
ডিসেম্বরে মাঠে গড়াচ্ছে এনসিএলের টি-টোয়েন্টি আসর। বিপিএলের আগে স্থানীয় ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করতেই এমন টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যার গ্রুপ পর্বের ম্যাচ গুলো সিলেটে হলেও প্লে অফ ও ফাইনাল ম্যাচ হবার কথা ছিল ঢাকায়। তবে জানা গেছে, টুর্নামেন্টের সব ম্যাচই চলে যাচ্ছে সিলেটে।
১১ ডিসেম্বর চায়ের শহরে শুরু হচ্ছে এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ডিসেম্বর। আর এই সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। গ্রুপ পর্বে প্রতি দিন দুই মাঠে ম্যাচ হবে ৪ টি করে।
আরও পড়ুন
| ক্রিকেটের জন্য হঠাৎ একসঙ্গে দুই খান, নেপথ্যে কী? |
|
মূলত বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বিসিবি। আর্মি স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা থাকলেও এই অনুষ্ঠানটি ২৩ ডিসেম্বর করতে হচ্ছে হোম অব ক্রিকেটে। সে কারণেই সেই সময় মিরপুরে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব না।
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এই সময় ব্যস্ত থাকবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে। তবে ওয়ানডে সিরিজ শেষ করে এই টুর্নামেন্টে যোগ দিতে পারেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। তামিম ইকবালও খেলার কথা এই আসরে। এছাড়া দেশের ক্রিকেটের প্রায় সব তারকা ক্রিকেটারকেই দেখা যাবে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে।
No posts available.
১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮:১৯ পিএম
১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:৫১ পিএম
১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪:০৭ পিএম

গত আট বছর অ্যাশেজ সিরিজের ট্রফি অস্ট্রেলিয়ার কাছে। ২০১০-১১ মৌসুমের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজ জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। শতবর্ষী মর্যাদার এই লড়াইয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখে ইংলিশরা। সিরিজ শুরুর আগে ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসের কণ্ঠে ছিল বেশ আত্মবিশ্বাসও। তবে প্রথম দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরে এখন অজিদের দূর্গ থেকে আবারও খালি হাতে ফেরার শঙ্কায় ইংলিশরা।
আগামী বুধবার অ্যাডিলেডে শুরু হবে তৃতীয় টেস্ট। সিরিজে টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প নেই ইংল্যান্ডের সামনে। ঐতিহ্যের এই সিরিজের ইতিহাস বলছে, ২-০ পিছিয়ে থেকে অ্যাশেজ জয়ের নজির আছে মাত্র একবার। ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে ডন ব্র্যাডম্যানের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-২ ব্যাবধানে সিরিজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।
বর্তমান বাস্তবতায় এমন কিছু করে দেখানো ইংল্যান্ডের জন্য কল্পনাপ্রসূতই। এরপরও অবশ্য অ্যাডিলেড টেস্টের আগে স্টোকসরা কিছুটা আশা দেখতে পারেন। প্রত্যাবর্তনের জন্য পূর্বের সুখস্মৃতি থেকেও অনুপ্রেরণা পেতে পারে তাঁরা।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যাটিং-বান্ধব উইকেট অ্যাডিলেডের
অ্যাডিলেড ওভাল ঐতিহ্যগতভাবে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ব্যাটিং সহায়ক মাঠ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উইকেট কিছুটা বদলালেও, পার্থ ও ব্রিসবেনের তুলনায় এখানে ব্যাটারদের জন্য উইকেট সহজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এবার গোলাপি বল নয়, লাল বলের টেস্ট হওয়ায় সেটিও ইংল্যান্ডের পক্ষে যেতে পারে।
অ্যাডিলেডের সুখস্মৃতি
চার বছর আগে অ্যাডিলেডে ২৭৫ রানে হেরেছিল ইংল্যান্ড, তবে সেটি ছিল গোলাপি বলের দিবা-রাত্রির ম্যাচ। বর্তমান দলে তখনকার একাদশ থেকে আছেন কেবল বেন স্টোকস, জো রুট ও অলি পোপ। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এই মাঠেই ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচের স্মৃতি অন্তত আত্মবিশ্বাস জোগাতে পারে ইংলিশদের।
অস্ট্রেলিয়ায় জো রুটের শতক
ব্রিসবেন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম শতক তুলে নিয়ে সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন জো রুট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ হলেও, এই শতক পেয়ে অনেকটা চাপমুক্ত হয়েছেন রুট। ২৯ ইনিংস পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে রুটের প্রথম সেঞ্চুরি ইংল্যান্ডের জন্য আশাব্যাঞ্জকই বটে।
পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা
বাজবল যুগে ইংল্যান্ড ১-০ বা ২-০ পিছিয়ে থেকেও কোনো সিরিজ হারেনি। ২০২৩ অ্যাশেজেও একই অবস্থায় ছিল তাঁরা। শেষ পর্যন্ত সিরিজ জেতা না হলেও অস্ট্রেলিয়াকে প্রবল চাপে ফেলেছিল। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কাজটা কঠিন হলেও , ইংল্যান্ড জানে কীভাবে লড়তে হয়।
জোফরা আর্চারের প্রমাণের মঞ্চ
২০১৯ সালে অ্যাশেজ অভিষেকই আলোড়ন তোলেন জোফরা আর্চার। আগু ঝরা বোলিংয়ে সেই সিরিজে নেন ২০ উইকেট। এরপর চোটের সঙ্গে লড়াই করেছেন একাধিকবার। চলতি বছর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চার বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছেন।
চলতি অ্যাশেজে দুই ম্যাচে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ব্রিসবেন টেস্টের পর আর্চারকে নিয়ে হচ্ছে তীব্র সমালোচনা। এই অবস্থায় নিজেকে প্রমাণে উদ্গ্রিব হয়ে থাকবেন আর্চার।
মার্ক উড ছিটকে যাওয়ায় এখন ইংল্যান্ড দলে সবচেয়ে গতিময় বোলার আর্চার। অ্যাডিলেডে তাঁর গতি ও আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে নিজেকে আবারো মেলে ধরতে পারেন এই গতিতারকা।
স্টোকসের বার্তা
ব্রিসবেন টেস্টের শেষে স্টোকসের বার্তা ছিল স্পষ্ট। ইংলিশ অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া দুর্বলদের জায়গা নয়’। দুই ম্যাচ হেরে খাদের কিনারায় থাকা দলকে টেনে তুলতে পারেন স্টোকসই। অ্যাশেজে এর আগে এমন অসম্ভব প্রত্যাবর্তনের নায়ক হয়ে দেখিয়েছেন তিনি।
অ্যাশেজে চাপে থাকলেও ইংল্যান্ডের অ্যাডিলেডে একটি জয়ই বদলে দিতে পারে পুরো সিরিজের চিত্র।

জিততে হলে গড়তে হবে রেকর্ড। কঠিন চ্যালেঞ্জে রান তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত জুটি গড়লেন জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি পাননি জাওয়াদ। তবে দুই ওপেনারের দেড়শছোঁয়া জুটিতে রেকর্ড গড়ে এশিয়া কাপে পথচলা শুরু করল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে শনিবারের ম্যাচে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৩ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আফগানদের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্য ৭ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলেছে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন দল।
যুব এশিয়া কাপের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল ভারতের। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই ২৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল ভারতীয় যুবারা।
এছাড়া সব মিলিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। ২০২৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০৪ রানের লক্ষ্যে ৬ উইকেটে জিতেছিল তারা।
বাংলাদেশের জয়ের বড় কারিগর দুই ওপেনার জাওয়াদ ও রিফাত। দুজন মিলে উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ১৫১ রান। ৯ চার ও ৬ ছক্কায় ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন জাওয়াদ। রিফাতের ব্যাট থেকে আসে ৬২ রান।
গত দুই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এবার হ্যাটট্রিকের মিশনে এশিয়া কাপ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে শুরুটা চ্যাম্পিয়নের মতোই করেছে তারা।
বিশাল লক্ষ্যে শুরু থেকেই ইতিবাচক ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। মাত্র ১৫ ওভারের মধ্যে একশ রান করে ফেলে তারা। এরপর কিছুটা কমে রানের গতি। শেষ পর্যন্ত ১৬০ বলে ১৫১ রান করে ভাঙে ডানহাতি-বাঁহাতি ব্যাটারের উদ্বোধনী জুটি।
যুব এশিয়া কাপে রান তাড়ায় এটি সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। সব মিলিয়ে যুব এশিয়া কাপে এর চেয়ে বড় ওপেনিং জুটি আছে আর একটি। গত বছর ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৬০ রান যোগ করেছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার শাহজাইব খান ও উসমান খান।
৫ চারের সঙ্গে ২ ছক্কা মেরে ৬৮ বলে ৬২ রান করে আউট হন বাঁহাতি রিফাত। কিছুক্ষণ পর জাওয়াদ ছক্কা মারতে গিয়ে ধরা পড়েন লং অফে। সামনে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন খাতির স্ট্যানিকজাই। দুই ওপেনারকেই ফেরান রুহুল্লাহ আরব।
এরপর তামিম ও কালাম সিদ্দিকি এলিনের ৭১ বলে ৬৬ রানের জুটিতে আরও অনেকটা পথ এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩৬ বলে ২৯ রান করে ফেরেন এলিন। অধিনায়ক তামিমের ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৭ বলে ৪৮ রান।
শেষ দিকে রিজান হোসেন ১৩ বলে ১৭ ও শেখ পারভেজ রহমান জীবন ৭ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে তেমন সুবিধা করতে পারেনি আফগানিস্তান। তিন নম্বরে নেমে দায়িত্ব নেন ফয়সাল শিনোজাদা। ৮ চার ও ৪ ছক্কায় মাত্র ৯৪ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন দারুণ ছন্দে থাকা ব্যাটার।
বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ৬ ইনিংসে শিনোজাদার এটির তৃতীয় সেঞ্চুরি। যুব ওয়ানডেতে নির্দিষ্ট কোনো দলের বিপক্ষে এটিই সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড।
শিনোজাদার সেঞ্চুরির সঙ্গে উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই ৪৪, আজিজুল্লাহ মিয়াখিল ৩৬, আব্দুল আজিজ ১৬ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেললে ৭ উইকেটে ২৮৩ রানের পুঁজি পেয়েছে আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন ও শাহরিয়ার আহমেদ।
একই মাঠে সোমবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের বোলারদের যেন হাতের তালুর মতো চিনে ফেলেছেন ফয়সাল শিনোজাদা। মাঠে নামলেই তাই তিনি পাচ্ছেন সেঞ্চুরির দেখা। সবশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে একটি বিশ্ব রেকর্ডেই নাম লিখিয়েছেন আফগানিস্তানের উদীয়মান তারকা।
দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে শনিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯৪ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন শিনোজাদা। বাংলাদেশের সঙ্গে ৬ ইনিংসে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। পাশাপাশি আরেক ফিফটিসহ ৬৮.১৬ গড়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার সংগ্রহ ৪০৯ রান।
যুব ওয়ানডের ইতিহাসে নির্দিষ্ট কোনো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এটিই সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড। শিনোজাদার আগে নির্দিষ্ট কোনো দলের সঙ্গে ৩টি করে সেঞ্চুরির কীর্তি ছিল বাংলাদেশের তাওহিদ হৃদয়, ভারতের শুবমান গিল ও পাকিস্তানের সামি আসলামের।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১ ইনিংসে ৩ ফিফটির পাশাপাশি ৩ সেঞ্চুরি করেছিলেন হৃদয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ ইনিংসে গিলের সেঞ্চুরিও ৩টি। আর ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৬ ইনিংসে ২ ফিফটির সঙ্গে ৩টি সেঞ্চুরি করেছিলেন সামি আসলাম।
সব মিলিয়ে শিনোজাদার ১০ ইনিংসের ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরি ৪টি। যুব ওয়ানডেতে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু তিন জনের- সামি আসলাম (৩৯ ইনিংসে ৬টি), উন্মুখত চাঁদ (২১ ইনিংসে ৫টি) ও তাওহিদ হৃদয় (৪৫ ইনিংসে ৫টি)।
গত অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছিল আফগানিস্তান। সিরিজের ৪ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি করেছিলেন শিনোজাদা। এর আগে গত বছরের এশিয়া কাপে তিনি করেছিলেন ৫৮ রান।
এবার শিনোজাদার আরেকটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই ৪৪, আজিজুল্লাহ মিয়াখিল ৩৬ ও আব্দুল আজিজ ১৬ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেললে ৭ উইকেটে ২৮৩ রানের পুঁজি পেয়েছে আফগানিস্তান।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন ও শাহরিয়ার আহমেদ।

ব্রিসবেন বিমানবন্দরে ইংল্যান্ড দলের নিরাপত্তাকর্মী ও অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল সেভেনের ক্যামেরা অপারেটরের মধ্যে ঘটে যাওয়া ধাক্কাধাক্কির ঘটনা অ্যাশেজ সিরিজে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্ট খেলতে রওনা দেওয়ার সময় শনিবার সকালে এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
চ্যানেল সেভেনের প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, খেলোয়াড়দের খুব কাছ থেকে ছবি তুলতে এগোলে ইংল্যান্ডের এক নিরাপত্তাকর্মী ক্যামেরা অপারেটরকে ঠেলে সরিয়ে দেন। ওই সময় ইংল্যান্ড দলটি নুসা থেকে গাড়িতে করে বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
সিরিজের মাঝের বিরতিতে নুসায় তাদের ভ্রমণ আগেই সমালোচনার মুখে পড়েছিল- বিশেষ করে গাব্বায় হারের পর অ্যাশেজে ২–০ ব্যবধানে পিছিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) সিরিজ শুরুর আগেই সব গণমাধ্যমের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিল- ম্যাচের মধ্যবর্তী যাত্রাপথে, বিশেষ করে বিমানবন্দর ও হোটেলে, খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না। তবে ‘সম্মানজনক দূরত্ব’ বজায় রেখে দৃশ্যধারণের অনুমতি রয়েছে। এই ঘটনার ফুটেজে দেখা যায়, চ্যানেল সেভেন সেই প্রটোকল পুরোপুরি মানেনি।
তবে সিরিজের বর্তমান অবস্থা ইংল্যান্ডকে বাড়তি মিডিয়া চাপের মধ্যে ফেলেছে। প্রথম দুই টেস্ট ছয় দিনের ভেতর হেরে যাওয়ায় অ্যাডিলেডে জিততেই হবে- হয়তো অ্যাশেজ ধরে রাখার আশা শেষ। এমন পরিস্থিতিতে দল ঘিরে সংবাদমাধ্যমের আগ্রহও তুঙ্গে।
অভ্যন্তরীণভাবে ইংল্যান্ড শিবির তাদের নিরাপত্তাকর্মীদের ‘নমনীয়’ থাকার অনুরোধ জানিয়েছে। সফর জুড়ে খেলোয়াড়রা সাধারণত দর্শক ও ভক্তদের সেলফির অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। পার্থে আসার পর থেকে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের নজরদারিও তারা হাসিমুখে সামলেছেন।
গলফ খেলার সময় ড্রোনে চিত্রধারণ, ব্রিসবেনে হেলমেট ছাড়া ই-স্কুটার চালানো নিয়ে প্রশ্ন- সবই এসেছে তাদের দিকে। অধিনায়ক বেন স্টোকস এসব প্রসঙ্গ হালকাভাবে নিয়েছেন। নুসার সৈকতে গণমাধ্যমের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। সৈকতে সতীর্থদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে খেলতে স্টোকস ছবি তুলতেও রাজি হন।
তবে ব্রিসবেন বিমানবন্দরের ঘটনাটি সেই সহনশীলতার ধারাবাহিকতায় ব্যতিক্রম। মাঠের পারফরম্যান্সে চাপ, তার ওপর বাইরের উত্তাপ- ইংল্যান্ড শিবিরে এখন স্পষ্ট টানাপোড়েন।
অ্যাডিলেডে আগামী বুধবার শুরু হবে অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট।

দুর্নীতির অভিযোগে চার ক্রিকেটারকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে ভারতের আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)। গতকাল শুক্রবার অমিত সিনহা, ইশান আহমেদ, আমান ত্রিপাঠি ও অভিষেক ঠাকুরি- এই চারজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় সংস্থাটি।
২০২৫ সালের সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চার ক্রিকেটারের নামে রাজ্য পুলিশের অপরাধ শাখায় এফআইআরও দায়ের করেছে এসিএ। অভিযুক্ত চারজনই বিভিন্ন সময়ে আসামের হয়ে খেলেছেন।
এসিএর অভিযোগ, ওই চার ক্রিকেটার টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া আসামের কয়েকজন খেলোয়াড়কে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন এবং দুর্নীতিতে জড়াতে উসকানি দেন।
এসিএর সম্পাদক সনাতন দাস জানান, অভিযোগ সামনে আসার পর বিসিসিআইয়ের অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (এএসসিইউ) বিষয়টি তদন্ত করে। একই সঙ্গে ফৌজদারি প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে গুরুতর অসদাচরণে সংশ্লিষ্টদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
চলতি মৌসুমে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির লিগ পর্বের ম্যাচগুলো হয় ২৬ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে সুপার লিগ পর্ব, টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে ১৮ ডিসেম্বর।
নিষেধাজ্ঞার সময়কালে অভিযুক্ত চার ক্রিকেটার এসিএ পরিচালিত কোনো রাজ্য পর্যায়ের টুর্নামেন্ট বা ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন না। পাশাপাশি জেলা সংস্থা বা সংযুক্ত ক্লাবের কোনো ক্রিকেট কার্যক্রমেও তাঁরা যুক্ত থাকতে পারবেন না।