২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:৩৬ পিএম
রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে ৬ টা গোলও করে ফেলেছেন কিলিয়ান এমবাপে। কিন্তু এমবাপে আসার পর রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগ নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে বেশি। যেখানে ভিনিসিয়ুস আছেন, রদ্রিগো আছেন সেখানে এমবাপের আগমনে অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট হওয়ার শঙ্কাও আছে কারও কারও। কিন্তু সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন এমবাপে, মৌসুমের শুরুটাও তার হয়েছে দারুণ।
তবে গেল মৌসুমের তুলনায় এবার রিয়াল যে মাঠের ফুটবলে অগোছালো তা কোচ কার্লো আনচেলত্তিও এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন। টনি ক্রুসের অবসরের পর অবশ্য একটা শুন্যস্থান তৈরিই হওয়ার কথা ছিল। তবে এখন আলোচনা সেই ফাঁকা জায়গাটা কিভাবে পুষিয়ে নেবে রিয়াল। আর সেটা মাথায় রেখেই দলের খেলার ধরনে পরিবর্তনের কথাই চিন্তা করছেন ইতিলিয়ান এই কোচ।
এমনিতে খুব একটা পরিবর্তনের পথে আনচেলত্তি হাঁটেন না। ফুটবলারদের স্বাধীনতা দিয়ে তাদের সেরাটা বের করে আনতে বেশ পটু আনচেলত্তি। তবে রিয়ালের বর্তমান অবস্থায় পরিবর্তন ছাড়া গতি দেখছেন অভিজ্ঞ এই কোচ। ফরাসি পত্রিকা লেকিপ দিচ্ছে সে ইঙ্গিত। তাদের মতে আক্রমণভাগে ধার বাড়াতে আর রক্ষণে ভারসম্য ফেরাতে দলের ফরমেশনে বদল আনতে চাইছেন আনচেলত্তি।
গত মৌসুমে দলকে ৪-৩-১-২ ফরমেশনেই বেশি খেলিয়েছিলেন আনচেলত্তি। তবে এই মৌসুমে এমবাপের আগমণে ৪-৩-৩ ফরমেশনের দিকেই ঝুঁকেছেন তিনি। যেখানে রক্ষণে এদার মিলেতাওয়ের সাথে জুটি বাঁধছেন আন্তোনিও রুডিগার। আর দুই উইংব্যাকে দেখা মিলছে দানি কার্ভাহাল ও মেন্দিকে। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে জায়গাটা পাকা অরেলিয়েঁ চুয়ামেনির, সাথে একপাশে ফেদেরিকো ভালভার্দে অন্যপাশে জুড বেলিংহাম। আর দুই উইংয়ে দুই ব্রাজিলিয়ান রদ্রিগো ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র স্ট্রাইকারের ভূমিকায় এমবাপে।
আট ম্যাচ খেলে ফেললেও এই ফরমেশনে রিয়াল ফুটবলাররা খুব একটা ছন্দ খুঁজে পাননি। বিশেষ করে তিন ফরোয়ার্ডের রক্ষণে খুব একটা সাহায্য না করা দলকে ভোগাচ্ছে বেশ। যার জন্য এই মৌসুমে রিয়ালের রক্ষণে চাপটা বাড়ছে। অন্তত পরিসংখ্যান বলছে তাই। রিয়াল সোসোদিয়াদ লিগে রিয়ালের পোস্টে নিয়েছিল ১১ শট। পুঁচকে স্টুর্টগার্টও বারবারই রিয়ালের রক্ষণে ভীতি জাগিয়েছে। থিবো কোর্তোয়ার দারুণ কিছু সেইভ শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়েছে রিয়ালকে।
শেষ আট ম্যাচে রিয়াল হজম করেছে চার গোল। পরিসংখ্যান রিয়ালের পক্ষে কথা বললেও ম্যাচের চিত্র ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। কখনো কোর্তোয়ার অবিশ্বাস্য কিছু সেইভ কখনো পোস্টের সহয়তায় রিয়ালের জাল থেকেছে অক্ষত। এই পরিস্থিতি বদলাতে কোচিং প্যানেল আঁকছে নতুন ছক।
বেশ কিছু স্প্যানিশ ও ফরাসি গণমাধ্যমের খবর আনচেলত্তি ফিরতে চাচ্ছেন ৪-৪-২ ফরমেশনে। আক্রমণভাগে একজন কমিয়ে মিডফিল্ডে যুক্ত করতে চাচ্ছেন আরও একজন ফুটবলার। চোট কাটিয়ে কামাভিঙ্গা ফিরলে সেই দায়িত্বটা থাকবে তার কাঁধে। টনি ক্রুসের অনুপুস্থিতিতে রিয়ালের মিডফিল্ডে যে সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়েছে সেটা কাভার করার সাথে, রক্ষণে দলকে আরেকটু শক্তিশালী করতেই আনচেলত্তি এই সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছেন বলে জানাচ্ছে গণমাধ্যমগুলো।
এরই মধ্যে এস্পানিয়লের সাথে শেষ ম্যাচে রিয়ালের নতুন ফরমেশনের কিছুটা আঁচ পাওয়ে গেছে। ফরমেশন বলছে রিয়াল এদিন মাঠে নেমেছে ৪-৩-৩-এ। তবে ম্যাচ শুরু হতেই সেটা অনেকটাই ৪-২-২ শেইপেই রূপ নিয়েছে। যার ফলও রিয়াল পেয়েছে হাতেনাতে। এস্পানিয়লের সাথে এখন পর্যন্ত মৌসুমের সেরা ম্যাচটাই উপহার দিয়েছে আনচেলত্তির দল।
ডিপ মিডফিল্ডে ক্রুসের যেভাবে বল নিয়ন্ত্রণ করতেন সেটায় বেশ খাবি খাচ্ছিল রিয়াল। তাই কামাভিঙ্গাকে কিছুটা ডিপ মিড রোলে খেলানোর পরিকল্পনাই করছেন আনচেলত্তি। সেক্ষেত্রে আক্রমণভাগে কপাল পুড়তে পারে রদ্রিগোর। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড তখন বেঞ্চ থেক বদলি হিসেবেই মাঠে নামতে পারেন। ভিনিসিয়ুস আর এমবাপেই সামলাবেন আক্রমণভাগের দায়িত্ব, তাতে গত মৌসুমের মতো বেলিংহাম আক্রমণভাগে আরও সক্রিয় হওয়ার সুযগটাও পাবেন। সেই সাথে রিয়ালের মিডফিল্ডের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করা ভালভার্দেও সুযোগ পাবেন আরও ওপরের দিকে খেলার।
তবে এক্ষেত্রে আছে বাধ্যবাধকতাও। চারজন মিডফিল্ডার মৌসুমজুড়ে খেলিয়ে যাওয়া কিংবা সবাইকে একসাথে দলে পাওয়াও দুষ্কর হয়ে যেতে পারে। সে কথা বিবেচনায় বড় ম্যাচগুলোতে এমন ফরমেশনে যাওয়ার সম্ভবনাই বেশি। লিগে পয়েন্ট টেবিলের নিচের সারির দলগুলো কিংবা কোপা দেল রের ম্যাচগুলোতে অদল বদল হতে পারে ফরমেশনে, সেই সাথে একাদশেও।
২৯ এপ্রিল ২০২৫, ২:৪৬ পিএম
২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১:১৮ পিএম
আন্ডারডগ হিসেবে নেমে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠে প্রথম লেগে যে ফলাফল ছিল, তা অনেকের কাছেই ছিল অঘটনের শামিল। তবে ফিরতি লেগেও আর্সেনাল প্রমাণ করে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে সফল দলটির বিপক্ষে নিজেদের সেরা ফুটবল উপহার দেওয়ার সামর্থ্য তাদের আছে। ফাইনালে যাওয়ার পথে মিকেল আর্তেতার দলের বাধা এখন দুরন্ত ফর্মে থাকা পিএসজি। তবে আর্সেনাল কোচ মনে করেন, রিয়ালকে হারানোর কারণে তাদের আর কাউকে নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
শেষ আটের প্রথম লেগে ঘরে মাঠে রিয়ালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দেয় আর্সেনাল। তবে ফিরতি লেগ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার হয়ত আর পারবে না ইংলিশ ক্লাবটি। তবে এই লড়াইয়েও ২-১ গোলে জিতে যায় আর্সেনাল। শক্তিধর রিয়ালকে যেভাবে দুই লেগে নাকানিচুবানি খাইয়েছে তারা, তাতে শিরোপার জোর দাবিদার হিসেবে নিজেদের রাখতেই পারে লন্ডনের ক্লাবটি।
এর মধ্যে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়া পিএসজির সাথে সেমিফাইনালের প্রথম লেগের আগেও তাই বাড়তি অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন আর্তেতা।
“আমি মনে করি বার্নাব্যুতে যাওয়া সম্ভবত সেখানকার সামগ্রিক ইতিহাসে, সাম্প্রতিক ইতিহাস এবং সেখানে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার কারণে একটা ইউরোপিয়ান দল হিসেবে আপনার সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হতে পারে। আমি মনে করি আমরা সেই ম্যাচটি (দ্বিতীয় লেগ) খুব খুব ভালোভাবে সামাল দিয়েছি। আমি মনে করি এটা একটা দলের মাঝে এমন আত্মবিশ্বাস এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে, যা আমাদের মত অধিকাংশ দলের আগে কখনই ছিল না।”
আর্সেনালের মত পিএসজিও এখনও পায়নি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ। ফরাসি ক্লাবটি ২০২০ সালে ফাইনালে খেললেও আর্সেনালের জন্য শেষ চারে আসা জায়গা করে নেওয়াটাই ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। ২০০৯ সালের পর এই নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার দলটি খেলছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে।
ফলে রিয়ালকে হারিয়ে উড়তে থাকা আর্সেনালের জন্য বড় পরীক্ষা হতে পারে অচেনা মঞ্চে স্নায়ুচাপ ধরে রাখা। আর সেটা ভালোভাবেই টের পাচ্ছেন আর্তেতা।
“আমি সবাইকে বলব বর্তমান নিয়েই থাকুন। আমরা খুবই ভাগ্যবান। আমরা যে অবস্থানে আছি, তা অর্জন করার জন্য আমরা অনেক কিছুই করেছি। আমরা অনেক পরিশ্রম দিয়ে, উৎসাহ দিয়ে এটা অর্জন করেছি। কারণ, এই পথচলায় আমরা অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি এবং দশ মাস ধরে সর্বোচ্চ স্তরে লড়াই করতে পেরেছি। তাই আমাদের জন্য এটা একটা সুন্দর মুহূর্ত।”
এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদে শেষ হচ্ছে কার্লো আনচেলত্তি অধ্যায়, এই খবর পুরনো হলেও কবে আর কীভাবে সেটা হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা রয়েছে চলমান। কারণ, তার এই চাকরি ছাড়ার সাথেই যে সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে ব্রাজিল জাতীয় দলের নতুন কোচ হওয়ারও। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের আগেই রিয়ালের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন অভিজ্ঞ এই কোচ।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের (সিবিএফ) আশা, আগামী জুনে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ পরিচালনা করার লক্ষ্যে এর আগেই আনচেলত্তিকে যথাসময়ে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব।
আনচেলত্তি এবং ব্রাজিলের মধ্যে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক চুক্তি না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার ইতিবাচক হয়েছে বলেই খবর। ইএসপিএনের দাবি, ৬৫ বছর বয়সী এই কোচ সিবিএফকে জানিয়েছে দিয়েছেন যে, তার আগমনের ব্যাপারে এখন থেকে পরিকল্পনা শুরু করতে পারেন তারা।
আনচেলত্তির প্রতিনিধি দল ও তার ছেলে ডেভিড আনচেলত্তির সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে সিবিএফ আশাবাদী, আনচেলত্তি আগামী ২৬শে মে রিও ডি জেনিরোতে থাকবেন। উল্লেখ্য, এর দুই দিন আগে রিয়াল এই মৌসুমে তাদের শেষ ম্যাচটি খেলবে লা লিগায়।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রিয়ালের সাথে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ আনচেলত্তি মৌসুম শেষে ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সাথে আলোচনায় বসবেন। এও বলা হয়েছে, নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা কোচকে রিয়াল বিদায় জানাতে চায় রাজসিকভাবে। তাকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি করা হতে পারে ক্লাবের এম্বাসেডরও।
ফলে আনচেলত্তির জন্য সব মিলিয়ে পরিস্থিতিটা খুব একটা মন্দ হচ্ছে না। কোচ না থাকলেও যে প্রিয় ক্লাবের সাথে যুক্ত থাকছেন তিনি। অন্যদিকে ব্রাজিল তাকে যে চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে, সেটা নাকি দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে লোভনীয় অর্থের চুক্তি হতে যাচ্ছে। সাথে যোগ হচ্ছে একঝাক প্রতিভাবান ফুটবলারদের নিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল জাতীয় দলের কোচ হওয়ার দারুণ এক সুযোগ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে রিয়াল মাদ্রিদের বিদায়ের পর থেকেই বাতাসে ভাসছিল গুঞ্জন। কোপা দেল রের ফাইনালে হারের পর কার্লো আনচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়াটা একরকম নিশ্চিতই হয়ে গেছে। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে তাকে কোচ হিসেবে পেতে চাওয়া ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) জোরেশোরেই চালিয়ে যাচ্ছে আলোচনা। ইএসপিএন তো একধাপ এগিয়ে দাবি করছে, দুই পক্ষের আলোচনা নাকি চূড়ান্ত হওয়ার পথে। অপেক্ষা কেবল চলতি মৌসুম শেষ হওয়ার।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রিয়ালের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্টিনো পেরেজের সাথে আলোচনায় বসবেন আনচেলত্তি। ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করলেও দুই পক্ষই এগিয়ে যাচ্ছে যৌথ সম্মতিতে সেটা বাতিলের।
আরও পড়ুন
ফাইনালে গিয়েও খুশি হতে পারছেন না গার্দিওলা |
![]() |
গত রোববার কোপার ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে ৩-২ গোলে হেরে যায় রিয়াল। এর আগে আর্সেনালের কাচে ৫-১ ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আট থেকে বিদায় নেয় আনচেলত্তির দল। আর লা লিগায় হাতে পাঁচ ম্যাচ রেখে বার্সেলোনার চেয়ে চার পয়েন্ট পিছিয়ে আছে দুইয়ে।
বাজে এক মৌসুমের পর আনচেলত্তিকে আর ধরে রাখার দিকে রিয়াল যেতে চাচ্ছে না বলেই খবর ইউরোপের সব শীর্ষ সংবাদমাধ্যমের। ২০২৪ সালে এক দফায় চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়া সিবিএফ তাই ফের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অভিজ্ঞ এই কোচকে ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার। সেই লক্ষ্যে গত সপ্তাহ থেকে আনচেলত্তির সাথে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে সিবিএফ। অপেক্ষা কেবল রিয়ালের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার।
দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২১ সালে রিয়ালের কোচ হওয়া আনচেলত্তির হাত ধরে রিয়াল পেয়েছে দারুণ কিছু সাফল্য। সব মিলিয়ে দুই মেয়াদে তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও দুটি লা লিগা জিতে তিনি এরই মধ্যে হয়ে গেছেন রিয়ালের ইতিহাসের অন্যতম সেরা কোচ। ইএসপিএন তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে লা লিগা রিয়ালের শেষ ম্যাচের পরই হয়ত আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেবেন আনচেলত্তি।
আরও পড়ুন
যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ |
![]() |
গত ১৯ এপ্রিল আনচেলত্তি বলেছিলেন, মৌসুম শেষে তিনি ও ক্লাব তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। ক্লাব বিশ্বকাপে তিনি রিয়ালের দায়িত্বে থাকবেন কিনা, সেটা নিয়েও তখন জানান অনিশ্চয়তার কথা।
এফএ কাপের সেমিফাইনালের আগে বলেছিলেন, এটি জিতলে ম্যানচেস্টার সিটি বড় ক্ষতি এড়াতে পারবে। নটিংহাম ফরেস্টকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার পর অবশ্য তেমন উচ্ছ্বাসে ভাসছেন না পেপ গার্দিওলা। অভিজ্ঞ এই কোচ বলেছেন, এই শিরোপা জয় করলেও তারা নিজেদের মানের কাছাকাছি যেতে পারবেন না।
গত রোববার ওয়েম্বলিতে ফরেস্টকে ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করে টানা তৃতীয়বারের মত এফএ কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে সিটি, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ক্রিস্টাল প্যালেস। প্রিমিয়ার লিগে খোয়ানো সিটি আগেই বাদ পড়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও কারাবাও কাপ থেকেও। ফলে এফএ কাপই তাদের একমাত্র ভরসা এখন।
আরও পড়ুন
ব্রাজিলের কোচ হওয়ার ‘খুব কাছাকাছি’ আনচেলত্তি |
![]() |
সংবাদ সম্মেলনে সিটির লিগে শীর্ষ পাঁচে থেকে শেষ করা এবং এফএ কাপ জয় একটি সফল মৌসুমে পরিণত করবে কিনা, প্রশ্ন করা হলে গার্দিওলা বলেন, “একেবারেই না।”
সাবেক বার্সেলোনা কোচ এরপর তুলে ধরেন এটা বলার কারণটাও।
“আমাদের জন্য এই মৌসুমটা ভালো যায়নি। আমরা লিভারপুলের চেয়ে এক হাজার মিলিয়ন পয়েন্ট পিছিয়ে আছি। এটা ভালো নয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দিকে তাকান। আমরা কয়টা ম্যাচ জিতেছি? একটি বা দুটি ম্যাচ? আমরা সবসময় একটা মেশিনের মত ছিলাম এবং আমরা দল হিসেবে ভালো ছিলাম না। পরের মৌসুম যাতে ভালো হয়, সেজন্য ক্লাবকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
ফরেস্টের বিপক্ষে সিটির জয়ের দিন একই সময়ে টটেনহ্যাম হটস্পারকে ৫-১ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় লিভারপুল। আর আর্নে স্লটের দল কাজটা করেছে চার ম্যাচ হাতে রেখেই। ৮২ পয়েন্ট নিয়ে তারা যখন শিরোপা উৎসব করছে, তখন গার্দিওলার দলকে লড়তে হচ্ছে সেরা চারে থাকার জন্য৷ আপাতত অবস্থান তৃতীয় (৬১ পয়েন্ট)।
লিভারপুলের জার্সিতে এর আগে একবার স্বাদ পেয়েছিলেন প্রিমিয়ার লিগ জয়ের। তবে কোভিড-১৯ এর কারণে সেই জয়ের মঞ্চ ও উদযাপন দুটিই ছিল একেবারেই অন্যরকম। এই মৌসুমে ফের লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মোহামেদ সালাহ তাই অনুভব করছেন আবেগের ভিন্নতা। মিশরীয় তারকা মনে করেন, তাদের এবারের জয়টি আগের চেয়ে বেশি স্পেশাল।
এবারের আগে ২০১৯-২০ মৌসুমে শেষবার লিগ জিতেছিল লিভারপুল। তবে বিশ্বজুড়ে কোভিড মহামারী ছড়িয়ে পড়ার কারণে টানা না খেলে বিরতি দিয়ে মৌসুমের নির্ধারিত সময়ের পর চলেছিল লিগের লড়াই। নানা বাধ্যবাধকতার সাথে দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলেই শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। ফলে ছিল না বাড়তি আনন্দময় আবহ। তবে এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। অ্যানফিল্ডে দর্শকদের উপস্থিতিতে টটেনহ্যাম হটস্পারকে ৫-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে দলটি।
আরও পড়ুন
রেফারিকে আক্রমণের পর ক্ষমা চাইলেন রুডিগার |
![]() |
ম্যাচের পরে স্কাই স্পোর্টসকে সালাহ তাই শুনিয়েছেন বাড়তি ভালো লাগার কথা।
“আমাদের ভক্তদের সাথে শিরোপার আনন্দ ভাগাভাগি করা এক অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা। এটা গতবারের তুলনায় (২০২০ সাল) বিশেষ করে ভক্তদের কথা চিন্তা করর শতভাগ ভালো। আর্সেনাল-ক্রিস্টাল প্যালেসের ম্যাচটি দেখার সময় আমি চাইনি খেলেই আমাদের শিরোপা নিশ্চিত হোক। আমি এমন একটি অভিজ্ঞতা চেয়েছি, যা আমাদের আগে ছিল না।”
ম্যাচের পর লিভারপুল কোচ আর্ন স্লট এবং খেলোয়াড়রা প্রায় এক ঘন্টা মাঠে অবস্থান করেন অ্যানফিল্ডের হাউজফুল দর্শকদের সাথে। সালাহকে দেখা যায় হাসি মুখে ঘুরে ঘুরে সমর্থকদের সাথে ছবি তুলতে।
পারফরম্যান্স নিয়েও এই মৌসুমে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন সালাহ। টটেনহ্যাম ম্যাচে একটি গোল করেন এই তারকা ফরোয়ার্ড, যা ছিল লিগে তার ২৮তম গোল। এর মাধ্যমে ম্যানচেস্টার সিটির কিংবদন্তি সার্জিও আগুয়েরোকে ছাড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে বিদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলের মালিক হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
কোপা দেল রের ফাইনালে ‘অনিশ্চিত’ লেভানদভস্কি |
![]() |
এই মৌসুমে নিজের ও ক্লাবের দারুণ ফর্মের জন্য কোচ স্লটের প্রশংসা করেছেন সালাহ।
“কাজের ব্যাপারেতিনি খুব সৎ। ডাচরা বেশ শক্ত স্বভাবের হয়ে থাকে। তবে তিনি আমাদের জীবনকে আরও সহজ করেছেন। আমি আনন্দিত যে আমরা এখানে (অ্যানফিল্ডে) লিগ জিতেছি।”
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে