বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে অনেক। তবে সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজেআই’ বিমান বিধ্বস্ত হওয়াটা হৃদয় বিদারক! সোমবার উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় মেট্রোরেলের স্টেশনের কাছে থাকা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর বিমান বিধ্বস্ত হয়।
বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই আগুন ধরে যায় বিমানে। অনেক দূর থেকেও সেখানে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। জ্বলন্ত বিমানের আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট। তবে মাইলস্টোন কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ায় স্কুলের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ।
আরও পড়ুন
মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনা : শোক প্রকাশ বিসিবি-বাফুফের |
![]() |
দুর্ঘটনাস্থল থেকে অনেককে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়। তাদের একটি অংশকে প্রাথমিকভাবে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল, কুর্মিটোলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দগ্ধদের অধিকাংশকে পাঠানো হয় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ভয়াবহ ঘটনায় দগ্ধ শতাধিক মানুষের স্বজনদের কান্নায় আজ ভারি হয়ে উঠেছে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আঙিনা। সন্তান, নাতি, ভাই-বোনের জন্য স্বজনদের আহাজারি ও আর্তনাদে চারপাশে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি করেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থালে সাংবাদিকদের বলেন, তাদের কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৯ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। অর্ধশতাধিক আহত ও দগ্ধকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় আগামীকাল রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানিয়েছে, শোক পালনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দেশের সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
২৪ জুলাই ২০২৫, ৬:৪৫ পিএম
২১ জুলাই ২০২৫, ৪:৫২ পিএম
১০ জুলাই ২০২৫, ৫:১২ পিএম
রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে ১৮তম জাতীয় উশু চ্যাম্পিয়নশিপের। বিকেলে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম, এনডিসি। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের সভাপতি মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান, এডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব উশুর জন্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে গেলে উশুর সুদিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে উশুর দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিশেষ করে এসএ গেমস ও ইসলামীক সলিডারিটি গেমসে স্বর্ণপদক জিততে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিচ্ছি আমরা।’
উশুর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক দিলদার হাসান দিলু বলেন, ‘ফেডারেশন চেষ্টা করছে ঢাকার অদূরেই উশুর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও আধুনিক ক্রীড়া স্থাপনা তৈরির জন্য কাজ করছি আমরা। তাহলে এই খেলাটা আর পেছনে পড়ে থাকবে না। উঠে আসবে অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড়।’
বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন কতৃক আয়োজিত ১৮তম জাতীয় উশু প্রতিযোগিতার খেলা গত ২৩ জুলাই শুরু হয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতার সমাপনী আগামি ২৭ জুলাই।
এবারের প্রতিযোগিতায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি এবং বিকেএসপি সহ মোট ২৮টি দলের প্রায় ৪১৮ জন ক্রীড়াবিদ, কোচ ও কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। পুরুষ ও নারী মিলিয়ে এবার রয়েছে ২৭টি স্বর্ণ পদক ইভেন্ট। এরমধ্যে সান্দা ফাইটে ১৯টি এবং তাওলুতে ৮টি ইভেন্ট। প্রতিযোগিতার শেষে বিভিন্ন শ্রেণিতে সর্বমোট ১০৮টি পদক (স্বর্ণ, রৌপ্য ও তাম্র) প্রদান করা হবে।
বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে প্রতিটি স্বর্ণপদক বিজয়ীকে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় ইলেকট্রনিক পণ্য উপহার দেওয়া হবে। দলীয় চ্যাম্পিয়নদের জন্য রয়েছে ট্রফি। সকল প্রতিযোগীকে টি-শার্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হবে বলে জানান আয়োজকরা।
প্রতিযোগিতার সমাপনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের সম্মানিত কালচারাল কাউন্সিলর জনাব লী শাওপেং বলে নিশ্চিত করেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক দিলদার হাসান দিলু।
উল্লেখ্য, জাতীয় প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের নিয়ে আগামী ১লা আগস্ট থেকে মিরপুর ক্রীড়া পল্লীতে একটি আবাসিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু হবে, যেখানে স্বর্ণ ও রৌপ্য পদকজয়ীরা প্রাধান্য পাবেন। মূলত ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য এখান থেকেই নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজতে চায় বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হ'ল আরএফএল ও এসিআই পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন আয়োজিত জোড়া আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ প্রতিযোগীতার "ট্রফি উন্মোচন ও মিট দা প্রেস"। "৬স্ট বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ ওপেন ২০২৫" নামের এ আসরে গত পাঁচ বারের মতই এবারও থাকছে এক সাথে দুটি আকর্ষনীয় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার যথা ছেলেদের "পি এস এ চ্যালেঞ্জ ট্যুর ২০২৫" এবং মেয়েদের "ডব্লিউ এস এফ এবং পি এস এ স্যাটালাইট টুনামেন্ট ২০২৫" সাহসী আয়োজন।
বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি বিশ্ব স্কোয়াশ ফেডারেশন (ডব্লিউ এস এফ) এবং পেশাদার স্কোয়াশ এসোসিয়েশনের (পি এস এ) অনুমোদিত ০৪ দিন ব্যাপি এই প্রতিযোগীতাদ্বয় ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্স, আর্মি অফিসাস্ মেস ও ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কোয়াশ কোর্টে ২৬ থেকে ২৯ জুলাই তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর বাংলাদেশের জাতীয় দলের শাহাদাৎ, রনি ও সুমন এবং বয়স ভিত্তিক দলের উদীয়মান স্কোয়াশ খেলোয়াড় বিকেএসপির সাইমুন, আমিনুল, পারভেজ ও সেনাবাহিনীর আপন ও আজিজের সাথে খেলবে ইরান, ভারত, শ্রীলংকা, কুয়েত ও মালয়েশিয়ার আটজন পেশাদার স্কোয়াশ খেলোয়াড়। পাশাপাশি মেয়েদের স্যাটেলাইট ট্যুরে বাংলাদেশের মারজান, চাঁদনী, নাবিলা, উর্দূ, মেঘনা, জুই, মানিকা ও পূজা রানীসহ প্রথম সারির ১৩ জন নারী খেলোয়াড় খেলবে মালয়েশিয়ার জমজ বোন পেশাদার নারী স্কোয়াশ খেলোয়াড় ভিনিকা ও ভার্টিকা এবং ইরানের রামজানজাদে নামিনি নারগোলের সাথে। উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মত নারী স্কোয়াশ দল তৈরি করছে। সম্প্রতি তারা নেপালে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতা থেকে রৌপ্য পদক লাভ করেছে।
ঢাকা সেনানিবাসের স্কোয়াশ কমপ্লেক্স ও অফিসাস্ মেস স্কোয়াশ কোর্ট এবং বসুন্ধরায় ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ স্কোয়াশ কোর্ট- এই তিন ভ্যানুতে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। তবে ঢাকা সেনানিবাসের স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে ২৬ জুলাই দুপুর একটায় প্রতিযোগীতা দ্বয়ের উদ্বোধন এবং ২৯ জুলাই বিকেল চারটার সময় সমাপনী ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ স্কোয়াশ র্যাকেটস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রীগ্রেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম, এসপিসি (অবঃ) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত "মিট দ্যা প্রেস ও ট্রফি উন্মোচন" অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জনাব মোঃ মাহবুব-উল-আলম, সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন আর এফ এল-এর মার্কেটিং হেড শাহীন শফিকসহ উভয় গ্রুপের অন্যান্য কর্মকর্তা, স্কোয়াশ খেলোয়াড় ও সাংবাদিকবৃন্দ।
নিজস্ব খেলার মাঠ ও সম্পদের সীমাবদ্ধতাসহ পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ থাকার পরেও একই সাথে দু'টো আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ প্রতিযোগীতার আয়োজন করার জন্যে বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান অতিথি বলেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে বাংলাদেশের স্কোয়াশ আরো এগিয়ে যাবে এবং দেশের জন্যে সম্মান নিয়ে আসবে। স্কোয়াশ ফেডারেশনের জন্যে বনানীতে নির্ধারিত স্থান উদ্ধারসহ অন্যান্য বিষয়ে মন্ত্রনালয় সব সময় বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের সাথে থাকবে।
আর এফ এল-এর প্রতিনিধী তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশে আয়োজিত দু'টি আন্তর্জাতিক স্কোয়াশ টুর্নামেন্টের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত হতে পেরে কোম্পানির পক্ষ থেকে স্কোয়াশ ফেডারেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ভবিষ্যতে এ ধরনের আয়োজনের সাথে থাকার অভিপ্রায় ব্যাক্ত করেন।
ব্রিগ্রেডিয়ার (অবঃ) জেনারেল কামরুল ইসলাম বাংলাদেশে মৃত্যপ্রায় স্কোয়াশ খেলার দুটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া যঙ্গ স্পন্সর করার জন্যে এফ এল এবং এ এস আই গ্রুপকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নিজস্ব কোর্টবিহীন হাজার সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জের মধ্যে খুবই সীমিত সম্পদ দ্বারা গত প্রায় পাঁচ বছর নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমরা তিল তিল করে বিলুপ্ত প্রায় খেলাটির পূন:জন্ম ঘটিয়ে সামনের দিকে গৌরব আর সন্মানের যাত্রা শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগীতা এবং বনানীর প্রস্তাবিত কমপ্লেক্সটি পেলে স্কোয়াশ খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক মেডেল অর্জনসহ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল ও গৌরব অর্জন করবে ইন-শা-আল্লাহ।
এই প্রতিযোগীতার মাধ্যমে আগামী বছর জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এস এ গেইমসে অংশগ্রহণকারী দলের প্রস্তুতি সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশন এস এ গেইমসে মেডেল পুনরুদ্ধার করতে বদ্ধ পরিকর।
দেশে স্কোয়াশ খেলাকে পূর্নজন্ম দিয়ে প্রচার, প্রসার ও জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য ফেডারেশন সব সময়ই সচেষ্ট। তারা "ক্লাসরুম স্কোয়াশ" নামে অভিনব ধরণা নিযে বিভিন্ন স্কুল কলেজে স্কোয়াশ খেলা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। মিত্যু ও বিলুপ্ত প্রায় স্কোয়াশ খেলার পাশে দাঁড়ানোর জন্যে আর এফ এল এবং এ এস আই গ্রুপ আন্তরিক ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় আহত-নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়ায় অংশ নেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই।
ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও এই ঘটনায় সহমর্মিতা প্রকাশ করা হচ্ছে, যেখানে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে আছড়ে পড়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গনে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় অন্তত একজনের মৃত্যু এবং অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর আহত ও দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন
উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১৯ |
![]() |
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিসিবি এক বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেছে।
“ঢাকার মাইলস্টোন কলেজের সামনে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের খবরে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আহত ও নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। এই ভয়াবহ ঘটনার শিকার হওয়ার সবার জন্য আমাদের প্রার্থনা রইল।”
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালও বিবৃতিতে জানিয়েছেন শোকাবহ প্রতিক্রিয়া।
“উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবরে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত ও শোকাহত। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। নিহত ও আহতদের পরিবার এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা ও সংহতি প্রকাশ করছি।”
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজেআই’ মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যাওয়ার সাথে সাথেই সেখানে আগুন ধরে যায়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করে।
বিকেএসপিতে বুধবার (১৬ জুলাই) প্রথমবারের মতো জুলাই গণঅভ্যূত্থান ও শহীদ দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা অর্ধ্বনমিত রাখা হয়।
দিনের শুরুতে বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মুনীরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানের সকল শ্রেণির কর্মকর্তা- কর্মচারী ও প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে নিয়ে এক র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
র্যালিটি বিকেএসপির প্রধান ফটক থেকে শুরু করে অডিও ভিজূয়্যলে এসে শেষ হয়। অডিও ভিজ্যুয়াল সেন্টারে জুলাই গণঅভ্যূত্থান ও শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে জুলাই গণঅভ্যূত্থানে আত্মদানকারী বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং উপস্থিত সকলকে জুলাই গণঅভ্যূত্থান থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশকে নতুন ভাবে গড়ে তুলতে আহ্বান জানান।
সেই আলোচনায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, প্রশিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরাও অংশগ্রহণ করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকা বিকেএসপি ছাড়াও আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোতেও সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বাদ যোহর জুলাই গণঅভ্যূত্থানে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
বিশ্ব কাবাডির অন্যতম বৃহৎ কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রথম ধাপে আছে বাংলাদেশ। এ জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ২০ বছরের জন্য গোপালগঞ্জ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের অনুকূলে লীজ প্রদান করেছে।
প্রস্তাবিত কাবাডি কমপ্লেক্সে থাকবে পরিপূর্ণ একাডেমিক কার্যক্রম। থাকবে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল ছাড়াও পুরুষ ও নারী জাতীয় দলের অনুশীলন সুবিধা। ফিটনেস ট্রেইনার, রেফারিজ, কোচেস এবং অন্যান্য টেকনক্যিাল কার্যক্রম পরিচালিত হবে এ কমপ্লেক্সে। প্রস্তাবিত কাবাডি কমপ্লেক্সের নানা সুবিধাদি এমনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে যাতে কাবাডি খেলুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ স্থাপনা ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়। যা বাংলাদেশকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাবে।
এ কমপ্লেক্স নির্মাণ সম্পর্কে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলছিলেন, ‘বৈশ্বিক কাবাডি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে তাল মেলাতে হলে সমন্বিত কার্যক্রমের বিকল্প নেই। আপনার হাতে উন্নতমানের কোচ এবং টেকনিক্যাল অফিসিয়াল থাকলে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মত করে আগামী প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে পারবেন। এ জন্য পরিপূর্ণ কমপ্লেক্স নির্মাণের বিকল্প নেই।’
এস এম নেওয়াজ সোহাগ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ কাবাডি উন্নয়নের যুগান্তকারী পদক্ষেপে সহযাত্রী হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং এনএসসি কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করছি, এ কমপ্লেক্স বাংলাদেশকে বিশ্ব কাবাডির পরাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পথে সহায়ক হবে।’
বরাদ্দকৃত গোপালগঞ্জ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে ইনডোর জিমনেশিয়াম, সুইমিংপুল, হোস্টেল, দুটি খেলার মাঠ। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুরো কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর শুরু করা হবে প্রস্তাবিত কাবাডি কমপ্লেক্স।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, দেশের ক্রীড়া অবকাঠামোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং নির্দিষ্ট খেলার প্রসারে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলোকে সহায়তা করাই এই লীজ চুক্তির মূল উদ্দেশ্য। গোপালগঞ্জ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সেকে কাজে লাগিয়ে কাবাডির মতো ঐতিহ্যবাহী খেলার উন্নয়নে এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
এই চুক্তি গোপালগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ক্রীড়াঙ্গনে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে কাবাডির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন নতুন খেলোয়াড় উঠে আসার সুযোগ তৈরি হবে।
১ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
১৯ দিন আগে