বয়স ৩৮ পেরোলেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন নোভাক জোকোভিচ। তবে ম্যাচ ফিটনেসের কিছুটা ঘাটতি দেখা যাচ্ছে কোর্টে। ইউএস ওপেনের প্রথম রাউন্ডেই যেমন ১৯ বছর বয়সী আমেরিকান তরুণ লার্নার টিয়েনের বিপক্ষে জিতলেও, ম্যাচজুড়ে শারীরিকভাবে ভুগেছেন সার্বিয়ান এই কিংবদন্তি।
টিয়েনকে ৬-১, ৭-৬ (৭-৩), ৬-২ গেমে হারিয়েছেন জোকোভিচ। তবে দ্বিতীয় সেটে ছন্দ হারিয়ে ফেলেন তিনি । আর্দ্র আবহাওয়ায় কোর্টে টিকে থাকতেই কষ্ট হচ্ছিল তার। টাইব্রেকারে সেট জয়ের পর পায়ে সমস্যার কারণে চিকিৎসাও নিতে হয় তাকে।
তবে ম্যাচ শেষে জোকোভিচ বলেন,
“কোনো ইনজুরি নেই। তবে দীর্ঘ র্যালি চালিয়ে যেতে, পয়েন্টের পর দ্রুত রিকভারি করতে কষ্ট হচ্ছিল। ছয় সপ্তাহ কোনো ম্যাচ খেলিনি। প্রথম সেটে ভালো খেলেছি, কিন্তু দ্বিতীয় সেটে কোর্টে টিকে থাকার লড়াই করতে হয়েছে।”
গ্র্যান্ড স্ল্যাম টেনিসে জোকোভিচের এটি টানা ৭৫তম প্রথম রাউন্ড জয়, যা ওপেন যুগে রেকর্ড। উইম্বলডনের সেমিফাইনাল হারের পর এটি ছিলো জোকোভিচের প্রথম অফিসিয়াল ম্যাচ।
আরও পড়ুন
ইউএস ওপেনেও আলকারাজ-সিনারের ধ্রুপদী দ্বৈরথ |
![]() |
২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী এই কিংবদন্তি সপ্তম বাছাই হিসেবে খেলছেন এবারের ইউএস ওপেনে। বর্তমানে জোকোভিচ শুধুই গ্র্যান্ড স্ল্যামে মনোযোগ দিচ্ছেন, এড়িয়ে যাচ্ছেন ছোট টুর্নামেন্টগুলো। এবারের ইউএস ওপেনের আগে টরন্টো ও সিনসিনাটির মাস্টার্স খেলেননি তিনি।
দর্শকদের উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জোকোভিচ বলেন,
“লার্নারের বয়সটা যদি আমার থাকত! ত্রিশের শেষ ভাগে এসে আসল ব্যাপার হলো এনার্জি বাঁচিয়ে রাখা। এখনও আমার ড্রাইভ আছে, ফ্লেয়ার আছে। আর তোমরা (দর্শকরা) আমাকে এনার্জি দাও। আশা করি এভাবে চালিয়ে যেতে পারব।”
২৫ আগস্ট ২০২৫, ৭:১৬ পিএম
ইউএস ওপেনের নতুন আসরে দারুণ সূচনা করলেন স্প্যানিশ স্পেনের তারকা কার্লোস আলকারাজ। নিউইয়র্কের ফ্লাশিং মিডোতে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রেইলি ওপেলকাকে সরাসরি সেটে ৬-৪, ৭-৫ ও ৬-৪ গেমে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছেন বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ২ নম্বর খেলোয়াড় আরকারাজ।
২০২২ সালের ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন আরকারাজ। তিন বছর আগে জেতা সেই শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে এগোচ্ছেন তিনি।
শক্তিশালী সার্ভিসের জন্য খ্যাত ওপেলকার বিপক্ষে এদিন আলকারাজ ছিলেন নিখুঁত। আনফোর্সড এরর ছিল মাত্র ১৭টি। প্রথম সার্ভে ৫৮টির মধ্যে ৫০টিতে পয়েন্ট জিতেছেন। তিনটি ব্রেক পয়েন্ট বাঁচানোর পাশাপাশি তিনি ওপেলকার সার্ভ ভেঙেছেন তিনবার। গ্র্যান্ড স্ল্যামের প্রথম রাউন্ডে তার রেকর্ড এখন ১৯-০।
আরও পড়ুন
বিতর্ক-খেলা বন্ধ, প্রথম রাউন্ডে বিদায় সাবেক চ্যাম্পিয়নের |
![]() |
তবে শুধু কোর্টের পারফরম্যান্স নয়, ফ্লাশিং মিডোতে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল আলকারাজের নতুন বাজ কাট হেয়ারস্টাইল। ২২ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ তারকা এবার হাজির হয়েছেন একেবারে নতুন লুকে, মাথা শেভ করা অবস্থায়।
গত সপ্তাহে ইউএস ওপেনের মিক্সড ডাবলসে মাথাভর্তি চুলে দেখা গিয়েছিল আলকারাজকে। সিঙ্গেলসে কোর্টে নামার আগে তার নতুন চেহারা নিয়ে তাই বেশ কৌতূহল তৈরি হয় দর্শকদের মধ্যে। এমনকি গলফ তারকা ররি ম্যাকইলরয়ও মজা করে তার মাথা ছুঁয়ে দেখেন।
টেনিস কিংবদন্তি জন ম্যাকেনরো ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে আলকারাজের নতুন লুক নিয়ে রসিকতা করেন।
“প্রথমেই বলি, তার হেয়ারকাটটা। এটা কি স্পেনে তার হেয়ার স্টাইলিস্ট দিয়েছেন? যাকে উইম্বলডনেও এনেছিলেন। নাকি নিউইয়র্কেই করিয়েছেন? কারণ শহরে তো এই বাজ কাট মাত্র ২০ ডলারে করানো যায়।”
ম্যাচ শেষে আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে দর্শকদের উদ্দেশ্যে হেয়ারকাট নিয়ে রসিকতা করেন আলকারাজ নিজেও।
“আমাকে দর্শকদের জিজ্ঞাসা করতে হবে, নতুন হেয়ারকাটটা ভালো লেগেছে কি না। ভালো লেগেছে, তাই তো?”
উত্তরে উল্লাস ভেসে ওঠে গ্যালারিতে। তাই তো আলকারাজ বলেন, 'আমার মনে হচ্ছে, ওরা পছন্দ করেছে।'
ইউএস ওপেনে প্রথম রাউন্ডেই থেমে গেল দানিয়েল মেদভেদেভের যাত্রা। ফরাসি বেঞ্জামিন বনজির কাছে ৬-৩, ৭-৫, ৬-৭ (৫-৭), ০-৬, ৬-৪ গেমে হেরে গেছেন টুর্নামেন্টের ২০২১ সালের চ্যাম্পিয়ন। হারের হতাশায় মেজাজ হারিয়ে নিজের র্যাকেট ভেঙে ফেলেন ১৩ নম্বর বাছাই মেদভেদেভ।
এই ম্যাচে ঘটে যায় এক নাটকীয় ঘটনা। ম্যাচ চলাকালীন কোর্টে ঢুকে পড়েন এক ফটোগ্রাফার। এ ঘটনায় প্রায় সাত মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। ফরাসি খেলোয়াড় বনজি তখন ম্যাচ জয়ের জন্য সার্ভ করছিলেন (৬-৩, ৭-৫, ৫-৪)।
চেয়ার আম্পায়ার গ্রেগ অ্যালেনসওর্থ ঘোষণা দেন, বিলম্বের কারণে বনজি আবার প্রথম সার্ভ পাবেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ার আম্পায়ারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মেদভেদেভ। এরপর দর্শকদের উসকে দেন তিনি, এতে উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। পরে বনজি ডাবল ফল্ট করলে মেদভেদেভ সেই সেট উদ্ধার করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ নিজের করে নেন ফরাসি তারকাই।
এই হারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে শেষ হলো মেদভেদেভের ২০২৫ সালের গ্র্যান্ড স্লাম মৌসুম। টানা তৃতীয়বার প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিলেন তিনি। এ বছর কেবল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেই প্রথম রাউন্ড জিতেছিলেন রাশিয়ান তারকা, তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে যান লার্নার টিয়েনের কাছে।
ম্যাচ শেষে বনজি বলেন, 'এমন অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি। পরিবেশ ছিল ভীষণ উত্তপ্ত, কিন্তু মনোযোগ ধরে রেখে শেষ পর্যন্ত জিততে পেরেছি।'
মেদভেদেভ বললেন, 'আমি ফটোগ্রাফারের ওপর রাগ করিনি, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের ওপর বিরক্ত হয়েছিলাম। দর্শকসারিতে শব্দ হলে কখনও দ্বিতীয় সার্ভ দেওয়া হয় না। কিন্তু এবার আম্পায়ার আবার প্রথম সার্ভ দিলেন। এ কারণেই আমি ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম।'
এদিকে মাঠে ঢুকে পড়ায় কপাল পুড়েছে সেই ফটোগ্রাফারের। কোর্ট থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয় এবং তার অনুমতিপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড স্টেটস টেনিস অ্যাসোসিয়েশন (ইইউএসটিএ)।
বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম শুরু হচ্ছে আজ। ইউএস ওপেন শুরুর আগে আলোচনাটা চলছেই- এবারও কি আলকারাজ-সিনারের ধ্রুপদী লড়াই? টেনিসের ‘বিগ থ্রি’ এখন অতীত। হার্ড কোর্ট, ক্লে কোর্ট, ঘাসের কোর্ট-সবখানেই এখন আলকারাজ-সিনারের দ্বৈরথ।
আলোচনা হওয়াটাও তাই স্বাভাবিক। শুধু চলতি বছরে এ পর্যন্ত চারটি ফাইনালে দেখা হয়েছে কার্লোস আলকারাজ ও ইয়ানিক সিনারের। এর মধ্যে দুই গ্র্যান্ড স্লাম- ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডনে কাব্যিক দুই ফাইনাল দেখেছে ভক্তরা। তবে চার ফাইনালের মধ্যে ফ্রেঞ্চ ওপেন, এটিপি মাস্টার্স সিনিসিটি ও রোমে সিনারকে হারিয়ে ট্রফি জেতেন স্প্যানিশ তারকা আলকারাজ। তাঁকে হারিয়ে উইম্বলডন জেতেন ইতালিয়ান তারকা সিনার।
রাফায়েল নাদাল ও রজার ফেদেরার প্রতিযোগিতা ছেড়ে দিয়েছেন। বড় তিনের শেষ সদস্য নোভাক জোকোভিচ খেলা চালিয়ে গেলেও তাঁর ক্যারিয়ার এখন সায়াহ্নে। গগনে নতুন তারা এখন আলকারাজ-সিনার। র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দুই তারকার সম্প্রতি পারফরম্যান্স যেন সেই প্রশ্নই রাখছে, চোটমুক্ত ও ফিটনেস ঠিক থাকলে ইউএস ওপেনে ‘সিনকারাস’ ফাইনাল হবে না কেন?
ইউএস ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিনার। ২০২২ সালে আলাকারাজও জিতেছেনে একবার। মজার ব্যাপার, সাম্প্রতিক ইতিহাস বলছে চারটি গ্র্যান্ড স্লামের মধ্যে ইউএস ওপেনে নতুন কেউ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রবণতা বেশি!
