১২ নভেম্বর ২০২৪, ৭:৫৮ পিএম
ক্লাব ফুটবলের আপাতত বিরতি, কিন্তু বিরতি নেই ফুটবলারদের। ক্লাবের জার্সি ছেড়ে জাতীয় দলের জার্সি স্যুটকেসে ভরে যে যার মতো যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলগুলোর ক্যাম্পে। আর আন্তর্জাতিক বিরতি মানেই ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার ম্যাচ, এবং সে ম্যাচগুলো ঘিরে বিশেষ উদ্দীপনা বাংলাদেশে। নভেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে এবারও দুটি করে ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার প্রস্তুতি
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে বাছাই পর্বের ম্যাচকে কেন্দ্র করে আগেই জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন লিওনেল স্কালোনির অধীনে ডাক পাওয়া ফুটবলাররা। প্রাথমিক অনুশীলন সেশনে প্রস্তুতিতে অংশ নিয়েছেন ২০ জন ফুটবলার। লাউতারো মার্তিনেজ, আলেহান্দ্রো গারনাচোরা, নিকোলাস তালিয়াফিকো ও তাতি কাস্তেয়ানোসরা দলের সঙ্গে যোগ দিবেন মঙ্গলবার থেকে।
আরও পড়ুন
কেমন হলো আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের স্কোয়াড? |
![]() |
কারা আছেন এবারের আর্জেন্টিনা স্কোয়াডে?
ছয় দিন আগে আর্জেন্টিনা দল ঘোষণা করলেও চোটেরর কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন ডিফেন্ডার হেরমান পেৎ্সেল্লা। এছাড়া চোটের কারণে দল থেকে সরিয়ে নিয়েছেন নিকো গনজালেসও।
গোলরক্ষক: এমিলিয়ানো মার্তিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), ওয়াল্টার বেনিতেজ (পিএসভি), হেরোনিমো রুই (অলিম্পিক মার্সেই)
ডিফেন্ডার: নাহুয়েল মলিনা (আতলেতিকো মাদ্রিদ), গনজালো মনতিয়েল (সেভিয়া), ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো (টটেনহাম), লিওনার্দো বালেরদি (অলিম্পিক মার্সেই), নিকোলাস ওতামেন্দি (বেনফিকা), লিসান্দ্রো মার্তিনেজ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (লিঁও)
মিডফিল্ডার: এনজো ফেরনান্দেজ (চেলসি), লিয়ান্দ্রো পারেদেস (এএস রোমা), ইজিকিয়েল পালাসিওস (বায়ার লেভারকুসেন), রদ্রিগো দি পল (আতলেতিকো মাদ্রিদ), আলেক্সিস ম্যাকঅ্যালাস্টার (লিভারপুল), গিওভান্নি লো সেলসো (রিয়াল বেতিস), এনজো বারেনেচেয়া (ভালেন্সিয়া), থিয়াগো আলমাদা (বোতাফোগো), ফাকুন্দো বুয়োনানতে (লেস্টার সিটি), নিকোলাস পাজ (কোমো ১৯০৭)
ফরোয়ার্ড: লিওনেল মেসি (ইন্টার মায়ামি), আলেহান্দ্রো গারনাচো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), নিকোলাস গঞ্জালেস (ইয়্যুভেন্তস), হুলিয়ান আলভারেজ (আতলেতিকো মাদ্রিদ), লাউতারো মার্তিনেজ (ইন্তারনাৎ্সিওনাল), ভালেন্তিন কাসতেয়ানোস (লাৎ্সিও)
আরও পড়ুন
যে কারণে নেইমারকে ব্রাজিল দলে রাখেননি দরিভাল |
![]() |
আর্জেন্টিনার ম্যাচ সূচি
লাতিন অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের টেবিলে শীর্ষস্থান ধরে রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সময় আগামী শুক্রবার, ভোর ৫:৩০ এ প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নামবে লিওনেল মেসির দল। প্যারাগুয়ের আসুনসিওনের উয়েনো দেফেনসোরেস দেল চাকো স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি।
এরপর আগামী ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় আর্জেন্টিনার ম্যাচ পেরুর বিপক্ষে। বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটা আর্জেন্টিনা খেলবে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসের বিখ্যাত লা বম্বোনেরা স্টেডিয়ামে।
ব্রাজিলের প্রস্তুতি
অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্রাজিলের জাতীয় দলকে ঘিরে বয়ে গেছে অস্বস্তির বাতাস। দরিভাল জুনিয়র দলের রেকর্ড তখন বলছে, আটটা বাছাই পর্বের ম্যাচের মধ্যে চারটাতেই হার, একটা ড্র আর তিনটা জয়। তবে চিলি আর পেরুর সঙ্গে দুটো জয়ে দরিভাল জুনিয়র এবং ব্রাজিল দলকে নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব পার হতে না পারার শঙ্কা অনেকটাই দূর হয়েছে। ব্রাজিলের জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন ফুটবলাররা, আর্জেন্টিনার চাইতে অবশ্য ব্রাজিলের জন্য এবারের বাছাই পর্বের ম্যাচগুলো তুলনামূলক কঠিনই বটে।
কারা আছেন এবারের ব্রাজিলের স্কোয়াডে?
