দ্বিতীয় ওভারে ড্রেসিং রুমে ফিরে গেলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। পরের ওভারে একই পথে তিন নম্বরে নামা সাইফ হাসান। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে তাদের দুজনের সঙ্গী আরেক ওপেনার জিসান আলম।
শুরুতেই এমন বিপর্যয়ের পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ 'এ' দল। পার্থ স্কর্চার্স একাডেমির বিপক্ষে মাত্র ১২৩ রানে থেমে গেছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
ডারউইনের টিআইও স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ 'এ' দলকে হারাতে ১২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামবে স্কর্চার্স একাডেমি।
আগের দিন নেপালের বিপক্ষে ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি পেয়েছিল বাংলাদেশ। এদিন মাত্র ৯ রানে পড়ে প্রথম উইকেট। ৬ বলে ৫ রানে আউট হন নাঈম। সাইফের ব্যাট থেকে আসে ২ বলে ১ রান ও জিসান করেন ১৩ বলে ৯ রান।
চার নম্বরে নেমে একপ্রান্ত ধরে রাখেন আফিফ হোসেন। তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (১১ বলে ৬), নুরুল হাসান সোহান (১৬ বলে ১৪), তোফায়েল আহমেদরা (৮ বলে ১)।
পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১ ছক্কায় ৮ বলে ১৪ রান করে আউট হন তিনি। পরের বলেই খালি হাতে ফেরেন নাঈম হাসান।
শেষ ওভারে দুটি ছক্কা মারেন রকিবুল হাসান। ৫ বলে ১৬ রান করে আউট হন তিনি। পরে ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারেন হাসান মাহমুদ। শেষ ওভারে আসে ২০ রান।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৪ চারে ৪৯ বলে ৪২ রান করেন আফিফ।
স্কর্চার্স একাডেমির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ব্রাইস জ্যাকসন।
২৩ আগস্ট ২০২৫, ৪:০২ পিএম
এশিয়া কাপের জন্য গতকাল দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৬ জনের দলে জায়গা হয়নি নাঈম শেখের। তাঁকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন, সন্তোষজনক পারফরম্যান্স করতে না পারায় দলে সুযোগ হয়নি নাঈমের।
আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে নাঈমের বাদ পড়া প্রসঙ্গে লিপু বলেন,
‘কাউকে দল থেকে বাদ দেওয়ার আগে অনেক কিছুই চিন্তা করতে হয়। তিনি সামর্থ্যের কতটুকু করতে পারলেন বা তাঁকে যতটুকু সুযোগ দেওয়া হলো, সে সুযোগটুকু যথেষ্ট কি না। আমাদের কাছে মনে হয়েছে নাঈম শেখ কঠোর পরিশ্রম করেছে, তিনি যে প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছেন, আমরা অনেক আশাবাদী ছিলাম, কিন্তু তিনি নিজের জায়গা তৈরি করতে পারেননি। সেটা তাঁর জন্য এবং দলের জন্য ভালো হতো। দুর্ভাগ্যবশত সেটা হয়নি।’
শ্রীলঙ্কার পর নিজেদের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন নাঈম। ছন্দ খুঁজে পেতে তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাঠানো হয়। সেখানে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ৬ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৯৩ রান। ভালো না করায় বাদ দিতে এক রকম বাধ্য হন নির্বাচকেরা।
সে প্রসঙ্গ টেনে লিপু বলেন,
‘আরেকটু লোয়ার চ্যালেঞ্জে টপ এন্ড ক্রিকেটে সেখানেও তিনি ঠিক ভালো করতে পারলেন না। আমার বিশ্বাস নাঈম শেখ এখন জানে তাঁকে এই জায়গাটা পুনরুদ্ধার করতে হলে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জে সফল হতে হলে তাঁকে আরও উন্নতি করতে হবে। উন্নতি করতে হলে ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে কিংবা কোচিং প্যানেলের পক্ষ থেকে যা যা সহায়তা করা দরকার, আমরা সেটা অব্যাহত রাখব।’
এশিয়া কাপের জন্য গতকাল ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। একই দল নিয়ে নিজেদের মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। লম্বা সময় পর টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেয়েছেন নুরুল হাসান সোহান ও সাইফ হাসান।
সোহান ও সাইফকে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যায় আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন, ব্যাটিংয়ে ৫-৬ নম্বরের জন্য কার্যকর সোহান, আর সাইফ একের ভেতর চার।
সোহান সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০২২ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে। সাইফ ২০২৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হাংঝুতে এশিয়ান গেমসে খেলেছিলেন। মূল দলের হয়ে কুড়ি ওভারের ম্যাচ খেলেছেন ২০২১ সালে।
ঘরোয়া লিগ ও বিপিএলে মিডল অর্ডার ও ফিনিশার হিসেবে দারুণ রাখতে দেখা যায় সোহানকে। তাঁকে দলে রাখার ব্যাখ্যায় লিপু বললেন,
‘দুর্ভাগ্যবশত আমাদের লাইক টু লাইক রিপ্লেসমেন্টের জায়গায় অনেক চ্যালেঞ্জ, কিংবা রিপ্লেসমেন্ট নেই। আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং আস্থার যে জায়গাটা তাঁর অ্যাপ্রোচ অফ ক্রিকেট, প্যাটার্ন অফ ক্রিকেট, আমরা ৫-৬ নম্বরে স্পেশালি আমরা মনে করি খুব ভালো পছন্দ সে, যেমন জাকের আলী চোট পেলে ব্যাক আপ হিসেবে এই মূহুর্তে তাঁকে সেরা মনে করছি।’
নির্বাচকদের নজরে আগে থেকেই ছিলেন সোহান। লিপু বললেন,
‘প্রতিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটা প্রক্রিয়া থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের তরফ থেকে ডিপ ড্রাইভ থিংকিংও থাকে। কোনো সময় হয়তো হয় আমরা দলে নিই না ফর গ্রেটার ইন্টারেস্ট। সোহানকে নিয়ে অনেক আলোচনা ছিল শ্রীলঙ্কা সফরের সময় টি–টোয়েন্টি দলে। আমরা তখন ভেবেছি দলের যে ফরমেশন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রথম একাদশে খেলার সম্ভাবনা খুব কম।’
আরও পড়ুন
হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ সোহানদের |
![]() |
সোহানকে প্রস্তুতির সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে লিপু বলেন,
‘ওই সময় আমাদের কাছে যেটা মনে হয়েছে, সে (সোহান) যদি প্রস্তুতির জন্য গ্লোবাল টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে— আমরা জানতাম সে ‘এ’ দলের হয়ে ডারউইনে খেলতে যাবে। তাঁরও একটা প্রস্তুতি হয়ে যায় । ১০ ম্যাচের মতো খেলা হয়ে যায় এশিয়া কাপের মতো প্ল্যাটফর্মে আসার আগে। সেজন্য আমরা বলেছিলাম তিনি আমাদের খুব কাছের নজরে আছে। হয়তো তাঁকে আন্তর্জাতিক লেভেলের এক্সপোজার দিতে পারিনি। কিন্তু পরেই যে ধাপ, তাঁর সঙ্গে আরও অনেকে সুযোগ পেয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার, প্রতিদ্বন্দ্বীতার আমেজ, চ্যালেঞ্জ, পারফর্ম কীভাবে ভালো করবে। কেউ ভালো না করলে কী করলে পারফরম্যান্সটা আকাঙ্ক্ষিত জায়গায় নিতে পারে।’
সাইফের পারফরম্যান্স বেশ উজ্জ্বল বলার সুযোগ নেই। গত বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচে করেছিলেন ৩০৬ রান, গড় ২৫.৫০। স্ট্রাইক রেট ছিল ১১৯.০০।
অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুটি ভালো ইনিংস খেলেছেন সাইফ। ডানহাতি এই ব্যাটারকে দলে ফেরানোর বিষয়ে লিপু বলেন,
‘আমরা বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। কোচ ও অধিনায়ক নির্বাচকদের সঙ্গে ছিলেন। অনেকে ওই জায়গায় (সাইফের জায়গা) বিবেচনায় ছিলেন। আমাদের ওপরের দিকে একজন বোলার দরকার ছিল। যেটা তিনি পূরণ করতে পারবেন।’
সাইফের ব্যাটিং নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন,
‘আমাদের তিন-চারে এমনকি আরও ওপরে একজন খেলোয়াড় লাগতো। সেই আলোকে সাইফে নজরে ছিল। এবার তাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। দলে কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তিনি ওপেন করারও সক্ষমতা রাখেন। আমরা এমন মাল্টিপুল প্লেসে এড্রেস (অনেকগুলো দরকার মেটাতে পারে) করার মতো খেলোয়াড় বেশি খোঁজ করছি।’
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিতে সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হলো বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচেও অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স অ্যাকাডেমির বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে তারা। ৬ ম্যাচে দুই জয় ও চার হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৯ নম্বরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করল নুরুল হাসান সোহানের দল।
ডারউইনে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স। ম্যাকেঞ্জি হার্ভের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের দেওয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্য ১১ বল বাকি থাকতে তাড়া করে তারা। ৫৩ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাকেঞ্জি। ইনিংসে ছিল ১৫টি চার ও ১টি ছক্কা।
এ ছাড়া জ্যাক উইন্টার করেন ৩৫ বলে ৩৫ এবং হ্যারি মানেটি ২৪ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৮.১ ওভারে লক্ষ্য তাড়া করে অ্যাডিলেড। ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন সাইফ হাসান।
তার আগে মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আফিফ হোসেনের বিধ্বংসী ব্যাটিং ও জিসান আলমের ফিফটিতে বাংলাদেশ 'এ' দল তোলে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপের দল ঘোষণার পর দুই নির্বাচককে সরিয়ে দিচ্ছে ভারত |
![]() |
দলের সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংস খেলেন জিসান। আফিফের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রান যোগ করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও জিসান আলম। ধীর ব্যাটিংয়ে ১৭ বলে ১৫ রান করে আউট হন নাঈম।
তিন নম্বরে নামা সাইফ হাসানও করেন ধীর ব্যাটিং। এশিয়া কাপের দলে জায়গা পাওয়া ব্যাটার ১৫ রান করতে খেলে ফেলেন ১৯ বল।
টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি করতে ৩৭ বল খেলেন জিসান। পরের বলেই আউট হয়ে যান তিনি। এরপর অল্পেই আউট হন এশিয়া কাপের দলে ফেরা সোহানও।
পরে মাত্র ২৯ বলে ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন আফিফ হোসেন ও ইয়াসির আলি চৌধুরি। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ২৩ বলে ৪৯ রান করেন আফিফ। আর ১৫ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াসির। অ্যাডিলেইডের পক্ষে ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন হানো জ্যাকবস।
এশিয়া কাপের দল ঘোষণার সপ্তাহ পেরোয়নি, জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটি থেকে দুই সদস্যকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এরই মধ্যে নির্বাচকদের দুটি শূন্যপদে আবেদন আহ্বান করেছে তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীধরন শারথকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে নির্বাচক প্যানেল থেকে। আরেক সদস্যের নাম এখনো প্রকাশ হয়নি।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে এমন সাবেক ক্রিকেটাররাই কেবল ভারতের নির্বাচক হতে পারবেন। নির্বাচক হতে হলে প্রার্থীদের অন্তত সাতটি টেস্ট ম্যাচ বা ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে হবে। অথবা যাঁরা অন্তত ১০টি ওয়ানডে আন্তর্জাতিক ম্যাচ বা ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন তাঁরাও যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন বলে জানিয়েছে বিসিসিআই।
আরও পড়ুন
জিসানের ম্যাচিউর হতে কিছুটা সময় প্রয়োজন: লিপু |
![]() |
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন,
‘নির্বাচকদের চুক্তি প্রতি বছর নবায়ন করা হয়। কাকে বাদ দেওয়া হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে প্রক্রিয়া শিগগিরই সম্পন্ন হবে।’
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শারথের জায়গায় সাবেক বাঁহাতি স্পিনার প্রজ্ঞান ওঝাকে আনা হতে পারে। শারথকে বয়সভিত্তিক পুরুষ দলের নির্বাচক কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
দুই নির্বাচককে বাদ দেওয়া হলেও প্রধান নির্বাচক হিসেবে অজিত আগারকরই থাকছেন। তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। আগারকরের নেতৃত্বে ভারতীয় দল ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল।
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার জিসান আলম। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেও এখন পর্যন্ত সম্ভাবনার ছাপ রেখেছেন তরুণ ব্যাটার। তাই স্বাভাবিকভাবেই দাবি উঠছে জিসানকে জাতীয় দলে নেওয়ার। তবে তাকে এখনই দলে নেওয়ার তাড়াহুড়ো করতে চান না প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই মারকুটে ব্যাটিংয়ের প্রতিভার জানান দিয়েছেন জিসান। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকা অবস্থায়ই বেশ কিছু ঝড়ো ইনিংস খেলেন তরুণ এই ব্যাটার। যে কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরেই আলোচনায় তিনি।
চলতি টপ এন্ড সিরিজেও জিসান রাখছেন সামর্থ্যের ছাপ। টুর্নামেন্টের ছয় ম্যাচে দুই ফিফটিতে দলের সর্বোচ্চ ২০৮ রান করেছেন তিনি। গড় ৩৪.৬৬ আর প্রতিকূল কন্ডিশনেরও তার স্ট্রাইক রেট ১৩৮.৬৬, যেখানে ১৯ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৮টি ছক্কা।
আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ চারের সঙ্গে ৫ ছক্কায় ৪৬ বলে ৭৩ রান করেন জিসান। আর শেষটিতে ৫ চার ও ১ ছক্কা করলেন ৩৮ বলে ৫০ রান। এছাড়া আরও দুই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ত্রিশ ছোঁয়া ইনিংস। সব মিলিয়ে তিনিই বাংলাদেশ 'এ' দলের সেরা পারফর্মার।
এছাড়া স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেও তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের প্রমাণ স্পষ্ট। এখন পর্যন্ত ১৮টি বিশ ওভারের ম্যাচ খেলে এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিতে জিসানের সংগ্রহ ৪২৪ রান। যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ১৪২.২৮। আর এই রান করতে ৩১ চারের সঙ্গে তিনি মেরেছেন ৩০টি ছক্কা।
আরও পড়ুন
কোহলি-রোহিতকে অবসরে পাঠানোর পরিকল্পনা নেই ভারতের |
![]() |
তাই স্বাভাবিকভাবেই জিসানকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। শনিবার এশিয়া কাপের দল ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ওঠে জিসানকে নিয়েও। সেখানে তরুণ ব্যাটারকে নিয়ে তাড়াহুড়ো না করার কথা বলেন প্রধান নির্বাচক।
“দল বাছাইয়ের সময় অনেকের নামই আমাদের আলোচনায় আসে। সেখানে বেবি উইলো যেমন আসে, ম্যাচিউর উইলোও আসে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেবি উইলোও ম্যাচিউরড উইলো হবে। তাই সবার দিকেই নজর থাকে। আমরা সেভাবেই জিসানের দিকে নজর রাখছি। আমার মতে, তার কিছুটা সময় দরকার ম্যাচিউর হতে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত হতে।”
শুধু জিসান নয়, সবার ক্ষেত্রেই যথেষ্ট সময় দিয়ে প্রস্তুত করেই জাতীয় দলে নেওয়ার কথা বলেন লিপু।
“আমরা কাউকে খুব সহজেই নিতে চাচ্ছি না। যাতে তাকে আবার খুব তাড়াতাড়ি বিদায় করতে না হয়। আমরা চাই, এই ধারা থেকে ক্রিকেটাররা বেরিয়ে আসুক। তারা ঘরোয়া পর্যায় থেকে পর্যায়ক্রমে 'এ' দলে খেলে প্রস্তুত থাকুক। যেন তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেই ফর্মটা রুপান্তর করতে পারে।”
১৪ ঘণ্টা আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে