২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:৪২ পিএম
ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক আনম তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক সেবন, ঘুষ, অনিয়মসহ নানা অভিযোগের তীর পরিদপ্তরটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তাই তার অপসারণ চান তারা। তা না হলে আমরন অনশন এবং সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার হুশিয়ারি দিয়েছেন পরিদপ্তরের সকল ক্রীড়া কর্মকর্তারা।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধিনে কাজ করে ক্রীড়া পরিদপ্তর। প্রতিটি জেলা ও বিভাগে সরকারি এই পরিদপ্তর ক্রীড়া অফিসারদের মাধ্যমে খেলার সরঞ্জাম বিতরণ, প্রতিভা অন্বেষণসহ তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করে থাকে। একজন পরিচালকের অধিনে পরিচালিত হয় এসব কার্যক্রম। বর্তমান পরিচালক আ ন ম তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে যেনো অভিযোগের শেষ নেই। চাকরি স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি, পেনশানের ফাইল আটকে রেখে ঘুষ গ্রহণের মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন পরিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। শুধু ঘুষ নয়, বিভিন্ন সময় বিনা কারণে তরিকুল ইসলামের দুর্ব্যবহারের স্বীকার হয়েছেন অনেকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনকে সমর্থন করার জন্যও তার কাছে হেনস্থা হতে হয়েছে কয়েকজনকে বলে দাবি ক্রীড়া কর্মকর্তাদের।
এই ব্যাপারে ঠাকুরগাঁওয়ের এক ক্রীড়া কর্মকর্তা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলন যখন শুরু হয়েছে, আমি আমার বিবেকের তাড়ণায় এই আন্দলনে শরিক হই। এই যে আন্দলনে শরিক হই, এই তথ্যটি তিনি পেয়েছেন। তথ্যটি পাওয়ার পর তিনি আমাকে জুলাই মাসে পর পর তিনটি ‘শো কোজ’ করেছেন বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। এবং গত দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে আমাকে উনি নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে একটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছেন। অবিলম্বে আমরা এই ধরণের পরিচালকের অপসারণ চাই।’
দিনের পর দিন স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে আসছেন এই কর্মকর্তা। তার থেকেও গুরুতর অভিযোগ, মাদকের নেশায় নাকি বুদ হয়ে থাকেন সব সময়। এক ক্রীড়া কর্মকর্তা বলেন, ‘উনার রুমে আমরা কোনো মিটিং করতে পারি না। সারাক্ষণ সিগারেটের ধোয়ায় আচ্ছন্ন থাকে। ধুমপানের দুর্গন্ধে টেকা যায় না। উনার চেহারা দেখলেই যে কেউ বুঝতে পারবে যে উনি নেশা করেন’
তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারিরাও তটস্থ থাকেন তরিকুল ইসলামের ভয়ে। সরকারি ছুটির দিনও তার ব্যক্তিগত কাজ করে দিতে হয়। নাহলে শুনতে হয় কটু কথা। স্বীকার হতে হয় বৈষম্যের বলে দাবি করেছেন অনেকে। একজন বলেন, ‘পরিচালক স্যারের অত্যাচারের কারণে আমি অসুস্থ্য হয়ে পরি। কোনো ছুটি পাই না। আমাকে দিয়ে বিভিন্ন কাজ করান। একদিন অজ্ঞান হয়ে পরি আমি। পরে মন্ত্রণালয়ের লোকজন আমার মাথায় পানি ঢালে।’
এমন অসংখ্য অভিযোগ নিয়ে রোববার ক্রীড়া পরিদপ্তরের বারান্দায় মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা। অংশ নেন পরিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন জেলার ক্রীড়া অফিসার ও সরকারি শারিরীক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষরা।
৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৫ এম
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮:১৬ পিএম
পদোন্নতি পেয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বড় দায়িত্ব পেলেন মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। এখন সচিব হয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই অতিরিক্ত সচিব। গত রোববার এই সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকে পদোন্নতি দিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হলো। 'জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে' বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পদবঞ্চিত ছিলেন রেজাউল মাকসুদ জাহেদী। সরকারের যুগ্ম-সচিব থাকাকালে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। এমনকি কনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে অধস্তন করেও রাখা হয়েছিল তাকে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের ফলে গত সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রেজাউল মাকসুদ জাহেদীকে যুগ্ম-সচিব থেকে পদোন্নতি দিয়ে সরকারের অতিরিক্ত সচিব করা হল।
তিনি ১৯৯৪ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। বিসিএস ১৩ তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্তা জনপ্রশাসনে সৎ ও দক্ষ বলে খ্যাত।
আগে শোকজ করা হয়েছিল। এবার মহিউদ্দিন বুলবুলকে ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি থেকে অব্যাহতিও দিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য গঠিত এই কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন বুলবুলকে অব্যাহতি দিয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জগদীশ চন্দ্র দেবনাথ স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
মহিউদ্দিন আহমেদ বুলবুল সার্চ কমিটির একজন সদস্য হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আসছে নির্বাচনে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ঘোষণাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। এই বিষয়টি নজরে আসার পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তাকে শোকজ করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, তার এই কাণ্ডে সার্চ কমিটি তথা সরকারের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং এমন আচরণে সরকার বিব্রত। এছাড়া জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সংগঠন ফোরাম। সেই সংগঠনের কর্মকান্ডেও সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ ছিল বুলবুলের উপর।
মহিউদ্দিন আহমেদ বুলবুল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন কয়েকজন সাবেক পরিচালকের সঙ্গে নিয়ে।
No recent posts available.