জিতলেই ইতিহাস। প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার মাটিতে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের উৎসব। কলম্বোর প্রেমাদাসায় প্রথম দুই ম্যাচের ফল ১-১এ অমিমাংসিত থাকায় ক্যান্ডির পাল্লেকেলেতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি রূপ পেয়েছে ফাইনাল। পাল্লেকেলেতে অতীত সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশ দলের। শ্রীলঙ্কার মাটিতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়টা সূচিত হয়েছে এই মাঠেই। ২০১৩ সালে ৩ উইকেটে জয় থেকে সিরিজ জয়ের সেই টনিক নিয়ে শ্রীলঙ্কার মাঠে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের উৎসবে ফেটে পড়বে মিরাজের দল, এমন স্বপ্নই দেখেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।তবে ১৯ মাস আগে দিল্লীতে ২৮২ রান তাড়া করে ৫৩ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ে শান্ত, মিরাজ, তানজিদ, তানজিমদের সেই গৌরবগাঁথা পাল্লেকেলের মাঠে পুনরাবৃত্তি হয়নি। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ২৮৬ রানের চ্যালেঞ্জটা নিতেই পারেনি বাংলাদেশ দল। ৯৯ রানে হেরে সিরিজের শেষের ছবিটা হয়েছে হতাশার।
প্রেমাদাসার উইকেট অনেকটা মিরপুরের মতো। রান করতে হয় কষ্ট করে। প্রথমে ব্যাট করে আড়াইশ স্কোরকে যথেষ্ট মনে হয়েছে। কিন্তু পাল্লেকেলের উইকেটের বৈশিষ্ট্য একটু আলাদা। উইকেটে বল পড়ে ব্যাটে ঠিকঠাক মতো এসেছে। এমন সুবিধাজনক ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচ পেয়ে কুশল মেন্ডিজের ব্যাট উঠেছে জ্বলে। তার সেঞ্চুরিতে (১১৪ বলে ১৮ বাউন্ডারিতে ১২৪) ভর করে ২৮৫/৭ স্কোর করেছে শ্রীলঙ্কা।
ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ স্পিনারদের সাপুড়ে নৃত্য দেখে ভয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। হয়তবা সে কারণেই স্লো উইকেট প্রস্তুত করার আইডিয়া থেকে সরে দাঁড়িয়ে ব্যাটারদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন পাল্লেকেলের কিউরেটর।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫০ ওভারের ম্যাচে রেকর্ডটা দারুণ কুশল মেন্ডিজ-আসালাঙ্কার। দু'জনেই ছিল ইতোপূর্বে সেঞ্চুরি-আসালাঙ্কার দুটি, কুশল মেন্ডিজের ১টি। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ম্যাচ উইনিং সেঞ্চুরির তরতাজা স্মৃতি নিয়ে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে নেমেছেন অধিনায়ক আসালাঙ্কা। ২০১৭ সালে ডাম্বুলায় বাংলাদেশের বিপক্ষে কুশল মেন্ডিজের সেঞ্চুরির অতীত সুখস্মৃতি তো আছেই, চলমান সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি থেকেও নিয়েছেন টনিক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশ বোলারদের নাভিশ্বাস উঠিয়ে ছেড়েছে এই জুটি। ১১৭ বলে যোগ করেছে তারা ১২৪ রান।
গত বছর ডাম্বুলায় নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের সর্বোচ্চ ১৪৫ রানের ইনিংস ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ডের নেশায় বিভোর কুশল মেন্ডিজ এদিন শুরু থেকে করেছেন ইতিবাচক ব্যাটিং। তানজিম হাসান সাকিবকে ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারির চুমোয় ইনিংস শুরু করে ৫৮ বলে ফিফটি এবং ৯৫ বলে ওডিআই ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন কুশল মেন্ডিজ। দ্বিতীয় ফিফটিতে লেগেছে তার মাত্র্র ৩৭টি বল। ৯০'র ঘরে এসে রানের জন্য ধুঁকতে হয়নি তাকে। শেষ ১০ রান নিতে লেগেছে তার মাত্র ৬টি বল। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি ইনিংসকে টেনে নিয়েছেন ১২৪ পর্যন্ত। ওডিআই ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসে ১০৮.৭৭ স্ট্রাইক রেটে করেছেন রান। যে ইনিংসে মেরেছেন তিনি ১৮টি বাউন্ডারি। ব্রেক থ্রু দিয়েছেন অকেশনাল স্পিনার শামীম পাটোয়ারী। তার চতুর্থ ওভারে পুল করতে যেয়ে রিটার্ন ক্যাচে থেমেছেন কুশল মেন্ডিজ। শেষ পাওয়ার প্লে'র প্রথম ওভারে আসালাঙ্কাকে (৬৮ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৫৮) পুল শটে খেলার ফাঁদে ফেলে দিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচে থামিয়েছেন তাসকিন।
তিনশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস ছিল যে ইনিংসে, সেই ইনিংসটা থেমেছে ২৮৫/৭-এ। শেষ পাওয়ার প্লে'র ৬০ বলে বাংলাদেশ বোলাররা ৬২ রানের বেশি শ্রীলঙ্কার স্কোরশিটে যোগ করতে দেননি। ওই ১০ ওভারে শ্রীলঙ্কার ৪ উইকেট ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ বোলাররা।
মিরাজ এদিন ছিলেন সবচেয়ে মিতব্যয়ী (১০-০-৪৮-২)। পেসার তাসকিনও ছিলেন সফল (২/৫২)। আগের ম্যাচের ফাইফার বাঁ হাতি স্পিনার তানভির এদিন মার খেয়েছেন (৬-০-৪১-১)। তবে অকেশনাল স্পিনার শামীম পাটোয়ারী সিক্সথ বোলারের অভাব ঠিকই পূরণ করেছেন (৪-০-৩০-১)।
তবে যে পিচে প্রথম ইনিংসে লঙ্কান অধিনায়ক আসালাঙ্কা, টপ অর্ডার কুশল মেন্ডিজের ব্যাটে ফুলকি উঠেছে, সেই পিচই বাংলাদেশের ইনিংসে দেখিয়েছে উল্টা চরিত্র। স্পিনারদের বল কখনো থেমে, কখনো অপ্রত্যাশিত লো বাউন্স করে বাংলাদেশ ব্যাটারদের কাজটা কঠিন করে দিয়েছে। ইনিংসের মাঝপথে বাঁ হাতি স্পিনার ওয়েল্লালাগে (২/৩৩), লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গার (২/৩৩) বল স্বাভাবিকভাবে খেলতে পারেনি বাংলাদেশের মিডল এবং লোয়ার অর্ডাররা। পুরো ইনিংসে পার্টনারশিপ বলতে দুটি-৪২ ও ৪৩ রানের!
বাংলাদেশের ইনিংসে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছেন লঙ্কান পেসার আসিথা। তার ইনসুইংয়ে বোল্ড তানজিদ হাসান তামিম (১৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৭)। আর এক পেসার চামিরার বলে প্লেড অন শান্ত (৩ বলে ০)। ৪২ রানের জুটিটা লম্বা করতে পারেননি পারভেজ ইমন। ওয়েল্লালাগেকে সুইপ করতে যেয়ে ফাইন লেগে দিয়েছেন ক্যাচ (৪৪ বলে ৪ বা্উন্ডারিতে ২৮)। অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলবেন বলে পন করেও দলের উপকারে আসতে পারেননি মিরাজ। ওয়েল্লালাগেকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যেয়ে লং অনে দিয়েছেন ক্যাচ (২৫ বলে ৪ চার, ১ ছক্কায় ২৮)। শামীম পাটোয়ারিও ভরসা দিতে পারেননি। হাসারাঙ্গাকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যেয়ে স্ট্যাম্পিংয়ে কাটা পড়েছেন (১৮ বলে ১ বাউন্ডারিতে ১২)।
টাইগারদের বিপক্ষে আসিথা ফার্নান্দর ৩ উইকেট শিকার
এক এন্ডে টিমমেটদের আসা-যাওয়ার মিছিল দেখেও হতোদ্যম হননি হৃদয়। তবে ফিফটি পূর্ন করে থেমেছেন তিনি। চামিরার অন এন্ড অফ পিচিং ডেলিভারিতে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক দিয়ে মিডল স্ট্যাম্প উড়ে গেছে তার (৭৮ বলে ৩ চার, ১ ছক্কায় ৫১)। শেষ স্পেলে সেই চামিরার ১৪৬ কিলোমিটার গতির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব (৮ বলে ৫)। হারের ব্যবধান কমানোর চেষ্ঠা থেমেছে জাকের আলী অনিকের ২৭ রানের মাথায় এসে। আসিথার বলে ক্রস খেলতে যেয়ে হয়েছেন বোল্ড। এক ইনিংসে ৪টি বোল্ড! কৃতিত্ব যতোটা না লঙ্কান বোলারদের, তার চেয়ে ঢের বেশি অপরাধী বাংলাদেশ ব্যাটাররা। এমন এক ম্যাচে শ্রীলঙ্কার দুই পেসার আসিথা (৩/৩৩)-চামিরা (৩/৫১) দিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার প্রতিদান। তবে ব্যবধানটা গড়ে দিয়েছেন কুশল মেন্ডিজের সেঞ্চুরি।
১৫ জুলাই ২০২৫, ৭:০৯ পিএম
১৩ জুলাই ২০২৫, ১১:৫০ পিএম
খেলোয়াড়ি জীবন বলুন কিংবা কোচিং, মুশতাক আহমেদের দু'টি ক্যারিয়ারই হাই-প্রোফাইল। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পিন কোচ হিসেবে এখন দেখাচ্ছেন ক্যারিশমা! খুশি বিসিবি, আর তাই বেড়েছে সম্মানী।
পাকিস্তানের সাবেক এই লেগ স্পিনার ১৯৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৩৪১ উইকেট পেয়ে নিজেকে চিনিয়েছেন। ১৯৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ট্রফি জয়ী দলে করেছেন প্রতিনিধিত্ব। ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্সের ঘরের ছেলে হয়ে যাওয়া এই সাবেক লেগ স্পিনার ৩০৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে নিয়েছেন ১৪০৭ উইকেট। প্লেয়িং ক্যারিয়ারের বিশাল প্রোফাইল ঝেড়ে ফেলে এক সময় কোচিংয়ে মনোযোগী হয়েছেন মিলেছে সেখানেও সাফল্য! দীর্ঘ ১৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারের পুরোটাই স্পিন বোলারদের দিয়েছেন তালিম। এই লম্বা সময়ে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ হয়ে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন।
আরও পড়ুন
সততা নিয়ে জাতীয় দলের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চান সালাহউদ্দিন |
![]() |
স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে মুশতাক আহমেদকে বিসিবি দু'দফায় নিয়োগ দিয়েছে । ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ৬৫ দিনের জন্য পেয়েছিলেন প্রথম দফায় স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব। খণ্ডকালীন সেই চুক্তিতে প্রতিদিন সম্মানী হিসেবে পেয়েছেন ৬৫০ মার্কিন ডলার করে। তার ওই ৬৫ দিনের ঘষামাজায় বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন নিজেকে শাণিত করেছেন । ঐ সময় ১৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৩ উইকেট পেয়েছেন রিশাদ। যার মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ছিল ১৪!মূলত রিশাদকে বিশেষ যত্নে শাণিত করায় দ্বিতীয় দফায় মুশতাককে চুক্তিবদ্ধ করেছে বিসিবি।
হেড কোচ ফিল সিমন্স, পেস বোলিং কোচ শন টেইট, সিনিয়র সহকারী কোচ সালাহউদ্দিনের সঙ্গে বিসিবি যেখানে চুক্তি করেছে ২০২৭ সালে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ পর্যন্ত (নভেম্বর), সেখানে এ বছরের ২৬ মে থেকে ২০২৬ সালের নভেম্বর, এই ১৮ মাসের জন্য মুশতাক আহমেদের সঙ্গে চুক্তি করেছে বিসিবি। তবে এই ১৮ মাসের পুরোটা সময় কিন্তু বাংলাদেশের স্পিনাররা কাছে পাচ্ছেন না মুশতাককে। ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেট এবং পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) কোচিংয়ের হাতছানি থাকায় এই লিজেন্ডারি লেগ স্পিনার এ বছর সময় দিতে পারবেন মোটে ১৩২ দিন।
দ্বিতীয় দফায় স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে নিজের দামদর বাড়িয়েছেন মুশতাক আহমেদ। প্রথম দফায় খণ্ডকালীন মেয়াদে যেখানে প্রতিদিন সম্মানী পেতেন ৬৫০ মার্কিন ডলার, সেখানে দ্বিতীয় দফায় পাবেন দিনে ৭০০ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এই ১৮ মাসে সম্মানী বাবদ মুশতাক আহমেদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশী মুদ্রায় ২ কোটি ২৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮০০ টাকা।
আরও পড়ুন
তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগে অনুশীলনে অনুপস্থিত শামীম |
![]() |
হাই-প্রোফাইল এই স্পিন বোলিং কোচের সম্মানীর বিপরীতে সকল ট্যাক্স পরিশোধ করবে বিসিবি। দৈনিক সম্মানীর বাইরে পাবেন আবাসনের জন্য ফার্নিশ ফ্লাট, ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য গাড়ী। বিসিবির হিসেবে তার সকল সুযোগ সুবিধার পেছনে খরচ হবে প্রতিদিন ১ হাজার মার্কিন ডলার। এর বাইরে সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে কোচিংয়ের জন্য দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পাবেন আকাশপথে ঢাকা-লাহোর-ঢাকা রিটার্ন টিকিট। তবে টার্মিনেশন নোটিশ যেখানে ফিল সিমন্সের জন্য ৬ মাস, ফিল্ডিং কোচ শন টেইটের জন্য ২ মাস, সেখানে মুশতাক আহমেদের নোটিশ পিরিয়ড মাত্র ১ মাসের। গত ৩০ জুন বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায় মুশতাক আহমেদের সঙ্গে চুক্তির বিস্তারিত অনুমোদিত হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে প্রথমে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পান মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলে কোনো স্পেশালিষ্ট ব্যাটিং কোচ না থাকায় এক পর্যায়ে ব্যাটারদের নিয়েও কাজ করেন তিনি। এরপর থেকে শ্রীলঙ্কা সিরিজ পর্যন্ত পালন করছেন ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব। তবে এই সময়ে তিন ফরম্যাটে, বিশেষ করে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে নেই উল্লেখযোগ্য উন্নতি। সমালোচনা হলেও অবশ্য ইতিবাচকই আছেন দেশের জনপ্রিয় এই কোচ। সালাহউদ্দিন স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, নিজের দায়িত্বের প্রতি সৎ থেকেই কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি।
সালাহউদ্দিন যখন কোচ হন, অনেকেই তাতে ছিলেন বেশ আশাবাদী। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভীষণ সফল এই কোচ খেলোয়াড়দের সাথে আরও বেশি আন্তরিকভাবে কাজ করবেন, বিদেশী কোচদের চেয়ে ভাষাগত কারণে বাড়তি সুবিধা পাবেন – এসব কারণে প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশিই৷ তবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে কিছুটা চলনসই হলেও, ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ের চিত্র বেশ করুণ। নিয়মিতই দেখা যাচ্ছে ব্যাটিং বিপর্যয়ের।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে সিরিজে সমতা লিটন-রিশাদদের |
![]() |
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগের দিন, মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে সালাহউদ্দিন বল ঠেলে দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোর্টে। “দেখুন, বাংলাদেশ দল তো আমার বাপ-দাদার সম্পত্তি না। আমি যদি ভালো না করতে পারি, তাহলে আমাত সমালোচনা হবেই। এটা তো স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতেই হবে। কাজের জায়গায় আমি শতভাগ দিচ্ছি কিনা, নিজের জায়গায় সৎ থাকতে পারছি কিনা, সেটাই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর যদি ভালো না করতে পারি, তাহলে বোর্ড আমাকে সরিয়ে দেবে। এটা নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।”
চলতি বছর এখন পর্যন্ত পাঁচটি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ, কিন্তু একবারও দলীয় স্কোর ২৫০ রান পার হয়নি। এর মধ্যে চার ম্যাচেই আবার অলআউট হয়েছেন শান্ত-লিটনরা। অন্য ম্যাচেও হারাতে হয়েছে ৯ উইকেট। আধুনিক ক্রিকেটে যেখানে ৩০০ প্লাস স্কোরও নিরাপদ নয়, সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের এই চিত্র চিন্তার কারণই বটে। এসবের সাথে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু অভিযোগও যুক্ত হয়েছে সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে, যা নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে করা হয় প্রশ্ন।
যথারীতি সোজাসাপ্টা জবাবই দিয়েছেন সালাহউদ্দিন।
“কাউকে নিয়ে কিছু লেখার আগে আমাদের এটা দেখা উচিত যে, তিনি আসলেই সৎ কিনা। মানুষিকভাবে আমি হয়ত শক্ত, তাই এসব নিতে পারি। সবাই কিন্তু পারে না। এখানে আমি জোর করে চাকরি চাইনি। আমার করার মত অনেক কিছু আছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে লিখিতভাবে দিন, সেটার প্রমাণ দিন। আমি ভালো না করলে আমাকে বোর্ড রাখবে না। আবার এমনটাও না যে আমাকে জাতীয় দলের কোচই হতে হবে।”
সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগে বাংলাদেশ শিবিরে চিন্তার কারণ হয়ে অনুশীলনে অংশ নেননি শামীম হোসেন। বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাথাব্যথার কারণে এই ব্যাটিং অলরাউন্ডারকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে এবং সতর্কতার অংশ হিসেবে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
শ্রীলঙ্কার সাথে ১-১ সমতায় থাকা থাকা সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচটি আগামী বুধবার কলম্বোয় অনুষ্ঠিত হবে। সেটা সামনে রেখে মঙ্গলবার আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে বাংলাদেশ দল, যেখানে দেখা যায়নি শামীমকে। শেষ ম্যাচে তিনি খেলবেন কিনা, সেই ব্যাপারে ম্যাচের দিনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে সিরিজে সমতা লিটন-রিশাদদের |
![]() |
২৪ বছর বয়সী শামীম দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান। চাপের মুখে খেলেন মাত্র ২৭ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো এক ইনিংস, যা তিনি সাজান পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কার মারে। তার ইনিংসটিই বাংলাদেশের স্কোরকে ১৭৭ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সাহায্য করে, যা পরে এনে দেয় ৮৩ রানের বিশাল জয়।
তবে এই ম্যাচে শুধু ব্যাটেই নয়, ফিল্ডিংয়েও শামীম রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পাওয়ার প্লেতে তার দুর্দান্ত এক সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন ফর্মে থাকা শ্রীলঙ্কান ব্যাটার কুশাল মেন্ডিসকে, যা শুরুতেই চাপে ফেলে দেয় শ্রীলঙ্কাকে। এছাড়া ওয়ানডে সিরিজে বল হাতেও ঝলক দেখিয়েছেন শামীম, যা দলের তার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ডাম্বুলা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার সমর্থকের স্রোত বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি লিটনদের সামনে। বরং দর্শক উপচে পড়া স্বাগতিক সমর্থকদের পিলে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ দল।সিরিজে বাঁচা মরার ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ রেকর্ড করে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশ হেরেছে ৭ উইকেটে। উইকেটের ব্যবধানে ওটাই ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় জয়। ওই হারের বদলা নিয়েছে বাংলাদেশ রোববার। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় ছিল ২০১৮ সালে সিলেটে ৭৫ রানে। লিটন (৫০ বলে ৭৫)- শামীম পাটোয়ারির (২৭ বলে ৪৮) ব্যাটিং, রিশাদ (৩/১৮)-শরিফুলের (২/১৪)-সাইফুদ্দিনের (২/২১) বোলিংয়ে সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে ডাম্বুলায় বাংলাদেশ ৮৩ রানের বিশাল জয়ে ফিরেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে।
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ পাওয়ার প্লে'র ৩০ বলে ৬২ রান যোগ করায় চ্যালেঞ্জিং পুঁজি (১৭৭/৭) পেয়েছে বাংলাদেশ।এই পুঁজি নিয়ে জয়ের জন্য দরকার ছিল বোলারদের সমন্বিত পারফমেন্স। তাসকিন-তানজিম হাসান সাকিবের পরিবর্তে শরিফুল এবং মোস্তাফিজকে ফেরানোয় অনেক দিন পর বাংলাদেশ দলের বোলিং ছড়িয়েছে আতঙ্ক। শরিফুলের প্রথম স্পেল (৩-০-১৪-২) দিয়েছে ম্যাচ জয়ের আবহ।ওই স্পেলেই ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে শ্রীলংকা নেমেছে ব্যাকফুটে (৩৭/৪)। ইনিংসের মাঝপথে লেগ স্পিনার রিশাদের একটি ওভারে নিশাঙ্কা (২৯ বলে ৩২) এবং করুনারত্নে (০) ফিরে গেলে ম্যাচটা হাতের মুঠোয় নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। লেগ স্পিনার রিশাদের একই স্পেলেই (৩.২-০-১৮-৩) ম্যাচে দারুনভাবে ফিরেছে বাংলাদেশ।নিজের প্রথম ওভারের ২য় এবং চতুর্থ বলে ছক্কা-চার খেয়ে হতোদ্যম হননি সাইফউদ্দিন। ওই ওভারের ৫ম বলে শামীম পাটোয়ারির দারুণ ডাইরেক্ট থ্রো-তে কুশল পেরেরাকে রান আউটে ফেরত পাঠিয়ে লংকান সমর্থকদের পিলে চমকে দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে ১১ রান খরচ করা সেই সাইফুদ্দিন শেষ করেছেন ২ উইকেটে (৩-০-২১-২)।
এই ম্যাচে অধিনায়ক লিটনের বোলিং চেঞ্জ, ফিল্ড প্লেসিং সবই ছিল দারুন। তবে তার ব্যাটিংটা ছিল এক কথায় অসাধারণ। অধিনায়কের ব্যাটে রান না এলে তার বিরূপ প্রভাব পড়ে দলের উপর, পাল্লেকেলেতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬ রানে আউট হয়ে দলের সে বিপর্যস্ত চেহারা দেখেছেন লিটন। সিরিজের আশা বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে নিজেকে ধরেছেন মেলে। করেছেন টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেরা পারফরমেন্স (৫০ বলে ১ চার, ৫ ছক্কায় ৭৬ রান)।
ইনিংসের প্রথম দুই ওভারে পারভেজ ইমন (৩ বলে ০) এবং তানজিদ হাসান তামিম (৮ বলে ৫) ফিরে যাওয়ার পর ডাম্বুলায় ছিল অশনি সংকেত। তবে লিটনের ক্যাপ্টেনস নক, হৃদয়ের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৫ বলে ৬৯ এবং শামীম পাটোয়ারিকে নিয়ে ৫ম উইকেট জুটিতে ৫২ বলে ৭৭ রানে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। হৃদয় এদিন ফিরে পেয়েছেন ছন্দ। শানাককে এক ওভারে পর পর দুই বলে ছক্কা এবং চার মেরে দিয়েছিলেন ফিফটির পূর্বাভাস। তবে বিনুরু ফার্নান্ডোর আউটসাইড অফ ডেলিভারিতে শর্ট থার্ডম্যানে থেমেছেন তিনি (২৫ বলে ৩১)।
ব্যাট করতে নেমে লিটন প্রথম বল ফেস করেছেন কভারে সিঙ্গল নিয়ে। শুরুতে আত্মবিশ্বাসী শট পেয়েও বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন সতর্ক। প্রথম ৭ রানে খেলেছেন তিনি ১১টি বল। এর পর ব্যাটটা করেছেন চওড়া। বিনুরু ফার্নান্ডোকে দর্শনীয় পুল শটে ছক্কায় পেয়েছেন অক্সিজেন। চার-এর চেয়ে ছক্কার আধিক্য ছিল তার ইনিংসে। ৫টি ছক্কার ২টি মেরেছেন বিনুরু ফার্নান্ডোকে। ১টি করে মেরেছেন শানাকা, থিকসানা ও জেফরিকে। ৩৯ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বাদশ ফিফটি পূর্ণ করেছেন ছক্কার শটে। থিকসানাকে ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা মেরে ৬০ রানের মাথায় জেফরির বলে মিড অফে দিয়েছিলেন ক্যাচ। থিকসানার হাত থেকে ক্যাচ ফসকে যাওয়ায় ইনিংস টেনে নিতে পেয়েছেন ৭৬ পর্যন্ত। থিকসানার মিয এন্ড লেগ স্ট্যাম্পে পিচিং ডেলিভারিতে মিড উইকেট দিয়ে খেলতে যেয়ে থার্ডম্যানে দিয়েছেন ক্যাচ। শামীম পাটোয়ারীর সাথে ৫২ বলে ৭৭ রানের পার্টনারশিপটাই বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং পুঁজির জন্য সহায়ক হয়েছে। লিটনের পর ফিফটি পেতে পারতেন শামীম পাটোয়ারী। তবে করুনারত্নে এবং তুষারাকে ছক্কায় ডাম্বুলার দর্শকদের পিলে চমকে দেয়া শামীম পাটোয়ারি থেমেছেন ফিফটি থেকে ২ রান আগে। রান আউটে কাটা পড়েছেন তিনি (২৭ বলে ৫ চার, ২ ছক্কায় ৪৮)।
লিটন-হৃদয়-শামীম পাটোয়ারির ব্যাটিংয়ে যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে পেরেছে বাংলাদেশ, সেই চ্যালেঞ্জে ৮৩ রানের জয়ে সিরিজের ট্রফিতে এখন চোখ লিটনের দলের। আগামী ১৬ জুলাই প্রস্তুত প্রেমাদাসার মঞ্চ।
ব্যাট হাতে শুরুর চাপ সামাল দিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে লিটন দাস খেললেন ব্যবধান গড়ে দেওয়া ইনিংস। তাতে ভর করে শ্রীলঙ্কা চ্যালেঞ্জিং টার্গেটই দিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে রান তাড়ায় দাপুটে জয় পাওয়া স্বাগতিকরা এবার মুখথুবড়ে পড়ল। সামান্যতম লড়াই জমাতে ব্যর্থ হয়ে একশর আগেই গুটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কার ইনিংস। আর তাতে সিরিজে টিকে রইল বাংলাদেশ।
ডাম্বুলায় সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতেছে ৮৩ রানে। লিটন দাসের দলের করা ৭ উইকেটে ১৭৭ রানের জবাবে মাত্র ৯৪ রানেই থামে প্রতিপক্ষের ইনিংস।
এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা শরিফুল ইসলামের শুরুতেই করেন বাজিমাত। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে রানের খাতা খোলার আগেই কুসাল পেরেরা ক্যাচ তুলে দেন পয়েন্টে।
ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলা শামীম হোসেন ফিল্ডিংয়েও আলো ছড়ান বেশ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে কাভার পয়েন্টে ঠেলে দৌড় শুরু করেছিলেন কুসাল মেন্ডিস, তবে শামীমের নিখুঁত থ্রো তছনছ করে দেয় স্টাম্প। ১৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
অন্যপ্রান্তে মুস্তাফিজুরের রহমানের বলে শূন্য রানে থাকা অবস্থায় আভিশকা ফার্নান্দো শর্ট মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান। খানিক বাদে তাকে অবশ্য হতাশ করেন শরিফুল ইসলাম। ডিপ স্কয়ার লেগে শামীমের ক্যাচে শেষ হয় ৫ বলের ২ রানের ইনিংস।
যাওয়া-আসার মিছিলে এরপর যোগ দেন চারিথ আসালাঙ্কা। সাইফউদ্দিনের বাইরের ফুল লেংথ বল খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন লিটন দাসের গ্লাভসে। ৫ বল খেলে সমান ৫ রানে বিদায় নেন লঙ্কান অধিনায়ক।
এরপরই রিশাদ হোসেন ও মেহেদি হাসান মিরাজের স্পিন ঘূর্ণিতে পথ হারায় শ্রীলঙ্কা। দাসুন শানাকা ছক্কা মারতে গিয়ে শিকার হন মিরাজের, তার আগে ১৬ বলে করেন ২০ রান।
একপ্রান্ত আগলে কিছুটা লড়াই করা পথুম নিসাঙ্কা রিশাদকে চার মারার পরের বলে স্টাম্পড হন ৩২ রানে। একই ওভারে তাকে অনুসরণ করেন চামিকা কারুনারাত্নে।
৭৩ রানে ৭ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার ইনিংসে বাকি অংশের ইতি ঘটে খুব দ্রুতই। ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার রিশাদই।
এর আগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ ইনিংসের তৃতীয় বলেই হারায় উইকেট, পারভেজ হোসেন ইমন শূন্য রানে বোল্ড হন। এরপর তানজিদ হাসান তামিমও ৫ রানে ফিরে যান।
এরপর চাপের মধ্যে দায়িত্ব নেন লিটন ও তাওহীদ হৃদয়। তৃতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। তাওহীদ ২৫ বলে ৩১ রান করে ফিরলেও ছন্দে থাকা লিটন ফিফটি পূর্ণ করেন ৩৯ বলে। শেষ পর্যন্ত দুটি জীবন পেয়ে খেলেন ৫ ছক্কা ও ১ চারে ৭৬ রানের ইনিংস।
তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে শামীমও উপহার দেন মারমুখী ব্যাটিং। শেষ ওভারে রান আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৮ রান।
৯ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২১ দিন আগে
২৪ দিন আগে
২৪ দিন আগে