৩৬ দল নিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মাঠে গড়াতে যাচ্ছে। নতুন ফরম্যাটে স্বভাবতই বাড়ছে ম্যাচের সংখ্যা। সমর্থকদের জন্য সুযোগ মিলছে নিয়মিত বড় দলগুলোর লড়াই দেখারও। সেই সাথে বাড়ছে প্রাইজমানিও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরুর আগে দেখা নেওয়া যাক নতুন ফরম্যাটের আদ্যপান্ত।
নতুন ফরম্যাটে যা যা থাকছে:
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সরে এসেছে পুরনো রীতি থেকে। আগের মতো গ্রুপ সিস্টেম নেই, ৩৬ টি দল লড়বে একটি আস্ত লিগ ফরম্যাটে। প্রতিটা দল খেলবে চারটি হোম আর চারটি অ্যাওয়ে মিলিয়ে মোট আটটি ম্যাচ, সেটাও আটটি ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে।
৩৬ দলের লিগ ফরম্যাটের পয়েন্ট টেবিলের সেরা আট দল সরাসরি চলে যাবে রাউন্ড অফ সিক্সটিনে। আর টেবিলের ৯ থেকে ২৪ থাকা দলগুলো খেলবে প্লে-অফ রাউন্ড। যেখানে তারা পয়েন্ট টেবিলের অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে লড়বে একে অপরের বিপক্ষে। ব্যাপারটা আরেকটু সহজ করে বললে টেবিলের ৯ নাম্বারে থাকা দল খেলবে টেবিলের ২৪ নম্বর দলের সাথে। এভাবে পয়েন্ট টেবিলের ওপর সারির দল খেলবে নিচের সারির দলের সাথে। হোম আর অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচগুলো মাঠে গড়াবে। আর সেখান থেকে যে আটটি দল জয় পাবে তারাও জায়গা করে নিবে শেষ ষোলোতে। আর টেবিলের ২৫ থেকে ৩৬ থাকা দলগুলো বিদায় নিবে গ্রুপ-পর্ব থেকেই।
এতে বাড়ছে ম্যাচের সংখ্যা। আগের ফরম্যাটে যেখানে ম্যাচের সংখ্যা ছিল ১২৫, এখন সেটা বেড়ে দাঁড়াবে ১৮৯ তে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম যারা:
ফরাসি ক্লাব ব্রেস্ট প্রথমবারের মতো খেলতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। যেখানে তারা রিয়াল মাদ্রিদ- বার্সেলোনার মতো বড় বড় ক্লাবগুলোর মুখোমুখি হবে।
একই তালিকায় আছে গত মৌসুমে লা লিগায় চমক দেখানো জিরোনা। তারাও ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে এই প্রথম। স্প্যানিশ ক্লাবটি প্রথমবারেই খেলবে বেশ বড় কিছু ম্যাচ। ইংলিশ দুই জায়ান্ট লিভারপুল ও আর্সেনালকে আতিথেয়তা দেবে কাতালুনিয়ার এই ক্লাবটি, সেই সঙ্গে ম্যাচ খেলতে পাড়ি জমাবে এসি মিলান ও পিএসজির মাঠে।
সময়সূচি:
লিগ পর্ব: সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে লিগ পর্বের ম্যাচ।
প্লে-অফ রাউন্ড: আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির ১১,১২ ও ১৮,১৯ তারিখ মাঠে গড়ানোর কথা প্লে-
অফ রাউন্ডের দুই লেগের ম্যাচ।
কোয়ার্টার ফাইনালস: এপ্রিলের ৮,৯ ও ১৫, ১৬ তারিখে কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ।
সেমিফাইনালস: এপ্রিল ২৯, ৩০ ও মে’র ৬,৭ তারিখে সেমিফাইনালের দুই লেগ।
ফাইনাল: পয়লা জুন হতে পারে ফাইনাল।
কোথায় হবে ফাইনাল?
বায়ার্ন মিউনিখের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল।
বিগ ম্যাচ
সেপ্টেম্বর ১৭: এসি মিলান-লিভারপুল
সেপ্টেম্বর ১৮: ম্যানচেস্টার সিটি-ইন্তার মিলান
সেপ্টেম্বর ১৯: আতালান্তা-আর্সেনাল, এএস মোনাকো-বার্সেলোনা
অক্টোবর ১: আর্সেনাল-পিএসজি
অক্টোবর ২২: রিয়াল মাদ্রিদ- বরুসিয়া ডর্টমুন্ড
অক্টোবর ২৩:বার্সেলোনা- বায়ার্ন মিউনিখ
নভেম্বর ৫: লিভারপুল- বায়ার লেভারকুসেন, রিয়াল মাদ্রিদ- এসি মিলান
নভেম্বর ৬: ইন্তার মিলান-আর্সেনাল
নভেম্বর ২৬: বায়ার্ন মিউনিখ- পিএসজি
নভেম্বর ২: লিভারপুল-রিয়াল মাদ্রিদ
ডিসেম্বর ১১: বরুসিয়া ডর্টমুন্ড-বার্সেলোনা, য়্যুভেন্তুস- ম্যানচেস্টার সিটি
জানুয়ারি ২২: পিএসজি-ম্যানচেস্টার সিটি
ফেভারিট টু উইন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার ক্ষেত্রে বরাবরের মতই শক্ত দাবিদার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
গত মৌসুমের তুলনায় লস ব্লাঙ্কোস এবার আরও শক্তিশালী। দলে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন কিলিয়ান এমবাপের মতো তারকা ফুটবলার। তাতে শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা আরও বেড়েছে কার্লো আনচেলত্তির দলের।
পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটিও এই তালিকায় উপরের দিকেই থাকবে। সিটিজেনরা গতবার রিয়ালের সাথে হেরে বাদ পড়লেও দারুণ স্কোয়াড আর আর্লিং হলান্ডের উড়ন্ত ফর্ম সিটিজেনদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের।
এছাড়া লুইস এনরিকের পিএসজি কিংবা মিকেল আর্তেতার আর্সেনালকেও রাখতে হবে এই তালিকায়। হান্সি ফ্লিকের অধীনে উড়ন্ত বার্সাকেও হালকাভাবে নেওয়ার নেই সুযোগ, ভিনসেন্ট কোম্পানির বায়ার্ন মিউনিখও প্রস্তুত নতুন গল্প লিখতে।
প্রাইজমানি:
প্রাইজমানিও ব্যাপকভাবে বাড়ছে নতুন ফরম্যাটে। ম্যাচের সংখ্যা বাড়ায় স্পন্সর ডিল কিংবা টিভি স্বত্ত্ব– সব ক্ষেত্রেই আয় বাড়ছে ইউয়েফার। তারাও ক্লাবগুলোকে হতাশ করছে না। গতবারের তুলনায় তারা এবার প্রাইজমানি বাড়াচ্ছে ২৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে ইউয়েফা ২.৫ বিলিয়ন খরচ করবে সবগুলো দলের পেছনে। যেখানে জয়ী দল পাবে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিয়ন ইউরো।
মৌসুম জুড়ে প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত খেলে শিরোপার সুবাস আগে থেকেই পাচ্ছে লিভারপুল। টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ড্র করলেই নিশ্চিত হবে দলটির চ্যাম্পিয়ন হওয়া। হারলেও থাকবে আরও সুযোগ। এমন সহজ সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েও কোচ আর্নে স্লট বলছেন, তাদের কাজ বাকি আছে আরও।
আগামী রোববার টটেনহ্যামের বিপক্ষে মাঠে নামবে লিভারপুল। গত বুধবার রাতে ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথে আর্সেনালের ২-২ গোলে ড্রয়ের ফলে স্লটের দলের শিরোপা নিশ্চিতে এই ম্যাচে প্রয়োজন কেবল হার এড়ানো। আর সেটা হলেই দলটি জিতবে নিজেদের ২০তম লিগ শিরোপা, যা স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড়, স্টাফ, ভক্ত সর্বোপরি ক্লাবের জন্য রোমাঞ্চকর এক মঞ্চ।
তবে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে স্লট লড়াইয়ে কোনো ছাড় না দেওয়ার কথাই বললেন। “আমরা জানি, এখনও কাজ বাকি আছে। (চ্যাম্পিয়ন হতে) আমাদের কমপক্ষে একটি পয়েন্ট দরকার। এটা মাথায় রাখতে হবে। আমাদের ভক্তরা যখন স্টেডিয়ামে আসবে, তখন তারা আমাদের সেভাবেই সমর্থন দেবে, যেভাবে তারা পুরো মৌসুমে দিয়েছে। তবে আমাদের এখনও একটি পয়েন্ট দরকার, এটা ভুলে গেলে চলবে না।”
লিগে ৩৩ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট লিভারপুলের। দুইয়ে থাকা আর্সেনালের ৩৪ ম্যাচে পয়েন্ট ৬৭। ফলে খুব বড় মিরাকেল না ঘটলে কয়েক ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা ঘরে তুলবে সালাহ-ফন ডাইকরা।
পাঁচ বছর পর লিভারপুলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রোমাঞ্চ অনুভব করছেন স্লটও। “এটা একটা বিশাল দায়িত্ব। আমরা খুব ভালোভাবেই জানি এই ক্লাবটি শেষবারের মতো কোভিডের সময় লিগ জিতেছিল। সুতরাং সবাই রবিবারের অপেক্ষায় আছে।”
এই মৌসুমে লিভারপুলের দায়িত্ব নিয়েছেল স্লট। তার আগে লম্বা সময় দায়িত্বটা সামলান অভিজ্ঞ জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।
কার্লো আনচেলত্তি বারবার রিয়াল মাদ্রিদে থাকার কথা বলে গেলেও চলমান রয়েছে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা। এর মূল কারণ ক্লাবটির তাকে ছাঁটাই করার সম্ভাবনা। আর অতীতে এই ইতালিয়ানকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) চাচ্ছে সুযোগটা কাঝে লাগাতে। ইএসপিএনের দাবি, ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন আনচেলত্তিই।
২০২৪ সালে নিয়োগ পাওয়া দরিভাল জুনিয়রের কোচিংয়ে ব্রাজিলের সময়টা কাটেনি একেবারেই ভালো। কোপা আমেরিক্র পাশাপাশি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাজে ফর্মের কারণে গত মাসে তাকে বরখাস্ত করে সিবিএফ। তিনি কোচ হওয়ার আগেও আলোচনায় ছিলেন আনচেলত্তি। সেটা আগে সফল না হলেও সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা এবার বেশ আশাবাদী অভিজ্ঞ এই কোচকে পাওয়ার ব্যাপারে।
আর পেছনে মূল কারণ রিয়ালের এই মৌসুমের পারফরম্যান্স। কোপা দেল রের ফাইনালে জায়গা করে নিলেও লা লিগায় শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা কমই। সাথে যোগ হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আট থেকে আর্সেনালের কাছে ৫-১ গোলে স্রেফ উড়ে যাওয়ার তেতো অভিজ্ঞতা। তাই ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও এই মৌসুম শেষের আগে বা পরেই আনচেলত্তিকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তায় আছে রিয়াল। তার জায়গা নিতে পারেন লেভারকুসেন কোচ জাবি আলোনসো।
সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন জানিয়েছে যে, গেল কয়েক সপ্তাহে সিবিএফ প্রতিনিধি এবং আনচেলত্তির প্রতিনিধি টিমের মধ্যে আলোচনা নতুন করে শুরু হয়েছে। কাজটা এগিয়ে নিতে একজন এজেন্ট এবং দুজন ব্রাজিলিয়ান মধ্যস্থতাকারী মাদ্রিদে অবস্থান করছেন। তারা আনচেলত্তির ছেলে ডেভিড আনচেলত্তি এবং কোচের প্রতিনিধিদের সাথে ব্রাজিলের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সূত্রটি আরও নিশ্চিত করেছে, রিয়ালের ডাগআউটে আনচেলত্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত সিবিএফ বা আনচেলত্তি কেউই কোনও সিদ্ধান্তের পথে হাঁটবেন না।
২০২২ সালে তিতের বিদায়ের পর থেকে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে সিবিএফ সভাপতি এডনালদো রদ্রিগেজের প্রথম পছন্দ হিসেবে বারবার উঠে আসছে আনচেলত্তির নাম। এবার জোর সম্ভাবনা দেখার কারণ বাতসে ভেসে বেড়ানো গুঞ্জন, যেখানে বলা হচ্ছে কোপা দেল রের ফাইনালে হারলেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে আনচেলত্তির।
আগামী রোববার বার্সেলোনার সাথে ফাইনাল তাই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে সিবিএফ। আর আনচেলত্তি তার ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্প্রতি বলেছেন,
“এই ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। আমরা মৌসুমের শেষে এটি নিয়ে কথা বলব।”
আধুনিক ফুটবলে খেলোয়াড়দের ধূমপান বা মদ্যপানের বিষয়টি নিয়ে এত খোলামেলা কথা বলাটা বেশ অস্বাভাবিক ঘটনাই। তবে বার্সেলোনার গোলরক্ষক ওজসিয়েচ সেজেসনি দেখালেন ব্যতিক্রমী এক দৃষ্টান্তই৷ নিজের ধূমপানের প্রতি আসক্তির স্বীকারোক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ভক্তদের তাকে অনুসরণ না করার আকুতিও জানিয়েছেন।
৩৫ বছর বয়সী সেজেসনি চলে গিয়েছিলেন অবসরে। তবে গত অক্টোবরে অবসর থেকে ফিরে যোগ দেন বার্সেলোনায়। ২৫ ম্যাচ খেলে হারের স্বাদ পেয়েছেন মাত্র একবার, যা পোলিশ গোলরক্ষককে বার্সেলোনার সমর্থকদের কাছে করে তুলেছে ভীষণ জনপ্রিয়। তবে ধূমপান করার কথা স্বীকার করার পর থেকে সমর্থকরা নিয়মিতভাবে ‘সেজেসনি ফুমাডোর’ (ধূমপায়ী সেজেসনি) বলে স্লোগান দিচ্ছেন।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেজেসনি অবশ্য জানিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলতে পেরে খুশি।
“ধূমপানের বিষয়টি নিয়ে যদি বলেন, দয়া করে কেউ আমাকে অনুসরণ করবেন না। ধূমপান করবেন না। আমি এই লড়াইয়ে হেরে গেছি। আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন থেকে আমার একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল, যা আমার জন্য খুবই নেতিবাচক। আর আমি সেটা জানতাম। তবে এটার কাছে হেরে গেছি তাই যারা এই অনুষ্ঠান দেখছেন, তাদের বলব আমি যা করেছি আপনারা তা করবেন না।”
সেজেসনির এই অকপট স্বীকারোক্তি বেশ অবাক করা ঘটনাই। কারণ, সচরাচর খেলোয়াড়রা পেশাদারিত্বের তাগিদেই ভীষণ ব্যক্তিগত এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যেতেই পছন্দ করেন। স্পর্শকাতর হওয়ায় এমন সব তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসলে খেলোয়াড়দের স্পন্সর বাতিলের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও থাকে।
এসব উপেক্ষা করেও কেন ধূমপানের বিষয়টি মেনে নিলেন, সেই প্রশ্নে সেজেসনি বলেন, “কারণ আমি রাজনীতিবিদ নই।”
ক্লাবের মালিকানায়া যুক্ত হয়ে দেখেছিলেন বড় স্বপ্ন। তবে ব্রাজিল গ্রেট রোনালদো দি নাজারিও’র জন্য ক্রমেই তা রুপ নিচ্ছে একরাশ হতাশায়। চলতি মৌসুমে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তার মালিকানার ক্লাব রিয়াল ভায়াদোলিদ লা লিগা থেকে রেলিগেটেড হয়ে গেছে।
ব্রাজিলের ২ বারের বিশ্বকাপ জয়ী স্ট্রাইকার রোনালদোর মালিকানায় যুক্ত হওয়ার পর সাত বছরের মধ্যে তৃতীয়বার রেলিগেশনের শিকার হল ভায়াদোলিদ। লা লিগায় নিজেদের শেষ ১৪ ম্যাচের ১৩টিতেই হেরে যাওয়া ক্লাবটি পয়েন্ট টেবিলে আছে সবার নিচে। ৩৩ ম্যাচে পয়েন্ট মাত্র ১৬, জয় চারটি।
রোনালদোর জন্য এটা বড় একটা দুঃসংবাদই। কারণ, চলতি বছরই তিনি বাধ্য হয়েছেন ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে। এবার তার ক্লাবও নেমে গেল পরের ধাপে।
যদিও ভায়াদোলিদের মলিন এই পারফরম্যান্সের পেছনে ক্লাবের সমর্থকরা বড় দায় দেখেন রোনালদোরই। তাদের দাবি, ক্লাবটির প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দেন না সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। খেলা দেখতে মাঠে আসেন কম, যা ক্ষুব্ধ করেছে তাদের। গুঞ্জন রয়েছে, নিজের অংশের মালিকানা বিক্রির নাকি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন রোনালদোর।
যে কারণেই হোক, ভায়াদোলিদের জন্য পুরো মৌসুমটাই ছিল হতাশাময়। গত ফেব্রুয়ারির মধ্যে চাকরি হারিয়েছেন দুই কোচ দিয়েগো কোকা এবং পাওলো পেজোলানো। এরপর থেকে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ক্লাবটির সাবেক খেলোয়াড় ল্যাভারো রুবিও।
ভায়াদোলিদ গত সাত বছরে এর আগে প্রথমবার রেলিগেটেড হয়েছিল ২০২০-২১ মৌসুমে। এরপর আবার ২০২২-২৩ মৌসুমে। দুইবারই অবশ্য পরের মৌসুমে ফের লা লিগায় ফিরে এসেছিল তারা। এবারও ক্লাবটির আশা থাকবে তেমন কিছুরই।
হেতাফের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। প্রথমে চোট খুব একটা গুরতর মনে না হলেও , রিপোর্ট দিচ্ছে ভিন্ন তথ্য। বৃহস্পতিবার রিয়াল মাদ্রিদ তাদের ওয়েবয়াইটে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কুঁচকির চোটে পড়েছেন কামাভিঙ্গা।
এই চোটে কতদিন কামাভিঙ্গা মাঠের বাইরে থাকবে তা নিশ্চিত করেনি রিয়াল। তবে ধারণা করা হচ্ছে তিন মাস মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে ফরাসি এই মিডফিল্ডারকে।। তাতে তার মৌসুম মোটামুটি শেষই বলা যায়। তবে নিজেকে ফিট করে তুলতে পারলে ক্লাব বিশ্বকাপে হয়তো দেখা যেতে পারে কামাভিঙ্গাকে।
চোট অবশ্য কামাভিঙ্গার জন্য নতুন না। চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে চারবার চোটে পড়েছেন তিনি। খেলেছেন সব মিলিয়ে ৩৪ ম্যাচ, মিনিটের হিসেবে ২০০০ থেকে কিছুটা বেশি।
একই দিনে চোটে পড়েছেন ডেভিড আলাবাও। তার বদলি হিসেবেই মাঠে নেমেছিলেন কামাভিঙ্গা। এরপর তার পরিণিতিও একই।
চোটের হানা রিয়ালে চলছে মৌসুমজুড়ে। এসিএল চোটে এর আগে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে এদের মিলিতাও, দানি কার্ভাহালের। এছাড়া কিলিয়ান এমবাপেও বেশ কয়েকবার পড়েছেন চোটে। দানি সেবায়স, মেন্দিরাও বাদ যায়নি চোটের থাবা থেকে।
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে
২৩ দিন আগে