তুলনামূলক ধীরগতির হার্ড কোর্ট, আর্দ্র আবহাওয়া এবং ব্যস্ত মৌসুমের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম হওয়ায় টানা সাত বছরে ছয়জন ভিন্ন ভিন্ন চ্যাম্পিয়ন পাওয়া গেছে। শুধু জোকোভিচই এ সময়ে দুবার শিরোপা জিতেছেন। যদিও এখন তাঁর বয়স ৩৮, তবুও এই সার্বিয়ান কিংবদন্তিই রয়ে গেছেন সিনার ও আলকারাজকে থামানোর দাবিদার হিসেবে।
জার্মানির তৃতীয় বাছাই আলেকজান্ডার জভেরেভ এখনও কোনো গ্র্যান্ড স্লাম জিততে পারেননি। তাঁর সামর্থ্য থাকলেও সেরা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা যায়। এই বাধা কাটাতে তিনবারের গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালিস্ট জভেরেভ সম্প্রতি টনি নাদালের শরণাপন্ন হয়েছেন—যিনি রাফায়েল নাদালের চাচা ও কোচ ছিলেন।
আরও পড়ুন
ফতুল্লা মাঠ দেখে আমার খুব কান্না পাচ্ছিল: বুলবুল |
![]() |
ভাতিজা রাফায়েল নাদাল ২২টি গ্র্যান্ড স্লামের মধ্যে ১৬টিতে চ্যাম্পিয়ন হয় টনির অধীনে। উইম্বলডনের প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যাওয়ার পর জভেরেভ গিয়েছিলেন মায়োর্কায় নাদালের একাডেমিতে। সেখানেই তিনি জানান, মানসিকভাবে কঠিন সময় থেকে বেরিয়ে আসতে তিনি মনোবিজ্ঞানীর সহায়তা নিচ্ছেন।
টনি নাদাল বিবিসি স্পোর্টকে টনি বলেন,
‘অবশ্যই আলকারাজ ও সিনারকে হারানো সহজ নয়। কিন্তু অন্য অনেকের চেয়ে তার (জভেরেভ) তাদের হারানোর সম্ভাবনা বেশি। এটাই আমি তাকে বুঝিয়েছি।’
আলকারাজ ও সিনারকে হারানো কঠিন হলেও সম্ভব বলছেন টনি,
‘সবাই ভাবে আলকারাজ ও সিনারকে হারানো কঠিন। কিন্তু আমি তাকে বলেছি, রাফায়েল, রজার ফেদেরার ও জকোভিচও অন্তত সিনার বা আলকারাজের মতোই শক্তিশালী ছিলেন। তবুও সেই সময়ে ওয়ারিঙ্কা ও মারে তিনটি করে গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিল। সব সময় সুযোগ থাকবে, তবে প্রতিটি সুযোগেই তাকে মানসিকভাবে বিশাল লড়াই চালাতে হবে।’
আমেরিকানদের মধ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছেন চতুর্থ বাছাই টেলর ফ্রিটজ, যিনি গত বছর ফাইনালে সিনারের কাছে হেরেছিলেন। এ ছাড়া ২০২৩ সালের সেমিফাইনালিস্ট বেন শেল্টনও আছেন আলোচনায়।
যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকেরা অপেক্ষায় আছেন ২০০৩ সালে অ্যান্ডি রডিকের পর প্রথম কোনো মার্কিন পুরুষ চ্যাম্পিয়ন দেখার জন্য। ব্রিটিশ নাম্বার ওয়ান জ্যাক ড্রেপারের কাছ থেকেও অনেক প্রত্যাশা। গত বছর তিনি দুর্দান্ত এক গ্র্যান্ড স্লামে সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছিলেন। তবে ২৩ বছর বয়সী বাঁহাতি এই খেলোয়াড় হাতেরে চোটের কারণে ভুগছেন এবং জুলাইয়ে উইম্বলডনের শুরুতেই বিদায় নেওয়ার পর আর সিঙ্গেলস খেলেননি।
আজ প্রথম রাউন্ডে কোর্টে নামছেন শেল্টন, ফ্রিটজ, শেভচেঙ্কোরা। কাল জোকোভিচ. পরশু আলকারাজ-সিনারদের ইউএস ওপেনের অভিযান শুরু হবে।
ফুটবলের প্রতি আগেও প্রকাশ করেছেন নিজের আগ্রহ। সেই ভালোলাগার দিগন্ত আরও সম্প্রসারিত করলেন টেনিসের কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচ। ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিভাগে খেলা ফুটবল ক্লাব লে মানস এফসি-এর আংশিক মালিকানা কিনেছেন।
সার্বিয়ান টেনিস গ্রেটের সাথে ক্লাবটির মালিকানায় আরও অংশ নিয়েছেন সাবেক ফর্মুলা ওয়ান রেসার ফেলিপে মাসা এবং কেভিন ম্যাগনুসেনও। গট শুক্রবার এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি ক্লাবটি।
তাদের এই বিনিয়োগের নেতৃত্ব দিচ্ছে ব্রাজিলিয়ান প্রতিষ্ঠান ‘আউটফিল্ড’, যারা একটি আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম। জোকোভিচের মত একজনকে মালিকানায় পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে লে মানস।
“ইতিহাসের সবচেয়ে সফল টেনিস খেলোয়াড় জোকোভিচের মানসিক দৃঢ়তা এবং তার ব্যতিক্রমী দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের ক্লাবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই যোগ করবে।”
জোকোভিচদের এই বিনিয়োগ লে মানস ক্লাবের একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ। তাদের মূল লক্ষ্য ফরাসি ফুটবলের শীর্ষ স্তর লিগ ওয়ানে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। গত ১০ বছরে ক্লাবটি চারবার ভিন্ন ভিন্ন বিভাগ থেকে উন্নতি লাভ করেছে। সেই ধারায় এবার তারা এবার লিগ ২-এ খেলার সুযোগ পেয়েছে।
উল্লেখ্য, লে মানস ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রথম বিভাগে খেলেছি। তবে ২০১৩ সালে আর্থিক সংকটে পড়ে ক্লাবটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। ধাপে ধাপে এখন তারা উন্নতির পথে।
চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ভারতের টেনিস অঙ্গনে। দেশটির ২৫ বছর বয়সী টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা ইয়াদাভ গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গুরগাঁওয়ে নিজ বাড়িতে বাবার করা গুলিতে নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনার জেরে আদালত শনিবার রাধিকার বাবা দীপক ইয়াদাভকে ১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতে পাঠিয়েছে। ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তায় ও মুখ ঢাকা অবস্থায় তাকে আদালতে আনা হয়।
গুরগাঁও পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রথমে তারা একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তারা খবর পান যে, একজন তরুণী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এরপর তারা হাসপাতাল পৌঁছালে সেখানে গিয়ে শুধু রাধিকার চাচা কুলদীপ ইয়াদাভকে পাওয়া যায়। রাধিকার বাবা-মা কেউই ছিলেন না সেখানে।
রাধিকার চাচা কুলদীপের অভিযোগের ভিত্তিতে গুরগাঁও থানায় খুনের ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়। সেখানে তিনি জানান, রাধিকার বাবা দীপক তার মেয়ে রাধিকার টেনিস অ্যাকাডেমি চালানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরক্ত ছিলেন। কারণ, তার মানা সত্ত্বেও রাধিকা অ্যাকাডেমি বন্ধ করেননি।
আইটিএফ-এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, রাধিকা তার ক্যারিয়ারে মোট ৩৬টি একক এবং ৭টি দ্বৈত ম্যাচ খেলেছেন। তিনি সবশেষ ২০২৪ সালের মার্চ মাসে একক, আর তার আগের বছরের জুনে দ্বৈত ম্যাচ খেলেছিলেন।
চলতি বছর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে দূরে থাকলেও রাধিকা গুরগাঁওয়ে নিজের টেনিস অ্যাকাডেমিতে কোচ হিসেবে কাজ করছিলেন। আর এটাই শেষ পর্যন্ত বাবা-মেয়ের দ্বন্দ্বের মূল বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
গুরগাঁও থানা ইনচার্জ (এসএইচও) ইন্সপেক্টর বিনোদ কুমার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তুলে ধরেন রাধিকার হত্যার পেছনের ঘটনা।
“দীপক (রাধিকার বাবা) কিছুদিন ধরেই মানসিকভাবে বেশ ভেঙে পড়েছিলেন। প্রতিবেশীরা তার মেয়ের উপার্জন নিয়ে কটাক্ষ করে বলত যে, এই বাড়ি মেয়ের টাকায় চলে, তিনি মেয়ের ওপর নির্ভরশীল। ক্ষোভ থেকে বারবার তাই তিনি মেয়েকে অ্যাকাডেমি বন্ধ করতে বলেছিলেন, কিন্তু রাধিকা তাতে রাজি হয়নি। শেষ পর্যন্ত তিনি আর সহ্য করতে পারেননি।”
পুলিশ আরও জানিয়েছে, দীপকের আয়ের উৎস বাড়ি ভাড়া থেকে পাওয়া সামান্য কিছু অর্থ।
অন্যদিকে ভারতের টিভি চ্যানেল এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপক স্বীকার করে নেন যে, তিনিই মেয়েকে পিছন থেকে তিন বার গুলি করেন। কারণ, রাধিকা তার কথা অমান্য করে অ্যাকাডেমি চালিয়ে যাচ্ছিল।