ডিসেম্বরে মাঠে গড়াচ্ছে এনসিএলের টি-টোয়েন্টি আসর। বিপিএলের আগে স্থানীয় ক্রিকেটারদের প্রস্তুত করতেই এমন টুর্নামেন্টের আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যার গ্রুপ পর্বের ম্যাচ গুলো সিলেটে হলেও প্লে অফ ও ফাইনাল ম্যাচ হবার কথা ছিল ঢাকায়। তবে জানা গেছে, টুর্নামেন্টের সব ম্যাচই চলে যাচ্ছে সিলেটে।
১১ ডিসেম্বর চায়ের শহরে শুরু হচ্ছে এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ডিসেম্বর। আর এই সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। গ্রুপ পর্বে প্রতি দিন দুই মাঠে ম্যাচ হবে ৪ টি করে।
আরও পড়ুন
ক্রিকেটের জন্য হঠাৎ একসঙ্গে দুই খান, নেপথ্যে কী? |
![]() |
মূলত বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বিসিবি। আর্মি স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা থাকলেও এই অনুষ্ঠানটি ২৩ ডিসেম্বর করতে হচ্ছে হোম অব ক্রিকেটে। সে কারণেই সেই সময় মিরপুরে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব না।
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা এই সময় ব্যস্ত থাকবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে। তবে ওয়ানডে সিরিজ শেষ করে এই টুর্নামেন্টে যোগ দিতে পারেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। তামিম ইকবালও খেলার কথা এই আসরে। এছাড়া দেশের ক্রিকেটের প্রায় সব তারকা ক্রিকেটারকেই দেখা যাবে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে।
১০ জুলাই ২০২৫, ১১:০৯ পিএম
৯ জুলাই ২০২৫, ৯:১৬ পিএম
৯ জুলাই ২০২৫, ৬:৩৫ পিএম
ভেন্যু সেই পাল্লেকেলে। এবং যথারীতি হতাশার গল্প। ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচের ব্যাটিং ব্যর্থতাই সংক্রমিত হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে এখন দুইশ স্কোর হরহামেশায় হচ্ছে। সেখানে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৪/৪ স্কোর মোটেও যথেষ্ট নয়, তা জেনে গেছে লিটনের দল স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার ওপেনিং পার্টনারশিপের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে হেরে। উইকেটের ব্যবধানে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের বড় জয় ছিল দুটি, ৬ উইকেটে। ২০১৭ সালে ১৫৬ রান তাড়া করে পাল্লেকেলেতে, ২০১৮ সালে ১৯৪ রান তাড়া করে মিরপুরে।
টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং রসায়নটা আদৌ কতোটা রপ্ত করতে পেরেছে বাংলাদেশ ব্যাটাররা, সেটাই প্রশ্ন। ১২০ টি বৈধ ডেলিভারি ফেস করতে এসে ৩৯টি ডট। তা না হয় মেনে নিলেন। কিন্তু পুরো ইনিংসের অবশিষ্ঠ ৮১ বলের মধ্যে ১২টি বাউন্ডারির পাশে ৪টি ছক্কা! চার-ছক্কার ধুন্দুমার ফরম্যাটের খেলায় এই সংখ্যাটা নেহায়েতই অসামঞ্জম্যপূর্ণ। ইনিংসের মাঝপথে একবার ২৭ বল, অন্যবার ২৮ বল বিরতি দিয়ে বাউন্ডারি মারতে পেরেছে। দৃষ্টিকটু এই পরিসংখ্যানটাও আনতে হচ্ছে সামনে।
ব্যবধানটা হয়েছে এখানেই। বাংলাদেশের চেয়ে একটি বেশি বল ডট (৪০টি) করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের সমান ১২টি বাউন্ডারি ছিল তাদের ইনিংসে। তবে ৬ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয়ে সহায়ক হয়েছে জয়সুরিয়ার শিষ্যদের ছক্কার প্রদর্শনী। বাংলাদেশ যেখানে মারতে পেরেছে ইনিংসে ৪টি ছক্কা, সেখানে শ্রীলঙ্কা মেরেছে ১২টি ছক্কা!
১৩ মাস ৩ দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে যে প্রতিপক্ষকে ২ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় করে দিয়েছে বাংলাদেশ, সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিরতি টি-২০তে বাংলাদেশ ব্যাটারদের ব্যাটিং ছিল বড্ড বেমানান। ওভারপ্রতি ৭.৭০ হারে বাংলাদেশের স্কোর ১৫৪/৫।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তানজিদ হাসান তামিম-পারভেজ ইমনের ব্যাট ঠিকই কথা বলেছে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে ৫৪/১ স্কোরকে সন্তোষজনক মনে হয়েছে। তবে ইনিংসের মাঝের ৯ ওভারের (৭ম থেকে ১৫তম) ব্যাটিংটা হয়েছে ওয়ানডে মেজাজে। দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে'র ওই ৫৪ বলে ৫৪'র বেশি রান ওঠেনি। হারাতে হয়েছে ওই সময়ে ৩ উইকেট। শেষ ৩০ বলকেও শ্লগে পরিণত করতে পারেনি বাংলাদেশ। ওই ৩০ বলে অধিনায়ক মিরাজকে হারিয়ে বাংলাদেশ যোগ করতে পেরেছে ৪৬ রান।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলে চামিকা করুণারত্নেকে মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারিতে পারভেজ হোসেন ইমন দিয়েছিলেন বড় স্কোরেরর আভাস। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বিনুরু ফার্নান্দোকে ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কায় পাল্লেকেলে ভর্তি দর্শকদের হতভম্ব করেছেন তিনি। থিকসানাকে এক ওভারে ৩টি বাউন্ডারিতে এই ফরম্যাটের যথার্থ ব্যাটার হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তবে তুষারার লো ফুলটসে পার্টনার তানজিদ হাসান তামিম মিড উইকেটে ক্যাচ দিলে (১৭ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৬) পারভেজ ইমনের ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন হয়। ৩০ বলে ৪৬ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ থামার পর রানের গতি হয়ে পড়ে শ্লো। জেফরির বলে সুইপ করতে যেয়ে অধিনায়ক লিটন এলবিডাব্লুউতে কাটা পড়েন মাত্র ৬ রানে (১১ বল)। পরের ওভারে থিকসানাকে ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা মারতে চেয়ে লং অনে দিয়েছেন ক্যাচ (২২ বলে ৫ চার, ১ ছক্কায় ৩৮)। হৃদয় জিততে পারেননি তাওহিদ। সানাকার গুড লেন্থ বল খেলতে যেয়ে উইকেটের পেছনে দিয়েছেন ক্যাচ (১৩ বলে ১০)।
১১ মাস পর টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফেরা অপরাজিত থেকেছেন নাঈম শেখ। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে রানের জন্য ধুঁকতে থাকা নাঈম শেখ জেফরিকে দর্শণীয় সুইপ শটে ছক্কা মেরে পেয়েছেন স্পন্দন। তবে স্লগে হাসেনি তার ব্যাট। ফলে ২৯ বলে ১ বাউন্ডারি, ১ ছক্কায় ৩২ রানের হার না মানা ইনিংসে তৃপ্ত হওয়ার কথা নয় তার।
এদিন মিরাজ শুরু করেছিলেন দারুণ। সানাকার পর পর দুটি শর্ট বলে হুক, পুল শটে বাউন্ডারি মেরে পেয়েছেন ছন্দ। ১৯তম ওভারে থিকসানাকে এক্সট্রা কভারর দিয়ে বাউন্ডারি মারতে যেয়ে ক্যাচ দিয়ে এসেছেন ফিরে (২৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৯)। শামীম পাটোয়ারী মাত্র ৫টি ডেলিভারি ফেস করতে পেরেছেন। ওই ৫টি ডেলিভারির মধ্যে থিকসানা এবং তুষারাকে মেরেছেন একটি করে ছক্কা। ৫ বলে ২৮০.০০ স্ট্রাইক রেটে ওই ১৪টি মূল্যবান রান না আসলে বাংলাদেশের স্কোর দেড়শ স্পর্শ করতো না।
বাংলাদেশের ইনিংসে সফল ছিলেন অফ স্পিনার থিকসানা (২/৩৭)। তবে মিডিয়াম পেসার সানাকা (১/২২) ছিলেন মিতব্যয়ী বোলার।
শ্রীলঙ্কাকে ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জ দিয়ে বাংলাদেশের পেস বোলারদের যে গর্জনের প্রত্যাশা ছিল, তা দেখেনি এদিন বাংলাদেশ সমর্থকরা। ১৪ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা সুখকর হয়নি পেস বোলার সাইফউদ্দিনের। ১ ওভারের প্র্র্রথম স্পেলে তার খরচা ১৪ রান। তাসকিন প্রথম ২ ওভারের স্পেলে খরচ করেছেন উইকেটহীন ৩৪ রান। দলের তৃতীয় পেসার তানজিম হাসান সাকিবও প্রথম স্পেলে খেয়েছেন মার (১-০-১৫-০)। তাদের অমিতব্যয়ী বোলিংয়ে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে শ্রীলঙ্কার স্কোর উঠেছে ৮৩/১।
জয়ের জন্য ১৫৫ রানের লক্ষ্যটা সহজ করেছেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা-কুশল মেন্ডিজ। এই সফরের শুরু থেকে ইনফর্ম এই দুই লঙ্কান ওপেনার ২৮ বলে ৭৮ রান যোগ করে দলের বড় জয়ের পথ করেছেন প্রশস্ত। ফিফটি পেয়েছেন কুশল মেন্ডিজ। ১৮তম ওভারে সাইফউদ্দিনের বলে শর্ট এক্সট্রা কভারে শামীমের দারুণ ফ্লাইং ক্যাচে বন্দি হওয়ার আগে করেছেন ৫১ বলে ৫ চার, ৩ ছক্কায় ৭৩। তার এই ক্যাপ্টন নক-ই গড়ে দিয়েছে দু'দলের মধ্যে ব্যবধান।
ফিফটি পেতে পারতেন পাথুম নিশাঙ্কাও। মিরাজকে ওয়েলকাম ছক্কা মেরে, ওই ওভারের পথম তিন বলে ২ ছক্কায় সে আভাসই দিয়েছিলেন পাথুম। তবে মিরাজের সেই ওভারের চতুর্থ বলে একই শট নিতে যেয়ে দিয়ে এসেছেন লং অফে ক্যাচ (১৬ বলে ৫ চার, ৩ ছক্কায় ৪২)।
এই ম্যাচে লেগ স্পিনার রিশাদ করেছেন দারুণ বোলিং। কুশল পেরেরাকে (২৫ বলে ২৪) উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করা রিশাদের বোলিং স্পেলটা (৪-০-২৪-১) ছিল দারুন। অফ স্পিনার মিরাজ প্রথম ওভারে মার খেয়ে (১৪ রান খরচ)ও পরের তিন ওভারে দারুণভাবে ফিরেছেন। শেষ ৩ ওভারে তার খরচা মাত্র ১০ রান। তবে তাসকিন এই ম্যাচে হতাশ করেছেন (৩-০-৪৩-০)।
জিম্বাবুয়ের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হয়ে গেছে দুই দিন হয়েছে। তবে এখনও আলোচনা চলছে ভিয়ান মুল্ডারের এক সিদ্ধান্ত নিয়ে, যেখানে সুযোগ পেয়েও তিনি টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ স্কোর নিজের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেননি। দক্ষিণ আফ্রিকা অলরাউন্ডার এর পেছনে তুলে ধরেন রেকর্ডটির মালিক ব্রায়ান লারার প্রতি শ্রদ্ধার কথা, যা একেবারেই ভালো লাগেনি ক্রিস গেইলের। সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা বরং সমালোচনা করে বলেছেন, এমন সুযোগ মুল্ডার আর কখনই হয়ত পাবেন না।
চলতি সপ্তাহে জিম্বাবুয়ের সাথে ক্যারিয়ারের ২১তম টেস্ট খেলতে নামা মুল্ডার ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করে প্রথম দিন শেষে ২৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। পরদিন হাশিম আমলাকে পেছনে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর নিজের করে নেন ট্রিপল সেঞ্চুরিতে। ৩৩৪ বলে ৪৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৬৭ রানে অপরাজিত থেকে ভালোভাবেই ছিলেন লারার করা ৪০০ রানের রেকর্ড ভাঙার পথে। তবে বিস্ময়ের জন্ম দিয়ে ওই স্কোরেই ইনিংস ঘোষণা করে দেন মুল্ডার, যা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ক্রিকেট বিশ্ব।
আরও পড়ুন
৪ বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরছেন আর্চার |
![]() |
টকস্পোর্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সরাসরি মুল্ডারের ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন গেইল।
“এমন একটা সুযোগ জীবনে একবারই আসে। সে সেটাই পেয়েছিল। সে হয়তো ঘাবড়ে গিয়েছিল, তাই ঠিক কী করা উচিত ওই অবস্থায়, সেটা বুঝতে পারেনি। আমি যদি ৪০০ রানের কাছাকাছি যেতে পারতাম, আমি রেকর্ড নিজের করেই মাঠ ছাড়তাম। আবার কবে ৪০০ রান করার সুযোগ পাবেন, সেটা কিন্তু আপনি জানেন না।”
সেই ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লারা করেন অপরাজিত ৪০০ রান, যা আজও রয়ে গেছে টেস্টের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। মুল্ডারের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই হতাশ ম্যাচের প্রেক্ষাপটের কারণে। মাত্র চলছিল দ্বিতীয় দিন, বিশাল লিড হয়ে গেছে। ফলে তিন দিন হাতে রেখে অনায়াসেই জয় ধরা দিত তিনি লারার রেকর্ডের পেছনে ছুটলেও।
আরও পড়ুন
ইতিহাস গড়া ইনিংসের পর ব্যাটিং-অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ মুল্ডারের |
![]() |
মুল্ডার অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই লারার রেকর্ডের প্রতি সম্মান জানিয়ে ৩৬৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছেন। গেইলের কাছে অবশ্য এটি যৌক্তিক নয়।
“আপনি যখন ৩৬৭ রানে অপরাজিত আছেন, তখন আপনাকে চেষ্টা করতেই হবে ৪০০ করার। আপনি যদি কিংবদন্তি হতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই রেকর্ডের পেছনে ছুটতে হবে।”
অনেকেই মনে করেন, প্রতিপক্ষ দুর্বল জিম্বাবুয়ে বলেই হয়ত মুল্ডার রেকর্ডটা নিজের দখলে নিতে চাননি। তবে টেস্ট ক্রিকেটে একটি ট্রিপল সেঞ্চুরি করা গেইলের কাছে এটিও খোঁড়া যুক্তি।
“সে বড় ধরনের ভুল করেছে। এমন একটা সুযোগ কিন্তু বারবার আসে না। আপনি জানেন না যে, শেষ পর্যন্ত ৪০০ করতে পারতেন কিনা। কিন্তু ৩৬৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দেওয়া… এটা একেবারে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আর টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিপক্ষ বড় কথা না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও কিন্তু আপনি এক রান করতে হিমশিম খেতে পারেন। এটা টেস্ট ক্রিকেট, এখানে সেঞ্চুরি, ডাবল, ট্রিপল সেঞ্চুরি বা ৪০০ রান - সবই সমান গুরুত্বপূর্ণ।”
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন আগেই। ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও ব্যস্ত সময় কাটালেও জোফরা আর্চার দীর্ঘ সময় ধরেই ছিলেন টেস্টের বাইরে। অবশেষে ফুরাচ্ছে সেই প্রতীক্ষা। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের একাদশে জায়গা মিলেছে গতিময় এই পেসারের।
লর্ডসে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টকে সামনে রেখে বুধবার আর্চারকে রেখে একাদশ ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। এর মধ্য দিয়ে চার বছর পর লাল বলের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে তার।
২০১৯ সালে এই লর্ডসেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল আর্চারের, লম্বা বিরতির পর এই ফরম্যাটে ফিরছেন সেখানেই। আর তাকে জায়গা করে দিতে একাদশ থেকে সরে যেতে হয়েছে জশ টাংকে। দুই ম্যাচে সিরিজের সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নেওয়া এই পেসারকে ইংল্যান্ড বিশ্রাম দিয়েছে।
আরও পড়ুন
ইতিহাস গড়া ইনিংসের পর ব্যাটিং-অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ মুল্ডারের |
![]() |
আর্চার ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ১৩ টেস্টে মাত্র ৩১.০৪ গড়ে নেন ৪২ উইকেট। ২০১৯ অ্যাশেজে তার ২০ উইকেট শিকার করেছিলেন মাত্র ২০.২৭ গড়ে। তবে টানা ম্যাচ খেলার কারণে পিঠে চোট পান ২০২১ সালে, যা তাকে একটা বড় সময়ের জন্যই ছিটকে দেয় টেস্ট ক্রিকেট থেকে।
এই গ্রীষ্মেও ইংল্যান্ড আর্চারকে খুব সতর্কভাবে ফিরিয়েছে। আঙুলের চোটের কারণে প্রথম টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি, দ্বিতীয় টেস্টে ফিট থাকলেও না খেলিয়ে আরও এক সপ্তাহ বেশি অনুশীলন করানো হয়।
আর্চারের ফেরার ম্যাচে ইংল্যান্ড একাদসে আর পরিবর্তন নেই। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সমতা ১-১ ব্যবধানে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে ঐতিহাসিক এক ইনিংস খেলে টেস্টের দুই ক্যাটাগরিতে ক্যারিয়ার সেরা অবস্থান অর্জন করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ভিয়ান মুল্ডার। অপরাজিত ৩৬৭ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট ব্যাটারদের তালিকায় ৩৪ ধাপ এগিয়ে এখন ২২ নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি।
বুধবার আইসিসির প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে মুল্ডার উন্নতি করেছেন অলরাউন্ডারদের তালিকাতেও। ১২ ধাপ এগিয়ে এখন ৩ নম্বরে অবস্থান করছেন ২৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
চলতি সপ্তাহে জিম্বাবুয়ের সাথে টেস্টে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে খেলা মুল্ডার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তোলেন ঝড়। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করে প্রথম দিনেই করে ফেলেন ডাবল সেঞ্চুরি। এর দ্বিতীয় দিন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে করেন ট্রিপল সেঞ্চুরি। দলীয় ইনিংস ঘোষণার সময় তার রান ছিল অপরাজিত ৩৬৭, যা টেস্টের ইতিহাসের ইতিহাসের এখন চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর এখন মুল্ডারের দখলেই।
আরও পড়ুন
‘৪০০ রানের সুযোগ একবারই আসে, কিংবদন্তি হতে হলে রেকর্ড ভাঙতেই হবে’ |
![]() |
সাথে বল হাতেও ভালো করেন মুল্ডার। ডানহাতি পেসে দুই ইনিংসে তুলে নেন ৩ উইকেট, যা তাকে জায়গা করে দিয়েছে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে সেরা তিনে। ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা তালিকায় শীর্ষে আছেন, দুইয়ে আছেন বাংলাদেশের মেহেদি হাসান মিরাজ।
শ্রীলঙ্কার সাথে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজে পারফরম্যান্সের সুবাদে মিরাজ সহ অন্যদের র্যাঙ্কিংয়ের অবস্থানে এসেছে রদবদল। তিন ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত ছয় ধাপ পিছিয়ে চলে গেছেন ৩৪তম অবস্থানে। সিরিজে দুই ফিফটি করা তাওহীদ হৃদয় সাত ধাপ উন্নতি করেছেন, তিনি আছেন ৫১-তে।
বোলারদের মধ্যে এই সিরিজ দিয়ে চোট কাটিয়ে ফেরা তাসকিন আহমেদ ২৮ থেকে উঠে এসেছেন ২৬ নম্বরে। এক ধাপ নিচে নেমে গেছেন অধিনায়ক মিরাজ, তিনি আছেন ২৯ নম্বরে। বড় অবনমন হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের। ১১ ধাপ নিচে নেমে গেছেন অভিজ্ঞ এই পেসার। এখন তার অবস্থান ৪৬তম।
জিতলেই ইতিহাস। প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার মাটিতে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের উৎসব। কলম্বোর প্রেমাদাসায় প্রথম দুই ম্যাচের ফল ১-১এ অমিমাংসিত থাকায় ক্যান্ডির পাল্লেকেলেতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি রূপ পেয়েছে ফাইনাল। পাল্লেকেলেতে অতীত সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশ দলের। শ্রীলঙ্কার মাটিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়টা সূচিত হয়েছে এই মাঠেই। ২০১৩ সালে ৩ উইকেটে জয় থেকে সিরিজ জয়ের সেই টনিক নিয়ে শ্রীলঙ্কার মাঠে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের উৎসবে ফেটে পড়বে মিরাজের দল, এমন স্বপ্নই দেখেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।তবে ১৯ মাস আগে দিল্লীতে ২৮২ রান তাড়া করে ৫৩ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ে শান্ত, মিরাজ, তানজিদ, তানজিমদের সেই গৌরবগাঁথা পাল্লেকেলের মাঠে পুনরাবৃত্তি হয়নি। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ২৮৬ রানের চ্যালেঞ্জটা নিতেই পারেনি বাংলাদেশ দল। ৯৯ রানে হেরে সিরিজের শেষের ছবিটা হয়েছে হতাশার।
প্রেমাদাসার উইকেট অনেকটা মিরপুরের মতো। রান করতে হয় কষ্ট করে। প্রথমে ব্যাট করে আড়াইশ স্কোরকে যথেষ্ট মনে হয়েছে। কিন্তু পাল্লেকেলের উইকেটের বৈশিষ্ট্য একটু আলাদা। উইকেটে বল পড়ে ব্যাটে ঠিকঠাক মতো এসেছে। এমন সুবিধাজনক ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচ পেয়ে কুশল মেন্ডিজের ব্যাট উঠেছে জ্বলে। তার সেঞ্চুরিতে (১১৪ বলে ১৮ বাউন্ডারিতে ১২৪) ভর করে ২৮৫/৭ স্কোর করেছে শ্রীলঙ্কা।
ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ স্পিনারদের সাপুড়ে নৃত্য দেখে ভয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। হয়তবা সে কারণেই স্লো উইকেট প্রস্তুত করার আইডিয়া থেকে সরে দাঁড়িয়ে ব্যাটারদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন পাল্লেকেলের কিউরেটর।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫০ ওভারের ম্যাচে রেকর্ডটা দারুণ কুশল মেন্ডিজ-আসালাঙ্কার। দু'জনেই ছিল ইতোপূর্বে সেঞ্চুরি-আসালাঙ্কার দুটি, কুশল মেন্ডিজের ১টি। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ম্যাচ উইনিং সেঞ্চুরির তরতাজা স্মৃতি নিয়ে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে নেমেছেন অধিনায়ক আসালাঙ্কা। ২০১৭ সালে ডাম্বুলায় বাংলাদেশের বিপক্ষে কুশল মেন্ডিজের সেঞ্চুরির অতীত সুখস্মৃতি তো আছেই, চলমান সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি থেকেও নিয়েছেন টনিক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশ বোলারদের নাভিশ্বাস উঠিয়ে ছেড়েছে এই জুটি। ১১৭ বলে যোগ করেছে তারা ১২৪ রান।
গত বছর ডাম্বুলায় নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের সর্বোচ্চ ১৪৫ রানের ইনিংস ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ডের নেশায় বিভোর কুশল মেন্ডিজ এদিন শুরু থেকে করেছেন ইতিবাচক ব্যাটিং। তানজিম হাসান সাকিবকে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারির চুমোয় ইনিংস শুরু করে ৫৮ বলে ফিফটি এবং ৯৫ বলে ওডিআই ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন কুশল মেন্ডিজ। দ্বিতীয় ফিফটিতে লেগেছে তার মাত্র্র ৩৭টি বল। ৯০'র ঘরে এসে রানের জন্য ধুঁকতে হয়নি তাকে। শেষ ১০ রান নিতে লেগেছে তার মাত্র ৬টি বল। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি ইনিংসকে টেনে নিয়েছেন ১২৪ পর্যন্ত। ওডিআই ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসে ১০৮.৭৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন রান। যে ইনিংসে মেরেছেন তিনি ১৮টি বাউন্ডারি। ব্রেক থ্রু দিয়েছেন অকেশনাল স্পিনার শামীম পাটোয়ারী। তার চতুর্থ ওভারে পুল করতে যেয়ে রিটার্ন ক্যাচে থেমেছেন কুশল মেন্ডিজ। শেষ পাওয়ার প্লে'র প্রথম ওভারে আসালাঙ্কাকে (৬৮ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৫৮) পুল শটে খেলার ফাঁদে ফেলে দিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচে থামিয়েছেন তাসকিন।
তিনশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস ছিল যে ইনিংসে, সেই ইনিংসটা থেমেছে ২৮৫/৭-এ। শেষ পাওয়ার প্লে'র ৬০ বলে বাংলাদেশ বোলাররা ৬২ রানের বেশি শ্রীলঙ্কার স্কোরশিটে যোগ করতে দেননি। ওই ১০ ওভারে শ্রীলঙ্কার ৪ উইকেট ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ বোলাররা।
মিরাজ এদিন ছিলেন সবচেয়ে মিতব্যয়ী (১০-০-৪৮-২)। পেসার তাসকিনও ছিলেন সফল (২/৫২)। আগের ম্যাচের ফাইফার বাঁ হাতি স্পিনার তানভির এদিন মার খেয়েছেন (৬-০-৪১-১)। তবে অকেশনাল স্পিনার শামীম পাটোয়ারী সিক্সথ বোলারের অভাব ঠিকই পূরণ করেছেন (৪-০-৩০-১)।
তবে যে পিচে প্রথম ইনিংসে লঙ্কান অধিনায়ক আসালাঙ্কা, টপ অর্ডার কুশল মেন্ডিজের ব্যাটে ফুলকি উঠেছে, সেই পিচই বাংলাদেশের ইনিংসে দেখিয়েছে উল্টা চরিত্র। স্পিনারদের বল কখনো থেমে, কখনো অপ্রত্যাশিত লো বাউন্স করে বাংলাদেশ ব্যাটারদের কাজটা কঠিন করে দিয়েছে। ইনিংসের মাঝপথে বাঁ হাতি স্পিনার ওয়েল্লালাগে (২/৩৩), লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গার (২/৩৩) বল স্বাভাবিকভাবে খেলতে পারেনি বাংলাদেশের মিডল এবং লোয়ার অর্ডাররা। পুরো ইনিংসে পার্টনারশিপ বলতে দুটি-৪২ ও ৪৩ রানের!
বাংলাদেশের ইনিংসে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছেন লঙ্কান পেসার আসিথা। তার ইনসুইংয়ে বোল্ড তানজিদ হাসান তামিম (১৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৭)। আর এক পেসার চামিরার বলে প্লেড অন শান্ত (৩ বলে ০)। ৪২ রানের জুটিটা লম্বা করতে পারেননি পারভেজ ইমন। ওয়েল্লালাগেকে সুইপ করতে যেয়ে ফাইন লেগে দিয়েছেন ক্যাচ (৪৪ বলে ৪ বা্উন্ডারিতে ২৮)। অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলবেন বলে পন করেও দলের উপকারে আসতে পারেননি মিরাজ। ওয়েল্লালাগেকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যেয়ে লং অনে দিয়েছেন ক্যাচ (২৫ বলে ৪ চার, ১ ছক্কায় ২৮)। শামীম পাটোয়ারিও ভরসা দিতে পারেননি। হাসারাঙ্গাকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যেয়ে স্ট্যাম্পিংয়ে কাটা পড়েছেন (১৮ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১২)।
টাইগারদের বিপক্ষে আসিথা ফার্নান্দর ৩ উইকেট শিকার
এক এন্ডে টিমমেটদের আসা-যাওয়ার মিছিল দেখেও হতোদ্যম হননি হৃদয়। তবে ফিফটি পূর্ন করে থেমেছেন তিনি। চামিরার অন এন্ড অফ পিচিং ডেলিভারিতে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে মিডল স্ট্যাম্প উড়ে গেছে তার (৭৮ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় ৫১)। শেষ স্পেলে সেই চামিরার ১৪৬ কিলোমিটার গতির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব (৮ বলে ৫)। হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্ঠা থেমেছে জাকের আলী অনিকের ২৭ রানের মাথায় এসে। আসিথার বলে ক্রস খেলতে যেয়ে হয়েছেন বোল্ড। এক ইনিংসে ৪টি বোল্ড! কৃতিত্ব যতোটা না লঙ্কান বোলারদের, তার চেয়ে ঢের বেশি অপরাধী বাংলাদেশ ব্যাটাররা। এমন এক ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দুই পেসার আসিথা (৩/৩৩)-চামিরা (৩/৫১) দিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান। তবে ব্যবধানটা গড়ে দিয়েছেন কুশল মেন্ডিজের সেঞ্চুরি।
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৯ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২৬ দিন আগে