
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগে বড় ধাক্কা খাওয়া বাংলাদেশকে মাঠে নামতে হচ্ছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। দারুণ ফর্মে থাকা এই বাঁহাতি ব্যাটার কুঁচকির চোটে ছিটকে গেছেন এই ম্যাচ থেকে। তার জায়গায় নিজের শততম ওয়ানডে ম্যাচে অধিনায়কত্ব করবেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭৭ রান করা শান্তরা জায়গায় দলে এসেছে টপ অর্ডার ব্যাটার জাকির হাসান। একাদশে পরিবর্তন এসেছে আরেকটি। পেসার তাসকিন আহমেদের জায়গায় এই ম্যাচ খেলবেন নাহিদ রানা। আগেই টেস্ট অভিষেক হয়ে যাওয়া এই তরুণ পেসারের এবার হচ্ছে সাদা বলের অভিষেক।
আরও পড়ুন
| ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকেও ছিটকে গেলেন শান্ত |
|
তিন ম্যাচের সিরিজে সমতা ১-১। তৃতীয় ম্যাচটি সরাসরি দেখতে চোখ রাখুন টি-স্পোর্টস নেটওয়ার্কে।
বাংলাদেশ একাদশ :
মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, জাকির হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলি অনিক,, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, নাহিদ রানা।
No posts available.
৩ নভেম্বর ২০২৫, ৭:২৮ পিএম
৩ নভেম্বর ২০২৫, ৬:২১ পিএম
৩ নভেম্বর ২০২৫, ৬:১৪ পিএম
৩ নভেম্বর ২০২৫, ৫:০০ পিএম

২০২৬
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের
পর আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব ছাড়ছেন জনাথন ট্রট। আজ এক বিবৃতিতে
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)।
বিবৃতিতে
বলা হয়েছে, কোচিং পরিবর্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সময়ের সঙ্গে
দল যেমন বিকশিত হয়, তেমনি নেতৃত্ব ও কৌশলগত দিকেও পরিবর্তন আসে। এই সিদ্ধান্ত আফগানিস্তান
দলের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ।
ইংল্যান্ডের
সাবেক ব্যাটার ট্রট ২০২২ সালের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের দায়িত্ব নেন। তাঁর মেয়াদকালে
দলটি ওয়ানডেতে ৪৩ ম্যাচ খেলে ২০ জয় এবং টি–টোয়েন্টিতে ৬১ ম্যাচে ২৯ জয় পেয়েছে।
ট্রটের
মেয়াদকালে আফগানিস্তান বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপে একাধিক স্মরণীয় জয় পায়। অস্ট্রেলিয়া ও
পাকিস্তানের মতো দলকে হারিয়েছে তারা। বিশেষ করে বড় দলগুলোর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ
পারফরম্যান্সে চোখে পড়ার মতো।
প্রথম
মেয়াদে ১৮ মাস দায়িত্ব পালন করেন ট্রট, যা ২০২৪ সালে আরও এক বছর বাড়ানো হয়, পরে আবার
২০২৫ সাল পর্যন্ত নবায়ন করা হয়।
ভারত
ও শ্রীলঙ্কায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি–মার্চে হবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওই টুর্নামেন্টই ট্রটের
আফগানিস্তানের সঙ্গে শেষ দায়িত্ব হিসেবে ধরা হচ্ছে।

জয়ের জন্য প্রয়োজন ১ রান। স্ট্রাইকে সাব্বির রহমান। নাহিদুল ইসলামের বলে ওয়াইড লং দিয়ে উড়িয়ে মারলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। এক দিন বাকি থাকতেই জিতে গেল রাজশাহী বিভাগ। অন্য ম্যাচে সেঞ্চুরির জন্য ৭ রানের অপেক্ষায় মুশফিকুর রহিম।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে খুলনাকে ৭ উইকেটে হারায় রাজশাহী। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০৯ রানের লক্ষ্য তারা ২৩.৫ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলে।
দুই ম্যাচে এটিই রাজশাহীর প্রথম জয়। প্রথম রাউন্ডে জেতা খুলনা এবার পেল পরাজয়ের তেতো স্বাদ।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২১ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। শাকির হোসেন শুভ্রর ৮৯ রানের ভর করে ২৬৮ রানে থামে রাজশাহী। দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনা অলআউট হয় ২৫৫ রানে। খুলনার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০৯ রানের।
প্রথম ইনিংসে ৫ রানে ৩ ও পরেরবার ৩৬ রানে ২ উইকেট নেওয়া এসএম মেহেরব হাসান জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এছাড়া প্রথম ইনিংসে ২৬ রান করেন তরুণ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে তৃতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ঢাকার চেয়ে ৫০ রানে পিছিয়ে সিলেট। ঢাকার ৩১০ রানের জবাবে সিলেটের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৬০ রান।
বাকিদের ব্যর্থতার ভিড়ে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৭০ বলে ৯৩ রানে অপরাজিত মুশফিক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৯তম সেঞ্চুরির আশায় মঙ্গলবার ব্যাট করতে নামবেন তিনি।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম ও বরিশাল ম্যাচে সোমবার খেলা হয় মাত্র ১৫ ওভার। চট্টগ্রামের ৩৫৮ রানের জবাবে বরিশালের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৬৬ রান।
কক্সবাজারের একাডেমি মাঠে ভেজা আউটফিল্ডের কারণে সোমবার একটি বলও হয়নি। ময়মনসিংহের ৬ উইকেটে ৫৫৫ রানের জবাবে রংপুরের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৮ রান।

আইসিসি লিগ টু-এর ম্যাচে রীতিমতো লজ্জার রেকর্ড গড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুবাইয়ে আজ যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়েছিল আলিশান শরাফুরা। যেখানে অতিথিদের ২৯২ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪৯ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বনিম্ন দলীয় রান। এর আগে ২০২৩ সালে নেপালের বিপক্ষে তারা ৭১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বনিম্ন দলীয় স্কোরের রেকর্ড জিম্বাবুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের, যারা ৩৫ রানে অলআউট হয়েছিল।
দুবাইয়ে আজ টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পার্টনারশিপের রেকর্ড গড়েন সাইতেজা মুক্কামল্লা ও মিলিন্দ কুমার। সেঞ্চুরি তুলে নেন দুই ব্যাটারই; গড়েন অপরাজিত ২৬৪ রানের জুটি।
সাইতেজা ১৪৯ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেন, যাতে ছিল ১০টি চার ও তিনটি ছক্কা। মিলিন্দ ১২৫ বলে অপরাজিত ১২৩ রান করেন, তার ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও একটি ছক্কা।
দুই ব্যাটারের বীরত্বে যুক্তরাষ্ট্রের দলীয় স্কোর গিয়ে ঠেকে ২৯২ রানে। যদিও এদিন ২৮ রানের মধ্যেই তিনটি উইকেট হারিয়েছিল অতিথিরা। ব্যক্তিগত ৫ রানে আউট হন স্মিথ প্যাটেল, ২ রানে শায়ান জাহাঙ্গীর, আর মোনাক প্যাটেল করেন ১৫ রান।
জবাব দিতে নেমে ১৬ রানে ৭ উইকেট হারায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০ রান আসে জুনাইদ সিদ্দিকীর ব্যাট থেকে। দুই অঙ্কের রান করতে সক্ষম হন একমাত্র এই ডানহাতি পেসার। তিনজন ব্যাটার আউট হন শূন্য রানে, আর দুইজন করেন মাত্র ১ রান করে। সবমিলিয়ে ৪৯ রানে থেমে যায় আমিরাতের ইনিংস।
যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন রুশিল উগারকার। সৌরভ নেত্রভালকরের দখলে ছিল আরও ৩টি উইকেট।

প্রথম টি-টোয়েন্টি হেরেও পরের দুই ম্যাচে দারুণ জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কাল থেকে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। যার সৌজন্যে ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে।
ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচই হবে ফয়সালাবাদে। ২০০৮ সালের পর প্রথমবার এই মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে। চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ সিরিজে দুটি টি-টোয়েন্টি আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও সীমান্ত উত্তেজনার কারণে সূচি বদলে যায়।
ইকবাল স্টেডিয়ামে সবশেষ আন্তর্জাতি হয়েছিল ২০০৮ সালের ১১ এপ্রিল, সেই ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারায় পাকিস্তান। এই ভেন্যুতে এখন পর্যন্ত ১৬টি ওয়ানডে হয়েছে। এর মধ্যে চারটি বিশ্বকাপ ম্যাচ রয়েছে—একটি ১৯৮৭ বিশ্বকাপে এবং তিনটি ১৯৯৬ বিশ্বকাপে।
পাকিস্তান এই মাঠে ১২ ওয়ানডে খেলেছে, যার মধ্যে ৯টি জয় এবং ৩টি হার। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা এখানে ৫টি ওডিআই খেলেছে, যার মধ্যে ২টি জয় এবং ৩টি হার। দুই দলের মধ্যে মোট ৮৭টি ওডিআই ম্যাচ হয়েছে, পাকিস্তান ৩৪টি জিতেছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ৫২টি জিতেছে। পাকিস্তানে, ১৬টি ম্যাচে দুই দল সমানভাবে ৮টি করে জিতেছে।
ফয়সালাবাদে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা তিন ওয়ানডে খেলেছে। পাকিস্তান দুটি ম্যাচে জিতেছে (১৯৯৪ ও ২০০৭ সালে), দক্ষিণ আফ্রিকা একবার জিতেছে (২০০৩ সালে)।
ফয়সালাবাদে ক্রিকেট ফেরার দিনে ওয়ানডে নেতৃত্বে অভিষেক হবে শাহিন শাহ আফ্রিদির। ইকবাল স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলনৈ শেষে এই বাঁহাতি পেসার বললেন, ‘১৭ বছর পর ফয়সালাবাদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরে আসায় খুব রোমাঞ্চ অনুভব করছি। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভালো খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো খেলেছে দল, সেই ধারাবাহিকতা আমরা ওয়ানডেতেও চালিয়ে যেতে চাই।’
ওয়ানডে সিরিজের সূচি
নভেম্বর ৪ – প্রথম ওয়ানডে, ফয়সালাবাদ
নভেম্বর ৬ – দ্বিতীয় ওয়ানডে, ফয়সালাবাদ
নভেম্বর ৮ – তৃতীয় ওয়ানডে, ফয়সালাবাদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে পাওয়া চোটে প্রায় ৩ সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেলেন নুরুল হাসান সোহান। এছাড়া বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামকেও প্রায় ২ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে।
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি অবশ্য এখনই কোনো সিদ্ধান্তে যেতে চান না। যথাযথ পরীক্ষানিরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর টি স্পোর্টসকে তিনি বলেছেন, সোহান ও শরিফুলকে আপাতত ১০ দিনের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।
“সোহান, শরিফুলের ক্ষেত্রে একই আপডেট। দুজনকেই সামনের ১০ দিন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই সময়ে তাদের ফিজিওথেরাপি চলতে থাকবে। ১০ দিন পর আমার তাদের অবস্থা পর্যালোচনা করব। পরে কোনো সিদ্ধান্ত জানা যাবে।”
তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ডান পায়ের গোড়ালি মচকে যাওয়া সোহান প্রায় ৩ সপ্তাহ খেলাধুলা সম্পর্কিত কিছু করতে পারবেন না। যার ফলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সামনের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুর দিকে হয়তো পাওয়া যাবে না অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটারকে।
আর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে শরিফুলকে ২ সপ্তাহ খেলাধুলা থেকে দূরে থাকতে হবে। আগামী ২১ নভেম্বরে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ম্যাচ দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে তরুণ বাঁহাতি পেসারের।
চট্টগ্রামে গত শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ইনিংসের ১১তম ওভারে হঠাৎ গোড়ালিতে চেপে মাঠেই লুটিয়ে পড়েন সোহান। তৎক্ষনাৎ দৌড়ে আসেন ফিজিও। পরে প্রাথমিক শুশ্রূষা নিয়েও অবস্থার উন্নতি না ঘটায় স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নেওয়া হয় তাকে।
এছাড়াও ম্যাচ চলাকালে হ্যামস্ট্রিংয়ের অস্বস্তির কথা জানান শরিফুল। ম্যাচে ২ ওভার বল করে মাত্র ১২ রান দেন তিনি। কিন্তু চোটের কারণে আর বোলিংয়ে দেখা যায়নি তাকে।