২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮:২৪ পিএম
নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বলেছেন, ৩০০-৩১০ রান করলে জিততে পারত বাংলাদেশ। আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত তুলে ধরেছেন বিদেশের মাটিতে ভালো ক্রিকেট না খেলতে পারার বিষয়টি। দুজনের দুই রকমের মন্তব্যে আপনার মনে একটা প্রশ্ন জাগতেই পারে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কি স্রেফ খেলার জন্যই খেলছে বাংলাদেশ নাকি খেলোয়াড়দের সামর্থ্য ছিল বড় কিছু করার?
প্রশ্নটা করা এই কারণেই, একই টুর্নামেন্টে যেখানে দলগুলো করছে ৩০০, এমনকি ৩৫০ প্লাস স্কোরও, সেখানে দুই ম্যাচেই যে ব্যাট হাতে খাবি খেল বাংলাদেশ। দুবাইয়ের উইকেটে বড় রান করাটা চ্যালেঞ্জই, তবে সেই ম্যাচে ভারতের সাথে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে সেখানেই ম্যাচটা হেরে বসে দলটি। অথছ, ওই সময়ে না হয়েছে এমন কোনো দুর্দান্ত বোলিং, না উইকেটে ছিল কোনো জুজু। ব্যাটারদের দায়িত্বহীন শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার প্রবণতায় শুরুতেই মেরুদণ্ড ভেঙে যায় দলের।
আরও পড়ুন
ভেসে গেল অস্ট্রেলিয়া-দ.আফ্রিকা লড়াই, চাপ বাড়ল ইংল্যান্ডের |
![]() |
একটা টুর্নামেন্টের শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে অমন ভয়াবহ এক ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ পায় ভুলে যাওয়ার এক অভিজ্ঞতা। এরপর টেনেটুনে ২২৮ করলেও ম্যাচে সেভাবে লড়াই আর জমাতেই পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের মাঝে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছে ভারত, ক্যাচও পড়েছে একটা বটে, তবে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে যাবে এমনটাও মনে হয়নি প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তার গভীরতার কারণেই।
আর এখানেই চলে আসে সামর্থ্যের প্রশ্ন। ভারত এই টুর্নামেন্ট খেলছে দলের তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটেরই অন্যতম সেরা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহকে ছাড়া। অথচ ঠিকই তারা হেসেখেলে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই তাদের ব্যাটাররা জানান দিয়েছেন নিজেদের সামর্থ্যের। আর সেটা স্পষ্ট হয়েছে শুবমান গিল ও বিরাট কোহলির দুই সেঞ্চুরিতে।
ভারত ম্যাচে দ্রুত ৫ উইকেট হারানোর পরও বাংলাদেশ ২২৮ পর্যন্ত যেতে পেরেছিল তাওহীদ হৃদয়ের লড়াকু সেঞ্চুরির কারণেই। তবে নব্বইয়ের ঘরে যেতে ক্র্যাম্পের কারণে দাঁড়াতেই যেন পারছিলেন না এই তরুণ ব্যাটার। ফলে ২৫০ রানের ভিত থাকলেও তিনি শেষের দিকে সেভাবে রানই বের করতে পারেননি। অর্জন বলতে ওই তার শতকই।
একই ম্যাচে গিল ওপেন করতে নামেন ৫০ ওভার ফিল্ডিংয়ের ক্লান্তি নিয়ে। আর মাঠ ছাড়েন দলকে জিতিয়ে, অপরাজিত সেঞ্চুরিতে। একবারও ক্যাম্প হয়নি তার। ম্যাচ শেষেও তার প্রাণশক্তি বলে দিচ্ছিল, চাইলেই অনায়াসে আরও ৫০ ওভার ব্যাট করা সম্ভব তার পক্ষে। তাওহীদ বা বাংলাদেশের অন্য ব্যাটারদের সাথে সামর্থ্যের ফারাকটা এখানেই হয়ে যায় শীর্ষ ব্যাটারদের।
আরও পড়ুন
‘বড় মঞ্চে সাকিবের মত পারফর্ম করতে ব্যর্থ মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ’ |
![]() |
অন্য উদাহারণটি হতে পারেন কোহলি। দুবাইয়ের গরমের মধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে রান তাড়ায় তিনিও উপহার দেন ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি। চেজ মাস্টার খ্যাত এই ব্যাটার শতক করেছেন নব্বইয়ের বেশি স্ট্রাইক রেটে। চার মারেন মাত্র ৭টি। অর্থাৎ, বাউন্ডারি থেকে মাত্র ২৮ রান করেও তিনি দারুণ একটা স্ট্রাইক রেট বজায় রেখেছেন। দৌড়ে রানই নিয়েছেন ৭২টি।
এর একদিন বাদে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে রাওয়ালপিন্ডির ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে শান্ত ৭৭ রান করতে বল খেলেছেন ১১০টি। তিনি কোহলির চেয়ে চার মেরেছেন দুটি বেশি। তবে ডট বলের সংখ্যাও তার বেশি, ৬২টি। আর এখানেই চলে আসে বাংলাদেশ ব্যাটারদের সামর্থ্যের বিষয়টি। একজন ব্যাটার প্রায় ১০ ওভার যদি একটা রানও না বের করতে পারেন, সেই দলের ইনিংস কার্যত নেমে আসে ৪০ ওভারে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই একটা দলের জন্য ৩০০ পার করা স্কোর গড়ার কাজটা ভীষণ কঠিন হয়ে যায়।
তাওহীদের ওই একশ করার আগেই ফিটনেসের কমতি ফুটে ওঠা বা শান্তর ডট বলের হিড়িক যেন বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিটের দীনতাই ফুটিয়ে তোলে। অবশ্য দুই ম্যাচে সর্বোচ্চ রান করা দুজনকে উদাহারণ হিসেবে টেনে আনাটা কিছুটা দৃষ্টিকটু লাগতেই পারে। মন্দের ভালো তো ছিলেন তারাই।
তবে অন্যদের দিকে তাকালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ কেন আর কোন লক্ষ্যে খেলছে, তা নিয়েই যে প্রশ্ন জাগতে বাধ্য। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে রিকি পণ্টিং যখন বলেছিলেন, বাংলাদেশের কোনো সম্ভাবনাই দেখছেন না তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক সাধারণত ক্রিকেট নিয়ে ভুল ভবিষ্যৎবাণী কমই করেন।
দুই ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা প্রমাণ দিয়েছেন, ভুল ছিলেন না পন্টিং। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ব্যর্থ ছিলেন তিন অভিজ্ঞ সৌম্য সরকার, মেহেদি হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম। এদের মধ্যে দুজনই আবার মারেন ডাক। তিনজনের আউটের ডেলিভারি ছিল না খুব বিশেষ কিছু।
তবে নিউজিল্যান্ড ম্যাচ যেন ছাড়িয়ে গেছে সেই ব্যর্থতার গল্পও। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বিশের ঘরে ভালো শুরু পেয়েও আউট হয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। দুটি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞ একজন ব্যাটারের কাছ থেকে বড় ইনিংস তো দল আশা করতেই পারে। অবশ্য অভিজ্ঞতার বিচারে দলের সবচেয়ে প্রবীণ দুই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহই তো করেছেন সবচেয়ে বেশি হতাশ।
ভারত ম্যাচ মিস করা মাহমুদউল্লাহ ১০৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর নেমে যেভাবে মিচেল ব্রেসওয়েলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন, তা অবাক করেছে ধারাভাষ্যকারদের। এর আগে একই ভুল করেছেন মুশফিকুরও। অথচ ওই সময়ে তাদের দরকার ছিল দেখেশুনে খেলে ইনিংস মেরামতের। এই টুর্নামেন্টেই ৩৫১ রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়ার তুলনামূলক দুই অনভিজ্ঞ ব্যাটার জস ইংলিশ ও অ্যালেক্স কেরি যেভাবে জুটি গড়েছেন খুব বেশি আগ্রাসন না দেখিয়েই, তা বাংলাদেশের ২০ বছরের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের জন্য হতে পারে এক শিক্ষা। ডট বলের চাপ এলেও তারা সিঙ্গেলস বের করে সেটা সরিয়েছেন। কয়েকটা বল ডট গেলেই মুশফিকুর বা মাহমুদউল্লাহরা বারবার চাপের মুখে স্রেফ বড় শটেই নিস্তার চান, তা উদ্বেগজনকই।
আরও পড়ুন
রান আউট-ক্যাচ মিসের আক্ষেপে বিদায় বাংলাদেশের |
![]() |
যেহেতু তারা দুজনই আছেন ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায়, সেদিক থেকে বাংলাদেশের বড় চিন্তার কারণ হতে পারেন মিরাজ। মূলত বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেললেও এই দলে তিনি এখন নিয়মিত ব্যাট করছেন ওপরের দিকেই। মজার ব্যাপার হল, ওয়ানডেতে তার সেরা সব পারফরম্যান্স এসেছে ব্যাট হাতেই। অবশ্যই সাকিব আল হাসান যুগে এটা বাংলাদেশের জন্য দারুণ খবর। তবে মিরাজের মূল কাজ তো বল হাতে, কারণ দলের চতুর্থ বা পঞ্চম বোলার যে তিনিই।
সেই মিরাজ ১০৫টি ওয়ানডেতে নিয়েছেন মাত্র ১১০ উইকেট। গড়ে প্রতি উইকেট নিতে গুনেছেন ৪৫ রানের বেশি। দলের একজন মূল বোলার যখন দিনের পর দিন গড়পড়তা পারফরম্যান্স উপহার দিবেন, তখন সেটা দলকে বাড়তি চাপে ফেলবেই। হচ্ছেও তাই। মিরাজের করা ১০টি ওভার ওয়ানডেতে প্রতিপক্ষকে সেভাবে চাপে ফেলতেই পারছে না মাঝের ওভারে। ফলে নিউজিল্যান্ড ম্যাচের মত পেসাররা শুরুটা দারুণ কিছু করলেও মিরাজের স্পেলে প্রতিপক্ষ পাচ্ছে সহজ রান বের করার সুযোগ। তাতে চাপও যাচ্ছে আলগা হয়ে।
সব মিলিয়ে তাই এক ম্যাচ হাতে রেখেই আসর থেকে বিদায় নেওয়া বাংলাদেশ দল ব্যর্থ হল বিরেন্দর শেবাগকে একটা জবাব দিতে। সাবেক ভারত ওপেনার প্রথম ম্যাচের পর বলেছিলেন, দলটা বাংলাদেশ বলেই তাদের কাছে হারার চিন্তাও নাকি হয়নি তার। ওয়াসিম জাফর বা শেন বন্ডের মত সাবেকরা এমন তির্যক মন্তব্য না করলেও বলেছেন, বড় মঞ্চে বাংলাদেশের এমন বাজে প্রদর্শনী অবাক করেছে তাদের।
এই অবাক বিস্ময়ে আছেন বাংলাদেশের সমর্থকরাও, যারা ভারত ম্যাচের আগের দিন রাতে শান্ত-তাসকিন-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের দেখলেন সাবেক ওপেনার তামিম ইকবালের সাথে ডিনার করতে। যেখানে তৈলাক্ত খাবারের সাথে ছিল আবার কোমল পানীয়ও। টুর্নামেন্টে নিজেদের সবচেয়ে বড় ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের নিবেদনের এই চিত্র বলে দেয়, নিজেদের সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা যেন তারা মেনে নেন মাঠে নামার আগেই।
ক্রিকেট পাগল একটা দেশের সমর্থকদের জন্য এই নির্মম সত্য মেনে নেওয়াটা কঠিনই বটে। কারণ, তারা যে প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশকে সেরাদের সেরা হওয়ার। তবে খেলোয়াড়দের সামর্থ্যের কমতি থাকা বা লড়াইয়ের আগে হালকা মেজাজে থাকাটা বলে দেয়, সময় এসেছে ‘রিয়েলিটি চেক’ দেওয়ার। শান্তরা সেটা পাবেন কি?
৫ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম
৫ জুলাই ২০২৫, ৬:৫১ পিএম
প্রথম ম্যাচে প্রায় একই স্কোর নিয়ে বিশাল জয় পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয়ের সাথে তানজিম হাসান সাকিবের ক্যামিওতে আড়াইশ ছুঁইছুঁই স্কোর যখন পেল বাংলাদেশ, জয়ের আশা কিছুটা হলেও বেড়ে গেল। তবে কুসাল মেন্ডিসের ঝড়ো ফিফটিতে সফরকারীদের চাপে ফেলে দিল লঙ্কানরা। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলা তানভীর ইসলাম এলেন ত্রাতা হয়ে, পাঁচ উইকেট নিয়ে ধস নামালেন ব্যাটিং অর্ডারে। সেই চাপ সামলে একাই লড়লেন জানিথ লিয়ানাগে। তার দারুণ এক ফিফটিতে জয়ের খুব কাছাকাছিও গেলেও শেষ রক্ষা আর হলো না শ্রীলঙ্কার। সিরিজে সমতা টানল বাংলাদেশ।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতেছে ১৬ রানে। টস জিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ গুটিয়ে গিয়েছিল ২৪৮ রানে। রান তাড়ায় ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে ওয়ানডেতে জয় খরা কাটল বাংলাদেশের। আর অধিনায়ক হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ের দেখা পেলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। আগামী ৮ জুলাই তার দল মাঠে নামবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে, সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে।
ব্যাট হাতে শেষের দিকে নেমে দারুণ এক ক্যামিও খেলা তানজিম দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশের এনে দেন সাফল্য। এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ফেরেন ওপেনার পথুম নিশাঙ্কা। ব্যাটার রিভিউ নিলেও ‘আম্পায়ার্স কল’-এ বজায় থাকে আউটের সিদ্ধান্ত।
এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে শ্রীলঙ্কা। নিশান মাদুশকাকে নিয়ে কুসল শুরু করেন আগ্রাসী ব্যাটিং, যা পাল্টা চাপে ফেলে দেয় বাংলাদেশকে। অষ্টম ওভারে বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামকে দুই চার ও এক ছক্কায় ওড়ান। এরপরের ওভারে ঝড় বয়ে যায় মুস্তাফিজুরের ওপর দিয়ে। বাঁহাতি এই পেসারকে টানা চারটি চার মেরে কুসল স্রেফ ২০ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। মাত্র ৩৫ বলে দ্বিতীয় উইকেটে হয় ৫০ রানের জুটি।
কুসল ও মাদুশকার ব্যাটে চড়ে এক পর্যায়ে শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৭৫। প্রথম ওভারে ১৭ রান দেওয়ার পরও তানভীরের ওপর আস্থা রাখেন মিরাজ, যার প্রতিদান তিনি দেন দুহাতে। আক্রমণে এসেই ফিরিয়ে দেন মাদুশকাকে (২৫ বলে ১৭), ভাঙেন ৬৯ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
এরপর বড় উইকেটটাও আসে বাঁহাতি এই স্পিনারের হাত ধরেই। বিপজ্জনক কুসলকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মাত্র ৩১ বলে ৫৬ রান করার পর। এই উইকেটে স্পিন ধরায় এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে আসা শামীম হোসেনকে আক্রমণে আনেন মিরাজ। আর পার্ট টাইম স্পিনে চমকে দেখান তিনি। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা যখন তিনি শিকার বানান, তখন লঙ্কানদের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে মাত্র ৯৯।
পরের ওভারেই ফের উইকেট পেতে পারতেন শামীম। তবে কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাট ছুয়ে ক্যাচ উঠলেও তা গ্লাভসে জমাতে পারেননি জাকের আলী অনিক। বেশিক্ষণ অবশ্য টিকতে পারেননি। অন্যপ্রান্তে দারুণ বোলিং করা তানভীর খানিক বাদেই ৩৩ রান করা কামিন্দুকে ফিরিয়ে দেখা পান নিজের তৃতীয় শিকারের।
এরপর আবারও আঘাত হানেন তানভীর। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাট-প্যাড হয়ে ক্যাচ তুলে দেন দুনিথ ভেলালাগে। এবার সহজ ক্যাচ নেন জাকের আলী। ১৩২ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
সপ্তম উইকেটে ২৪ রান যোগ করে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন জানিথ লিয়ানাগে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, যার ইতি টানেন মিরাজ। ওয়ানডেতে পাঁচ ম্যাচ পর উইকেটের দেখা পান ১৩ রান করা হাসারাঙ্গাকে ফিরিয়ে।
চাপ বজায় রেখে সুযোগ তৈরি করেছিলেন মুস্তাফিজুর। তবে ব্যাটে লেগে লেগ সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া লিয়ানাগের ক্যাচ ফেলে দেন জাকের আলি। সেই সময়ে তার রান ছিল ২৮।
নিজের স্পেলের শেষ ওভারে বাংলাদেশকে আরও একবার উল্লাসে ভাসান তানভীর। মাহেশ থিকসানাকে আউট করে পূর্ণ করেন ফাইফার। দুর্দান্ত বোলিং ফিগারে ইনিংস শেষ করেন তিনি ১০ ওভারে ২ মেডেন সহ ৩৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে।
তবে বাংলাদেশ শিবিরে ভীতি ছড়িয়ে শুরুতে জীবন পাওয়া লিয়ানাগে ম্যাচ হেলে দেন শ্রীলঙ্কার দিকে। তার একের পর এক বড় শটের সাথে যোগ হয় মিরাজদের ক্যাচ আর ফিল্ডিং মিসের মিছিল। তাতে বাড়তে থাকে রান, আর কমতে থাকে বাংলাদেশের জয়ের আশা।
ফিফটি পেরিয়ে লিয়ানাগে যখন ম্যাচ বাংলাদেশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাবেন বলেই মনে হচ্ছিল, ঠিক সেই সময়েই মহাআকাঙ্ক্ষিত উইকেটটা এনে দেন মুস্তাফিজুর। আগের বলে ছক্কা হজমের পর রিটার্ন ক্যাচে লিয়ানাগেকে থামান ৭৮ রানে।
৪৯তম ওভারে আসিথার ক্যাচ নিজের বলে নিতে ব্যর্থ হন তানজিম। তবে পরের বলেই বোল্ড করেন দুসমান্থ চামিরাকে। বাংলাদেশ পায় রোমাঞ্চকর এক জয়।
এর আগে দিনের শুরুতে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। একাদশে শামীম ছাড়াও আসেন হাসান মাহমুদ। বাদ পড়েন লিটন দাস ও তাসকিন আহমেদ। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। আগের ম্যাচে ফিফটি করা তানজিদ হাসান তামিম সাজঘরের পথ ধরেন এক ডিজিটেই।
তিনে নামা শান্ত সেট হয়েও পারেননি ইনিংস বড় করতে। তবে দারুণ গতিতে এগিয়ে যাওয়া ইমন এগিয়ে নেন বাংলাদেশের ইনিংস। তুলনায় তাওহীদ ছিলেন বেশ ধীরগতির। চল্লিশ থেকে টানা দুই বলে চার ও ছক্কা মেরে ফিফটিতে পা রাখেন ইমন, যা তার ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক।
তবে এরপর বেশিদূর যেতে পারেননি। থামেন ৬৭ রানে। প্রমোশন পেয়ে পাঁচে নামা মিরাজ দলকে হতাশ করেন আউট হন অল্পেও। ২৩ বলে ২২ রানের ইনিংসে সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন শামীম, তবে বড় শট হাঁকাতে গিয়ে ইতি ঘটে তার পথচলার।
জাকের আলী ও তাওহীদ মিলে এরপর কিছুটা ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। দলকে দুইশ পার করে তাওহীদ দেখা পান ফিফটির। তবে তিনিও বেশিক্ষণ আর টিকতে পারেননি। ৯ উইকেটে ২১৮ থেকে ২৪৮ রান পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর টেনে নেওয়ার একক কৃতিত্ব কেবল তানজিমের। অপরাজিত থাকেন মাত্র ২১ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রানে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে বলেছিলেন অনিশ্চয়তার কথা। শেষ পর্যন্ত এক বছরের জন্য স্থগিতই হয়ে গেল ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাদা বলের সিরিজ। আগামী আগস্টে তাই বাংলাদেশে আসছেন না কোহলি-রোহিতরা।
শনিবার বিসিবি ও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাংলাদেশ-ভারতের সাদা বলের দুটি সিরিজ নতুন সূচি অনুযায়ী হবে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।
আইসিসির ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রামে (এফটিপি) থাকা ভারতের এই সাদা বলের সিরিজের সফরে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা দুই দেশের। ঠিক কী কারণে এই বছর সিরিজটি হচ্ছে না, সেই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানায়নি দুই দেশের বোর্ড।
বিসিসিআই এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, দুই বোর্ডের মধ্যে আলোচনার পর এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সময়সূচির সুবিধাজনক দিকগুলো বিবেচনা করে সিরিজটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আর বিসিবি বিবৃতিতে জানিয়েছে,
“প্রতীক্ষিত এই সিরিজের জন্য ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় থাকবে বিসিবি। এই সফরের সংশোধিত সূচি যথাসময়ে জানানো হবে।”
শুরুটা আদর্শ না হলেও পারভেজ হোসেন ইমনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ইনিংসের প্রথম অংশটা ভালোই কাটল বাংলাদেশের। তবে তরুণ এই ব্যাটার পারলেন না ইনিংস বড় করতে। তাওহীদ হৃদয় কিছুটা লড়লেও অন্য ব্যাটারদের কেউই পারলেন সেভাবে অবদান রাখতে। শেষের দিকে দারুণ এক ক্যামিও খেললেন তানজিম হাসান সাকিব। আর এতে ভর করে সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কাকে মোটামুটি একটা টার্গেট দিতে পারল সফরকারীরা।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ২৪৮ রানে। সর্বোচ্চ ৬৭ রান এসেছেন ইমনের ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের জন্য শুরুটা মোটেও সুখকর হয়নি। তৃতীয় ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন আগের ম্যাচে ফিফটি করা তানজিদ হাসান তামিম। আসিথা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের ডেলিভারি তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে করেন মাত্র ৭ রান।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ইমন মিলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। দ্বিতীয় উইকেটে একশ’র বেশি স্ট্রাইক রেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন এই দুজন, যেখানে বেশি ইতিবাচক ছিলেন ইমনই। জুটি যখন জমে উঠছিল, তখন অফ স্পিনার চারিথ আসালাঙ্কাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত, তার আগে ১৪ রান করেন ১৯ বলে।
তবে ছন্দময় ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার বোলারদের চাপে রাখেন ইমন৷ চল্লিশ থেকে পঞ্চাশে পা রাখেন পরপর দুই বলে চার ও ছক্কা মেরে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির পর অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি। ভানিন্দু হাসারাঙ্গার গুগলিতে বোল্ড হয়ে থামে তার ইনিংস। তবে তার আগে তরুণ এই ওপেনার উপহার দেন ৬৯ বলে ৬৭ রানের দারুণ এক ইনিংস।
লিটন দাস একাদশের বাইরে থাকায় প্রমোশন পেয়ে পাঁচে নামেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে পারেননি পরিস্থিতির চাহিদা মেটাতে। ৯ রানে দুশমন্থ চামিরার শর্ট বল পুল করতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে ধরা পড়েন ডানহাতি এই ব্যাটার।
তাওহীদ একপ্রান্ত আগলে ব্যাট করেন খোলসবন্দী হয়েই। অনেকদিজ পর ওয়ানডে দলে ফেরা শামীম হোসেন অবশ্য ছিলেন ইতিবাচক। ব্যাট করেন ১০০ স্ট্রাইট রেটে। তবে শর্ট বলের ট্র্যাপে তাকে ফেলেন আসিথা ফার্নান্দো। ডিপ ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান ২ চার ও ১ ছক্কায় ২২ রান করে।
শামীমের আউটে চাপ আরও বাড়ে বাংলাদেশের ওপর। জাকের আলি অনিককে নিয়ে সেটা মোকাবেলা করার পথে তাওহীদ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ২৫তম ব্যাটার হিসেবে ১ হাজার রানের ক্লাবে পা রাখেন। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে তার লেগেছে ৩৩ ইনিংস। তার চেয়ে চেয়ে কম ইনিংসে এই কীর্তি গড়েছেন কেবল দুই ব্যাটার, শাহরিয়ার নাফিস ও এনামুল হক বিজয়। দুজনেরই লেগেছিল ২৯ ইনিংস।
রয়েসয়ে খেলা জাকেরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে আসিথা ফের চাপে ফেলেন বাংলাদেশকে। তাওহীদের ওপর তাতে দায়িত্ব বর্তায় দলকে ভালো একটা স্কোর এনে দেওয়ার। তবে তিনিও হন ব্যর্থ, যদিও ভাগ্যকে দুষতেই পারেন তিনি।
আসিথার বলে ডিপ মিড উইকেটে ঠেলে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন তাওহীদ। শুরুটা সাড়া দিলেও পরে ফিরে যান তানজিম হাসান সাকিব। মাঝপথে গিয়েই আর ক্রিজে ফেরার সুযোগই পাননি তাওহীদ। রান আউটে শেষ হয় তার ২ বাউন্ডারিতে সাজানো ৫১ রানের ইনিংস।
সেই সময়ে মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশের ইনিংস থেমে যাবে ২২০ রানের মধ্যেই। তবে সেটা হতে দেননি তানজিম। চোখজুড়ানো সব চার-ছক্কার বাহারে ভড়কে দেন প্রতিপক্ষকে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার এক ওভারে দুই চারের পর এক লেগ স্পিনারের স্পেলের শেষ ওভারে হাঁকান দুই ছক্কা। তবে ৪৯তম ওভারেই মুস্তাফিজুরকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের ইতি টানেন হাসারাঙ্গা। ২১ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে যান তানজিম।
ফর্মে না থেকেই জায়গা মিলেছিল প্রথম ওয়ানডের দলে। তবে সেটা কাজে লাগাতে পারেননি লিটন দাস। ফলে দ্বিতীয় ওয়ানডের দল থেকে বাদ পড়েছেন কিপার-ব্যাটার লিটন দাস। তার জায়গায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের দলে এসেছেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার শামীম হোসেন। টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ।
এছাড়া একাদশে এসেছে আরেকটি পরিবর্তন। চার মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে ৪৭ রানে চার উইকেট পাওয়া তাসকিন আহমেদ নেই এই ম্যাচে। দলে ফিরেছেন ডানহাতি পেসার হাসান মাহমুদ।
ম্যাচটি শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায়, সরাসরি দেখতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টসের পর্দায়।
বাংলাদেশের একাদশ :
পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলী অনিক, তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ।
অনেকটা সময় ধরেই ছিলেন জাতীয় দলের বাইরে। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে বল হাতে ছিলেন ভালো ছন্দে। সেই সূত্রে এবার জাতীয় দলেও ফিরলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে রাখা হয়েছে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারকে।
চলতি মাসের তিন ম্যাচের সিরিজের জন্য শুক্রবার স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত সাইফউদ্দিন গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ দলে হয়ে পড়েছেন অনিয়মিয়। শেষবার জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করেন ২০২৪ সালের মে মাসে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে সেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার পর থেকেই ছিলেন দলের বাইরে।
আরও পড়ুন
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রধান কোচ সিমন্সকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ |
![]() |
এখন পর্যন্ত ৩৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৮.৭১ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ৪২ উইকেট। আর ব্যাট হাতে প্রায় ১১৫ স্ট্রাইক রেটে রান ২০৬।
সাইফউদ্দিনের চেয়েও দীর্ঘ বিরতি দিয়ে দলে ফিরেছেন নাঈম শেখ। ওয়ানডে সিরিজের স্কোয়াডে থাকা এই বাঁহাতি ওপেনার শেষবার এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছিলেন ২০২২ সালে। ৩৫ ম্যাচে ১০৩.৪৫ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৮১৫।
এছাড়াও চোট কাটিয়ে ২০ ওভারের দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদ। নেতৃত্বে যথারীতি থাকছেন লিটন দাস।
আগামী ১০ জুলাই ক্যান্ডিতে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এরপর ১৩ জুলাই দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ডাম্বুলায়। আর ১৬ জুলাই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ হবে কলম্বোতে। প্রতিটি ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭:৩০ টায়।
বাংলাদেশ স্কোয়াড:
লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাইম শেখ, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, শেখ মাহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।