চোটে পড়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে শেষ দুটি ম্যাচে খেলা হয়নি লিওনেল
মেসির। এবার অবশ্য আর্জেন্টাইন সমর্থকদের আর আশাহত হতে হচ্ছে না। চোট কাটিয়ে মেসি ফিরেছেন,
ইন্টার মায়ামির হয়ে দারুণ পারফরম্যান্সও করছেন। সেই সাথে ফিরেছেন আর্জেন্টিনা দলেও।
অধিনায়ককে নিয়েই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আসন্ন দুই ম্যাচের জন্য ২৭ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা
করেছেন লিওনেল স্কালোনি।
মেসি ছাড়া এই দলের সবচেয়ে বড় চমক তরুণ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার নিকো
পাজ। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে চলতি মৌসুমে যোগ দিয়েছেন ইতালিয়ান ক্লাব কোমোতে। তিন ম্যাচ
সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চিনিয়েছেন পাজ। যার পুরস্কার স্বরূপ প্রথমবারের মতো তাঁর জন্য
দরজা খুলেছে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের।
এ ছাড়া আগের উইন্ডোতে স্কোয়াডে না থাকা মার্কাস আকুনা, নিকোলাস
তাগলিয়াফিকো,এজাকুয়েল প্যালাসিওস এবং লিওনার্দো বালের্দি চোট কাটিয়ে ফিরেছেন দলে।
ফিফার শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা থাকায় স্কোয়াডে নেই গোলকিপার এমিলিয়ানো
মার্তিনেজ। অবশ্য তার জায়গায় নতুন করে কাউকে সংযুক্ত করেননি স্কালোনি। আস্থা রেখেছেন
জেরোনিমো রুলি,হুয়ান মুসো এবং ওয়াল্টার বেনিতেজের ওপর।
অক্টোবরে আর্জেন্টিনার দুই প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলা ও বলিভিয়া। ১১
অক্টোবর ভেনেজুয়েলার সাথে ম্যাচটা আর্জেন্টিনা খেলবে অ্যাওয়ে, আর ১৬ তারিখ আর্জেন্টিনা
ঘরের মাঠে লড়বে বলিভিয়ার বিপক্ষে।
আর্জেন্টিনার ২৭ সদস্যের স্কোয়াড:
গোলকিপার: ওয়াল্টার বেনিতেস (পিএসভি), জেরোনিমো রুলি (অলিম্পিক মার্সেই), হুয়ান
মুসো (আতলেতিকো মাদ্রিদ)
ডিফেন্ডার: গনসালো মনতিয়েল (সেভিয়া), নাহুয়েল মোলিনা (আতলেতিকো
মাদ্রিদ), ক্রিস্তিয়ান রোমেরো (টটেনহ্যাম হটস্পার), লিওনার্দো বেলার্দি (অলিম্পিক
মার্সেই), হেরমান পেস্সেইয়া (রিভার প্লেট), নিকোলাস ওতামেন্দি (বেনফিকা), লিসান্দ্রো
মার্তিনেজ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), মার্কোস আকুনা (রিভার প্লেট), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো
(লিঁও)।
১৬ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে
ভারতের সাথে ম্যাচের প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকলেও শেষ পর্যন্ত মেলেনি খেলার সুযোগ৷ ফাহমিদুল ইসলাম যে প্রক্রিয়ায় বাদ পড়েছিলেন বাংলাদেশ দল থেকে, তা নিয়েও ছিল বেশ প্রশ্ন। সেটা পেছনে ফেলে আগামী জুনে সিঙ্গাপরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচের দলে ডাক পেলেন এই ফরোয়ার্ড।
এই ম্যাচ ও তার আগে প্রীতি ম্যাচের জন্য ফাহমিদুলকে দলে চেয়ে তার ক্লাব, ইতালির চতুর্থ বিভাগের দল ওলবিয়া কালসিওকে চিঠি দিয়েছিল বাফুফে। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তাদের পক্ষ থেকে ফাহমিদুলকে দেশের হয়ে খেলার জন্য ছুটি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
গত মার্চ মার্চে ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচেও প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাক মিলেছিল ফাহমিদুলের। এরপর সৌদি আরবে সপ্তাহখানেক দলের সাথে ক্যাম্পও করেন। তবে সেখান থেকে দলের সবাই বাংলাদেশে ফিরলেও তিনি ফিরে যান ইতালি।
সেই সময়ে শেষ মূহুর্তে ফাহমিদুলকে বাদ দেয়াকে কেন্দ্র করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তিনি এর পেছনে ব্যাখায় বলেছিলেন, আপাতত শীর্ষ পর্যায়ে খেলার জন্য প্রস্তুত নন ফাহমিদুল।
তাকে দলে ফেরাতে ফুটবল সমর্থকরা আন্দোলনও করেন। এই ব্যাপারে এক পর্যায়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া আলোচনায় বসেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সাথে।
এবার অবশ্য ফাহমিদুলকে ঘিরে জল ঘোলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ৪ জুন রয়েছে বাংলাদেশ দলের একটি প্রীতি ম্যাচ। এজন্য ক্যাম্প শুরু হবে আগামী ৩১ মে থেকে।
এই ক্যাম্পে ফাহমিদুলের সাথে হামজা চৌধুরি ও সামিত সোমকেও রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাফুফে।
গেল মৌসুমটা কেটেছে শিরোপাহীন। সেই খরা কাটাতে বার্সেলোনার নিয়োগ দিয়েছিল হান্সি ফ্লিককে, যিনি এই মৌসুমে করেছেন বাজিমাত। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে না পারলেও লা লিগা জয়ের মধ্য দিয়ে ঘরোয়া ট্রেবল জিতেছে ইয়ামাল-রাফিনিয়ারা। কয়েকজন খেলোয়াড় ব্যক্তিগতভাবে ক্যারিয়ারের সেরা ফর্ম দেখালেও দুর্দান্ত এই সাফল্যের পেছনে দলগত অবদানকেই বড় করে দেখছেন ফ্লিক।
বৃহস্পতিবার রাতে এস্পানিয়লকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে দুই ম্যাচ হাতেই রেখেই লা লিগা শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছে বার্সেলোনা। স্পেনের শীর্ষ লিগে এটি তাদের ২৮তম শিরোপা। লিগ সহ ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে অপরাজিত থাকা ফ্লিকের দল এর আগে দুই ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে জিতেছে স্প্যানিশ সুপার কাপ ও কোপা দেল রে। এই পথচলায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুই উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল, রাফিনিয়া, মিডফিল্ডার পেদ্রি এবং অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানদভস্কিরা।
লিগ জেতার পর অবশ্য পুরো দলকেই কৃতিত্ব ভাগাভাগি করে দিলেন ফ্লিক।
“আমি মনে করি বিশেষ করে মৌসুমের দ্বিতীয় অংশে আমরা সবাইকে অবাক করে দিয়েছি। আমরা একটা ম্যাচেও হারিনি, যা স্রেফ দুর্দান্ত। এজন্য দলের সবাই, ক্লাব আর ভক্তদে অভিনন্দন জানাই আমি। আমরা যা অর্জন করেছি, তা নিয়ে আমরা খুব খুশি। আমার মনে হয় না কিছু বিষয় বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমি যথেষ্ট সময় পেয়েছি। তবে আমরা একটা সংস্কৃতি তৈরি করার চেষ্টা করেছি, যেখানে একটা পারিবারিক আবহ থাকবে। আমাদের তৈরি করা এই পরিবারটিকে দেখে আমার সত্যিই খুব ভাল লাগছ। এটা অনন্য, আমি খুব খুশি।”
ফ্লিক যতই দলের কথা বলুন না কেন, এই মৌসুমে বিশ্ব ফুটবলে বিশেষ প্রভাব ফেলেছেন ইয়ামাল। স্পেনের তরুণ এই প্রতিভা মাত্র ১৭ বছর বয়সেই হয়ে গেছেন বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। যেভাবে মাঠে দাপিয়ে বেড়ান, তাতে প্রায়ই তাকে থামাতেই হিমশিম খেতে হয় তাকে। এস্পানিওলের বিপক্ষেও একটি অসাধারণ গোল করেছেন কঠিন এঙ্গেল থেকে।
কোচের বাড়তি প্রশংসা তা পেয়েছেন ইয়ামাল।
“এটা বার্সেলোনার লা লিগা জয়ের ব্যাপার। এটা একজন খেলোয়াড়ের ব্যাপার না, অবশ্যই লামিন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তবে আমরা একটি দল, আর এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে হ্যাঁ, লামিন এরই মধ্যে অনেক গোল করেছে। সে প্রতিদিনই উন্নতি করে। তবে এই ম্যাচে সে একটা নিখুঁত গোল করেছে।”
এর আগেও হুট করেই চাকরি হারাতে হয়েছিল বলে সাম্প্রতিক সময়ে গুঞ্জন জোড়াল হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত এডনাল্ডো রদ্রিগুয়েসকে সভাপতির পদ থেকে সরানোর জন্য ব্রাজিলের ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) আদেশ দিয়েছে রিও ডি জেনিরো একটি আদালত। নাটকীয়ভাবে একই সপ্তাহে কার্লো আনচেলত্তিকে ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ নিয়োগের পর সভাপতির পদ হারালেন এডনাল্ডো।
গত বৃহস্পতিবার এই রায় দেওয়া হয়। এডনাল্ডোকে অপসারণের জন্য আবেদন করেছিলেন সিবিএফের অন্যতম সহ-সভাপতি ফার্নান্দো সার্নি। আদালত তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সিবিএফ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে। পাশাপাশি তাকে বলা হয়েছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সভাপতি নির্বাচন আয়োজন করার জন্য।
আদালতের মামলায় এই বছরের শুরুর দিকে এডনাল্ডোর সাথে সিবিএফের সভাপতি আন্তোনিও কার্লোস নুনস ডি লিমার একটি চুক্তিতে স্বাক্ষরের ব্যাপারে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়। উল্লেখিত সেই চুক্তিটির মাধ্যমে কার্যকরভাবে এডনাল্ডোকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সিবিএফের প্রধান হিসেবে আবার নির্বাচিত হওয়া অনুমতি প্রদান করা হয়।
রায়ে রিও ডি জেনিরো কোর্টের বিচারক গ্যাব্রিয়েল ডি অলিভিরা জিফিরো বলেছেন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কারণে সাবেক সভাপতি নুনস শুনানিতে অংশ নিতে পারেননি এবং ২০১৮ সালে মস্তিষ্কের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তার মানসিক ক্ষমতা অনেকটাই কমে গেছে।
এর আগে ২০২৩ সালে সিবিএফের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে বিরোধের জেরে রিও ডি জেনিরো কোর্ট অফ জাস্টিসে রায় দেওয়া হয়েছিল এডনাল্ডোকে সভাপতি পদ থেকে অপসারণ করার জন্য৷ তবে এক মাস পর ফিফা থেকে সিবিএফের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে এই ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে ব্রাজিলের বিচারমন্ত্রী গিলমার মেন্দেস এডনাল্ডোকে পুনরায় নিয়োগের আদেশ দেন।
জালিয়াতির অভিযোগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফের তার চাকরি হারানোর খবর বাতাসে ভাসছিল। এর মাঝেই চলতি সপ্তাহের শুরুতে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ আনচেলত্তিকে নেইমারদের কোচ হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দেন এডনাল্ডো।
ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবোর খবর, এডনাল্ডোর সম্ভাব্য অপসারণের ব্যাপারে নাকি আগে থেকেই অবগত ছিলেন আনচেলত্তি। পূরো সিবিএফের অন্যদের তার ওপর আস্থা ছিল বলেই তিনি ব্রাজিলের সাথে চুক্তি এগিয়ে নিতে সম্মত হন।
শেষ মুহূর্তের গোলে ইয়াকাবো রামান তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। তাতে বার্সেলোনার অপেক্ষা বেড়েছে লা লিগার শিরোপাটা ঘরে তোলার। অবশ্য রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি এখনো হাল ছাড়ছেন না। ফুটবলে যে কোনো কিছু হতে পারে সেই বিশ্বাসটাই রাখতে চান তিনি।
ঘরের মাঠে মাত্র ১১ মিনিটে মায়োর্কা ডিফেন্ডার মার্তিন ভালিয়েন্তের গোলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে কিলিয়ান এমবাপের গোলে সমতায় ফেরে লসব্লাঙ্কোসরা। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে রিয়ালকে জয় উপহার দেন দলটির একাডেমি ফুটবলার ইয়াকাবো রামান।
আরও পড়ুন
ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জন, রিয়ালে থাকবেন রদ্রিগো? |
![]() |
জয়সূচক গোলটা করতে পেরে দারুণ খুশি রামান। ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি,
“অনুভূতি ব্যখ্যা করা সম্ভব না। সবসময়ই এমন কিছুর স্বপ্ন দেখতাম আমি। এই জার্সিটা গায়ে জড়ালে আপনাকে সর্বোচ্চ উজাড় করে দিতে হবে। প্রথম গোল এমন একটা পরিস্থিতি থেকে আসলো এর চেয়ে বেশি আমি চাইতে পারতাম না।”
রিয়াল ম্যাচটা জিতলেও আজ রাতে এস্পানিওলকে হারাতে পারলেই লা লিগার শিরোপা উঠবে বার্সার হাতে। হাল না ছেড়ে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি তাকিয়ে আছেন নিয়তির দিকে,
“আমরা নিজেদের কাজটা করে যেতে চাই, বাকিটা দেখা যাবে। তাদেরকে হারতে হবে, ফুটবলে যে কোনো কিছুই হতে পারে। আমার মনে হয় আমরা এখনো লা লিগার লড়াইয়ে আছি।”
ফিট ছিলেন, স্কোয়াডেও ছিলেন। তবে রহস্যজনকভাবে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোতে রদ্রিগোকে মাঠেই নামাননি কার্লো আনচেলত্তি। শুরুর একাদশে অনিয়মিত হলেও বদলি হিসেবে তার না খেলাটা জন্ম দেয় প্রশ্নের। এর কারণ হিসেবে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো দিচ্ছে অবাক করার মত খবরই। তাদের দাবি, মিডিয়ায় কিলিয়ান এমবাপে ও জুড বেলিংহামকে নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতিতে বিরক্ত রদ্রিগো। তার জেরেই নাকি বার্সেলোনার সাথে খেলতে জানান অসম্মতি, ছাড়তে চান ক্লাবও। তবে আপাতত সেসব উড়িয়েই দিয়েছেন ব্রাজিল উইঙ্গার।
প্রথম খবরটি সত্যি হলে তা চমক জাগানোর মতোই হবে। কারণ। ২০২৩ সালে বেলিংহাম আসার পর খুব অল্প সময়েই তার সাথে দারুণ সম্পর্ক হয়ে যায় রদ্রিগোর। আক্রমণে তাদের রসায়নও দুর্দান্ত। তখন একাদশেও ছিলেন নিয়মিত। তবে ২০২৪ সালে এমবাপের আগমনের পর থেকে ক্রমেই একাদশের বাইরে ছিটকে গেছেন এই ফরোয়ার্ড। এই মৌসুমে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাকে নামানো হয়েছে বদলি হিসেবে বা তুলে নেওয়া হয়েছে এমবাপে, বেলিংহামদের মাঠে রেখে।
আরও পড়ুন
পর্তুগাল দলে অভিষেক রোনালদোর ছেলের |
![]() |
ফরাসি তারকা এমবাপে এই মৌসুমে রিয়ালে যোগ দিয়েই বনে গেছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল তারই। সাথে রয়েছে দুটি এল ক্লাসিকোর হ্যাটট্রিক। অন্যদিকে মিডফিল্ডার বেলিংহাম ফিট থাকলে নিয়মিতই খেলছেন একাদশে থেকে। এমনকি চোট নিয়েও খেলে গেছেন ম্যাচের পর ম্যাচ। অন্যদিকে ফিট থেকেও রদ্রিগো হয়েছেন ব্রাত্য।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিডিয়ায় এমবাপে ও বেলিংহামের যে প্রশংসা করা হয়, তাতে নাকি নাখোশ রদ্রিগো। সাথে রয়েছে একাদশে নিয়মিত না হওয়া। ফলে চিন্তা করছেন এই গ্রীষ্মেই ক্লাব ছাড়ার।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, রদ্রিগো দলের কারও সাথেই কথা বলছেন না এল ক্লাসিকোর পর থেকেই। কারণ, তার আশা ছিল এই মৌসুমে রিয়ালের আক্রমণ হবে তাকে, এমবাপে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে ঘিরে। সেটা না হওয়ায় জানাচ্ছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। সতীর্থরাও নাকি তার এমন আচরণে খুশি নন।
এই মৌসুমে রদ্রিগো লা লিগায় ৩০টি এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২টি ম্যাচ খেলেছেন। বেশিরভাগ সময়ই তাকে রাইট উইংয়ে খেলানো হয়েছে, যেখানে তাকে জায়গার জন্য লড়তে হচ্ছে ব্রাহিম দিয়াজ, আর্দা গুলের, এন্দ্রিক বা ক্ষেত্রেবিশেষে ফেদেরিকো ভালভের্দের সাথে।
সব মিলিয়ে তাই ভালো জোর পাচ্ছে রদ্রিগোর রিয়াল ছাড়ার খবর। তবে ইএসপিএন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রদ্রিগোর প্রতিনিধিরা ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সাথে দলে তার অবস্থান নিয়ে অসন্তোষ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন
রিয়ালকে আজীবন হৃদয়ে ধারণ করবেন আনচেলত্তি |
![]() |
সেই আলোচনায় নাকি এটাও উঠে এসেছে যে, ২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ রদ্রিগো নিজে এবং পেরেজও নাকি তাকে রিয়ালের জার্সিতেই দেখতে চান।
ইএসপিএন আরও জানিয়েছে, রদ্রিগোর প্রতিনিধিরা তার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর আগ্রহের খবর বাতাসে ভাসলেও তারা বরং অপেক্ষায় আছেন রিয়ালের নতুন কোচ জাবি আলোনসোর পরিকল্পনা জানার। সেটার ওপর ভিত্তি করেই ক্লাবে থাকা বা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন তরুণ এই উইঙ্গার।