বয়স ৩৬ হলেও সাদা বলের ক্রিকেটে এখনও বিবেচনা করা হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা পাওয়ার হিটারদের একজন হিসেবে। তবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নিজেকে সেভাবে দেখছিলেন না বলেই আচমকাই সোমবার ঘোষণা দিয়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, দলের জন্য নিজেকে বোঝা বলে মনে হচ্ছিল তার।
অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।
৩৬ বছর বয়সী ম্যাক্সওয়েল সোমবার ‘দ্য ফাইনাল ওয়ার্ড’ পডকাস্টে তার ওয়ানডে থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। অস্ট্রেলিয়ার তারকা অলরাউন্ডার ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ২০ ওভারের ফরম্যাটে খেলবেন বলে জানিয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেট থেকে এখনও অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেননি, তবে তার আবার টেস্টে খেলার সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে।
আরও পড়ুন
চোটে সিরিজ শেষ শরিফুলের |
![]() |
হঠাৎ কেন এভাবে অবসর, সেটা উল্লেখ করতে গিয়ে ম্যাক্সওয়েল টেনে আনেন ২০২২ সালে পা ভাঙার পর থেকে ওয়ানডেতে খেলার মত তার শারীরিক সক্ষমতা কমে যাওয়ার বিষয়টি।
“আমার কাছে মনে হচ্ছিল, আমার শরীরের নানা প্রতিক্রিয়ার কারণে ক্রমেই দলের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছি। আমি নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান জর্জ বেইলির সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানে ২০২৭ বিশ্বকাপ নিয়ে কথা উঠলে আমি বলি, ‘আমি সেখানে নিজেকে দেখছি না। এখন সময় এসেছে আমার জায়গায় নতুন কাউকে সুযোগ দেওয়ার।’”
দুইবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী ম্যাক্সওয়েল যোগ দিলেন আরেক তারকা ব্যাটার স্টিভেন স্মিথের সাথে, যিনি সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন।
ওয়ানডের পরিসংখ্যান দিয়ে ম্যাক্সওয়েলকে বিচার করতে গেলে তাকে আহামরি কোনো ক্রিকেটার মনে না হওয়ার কথা। ১৪৯ ম্যাচে ৩৩.৮১ গড়ে করেছেন ৩ হাজার ৯৯০ রান, আর বল হাতে ৭৭ উইকেট। তবে ম্যাক্সওয়েল নিজেকে সবার চেয়ে আলাদা করেছেন স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে৷ তার ১২৬.৭০ স্ট্রাইক রেট ওয়ানডে ইতিহাসে ২০০০ রান পার করা ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ম্যাক্সওয়েলের ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্তটি আসে ২০২৩ বিশ্বকাপে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। প্রায় ৩০০ রানের টার্গেটে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটে ৯১ রান থেকে জেতান অপরাজিত ২০১ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস, যা খেলার পথে তিনি বারবার পড়েন হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে।
আরও পড়ুন
ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ হার বাংলাদেশের |
![]() |
এটি ছিল ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়র মধ্যে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি, এই ফরম্যাটে রান তাড়ায় প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি, এবং ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ছয় নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
৪ জুন ২০২৫, ১২:২৭ এম
আভাসটা আগেই ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চলতি মাসের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণার সাথে নিশ্চিত করল নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্বের মেয়াদও। আরও এক বছর তিনিই থাকছেন লাল বলের অধিনায়ক।
বুধবার শ্রীলঙ্কা সফরের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। বাদ পড়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হওয়া তানজিম হাসান সাকিব। দলে ফিরেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। স্কোয়াডে আছেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ।
আরও পড়ুন
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে শেষ হলো গ্যারি স্টিড অধ্যায় |
![]() |
২০২৪ সালে তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হন শান্ত। এই বছর ছেড়ে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব। আরও এক বছরের জন্য তাকে টেস্টের অধিনায়ক হিসেবে বহাল রেখেছে বিসিবি।
আর শান্তর ডেপুটি হিসেবে থাকছেন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ, যিনি সহ-অধিনায়কের ভূমিকায় পালন করছেন গত বছর থেকেই।
দুই ম্যাচের এই সিরিজের প্রথমটি ১৭ জুন গল-এ শুরু হবে। দ্বিতীয় ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ২৫ জুন, যা হবে কলম্বোতে। বাংলাদেশ জাতীয় দল ১৩ জুন শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে দেশ ছাড়বে।
এই সিরিজটি দিয়ে ২০২৫-২০২৭ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে বাংলাদেশ দল তাদের যাত্রা শুরু করবে।
শ্রীলঙ্কা সফরের বাংলাদেশ টেস্ট স্কোয়াড: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), শাদমান ইসলাম, এনামুল হক বিজয়, মমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, মাহিদুল ইসলাম, জাকের আলি অনিক, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, খালেদ আহমেদ, *হাসান মুরাদ, ইবাদত হোসেন।
লম্বা সময় ধরে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে কাজ করেছেন, এনে দিয়েছেন দুর্দান্ত সব
সাফল্য। তবে কিউইদের কোচ হিসেবে গ্যারি স্টিড ইতি টানতে যাচ্ছেন তার অধ্যায়ের।
চলতি মাসের শেষেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে শেষ
হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের ছেলেদের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে তার সাত বছরের কোচিংয়ের
মেয়াদ।
২০১৮ সালে মাইক হেসনের জায়গায় দায়িত্ব নেন স্টিড। তার কোচিংয়ে নতুন উচ্চতায়
যায় নিউজিল্যান্ড। তার কোচিংয়ে ‘ব্ল্যাকক্যাপস’-রা ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল,
২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনালে খেলেছে।
একাধিক ফাইনালে হারের হতাশার মধ্যে স্টিড সবচেয়ে বড় সাফল্য পান ২০২১ সালে। ভারতকে ফাইনালে হারিয়ে প্রথমবারের মত আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে নিউজিল্যান্ড। উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে ২০২৪ সালে ভারতের মাটিতে ঐতিহাসিক ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয়।
স্টিড অবশ্য আগেই সাদা বলের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। এবার সরে দাঁড়াচ্ছেন
টেস্ট দলের কোচিং থেকেও। ধারণা করা হচ্ছে, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এবার ভিন্ন
ভিন্ন ফরম্যাটের জন্য আলাদা কোচ নিয়োগ দিতে পারে।
সেই ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসর থেকে খেলছেন একটা দলের হয়েই। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতি বিরাট কোহলির নিবেদন তাই সবার চেয়ে একটু আলাদাই। তবে অধিনায়ক ও ক্রিকেটার হিসেবে তার একটাই ছিল আক্ষেপ, দলটিকে যে জেতাতে পারেননি একটা শিরোপা। কয়েকবার হৃদয়ভঙ্গের যন্ত্রণায় পুড়েছেন, তবে হাল ছাড়েননি। অবশেষে ভাগ্য বিধাতা সহায় হয়েছেন ভারত তারকার। ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান হওয়ার পর কোহলি তাই বলেই বসলেন, এমন একটা দিন আসবে, সেই আশাও ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
পাঞ্জাবের বিপক্ষে মঙ্গলবারের ফাইনালের শেষ বলে ছক্কা হজম করেও ৬ রানে জয় পায় ব্যাঙ্গালুরু। পুরো দলের উল্লাসের মাঝেও ক্যামেরা সবার আগে খুঁজে নেয় কোহলিকে, যিনি চোখের জল আর সামলে রাখতে পারেননি। আর পারবেনই বা কীভাবে, তার প্রানের সাথে মিশে যাওয়া এই ফ্র্যাঞ্চাইজির কোটি ভক্তদের একটা শিরোপা দেওয়ার জন্য সম্ভাব্য সব চেষ্টাই যে বছরের পর বছর চালিয়ে গেছেন তিনি। অধিনায়কত্ব করেছেন, আবার ছেড়েছেন দলের জন্যই। বেশি বেতনের হাতছানি থাকলেও থেকে গেছেন এক ফ্র্যাঞ্চাইজিতেই।
সেই ব্যাঙ্গালুরুর প্রথম আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষণে আবেগঘন কোহলি জানালেন উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া। “এই জয়টা যতটা দলের জন্য, ঠিক ততটাই আমাদের সমর্থকদের জন্য। এই দিনটা দেখার জন্য আমাদের ১৮টা বছর লেগে গেল। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য দিয়েছি আমি আমার তারুণ্য, আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময়…সব কিছু উজাড় করে দিয়েছি। সত্যি বলতে, কখনো ভাবিনি এই দিনটা আসবে। শেষ বলটা হওয়ার সাথে সাথে তাই আবেগ ছুঁয়ে যায় আমাকে।”
এমন দিকে আবেগ কেবল কোহলিরই নয়, দলটির খেলোয়াড়, সমর্থক ছাড়া আরেকজনকেও প্রবলভাবে ছুঁয়ে যাওয়ারই কথা। তিনি এবি ডি ভিলিয়ার্স। ২০২১ সালে অবসর নেওয়ার আগে একটা লম্বা সময়ে ব্যাঙ্গালুরুর জার্সিতে খেলেছেন অতিমানবীয় সব ইনিংস, হয়েছেন ক্লাব কিংবদন্তি। ভক্তদের মাঝেও তার রয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। তবে তিনিও পারেননি দলকে চূড়ান্ত সাফল্য এনে দিতে। ফাইনালে হাজির ছিলেন সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটারও। ফাইনালের পর তাকে জড়িয়ে ধরেন কোহলি, নিয়ে যান মঞ্চেও।
দীর্ঘদিনের সতীর্থ ডি ভিলিয়ার্সের প্রতিও কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন কোহলি। “এবি এই দলের জন্য যা যা করেছে, সেটা অবিশ্বাস্য। ম্যাচের আগেও ওকে বলেছিলাম, জয় পেলে সেটা আমাদের মত হবে তোমারও। এখন পর্যন্ত সেই আমাদের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছে, অথচ অবসর নিয়েছে চার বছর আগে। তার আজ মঞ্চে আমাদের সাথেই থাকা উচিত ছিল।”
ব্যাঙ্গালুরুতে ২০০৮ সালে কোহলি যখন যোগ দেন, তখন তিনি ছিলেন তরুণ ক্রিকেটার, যিনি ছিলেন সম্ভাবনাময়। এরপর দুটি ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন ভারতের হয়ে, পেয়েছেন বিশ্বজুড়ে খ্যাতি। অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজির নজর তার দিকে থাকলেও ১৮টি বছরে একবারও দল পরিবর্তন করেননি তিনি।
নিজেদের ইতিহাস গড়ার দিনে ব্যাঙ্গালুরুর প্রতি চিরন্তন ভালোবাসা আরও একবার প্রকাশ করলেন কোহলির। “আমি সবসময় এই দলের প্রতি অনুগত থেকেছি। তবে হ্যাঁ, অনেক সময়ই মনে হয়েছে যে দল ছেড়ে দেই, কিন্তু সেটা আর করিনি। আমার হৃদয়ে স্থান ব্যাঙ্গালুরুর, আত্মায় মিশে আছে ব্যাঙ্গালুরু। যতদিন আইপিএল খেলব, ততদিন এই দলের হয়েই খেলব। আজ রাতে আমি শিশুদের মত ঘুমাব।”
আইপিএল জয়কে ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদাকে সবার ওপরেই রাখলেন সদ্য লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানো কোহলি। “এই মুহূর্তটা আমার জীবনের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি। এরপরও এটি আমার কাছে টেস্ট ক্রিকেটের চেয়ে পাঁচ ধাপ নিচে থাকবে। যদি কেউ চূড়ান্ত সম্মান পেতে চায়, তাহলে বলব টেস্ট ক্রিকেট বেছে নাও।”
তিন তিনটি ফাইনালের হারের সাথে বছরের পর বছরের খালি হাতে ফেরার হতাশা সঙ্গী ছিল। সাথে ছিল প্রতিপক্ষ সব দলের সমর্থকদের হাসাহাসি। তবে এবার শিরোপা আমাদের - এই দাবিটা চলতি আইপিএলের একদম শুরু থেকেই জোড়াল করেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। শিরোপার লড়াইয়ে ফর্মের তুঙ্গে থাকা পাঞ্জাব কিংসকে তাড়া ছুড়ে দিল লড়িয়ে এক টার্গেট। আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হতাশ করলেন শ্রেয়ায় আইয়ার। অন্যরা চেষ্টা করলেন বটে, তবে কাজের কাজটা আর কেউই করতে পারলেন না। শেষের দিকে শশাঙ্ক সিংয়ের ঝড় সামলে শেষ হাসি হাসল ব্যাঙ্গালুরুই। প্রথমবারর মত শিরোপা উঁচিয়ে ধরার গৌরব অর্জন করল ফ্যাঞ্চাইজিটি।
আহমেদাবাদের আইপিএলের ফাইনালে ব্যাঙ্গালুরু পেয়েছে ৬ রানের দুর্দান্ত এক জয়। আগের ব্যাটিং করে দলটি করেছিল ৯ উইকেটে ১৯০। জবাবে পাঞ্জাবের ইনিংস থেমেছে ৭ উইকেটে ১৮৪ রানে।
আহমেদাবাদে এবারের আইপিএলে সব ম্যাচেই রান হয়েছে প্রচুর। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে আগে ব্যাটিং মানেই ২০০ প্লাস স্কোর। সেটা মাথায় রেখে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে ব্যাঙ্গালুরু। আর্শ্বদীপ সিংয়ের করা প্রথম ওভারে চার ও ছক্কা মেরে ফিল সল্ট। তবে পরের ওভারে কাইল জ্যামিসনের বলে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ১৩ রানের ইনিংসের।
এরপর পাওয়ার প্লের বাকিটা সামলান মায়াংক আগারওয়াল ও বিরাট কোহলি। তবে দুজনের কেউই পারেননি ইনিংস বড় করতে। প্রথমজন ২৪ রানে বিদায় নেওয়ার পর কিছুটা ধীরগতির ইনিংস খেলে কোহলি ৩৫ বলে মাত্র ৪৩ রান করে। তবে মাঝের দিকে সেটা চাপ হয়ে বসতে দেননি অধিনায়ক রজত পাতিদার।
২ চার ও ১ ছক্কায় তার ১৬ বলে ২৬ রানের ক্যামিওতে গতি পায় দলের ইনিংস। জ্যামিসনের করা ইনিংসের ১৭তম ওভারে দুইশ স্কোরের সুবাস পায় ব্যাঙ্গালুরু। খরুচে এক ওভারে উইকেট পেলেও ২১ রান গুনেন নিউজিল্যান্ডের এই পেসার। মাত্র ১০ বলে ২৪ আসে জিতেশ শর্মার ব্যাট থেকে। ২৫ রান করতে ১৫ বল নেন ইংলিশ লিয়াম লিভিংস্টোন।।
শেষের দিকে ৯ বলে ১৭ রানের ছোট এক ক্যামিও খেলেন রোমারিও শেফার্ড। তিনটি করে উইকেয় নেন জ্যামিসন ও আর্শ্বদীপ।
রান তাড়ায় প্রথম দুই ওভারে ২৩ রান তুলে ভালো কিছুরই আভাস দেন পাঞ্জাবের ওপেনার প্রিয়ংশ আরিয়া ও প্রভসিমরান সিং। ১০ রানে জস হ্যাজেলউডের বলে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান প্রভসিমরান। অন্যপ্রান্তে দারুণ ছন্দে ব্যাট করা আরিয়া এরপর অজি পেসারের এক ওভারে টানা দুই চার মারার পর শিকার হন তারই। তবে তার আগে উপহার দেন ২৯ রানের।
ক্রিজে গিয়েই ছক্কায় শুরু করেন ফর্মে থাকা জস ইংলিস। ৮ ওভারে ৭০ রান নিয়ে ভালোভাবেই জয়ের পথে ছিল পাঞ্জাব। তবে এরপরই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া স্পেলটা করেন ক্রুনাল পান্ডিয়া। দুর্দান্ত কয়েকটি ওভারে চাপ বাড়ান প্রতিপক্ষের ওপর। একে একে শিকার করেন তিন উইকেট, যার মধ্যে ছিল ইংলিসের উইকেটও।
উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে লিভিংস্টোনের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে অজি ব্যাটার করতে পারেন ৩৯। তবে মূল ধাক্কাটা দেন অন্যপ্রান্তে রোমারিও। আক্রমণে এসেই ক্যাচে ফেরার পাঞ্জাব অধিনায়ক আইয়ারকে।
তবে জয়ের আশা টিকিয়ে রাখছিলেন শশাঙ্ক সিং। একের পর একে বড় শটে চেষ্টা চালিয়ে যান। শেষ দুই ওভারে দরকার পড়ে তবুও ৪১। আর শেষ ওভারে ২৯।
হ্যাজেলউডে সামনে এই রান করাটা প্রায় অসম্ভবই। তবে তিন ছক্কা ও এক চার মেরে জোর চেষ্টা চালালেন শশাঙ্ক। শেষ পর্যন্ত তার কাজে দেয়নি। ৩১ বলে ৬০ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেও পরাজিত শিবিরেই থাকতে হয় শশাঙ্ককে।
বয়স বা ফর্ম, দুটিই রয়েছে পক্ষে। বিস্ময়ের জন্ম দিয়ে এমন সময়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কিপার-ব্যাটার হাইনরিখ ক্লাসেন। ফলে সাত বছরেই শেষ হল তার জাতীয় দলের অধ্যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড-এর এক বিবৃতিতে ৩৩ বছর বয়সী ক্লাসেন সোমবার জানান, তিনি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন। এর আগে ২০২৪ সালে তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন
‘দলের বোঝা হয়ে’ অবসরের সিদ্ধান্ত ম্যাক্সওয়েলের |
![]() |
২০১৮ সালের দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অভিষেক ক্লাসেনের। এরপর সময় যত গেছে, তিনি নিজেকে প্রজন্মের অন্যতম সেরা বিধ্বংসী ব্যাটারদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
৬০টি ওয়ানডেতে ২ হাজার ১৪১ রান করেছেন প্রায় ৪৪ গড়ে। এই ফরম্যাটে সেরা ইনিংসটি খেলেন ২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সেই ম্যাচে তার করা ১৭৪ রানের ইনিংসটি ওয়ানডেতে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করে করা ব্যাটারদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
৫৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ক্লাসেনের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪১.৮৪, যা জানান দেয় এই ফরম্যাটে তার আগ্রাসী ব্যাটিং শৈলীর প্রমাণ। ২৩.২৫ গড়ে নামের পাশে রান ঠিক ১ হাজার।