৩ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫০ পিএম
চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করে ইংল্যান্ডের দুটি জয়ের দুটিতেই প্রতিপক্ষ ভারত। ২০২২ সালে বার্মিংহ্যামে ৩৭৮ রান তাড়া করে ৭ উইকেটে এবং চলমান সিরিজে হেডিংলিতে ৩৭১ রান তাড়া করে ৫ উইকেটে ইংল্যান্ডের জয়ের রেকর্ড ভারতের বিপক্ষে। চতুর্থ ইনিংসের চ্যালেঞ্জে ৩৭৪ রান তাড়া করে ওভাল টেস্ট জয়ের দ্বারপ্রান্তে এখন ইংল্যান্ড।
চতুর্থ দিন শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ৩৩৯/৬।জয় থেকে ৩৫ রান দূরে ইংল্যান্ড। এই টেস্ট জিতলে ৩-১ এ সিরিজ জয়ের উৎসব করবে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে ৪ উইকেট ফেলে দিলে সমতায় সিরিজ শেষ করবে ভারত।
চতুর্থ ইনিংসে ৩৭৪ রানের চ্যালেঞ্জে তৃতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৫০/১। সেখান থেকে ৪র্থ দিনের প্রথম সেশনে ২ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রানে ম্যাচটি জমিয়ে তুলেছে ইংল্যান্ড। দিনের দ্বিতীয় সেশনে হ্যারি ব্রুকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান যোগ করলে জয়ের সুবাস পায় ইংল্যান্ড। চতুর্থ দিনেই উৎসব করতে পারতো ইংল্যান্ড। তবে টি-ব্রেকের ১০.২ ওভার পর বেরসিক বৃষ্টি আক্রান্ত করলে ৫ম দিনে শেষ রোমাঞ্চের অপেক্ষায় টেস্টটি।
এই সিরিজ থেকে একটার পর একটা মাইলস্টোনে অন্য উচ্চতায় নিজেকে উঠিয়ে এনেছেন ইংলিশ মিডল অর্ডার জো রুট। এই সিরিজের প্রথম ২টি টেস্টে সেঞ্চুরিহীন কাটানো রুট লর্ডসে ফিরে পেয়েছেন ছন্দ। ওই টেস্টে ১০৪, ম্যানচেষ্টার টেস্টে ১৫০-এর পর ওভালে ১০৫। টানা তিন টেস্টে সেঞ্চুরিতে টেস্ট ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরির সংখ্যা উন্নীত করেছেন রুট ৩৯-এ। ভারতের বিপক্ষে দুর্বার রুটের সেঞ্চুরি সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৩৫ টেস্টে ১৩টি!
এই সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কান লিজেন্ডারি কুমার সাঙ্গাকারার সেঞ্চুরি সংখ্যাকে (৩৮টি) টপকে গেছেন রুট। সেঞ্চুরির সংখ্যায় জো রুটের উপর উপরে এখন শচীন (৫১টি), ক্যালিস (৪৫টি), পন্টিং (৪১টি)।
রুট ছিলেন বলেই ভরসা ইংল্যান্ডের। চতুর্থ ইনিংসের মনস্তাত্বিক চাপে পড়তে হয়নি ইংল্যান্ডকে। হ্যারি ব্রুক বাজবল ক্রিকেট দর্শনে টেস্টকে বানিয়েছেন ওয়ানডে। মাত্র ৯১ বলে ১২ চার ২ ছক্কায় টেস্ট ক্যারিয়ারে ১০ম এবং ভারতের বিপক্ষে ২য় সেঞ্চুরি উদযাপনের পর আকাশদ্বীপের বলে মিড অফে দিয়েছেন ক্যাচ (৯৮ বলে ১৪ চার, ২ ছক্কায় ১১১) হ্যারি ব্রুক। তবে আউট হওয়ার আগে ৪র্থ উইকেট জুটিতে রুটকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেছে ১৯৫ রান। এই পার্টনারশিপই মূলত ভারতকে ফেলেছে হতাশার সাগরে। রুটের ৩৯তম সেঞ্চুরির ইনিংসটি থেমেছে ১০৫ রানে। ১৫২ বলের যে ইনিংসে মেরেছেন ১২টি চার। প্রসিধ কৃঞ্চার বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে খেলতে যেয়ে উইকেটের পেছনে দিয়েছেন রুট ক্যাচ।
ভারত বোলারদের মধ্যে দুই পেসার সিরাজ (২/৯৫)-প্রসিধ কৃঞ্চা (৩/১০৯) ছিলেন সফল।
৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:৪৩ পিএম
৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:০১ পিএম
৬ আগস্ট ২০২৫, ৯:২৬ পিএম
২ ম্যাচ হাতে রেখে ত্রিদেশীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বলেই রাউন্ড রবীন লিগের শেষ ম্যাচে সাইড বেঞ্চ পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে পেরেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। নিয়মিত একাদশের ৫ জনকে বিশ্রাম দিয়ে শুধু সাইড বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষাটাও করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
চলমান ত্রিদেশীয় অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয় (১৬০ রান) উদযাপন করেছে এদিন বাংলাদেশের যুবারা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলমান ত্রিদেশীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ যুবারা জিতল সব কটি ম্যাচ (৩টি)।
হারারেতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল এই টুর্নামেন্টে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর (২৮৪/৬) করেছে। রিফাত বেগ করেছেন ৭৮ বলে ১০ চার, ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৭৭ রান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১১২ রান যোগ করতে পেরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আজিজুল হাকিম ৬৫ বলে ৩৪, রিজান ২৯ বলে ৩৩, আবদুল্লাহ ৪৫ বলে ৩৭ রান করেছেন। জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শেলটন পেয়েছেন ৩ উইকেট (৩.৭০)।
জবাব দিতে এসে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। এক পর্যায়ে স্কোরশিটে ৬৪ উঠতে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৫৪ রান যোগ করলে তিন অঙ্কের নাগাল পায় জিম্বাবুয়ে যুবারা। তবে শেষ ৫ উইকেট হারায় তারা মাত্র ৮ রানে। রিজান (৩/৯) এবং আজিজুল হাকিম (৩/২৫) পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট। শাহরিয়ার আল আমিন পেয়েছেন ২টি উইকেট (২/২৭)।
দুর্বল জিম্বাবুয়েকে পেয়ে রেকর্ডের পাল্লা ভারী করে চলেছে নিউজিল্যান্ড। বুলাওয়েতে অনুষ্ঠানরত টেস্টের প্রথম দিনে ৪৯ রানের লিড নিয়ে জিম্বাবুয়েকে রান পাহাড়ে চাপা দেয়ার আভাস দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন শেষে লিড উন্নীত করেছে ৪৭৬ রানে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইতোপূর্বের ১৮ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৫৮২/৪ ডি.। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে বুলাওয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৬০১/৩।
টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৯ সালে হ্যামিল্টনে ৭১৫/৬ ডি. এখনো নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ স্কোর। সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার হাতছানি এখন নিউ জিল্যান্ডের সামনে।
দ্বিতীয় দিন নিউজিল্যান্ডের তিন ব্যাটার পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। প্রথম দিন শেষে ৭৯ রানে ব্যাটিংয়ে থাকা ডেভন কনওয়ে এদিন টেস্ট ক্যারিয়ারে ৫ম সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন। মুজারাবানির বলে বোল্ড আউটে থেমে যাওয়ার আগে করেছেন ১৫৩ রান। যে ইনিংসে মেরেছেন তিনি ১৮টি বাউন্ডারি। টেস্ট ক্রিকেটে এদিন এই টপ অর্ডার ২ হাজারী ক্লাবের সদস্যপদ পেয়েছেন। ১০ম টেস্ট সেঞ্চুরি পূর্ণ করে এখন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবলের পথে হেনরি নিকোলাস (২৪৫ বলে ১৫ চার-এ ১৫০*)। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করে রাচিন রবীন্দ্র টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্রুততম সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন। ১০৪ বলে তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি উদযাপন করে এখন দ্বিতীয় ডাবলের পথে ( ১৩৯ বলে ২১ চার, ২ ছক্কায় ১৬৫*) এই স্টাইলিশ মিডল অর্ডার। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে রাচিন-হেনরি নিকোলাস ইতোমধ্যে যোগ করেছেন ২৫৬ রান। ওভারপ্রতি ৫.৩৮ রান যোগ করেছে এই জুটি।
দ্বিতীয় দিন নিউজিল্যান্ড যোগ করেছে ২ উইকেট হারিয়ে ৪২৭ রান। দিনের প্রথম সেশনে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩২, দ্বিতীয় সেশনে ১ উইকেট হারিয়ে ১২১ এবং শেষ সেশনে উইকেটহীন ১৭৪ রান যোগ করেছে নিউজিল্যান্ড।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরে থাকায় টেস্ট ক্রিকেটের মেজাজ হারিয়ে ফেলেছে জিম্বাবুয়ে। এ বছরের এপ্রিলে সিলেটে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দেয়ার গর্বে যে দলটির টেস্টে চাঙ্গা হওয়ার কথা, সেই জিম্বাবুয়ে সর্বশেষ ৫ ম্যাচের সব কটিতে বড় ব্যবধানে হারকে যেনো নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছে। নিজেদের মাটিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে ইনিংস ও ২৩৬ রানে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় টেস্টেও নিজেদের দৈন্যতা প্রকাশ করেছে। বুলাওয়েতে অনুষ্ঠানরত সিরিজের শেষ টেস্টের প্রথম দিন বিধ্বস্ত জিম্বাবুয়ে যথারীতি হাজির। প্রথম দিনে সফরকারী নিউ জিল্যান্ড নিয়েছে ৪৯ রানের লিড!
টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে কিউই পেসার ম্যাট হেনরি (১৫-৩-৪০-৫) এবং ডেব্যুটেন্ট জাকারির (১৬-৫-৩৮-৪) তোপে বিধ্বস্ত হয়েছে জিম্বাবুয়ে। হেনরির এটি উপর্যুপরি দুই টেস্টে ৫ উইকেটের গর্ব। বুলাওয়েতে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে পেয়েছিলেন এই পেসার ৬ উইকেট (৬/৩৯)।
প্রথম ইনিংসে থেমেছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে ১২৫ রানে। ৫ বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে ব্রান্ডন টেলর করেছেন এদিন জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর (৪৪)। তাফাজা তিগা করেছেন ৩৩ রান।
প্রথম ইনিংসে আরও বড় ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে দাঁড়িয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ২য় উইকেট জুটির ২৯ রানের কল্যােনে তিন অঙ্কের নাগাল পায় জিম্বাবুয়ে।
জবাব দিতে এসে প্রথম দিনেই লিড নিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। ওপেনিং জুটির ১৬২ রানে তা সম্ভব হয়েছে। প্রথম দিন শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ১৭৪/১। দিনের অন্তিম সময়ে উইল ইয়ং গুয়াংডুকে পুল করতে যেয়ে বোল্ড আউটে থেমেছেন ৭৪ রানের মাথায় এসে। যে ইনিংসে মেরেছেন তিনি ১১টি চার। প্রথম টেস্টে ১২ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করা ডেভন কনওয়ে এখন দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৭৯ রানে ব্যাটিংয়ে আছেন।
গত এক বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে শুরু করে ‘এ’ দলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন। তবুও নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের বাইরেই থাকতে হচ্ছে নুরুল হাসান সোহানকে। অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ তার জন্য হতে পারে নিজেকে প্রমাণের আরেকটি মঞ্চ। অভিজ্ঞ এই কিপার-ব্যাটার মনে করেন, জাতীয় দলে ফেরার জন্য তিনি কেবল নিজের কাজটাই ঠিকটাক করতে পারেন।
বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের নিয়মিত অধিনায়ক সোহান টানা দুই আসরে দলটিকে নিয়ে গেছেন গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে। একবার হয়েছেন চ্যাম্পিয়নও। এছাড়া বিপিএল, ডিপিএল, এনসিএল বা ‘এ’ দল, সব জায়গাতেই ব্যাট হাতে ও নেতা হিসেবেও নিজের মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছেন সোহান। সেই ধারায় অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে অধিনায়ক করা হয়েছে। তবে জাতীয় দলের ডাক পাওয়ার অপেক্ষা লম্বাই হচ্ছে তার।
বুধবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক সুরেই কথা বললেন সোহান।
“জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া আসলে আমার হাতে নেই। এটা নিয়ে মন্তব্য করাটাও তাই ঠিক হবে না। তবে যেখানেই খেলি না কেন, ভালো করার চেষ্টা করি। নিজের জায়গা থেকে উন্নতির চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলা ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল, এখনও সেই স্বপ্নই দেখি। সুযোগ পেলে অবশ্যই নিজের সর্বোচ্চটা দিতে চাই।”
সোহানের জন্য সেই সুযোগটা আসতে পারে এই সিরিজটি দিয়েই। জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের বাজিয়ে দেখতেই সাজানো হয়েছে ‘এ’ দলের স্কোয়াড। আর বলার অপেক্ষা রাখে না, এখানে ভালো করলে সোহান বা অন্যদের জন্য খুলে যেতে পারে নেদারল্যান্ডস সিরিজের দুয়ার। সেটা না হলেও সুযোগ মিলতে পারে এশিয়া কাপেও।
“আমরা একটা ভালো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাচ্ছি। এখানে অনেক ভালো ভালো দল রয়েছে। আমাদের জন্য তাই দারুণ একটা সুযোগ। অবশ্যই চাইব ফাইনাল খেলতে। তবে শেখার প্রক্রিয়ায় আমি বিশ্বাস করি না। কারণ, শেখার ব্যাপারটা কিন্তু চলতেই থাকবে, এটা জীবনেরই অংশ। কিন্তু যেহেতু একটি প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছি, তাই সেখানে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ফাইনালে খেলা এবং শিরোপা জেতা। দলের প্রতিটি ক্রিকেটার, টিম ম্যানেজমেন্ট এখানে সবাই চোখ রাখছে কেবল শিরোপার দিকেই।”