারও শীর্ষে ওঠার হাতছানি দুই নম্বর বাছাই সিনারের।
সোমবার প্যারিস মাস্টার্সের ফাইনালে জয় পেলেই শীর্ষে উঠবেন এই তারকা।
প্যারিস মাস্টার্স শুরুর আগে চলতি বছর র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ফেরাকে অসম্ভব বলেছিলেন সিনার। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে ক্যামেরন নরির কাছে হেরে যান শীর্ষ বাছাই আলকারাজ। ফলে আবারও শীর্ষে ওঠার রাস্তা তৈরি হয় সিনারের।
আরও পড়ুন
| আলকারাজকে হারিয়ে চমক নরির |
|
শনিবার রাতে সেমিফাইনালে আলেকজান্ডার জেভারেভকে ৬-০, ৬-১ সেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছান সিনার। ইনডোরে সিনারের এটি টানা ২৫ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড। এই জয়ে প্রথমবারের মতো প্যারিস মাস্টার্সের ফাইনালে উঠলেন সিনার।
প্যারিসের লা ডিফেন্স এরিনায় কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেননি তৃতীয় বাছাই জেভারেভ। তিনটি ব্রেক পয়েন্ট জিতে ৬-০ তে প্রথম সেট জিতে নেন সিনার। প্রথম সেট মাত্র ৩০ মিনিটে জেতেন তিনি।
দ্বিতীয় সেটেও ধরে রাখেন আধিপত্য। দুটি ব্রেক পয়েন্ট নিজের করে নিয়ে ৬-১ ব্যবধানে জিতে নেন সেট।
ফাইনালে ফ্রান্সের ফ্লেক্স অগার-আলিয়াসিমের বিপক্ষে নামবেন সিনার। সেমিফাইনালে আলেকজান্ডার বুবলিককে ৭-৬(৭-৩), ৬-৪ সেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন এই ফরাসি তারকা।

ক্যামেরন নরির কাছে প্যারিস মাস্টার্সের দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে বিদায় নিয়েছিলেন শীর্ষ বাছাই কার্লোস আলকারাজ। তাঁর প্রতিদ্বন্দী দুই নম্বর বাছাই ইয়ানিক সিনার অবশ্য হতে দেননি কোন অঘটন। বেন শেলটনকে সহজে হারিয়ে প্রথমবার প্যারিস মাস্টার্সের সেমিফাইনালে পৌঁছালেন ইতালিয়ান এই তারকা। ইনডোরে সিনারের এটি টানা ২৪ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড।
প্যারিসের লা ডিফেন্স এরিনায় শুক্রবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম বাছাই শেলটনকে সরাসরি ৬-৩, ৬-৩ সেটে হারান সিনার। এই জয়ে বিশ্ব র্যাংকিংয়ের আবারো শীর্ষস্থান দখলের কাছাকাছি এগিয়ে গেলেন এই তারকা। সোমবার প্যারিস মাস্টার্সের শিরোপা জিতলে চলতি বছর প্রথম মাস্টার্স শিরোপা ঘরে তুলবেন সিনার। সেইসাথে বিশ্ব র্যাংকিংয়ের এক নম্বর স্থান আবারো পুনরুদ্ধার করবেন। ম্যাচ শেষে সিনার জানালেন, তিনি এই মুহূর্তে র্যাংকিং নিয়ে ভাবছেন না।
এদিন দ্রত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মাত্র ৭০ মিনিটে জয় নিশ্চিত করেন সিনার। শেলটনের বিপক্ষে এটি টানা সপ্তম জয় ২৪ বছর বয়সি এই তারকার। ম্যাচ শেষে উচ্ছসিত সিনার বলেন,
‘খুবই খুশি। আজকের ম্যাচ খুব কঠিন ছিল। তাঁর সার্ভিং অসাধারণ, তবে আমি ভালো খেলতে পেরেছি।’
সেমিফাইনাল সিনারের প্রতিপক্ষ জার্মান তৃতীয় বাছাই অ্যালেক্সান্ডার জভারেভ। জভারেভ দুই ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়ে ডানিয়েল মেদভেদভকে ২-৬, ৬-৩, ৭-৬ (৭-৫) সেটে হারিয়েছেন।

প্যারিস মাস্টার্সের কোর্ট বড় অঘটনের সাক্ষী হলো! উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে কার্লোস আলকারাজের কাছে হারের শোধ নিলেন ক্যামেরন নরি। বিশ্বের এক নম্বর বাছাইকে ৪-৬, ৬-৩, ৬-৪ সেটে হারিয়ে দিলেন ৩০ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ তারকা।
আলকারাজের বিপক্ষে এটাই নরির ক্যারিয়ারের প্রথম জয়। টুর্নামেন্টে টানা ১৭ ম্যাচ জয়ের পরে তিনি শেষ ষোলোতে পৌঁছালেন।
আলকারাজকে হারানোকে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় জয় উল্লেখ করে নরি বলেন,
‘এটা আমার জন্য বিশাল কিছু। চোট থেকে ফিরে এসেছি, গত বছর এখানে প্রথম রাউন্ডের বাছাই পর্বেই হেরেছিলাম। এবার সেই জায়গা থেকে ফিরে ক্যারিয়ারের বড় জয়টা পেয়েছি। বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়ের বিপক্ষে প্রথম জয়, এমন আত্মবিশ্বাসী একজনের বিপক্ষে জেতা দারুণ অনুভূতি।’
শেষ ষোলোর ম্যাচে আগামীকাল নরি খেলবেন মোনাকোর ভ্যালেন্টিন ভ্যাচেরটের বিপক্ষে।