স্কোয়াড ঘোষণার পর ব্রাজিল দলের জন্য দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে দুই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা এদের মিলিতাওর এসিএল এবং রদ্রিগোর পেশির ইনজুরি। এই দুজনের বদলি ফুটবলার অবশ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আগে থেকে ইনজুরির কারণে নেই আলিসন।
গোলরক্ষক: বেন্তো (আল নাসর), এদেরসন ম্যানচেস্টার সিটি), ওয়েভেরতন (পালমেইরাস)
ডিফেন্ডার: দানিলো (ইয়্যুভেন্তস), ভান্দেরসন (এএস মোনাকো), আবনের (লিঁও), গিলের্মে আরানা (আতলেতিকো মিনেইরো), লিও অরতিজ (ফ্লামেঙ্গো), গাব্রিয়েল মাঘালেস (আর্সেনাল), মার্কিনিয়োস (পিএসজি), মুরিলো (নটিংহাম ফরেস্ট)
মিডফিল্ডার: আন্দ্রে (উলভস), ব্রুনো গিমারেস (নিউক্যাসল), গারসন (ফ্লামেঙ্গো), লুকাস পাকেতা (ওয়েস্ট হাম), আন্দ্রেস পেরেইরা (ফুলহাম)
ফরোয়ার্ড: এস্তেভাও (পালমেইরাস), গাব্রিয়েল মার্তিনেলি (আর্সেনাল), লুইজ এনরিক (বোতাফোগো), সাভিনিও (ম্যানচেস্টার সিটি), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), ইগর হেসুস (বোতাফোগো), রাফিনিয়া (বার্সেলোনা)
আরও পড়ুন
২৮ সদস্যের আর্জেন্টিনা দল ঘোষণা, মেসি থাকলেও নেই বড় এক নাম |
![]() |
ব্রাজিলের সূচি
নভেম্বর মাসের প্রথম বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলতে ব্রাজিলকে যেতে হবে ভেনেজুয়েলার মাঠে। শুক্রবার ১৫ নভেম্বর, বাংলাদেশ সময় রাত ৩ টায় দরিভাল জুনিয়রের দল মুখোমুখি হবে ফেরনান্দো বাতিস্তার ভেনেজুয়েলা দলের। আর পাঁচদিন পর ব্রাজিলের সালভাদোরে খেলতে আসবে মার্সেলো বিয়েলসার উরুগুয়ে, যারা কোপা আমেরিকার পর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে একটা ম্যাচও জিততে পারেনি। ২০ নভেম্বর বুধবার, বাংলাদেশ সময় ভোর ৬:৪৫ এ শুরু হবে ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচটি।
লাতিন অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিল :
দল | ম্যাচ | পয়েন্ট |
১. আর্জেন্টিনা | ১০ | ২২ |
২. কলম্বিয়া | ১০ | ১৯ |
৩. উরুগুয়ে | ১০ | ১৬ |
৪. ব্রাজিল | ১০ | ১৬ |
৫. ইকুয়েডর | ১০ | ১৩ |
৬. প্যারাগুয়ে | ১০ | ১৩ |
৭. বলিভিয়া | ১০ | ১২ |
৮. ভেনেজুয়েলা | ১০ | ১১ |
৯. পেরু | ১০ | ৬ |
১০. চিলি | ১০ | ৫ |
৬ আগস্ট ২০২৫, ১:০৮ পিএম
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দারুণ সূচনা করল বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে ২১ ধাপ এগিয়ে থাকা শক্তিশালী লাওসকে বড় ব্যবধানেই হারাল পিটার বাটলারের দল, যা ভালোভাবেই আশা জাগাল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।
ভিয়েনতায়েনে নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বুধবারের ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
এই জয়ে ‘এইচ’ গ্রুপে আপাতত শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এখান থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে সরাসরি জায়গা মিলবে চলতি বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য মূল পর্বে। রানার্স-আপ হলেও থাকবে সুযোগ। সেরা তিন রানার্স-আপ দলও পাবে মূল পর্বের টিকিট।
সিনিয়র ও বয়সভিত্তিক মিলিয়ে লাওসের বিপক্ষে এটা ছিল বাংলাদেশের প্রথম সাক্ষাৎ। প্রথম ২০ মিনিটে কয়েকটি ভালো সুযোগ নষ্টের পর ৩৬তম মিনিটে মেলে সাফল্য। শান্তি মার্ডির কর্নার থেকে হেড করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন মোসাম্মাৎ সাগরিকা।
এরপর ৫৮তম মিনিটে মুনকি আক্তার দারুণ একটি ড্রিবলিংয়ের পর নিখুঁত শটে ব্যবধান ২-০ করেন। তবে ইনজুরি টাইমে লাওস এক গোল শোধ দিলে কিছুটা রোমাঞ্চ জাগে ম্যাচে। তবে শেষ মুহূর্তে তৃষ্ণার পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করে জয় নিশ্চিত করেন সাগরিকা।
বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচে ৮ আগস্ট, প্রতিপক্ষ পূর্ব তিমুর, এরপর ১০ আগস্ট শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে সাগরিকারা।
চলতি বছর কয়েকবারই চোটের শিকার হয়েছেন। আর তাই লিওনেল মেসির সাম্প্রতিক চোটের বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। তবে ইন্টার মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো বেশ নির্ভারই আছেন বিষয়টি নিয়ে। তিনি আশাবাদী, আর্জেন্টিনা তারকার চোট গুরুতর হবে না।
গত শনিবার লিগস কাপের ম্যাচে নেকাক্সা-এর বিপক্ষে ম্যাচের ১১তম মিনিটে ডান পায়ে চোটে পেয়ে মাঠ ছাড়েন মেসি। এরপর সেখান থেকে সরাসরি চলে যান ড্রেসিংরুমে। মায়ামি এক বিবৃতিতে জানায়, ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির ফেরাটা নির্ভর করছে তার চোটের ধরণ এবং সেরে ওঠার প্রক্রিয়ার ওপর।
এই চোটের কারণে বুধবার পুমাস ইউএনএএম-এর বিপক্ষে লিগস কাপের ম্যাচ মিস করবেন মেসি। তবে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মাসচেরানো বলেছেন, শীঘ্রই ফিরেন তাদের অধিনায়ক।
“আমি মেসির সাথে কথা বলেছি। ক্লাব যে বিবৃতিটি দিয়েছে, সেটা খুব স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। মেসির চোটের খারাপ খবরের মধ্যেও এটা কিছুটা ভালো দিক যে, চোটটা বড় নয়। আমরা মেসির বেলায় মাঠে ফেরার সময় নিয়ে কোনো অনুমান করতে চাই না। সাধারণত সে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। তাই কালকের (লিগস কাপ) ম্যাচে না খেললেও তার ফেরার বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।”
মাসচেরানো আশাবাদী হলেও মেসির পরবর্তী ম্যাচে অংশ নেওয়া নিয়েও এখনো অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে। বুধবারের ম্যাচের পর মায়ামির পরের ম্যাচ আগামী রবিবার, এমএলএসে তাদের প্রতিপক্ষ অরল্যান্ডো সিটি।
তবে তার আগে মেসিকে ছাড়া লিগস কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই মায়ামির সামনে। নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী, প্রতিটি লিগ থেকে সেরা চারটি দলই উঠবে নকআউট পর্বে। দুই ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে মায়ামি এখন তৃতীয় স্থানে।
নতুন মৌসুম থেকে সেরি আ-তে ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। রেফারিরা এখন থেকে স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শক ও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে ভিএআরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইতালির ফুটবল ফেডারেশনের রেফারিং নিয়োগ কর্মকর্তা জিয়ানলুকা রোক্কি।
ভিএআর প্রযুক্তি রেফারিদেদ মাঠের সিদ্ধান্তের যথার্থতা আনার জন্যই চালু করা হয়েছিল। তবে সেটার ব্যাখ্যার অভাব প্রায়ই সময়েই গ্যালারিতে থাকা দর্শক ও খেলোয়াড়দের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে। সেদিক থেকে সেরি আয় রেফারিদের তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভিএআরের এই সরাসরি ব্যাখ্যা প্রদান হতে পারে দারুণ এক পদক্ষেপ। কারণ, এটা শুধু একটি সিদ্ধান্তের স্বচ্ছতাই নয়, সাথে দর্শকদের অভিজ্ঞতাকেও উন্নত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত মঙ্গলবার ইতালীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোক্কিও শোনান ইতিবাচক কথা।
“এটা রেফারি ও দর্শকের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এর মাধ্যমে আমরা সিদ্ধান্তগুলোকে আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও সহজবোধ্য করতে চাই।”
রোক্কি আরও জানান, এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য নির্বাচিত রেফারিদের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। সেখানে তাদেরকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা একই রকম ভাষায় এবং আরও স্পষ্টভাবে সিদ্ধান্তগুলো ব্যাখ্যা করতে পারেন।
ইতালির আগে এই ধরনের সরাসরি সিদ্ধান্ত ঘোষণার ব্যবস্থা ইংল্যান্ড ও জার্মানিসহ কয়েকটি ইউরোপিয়ান দেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। এছাড়া বিশ্বকাপে এবং ফিফা কিছু টুর্নামেন্টেও রেফারিদের সিদ্ধান্তগুলো মাইক্রোফোনের মাধ্যমে মাঠেই ঘোষণা করতে দেখা গেছে, যা সাধারণ দর্শকরা ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন।
ক্লাব না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আগে থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে হচ্ছিল না বনিবনা৷ এবার গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনের মেডিকেলের তথ্য লা লিগাকে না দেওয়ায়, তার বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের চিন্তা করছে বার্সেলোনা। অন্যদিকে এই জার্মান ফুটবলারও তার অবস্থান অনড় রয়েছেন।
ইএসপিএন একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, টের স্টেগেন লা লিগাকে ক্লাবের পক্ষ থেকে পাঠানো মেডিকেল রিপোর্টে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ক্লাবকে একটি ফ্যাক্স পাঠি দিয়েছেন। আর এটাই পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে।
৩৩ বছর বয়সী টের স্টেগেন গত ২৯ জুলাই কোমরের চোট থেকে সেরে ওঠার লড়াইয়ে অস্ত্রোপচার করান। আর লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় চার মাস বা তার বেশি সময়ের জন্য যদি মাঠের বাইরে থাকেন, তাহলে ক্লাব তার বেতনের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পেতে পারে। আর সেই অর্থ দিয়ে তার জায়গায় নতুন খেলোয়াড় রেজিস্টার করতে পারবে। তবে এজন্য অবশ্যই প্রয়োজন খেলোয়াড়ের মেডিকেলের তথ্য লা লিগাকে জমা দেওয়া। আর এখানেই টের স্টেগেনের সম্মতি না থাকায় সমস্যায় পড়ে গেছে কাতালান ক্লাবটির।
যদিও বিষয়টি নিয়ে সুরাহার জন্য ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকো তাদের এশিয়া সফর শেষে টের স্টেগেনের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে তার আগেই অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষকের পক্ষ থেকে মেডিকেল তথ্য শেয়ার না করার সিদ্ধান্ত আসে, যা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে ভীষণ বিস্মিত করেছে বলেই দাবি ইএসপিএনের।
টের স্টেগেনের এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যেই তিনি মাঠে ফিরতে পারবেন বলে আশাবাদী। তবে বার্সেলোনার ধারণা, তার চোট কাটিয়ে ফিরতে অন্তত চার মাস লাগবেই। আর এই চার মাসের সীমা ছাড়িয়ে গেলেই লা লিগার ইনজুরি রুল কার্যকর হবে এবং সেক্ষেত্রে তারা নতুন গোলরক্ষক হোয়ান গার্সিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন করতে পারবে।
স্পেনের কিছু সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বার্সেলোনা এরই মধ্যে টের স্টেগেনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। তারা একাধিক আইনি পদক্ষেপের বিকল্পও বিবেচনা করছে আর সাথে টের স্টেগেনকে জরিমানার বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে।
এখানে উল্লেখ্য, টের স্টেগেনের সাম্প্রতিক অস্ত্রোপচার বার্সেলোনার জন্য বড় এক ধাক্কা হয়ে এসেছে। কারণ, এই গ্রীষ্মেই তাকে বিদায় করার পরিকল্পনা ছিল লা লিগা চ্যাম্পিয়নদের। সেই লক্ষ্যে তারা এরই মধ্যে ক্লাব এসপানিওল থেকে গার্সিয়াকে দলে টেনেছে এবং অভিজ্ঞ গোলরক্ষকক ওজিচ শেজনির সাথে চুক্তিও নবায়ন করেছে।
আফঈদা’র নেতৃত্বে নারী ফুটবল দলের আরেকটি মিশন শুরু হচ্ছে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায়! তবে জাতীয় দল নয়, এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আজ স্বাগতিক লাওস। ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দু’দেশ।
প্রথমবারের মত এশিয়ান কাপের চূড়ান্তপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জনের মাস খানেক পর আরেকটি মিশন। স্বভাবতই দারুণ আত্মবিশ্বাসী আফঈদা-সাগরিকারা। পাঁচ দিন আগে সেখানে পৌঁছে মেয়েরা কন্ডিশনের সাথে ভালভাবেই মানিয়ে নিতে পেরেছে। আবহাওয়া অনূকুলেই আছে। এইচ’ গ্রুপে স্বাগতিক লাওস ছাড়াও আছে শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া ও পূর্ব তিমুর। আট গ্রুপের সেরা তিন রানার্সআপেরও সুযোগ মিলবে চূড়ান্তপর্বে খেলার। বাংলাদেশের লক্ষ্যও ভাল গোলগড় নিয়ে অন্তত রানার্সআপ হিসেবে শেষ করা। আফঈদার কণ্ঠেও তারই প্রতিধ্বনি-
“আমরা এএফসি কাপের চূড়ান্তপর্বে খেলতে চাই। প্রতিটা ম্যাচই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে বাংলাদেশ দু’বার চূড়ান্তপর্বে খেলেছে, কিন্তু অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ে কখনও খেলেনি! এবার তাই পিটার বাটলারের চোখ নতুন আরেকটি ইতিহাস গড়া।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে লাওস ১০৭ নাম্বারে, বাংলাদেশ ১২৮ নাম্বারে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে র্যাঙ্কিংয়ের ওপরের সব দলকে হারিয়েছে জাতীয় দল, আর তাই এই দলটিও আত্মবিশ্বাসী জয়ের ব্যাপারে। পিটার বাটলার জানিয়েছেন মেয়েরা ৩ পয়েন্টের জন্যই মাঠে নামবে, র্যাঙ্কিংকে তিনি দেখেন শুধু একটি সংখ্যা হিসেবে। টানা খেলার মধ্যে থাকা মেয়েদের সেরাটা বের করে আনতে সচেতনভাবেই কৌশলী হবে টিম ম্যানেজমেন্ট- সেটাও জানিয়েছেন এই বৃটিশ কোচ। সবশেষ জাতীয় দলে খেলা ৯ ফুটবলার আছে অনূর্ধ্ব-২০ দলে।
এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমার আর ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে হারিয়েছিল আফঈদার দল। মূলত মূলপর্বে ওঠার লক্ষ্যে আজ প্রথম ম্যাচে সাবধানী ফুটবল খেলতে চায় দল। যেকোন মূল্যে তিন পয়েন্ট পাওয়ার লক্ষ্য। দলে কোন ইনজুরি নেই, সবাই বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে। ৮ তারিখে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দুর্বল পূর্ব তিমুর, আর ১০ আগস্ট শেষ ম্যাচে লড়তে হবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে।