২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে জোর দাবি ছিল পাকিস্তানের সাদা বলের অধিনায়ক হিসেবে বাবর আজমকে সরিয়ে দেওয়ার। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সেটা আর করেনি। তবে নিজে থেকেই দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই তারকা ব্যাটার। কারণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেছেন খেলোয়াড় হিসেবে আরও বেশি অবদান রাকার প্রয়াস।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন বাবর। সাদা বলের অধিনায়ক হন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। তবে গত এপ্রিলে আচমকাই তাকে সরিয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয় বাবরের হাতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ভরাডুবির পর থেকেই চাপে ছিলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। এবার ছেড়েই দিলেন দায়িত্ব।
আরও পড়ুন
নিজেদের ব্যাটিংয়ে সন্তুষ্ট অধিনায়ক শান্ত |
![]() |
‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি জানিয়ে বাবর তুলে ধরেন তার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য। “এই দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সম্মানের বিষয়, কিন্তু এখন আমার পদত্যাগ করার এবং নিজের ভূমিকায় ফোকাস করার সময় এসেছে। অধিনায়কত্ব আমার জন্য একটা ফলপ্রসূ অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিন্তু এটি আমার ওপর একটি উল্লেখযোগ্য কাজের চাপও যোগ করেছে। আমি আমার পারফরম্যান্সকে অগ্রাধিকার দিতে চাই, আমার ব্যাটিং উপভোগ করতে চাই এবং আমার পরিবারের সাথে যথেষ্ট সময় কাটাতে চাই, যা আমাকে আনন্দ দেয়।”
এই দফায় অধিনায়ক হওয়ার পর উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছিল না বাবরের। মূলত পাকিস্তান খেলেছে টি-টোয়েন্টি। আর সেখানে মূল চ্যালেঞ্জ ছিল বিশ্বকাপে। তবে সেখানে গ্রুপ পর্বে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে আসর শুরু করা পাকিস্তান আর নিজেদের খুঁজে পায়নি।
বাবরের সরে দাঁড়ানোর অর্থ হল, আসছে সাদা বলের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও আগামী বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে সামনে রেখে নিয়োগ দিতে হবে একজন বা দুজন ভিন্ন ভিন্ন অধিনায়ক।
No posts available.
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৫ এম
ব্যাটিং ব্যর্থতার পর মাঝারি পুঁজি পাওয়ায় বোলিং-ফিল্ডিংয়ে প্রয়োজন ছিল বাড়তি চেষ্টা। কিন্তু সেটিই করতে পারেনি বাংলাদেশ। নির্দিষ্ট করে বললে শেখ মেহেদি হাসান। তার ক্যাচ মিসের পর ম্যাচের দৃশ্যপট পুরোপুরি বদলে দিয়ে জিতল শ্রীলঙ্কা।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবারের ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা। মাত্র ১৪০ রানের লক্ষ্য ১৪.৪ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলে এশিয়া কাপের ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা।
হংকংকে হারিয়ে যাত্রা শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচেই হেরে গেল বাংলাদেশ। আর জয়ে আসর শুরু করল শ্রীলঙ্কা।
আরও পড়ুন
বিব্রতকর শুরুর পর অনিক-শামীমের রেকর্ড, বাংলাদেশের ১৩৯ |
![]() |
অথচ রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর পঞ্চম ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে কামিল মিশারার ক্যাচ ছেড়ে দেন মেহেদি।
সেখান থেকেই শুরু হয় তাণ্ডব। ক্যাচ ছাড়ার সময় ৪.১ ওভারে ১ উইকেটে ২৮ রান ছিল শ্রীলঙ্কার। আর মিশারা অপরাজিত ছিলেন ৭ বলে ১ রানে। জীবন পাওয়ার ওভারেই একটি ছক্কার পর দুটি চার মারেন মিশারা। ওভার থেকে আসে ১৮ রান।
পাওয়ার প্লেতে ৫৫ রান করে ফেলে শ্রীলঙ্কা। অন্য প্রান্তে পাথুম নিসাঙ্কাও ঝড় তুললে ১০ ওভারে তারা করে ফেলে ১ উইকেটে ১০৭ রান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৯৫ রান।
এরপর ৩৪ বলে ৫০ রান করা নিসাঙ্কাকে আউট করেন মেহেদি। কিন্তু ততক্ষণে বিপদ যা ঘটার আগেই ঘটে যায়। তাই কুশল পেরেরা ও দাসুন শানাকা দ্রুত ফিরলেও কোনো সমস্যা হয়নি শ্রীলঙ্কার।
আরও পড়ুন
নিউ জিল্যান্ডের সফল কোচ এবার ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে |
![]() |
১ রানে জীবন পাওয়া কামিল মিশারা ৩৪ বলে ৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৬১ বলে ৮৬ রান যোগ করেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও জাকের আলি অনিক। বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি।
এর আগে ২০২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৮১ রানের জুটি গড়েছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব ও নুরুল হাসান সোহান।
ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে ড্রেসিং রুমে ফেরেন দুই ওপেনার। তামিমকে বোল্ড করেন নুয়ান থুশারা। দুশমন্থ চামিরার বলে কট বিহাইন্ড হন ইমন।
শূন্য রানে বাংলাদেশের ২ উইকেট হারানো ঘটনা এটিই প্রথম। আর সবমিলিয়ে বিশ্বের ষষ্ঠ। তবে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এটি মাত্র দ্বিতীয় ঘটনা। এর আগে ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দুই ওভারে কোনো রান নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
আরও পড়ুন
ভারতের বিপক্ষেও ‘ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলবে’ পাকিস্তান |
![]() |
এরপর পঞ্চম ওভারে জীবন পান হৃদয়। পরের বলেই দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান তিনি। ফলে মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ৩ চারে ১৪ রান নেন লিটন কুমার দাস। ৬ ওভারে আসে সব মিলিয়ে ৩০ রান।
প্রমোশন পেয়ে পাঁচ নম্বরে নামলেও তেমন কিছু করতে পারেননি শেখ মেহেদি হাসান। দলকে পঞ্চাশ পার করিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন লিটনও। দারুণ ছন্দে থাকা ব্যাটার এদিন ২৬ বলে ৪ চারে করেন ২৮ রান।
৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন মহা বিপদে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন অনিক ও শামীম। শুরুতে রয়ে সয়ে খেলে ১৬তম ওভারে দলের একশ পূর্ণ করেন তারা দুজন। তাদের জুটির পঞ্চাশ রান আসে ৪০ বল থেকে।
অনিক-শামীমের সৌজন্যে শেষ ৪ ওভারে ৩৯ রান করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মাথিশা পাথিরানার করা ১৯তম ওভার থেকেই আসে ১৮ রান।
শেষ পর্যন্ত ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন শামীম। অনিকের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৪১ রান। কিন্তু জয়ের জন্য তা যথেষ্ট হয়নি।
আরও পড়ুন
‘ফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে চায় না ভারত’ |
![]() |
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৯/৫ (তামিম ০, ইমন ০, লিটন ২৮, হৃদয় ৮, মেহেদি ৯, অনিক ৪১*, শামীম ৪২*; থুশারা ৪-১-১৭-১, চামিরা ৪-১-১৭-১, শানাকা ৩-০-২৭-০, পাথিরানা ৪-০-৪২-০, হাসারাঙ্গা ৪-০-২৫-২, আসালাঙ্কা ১-০-৬-০)
শ্রীলঙ্কা: ১৪.৪ ওভারে ১৪০/৪ (নিসাঙ্কা ৫০, কুশল মেন্ডিস ৩, মিশারা ৪৬*, কুশল পেরেরা ৯, শানাকা ১, আসালাঙ্কা ১০*; শরিফুল ৩-০-২৬-০, মুস্তাফিজ ৩-০-৩৫-১, সাকিব ৩-০-২৩-১, মেহেদি ৪-০-২৯-২, রিশাদ ১-০-১৮-০, শামীম ০.৪-০-৪-০)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
প্রথম ওভারে বোল্ড তানজিদ হাসান তামিম। দ্বিতীয় ওভারে ফিরলেন পারভেজ হোসেন ইমন। তখনও রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। চাপ আরও বাড়িয়ে রান আউট হয়ে গেলেন তাওহিদ হৃদয়। এমন বাজে শুরুর পর মনে হচ্ছিল, অল্পেই গুটিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
সেই শঙ্কা দূর করেছেন জাকের আলি অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুটির সৌজন্যে ১৩৯ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচ জিততে বাকি দায়িত্ব এখন বোলারদের কাঁধে।
ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৬১ বলে ৮৬ রান যোগ করেছেন শামীম ও অনিক। বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ২০২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৮১ রানের জুটি গড়েছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব ও নুরুল হাসান সোহান।
আরও পড়ুন
নিউ জিল্যান্ডের সফল কোচ এবার ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে |
![]() |
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবারের ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং পায় বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে ড্রেসিং রুমে ফেরেন দুই ওপেনার। তামিমকে বোল্ড করেন নুয়ান থুশারা। দুশমন্থ চামিরার বলে কট বিহাইন্ড হন ইমন।
শূন্য রানে বাংলাদেশের ২ উইকেট হারানো ঘটনা এটিই প্রথম। আর সবমিলিয়ে বিশ্বের ষষ্ঠ। তবে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এটি মাত্র দ্বিতীয় ঘটনা। এর আগে ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দুই ওভারে কোনো রান নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
এরপর পঞ্চম ওভারে জীবন পান হৃদয়। পরের বলেই দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান তিনি। ফলে মাত্র ১১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ৩ চারে ১৪ রান নেন লিটন কুমার দাস। ৬ ওভারে আসে সব মিলিয়ে ৩০ রান।
আরও পড়ুন
ভারতের বিপক্ষেও ‘ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলবে’ পাকিস্তান |
![]() |
প্রমোশন পেয়ে পাঁচ নম্বরে নামলেও তেমন কিছু করতে পারেননি শেখ মেহেদি হাসান। দলকে পঞ্চাশ পার করিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন লিটনও। দারুণ ছন্দে থাকা ব্যাটার এদিন ২৬ বলে ৪ চারে করেন ২৮ রান।
৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন মহা বিপদে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন অনিক ও শামীম। শুরুতে রয়ে সয়ে খেলে ১৬তম ওভারে দলের একশ পূর্ণ করেন তারা দুজন। তাদের জুটির পঞ্চাশ রান আসে ৪০ বল থেকে।
অনিক-শামীমের সৌজন্যে শেষ ৪ ওভারে ৩৯ রান করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মাথিশা পাথিরানার করা ১৯তম ওভার থেকেই এসেছে ১৮ রান।
আরও পড়ুন
‘ফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে চায় না ভারত’ |
![]() |
শেষ পর্যন্ত ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন শামীম। অনিকের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৪১ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৯/৫ (তামিম ০, ইমন ০, লিটন ২৮, হৃদয় ৮, মেহেদি ৯, অনিক ৪১*, শামীম ৪২*; থুশারা ৪-১-১৭-১, চামিরা ৪-১-১৭-১, শানাকা ৩-০-২৭-০, পাথিরানা ৪-০-৪২-০, হাসারাঙ্গা ৪-০-২৫-২, আসালাঙ্কা ১-০-৬-০)
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৫৫ পিএম
ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য বড়সড় চমকই বটে। নতুন ঘরোয়া মৌসুম শুরুর আগে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা কোচ গ্যারি স্টেডকে দলে ভেড়াল অন্ধ্র প্রদেশ। কিউইদের সফল এই কোচকে এক বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ করেছে অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)।
ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন এসিএ সচিব সানা সতীশ। তবে তাদের প্রাথমিক চাহিদা ছিল অস্ট্রেলিয়ান কোনো কোচ।
আরও পড়ুন
ভারতের বিপক্ষেও ‘ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলবে’ পাকিস্তান |
![]() |
“প্রথমে আমরা একজন অস্ট্রেলিয়ান কোচ খুঁজছিলাম। পরে এক বন্ধুর পরামর্শে গ্যারি স্টেডের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তার সঙ্গে প্রথম আলোচনাতেই আমরা বুঝতে পারি, তিনি দারুণ প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। আমাদের দলের ব্যাপারে তার পূর্ণ ধারণা রয়েছে।”
স্টেডের কোচিংয়ে সাত বছরে একের পর এক সাফল্য পেয়েছে নিউ জিল্যান্ড। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফাইনালে ওঠার পর, ২০২১ সালে তারা জেতে প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই সঙ্গে টেস্ট ও ওয়ানডেতে এক নম্বর দলেও পরিণত হয় কিউইরা।
আগামী ২০ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশাখাপত্তমে গিয়ে দায়িত্ব বুঝে নেবেন ৫৩ বছর বয়সী এই কোচ। প্রথমে এক বছরের চুক্তি হলেও তিনি অন্তত দুই মৌসুম কাজ করবেন বলেই জানা গেছে।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপ ২০২৫ : জুটি গড়ার চেষ্টায় অনিক-শামীম |
![]() |
আইপিএলের কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজিও স্টেডকে নজরে রেখেছিল। তবে আপাতত সেসব আলোচনা চূড়ান্ত হয়নি। অন্ধ্র ক্রিকেটেই আপাতত নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক সফলতম এই কোচ।
গত মৌসুমে অন্ধ্রর পারফরম্যান্স খুব একটা সন্তোষজনক ছিল না। রঞ্জি ট্রফিতে সাত ম্যাচে ১ জয় ও ৩ পরাজয়ে ‘বি’ গ্রুপে ষষ্ঠ হয় তারা। বিজয় হাজারে ট্রফিতে ‘বি’ গ্রুপে তারা ছিল ষষ্ঠ আর সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে গ্রুপসেরা হলেও প্রি–কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নেয়।
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:৩১ পিএম
এশিয়া কাপের সবচেয়ে সফল দল ভারত। টুর্নামেন্টের এবারের সংস্করণ টি-টোয়েন্টি। কুড়ি ওভারের ক্রিকেট বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত। আর বিশ্বসেরা দলের বিপক্ষে ভালো পারফরম্যান্সের জন্য ভয়ডরহীন ক্রিকেটের কোনো বিকল্প নেই।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওমানকে গুড়িয়ে দেওয়া পাকিস্তানের এবার দ্বিতীয় পরীক্ষা ভারতের বিপক্ষে। ভারতের মতো দলের সামনে চোখে চোখ রেখে লড়তে হলে যে আগ্রাসী ক্রিকেটই একমাত্র উপায় সেটা ভালো করেই জানা পাকিস্তানের।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপ ২০২৫ : লিটনের বিদায়ে মহা বিপদে বাংলাদেশ |
![]() |
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্নে প্রথমে খানিকটা ভ্যবাচ্যাকাই খেয়ে যান দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা সায়েম আইয়ুব। অবশ্য পরক্ষণেই ভারতের বিপক্ষেও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার কথা বলেন এই ব্যাটার।
ভারতের মতো মানসম্পন্ন দলে সঙ্গে কি আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নে খানিকটা সময় নিয়ে সাইম বলেন,
‘হ্যা, সে ধরনের ক্রিকেটই খেলতে চাই এবং আমরা প্রতিটি দলের বিপক্ষেই ভয়ডারহীন ক্রিকেট খেলতে প্রস্তুত।’
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সবসময়ই স্নায়ুর পরীক্ষা দিতে হয় দুই দলের ক্রিকেটারকেই। অনেকের মতে ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় এই দ্বৈরথও এটি। আর পুরো ক্রিকেটবিশ্বেরই চোখ থাকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ম্যাচে। তবে সাইম শুধু এই ম্যাচের দিকে মনোযোগ দিতে নারাজ, বরং শিরোপা জেতাটাই দলের চূড়ান্ত লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন
‘ফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে চায় না ভারত’ |
![]() |
‘সমর্থকদের দৃষ্টিতে এটা অবশ্যই বড় ম্যাচ। তবে দল হিসেবে আমরা এটাকে সেভাবে দেখি না। আমরা এটিকে অন্য ম্যাচগুলোর মতোই দেখি। সাইম আরো বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য পুরো টুর্নামেন্ট জেতা। শুধু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়েই ভাবছি না।’
অনেক বছর ধরেই এশিয়া কাপ কিংবা বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টে টি-টোয়েন্টি কিংবা ওয়ানডে দুই সংস্করণেই মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে ভারত। দুই দলের দেখায় কালেভদ্রেই জিততে দেখা যায় পাকিস্তানকে। তবে অতীত নিয়ে পড়ে না থেকে কেবল সেখান থেকে শিক্ষা নিতেই চান সাইম আইয়ুব। ম্যানেজম্যান্টও নাকি তেমন বার্তাই দিয়েছে তাদের।
‘গত ৩-৪ মাসে ম্যানেজমেন্ট আমাদের বার্তা দিয়েছে—অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং সামনে এগোতে হবে। আগে কী হয়েছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা শুধু প্রস্তুতি ও বাস্তবায়নের দিকেই জোর দিচ্ছি।’
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:৫৯ পিএম
পাথুম নিসাঙ্কা ও কামিল মিশারার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের জবাব দিতে পারল না বাংলাদেশ। ১৪০ রানের মাঝারি লক্ষ্য ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪.৪ ওভারে ছুঁয়ে ফেলল শ্রীলঙ্কা।
হংকংকে হারিয়ে ইতিবাচক শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচেই ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশকে উড়িয়ে এশিয়া কাপের যাত্রা শুরু করল টুর্নামেন্টের ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা।
রান তাড়ায় মাত্র ১৩ রানে ১ উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে ৯৫ রানের জুটি গড়েন নিসাঙ্কা ও মিশারা। ক্যারিয়ারের ১৬তম ফিফটিতে ৩৪ বলে ৫০ রান করেন নিসাঙ্কা। আর ১ রানে জীবন পেয়ে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন মিশারা।
বাংলাদেশের পক্ষে ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদি হাসান। কিন্তু তিনিই মিশারার ক্যাচ ছেড়ে শ্রীলঙ্কার কাজ সহজ করে দেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৯/৫ (তামিম ০, ইমন ০, লিটন ২৮, হৃদয় ৮, মেহেদি ৯, অনিক ৪১*, শামীম ৪২*; থুশারা ৪-১-১৭-১, চামিরা ৪-১-১৭-১, শানাকা ৩-০-২৭-০, পাথিরানা ৪-০-৪২-০, হাসারাঙ্গা ৪-০-২৫-২, আসালাঙ্কা ১-০-৬-০)
শ্রীলঙ্কা: ১৪.৪ ওভারে ১৪০/৪ (নিসাঙ্কা ৫০, কুশল মেন্ডিস ৩, মিশারা ৪৬*, কুশল পেরেরা ৯, শানাকা ১, আসালাঙ্কা ১০*; শরিফুল ৩-০-২৬-০, মুস্তাফিজ ৩-০-৩৫-১, সাকিব ৩-০-২৩-১, মেহেদি ৪-০-২৯-২, রিশাদ ১-০-১৮-০, শামীম ০.৪-০-৪-০)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী