গত মার্চে জীবনের ঘড়িতে ৪৬ বছর পূর্ণ করেছেন ইমরান তাহির। তবু থামাথামির কোনো আভাস নেই অভিজ্ঞ লেগ স্পিনারের। এখনও সেরা সময়ের মতোই পারফর্ম করছেন তিনি। সবশেষ ম্যাচে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসানদের অ্যান্টিগা ও বারবুডা ফ্যালকনসকে।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে শনিবার ভোরের ম্যাচে তাহিরের ঘুর্ণিতে নাস্তানাবুদ অ্যান্টিগা। মাত্র ২১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে ৮৩ রানের বড় জয় এনে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তাহিরের এটি পঞ্চম ৫ উইকেট। যার সৌজন্যে এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ৫ উইকেটের তালিকায় যৌথভাবে দুইয়ে উঠে এলেন তিনি। যেখানে ৫টি করে ৫ উইকেট নিয়ে তার সঙ্গী হলেন- সাকিব আল হাসান, ভুবনেশ্বর কুমার, লাসিথ মালিঙ্গা ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।
আরও পড়ুন
এবার সাকিবের ২ ওভার, বাড়ছে অপেক্ষা |
![]() |
এই পাঁচজনের সামনে শুধু ডেভিড ভিসা। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা ও বর্তমানে নামিবিয়ার পেস বোলিং অলরাউন্ডার ক্যারিয়ারে ৭ বার নিয়েছেন ৫ উইকেট।
ম্যাচে শাই হোপ (৫৪ বলে ৮২) ও শিমরন হেটমায়ারের (২৬ বলে ৬৫*) ঝড়ো ইনিংসে ৩ উইকেটে ২১১ রান করে গায়ানা। পরে তাহিরের স্পিন জাদুতে ২৮ বল বাকি থাকতেই ১২৮ রানে অলআউট হয়ে যায় সাকিবের অ্যান্টিগা।
অথচ পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৭৭ রান নিয়ে জয়ের পথেই এগোচ্ছিল অ্যান্টিগা। সেখান থেকেই শুরু হয় তাহিরের ক্যালমা। সপ্তম ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই সাকিবকে আউট করেন তিনি। স্টাম্পড আউট হয়ে ফেরেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
বেশ কয়েক দিন ধরে রান খরায় ভুগতে থাকা সাকিব করেন ১ ছক্কায় ৭ বলে ৮ রান। ওই ওভারের পঞ্চম বলে অ্যান্টিগা অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিমকেও ফেরান তাহির। কোনো রান খরচ না করে নেন ডাবল উইকেট মেইডেন।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে শামার স্প্রিঙ্গারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাহির। তবে তৃতীয় ওভারে আর উইকেট পাননি তিনি।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে ভারত |
![]() |
শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে আবার জোড়া আঘাত। এবার তার শিকার উসামা মির ও ওবেদ ম্যাকয়। ওই ওভারে তার খরচ মাত্র ১ রান। সব মিলিয়ে বোলিং ফিগার ৪-১-২১-৫; প্রায় ১৯ বছর ও ৪৩৬ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটিই তার সেরা বোলিং।
সব মিলিয়ে তাহিরের নামের পাশে এখন ৫৫৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে উইকেট শিকারে তার সামনে শুধু রশিদ খান (৬৬০), ডোয়াইন ব্রাভো (৬৩১) ও সুনিল নারাইন (৫৯০)।
২০২৫ নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৫ সদস্যের দলে দলে জায়গা পেয়েছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক, অফ স্পিনার নিশিতা আক্তার নিশি ও টপ-অর্ডার ব্যাটার সুমাইয়া আক্তার। বাদ পড়েছেন দিলারা আক্তার দোলা, জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা ও ইসমা তানজিম।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
রুবাইয়া এর আগে বাংলাদেশের হয়ে টি–টোয়েন্টি খেললেও ওয়ানডে সংস্করণে এখনো অভিষেকের অপেক্ষায়। বিসিবি জানিয়েছে, ধারাবাহিক উন্নতি, ব্যাটিং ও উইকটেকিপিংয়ে দক্ষতার জন্য তিনি প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ দলে ডাক পেয়েছেন।
১৭ বছর বয়সী নিশিতা স্কোয়াডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য। ২০২৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। আরেকটি উল্লেখযোগ্য অন্তর্ভুক্তি সুমাইয়া, যিনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক। তিনি গত বছর মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি ওয়ানডে খেলেছিলেন। এই টপ-অর্ডার ব্যাটার টেকনিক্যালি দক্ষ এবং ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন করেন। বছরের শুরুতে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়েও উজ্জ্বল ছিলেন।
বিসিবি নারী বিভাগের প্রধান নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ মানসুর বলেন,
‘রুবাইয়া কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে। গত ছয় মাসে তার উন্নতি অসাধারণ। আমরা তাকে রিজার্ভ কিপার ও ব্যাকআপ ওপেনার - দুটো ভূমিকায়ই কার্যকর অপশন হিসেবে দেখছি।’
নিশিতাকে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যায় সাজ্জাদ আহমেদ বলেন,
‘নিশিতা এখনও তরুণ, তবে তার বোলিংয়ে যথেষ্ট পরিপক্বতা আছে। সে ধারাবাহিক, চাপের মধ্যে শান্ত থাকে এবং বাঁ-হাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে কার্যকর। এই অভিজ্ঞতা তাকে আরও এগিয়ে নেবে এবং আমাদের স্পিন আক্রমণকে সমৃদ্ধ করবে।’
সুমাইয়ার ব্যাটিং দক্ষতা ও ফিল্ডিং দলকে একটি বাড়তি সুবিধা এনে দেবে বলে বিশ্বাস সাজ্জাদ আহমেদের,
‘সুমাইয়া কিছুদিন ধরেই জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। সে উইকেটে থেকে খেলা জমাতে পারে, আবার প্রয়োজনে গতি বাড়াতেও পারে। তার দক্ষতা ও ফিল্ডিং মান দলের টপ-অর্ডারে একটি বাড়তি সুবিধা এনে দেবে।’
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল
নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার (সহ-অধিনায়ক), ফারজানা হক, রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক, শারমিন আক্তার সুপ্তা, সোবহানা মোস্তারি, রিতু মনি, স্বর্ণা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, রাবেয়া খান, মারুফা আক্তার, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, সানজিদা আক্তার মেঘলা, নিশিতা আক্তার নিশি ও সুমাইয়া আক্তার।
সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড সফরের জন্য দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ)। সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল। লম্বা সময় পর দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ডেভিড মিলার, কেশভ মহারাজ ও ডোনোভান ফেরেইরা।
মিলার সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ডারবানে পাকিস্তানের বিপক্ষে। মহারাজ কুড়ি ওভারে ম্যাচ খেলেছেন গত বছরের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে। চলতি বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আঙুলে চোট পাওয়া মার্কো ইয়ানসেন এই সিরিজে দলে ফিরেছেন।
আরেক পেসার লিজাড উইলিয়ামস গোড়ালির চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন। ডান পায়ের গোড়ালির চোটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলতে পারেননি কাগিসো রাবাদা। তিনিও দলে ফিরেছেন।
লিডসে আগামী ২ সেপ্টেম্বর ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে প্রোটিয়াদের ইংল্যান্ড সফর। তারপর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে।
ইংল্যান্ড সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে দল
টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), করবিন বোশ, ম্যাথু ব্রিটজকে, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, নান্দ্রে বার্গার, টনি ডি জর্জি, কিউনা মাফাকা, ট্রিস্টান স্টাবস, এইডেন মার্করাম, উইয়ান মুল্ডার, কেশভ মহারাজ, লুঙ্গি এনগিদি, লুহান ড্রে প্রিটোরিয়াস, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেলটন ও সেনুরান মুথুসামি।
টি-টোয়েন্টি দল
এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, ডেনোভান ফেরেইরা, করবিন বোশ, মার্কো ইয়ানসেন, লিজাড উইলিয়ামস, ডেভিড মিলার, সেনুরান সেনুরান মুথুসামি, কেশভ মহারাজ, লুঙ্গি এনগিদি, লুহান ড্রে প্রিটোরিয়াস, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেলটন, ট্রিস্টান স্টাবস ও কিউনা মাফাকা।
এশিয়া কাপের জন্য গতকাল দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৬ জনের দলে জায়গা হয়নি নাঈম শেখের। তাঁকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন, সন্তোষজনক পারফরম্যান্স করতে না পারায় দলে সুযোগ হয়নি নাঈমের।
আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে নাঈমের বাদ পড়া প্রসঙ্গে লিপু বলেন,
‘কাউকে দল থেকে বাদ দেওয়ার আগে অনেক কিছুই চিন্তা করতে হয়। তিনি সামর্থ্যের কতটুকু করতে পারলেন বা তাঁকে যতটুকু সুযোগ দেওয়া হলো, সে সুযোগটুকু যথেষ্ট কি না। আমাদের কাছে মনে হয়েছে নাঈম শেখ কঠোর পরিশ্রম করেছে, তিনি যে প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছেন, আমরা অনেক আশাবাদী ছিলাম, কিন্তু তিনি নিজের জায়গা তৈরি করতে পারেননি। সেটা তাঁর জন্য এবং দলের জন্য ভালো হতো। দুর্ভাগ্যবশত সেটা হয়নি।’
শ্রীলঙ্কার পর নিজেদের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন নাঈম। ছন্দ খুঁজে পেতে তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাঠানো হয়। সেখানে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ৬ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৯৩ রান। ভালো না করায় বাদ দিতে এক রকম বাধ্য হন নির্বাচকেরা।
সে প্রসঙ্গ টেনে লিপু বলেন,
‘আরেকটু লোয়ার চ্যালেঞ্জে টপ এন্ড ক্রিকেটে সেখানেও তিনি ঠিক ভালো করতে পারলেন না। আমার বিশ্বাস নাঈম শেখ এখন জানে তাঁকে এই জায়গাটা পুনরুদ্ধার করতে হলে আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জে সফল হতে হলে তাঁকে আরও উন্নতি করতে হবে। উন্নতি করতে হলে ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে কিংবা কোচিং প্যানেলের পক্ষ থেকে যা যা সহায়তা করা দরকার, আমরা সেটা অব্যাহত রাখব।’
এশিয়া কাপের জন্য গতকাল ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। একই দল নিয়ে নিজেদের মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। লম্বা সময় পর টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেয়েছেন নুরুল হাসান সোহান ও সাইফ হাসান।
সোহান ও সাইফকে দলে নেওয়ার ব্যাখ্যায় আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছেন, ব্যাটিংয়ে ৫-৬ নম্বরের জন্য কার্যকর সোহান, আর সাইফ একের ভেতর চার।
সোহান সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২০২২ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে। সাইফ ২০২৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হাংঝুতে এশিয়ান গেমসে খেলেছিলেন। মূল দলের হয়ে কুড়ি ওভারের ম্যাচ খেলেছেন ২০২১ সালে।
ঘরোয়া লিগ ও বিপিএলে মিডল অর্ডার ও ফিনিশার হিসেবে দারুণ রাখতে দেখা যায় সোহানকে। তাঁকে দলে রাখার ব্যাখ্যায় লিপু বললেন,
‘দুর্ভাগ্যবশত আমাদের লাইক টু লাইক রিপ্লেসমেন্টের জায়গায় অনেক চ্যালেঞ্জ, কিংবা রিপ্লেসমেন্ট নেই। আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং আস্থার যে জায়গাটা তাঁর অ্যাপ্রোচ অফ ক্রিকেট, প্যাটার্ন অফ ক্রিকেট, আমরা ৫-৬ নম্বরে স্পেশালি আমরা মনে করি খুব ভালো পছন্দ সে, যেমন জাকের আলী চোট পেলে ব্যাক আপ হিসেবে এই মূহুর্তে তাঁকে সেরা মনে করছি।’
নির্বাচকদের নজরে আগে থেকেই ছিলেন সোহান। লিপু বললেন,
‘প্রতিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটা প্রক্রিয়া থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের তরফ থেকে ডিপ ড্রাইভ থিংকিংও থাকে। কোনো সময় হয়তো হয় আমরা দলে নিই না ফর গ্রেটার ইন্টারেস্ট। সোহানকে নিয়ে অনেক আলোচনা ছিল শ্রীলঙ্কা সফরের সময় টি–টোয়েন্টি দলে। আমরা তখন ভেবেছি দলের যে ফরমেশন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রথম একাদশে খেলার সম্ভাবনা খুব কম।’
আরও পড়ুন
হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ সোহানদের |
![]() |
সোহানকে প্রস্তুতির সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে লিপু বলেন,
‘ওই সময় আমাদের কাছে যেটা মনে হয়েছে, সে (সোহান) যদি প্রস্তুতির জন্য গ্লোবাল টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে— আমরা জানতাম সে ‘এ’ দলের হয়ে ডারউইনে খেলতে যাবে। তাঁরও একটা প্রস্তুতি হয়ে যায় । ১০ ম্যাচের মতো খেলা হয়ে যায় এশিয়া কাপের মতো প্ল্যাটফর্মে আসার আগে। সেজন্য আমরা বলেছিলাম তিনি আমাদের খুব কাছের নজরে আছে। হয়তো তাঁকে আন্তর্জাতিক লেভেলের এক্সপোজার দিতে পারিনি। কিন্তু পরেই যে ধাপ, তাঁর সঙ্গে আরও অনেকে সুযোগ পেয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার, প্রতিদ্বন্দ্বীতার আমেজ, চ্যালেঞ্জ, পারফর্ম কীভাবে ভালো করবে। কেউ ভালো না করলে কী করলে পারফরম্যান্সটা আকাঙ্ক্ষিত জায়গায় নিতে পারে।’
সাইফের পারফরম্যান্স বেশ উজ্জ্বল বলার সুযোগ নেই। গত বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচে করেছিলেন ৩০৬ রান, গড় ২৫.৫০। স্ট্রাইক রেট ছিল ১১৯.০০।
অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুটি ভালো ইনিংস খেলেছেন সাইফ। ডানহাতি এই ব্যাটারকে দলে ফেরানোর বিষয়ে লিপু বলেন,
‘আমরা বিষয়টি নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। কোচ ও অধিনায়ক নির্বাচকদের সঙ্গে ছিলেন। অনেকে ওই জায়গায় (সাইফের জায়গা) বিবেচনায় ছিলেন। আমাদের ওপরের দিকে একজন বোলার দরকার ছিল। যেটা তিনি পূরণ করতে পারবেন।’
সাইফের ব্যাটিং নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন,
‘আমাদের তিন-চারে এমনকি আরও ওপরে একজন খেলোয়াড় লাগতো। সেই আলোকে সাইফে নজরে ছিল। এবার তাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। দলে কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তিনি ওপেন করারও সক্ষমতা রাখেন। আমরা এমন মাল্টিপুল প্লেসে এড্রেস (অনেকগুলো দরকার মেটাতে পারে) করার মতো খেলোয়াড় বেশি খোঁজ করছি।’
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিতে সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হলো বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচেও অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স অ্যাকাডেমির বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে তারা। ৬ ম্যাচে দুই জয় ও চার হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৯ নম্বরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করল নুরুল হাসান সোহানের দল।
ডারউইনে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স। ম্যাকেঞ্জি হার্ভের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের দেওয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্য ১১ বল বাকি থাকতে তাড়া করে তারা। ৫৩ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাকেঞ্জি। ইনিংসে ছিল ১৫টি চার ও ১টি ছক্কা।
এ ছাড়া জ্যাক উইন্টার করেন ৩৫ বলে ৩৫ এবং হ্যারি মানেটি ২৪ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৮.১ ওভারে লক্ষ্য তাড়া করে অ্যাডিলেড। ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন সাইফ হাসান।
তার আগে মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আফিফ হোসেনের বিধ্বংসী ব্যাটিং ও জিসান আলমের ফিফটিতে বাংলাদেশ 'এ' দল তোলে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান।
আরও পড়ুন
এশিয়া কাপের দল ঘোষণার পর দুই নির্বাচককে সরিয়ে দিচ্ছে ভারত |
![]() |
দলের সর্বোচ্চ ৫০ রানের ইনিংস খেলেন জিসান। আফিফের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রান যোগ করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও জিসান আলম। ধীর ব্যাটিংয়ে ১৭ বলে ১৫ রান করে আউট হন নাঈম।
তিন নম্বরে নামা সাইফ হাসানও করেন ধীর ব্যাটিং। এশিয়া কাপের দলে জায়গা পাওয়া ব্যাটার ১৫ রান করতে খেলে ফেলেন ১৯ বল।
টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি করতে ৩৭ বল খেলেন জিসান। পরের বলেই আউট হয়ে যান তিনি। এরপর অল্পেই আউট হন এশিয়া কাপের দলে ফেরা সোহানও।
পরে মাত্র ২৯ বলে ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন আফিফ হোসেন ও ইয়াসির আলি চৌধুরি। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ২৩ বলে ৪৯ রান করেন আফিফ। আর ১৫ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াসির। অ্যাডিলেইডের পক্ষে ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন হানো জ্যাকবস।
১৯ ঘণ্টা আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে