২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪:৫৩ পিএম
নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশের অধিনায়ক হওয়ার পর থেকে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে যখনই প্রশ্ন উঠেছে, তিনি প্রতিবারই আগলে রেখেছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে। চেন্নাই টেস্ট শেষের পর সংবাদ সম্মেলনে তাই দলে সাকিবের অবস্থান নিয়ে প্রশ্নে বাংলাদেশ অধিনায়ক কয়েকটি শব্দেই তুলে ধরেন তার অবস্থান। সাবেক কাপ্তানকে আগলে রেখে শুরুটাই করেছেন হেসে ‘খুব সাহসী প্রশ্ন। মাশাল্লাহ’, বলে। শান্তর বিশ্বাস, দলের প্রতি নিবেদন দেখানোর ক্ষেত্রে সাকিব এখনও লেটার মার্কস পেয়েই উত্তীর্ণ।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সাকিব খেলতে এসেছিলেন সারের হয়ে কাউন্টি ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সকে সঙ্গী করে। সমারসেটের বিপক্ষে নেন ৯ উইকেট। তবে চেন্নাই টেস্টে বোলার সাকিব ছিলেন নিজের ছায়া হয়েই। দুই ইনিংসে রান দিয়েছে ওভারপ্রতি ছয় রানের বেশিতে, উইকেট নিতে পারেননি একটিও। ব্যাটিংটা মোটামুটি করলেও টেস্ট চলাকালীন চোটের কারণে কম বোলিং করার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে তার মুখ থেকেই। আর সেটার রেশ ধরে অনেকেই মনে করছেন, সাকিবকে দলের বাইরে রাখার সময় হয়েছে।
তবে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্ন শুনে হেসে শান্তর প্রাথমিক ওই উত্তরই বলে দেয়, বিষয়টি তার কাছে একেবারেই অবান্তর লেগেছে। এরপর ব্যাট ধরেন সাকিবের হয়ে। “অধিনায়ক হিসেবে আমি যা দেখি তা হল, এটা শুধু সাকিব ভাই বলেই বলছি না, আমি দেখি কে কতটুকু কষ্ট করছে এবং ফিরে আসার জন্য যা যা করা দরকার, সেই কাজগুলো করছে কিনা। দলের প্রতি নিদেদন কী রকম। এই ব্যাপারগুলোই আমি দেখি। আমি চেষ্টা করি সেই ক্রিকেটার দলের জন্য অবদান রাখার জন্য কতটুকু প্রস্তুত, শতভাগ কিনা, সেটার দেখার।”
প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ও বোলিং দুটিতেই ভিন্ন কারণে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন সাকিব। ব্যাট করতে নামেন হেলমেটের ভেতর একটি স্ট্র্যাপ পেছিয়ে, যেটা কামড়ে তিনি দুই ইনিংসেই পুরোটা সময় ব্যাটিং করেছেন। অতীতে চোখের সমস্যায় ভোগার পর থেকেই হেড পজিশন ঠিক রাখতে সাকিবকে নানা কৌশল নিতে দেখা গেছে। এর সাথে যোগ হয় সাবেক ভারত স্পিনারকে মুরালি কার্তিককে তার আঙুলে ও কাঁধে ব্যাথা অনুভব করার কথা।
তবে এসব বিষয় পাশ কাটিয়ে শান্ত মনে করিয়ে দিলেন, দিনশেষে খেলাটা দলীয় এবং ভালো করতে সবারই সমান অবদান প্রয়োজন। “আঙুলের যে ব্যাপারটা, তিনি (আঙুলে) টেপ পেঁচিয়েছেন। বল লেগেছিল সেখানে, ব্লিডিংও হয়েছিল। এই কারণেই টেপ প্যাঁচানো ছিল। আমি কখনই নির্দিষ্ট কারও পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না। কারণ এটা দলীয় খেলা। পুরা দলের অবদানেই কিন্তু একটা ম্যাচ জেতা সম্ভব। সব মিলিয়ে আমরা সবাই মিলে যদি অবদান রাখতাম, তাহলে ভালো কিছু হতো। তো আলাদা করতে ব্যক্তিগত কাউকে নিয়ে আমি চিন্তিত নই।”
সাকিব প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে বল করেছেন মোট ২১ ওভার। রান দিয়েছেন ১২৯। ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে তার অবদান যথাক্রমে ৩২ ও ২৫ রান।
৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৭ দিন আগে