দশ বছর ধরে না জেতা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই মৌসুমে পথচলা ছিল দুর্দান্তই। তবে ইন্তার মিলানের কাছে সেমিফাইনালে হেরে বার্সেলোনার বিদায় ঘণ্টা বেজেছে ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে। তবে ভালোভাবেই টিকে আছে লা লিগা জয়ের আশা। কোচ হান্সি ফ্লিকের কাছে স্পেনের সেরা হওয়াটাই বেশি গৌরবময় মনে হচ্ছে। তার মতে, আসল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই লা লিগাতেই হয়।
সেই ২০১৫ সালে সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল বার্সেলোনা। এর মাঝে লা লিগা কয়েকবার জিতলেও সমর্থকদের একটা হাহাকার রয়েছে ইউরোপিয়ান শিরোপা জেতা নিয়ে। এই মৌসুমে সেমিফাইনাল পর্যন্ত সেই লড়াইয়ে বেশ এগিয়েই ছিল ফ্লিকের দল। তবে ইন্তারের কাছে ৭-৬ ব্যবধানে হেরে থামতে হয়েছে ফাইনালের আগেই। ফলে কোপা দেল রে বাদে বার্সেলোনার শিরোপা জয়ের আশা কেবল লা লিগায়, যেখানে তারা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে চার পয়েন্টে এগিয়ে আছে শীর্ষে।
আরও পড়ুন
আনুষ্ঠানিকভাবেই লেভারকুসেনকে বিদায় জানিয়ে দিলেন আলোনসো |
![]() |
রোববারের এল ক্লাসিকোর আগে সংবাদ সম্মেলনে ফ্লিক বলেছেন, লা লিগাই সবচেয়ে কঠিন লাগছে তার কাছে। “লা লিগাই সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগিতা। আপনাকে ৩৮টা ম্যাচ খেলতে হয়, আর এটার শেষে আপনি যদি সবার ওপরে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য এটাই হবে সবচেয়ে কঠিন শিরোপা।”
এল ক্লাসিকোর আগে চার পয়েন্টে এগিয়ে থাকায় অনেকেই মনে করছেন, লা লিগা জয়ে বার্সেলোনাই ফেভারিট। এমনকি হেরে গেলেও যে নিজেদের ভাগ্য থাকতে তাদের হাতেই। তবে তবে ফ্লিক তাতে একমত নন।
“আপনি যদি খেলোয়াড়দের জিজ্ঞাসা করেন, ক্লাসিকো এমন একটা ম্যাচ যেখানে তারা সবসময় জিততে চাইবে। পয়েন্ট টেবিলের অবস্থানে কিছু যায় আসে না। আমরা স্রেফ সবকিছু উজাড় করে দেওয়ার দিকেই তাকিয়ে আছি।“
চলতি মৌসুমে এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার ফর্ম দুর্দান্ত। স্প্যানিশ সুপার কাপ, কোপা দেল রের ফাইনালের সাথে লা লিগায় প্রথম সাক্ষাতেও জিতেছিল ফ্লিকের দল। সাথে রয়েছে এবারের ম্যাচের আগে রিয়ালের চোটের ধাক্কায় জেরবার এক স্কোয়াড, যেখানে মূল ডিফেন্ডারদের প্রায় সবাই ছিটকে গেছেন চোটে।
এরপরও সহজ ম্যাচের আশা করছেন না বার্সেলোনা কোচ।
“আপনি জানেন না এই ধরণের ম্যাচে কী হতে পারে। আমরা বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই দল নিয়ে কথা বলছি। হয়ত এটা রিয়ালের মাঠে হওয়া ম্যাচ থেকে আলাদা হতে পারে। দুই দলই তিন পয়েন্টের জন্য লড়বে। আশা করি সেটা আমরাই পাব।“
১১ মে ২০২৫, ৬:২৮ পিএম
১১ মে ২০২৫, ২:৪৮ পিএম
বায়ার্ন মিউনিখের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেছে আরও আগেই। বরুশিয়ার মনচেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে ম্যাচে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা হল কানায় কানায় পূর্ণ। হাতে পোস্টার, গলায় স্কার্ফ – সবকিছুই ছিল টমাস মুলারময়। ‘ডানকে টমাস’ লেখা বিশাল ব্যানারও দৃশ্যমান হল। ৭৫ হাজার দর্শক যে এদিন হাজির হয়েছিলেন ক্লাবের এক মহীরুহকে বিদায় জানাতে, যিনি বায়ার্নের প্রতিশব্দ হয়ে গিয়েছিলেন৷ খেলোয়াড় হিসেবে তাকে বিদায় জানাতে তাই আবেগ ধরে রাখাটা কঠিনই ছিল সমর্থকদের জন্য।
ম্যাচ শুরু হতেই গ্যালারি থেকে ভেসে আসে ধ্বনি – চলো মুলার, একটা গোল দাও! ৫৬তম মিনিটে গোলের একটি বড় সুযোগ মিস করেন মুলার। সবাই চেয়েছিল একটা স্বপ্নময় বিদায়ী গোল, তবে এদিনের গল্পটা যেন অন্যভাবেই হওয়ার ছিল। যেখানে ওই গোল, অ্যাসিস্ট, শিরোপা এসব ছাপিয়ে একজন খেলোয়াড়কে কেবল দর্শকরা উদযাপন করেছেন। স্মরণ করেছেন ক্লাবের জন্য ‘রেইউমডেটর’ মুলারের ঘামে-নিবেদনের দীর্ঘ এক অধ্যায়।
আরও পড়ুন
ড্র করে সুযোগ মিসের হতাশায় গার্দিওলা |
![]() |
৮৩তম মিনিটে বদলি হিসেবে তুলে নেওয়ার জন্য বোর্ডে জ্বলে ওঠে ২৫ নম্বর, যা মানে মুলারের বিদায়ের ক্ষণ হয়ে গেছে। মাঠ ছাড়ার সময় দর্শকরা উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান সাবেক জার্মানি ফরোয়ার্ডকে৷ সমবেত কণ্ঠে তারা গান গেয়ে ওঠেন, ‘সারা জীবন আমাদের হৃদয়ে থাকবে মুলার।’
এর মধ্য দিয়ে বায়ার্নের সঙ্গে মুলারের ২৫ বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটে যায়। মনচেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল ক্লাবটির জার্সিতে তার ৭৫০তম।
মাঠ ছাড়ার পর মুলার দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে স্টেডিয়ামের চারদিকে তাকাচ্ছিলেন, ঠিক যেভাবে প্রিয় ঠিকানা ছেড়ে যাওয়ার সময় সবাই স্মৃতি হাতড়ে বেড়ায়। ম্যাচটি দেখতে মুলারের স্ত্রী লিসা ও বাবা-মা একসাথে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন।
মুলার তার বিদায়ী বক্তব্যে সতীর্থদের, বিশেষ করে আরিয়েন রোবেন, ফ্রাঙ্ক রিবেরি, রবার্ট লেভানদভস্কি, হ্যারি কেইনের সঙ্গে তার দারুণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন। তিনি ক্লাবের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন
মদ্রিচের সান্নিধ্যে নিজেকে আবিষ্কার করছেন গুলের |
![]() |
“আপনাদের জন্য গোল করার অনুভূতিটা আমার জন্য অমূল্য ছিল। এই ক্লাবে অনেকের সঙ্গেই আমার অসাধারণ সব মুহূর্ত কেটেছে। আমি এই ক্লাবের ভবিষ্যতের দিকে যখন তাকাই, তখন আমি দেখি একদল তরুণ, ক্ষুধার্ত খেলোয়াড়দের, যারা হৃদয় দিয়ে বায়ার্নের জন্য খেলছে। আমরা ভালো অবস্থানে আছি।”
কথাগুলো বলার সময় যদিও মুলারের চোখে জল ছিল না, তবুও ভেতরের হাহাকারটা ছিল স্পষ্ট। সেটা সামলেই বললেন মনের কথা। “আমার জন্য যদি কারও চোখে পানি আসে, তা যেন শুধুই আনন্দের হয়। আমি আপনাদের সবাইকে ভালোবাসি।”
হতাশাময় এক মৌসুমে সেভিয়া নিজেদের ছায়া হয়েই আছেন। একের পর এক বাজে পারফরম্যান্স করা দলটি নিজেদের শেষ ম্যাচেও গেছে হেরে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্লাবটির সমর্থকরা। ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমণ করেছেন ক্লাবের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে।
লা লিগায় শনিবার রাতে সেল্টা ভিগোর কাছে সেভিয়ার ৩-২ গোলে হারের পর এই ঘটনা ঘটে। একদল সহিংস সমর্থক একটি একটি মেটালের গেট ভেঙে জোরপূর্বক ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ঢুকে পড়েন। স্থানীয় সময় মধ্যরাতের দিকে ক্লাবের সীমানা ছেড়ে চলে যায়।
সেভিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার কারণে খেলোয়াড়দেরকে ট্রেনিং গ্রাউন্ড থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি এবং রাতে রাখা হয় সেখানেই।
স্পেনের ক্যাডেনা সের রেডিও জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সবচেয়ে উগ্র সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য রাবার বুলেট ব্যবহার করতে বাধ্য হয়।
লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের সেভিয়ার অবস্থান এখন ১৬তম। অবনমন অঞ্চলে থাকা ক্লাবগুলোর চেয়ে এগিয়ে মাত্র ছয় পয়েন্টে। হাতে ম্যাচ বাকি আর তিনটি।
মৌসুমের হাল যতই খারাপ হোক, পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা সাউথহ্যাম্পটনের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার সিটির জয়কে অবধারিতই মনে হচ্ছিল। তবে পুঁচকে দলের কাছেই হোঁচট খেয়েছে দলটি। ফলে কঠিন হয়েছে শীর্ষ চারে থাকার লড়াই। পেপ গার্দিওলার কাছে তাই মনে হচ্ছে, বড় একটা সুযোগ নষ্ট হয়েছে তাদের।
প্রিমিয়ার লিগের গেল শনিবার সাউথহ্যাম্পটনের ০-০ গোলে ড্র করে দুই রাউন্ড হাতে রেখে নিজেদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন করে তুলেছে সিটি (৬৫ পয়েন্টে তৃতীয়)। আগামী মৌসুমে সরাসরি চ্যম্পিয়ন্স লিগে খেলতে হলে থাকবে হবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারের মধ্যে। আর সেখানে তাদের লড়তে হবে এখন সমান ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরের তিনটি স্থানে থাকা নিউক্যাসল ইউনাইটেড (চতুর্থ), চেলসি (পঞ্চম), অ্যাস্টন ভিলা (ষষ্ঠ) ও ৬১ পয়েন্ট পাওয়া নটিংহ্যাম ফরেস্টের (সপ্তম) সাথে।
সামনের দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারালে যে সেরা পাঁচে থাকাটাও হয়ে যাবে কঠিন, যা অনুভব করতে পারছেন গার্দিওলা।
“ফলাফলটা অবশ্যই আমাদের জন্য একটা সুযোগ মিস করার মত ব্যাপার, আমরা সেটা জানি। তবে যা হওয়ার তার ঘটে গেছে। এখন আমাদের (এফএ কাপ) ফাইনালের প্রস্তুতি নিতে হবে, এরপর (লিগে) বোর্নমাউথ ও ফুলহ্যাম পরীক্ষার জন্য।”
সিটির এই ম্যাচের প্রতিপক্ষ সাউথহ্যাম্পটন ৩৬ ম্যাচে মাত্র ১২ পয়েন্ট পেয়ে আছে সবার নিচে। সিটিতে নয় বছরের ক্যারিয়ারে এই প্রথম কোনও পয়েন্ট টেবিলের তলানির দলের সাথে জয় পেতে ব্যর্থ হয়েছেন গার্দিওলা। এই ধাক্কা সামলে আগামী ১৭মে ওয়েম্বলিতে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে এফএ কাপ ফাইনাল খেলবে সিটি।
গার্দিওলা অবশ্য বলছেন, এমন কিছুর আগাম প্রস্তুতি তার ছিলই।
“আমাদের এখনও তিনটি ম্যাচ বাকি। এফএ কাপ ও দুইটি লিগ ম্যাচ, আর আমি এক মাস আগেই জানতাম যে আমাদের একদম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যেতে হবে।”
প্রতিভার কারণে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার আগেই পড়ে গিয়েছিল হইচই। আর্দা গুলের তাতে পেয়ে যান ‘তুর্কিশ মেসি’ খেতাবও। তবে স্প্যানিশ ক্লাবটিতে নিয়মিত খেলার সুযোগ মিলছে না তার। অবশ্য সতীর্থ হিসেবে লুকা মদ্রিচের মত গ্রেট মিডফিল্ডারকে পাওয়ায় শেখার ভিতটাও হচ্ছে মজবুত। গুলের মনে করেন, ক্রোয়াট তারকা তার সামর্থ্যে আস্থা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
রিয়ালে এটি গুলেরের দ্বিতীয় মৌসুম। আক্রমণভাগে কিলিয়ান এমবাপে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, ব্রাহিমরা থাকায় একাদশে নিয়মিত হতে পারছেন না তরুণ এই ফরোয়ার্ড। তবে এর মাঝেও যখন খেলছেন, বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তবে বেশি বেশি খেলার সুযোগ না পেলে সেটা আত্মবিশ্বাসে ধরাতে পারে চিড়।
তবে প্লেয়ারস ট্রিবিউনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গুলের বলেছেন, মদ্রিচের কারণে তিনি নিজের ওপর বিশ্বাস হারাননি।
“সাধারণত একটা বড় ম্যাচে গোল করলে বা ব্যবধান গড়ে দেওয়া কিছু করলে আপনি অনুভব করবেন যে আপনি একটা নতুন ক্লাবে এসেছেন। তবে আমার জন্য সেই মুহূর্তটি আসলে ছিল যখন আমরা একটা ম্যাচে বাক্সের বাইরে একটি ফ্রি কিক পাই…আমি বেঞ্চে ছিলাম, মদ্রিচ এসে বললেন যে এটা আমার নেওয়া উচিত। এমন ছোট ছোট ব্যাপারগুলো অনেক অর্থ বহন করে।”
এই মৌসুমে মোট ৩৫টি ম্যাচ খেলেছেন গুলের, যার অধিকাংশই বদলি হিসেবে। ১ হাজার ৪৭১ মিনিট খেলে গোল করেছেন ৫টি, আর অ্যাসিস্ট ৯টি। সাম্প্রতিক সময়ে বক্সের বাইরে থেকে রিয়ালের ফ্রি-কিক বা কর্নার নেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকছেন ২০ বছর বয়সী গুলেরই।
এখানেও মদ্রিচের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন গুলের।
“সম্প্রতি আরও একটি ম্যাচ ছিল যেখানে বিরতির আগে আমি বেঞ্চে ছিলাম। মদ্রিচ আমাকে বললেন, ‘প্রস্তুত হয়ে যাও, তোমাকে মাঠে নামা দরকার।’ এই কিংবদন্তি সর্বকালের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার, আর এখন তিনি আমাকে ম্যাচের ভাগ্য ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য আস্থা রাখছেন করছেন। এটা আমাকে খুব স্পর্শ করেছিল।”
১৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুতেই পেয়েছেন দুহাতে সাফল্য। এরপর থেকে প্রায় নিয়মিতভাবেই কোচ হিসেবে কেবল সফলতার মুখই দেখেছেন পেপ গার্দিওলা। তবে চলতি মৌসুমটা তার নিজের ও ম্যানচেস্টার সিটির জন্য কাটছে ভুলে যাওয়ার মতোই। প্রিমিয়ার লিগে শিরোপার লড়াই থেকে বাদ পড়ার সাথে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও বিদায় নিতে হয়েছে আগেভাগেই। সিটি কোচের কাছে তাই এটিকেই তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে মৌসুম বলেই মনে হচ্ছে।
গত চারবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন সিটি এবার মৌসুমের শুরুতেই শিরোপা দৌড় থেকে ছিটকে পড়ে ভীষণ অধারাবাহিক পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে। এই মুহূর্তে মূল লড়াই শীর্ষ চারে থাকা নিয়ে। কারাবাও কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার সাথে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে প্রথম নকআউট রাউন্ডেই রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে বিদায়। এফএ কাপের ফাইনালে ক্রিস্টাল প্যালেসকে হারাতে পারলেই কেবল এড়ানো যাবে শিরোপাহীন মৌসুম।
আরও পড়ুন
আনুষ্ঠানিকভাবেই লেভারকুসেনকে বিদায় জানিয়ে দিলেন আলোনসো |
![]() |
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখ কোচ বলেছেন, এরচেয়ে কঠিন সময় তার ক্যারিয়ারে আসেনি।
“নিঃসন্দেহে এটাই ছিল সবচেয়ে কঠিন মৌসুম। এই মৌসুমে অনেক চাপ ছিল। অনেক অনেক বেশি। আপনি যখন জয়ী হতে পারবেন না, তখন এটা মানসিকভাবে আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। প্রস্তুতি নেওয়া, মেজাজ ঠিক রাখা সবকিছুই কঠিন হয়ে যায়। এটা আগের যেসব মৌসুমে আমরা শিরোপার জন্য লড়েছি, তার চেয়ে অনেক কঠিন ছিল।”
গত বছর গার্দিওলা সিটির সাথে চুক্তি নবায়ন করেছেন ২০২৭ সাল পর্যন্ত। ৫৪ বছর বয়সী এই কোচ তিনটি দেশের লিগ (লা লিগা, বুন্দেসলিগা, প্রিমিয়ার লিগ) মিলিয়ে মোট ১২টি শিরোপা এবং তিন বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। সিটি তাদের ইতিহাসের সেরা সময় পার করছে তার হাত ধরেই। সাবেক স্পেন মিডফিল্ডারের কোচিংয়ে দলটি জিতেছে নিজেদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ট্রেবল জয়ের স্বাদও।
গার্দিওলা অবশ্য মনে করেন, আগামী মৌসুমে তার প্রমাণ করার মতো অনেক কিছুই থাকবে।
“প্রতিবারই আমাদের নিজেদের প্রমাণ করতে হয়। আমি যখন খেলোয়াড়দের বলতে শুনি, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারে যা করার করেছি, আমার আর কিছু প্রমাণ করার নেই’ - তখন আমার কাছে মনে হয় এটা পুরোপুরি ভুল। তারা যদি এভাবে চিন্তা করে, তাহলে তাদের অবসরে চলে যাওয়া উচিত।”
১০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২৪ দিন আগে