১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৯ এম
ভারত ম্যাচের জন্য সৌদিতে হওয়া ক্যাম্পে ডাকা হয়েছিল ইতালিয়ান বংশদ্ভূত ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলামকে। সপ্তাহ খানেক দলের সাথে অনুশীলন করলেও মূল দলে জায়গা মেলেনি তার। তাতে বাংলাদেশি ফুটবল সমর্থকদের মাঝে দেখা মেলে অসন্তোষ।
ফাহমিদুলের সঙ্গে অন্য ফুটবলারদের ঝামেলার নানা গুঞ্জনও সামনে আসে সংবাদ-মাধ্যমের ইঙ্গিতে। সেটা বেশ সাড়াও ফেলে। তবে রবিবার ফাহমিদুল বর্তমান ক্লাব ওলবিয়া কালচোর হয়ে ম্যাচ খেলে কথা বলেন টি-স্পোর্টসের সঙ্গে। যেখানে ১৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড জানিয়েছেন তার সঙ্গে দলের কারও নেই কোনো ঝামেলা, বরং আছে যোগাযোগ।
“দলের সাথে আমার দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। সবাইকে আমি মিস করছি, সবার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। কারও সাথেই আমার খারাপ সম্পর্ক ছিল না। এখনো অনেকের সাথে মাঝে-মধ্যে আমার কথাও হয়। কয়েক দিন আগে জামাল ভাইয়ের জন্মদিন ছিল, ওনাকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। অবশ্যই সবাইকে মিস করছি, তবে আল্লাহ চাইলে আবার ওদের সঙ্গে খেলবো। ইনশাআল্লাহ(হাসি)।”
ফাহমিদুল বর্তমানে খেলেন ইতালির চতুর্থ স্তরের দল ওলবিয়া কালচোতে। বেশ কয়েকটা পজিশনেই খেলতে পারেন। ফুটবলার হিসেবে বাংলাদেশে এখনো পা না রাখলেও যেই ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন তাতে সমর্থকদের কাছে প্রকাশ করেছেন কৃতজ্ঞতা। সুযোগ আসলে সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চান বলেও জানিয়ে রেখেছেন।
“বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকদের ধন্যবাদ। তারা আমাকে অনেক সমর্থন দিচ্ছে। আমাকে চেনার পর থেকেই তারা আমাকে অনেক উপরে নিয়ে গেছে। আমিও আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে ওদের উচ্ছ্বাসিত করবো। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ চাইলে আবার বাংলাদেশের হয়ে খেলবো। ওদেরকে (সমর্থকদের) নিয়ে কিছু বলার নেই, ওরা সবসময় আমাকে অনেক উপরে রেখেছে।”
২৯ জুন ২০২৫, ৫:৫৯ পিএম
২৯ জুন ২০২৫, ৪:৩২ পিএম
২৯ জুন ২০২৫, ১:৩০ পিএম
চলমান ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো যুক্তরাষ্ট্রে যেসব ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, শুরু থেকেই মাঠ ও মাঠের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন খেলোয়াড় ও কোচরা। পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে তো মাঠগুলোকে তুলনা করেছেন খরগোশের সাথে। এসব অভিযোগ মেনে নিয়েছেন ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট প্রধান ও আর্সেনালের সাবেক কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারও। তবে আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী বছর ফুটবল বিশ্বকাপের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের মাঠের উন্নতি করা হবে।
৩২ দলের এবারের ক্লাব বিশ্বকাপ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এমন কিছু ভেন্যুতে, যেখানে আগে আয়োজন হত অন্য খেলাও। স্বাভাবিকভাবেই এই মাঠগুলোতে ফুটবল ম্যাচ যখন হচ্ছে, তখন সেটা শীর্ষ মানের হচ্ছে না। বেশ কিছু ম্যাচের সময়ই দেখা গেছে, মাঠ ছিল অনেক শুকনো এবং বিরতিতে সেটা পানি ছিটিয়ে ভেজানো হচ্ছিল। এতে বিঘ্ন হচ্ছে খেলার মান, যা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে বেশ।
আরও পড়ুন
নিজেদের ‘দুর্বল’ মানলেও পিএসজিকে মরণকামড় দিতে চান মেসিদের কোচ |
![]() |
এই বিষয়টি নিয়ে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়েঙ্গার বলেন, মাঠের মান নিয়ে অভিযোগগুলো তারা গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেন।
“আমি নিজে অরল্যান্ডোর মাঠে গিয়েছি। এটা আসলেই ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো যেসব মাঠে খেলে, সেসব মাঠের মানের সমান নয়। তবে এটা এখন নিখুঁত না হলেও, (২০২৬) বিশ্বকাপের সময় তা ঠিক করা হবে।”
মাঠ নিয়ে সবার আগে অভিযোগ করেন এনরিকে। আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ের পর তিনি রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
“ফিফার এটা গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। শুধু স্টেডিয়ামের মাঠই নয়, অনুশীলনের মাঠগুলোর চিত্রটা একই। ম্যাচের সময় বলটা খরগোশের মতো লাফাচ্ছিল। যে মাঠে খেলাটা হয়েছে, সেটা আগে কৃত্রিম ছিল, আর এখন এটার ওপরেই প্রাকৃতিক ঘাস বিছানো হয়েছে। ফলে হাতে হাতে পানি দিতে হয়। আর এটা আমাদের স্বাভাবিক খেলার জন্য বড় সমস্যা। আমি কল্পনাও করতে পারি না যে, এনবিএ খেলোয়াড়রা গর্ত ভরা কোর্টে খেলছে!”
এসব অভিযোগের কারণে অনেকেই শঙ্কিত ২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে, যা যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও হবে কানাডা ও মেক্সিকোতে। ক্লাব বিশ্বকাপকে এই টুর্নামেন্টের রিহার্সেল দেখা হলেও এখন পর্যন্ত সেটা জন্ম দিচ্ছে নানা বিতর্কের। তবে ওয়েঙ্গার ও ফিফার বার্তা থেকে ধারণা করা যায়, বিশ্বকাপের মঞ্চে মাঠের মান নিয়ে কোনো আপস করবেন না তারা।
এক দল ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে ইউরোপ সেরা হয়ে, আর অন্য দল আমন্ত্রিত হয়ে। নামে-ভারে, অর্জনে বা অভিজ্ঞতায় ইউরোপিয়ান জায়ান্ট পিএসজির সাথে তাই কোনো তুলনাই চলে না ইন্টার মায়ামির। শেষ ১৬-এর ম্যাচের আগে সেই বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন মেসি-সুয়ারেজদের কোচ হাভিয়ের মাসচেরানোও। তবে এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, মাঠের লড়াইয়ে ছেড়ে কথা বলবে না মায়ামি।
পিএসজি ক্লাব বিশ্বকাপে এসেছে ট্রেবল জিতে, যেখানে রয়েছে প্রথমবারের মত জেতা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়। লুইস এনরিকের দল এই টুর্নামেন্ট প্রথম ম্যাচে স্প্যানিশ ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদকে উড়িয়ে দেয় ৪-০ গোলে। পরের ম্যাচে ধাক্কা খেলেও নকআউট পর্বে এসেছে ফেভারিট হিসেবেই। বিপরীতে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল মায়ামি গ্রুপ পর্ব পার করেছে টেনেটুনে।
আরও পড়ুন
‘সৌদি প্রো লিগ বিশ্বের শীর্ষ ৫ লিগের একটি’, বিশ্বাস রোনালদোর |
![]() |
তবে রোববার রাতের ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মাসচেরানো বলেছেন, তাদেরও জয়ের সমান সুযোগই আছে।
“বিষয়টা তো পরিষ্কার, আর এমনও না যে আমরা এই ব্যাপারে অবগত নই। আমরা জানি যে এই ম্যাচে আমরাই দুর্বল দল, এটা স্পষ্ট। তবে এর মানে এই নয় যে আমাদের আগেই ছিটকে দেবেন। আমরা লড়াই করব, এটাই আসল ব্যাপার।”
এই ম্যাচে মায়ামির প্রতিপক্ষ পিএসজির হয়ে দুই মৌসুম খেলার অভিজ্ঞতা আছে মেসির। তবে ক্লাব ছাড়ার পর প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন যে, প্যারিসে তার সময়টা তার ভালো কাটেনি। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে খেলা তাই আর্জেন্টাইন তারকার জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা তৈরি করবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত : ক্লপ |
![]() |
তবে মাসচেরানো মনে করেন, আর দশটা ম্যাচের মতোই পিএসজির বিপক্ষেও সেরাটাই দেবেন মেসি।
“লিও সবচেয়ে শক্তিশালী বার্তা মুখে নয়, বরং মাঠে তার পারফরম্যান্স দিয়েই দেয়। আর সেটা দিয়েই তিনি আমাদের এতদূর নিয়ে এসেছেন। (গ্রুপ পর্বের) শেষ ম্যাচে পালমেইরাসের বিপক্ষে তিনি শারীরিকভাবে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলেন এবং ৯৫ মিনিটই দুর্দান্ত খেলেছেন। আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল লিও ভালো আছে এবং সে আমাদের দলের হয়ে খেলছে। দল হিসেবে এটা আমাদের অনেক স্বস্তি দেয়।”
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো আল নাসরে যোগ দেওয়ার আগে সৌদি প্রো লিগ নিয়ে ফুটবল বিশ্বে ছিল না কোনো আলোড়ন। তবে পর্তুগিজ তারকার হাত ধরে বদলে যাওয়া এই লিগে এখন খেলছেন বিশ্বের অনেক তারকা ফুটবলারই৷ আগে থেকেই সৌদি আরবের লিগের ভূয়সী প্রশংসা করা রোনালদো আবার শুনিয়েছেন তার মুগ্ধতার কথা। তার মতে, প্রো লিগ এখন বিশ্বের সেরা পাঁচ লিগের মধ্যে একটি।
২০২২ সালে চমক জাগিয়ে ইউনাইটেড ছেড়ে রোনালদো পাড়ি জমান সৌদি আরবে। দেশটার ফুটবল উন্নতির জন্য কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করেছে লিগ কর্তারা। তারই ধারায় এখানে খেলে গেছেন নেইমারের মত বিশ্ব তারকাও। আর এখনও খেলছেন করিম বেনজেমা, সাদিও মানেরা। রোনালদোর অবশ্য মাঝে গুন্জন উঠেছিল আল নাসর ছাড়ার। রোনালদো। তবে সেটা ছাপিয়ে নতুন করে দুই বছরের জন্য চুক্তি করেছেন সৌদি ক্লাবটির সাথে।
আরও পড়ুন
নিজেদের ‘দুর্বল’ মানলেও পিএসজিকে মরণকামড় দিতে চান মেসিদের কোচ |
![]() |
নতুন চুক্তির পর সৌদি লিগ নিয়ে বড় স্বপ্নই দেখছেন রোনালদো।
“আমরা ধীরে ধীরে উন্নতি করছি, তবে আমার বিশ্বাস এরই মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে একটা আমরা। সামনে আরও উন্নতি করবো আমরা, সেটা গেল দুই বছরেই আমরা দেখিয়েছি। যেভাবে উন্নতি করছে লিগ, তাতে আমি খুব খুশি। যারা এই লিগে খেলেনি, ফুটবল নিয়ে কিছুই বুঝে না… তারাই শুধু বলবে যে এটা শীর্ষ লিগ না।”
আল নাসরে দুই বছর পার করলেও এখনো রোনালদোর জেতা হয়নি মেজর কোনো শিরোপা। এবার সেই স্বপ্নপূরণ করতে চান তিনি।
“আল নাসরে হয়ে কিছু জেতাটাই আমার লক্ষ্য। সেটা আমি বিশ্বাস করি বলেই নতুন করে চুক্তি করেছি। আমি বিশ্বাস করি এবার আমরা সৌদি আরবের সেরার মুকুট পরতে পারবো।”
বেনফিকাকে গোলে হারিয়ে সবার আগে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দল। দারুণ এক জয় পেলেও মাঠের বাইরের অন্য বিষয়ে বেশ চটেছেন চেলসি কোচ এন্জো মারেসকা। বাজে আবহওয়ায় বারবার খেলা থামানোকে হাস্যকরই মনে হচ্ছে ইতালিয়ান এই কোচের কাছে।
চেলসির ৪-১ গোলে জেতার ম্যাচটি ঝড় ও বজ্রপাতের শঙ্কায় ৮৬ মিনিটে বন্ধ করেন রেফারি। পুনরায় ম্যাচ মাঠে গাড়ায় প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে রিস জেমসের ফ্রি কিকে এগিয়ে ছিল চেলসি। তবে লম্বা বিরতির পর ছন্দ হারায় তারা। যোগ করা সময়ে দি মারিয়ার গোলে সমতা টানে বেনফিকা।
আরও পড়ুন
২০২৬ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রে মাঠের মান বাড়ানোর আশ্বাস ফিফার |
![]() |
পরে শেষ রক্ষা হলেও ম্যাচ শেষে এভাবে খেলা থামানো নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মারেসকা।
“এটা আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন এক অভিজ্ঞতা, এর কোনো ব্যাখা অবশ্য খুঁজে পাচ্ছি না। নিরাপত্তার কারণে ম্যাচ স্থগিত হতে পারে, কিন্তু আপনাকে যখন আবহওয়ার কারণে সাত-আটবার খেলা থামাতে হয়, তখন বলতে হবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য এটি সঠিক জায়গা নয়।”
১-১ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষের পর ইনজুরি টাইমে গিয়ে চেলসি রীতিমতো উড়িয়ে দেয় পর্তুগিজ ক্লাবটিকে। গোলের খাতায় নাম তোলেন ক্রিস্তোফার এনকুকু, পেদ্রো নেতো ও কিয়ারনান ডেওসবারি-হল। তাতে ৪-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসি।
এক বছর বাদেই বসবে বিশ্বকাপ। যেখানে তিন আয়োজোক দেশের মধ্যে একটি যুক্তরাষ্ট্র। দল ভালো করলেও তাই আগেভাগেই তাই নিজের শঙ্কার কথা জানিয়ে রেখেছেন মারেসকা। “বারবার ম্যাচ বন্ধ করা মোটেও স্বাভাবিক না। বিশ্বকাপে এমন কয়বার ম্যাচ থামাতে হয়েছে? ইউরোপে এমন হয়েছে? একবারও তো না! কিন্তু এখানে এটা যেন নিয়মিত চিত্র। তাই আমার কাছে মনে হচ্ছে এখানে সমস্যা আছে।”
গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে আর মাত্র ঘণ্টা কয়েক বাদে শুরু হবে ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউট পর্ব। অনেকটা পথ পারি দিলেও ৩২ দলের এই টুর্নামেন্ট নিয়ে সমালোচনার মাত্রা যেন কমছেই না। মাঠের অবস্থা কিংবা বাজে আবহওয়া সব কিছুই নিয়েই হয়েছে সমালোচনা। এবার সেখানে নাম লিখিয়েছেন সাবেক লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপও। তার মতে, এই বিশ্বকাপ আয়োজন ফুটবলের সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্তগুলোরই একটি।
যদিও ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে সমালোচনা নতুন নয়। এই পরিকল্পনা সামনে আসার পর থেকেই সমালোচনা চলছে। যার মূল কারণ হিসেবে দাঁড় করানো হচ্ছে ক্লান্ত একটি মৌসুম শেষের পর ফুটবলারদের বিশ্রাম না পাওয়ার দিকটি। ক্লপও মনে করিয়ে দিয়েছেন সে কথায়। ঠাঁসা সুচির মাঝে এমন টুর্নামেন্ট ফুটবলারদের নতুন চোটে ফেলবে বলেই মনে করছেন অনেকেই। সম্প্রতি যা বলেছেন বার্সেলোনা তারকা রাফিনিয়াও।
আরও পড়ুন
নিজেদের ‘দুর্বল’ মানলেও পিএসজিকে মরণকামড় দিতে চান মেসিদের কোচ |
![]() |
ক্লপও এতে দিয়েছেন সম্মতি।
“যাদের খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, তারাই এমন ধারণা নিয়ে আসে। যাদের অন্য কিছু করার নেই, কেবল তারাই এমন সব কিছু চিন্তা করে। দিন শেষে ফুটবলটাই আসল, অন্য সবকিছু পরে। সেজন্য আমার মনে হয় ক্লাব বিশ্বকাপ ফুটবলে বাস্তবায়ন হওয়া ধারণার মধ্যে সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত।”
গত ১৪ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসেছে এবারের ক্লাব বিশ্বকাপ, চলবে ১৩ জুলাইয়ের পর্যন্ত। এক মাস বাদেই মাঠে গড়াবে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ। যা স্বভাবতই প্রভাব ফেলবে ফুটবলারদের উপর। পূর্ণ বিশ্রাম না পাওয়াটা তাদের বেশ ভালোভাবে ভোগাবে বলেই মানছেন ক্লপ।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্টের সঙ্গে আলাপ কালে দিয়েছেন সেই ইঙ্গিত।
“এনবিএ তারকারা বড় অঙ্কের অর্থ আয় করে প্রতি বছর। তবে তারা বছরে চার মাস বিশ্রামের সুযোগ পায়। তবে ফুটবলারদের সেটা হচ্ছে না। ক্লাব বিশ্বকাপে যারা খেলছে তারা রিকভারি করার সময়টাও পাবে না। যা তাদের শাররিক ও মানসিক চাপে ফেলবে।”
গেল মৌসুমে ফুটবলাররা বিশ্রামের সুযোগ পায়নি মোহাদেশীয় টুর্নামেন্টের কারণে, চলতি মৌসুমে ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজন বেঘাত ঘটিয়েছে, আগামী মৌসুমে আছে বিশ্বকাপ। তাতে ফুটবলাররা বিশ্রাম পাওয়া যেন দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সাক্ষাৎকারে সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ক্লপ।
৬ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে