ইংলিশ ফুটবলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ইংল্যান্ডের ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য জর্জ ইস্টহাম ৮৮ বছর বয়সে মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার সাবেক ক্লাব স্টোক সিটি।
সাবেক ইংল্যান্ড ফুটবলার জর্জ সিনিয়রের ছেলে ইস্টহাম দুই দশকের পেশাদার ক্যারিয়ারে ইংলিশ শীর্ষ লিগে নিউক্যাসল ইউনাইটেড, আর্সেনাল এবং স্টোক সিটির হয়ে খেলেন। জাতীয় দলের হয়ে তার নামের পাশে ছিল ১৯টি ম্যাচ।
বাঁ পায়ের যাদুর জন্য বিখ্যাত ইস্টহামের খ্যাতি ছিল তার সৃজনশীলতার জন্য। মিডফিল্ডার হলেও খেলতে পারতেন ফরোয়ার্ড হিসেবেও। অন্য ক্লাবে খেললেও স্টোক সিটির কিংবদন্তি হিসেবেই বিবেচিত তিনি। ১৯৭২ সালে লিগ কাপ ফাইনালে চেলসির বিপক্ষে তার গোলই নিশ্চিত করেছিল ক্লাবটির প্রথম মেজর শিরোপা।
ইস্টহাম আট মৌসুমে স্টোকের হয়ে ১৯৪টি লিগ ম্যাচে খেলেন। এছাড়া ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমের মধ্যে কাজ করেন ক্লাবটির কোচ হিসেবেও।
ফুটবলে তার অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালে ‘অফিসার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার’ পুরস্কার পান ইস্টহাম।
ক্লাব কিংবদন্তিকে সম্মান জানাতে স্টোক খেলোয়াড়রা শনিবার শেফিল্ডের বিপক্ষে দলটির চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে কালো ব্যান্ড পরবেন বলে জানিয়েছেন স্টোক সিটি।
২৫ মে ২০২৫, ১:২২ পিএম
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের কারণে এবার মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই শুরু হয়ে গেছে গ্রীষ্মকালীন দলবদলের আলোচনা। তাতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন লেভারকুসেন মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান ভার্টজ, যিনি শুরুতে ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটির রাডারে। তবে শেষ সময়ে এসে তাকে দলে টানার লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে লিভারপুল, খবর ইএসপিএনের।
ভার্টজের সিটিতে যোগ দেওয়ার গুঞ্জনে আবার জড়িয়ে ছিল কেভিন ডে ব্রুইনার নাম, যিনি এই মৌসুমের পরই ক্লাব ছাড়ছেন। ফলে তার জায়গায় ডাচ ফুটবলারকে নিতে আগ্রহী পেপ গার্দিওলার দল, খবর ছিল এমনটাই।
তবে সেটা আর হচ্ছে না বলেই দাবি ইএসপিএন সহ ইউরোপের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমের। বায়ার্ন প্রথমে ধারণা করছিল, এই গ্রীষ্মেই বা ২০২৬ সালে ভার্টজকে দলে টানতে পারবে তারা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পরিস্থিতি একেবারেই পাল্টে যায়। গত শনিবার বায়ার্ন প্রেসিডেন্ট হার্বার্ট হেইনার নিশ্চিত করেন বিষয়টি।
“ম্যাক্স এবার্ল (বায়ার্নের স্পোর্টিং ডিরেক্টর) আমাকে জানিয়েছেন যে, ফ্লোরিয়ান ভার্টজ সম্ভবত লিভারপুলেই যাচ্ছেন।”
এই ২২ বছর বয়সী ভার্টজ লেভারকুসেনের হয়ে ১৯৭টি ম্যাচে ৫৭ গোল ও ৬৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে তার জন্য জার্মান ক্লাবটির চাওয়া ১৫০ মিলিয়ন ইউরোকে বেশি মনে করায় সরে গেছে সিটি। আর ভার্টজ নিজেও নাকি আগ্রহী লিভারপুলে যেতে। তবে এখনো লিভারপুল ও লেভারকুসেনের মধ্যে এখনও কোনো চুক্তি হয়নি।
সেদিক থেকে ডে ব্রুইনার চুক্তি নিয়ে নেই তেমন জটিলটা। ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাওয়ায় তার নতুন ক্লাবে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রান্সফার ফি লাগবে না কোনো। বেলজিয়ান মিডফিল্ডার এরই মধ্যে নাকি এমএলএসের ক্লাবে শিকাগো ফায়ার এফসি-তে যাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন
কারণ, তার আগ্রহ ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির দিকে। আগামী সপ্তাহে সেরি আ চ্যাম্পিয়নদের শিবিরে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা শুরু করবেন বলে সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ইএসপিএন।
৩৩ বছর বয়সী ডে ব্রুইনা ২০১৫ সালে ওলফসবুর্গ থেকে সিটিতে যোগ দেন। জিতেছেন ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। তার ক্লাবেই থাকার ইচ্ছা থাকলেও চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব আর দেওয়া হয়নি সিটির পক্ষ থেকে।
ইএসপিএন জানিয়েছে, ডে ব্রুইনা এখন নাপোলির প্রস্তাব গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। প্রিমিয়ার লিগ মৌসুম শেষ হওয়ার পরই আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবে দুই পক্ষের। পেশাগত এবং পারিবারিক কারণেই নাকি অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডার নতুন ঠিকানা হিসেবে নাপোলিকে বেছে নিয়েছেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে আগে না বলা হলেও সবদিক থেকেই আসছিল নিশ্চয়তা। কার্লো আনচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদ অধ্যায় শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যেই আসল ঘোষণা। নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জাবি আলোনসো, যিনি কাজ শুরু করবেন আসছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ দিয়েই।
রোববার বিবৃতি দিয়ে আলোনসোকে কোচ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রিয়াল। চুক্তি হয়েছে আগামী ১ জুন থেকে ২০২৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। ফলে আগামী জুন মাস থেকে শুরু হতে যাওয়া ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপ দিয়েই কাজ শুরু হচ্ছে সাবেক এই মিডফিল্ডারের।
আরও পড়ুন
‘আমি হলে মদ্রিচকে ছাড়তাম না, তবে এটাই রিয়ালের নীতি’ |
![]() |
এর মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হল আলোনসোর ভিন্ন ভূমিকায় রিয়ালের ফেরা। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রিয়ালের জার্সিতে ২৩৬টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। জিতেছেন ছয়টি শিরোপা, যার মধ্যে রয়েছে একটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা।
ক্লাব পর্যায়ে রিয়াল বাদেও আলোনসো খেলেছেন লিভারপুল, বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে। স্পেন জাতীয় দলের হয়েও রয়েছে সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার। ২০১০ বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি সদস্য ছিলেন ২০০৮ ও ২০১২ ইউরো জয়ী দলেরও।
আলোনসো কোচিং ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের যুব দলে, ২০১৮-২০১৯ মৌসুমে। সিনিয়র কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু করেন জার্মান ক্লাব লেভারকুসেরনের কোচ হিসেবে, যেখানে তিনি রীতিমত চমক দেখিয়েছেন এই ভূমিকায়। ক্লাবটিকে জিতিয়েছেন একটি করে বুন্দেসলিগা, জার্মান কাপ ও জার্মান সুপার কাপ।
আরও পড়ুন
প্রিমিয়ার লিগেরও সেরা খেলোয়াড় সালাহ |
![]() |
আগামী সোমবার ২৬ মে, দুপুরস্প্যানিশ সময় দুপুর ১২:৩০ টায় আলোনসোকে আনুষ্ঠানিকভাবে রিয়াল মাদ্রিদের নতুন কোচ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে রিয়াল। এর আগে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ তার সাথে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন।
বয়স হয়ে গেছে প্রায় ৪০, কিছুটা ধার কমলেও লুকা মদ্রিচ এখনও ছুটছেন চেনা গতিতে। এরপরও তার ইচ্ছা থাকলেও রিয়াল মাদ্রিদ চুক্তি নবায়নে আর রাজি হয়নি। অভিজ্ঞ এই মিডফিল্ডারের এভাবে বিদায়টা ঠিক না লাগলেও কারণটা ধরতে পারছেন ক্রোয়েশিয়া জাতীয় দলের কোচ জ্লাতকো দালিচ। তার মতে, ক্লাব হিসেবে রিয়াল তাদের নীতি অনুসরণ করেই মদ্রিচকে ছেড়ে দিচ্ছে।
২০১২ সালে রিয়ালে যোগ দেওয়া মদ্রিচ ১৩ বছরে জিতেছেন ক্লাবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৮ শিরোপা। ম্যাচ খেলেছেন ৫০০-এর বেশি। এক বছর করে গেল কয়েক মৌসুমে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে এবারও চেয়েছিলেন তেমনটাই৷ বেতন কমিয়ে, বেঞ্চ রোল মেনেও থাকতে চেয়েছিলেন। তবে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তাতে সাড়া দেয়নি রিয়াল।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপ দিয়েই রিয়াল অধ্যায় শুরু আলোনসোর |
![]() |
ফলে শনিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালের হয়ে শেষ ম্যাচটি খেলেছেন মদ্রিচ, যা দেখতে হাজির হয়েছিলেন দালিচও। ম্যাচের পর তিনি বলেন, সেরা ফর্মে থেকে বিদায় পাওয়াটাও কম নয়।
“আমি হলে কখনোই লুকা মদ্রিচকে ছাড়তাম না, সেটা তার বয়স যতই হোন না কেন। তিনি তরুণ খেলোয়াড়দের সাহায্য করেন এবং আমি তাকে কখনোই ছেড়ে দিতে পারতাম না। তবে ক্লাব হিসেবে এটাই রিয়াল মাদ্রিদের নীতি। মনে করে দেখুন রাউল (গঞ্জালেস) ইকার (ক্যাসিয়াস) বা সের্হিও রামোসের কথা – তাদের সবাই কিন্তু ক্লাব ছেড়েছেন লুকার তুলনায় বেশ খারাপভাবেই।”
দালিচ যা বলেছেন, তা ভুল নয়। যে তিনজনের নাম বলেছেন, তারা সবাই রিয়ালের কিংবদন্তি হলেও মাঠ থেকে বিদায় জানানোর সুযোগ মেলেনি কারোরই। আগে-পরে এমনটা হয়েছে আরও অনেকের সাথেই। সেদিক থেকে মদ্রিচকে বিশাল আয়োজন করেই বিদায় জানিয়েছে রিয়াল। সংবর্ধনা পেয়েছেন ক্লাবের, আর অকুন্ঠ ভালোবাসা দিয়েছেন হাজার হাজার সমর্থকরা।
আরও পড়ুন
বার্সা অধ্যায়ের ইতি টানার পথে ফাতি |
![]() |
মদ্রিচের বিদায় অনুষ্ঠান ছুয়ে গেছে দালিচকেও।
“এমন একটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারা আমার জন্য সম্মানের রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জেতা খেলোয়াড় হিসেবে বিদায় নিচ্ছে লুকা মদ্রিচ – একজন ক্রোয়াট, এটা অসাধারণ ব্যাপার। আমি নিশ্চিত এটা তার জন্য একটা কঠিন দিন ছিল।”
সময় কত দ্রুত বদলে যায় - আনসু ফাতি এমনটা ভাবতেই পারেন। এই কয়েক বছর আগেও আনসু ফাতিকে ধরা হচ্ছিল বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ হিসেবে, পেয়েছিলেন লিওনেল মেসির ১০ নম্বর জার্সিও। অথচ এই মৌসুমে ফিট থেকেও তিনি ব্রাত্য থেকে গেছেন হান্সি ফ্লিকের কাছে। ফলে কাতালান ক্লাবটি ছাড়ার সিদ্ধান্তই নিচ্ছেন ফাতি, খবর ইএসপিএনের।
কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, বার্সেলোনা ছেড়ে ফরাসি ক্লাব মোনাকোতে যোগদানের জন্য আলোচনা করছেন, যা কার্যকর হতে পারে এই গ্রীষ্মেই।
আরও পড়ুন
‘আমি হলে মদ্রিচকে ছাড়তাম না, তবে এটাই রিয়ালের নীতি’ |
![]() |
২২ বছর বয়সী ফাতি এই মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে মাত্র তিনটি ম্যাচে ছিলেন শুরুর একাদশে। ফলে ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ থাকলেও ঠিকানা বদল করার ইচ্ছা তার।
মোনাকো অবশ্য শুরুতেই স্থায়ীভাবে দলে টানার পক্ষে নয়। ক্লাবটির ইচ্ছা এক বছর জন্য ধারের চুক্তি করা। এরপর ২০২৬ সালে স্থায়ীভাবে চুক্তিবদ্ধ করা। ফাতি এতে রাজি হলে তার ক্লাব ছাড়ায় কোনো সমস্যা হবে না, গেল শনিবার তা বলে দিয়েছেন কোচ ফ্লিক।
২০১৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেকের পরই হইচই ফেলে দেন ফাতি৷ তাকে ভাবা হচ্ছিল মেসির উত্তরসূরী হিসেবে। তবে একের পর এক চোট আর ছন্দহীনতায় পথ হারান তিনি। মাঝে ২০২৩ সালে এক বছর ধারে খেলেন ইংলিশ ক্লাব ব্রাইটনে।
আরও পড়ুন
বার্সা অধ্যায়ের ইতি টানার পথে ফাতি |
![]() |
ইএসপিএন একই প্রতিবেদনে বলেছে, ফাতি যদি বিদায় নেন, তাহলে উইঙ্গার পজিশনে বার্সেলোনার নজর আছে লিভারপুলের লুইস দিয়াসের দিকে। এছাড়াও তাদের পছন্দের তালিকায় আছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড মার্কাস র্যাশফোর্ডও।
ইচ্ছা ছিল আরও একটি বছর কাটানোর। তবে লুকা মদ্রিচের রিয়াল মাদ্রিদ অধ্যায় শেষ হচ্ছে এই মৌসুমের পরই। স্প্যানিশ ক্লাবটির জার্সিতে লম্বা এক ক্যারিয়ারে দুহাতে পেয়েছেন সাফল্য, সাক্ষী হয়েছেন অজস্র সব ম্যাচের। এর মধ্য থেকে সেরা ম্যাচ বেছে নেওয়াটা কঠিন কাজই৷ তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বিদায়ের ক্ষণে ক্রোয়াট মিডফিল্ডার জানিয়েছেন সেটাই। মদ্রিচ বলেছেন, ২০২২ সালে পিএসজির সাথে জেতা ম্যাচই তার কাছে সেরা।
২০২১/২২ মৌসুমের সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬-তে প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিল রিয়াল। তবে ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে জ্বলে ওঠে কার্লো আনচেলত্তির দল। করিম বেনজেমার দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে লড়াইয়ে জেতা রিয়াল পরে হয় চ্যাম্পিয়নও।
আরও পড়ুন
প্রিমিয়ার লিগেরও সেরা খেলোয়াড় সালাহ |
![]() |
গত শনিবার রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নিজের শেষ ম্যাচের পর মদ্রিচ তুলে ধরেন ম্যাচটিকে সেরা ভাবার কারণ।
“বার্নাব্যুতে আমার সবচে প্রিয় স্মৃতি? তাহলে আমাকে (২০২২ সালে) পিএসজির সাথে ম্যাচের কথাই বলতে হবে। কারণ, এই ম্যাচের আগে আমি বলেছিলাম, আমরা যদি আজ রাতে জিততে পারি… তাহলে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে যাচ্ছি, আর পরে সেটাই হয়েছিল।”
সেবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় ছাড়াও রিয়ালের হয়ে আরও অনেক শিরোপাই জিতেছেন মদ্রিচ। ২৮ শিরোপা নিয়ে ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় তিনিই এখন। ২০১২ সালে যিনি এসেছিলেন সামান্য প্রত্যাশা নিয়ে, ১৩ বছর পর তিনিই রিয়াল ছাড়ছেন ক্লাব কিংবদন্তি হয়ে। মাঝের এই পথচলায় সতীর্থ, সমর্থক থেকে শুরু করে প্রতিপক্ষ সবার ভালোবাসা পেয়েছেন ৩৯ বছর বয়সী মদ্রিচ।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপে রোনালদোকে দেখার আশায় ফিফা সভাপতি |
![]() |
রিয়ালকে বিদায় জানাতে গিয়ে তাই আবেগ ধরে রাখাটা অবশ্য কঠিনই হয়ে যায় মদ্রিচের জন্য।
“সেই সময়টা এসে গেছে, যা আসুক তা আমি চাইনি। তবে এটা লম্বা তবে দুর্দান্ত এক পথচলা ছিল। প্রথমত তাই আমি ক্লাব, সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি এই পুরো সময়ে আমার সব কোচকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, সাথে আমার সব সতীর্থ এবং যারা আমাকে সহায়তা করেছিলেন তাদেরও। আমার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার পরিবারকেও ধন্যবাদ। আমরা অনেক কিছুই জিতেছি, আমাদের দুর্দান্ত কিছু মুহুর্ত ছিল। আপনারা আমাকে বছরের পর বছর ধরে যা কিছু দিয়েছেন, তার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানানোর কোনো শব্দ আমার জানা নেই। আমি শুনেছি এবং পছন্দ করেছি এমন একটি বাক্য বলতে চাই : কান্নাকাটি করবেন না, কারণ এটা শেষ হয়েছে। হাসুন, কারণ এটা ঘটেছে। আলা মাদ্রিদ!”
লস ব্লাঙ্কোসের সাথে অবশ্য আরও কিছুটা সময় থাকছেন মদ্রিচ। আগামী জুনের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে তিনি রিয়ালের হয়ে খেলবেন বলে নিশ্চিত করেছেন নিজেই।
২১ ঘণ্টা আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
২৫ দিন আগে