২১ আগস্ট ২০২৫, ৯:২০ পিএম
এশিয়া কাপের সূচি যখন প্রকাশিত হয়, তখন থেকেই আলোচনায় ভারত ও পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি। রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে দুই দেশের জনগণ থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই একে অন্যের সাথে খেলার বিপক্ষে মত দিয়েছেন। তবে এশিয়া কাপের ঠিক আগে ভারত সরকার স্পষ্ট করেছে নিজেদের অবস্থান। এশিয়া কাপ বা আইসিসি ইভেন্টে প্রতিবেশীদের বিপক্ষে খেলার ব্যাপারে ভারত জাতীয় দলকে সবুজ সংকেত দিয়েছে দেশটির সরকার।
বৃহস্পতিবার ভারতের যুব বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে অবশ্য পাকিস্তানের সাথে খেলার প্রসঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়েছে শর্ত। সেখানে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে পাকিস্তানের সাথে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন বা পাকিস্তানে সফর করবে না ভারত দল। আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানি ক্রীড়াবিদরাও আগামীতে ভারতে আয়োজিত এশিয়া কাপ বা আইসিসি ইভেন্টে অংশ নিতে পারবেন। তবে ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা পাকিস্তানে আয়োজিত কোনো বহু-দেশীয় ইভেন্টে অংশ নিতে পারবেন কি না, সেই ব্যাপারে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।
ভারতের যুব বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এর মাধ্যমে তারা ভারত সরকারের এই নীতি স্পষ্ট করেছেন, যা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা সত্ত্বেও খেলাধুলার সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
ভারত সরকারের এই ঘোষণা এল আগামী মাসের এশিয়া কাপের প্রেক্ষাপটে, যেখানে ভারত ও পাকিস্তান একই গ্রুপে রয়েছে এবং ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে তাদের ম্যাচটি হওয়ার কথা আছে। এছাড়াও সম্ভাবনা রয়েছে দুই দলের একই আসরে আরও দুইবার মুখোমুখি হওয়ার।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে কাশ্মীরের পেহালগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেয়। ভিন্ন ভিন্ন ইভেন্টে এরপর থেকে বাতিল হয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশের ম্যাচ। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল গত জুলাইয়ে ওয়াল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লিজেন্ডস টুর্নামেন্ট, যেখানে ভারত চ্যাম্পিয়ন দলের সাবেক ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের সাথে টানা দুটি ম্যাচ বয়কট করে।
ফলে এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তানের খেলা নিয়েও সংশয় জেগেছিল। সেটা কেটে গেলেও আরও লম্বা সময়ের জন্য পিছিয়ে গেল দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার সম্ভাবনা, যা শেষবার হয়েছিল ২০১২ সালে।
তবে দুই দল একাধিকবার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং এশিয়া কাপে মুখোমুখি হয়েছে। পাকিস্তান ২০১৬ সালে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিল। তবে ভারত ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তান সফরে যায়নি। হাইব্রিড মডেলে তারা নিজেদের সব ম্যাচ খেলে দুবাইয়ে।
এরপর দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড ২০২৭ সাল পর্যন্ত আইসিসি ইভেন্টগুলির জন্য এই ধরণের হাইব্রিড মডেলে খেলার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
দেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রায় মাঠ-উইকেট, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকা এক বড় বাধা। আজ ফতুল্লা স্টেডিয়াম ও নারায়ণগঞ্জের ক্রিকেটের হালচাল দেখতে গিয়ে বেশ কষ্টই যেন পেলেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। অকপটেই বললেন,
‘ফতুল্লা মাঠটা দেখে এলাম। আমার খুব... আমার খুব কান্না পাচ্ছিল।’
নারায়ণগঞ্জের উদীয়মান ক্রিকেটার জিসান আলমরে প্রসঙ্গ টেনে বুলবুল বললেন,
‘গতকালকে আপনাদের নারায়ণগঞ্জের ছেলে জিসান আলম একটা ফিফটি করেছে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে। আর আজকে দেখলাম জিসান যেখানে অনুশীলন করে, এটা আমি মেলাতে পারছি না। সে ওয়ার্ল্ড স্ট্যান্ডার্ডে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিফটি করছে আর তার অনুশীলনের ব্যবস্থা এখানে কী!’
উইকেট নেই পর্যাপ্ত। তবু জিসান আলম-রনি তালুকদারদের মতো ক্রিকেট উঠে আসাকে ভাগ্যের ব্যাপার বললেন বুলবুল,
‘জাহাঙ্গীর (কোচ) খুব গর্ব করছিল, আমার এখানে ৩টা উইকেট আছে। যখন একজন জেলার কোচ ৩টা উইকেটে খুশি হয়ে যায় এবং সেখান থেকে জিসান আলম বা রনি তালুকদারের মতো ক্রিকেটার উঠে আসে, এটা বলব অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। এখানে ৩টা কেন, ৩০টা উইকেট থাকা উচিত।’
আরও পড়ুন
ভারতকে মিনতি করার দিন শেষ, বলছেন পিসিবি প্রধান |
![]() |
ফতুল্লায় ১৫-২০টি উইকেট বানাতে চান বুলবুল। বিসিবি সভাপতি বলেন,
‘আমি কথা দিচ্ছি... আমার সঙ্গে বিসিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (নাজমুল আবেদিন ফাহিম) আছেন, আমরা প্রথম অনুশীলন সুবিধা বাড়ানোর কাজ করব। এখানে ৩টা উইকেট কেন থাকবে। অন্তত ১৫-২০টা উইকেট থাকা উচিত। সেই চেষ্টা আমরা করব।’
সেখানে হাই পারফরম্যান্স সেন্টার খোলা সম্ভব বলেও উল্লেখ করলনে বুলবুল,
‘এখানে যদি আমরা ইনডোর করতে পারি...। জেলা প্রশাসক এখানে আছেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদ ভাই আছেন, ফাহিম ভাই আছেন। আমরা যদি একটা ছোটখাটো কম খরচের ইনডোর করতে পারি এবং আউটডোর সুবিধা বাড়াতে পারি, তাহলে খুব অনায়াসে এখানে একটা হাই পারফরম্যান্স সেন্টার করা সম্ভব। এই ৪টা প্রতিশ্রুতি- ফ্যাসিলিটি, গ্রাউন্ড, কোচ ডেভেলপমেন্ট ও হাই পারফরম্যান্স সেন্টার, এই ৪টা কাজ আমরা ইনশাআল্লাহ্ শুরু করব।’
সপ্তাহও হয়নি নির্দেশনা জারি করে পাকিস্তানের বিপক্ষে সব দ্বিপাক্ষিক ক্রীড়া সম্পর্ক স্থগিত করেছে ভারতের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সে নির্দেশনা অনুযায়ী শুধু আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে দেখা হবে ভারত-পাকিস্তানের।
ভারতের এমন নীতির পর এবার নীরবতা ভাঙলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তোপ দাগলেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনার জন্য মিনতি করার দিন শেষ। তাদের সঙ্গে যেকোনো খেলাধুলার সম্পর্ক সংক্রান্ত আলোচনা হলে, তা শুধু সমতার ভিত্তিতেই হবে।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সমতার ভিত্তিতে হবে উল্লেখ করে নাকভি বলেন,
'পাকিস্তান আর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যখনই আলোচনা হবে, তা সমান অবস্থান থেকে হবে। যা হবে, তা সমতার ভিত্তিতেই হবে।'
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের ম্যাচে দেখা হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দী ভারত-পাকিস্তানের। সমর্থকদের সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নাকভি। টুর্নামেন্ট চলাকালীন খেলোয়াড়দের সমালোচনা করলে দলের মনোবল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
এশিয়া কাপের দল নির্বাচনে নিজের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে দাবি নাকভির,
'দল নির্বাচনে আমার কোনো ভূমিকা নেই। নির্বাচক কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের আলোচনা ও পর্যালোচনার ভিত্তিতে দল চূড়ান্ত করা হয়েছে। দল নির্বাচন হবে শুধুমাত্র যোগ্যতার ভিত্তিতে। নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দিচ্ছি যাতে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায় এবং সেরা খেলোয়াড়েরা শীর্ষে ওঠে।'
সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ শেষ ওয়ানডেতে সুযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়াকে তাদেরই মাঠে প্রথমবার ধবলধোলই করার। তবে সেটি সম্ভব করা কঠিনই ছিল। তিন সেঞ্চুরিতে স্বাগতিকদের দেওয়া ৪৩২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ২৪.৫ ওভারে ১৫৫ রানে গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা। উল্টো নিজেদের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হার দেখল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ম্যাচ হেরেছে তারা ২৭৬ রানে।
রানের দিক থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০০৯ সালে ডারবানে ১৪১ রানে জেতা ম্যাচটি ছিল সর্বোচ্চ রান ব্যবধানের জয়। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। ২০২৩ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে ৩০৯ রানে হারিয়েছিল অজিরা। ওয়ানডে ক্রিকেট ষষ্ঠতম রান ব্যবধানের জয়।
ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার এটি। ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হেরেছিল ২৪৩ রানে। এবার সেটি ছাড়িয়ে নতুন হারের রেকর্ড গড়ল প্রোটিয়ারা।
সিরিজ আগেই হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচে হারানোর তেমন কিছু ছিল না। যদি পাওয়ার কিছু থাকে, সেটি ধবলধোলাই এড়ানো। এই ম্যাচকে আজ ব্যর্থতার দায়মুক্তি হিসেবেই যেন বেছে নিলেন হেড-গ্রিনরা।
ম্যাকায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে; শেষ ওয়ানডেকে রীতিমতো রেকর্ড বন্যায় ভাসালেন। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবার শীর্ষ তিন ব্যাটার দেখা পেয়েছেন সেঞ্চুরির- ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শের পর ক্যামেরন গ্রিন। যার সৌজন্যে আগে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া তোলে ২ উইকেটে ৪৩১ রান।
আরও পড়ুন
প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালসের হেড কোচ গাঙ্গুলি |
![]() |
৪৩২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই উইকটে হারাতে থাকে প্রোটিয়ারা। ছয় ব্যাটার দুই অঙ্কের পৌঁছাতে পারেননি। সর্বোচ্চ ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ২৬ বলে ৫ ছক্কা ও ২ চারে ৪৯ রান করেন। অজি বোলারদের মধ্যে কুপার কনোলি ২২ রান দিয়ে ওয়ানডতে প্রথমবার শিকার করেছেন ৫ উইকেট।
তার আগে ধবলধোলাই এড়ানোর মিশনে একসঙ্গে জ্বলে উঠলেন অস্ট্রেলিয়ার সব ব্যাটার। উদ্বোধনী জুটিতে হেড-মার্শ গড়েছেন ২৫০ রানের অসাধারণ এক জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেকোনো উইকটে অস্ট্রেলিয়ার এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। সব দল মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ১০৩ বলে ১৪২ রান করেছেন হেড, মার্শের ব্যাট থেকে এসেছে ১০৬ বলে ১০০ রান। আর শেষ দিকে তাণ্ডব চালিয়ে মাত্র ৫৫ বলে ১১৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন গ্রিন। আরেক অপরাজিত ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারির সংগ্রহ ৩৭ বলে ৫০ রান। অজিদের স্কোরে জমা হয় ৪৩১ রান।
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ৪ উইকেটে ৪৩৪ রান করেছিল তারা। সেই ম্যাচটি অবশ্য অবিশ্বাস্যভাবে ১ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে জিতে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার সেরকম কিছু ঘটতে দেননি অজি বোলাররা। সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল প্রোটিয়ারা। একই ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে অস্ট্রেলিয়া।
ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিকে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিল দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এসএ টোয়েন্টির দল প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালস। আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএ টোয়েন্টির চতুর্থ আসরে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার জনাথন ট্রটের জায়গায় এই দায়িত্ব নেবেন গাঙ্গুলি।
এসএ টোয়েন্টিতে প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালসের যাত্রা এখন পর্যন্ত মিশ্র অভিজ্ঞতার। প্রথম মৌসুমে গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থাকলেও ফাইনালে তারা হেরে যায় সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপের কাছে। পরের দুই আসরে টানা পঞ্চম হয়ে প্লে-অফের দৌড় থেকে বাদ পড়ে দলটি।
নতুন কোচকে ঘিরে তাই এবার ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রত্যাশা অনেক।
আরও পড়ুন
টপ এন্ড সিরিজে চ্যাম্পিয়ন পার্থ |
![]() |
গাঙ্গুলির জন্য প্রধান কোচ হিসেবে এটিই প্রথম দায়িত্ব। এর আগে তিনি ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। ২০১৯ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর হিসেবে আইপিএলে যুক্ত হলেও অল্পদিন পরই ছেড়ে দেন সেই দায়িত্ব।
পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালন করেন।
গত বছর গাঙ্গুলি যোগ দেন জেএসডব্লিউ স্পোর্টসের ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে, যা প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মালিকানার অংশীদার। নতুন ভূমিকায় তার প্রথম বড় পরীক্ষা হতে যাচ্ছে আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের নিলাম, যেখানে দল গড়ার কৌশলই নির্ধারণ করবে ফ্র্যাঞ্চাইজির ভবিষ্যৎ সাফল্য।
ঝড়ো সেঞ্চুরিতে পার্থ স্কর্চার্স একাডেমিকে বড় সংগ্রহ এনে দিলেন ব্যাক্সটার হল্ট। ম্যাকেঞ্জি হার্ভি ও হ্যারি মানেন্তির ঝড়ে অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্স একাডেমিও দিলো সমানে সমান জবাব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারল না তারা। দারুণ জয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো পার্থ।
ডারউইনের মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে ১৫ রানে জিতল পার্থ। ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্যে লড়াই করলেও ৬ উইকেটে ১৯০ রানের বেশি করতে পারেনি অ্যাডিলেড। তাই রানার্স-আপ হয়ে শেষ হয় তাদের যাত্রা।
দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে পার্থকে বড় পুঁজি এনে দেন হল্ট। চার নম্বরে নেমে ১২ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৩ বলে ১১৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন উইকেটকিপার-ব্যাটার। এছাড়া অধিনায়ক টিগ উইলির ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ৫৬ রান।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে রেকর্ড আর রেকর্ড |
![]() |
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪১ রানে ২ উইকেট হারায় পার্থ। এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি হল্ট ও উইলি। দুজন মিলে ৯৬ বলে ১৬৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। যেখানে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন চার নম্বরে নামা হল্ট।
পরে রান তাড়া করতে নেমে ঝড় তোলেন অ্যাডিলেইডের হার্ভি ও মানেন্তি। দশম ওভারে একশ পেরিয়ে যায় অ্যাডিলেইড। ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৩১ বলে ৬০ রান করে আউট হন মানেন্তি। পরে অনেকটা একা হয়ে যান হার্ভি।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৫২ বলে ৮৩ রান করেন ২৪ বছর বয়সী ওপেনার হার্ভি। চার নম্বরে নামা হ্যারি নিয়েলসেন ২৭ বলে করেন মাত্র ২৮ রান। যা অনেকটা পিছিয়ে দেয় অ্যাডিলেইডকে। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।
১ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে