২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪:৫১ পিএম
শনিবার বিশ্ব দাবা অলিম্পিয়াডের ১০ম রাউন্ডের উন্মুক্ত বিভাগে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইসরায়েল। তবে তার আগেই বাংলাদেশী গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব ঘোষণা দিয়েছেন না খেলার। মূলত প্রতিপক্ষ ইসরায়েল বলেই তিনি এই ম্যাচকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হত্যার প্রতিবাদ হিসেবেই তিনি এই ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শুক্রবার ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন রাজীব। যেখানে তিনি অন্য কয়েকটি দেশের তুলনা টেনে বয়কটের ঘোষণা দেন, “২০২২ সালের চেন্নাই দাবা অলিম্পিয়াড ও ২০২৪ এর হাঙ্গেরি দাবা অলিম্পিয়াডে রাশিয়া ও বেলারুশ দল হিসেবে অংশ নিতে পারেনি। তাহলে বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসরায়েল কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে? শনিবার তাদের খেলা বাংলাদেশের সঙ্গে পড়েছে। আমি বয়কট করলাম।”
ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়াকে বেশ আগে থেকেই ক্রীড়াঙ্গনে নানা ধরণের নিষেধাজ্ঞার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের ক্ষেত্রে আয়োজক কর্তারা বেশ চুপই বলা যায়। এমন আচরণকে সমর্থন দিচ্ছেন না রাজীব। তাই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন খেলা থেকে।
না খেলার বিষয় নিয়ে বেশ কিছু গণমাধ্যমের সাথে খোলাখুলি কথাও বলেছেন রাজীব। ইঙ্গিত দিয়েছেন এমন দুই নীতির পক্ষে তিনি নন, “ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়া ও বেলারুশকে দাবা অলিম্পিয়াডে খেলতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি নিজেদের পতাকা নিয়ে সেদেশের দাবাড়ুদের বিশ্ব আসরে খেলার সুযোগ নেই। দাবার সর্বোচ্চ সংস্থা ফিদে তাদের নিষিদ্ধ করে রেখেছে। যদি তাদের নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে ইসরায়েলকে কেন নয়?”
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮:১৬ পিএম
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:৪২ পিএম
আগে শোকজ করা হয়েছিল। এবার মহিউদ্দিন বুলবুলকে ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি থেকে অব্যাহতিও দিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য গঠিত এই কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন বুলবুলকে অব্যাহতি দিয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জগদীশ চন্দ্র দেবনাথ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
মহিউদ্দিন আহমেদ বুলবুল সার্চ কমিটির একজন সদস্য হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আসছে নির্বাচনে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ঘোষণাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। এই বিষয়টি নজরে আসার পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তাকে শোকজ করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, তার এই কাণ্ডে সার্চ কমিটি তথা সরকারের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং এমন আচরণে সরকার বিব্রত। এছাড়া জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সংগঠন ফোরাম। সেই সংগঠনের কর্মকান্ডেও সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ ছিল বুলবুলের উপর।
মহিউদ্দিন আহমেদ বুলবুল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন কয়েকজন সাবেক পরিচালকের সঙ্গে নিয়ে।
ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক আনম তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক সেবন, ঘুষ, অনিয়মসহ নানা অভিযোগের তীর পরিদপ্তরটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তাই তার অপসারণ চান তারা। তা না হলে আমরন অনশন এবং সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার হুশিয়ারি দিয়েছেন পরিদপ্তরের সকল ক্রীড়া কর্মকর্তারা।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধিনে কাজ করে ক্রীড়া পরিদপ্তর। প্রতিটি জেলা ও বিভাগে সরকারি এই পরিদপ্তর ক্রীড়া অফিসারদের মাধ্যমে খেলার সরঞ্জাম বিতরণ, প্রতিভা অন্বেষণসহ তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করে থাকে। একজন পরিচালকের অধিনে পরিচালিত হয় এসব কার্যক্রম। বর্তমান পরিচালক আ ন ম তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে যেনো অভিযোগের শেষ নেই। চাকরি স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি, পেনশানের ফাইল আটকে রেখে ঘুষ গ্রহণের মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন পরিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। শুধু ঘুষ নয়, বিভিন্ন সময় বিনা কারণে তরিকুল ইসলামের দুর্ব্যবহারের স্বীকার হয়েছেন অনেকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনকে সমর্থন করার জন্যও তার কাছে হেনস্থা হতে হয়েছে কয়েকজনকে বলে দাবি ক্রীড়া কর্মকর্তাদের।
এই ব্যাপারে ঠাকুরগাঁওয়ের এক ক্রীড়া কর্মকর্তা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলন যখন শুরু হয়েছে, আমি আমার বিবেকের তাড়ণায় এই আন্দলনে শরিক হই। এই যে আন্দলনে শরিক হই, এই তথ্যটি তিনি পেয়েছেন। তথ্যটি পাওয়ার পর তিনি আমাকে জুলাই মাসে পর পর তিনটি ‘শো কোজ’ করেছেন বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। এবং গত দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে আমাকে উনি নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে একটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছেন। অবিলম্বে আমরা এই ধরণের পরিচালকের অপসারণ চাই।’
দিনের পর দিন স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে আসছেন এই কর্মকর্তা। তার থেকেও গুরুতর অভিযোগ, মাদকের নেশায় নাকি বুদ হয়ে থাকেন সব সময়। এক ক্রীড়া কর্মকর্তা বলেন, ‘উনার রুমে আমরা কোনো মিটিং করতে পারি না। সারাক্ষণ সিগারেটের ধোয়ায় আচ্ছন্ন থাকে। ধুমপানের দুর্গন্ধে টেকা যায় না। উনার চেহারা দেখলেই যে কেউ বুঝতে পারবে যে উনি নেশা করেন’
তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারিরাও তটস্থ থাকেন তরিকুল ইসলামের ভয়ে। সরকারি ছুটির দিনও তার ব্যক্তিগত কাজ করে দিতে হয়। নাহলে শুনতে হয় কটু কথা। স্বীকার হতে হয় বৈষম্যের বলে দাবি করেছেন অনেকে। একজন বলেন, ‘পরিচালক স্যারের অত্যাচারের কারণে আমি অসুস্থ্য হয়ে পরি। কোনো ছুটি পাই না। আমাকে দিয়ে বিভিন্ন কাজ করান। একদিন অজ্ঞান হয়ে পরি আমি। পরে মন্ত্রণালয়ের লোকজন আমার মাথায় পানি ঢালে।’
এমন অসংখ্য অভিযোগ নিয়ে রোববার ক্রীড়া পরিদপ্তরের বারান্দায় মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা। অংশ নেন পরিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন জেলার ক্রীড়া অফিসার ও সরকারি শারিরীক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষরা।
No recent posts available.