ফিফা দ্য বেস্ট মেনস প্লেয়ার পুরস্কারে হল এমন কিছু, যা আগে দেখা যায়নি আগে কখনো। প্রথম স্থানে ‘টাই’ হল লিওনেল মেসি ও আর্লিং হলান্ডের পয়েন্ট। তবে ভোটারদের সর্বোচ্চ ‘ফাইভ পয়েন্টস’ পেয়ে ম্যানচেস্টার সিটি তারকাকে পেছনে ফেললেন আর্জেন্টাইন তারকা। গেল বছরটা খুব আহামরি না গেলেও টানা দ্বিতীয়বারের মত বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন মেসি।
ট্রেবল জিতেও হলান্ডের বদলে ফিফা দ্য বেস্ট উঠেছে লিওনেল মেসির হাতে। মেসিকে যারা ভোট দিয়েছেন সেই তালিকাটাও বেশ চমক জাগানিয়া। রিয়াল মাদ্রিদের দুই ফুটবলার লুকা মদ্রিচ ও ফেদে ভালভার্দের ভোট গেছে লিওনাল মেসির বাক্সে।
আরও পড়ুন: ফিফা দ্য বেস্টের সেরা তিনে মেসি, হলান্ড, এমবাপ্পে
উরুগুয়ে জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে ফিফা দ্য বেস্টে নিজের সেরা খেলোয়াড় বেঁছে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ভালভার্দে। আর তিনি সেখানে বেছে নিয়েছেন সবার প্রথমে লিওনাল মেসিকে। তার পরের ভোটটা গেছে কিলিয়ান এমবাপের বাক্সে। সবশেষ ভোটটা দিয়েছেন হলান্ডকে।
ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক লুকা মদ্রিচও তার প্রথম ভোট টা দিয়েছেন লিওনাল মেসিকেই। পরের দুই ভোটের একটি গেছে ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার রদ্রির দিকে অন্যটি তার স্বদেশী ও রোনালদোর বর্তমান সতীর্থ মার্সেলো ব্রোজোভিচ বক্সে।
এছাড়া মোহাম্মেদ সালাহ, কিলিয়ান এমবাপে, রমেরু লুকাকু, রবার্ট লেভানডফস্কির মতো বড় বড় তারকারাও নিজেদের প্রথম ভোটটা দিয়েছেন লিওনেল মেসিকে।
আরও পড়ুন: ‘ফিফা দ্য বেস্টের’ নমিনেশনে যারা
অবশ্য এমন আর্জনের দিনে মেসি নিজে উপস্থিত ছিলেন না। তার হয়ে পুরস্কারটা সংগ্রহ করেন তারই সাবেক সতীর্থ থিয়েরি অঁরি।
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সর্বশেষ খেলার আপডেট জানতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টসে এছাড়া ফেসবুকে আমাদের ফলো করতে এখানে ক্লিক করুন ও ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করুন।
৯ দিন আগে
১২ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৩ জুন ২০২৫, ৭:০৬ পিএম
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর বিখ্যাত ‘সিউ’ গোল উদযাপন এখন ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় উদযাপন। এবার সেটা কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছেন পালমেইরাসের ডিফেন্ডার মুরিলোও। ক্লাব বিশ্বকাপে ইন্টার মায়ামির বিপক্ষে গোল করলে পর্তুগাল তারকার মত করে সেটা উদযাপন করবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ ১৩৮ গোল করা রোনালদো এখন খেলছেন আল নাসরের হয়ে। তিনি এবার ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছেন না। তবে মায়ামির হয়ে খেলা মেসি অংশ নিয়েছেন টুর্নামেন্টে। প্রায় দেড় যুগ তার ও রোনালদোর মধ্যে চলেছে সমানে সমান সেরার বিতর্ক। অর্জনের দিক থেকে তারা দুজনেই আছেন ক্যারিয়ারের শীর্ষ পর্যায়ে।
তবে মায়ামির বিপক্ষে সোমবারের ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মুরিলো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ভক্ত রোনালদোরই।
“আমি টিম সিআরসেভেন। তার পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা সব কিছুই দারুণ। আমি তার রুটিন আর লড়াকু মানসিকতাকে খুব সম্মান করি। তিনি আমার আদর্শ।”
মায়ামির বিপক্ষে যদি গোল করেন, তাহলে রোনালদোর মতো 'সিউ' উদযাপনও করবেন কিনা, এই প্রশ্নে ২৬ বছর বয়সী এই সেন্টার-ব্যাক বলেছেন,
“অবশ্যই, কেন নয়? গোল করলে আমি রোনালদোর মতই উদযাপনই করব।”
মুরিলো রোনালদোর ভক্ত হলেও, পালমেইরাসের মত একটি ক্লাবের খেলোয়াড়দের জন্য মেসির বিপক্ষে খেলতে পারাটাই গৌরবের ব্যাপার। আর তাই নিশ্চিতভাবেই এই ম্যাচে মেসির জার্সি নেওয়ার জন্য ব্রাজিলের ক্লাবটির ফুটবলারদের কাড়াকাড়ি পড়ে যেতেই পারে।
মুরিলো অবশ্য মেসির জার্সিতে আগ্রহ নেই।
“ওটা (মেসির জার্সি) নিয়ে আমি লড়তে যাব না। অনেকেই তার জার্সি চাচ্ছে। তবে আমি শুধু তাকে ভালোভাবে মার্ক করব, যাতে আমরা জিততে পারি।”
তবে পালমেইরাসের লেফট-ব্যাক ভ্যান্ডারলান জানিয়েছেন, তিনি 'টিম মেসি'।
“সেই ছোটবেলা থেকেই আমি মেসির খেলা দেখে বড় হয়েছি। তার প্রতি বরাবরই আমার দুর্বলতা ছিল। তাই আমি অবশ্যই মেসির জার্সি পেতে চাইব।”
ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে সেভাবে আলো না ছড়ালেও পোর্তোর বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে চোখ ধাঁধানো ফ্রি-কিকে গোল করে মায়ামিকে ২-১ ব্যবধানে জয় এনে দেন মেসি। পালমেইরাসের বিপক্ষে তাই সবার নজর থাকবে তার দিকেই।
সাম্প্রতিক সময়ে স্পেন ও আথলেতিক বিলবাওয়ের উইঙ্গার নিকো উইলিয়ামস হয়ে উঠেছেন বার্সেলোনার গ্রীষ্মের দলবদলের প্রধান টার্গেট। তার ঠিকানা বদল নিয়ে দুই ক্লাবের মধ্যে আলোচনা চলমান বলেই বাতাসে ভাসছে খবর। এসবের মাঝেই বার্সেলোনার স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকো বললেন, নিকো তাদের ক্লাবে যোগ দেওয়ার জন্য তার আগ্রহ ও ইচ্ছা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।
নিকোর বর্তমান চুক্তিতে রিলিজ ক্লজ রাখা হয়েছে ৫৮ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৬৬.৭ মিলিয়ন ডলার)। বিলবাও আগেই জানিয়ে দিয়েছে, ২২ বছর বয়সী এই ফুটবলারের জন্য ট্রান্সফার ফি নিয়ে তারা কোনো আলোচনা করবে না। আগ্রহী ক্লাবকে দিতে হবে রিলিজ ক্লজের অর্থ।
সম্প্রতি স্প্যানিশ পত্রিকা লা ভ্যাঙ্গুয়ার্ডিয়া-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেকো জানান নিকোর নিয়ে তাদের শেষ অবস্থান।
“এই পজিশনে (উইঙ্গার) আমাদের শক্তি বাড়ানো দরকার। বর্তমানে আমাদের দলে উইঙ্গার আছে শুধু লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়া। তাই আমাদের নতুন কাউকে প্রয়োজন। নিকো বার্সায় আসার জন্য খুব আগ্রহ দেখাচ্ছে। যদি পরিস্থিতি ঠিক থালে, আমরা চুক্তিটি দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করব।”
২০২৪ সালেও বার্সেলোনা চেষ্টা করেছিল নিকোকে দলে আনার। তবে লা লিগায় নিবন্ধন জটিলতার কারণে সেই সময় চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। এবারও সেই সমস্যা কাটেনি ক্লাবটির। নিকোর রিলিজ ক্লজ পরিশোধ করতে হলে প্রয়োজন হতে পারে স্কোয়াডের এক-দুজন খেলোয়াড়কে ছেড়ে দেওয়ার।
ডেকোর আশা, সব প্রক্রিয়া মেনেই নিকোকে দলে নিতে পারবেন তারা।
“প্রত্যেক সাইনিংয়েরই একটা প্রক্রিয়া থাকে… এজেন্টের সঙ্গে কথা বলা, ক্লাবের সাথে আলোচনা, চুক্তির শর্ত বোঝা ইত্যাদি। নিকোর ক্ষেত্রে সব কিছুই পরিষ্কার। আমরা তার এজেন্টের সাথে আলোচনায় বসেছি।”
মেক্সিকান ক্লাব পাচুকার বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ জয় পেলেও ম্যাচের শেষ দিকে ঘটে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। দলটির জার্মান ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগার অভিযোগ করেছেন, তিনি বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন। আর বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ফিফা তদন্ত শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো।
রিয়ালের ৩-১ গোলে জেতা ম্যাচের ইনজুরি টাইমের পঞ্চম মিনিটে একটি ফাউলের পর রুডিগারের সাথে পাচুকার গুস্তাভো কাবরালের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। ওই সময় রেফারি র্যামন আবাত্তি তার হাত বুকের সামনে ক্রস করে ধরেন, যা ফিফার ‘অ্যান্টি-রেসিজম প্রটোকল’ চালুর সংকেত হিসেবেই বিবেচিত।
ম্যাচের পর আলোনসো বলেছেন, এই ঘটনার বিচার চান তারা।
“রুডিগার বলেছে যে সে বর্ণবাদের শিকার হয়েছে, আর আমি তাকে বিশ্বাস করি। এই ধরনের ঘটনায় আমাদের জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকা উচিত। এখন ফিফা বিষয়টি তদন্ত করছে। দেখা যাক কী হয়। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারছি না।”
অন্যদিকে রুডিগারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানো পাচুকার ডিফেন্ডার কাবরাল অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।
“আমি তাকে শুধু ‘চিকেন শিট’ বলেছি, যেটা আর্জেন্টিনায় খুব সাধারণ একটা গালি। এখানে কোনো বর্ণবাদই ছিল না।”
৩২ বছর বয়সী রুডিগারের জন্য এটাই বর্ণবাদী আক্রমণের প্রথম অভিজ্ঞতা নয়। চেলসি, রোমা ও রিয়ালের হয়ে খেলার সময় মাঠে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিকবার বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন তিনি।
রুডিগারের রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ ভিনিসিয়ুস জুনিয়রও লম্বা সময় ধরে স্পেনে মুখোমুখি হচ্ছেন বর্ণবাদী আচরণের। সম্প্রতি বড় শাস্তিও এজন্য দেওয়া হয়েছে তিন ব্যক্তিকে, যার মধ্যে রয়েছে কারাদণ্ডও।
প্রায় দেড় বছর ধরেই ওয়ানডেতে ব্যাটে নেই রান। লিটন দাস এই সময়ের মধ্যে এই ফরম্যাটে বারবার আউটও হয়েছেন বাজেভাবে। দল থেকে বাদ পড়ার পর ৫০ ওভারের ক্রিকেটে করতে পারেননি বলার মত কিছুই। এরপরই শ্রীলঙ্কা সফরের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন এই কিপার-ব্যাটার। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হওয়ায় লিটনকে বেশি বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ দিতেই ওয়ানডের দলেও রাখা হয়েছে।
আগামী জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বেশ কিছু পরিবর্তনের মাঝে বড় চমক লিটনের ফেরাই, যিনি নিজের শেষ ৮টি ওয়ানডেতে মাত্র ৩৫ রান করেছেন। বাদ পড়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকেও। সদ্যই টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পেলেও ফরম্যাট ভিন্ন হওয়ায় ওয়ানডে দলে তার ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণই।
তবে গাজী আশরাফ জানিয়েছেন, লিটনের দলে ফেরার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে তার টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের বিষয়টি!
“(ওয়ানডেতে) লিটন দাস খারাপ ফর্মে ছিলেন, তবে সময় সবকিছু ঠিক করে দেয়। তিনি টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক, তাই আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমরা তাকে বিবেচনায় রাখতে পারি। কারও যদি ফর্মে ফিরতে হয়, তাহলে তার জন্য মাঠে যত বেশি সম্ভব সময় কাটানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মনে করি লিটন তার ওয়ানডের ফর্ম টি-টোয়েন্টিতেও বয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।”
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে মোট আনা হয়েছে পাঁচটি পরিবর্তন। অবসরের কারণে নেই অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। লিটন ছাড়াও আরও ফিরেছেন ব্যাটার মোহাম্মদ নাঈম শেখ, শামীম হোসেন, স্পিনার তানভীর ইসলাম ও পেসার হাসান মাহমুদ। তানভীর অপেক্ষায় আছেন ওয়ানডে অভিষেকের।
নাঈম সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। তাকে দলে জায়গা করে দিতে বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ ওপেনার সৌম্য সরকার, যিনি অনেকটা সময় ধরেই ওয়ানডে দলে ছিলেন নিয়মিত পছন্দ। সম্প্রতি চোটের কারণে মিস করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
নাঈমের ফেরা আর সৌম্যর বাদ পড়া, দুটির ব্যাখাই দিয়েছেন গাজী আশরাফ।
“নাঈম প্রমাণ করেছে যে, সাদা বলের ক্রিকেটের ওপেনারদের মতোই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও সে ভালো করেছে। সৌম্য গত ১২-১৫ মাসে তিনটি চোটে ভুগেছে। আমরা তাই তাকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফেরার জন্য সময় দিতে চাই। এরপর আবার তাকে বিবেচনা করা হবে।“
স্কোয়াডে রাখা হয়েছে পাঁচ পেসার, যার মধ্যে আছেন চোট কাটিয়ে ফেরা তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানও। প্রধান নির্বাচক বলেছেন, পেসারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টকে মাথায় রেখেই বাড়তি পেসার রেখেছেন তারা।
আগামী ২ ও ৫ জুলাই কলম্বোতে হবে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ। ৮ জুলাই শেষ ম্যাচটি হবে পাল্লেকেলেতে। এই সিরিজ দিয়েই শুরু হবে মেহেদি হাসান মিরাজের ওয়ানডে অধিনায়ক অধ্যায়।
বাংলাদেশ ওয়ানডে স্কোয়াড :
মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ ইমন, মোহাম্মদ নাঈম, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, লিটন দাস, জাকের আলি অনিক, শামিম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ।
দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে ফিরছেন পল পগবা। সাবেক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মিডফিল্ডার লিগ ওয়ানের ক্লাব মোনাকোর সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে সাক্ষত করতে যাচ্ছেন, এমন একটা গুঞ্জন বাতাসে ভাসছিল সপ্তাহখানেক ধরেই৷ সূত্রের বরাত দিয়ে এবার সেটা নিশ্চিত করেছে ইএসপিএনও।
পগবা এখন ক্লাবহীন থাকায় মোনাকোকে গুনতে হবে না কোনো ট্রান্সফার ফি। সাইনিং ফি কেমন হবে, সেটা এখনও জানা যায়নি। আর সব ঠিক থাকলে চুক্তি হবে দুই বছরের।
২০২৩ সালে দ্বিতীয় দফায় য়্যুভেন্তাসে যোগ দিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মাত্র ২৯ মিনিট খেলার পর ডিএইচইএ নামক নিষিদ্ধ ওষুধ গ্রহণের দায়ে পগবাকে শুরুতে ৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা। তবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) আপিলের পর ২০২৪ সালের অক্টোবরে সেই শাস্তি কমিয়ে আনা হয় ১৮ মাসে। ফলে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ চলতি বছরের মার্চ মাসেই শেষ হয়েছে।
পগবার পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ফ্রান্সেই। ২০০৯ সালে লে আভর ছেড়ে ১৬ বছর বয়সে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন। ২০১১ সালে হয় সিনিয়র দলে অভিষেক। তবে সেভাবে সুযোগ না পাওয়ায় ২০১২ সালে নাম লেখান য়্যুভেন্তুসে।
এরপর ২০১৬ সালে তৎকালীন রেকর্ড ট্রান্সফার ফি-তে আবার ইউনাইটেডে ফেরেন। জেতেন ইউরোপা লিগ ও লিগ কাপ। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ২০২২ সালে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ফের ইউনাইটেড ছেড়ে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ফেরেন য়্যুভেন্তুসে।
নিষেধাজ্ঞার সময় ইতালিয়ান ক্লাবটিতে থাকলেও পরে তার সাথে চুক্তি বাতিল করে য়্যুভেন্তাস। ৩২ বছর বয়সী পগবা তাই এখন ফ্রি এজেন্ট। বিভিন্ন সময়ে সৌদি প্রো লিগ ও চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর তাকে নিয়ে আগ্রহের খবর আসলেও শেষ পর্যন্ত কোনোটাই আর পায়নি গতি।