
অর্জনে ভরপুর এক ক্যারিয়ার। ক্লাব, জাতীয় দল বা ব্যক্তিগতভাবে লিওনেল মেসির পূর্ণতার নেই শেষ। সবখানেই যে পেয়েছেন দুহাতে সাফল্য। ইতিহাসের সেরাদের কাতারে নিয়ে গেছেন নিজেকে। অবসরের পর ফুটবল কীভাবে মনে রাখবে আর্জেন্টিনার এই কিংবদন্তিকে? সদা বিনয়ী মেসি মনে করেন, যারা তারা খেলে দেখছেন তারাই এটাই বিচার করবেন নিজেদের মত করে।
বার্সেলোনায় ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করা মেসি দলটির হয়ে জিতেছেন সম্ভাব্য সব শিরোপা। ক্লাব ছাড়ার আগেই হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলস্কোরার। আর্জেন্টিনার ইতিহাসেরও সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক তিনি। একবার বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন দুটি কোপা আমেরিকা। ব্যক্তিগত অর্জনে নামের পাশে রয়েছে ৮টি ব্যালন ডি’অর।
অনেকেই মনে করেন, মেসিই ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়। ৪৩৩ অ্যাপে সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানোর সাথে আলাপচারিতায় নিজেকে কীভাবে মনে রাখা উচিত সবার, সেই প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন ইন্টার মায়ামি তারকা। “আমাকে কীভাবে মনে রাখতে চায়, সেটা আমি এটা লোকেদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছি। আমি নিজের ক্যারিয়ার, বিশ্বকাপ জয় করার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন পূরণ করা, আমার জীবন এবং আমার চমৎকার পরিবারের নিয়ে কৃতজ্ঞ। আমি যা যা অর্জন করেছি, তার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।”
মেসি যে ক্যারিয়ারটা পার করছেন, সেটা যেকোনো ফুটবলারের জন্য স্বপ্নের মতই। তবে আগেও বলেছেন, তার কাছে সেরা অর্জন ছিল ২০২২ সালে জেতা কাতার বিশ্বকাপ। ৩৬ বছর পর আসরে সেরা খেলোয়াড় হওয়া মেসির হাত ধরে আবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় আর্জেন্টিনা।
সমৃদ্ধ এক ক্যারিয়ার নিয়ে তাই আক্ষেপ করার কিছুই নেই মেসির। “লোকেরা আমাকে যেভাবে চায় সেভাবে মনে রাখুক আমাকে। আমি আমার পেশাদার জীবনের জন্য বেশ কৃতজ্ঞ। আর ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আমি যা যা অর্জন করেছি, তা অর্জন করার সামর্থ্য দেওয়ার জন্য। আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল বিশ্বকাপ জেতা, যেটার জন্য আমি দীর্ঘদিন ধরে লড়েছি এবং যার জন্য আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। বার্সেলোনার হয়ে, জাতীয় দলের হয়ে সবকিছু জিততে পেরে আমি ভাগ্যবান ছিলাম। আমি একটি চমৎকার জীবন এবং পরিবার পেয়েছি, তাই আমি যা কিছু করেছি তার জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। আর তাই আমি এটি মানুষের ওপর ছেড়ে দিয়েছি যে তারা আমাকে কীভাবে মনে রাখবে।”
মেসির বয়স হয়ে গেছে ৩৭। স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্নটা চলেই আসে, অবসর কবে নেবেন বা খেলা ছেড়ে কী করবেন? অতীতে আভাস দিয়েছেন, বার্সেলোনায় ভিন্ন ভূমিকায় ফেরার ইচ্ছা আছে তার।
আর কোচিং? মেসি আপাতত রেখে দিয়েছেন অনিশ্চয়তা। “এটা সত্যিই আমি জানি না। আমার মনে হয় না আমি কোচ হতে চাই না। তবে আমি আসলেই জানি না (ভবিষ্যতে) আমি কী করতে পারি।”
No posts available.
২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৯:৩৪ পিএম
২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৬:২০ পিএম
২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৫:৫৪ পিএম

রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার প্রতিদ্বন্দ্বিতা যুগ যুগের। এল ক্লাসিকোর সময় সেটি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মাঠের বাইরেও কম ঝামেলায় জড়ায়নি বিশ্বসেরা দুই ক্লাব। ট্রান্সফার ইস্যু থেকে রেফারি—বহুদিন ধরে চলা আগুনে আরও একবার ঘি ঢাললেন রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ।
মাদ্রিদের সাম্প্রতিক অ্যাসেম্বলিতে তিনি জানান, ১৭ বছর ধরে রেফারি কমিটির গুরুত্বপূর্ণ এক কর্মকর্তাকে ৮ মিলিয়ন ইউরোর বেশি অর্থ দিয়েছে বার্সেলোনা।
বার্সা এটাকে ‘কনসালটেন্সি’ ফি বললেও, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পেরেজ। তার মতে, এটা অস্বাভাবিক। এক অর্থে রেফারি কেনা বা ঘুষ দেওয়ার বিষয় ইঙ্গিত দেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি।
এক প্রতিবেদনে স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা জানিয়েছে, অ্যাসেম্বলিতে পেরেজ বলেন,
‘যে কারণেই হোক, রেফারি কমিটির সহ-সভাপতিকে ১৭ বছর ধরে আট মিলিয়ন ইউরো দেওয়া—এটা স্বাভাবিক নয়। সময়টা আবার এমন, যখন বার্সেলোনার সবচেয়ে সফল যুগ চলছিল।’
২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ পেয়েছিলেন এনরিকেজ নেগেরেইরা। কাতালান ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কনসালটেন্সি বাবদই এ অর্থ প্রদান করা হয়েছিল। এ নিয়ে পেরেজ বলেন,
‘১৭ বছর ধরে চারজন বার্সা প্রেসিডেন্ট মিলিয়ন ইউরো দিয়েছেন রেফারি–কর্তাকে—এটা কীভাবে ভুলে যাব? যারা যুক্ত ছিল, তারা এখনো সিস্টেমের ভেতরেই আছে।’
এরপর তিনি অভিযোগ করেন—কোপা দেল রে ফাইনালের আগে এক ম্যাচ কর্মকর্তাই নাকি বলেছিলেন যে রিয়াল মাদ্রিদকে ‘শাস্তি’ দেওয়া হবে। পেরেজের দাবি, সেই রেফারিকে সরানোর কথা থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
২০২৩ সালের মার্চে সরকারি কৌঁসুলিরা বার্সেলোনার বিরুদ্ধে রেফারিকে ২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৭৩ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৪ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা) দেওয়ার অভিযোগ আনেন। এ সময় বার্সেলোর পক্ষ থেকে বলা হয় তারা পরামর্শ বাবদ টাকাগুলো দিয়েছিল। বার্সা ও নেগেরেইরা দু’পক্ষই ঘুষের অভিযোগ অস্বীকার করলেও মামলা এখনো বিচারাধীন।

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে। ঢাকার আরেক জায়ান্ট আবাহনী অবস্থান করছে অষ্টম স্থানে। দুই চির-প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যকার লড়াইয়ে দেখার থাকবে কে উপরে ওঠে। অন্যদিকে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা বসুন্ধরা কিংসের সামনে শীর্ষে ওঠার সুযোগ রয়েছে।
প্রায় এক মাস আন্তর্জাতিক বিরতির পর বাংলাদেশ ফুটবল লিগের তৃতীয় রাউন্ডের খেলা ফিরছে আগামীকাল সোমবার। একই দিনে আরাবমবাগ ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে মাঠে নামবে লিগের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ–তপন স্টেডিয়ামে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফর্টিস এফসিকে মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব। মুন্সীগঞ্জের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়ন খেলবে ফকিরেরপুল ইয়াংমেন্স ক্লাবের বিপক্ষে।
দিনের সবচেয়ে বড় ম্যাচটি হবে কুমিল্লার ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে। চারটি ম্যাচই একসঙ্গে মাঠে গড়াবে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে। নতুন মৌসুমে কালই হবে ঢাকার প্রথম ডার্বি। যেখানে আবাহনীকে হারিয়ে রেসে ফিরতে মরিয়া সাদা-কালোরা। মতিঝিল পাড়ার ক্লাবকে হারিয়ে ছন্দে ফিরতে চায় ধানমন্ডিপাড়ার ক্লাব আবাহনী।
১৭ সেপ্টেম্বর ফর্টিসের কাছে ২-০ গোলে হেরে লিগ শুরু করে মোহামেডান। পরের মাসের ১৯ তারিখ পুলিশের কাছে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে পয়েন্ট হারায় আলফাজ আহমেদের দল।
আবাহনী লিগ শুরু করেছিল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির কাছে গোলশূন্য ড্রয়ে। পরের ম্যাচে তাদেরকে হারিয়ে দারুণ জয় তুলে নেয় গোপীবাগের ক্লাব ব্রাদার্স।
মোহামেডানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তিন পয়েন্টে চোখ রেখেছেন আবাহনী কোচ মারুফুল হক। ম্যাচের আগের দিন রোববার তিনি বলেন, “এই খেলার গুরুত্ব এখন অনেক। মোহামেডানও পয়েন্ট হারিয়েছে। আমরাও পয়েন্ট হারিয়েছি। লিগে ফিরে আসতে হলে আগামী ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প নেই।” বর্তমানে দুটি দলের পয়েন্ট সমান।
মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচ শুধু তিন পয়েন্টের লড়াই নয়, এটি তাদের কাছে মর্যাদার দ্বৈরথ। সময়ের বিবর্তনে পুরনো সেই রোমাঞ্চ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে, তবে সমর্থকদের কাছে এই ম্যাচের আবেদন এখনও রয়ে গেছে। আবাহনী কোচ বলেন,
“মোহামেডান-আবাহনী ডার্বি ম্যাচের আলাদা গুরুত্ব আছে। অনেক দিক থেকে এই ম্যাচের গুরুত্ব অনেক বেশি। ঐতিহ্যের লড়াই এখানে আছে। এছাড়া এবার সবচেয়ে বড় বিষয়—লিগে ফিরে আসতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে।”
জেতার বাড়তি তাগিদ রয়েছে মোহামেডানের কাছেও। তাদের কাছে লিগটা যেন কাল থেকে শুরু হচ্ছে। কোচ আলফাজ আহমেদ বলেন,
“দলের পরিস্থিতি মোটামুটি। সবাই ফিট । লিগ তো কেবল শুরু হয়েছে। দু’বার বিরতি হয়েছে। খেলার এখনো ভালো কিছু হয়নি। কালকের ম্যাচ দিয়ে টানা খেলা শুরু হবে। জয়ের জন্যই মাঠে নামব। এখন খেলার ওপর নির্ভর করবে কি হবে।”
ম্যাচ জিততে আত্মবিশ্বাসী সাদা-কালোদের কোচ বলেন,
“আত্মবিশ্বাসী তো অবশ্যই। এখন ভালো দলও তো হারে। খেলার কথা বলা যাবে না। খেলায় কী হবে সেটা বলা যায় না, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
জেতার চেষ্টা যেমন থাকবে, তেমনি চাপও থাকবে খেলোয়াড়দের জন্য। মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচের উত্তাপ কেমন তা জানালেন আবাহনীর অধিনায়ক আসাদুজ্জামান বাবলু। তিনি বলেন,
“আবাহনী-মোহামেডান নিঃসন্দেহে বিগ ম্যাচ। বছরের পর বছর ধরে দু’দলের লড়াই দর্শকরা দেখে আসছেন। আগামীকাল কুমিল্লাতেও দারুণ একটি ম্যাচ দেখতে পাবেন।”

পেশাদার ফুটবল লিগের নাম পরিবর্তনের পর আজ নতুন লোগো উন্মোচন করল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। একই দিনে বাংলাদেশ ফুটবল লিগ নামে একটি ফেসবুক পেজেরও যাত্রা শুরু হয়েছে। এবারের ফুটবল লিগের টাইটেল স্পন্সর- প্রেট্রোনাস। এটি মূলত মালয়েশিয়ান বহুজাতিক তেল ও গ্যাস কোম্পানী।
ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা। আগামীকাল ও পরশু হবে তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ। তার আগে লিগের অফিসিয়াল লোগো সামনে আনল দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বাফুফে আজ একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে লোগোটি উন্মোচন করে। ভিডিওতে দেখানো হয় যে লিগের নতুন পরিচিতির প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে 'Bold, Fair, Limitless' অর্থাৎ সাহসী, সৎ ও সীমাহীন অগ্রগতির প্রতিশ্রুতি।
ফুটবল লিগের লোগোতে ব্যবহার করা হয়েছে সাদা-কালো রঙের মিনিমাল ডিজাইন। যা দিয়ে ফুটবলের প্রতিকৃতি বুঝানো হয়েছে। এই লোগো সামনে আনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে ট্রল। অনেকেই এই লোগোর ডিজাইনকে কপি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

গত জুন-জুলাইয়ে মিয়ানমারে ইতিহাস রচনা করে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বাছাই খেলে প্রথমবারের মতো তারা পৌঁছায় এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে। আগামী বছরের মার্চে এশিয়ান কাপের আসর বসবে অস্ট্রেলিয়ায়। যেখানে খেলার জন্য জুলাই থেকেই ‘মিশন অস্ট্রেলিয়া’ ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
মেয়েদেরকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দেন বাফুফে সভাপতি। প্রথমবারের মতো মেয়েদের আবাসিক ক্যাম্প করা হয় ঢাকার বাইরে। দুই দফায় চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেডে আফঈদা খন্দকারদের নিয়ে ক্যাম্প করেন হেড কোচ পিটার বাটলার।
আগামী বছর অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে আরও কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ফেডারেশন। আজ বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তাবিথ আউয়াল ‘মিশন অস্ট্রেলিয়া’ নিয়ে বলেন,
‘মিশন অস্ট্রেলিয়ার আসল প্রস্তুতি ভিত্তি করবে আমাদের ম্যাচ খেলার উপর। জাতীয় দল যত বেশি ভালো মানের ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে পারবে আমরা বিশ্বাস করি ততই আমরা এশিয়ান স্টেজে উপকৃত হবো। তাই আমরা যাওয়ার আগে আরও কিছু ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করছি।’
এর মধ্যে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে গত অক্টোবরে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেন ঋতুপর্ণা চাকমারা। যদিও দুই ম্যাচেই সেখানে হার দেখেছিল বাটলারের দল। এবার ঘরের মাঠে মালয়েশিয়া ও আজারবাইজানকে নিয়ে তিন জাতি সিরিজ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাফুফে। আগামী ২৬ নভেম্বর মালয়েশিয়া এবং ২ ডিসেম্বরর আজারবাইজানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। মাঝে ২৯ নভেম্বর অতিথি দুই দল একে অপরকে মোকাবিলা করবে।
বেশি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে আগেভাগে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। এবং সেখানে কিছু প্রীতি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবে বাফুফে,
‘অস্ট্রেলিয়াতে আগে যাওয়ার চেষ্টা করব। সেখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে এটা কাজে দেবে। এবং কিছু ক্লোজ-ডোর ম্যাচ খেলার চেষ্টা করব। ইতোমধ্যে সে ধরনের যোগাযোগ আমরা রাখা শুরু করেছি।’
তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিটি আসার পর বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে মেয়েরা। সাধারণত বাফুফের আবাসিক ক্যাম্পে থেকে স্রেফ দৈনন্দিন প্রাকটিসেই সীমাবদ্ধ ছিল দল। কিন্তু বাফুফে সভাপতির ভাবনা এখানেই নতুনত্ব আনছে,
‘মেয়েরা যেন খেলার মধ্যে থাকতে পারে… কেননা সব সময় কেবল প্রাকটিসের মধ্যে থাকলে… ওভার ট্রেনিং বলে একটা কথা আছে। একটু মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে আমরা চাচ্ছি যেন আমাদের নারী লিগটাও চালু হয়ে যায়। এবং বিভিন্ন দলের বিপক্ষে খেলা যায়।’
এদিন জাতীয় নারী ফুটবল দলের আসন্ন ট্রাই নেশন সিরিজের টাইটেল স্পন্সরদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণ নিয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও সম্ভবনার কথা জানাতে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বাফুফে।
সংবাদ সম্মেলনে তাবিথ আউয়াল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম, বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার ও ইনফিনিক্সের কর্মকর্তা টমি।

এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে দলগুলো খেলে ফেলেছে নিজেদের প্রথম ম্যাচ। স্বাগতিক চীন, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ জিতে পেয়েছে সমান তিন পয়েন্ট করে। গোলগড়ে বাংলাদেশ আছে তালিকার শীর্ষে। তবে টুর্নামেন্ট কেবল শুরু, পাড়ি দিতে হবে আরও অনেকটা পথ। বাংলাদেশ সেটি জানে, যে কারণে ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চায় গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
প্রতিযোগিতায় আগামীকাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ ব্রুনাই। চীনের চংকিংয়ের ইয়ংচুয়াং স্পোর্টস সেন্টারে খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায়। এর আগে প্রথম ম্যাচে লাল সবুজের কিশোররা ৫-০ গোলে হারিয়েছে তিমুর লেস্তেকে। এবার দ্বিতীয় জয়ে চোখ বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন
| মাঠ সঙ্কটের পরও সফল চ্যাম্পিয়শিপ আয়োজনে আত্মবিশ্বাসী বাফুফে সভাপতি |
|
ব্রুনাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে আজ স্থানীয় সময় দুপুর ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অনুশীলন করে বাংলাদেশ দল। আগের ম্যাচে যারা খেলেছে তাদের জন্য ছিল কেবল রিকভারি সেশন। সেখান থেকে ডিফেন্ডার ইকরামুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘আমরা প্রথম ম্যাচ তিমুর লেস্তের সঙ্গে আশানুরূপ রেজাল্ট করেছি। এরপর গ্রুপের দুইটা ম্যাচ ছিল, ওই চার দলের খেলা দেখেছি। আমাদের হাতে এখন যেসব ম্যাচ আছে ভালো খেলে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাই। আজ রিকভারি এবং অনুশীলন করেছি এবং এখানকার ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে বেশি মানিয়ে নিয়েছি।’
বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতলেও ব্রুনাই ০-৪ গোলে হেরেছে শ্রীলঙ্কার কাছে। প্রতিপক্ষের শক্তিমত্ত্বা সম্পর্কে জানতেই ওই ম্যাচে চোখ ছিল বাংলাদেশের।
এবার দলের সঙ্গে ম্যানেজার হিসেবে আছেন বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য সামিদ কাশেম। দলের প্রস্তুতি ও সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা তিমুর লেস্তেকে হারিয়েছি, ছেলেরা দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তাঁদের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। আমরা এখন গ্রুপের শীর্ষে আছি। এখানে সবকিছু খুব ভালো যাচ্ছে আমাদের। কালকের ম্যাচে ব্রুনাইয়ের সঙ্গে আশা করি জিতব।’