১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮:০১ পিএম
দুই দলের মধ্যকার সবশেষ টেস্টে ভারতকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল বাংলাদেশ। সঙ্গে রয়েছে সদ্যই পাকিস্তানকে টেস্ট সিরিজে হারানোর দারুণ অভিজ্ঞতা। এরপরও ভারতের বিপক্ষে লাল বলের ক্রিকেটে ফলাফল যতোটা একতরফা, তাতে আসছে সিরিজে নিজেদের প্রমাণের বাড়তি চাপ থাকতেই পারে বাংলাদেশের ওপর। তাতে ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও তাই থেকেই যাচ্ছে। তবে কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে জানালেন ভিন্ন কথা। বাংলাদেশ কোচ সাহসী কণ্ঠে বলেছেন, চাপে থাকাটাই বরং বাংলাদেশকে বাড়তি সুবিধা দেবে।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই। এররপর থেকে এখন পর্যন্ত দুই দল ম্যাচ খেলেছে ১৩টি। তাতে নিরঙ্কুশ প্রাধান্য দেখিয়ে ভারত জিতেছে ১১ ম্যাচে, বাকি দুটি হয়েছে ড্র। ভারতের মাটিতে হওয়া একমাত্র সিরিজের দুই ম্যাচে বাংলাদেশ কোনো লড়াই জমাতেই পারেনি। এবারের সিরিজেও তাই এই ফরম্যাটে ভালো করার একটা চাপ থাকবেই নাজমুল হোসেন শান্তর দলের ওপর।
তবে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে তুলে ধরলেন এই চাপে থাকার ইতিবাচক দিক। “আমি এই চাপকে বরং সুবিধা হিসেবেই দেখছি। আমার মনে হয়, এটা আমাদের আরও অনেক বেশি বিশ্বাস যোগায় এবং আরও বেশি সামনে দিকে তাকানোর সুযোগ করে দেয়। আর তখনই আমরা নিজেদের শক্তি, সীমাবদ্ধতা ও অবস্থানের ব্যাপারে ভালোভাবে বুঝতে পারি।”
এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ভারতের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে খেলা, বিশেষ করে টেস্টে। একটা সময় স্রেফ স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করলেও এখন পেস আক্রমণ দিয়েও যথেষ্ট শক্তিশালী দল তারা। ফলে কন্ডিশন যেমনই হোক, ভারত আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি কঠিন একটি দল। আর সেই কারণেই ভারতের মাটিতে তাদের বিপক্ষে ভালো খেলাটা বাংলাদেশের জন্য হতে পারে সেরা অর্জন।
হাথুরুসিংহেও মনে করেন, ভারতের বিপক্ষে ভালো পারফরম্যান্স তার দলের একটা দারুণ মানদণ্ড তৈরি করে দিতে পারে। “বিশ্বের সেরা দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে পারলে আমাদের উৎসাহ আরও বেড়ে যায়। যেমন, ভারতে এসে ভারতের বিপক্ষে খেলা। এই মুহূর্তে ক্রিকেটে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই সেরা দলগুলো বিপক্ষে খেলাটা সব সময় আপনাকে এটা জানান দেয়, একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন। আমরা এখন এই চ্যালেঞ্জের দিকেই তাকিয়ে থাকব।”
আগামী বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রথম টেস্ট।
৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৮ পিএম
৬ অক্টোবর ২০২৪, ৯:২৫ পিএম
টি-টিয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগেই। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়া বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে প্রথম ছয় ওভারেই খেই হারিয়ে ফেলে, যেখান থেকে বের হওয়া আর সম্ভব হয়নি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও মানছেন, সর্বনাশ হয়েছে পাওয়ার প্লেতেই।
বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ভালোই। আর্শদ্বীপ সিংকে চার মেরে রানের খাতা খুললেও প্রথম ওভারেই আউট হন অভিজ্ঞ লিটন দাস। বাংলাদেশের চাপ বাড়িয়ে এরপর ছয় ওভারের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৩৯। বিপরীতে রান তাড়ায় ছয় ওভারে ভারত করে ৭১ রান। দুই দলের পার্থক্য এখানেই ম্যাচে।
ম্যাচের পর শান্ত বলেছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাট করতে পারেনি তার দল। “আমার মনে হয় আমাদের শুরুটা ভালো হয়নি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ছয় ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আমরা সেখানে ভালো করতে পারিনি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা। মনে হচ্ছিল আমাদের খুব বেশি পরিকল্পনা ছিল না, কিন্তু পরের ম্যাচে আমাদের সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে।”
পাওয়ার প্লেতে ধীরগতির ব্যাটিং করা বাংলাদেশ পুরো ইনিংসেই বজায় রাখে একই ধারা। ১০৮ স্ট্রাইক রেটে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করেন শান্ত। আর সর্বোচ্চ ৩৫ করা মেহেদি হাসান মিরাজ বল খেলেন ৩২টি। অতিরিক্ত ডট বলের কারণে রান বের করার জন্য বড় শটের বিকল্প ছিল না। আর তা করতে গিয়েই হয় বিপত্তি। মাত্র ১২৭ রানেই শেষ হয় ইনিংস, যা ভারত পাড়ি দেয় দ্বাদশ ওভারেই।
শান্ত তাই ব্যাটারদের তাগিদ দিয়েছেন ডট বল কম খেলে রানের চাকা সচল রাখার। “আমাদের স্ট্রাইক রোটেটিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে, টি-টোয়েন্টি শুধু মেরে খেলার বিষয় নয়। হাতে উইকেট থাকলে আমরা ভালো স্কোর করতে পারি। আমরা খুব বেশি রান করতে পারিনি। রিশাদ ভালো বোলিং করেছে এবং ফিজও ভালো ছিল, কিন্তু আমাদের বোর্ডে যথেষ্ট রান ছিল না।”
ভারতে পেস বিপ্লব হয়ে গেছে বেশ কয়েক বছর হল। তবে দেশটির একজন পেসার নিয়মিতভাবে ১৫০ কি.মি. গতিতে বল করবেন, এই দৃশ্য এখনও বিরলই বটে। গত আইপিএলে ঠিক সেই কাজটাই করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন মায়াঙ্ক যাদব। ভারতীয় ক্রিকেটে এই ডানহাতি পেসার আগমনটা দেখা হচ্ছিল অনেকটা, এলাম, দেখলাম আর জয় করলাম-এর মত। আওয়াজ ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই তাকে দলে নেওয়ার। সেটা না হলেও বাংলাদশের বিপক্ষে চলমান সিরিজে নিজের অভিষেক ম্যাচেই গতির ঝড় তুলেছেন মায়াঙ্ক।
গত আইপিএলে সবচেয়ে বেশি গতিতে বল করা শীর্ষ পাঁচটি ডেলিভারি এসেছিল একজনের কাছ থেকেই, নামটা মায়াঙ্কই। সর্বোচ্চ ছিল ১৫৬.৭ কি.মি.। স্বাভাবিকভাবেই তাই অল্প সময়েই মাতামাতি শুরু হয় তরুণ এই পেসারকে নিয়ে। প্রশংসায় মাতেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবিদন্তি পেসার ডেল স্টেইন সহ আরও অনেকেই। তবে ভারত জাতীয় দলে এতোটাই তীব্র প্রতিযোগিতা যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের জন্য বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষাই করতে হয়েছে ২২ বছর বয়সী মায়াঙ্ককে। তবে অপেক্ষা কাটিয়ে হওয়া অভিষেক ম্যাচে যথারীতি ধরা দিয়েছেন চেনা ছন্দেই।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আক্রমণে আসেন মায়াঙ্ক। ক্রিজে ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। এই মুহূর্তে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটারকে কোনো সুযোগই দেননি রান বের করার। স্বপ্নময় প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ওভারটি মেলে মেডেন। এর চেয়ে দারুণ শুরু আর কীইবা হতে পারে একজন বোলারের জন্য! সব মিলিয়ে তৃতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ওভারটি মেডেন নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন মায়াঙ্ক।
দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে দেখা পান কাঙ্ক্ষিত প্রথম উইকেটেরও। ১৪৬ কি.মি গতিতে করা বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। নিজের করা তৃতীয় ওভারে অবশ্য খরুচে ছিলেন মায়াঙ্ক। দুটি চার ও এক ছক্কায় দেন ১৫ রান। এরপর শেষের দিকে কোটার শেষ ওভার করেন মায়াঙ্ক। ওই একটি ওভারে বেশ রান দিলেও চার ওভারে ১ উইকেটে নিতে গুনেন মাত্র ২১ রান।
তার ও অন্য বোলারদের সম্মিলিতে তোপের মুখে ১৯.৫ ওভারে ১২৭ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস।
৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৭ দিন আগে