ভুটানে সহজ জয়ে অনূর্ধ্ব-১৭ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। বুধবার থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় তুলে নিয়েছে অর্পিতা বিশ্বাসরা। জোড়া গোল করেছেন আলপি আক্তার। অন্য গোলটি করেছেন ফরোয়ার্ড সুরভী আকন্দ প্রীতি।
ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের জয় পাওয়াটা এখন আর বড় কোনো ঘটনা নয়। জয়ের ব্যবধান কত, বরং তা নিয়েই হয় আলোচনা। গেল বছর সিনিয়র সাফের সেমিফাইনালে ভুটানকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেন ঋতুপর্ণা চাকমারা।
আর এই বছর ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দেখায় ৪-১ ব্যবধানে। পরের ম্যাচে ৩-০ গোলে জেতেন মোসাম্মৎ সাগরিকা ও আফঈদা খন্দকাররা।
সিনিয়র সাফে দুটি শিরোপা আছে বাংলাদেশের। বয়সভিত্তিক সাফের সবকটি ক্যাটাগরিতেও আছে শিরোপা। তবে অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ে এখনও শিরোপা জিততে পারেনি লাল সবুজের মেয়েরা। যদিও বয়সভিত্তিকের এই আসরটি এর আগে একবারই হয়েছিল। সাফের এই প্রতিযোগিতায় শিরোপা নিজেদের করে নেওয়ার লক্ষ্যে এবার শুরুটা দারুণ হলো মাহবুবুর রহমান লিটুর দলের।
তবে এদিন ম্যাচের শুরুটা আশা জাগানিয়া ছিল না বাংলাদেশের জন্য। রক্ষণে আধিপত্য বিস্তার করে স্বাগতিক দলের মেয়েরা। ম্যাচের চার মিনিটে ভুটানের কুয়েনদেন সোনামের আচমকা শট কোনোমতে ফেরান বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেঘলা রানী। ফিরতি বল ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডাররা।
ম্যাচে ফিরতে অবশ্য বেশি দেরি করেনি বাংলাদেশ। ১১ মিনিটে মোমিতার শট ভুটানের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে আলপি আক্তারের শট ঠেকান ভুটানের গোলরক্ষক কেলজাং ওয়াংমো।
২০ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল ডি বক্সের কাছাকাছি পেয়ে যান প্রীতি। তবে গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি তিনি। প্রতি আক্রমণে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে ভুটান।
আরও পড়ুন
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শাস্তি জাম্পার |
![]() |
ভুটানি এক ফরোয়ার্ডের দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে আটকান মেঘলা রানী। ৩৪ মিনিটে বাংলাদেশকে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত করে ভুটান। মামনি চাকমার কর্নার থেকে হেড করেন আলপি আক্তার। তবে গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করা হয়।
প্রথমার্ধের যোগ করার সময়ের দুই মিনিটের মাথায় ডেডলক ভাঙ্গেন প্রীতি। আলপি আক্তারের উচু করে বাড়ানো বল পেয়ে যান এই ফরোয়ার্ড। গোলরক্ষক এবং ভুটানের দুই ফুটবলার এগিয়ে আসলেও জটলার মধ্য থেকে হেডে বল জালে জড়ান প্রীতি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতীতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতির পর ৫৪ মিনিটে বুলেট গতির শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন আলপি আক্তার। গোলে অ্যাসিস্ট করেন ফাতেমা আক্তার। তার ডিফেন্স-চেড়া পাস থেকে বল নিয়ে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ভুটানের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আলপি।
৫৯ মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন প্রীতি। ৬১ মিনিটে এক গোল শোধ দেয় ভুটান। বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে শট নেন ভুটানের কুয়েনদেন সোনাম। তবে সেই শট ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেঘলা। শট ফিরিয়ে দিলেও বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি তিনি। ফিরতি বলে রিনজিন দেমা ছোদেন গোল করে ব্যবধান কমান।
৬৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন আলপি আক্তার। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল জটলা থেকে আলতো টোকায় জালে জড়ান আলপি। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
দিনের অপর ম্যাচে নেপালকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ভারতের মেয়েরা।
কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছিল জোরালো গুঞ্জন। অবশেষে গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে আর্জেন্টাইন গায়িকা নিকি নিকোলের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আনলেন লামিন ইয়ামাল। সেটিও আজ বান্ধবী নিকির ২৫তম জন্মদিনের বিশেষ দিবসে।
নিকির জন্মদিন কাটছে ইয়ামালের সঙ্গেই। সেই উপলক্ষে বার্সেলোনার তরুণ তারকা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দুজনের একটি ছবি শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যায়, জন্মদিনের কেক সামনে রেখে কোমর জড়িয়ে ধরে হাসিমুখে বসে আছেন ইয়ামাল। টেবিল জুড়ে ছড়ানো গোলাপের পাপড়ি।
দৃশ্যের রোমান্টিক আমেজ আরও বাড়িয়ে দেয় পেছনে সাজানো বিশাল গোলাপের তোড়া। আর ইনস্টাগ্রামে ছবির সঙ্গে কয়েকটি ‘লাভ’ ইমোজি জুড়ে দেন। তাতেই যেন ভালোবাসার সম্পর্ক স্পষ্ট করে দিলেন এই স্প্যানিশ ফুটবলার। নিকি ১৮ বছর বয়সী ইয়ামাল থেকে ৭ বছরের বড়।
পুরো গ্রীষ্মের বড় অংশ একসঙ্গেই কাটিয়েছেন নিকি ও ইয়ামাল। গত সপ্তাহেই জানা যায়, তারা মোনাকোতে একটি রোমান্টিক ভ্রমণে গিয়েছিলেন। তার কিছুদিন আগেই নিকি উপস্থিত ছিলেন গ্যাম্পার স্টেডিয়ামে, যেখানে ইয়ামালের নৈপুণ্যে বার্সা ২–০ গোলে জিতেছিল। ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরায় থাকার সময় তাঁরা ছিলেন বিলাসবহুল হোটেল দ্য মোবর্ন রিভিয়েরা-তে, যেখানে এক রাতের ভাড়া ২৭০০ ইউরো।
এর বাইরে আরও ইঙ্গিত মিলেছিল—গত
জুলাইতে ইয়ামালের বিতর্কিত জন্মদিন পার্টিতে নিকি ছিলেন অতিথিদের একজন। সেই মাসেই এক
নাইটক্লাবে তাঁদের চুম্বনের ছবিও প্রকাশ্যে আসে।
মিকেল আর্তেতা নিজেকে অনেকটা নির্ভার ভাবতেই পারেন। একদিন আগেও দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের চোট নিয়ে তার কণ্ঠে ছিল উদ্বেগ। তবে শেষ পর্যন্ত আর্সেনাল শিবিরে স্বস্তির বাতাস বইছে। কারণ, বুকায়ো সাকা ও অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড কেউই গুরুতর চোটের শিকার হননি বলেই খবর।
গত শনিবার এমিরেটসে লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৫-০ গোলের জয়ে দ্বিতীয়ার্ধে হ্যামস্ট্রিং চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন সাকা। আঘাতটা হ্যামস্ট্রিংয়ের বলেই আর্তেতা ম্যাচের পর ছিলেন চিন্তিত। ইংলিশ উইঙ্গার গত মৌসুমে ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিং সার্জারির পর প্রায় সাড়ে তিন মাস মাঠের বাইরে ছিলেন। এবার বাঁ পায়ের চোটে আবারও তার দীর্ঘ সময় বিশ্রামে যেতে হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে শঙ্কা জেগেছিল।
তবে বিবিসি, ইএসপিএন সহ শীর্ষ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২৩ বছর বয়সী সাকার চোট গুরুতর নয়। ফলে এই দফায় তাকে গত মৌসুমের মতো দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকতে হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্তত চার সপ্তাহ তাকে ছাড়াই খেলতে হতে পারে আর্সেনালকে।
ওই একই ম্যাচে তারকা মিডফিল্ডার ওডেগার্ডও চোট পান। ডান কাঁধে পড়ে গিয়ে বদলি হয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর মাঠ ছাড়েন স্লিং-এ হাত বেঁধে। তবে সাকার মতো তাকেও দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকতে হবে না বলে আশা আর্সেনালের।
চলতি মৌসুমে আর্সেনাল এখন পর্যন্ত তাদের দুটি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচেই জয় পেয়েছে। আগামী রবিবার হাইভোল্টেজ ম্যাচে তারা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের মুখোমুখি হবে অ্যানফিল্ডে। এই ম্যাচে ওডেগার্ডের খেলার সম্ভাবনা কমই।
রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে প্রথম মৌসুমে শিরোপাহীন কাটালেও ব্যক্তিগতভাবে পার করেন স্বপ্নের মৌসুম। তবে কিলিয়ান এমবাপের দারুণ পারফরম্যান্স অনেকটাই আড়াল হয়ে যায় দলের ছন্দহীনতায়। এই মৌসুমে নতুন কোচের অধীনেও একই ছন্দ বজায় রেখেছেন ফরাসি তারকা। দুই ম্যাচে করেছেন তিন গোল। রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো মনে করেন, এই মৌসুমে আরও ভালো করবেন এমবাপে।
চলতি মৌসুমে রিয়ালের লা লিগার প্রথম ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোল করেন এমবাপে। ফর্ম ধরে রেখে গত রোববার ওভিয়েদোর বিপক্ষে ৩৭তম মিনিটে দলীয় প্রথম গোল করেন সাবেক পিএসজি ফরোয়ার্ড। এরপর ৮৩তম মিনিটে ফের জালের দেখা পান তিনি। ম্যাচে রিয়াল জেতে ৩-০ গোলে।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এমবাপের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন আলোনসো।
“সে ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের সময় যে ৪ কেজি ওজন হারিয়েছিল, সেটা আবার ফিরে পেয়েছে। গত মৌসুমের ব্যাপারে আমি তেমন কিছু বলতে পারবো না। কারণ, তখন আমি এখানে ছিলাম না। তবে আমি মনে করি সে ভালো করছে, উজ্জীবিত আছে এবং সেটা দলের মাঝেও ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমি তার দারুণ সব টার্ন নেওয়ার মুভগুলো দেখতে ভীষণ পছন্দ করি। আমরা সবাই জানি সে গোল করবেই। আজও সে খুব ভালো করেছে, এমনকি আগেরদিনও।”
এমবাপের জ্বলে ওঠার দিনে আরেক তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইনজুরি টাইমে গোলের দেখা পান। তবে সেটা ছাপিয়ে বড় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তার একাদশে না থাকার বিষয়টি। গত মৌসুম পর্যন্ত ফিট থাকলে রিয়ালের একাদশে যার জায়গা নিশ্চিত ছিল, সেই একই খেলোয়াড় মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যাচে নামেন বদলি হিসেবে, তখন সেটা বিস্ময়করই।
তবে আলোনসো এই প্রসঙ্গে টেনে আনেন দলের চাহিদার দিকটি।
“প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ব্যাপারটা কিন্তু আলাদা। আমাকে দলের প্রয়োজনেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আজকের সিদ্ধান্তও (ভিনিসিয়ুসের বদলি নামা) সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই নেওয়া।”
এই ম্যাচে বিশেষভাবে নজর কেড়েছেন রিয়ালের নতুন সেনসেশন ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়ানো। এই মৌসুমে ক্লাবটিতে নাম লেখানো আর্জেন্টিনার এই তরুণ মিডফিল্ডার খুব দ্রুতই দলের সাথে মানিয়ে নিয়েছেন। যতোটা সময় মাঠে ছিলেন, নিজের প্রতিভার ছাপ রেখেছেন বেশ।
আলোনসো মাস্তান্তুয়ানোর মাঝে দেখছেন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি।
“খুব অল্প সময়েই সে দলের সাথে মানিয়ে নিয়েছে। ডান পা দিয়ে দারুণ পাস দেয়, মাঠে বেশ প্রাণবন্ত এবং প্রতিশ্রুতিশীল একজন খেলোয়াড়। আমাদের জন্য সে দীর্ঘমেয়াদে ভালো কিছুই যোগ করবে।”
নতুন প্রধান কোচ হিসেবে বসুন্ধরা কিংসের দায়িত্ব নিচ্ছেন আর্জেন্টাইন রবার্তো কার্লোস মারিও গোমেজ। কিছু দিন আগে ব্রাজিলিয়ান কোচ সার্জিও ফারিয়াসের সঙ্গে মৌখিক চুক্তি হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি আসেননি। ফলে গোমেজের হাতে দায়িত্ব তুলে দিচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
খেলোয়াড়ি জীবনে গোমেজ ছিলেন ডিফেন্ডার। আর্জেন্টিনার ফেরো কারিল ওয়েস্তে ক্লাবের হয়ে দীর্ঘ সময় মাঠ কাঁপিয়েছেন তিনি। ১৯৮২ ও ১৯৮৪ সালে দুবার ঘরোয়া লিগ শিরোপা জেতেন।
১৯৯৫ সালে আর্জেন্টিনার লানুস ক্লাবে হেক্টর কুপারের সহকারী হিসেবে কোচিং কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন গোমেজ। এরপর ইউরোপীয় ফুটবলের দরজা খুলে যায় গোমেজের; কুপারের সঙ্গে পাড়ি জমান স্পেনে। লা লিগার ক্লাব মায়োর্কার ডাগআউটে ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সহকারী কোচ ছিলেন গোমেজ। সেই সময়ে কোপা দেল রে ও কাপ উইনার্স কাপের ফাইনালে ওঠে মায়োর্কা।
মায়োর্কার অধ্যায় শেষ করে স্প্যানিশ আরেক ক্লাব ভ্যালেন্সিয়ার সহকারী হিসেবে দুই মৌসুম কাটান গোমেজ। তার সময়েই দল টানা দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলে। ওই দলে ছিলেন গায়িজকা মেন্দিয়েতা, পাবলো আইমার, ক্লদিও লোপেজ, স্যামুয়েল ইতো, সান্তিয়াগো কানিজারেসদের মতো ফুটবলাররা।
২০০১ সালে কুপারের সঙ্গেই গোমেজ যোগ দেন ইতালিয়ান সিরি আ’র ক্লাব ইন্টার মিলানে। তখন কাজের অভিজ্ঞতা হয় রোনালদো নাজারিও, ক্রিশ্চিয়ান ভিয়েরি, হার্নান ক্রেসপো, হাভিয়ের জানেত্তিদের মতো বিশ্বসেরা ফুটবলারদের সঙ্গে।
ইউরোপের শীর্ষ স্তরে কাজ করার অভিজ্ঞতার পর হেড কোচ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন গোমেজ। দায়িত্ব নেন— লানুস, কুইলমেস, বেলগ্রানো, আতলেতিকো তুকুমান, ফেরো কারিল ওয়েস্তে, জিমনাসিয়া দে লা প্লাতা ও জিমনাসিয়া দে জুজুয়াইসহ আরও বেশ কয়েকটি আর্জেন্টাইন ক্লাবের।
দেশের বাইরে গ্রিসের আস্তেরাস ত্রিপোলিস, ইকুয়েডরের দেপোর্তিভো কুয়েনকা, হংকংয়ের সাউথ চায়না, মালয়েশিয়ার জোহর দারুল তাজিম এবং ইন্দোনেশিয়ার পারসিব বান্দুং, বোর্নিও এফসি ও আরেমা এফসির মতো ক্লাবের কোচিং দায়িত্ব পালন করেছেন বর্তমানে ৬৮ বছর বয়সী গোমেজ।
সাফল্যের দিক থেকেও গোমেজের ক্যারিয়ার উজ্জ্বল। মালয়েশিয়ার জোহর দারুল তাজিমের কোচ হিসেবে ২০১৫ সালে এএফসি কাপ জেতেন। একই সময়ে মালয়েশিয়ান সুপার লিগ, এফএ কাপ ও চ্যারিটি শিল্ড জিতিয়ে দেশটিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। ইন্দোনেশিয়ার ফুটবলেও তার উপস্থিতি আলো ছড়িয়েছে।
গোমেজের সেই অভিজ্ঞতাই এবার কাজে লাগাতে চায় বসুন্ধরা কিংস। দেশের ফুটবলে ইতোমধ্যেই নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে তারা। টানা পাঁচবার জিতেছে লিক শিরোপা।
সর্বশেষ মৌসুমে লীগ শিরোপা হাতছাড়া হলেও চ্যালেঞ্জ কাপ ও ফেডারেশন কাপের শিরোপা ঘরে তোলে ঢাকার জায়ান্ট ক্লাবটি। তবে এবার লক্ষ্য শুধু ঘরোয়া শিরোপা জেতা নয়। কিংস চাইছে ঘরোয়া পাঁচটি ট্রফি জয়ের পাশাপাশি এএফসি চ্যালেঞ্জ লীগের গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে আরও দূরে যাওয়া। আর এই বড় স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হলো অভিজ্ঞ আর্জেন্টাইন কোচ রবার্তো কার্লোস গোমেজকে।
বাহরাইনে ১২ দিনের ক্যাম্প ও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে মঙ্গলবার দেশে ফিরবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় ফুটবল দল। বাহরাইন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে ১৮ ও ২২ আগস্টে হওয়া দুটি ম্যাচই হেরেছে সাইফুল বারী টিটুর দল।
প্রথমটিতে পরাজয় ১-০ গোলে; পরের ম্যাচে ২-০ গোলে লিড নেওয়ার পরও শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে ২-৪ ব্যবধানে। প্রস্তুতি ম্যাচে দলের লক্ষ্য কেবল জয় ছিল না; দলের সব খেলোয়াড়কে বাজিয়ে নেওয়া, টিম কম্বিনেশন বোঝা ছিল কোচ টিটুর মূল উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যে কোচরা সফল বলেই জানা গেছে।
বাহরাইনের কোনো স্থানীয় দলের বিপক্ষে সোমবার আরও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। সেটি হয়নি; নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়েই তাই ম্যাচ খেলবেন আল আমিন, শেখ মোরসালিনরা।
আরও পড়ুন
নেপালকে উড়িয়ে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ |
![]() |
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পাঠানো ভিডিও বার্তায় দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন বলেন, “গতকাল রিকভারি সেশন ছিল, আজকের সেশন কিছুটা হালকা ছিল। আগামীকাল (সোমবার) একটা ম্যাচ খেলব, কথা ছিল এখানকার কোনো লোকাল টিমের সঙ্গে খেলব। কিন্তু সেটা আমরা পাইনি; এখন আমাদের মধ্যেই ম্যাচটা খেলব।”
দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের শেষটিতে হারলেও দলের প্রস্তুতি ও খেলোয়াড়দের টিম স্পিরিটের প্রশংসা করেছেন হাসান আল মামুন। সেই সঙ্গে বাহরাইন থেকে নিয়ে ফেরা আত্মবিশ্বাস ভিয়েতনামে কাজে দেবে বলে মনে করেন তিনি।
“সবশেষ ম্যাচে দেখার দরকার ছিল টিমের কম্বিনেশনটা কী। সবাইকে খেলিয়েছি, কার কী অবস্থা তা দেখেছি। সম্ভাব্য সেরা সমাধানের খুব কাছাকাছি আছি। টিম স্পিরিট খুব ভালো আছে। আশা করি ভালো কিছু পুঁজি নিয়ে এখান থেকে দেশে ফিরব। যেটা ভিয়েতনামে কাজে দেবে।”
জানা গেছে, মঙ্গলবার দেশে ফিরে ঢাকায় দুদিন অনুশীলন করবে অনূর্ধ্ব-২৩ দল। এরপর ২৯ আগস্ট ভিয়েতনামের উদ্দেশ্যে রওনা হবে তারা। এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাই খেলতে দেশটিতে যাবে দল।
ভিয়েতনাম যাওয়ার আগে বাহরাইনে ক্যাম্প ও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা দলের জন্য ভালো হয়েছে মনে করেন ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপু।
“প্রথম ম্যাচের তুলনায় দ্বিতীয় ম্যাচ আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো হয়েছে। কোচিং স্টাফরা যেভাবে চেয়েছে আমরা সেভাবে করেছি। সবকিছু ভালোই চলছে। (রোববার) আরেকটা সেশন করেছি, যে ম্যাচটা গেছে ওখানে যে ভুলত্রুটি ছিল, সেগুলো নিয়ে কোচরা কাজ করছে। বাহরাইনে আরও একটি সেশন আছে এরপর আমরা বাংলাদেশে রওনা দেবো।”
এবারই প্রথম এশিয়ান কাপ বাছাই সামনে রেখে অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে বিদেশের মাটিতে ক্যাম্প এবং প্রস্তুতি ম্যাচ খেলিয়েছে ফেডারেশন। মেয়েদের দুটি দল এখন এশিয়ান কাপের মূলপর্বে (সিনিয়র ও অনূর্ধ্ব-২০)।
আরও পড়ুন
২ গোল দিয়ে ৪ গোল হজম বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের |
![]() |
ছেলেদের দলও যাতে সেই পথে হাটতে পারে তা নিয়ে জোড় চেষ্টা ফেডারেশনের। বাহরাইনে যে লক্ষ্য নিয়ে দলের ক্যাম্প করা সেটি অনেকটাই কাজে দেবে বলে মনে করেন সহকারী কোচ হাসান আল মামুন।
“আমাদের যে টার্গেট, যে মিশন, ভিয়েতনামে যে খেলব, মানে বিশেষভাবে কাজে দেবে। কারণ এখানে যে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে দল- মাঠ, হোটেল, খাবার এবং ট্রেনিং ফ্যাসিলিটিস; সবকিছু মিলিয়ে প্লেয়াররা ফোকাসড। আমার কাছে মনে হয়েছে সবাই সবার জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দিয়েছে।”
১২ দিনের সফরে কেবল খেলোয়াড়ই নয়, সার্বক্ষণিক কাজ করতে হয়েছে কোচিং স্টাফকেও। এমন সুযোগ করে দেওয়ার জন্য হাসান আল মামুন ধন্যবাদ দিয়েছেন বাফুফে এবং বাহরাইন ফুটবল ফেডারেশনকে।
এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারে বাংলাদেশ পড়েছে ‘সি’ গ্রুপে। স্বাগতিক ভিয়েতনাম ছাড়াও এই গ্রুপে আছে সিঙ্গাপুর ও ইয়েমেন। ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ভিয়েতনামের বিপক্ষে। এরপর ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর যথাক্রমে ইয়েমেন ও সিঙ্গাপুরের মোকাবিলা করবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
১৬ দল নিয়ে ২০২৬ সালে সৌদি আরবে হবে অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের মূল পর্বের লড়াই। স্বাগতিক দেশ হিসেবে খেলবে সৌদি আরব। অন্য ১৫ দল আসবে গ্রুপ পর্বে প্রমাণ করে। পয়েন্টের ভিত্তিতে ১১ গ্রুপে সেরা দল এবং চার সেরা রানার্সআপ দল পাবে এশিয়ান কাপের টিকিটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
১৫ ঘণ্টা আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৪ দিন আগে