সবশেষ ডিপিএলে ছিলেন রানের মধ্যেই। তবে এরপর সাম্প্রতিক সময়ে সেভাবে বড় ইনিংস আর খেলা হচ্ছিল না নাঈম শেখের। তবে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের সাথে দ্বিতীয় চারদিনের ম্যাচের প্রথম দিনে হাসল তার ব্যাট। সেঞ্চুরি মিস করলেও তার আগে উপহার দিলেন ঝকঝকে এক ইনিংস। সাথে সাইফ হাসানের ফিফটিতে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে প্রথম দিন সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেই শেষ করল বাংলাদেশ ‘এ’।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৭.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৫।
আরও পড়ুন
পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন না নাহিদ রানা |
![]() |
অবশ্য বোর্ডে এই রান নিয়ে কিছুটা হতাশা থাকতেই পারে স্বাগতিকদের। কারণ, দুই ওপেনার নাঈম ও এনামুল হক বিজয় মিলে এনে দিয়েছিলেন দারুণ একটা শুরু। উইকেটহীন প্রথম সেশনে তারা রানও বের করেন ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে, তাতে হয়ে যায় দলের সেঞ্চুরি।
নাঈম ফিফটি করলেও অল্পের জন্য তা করতে পারেননি এনামুল। জাতীয় দলের এই ব্যাটারকে ৪৮ রানে শিকার বানান জাকারি ফউক্স। এর খানিক বাদে ফের উইকেট পতন। এবার সেঞ্চুরি মিসের হতাশায় পুড়তে হয় নাঈমকে।
ডেল ফিলিপসের মিডিয়াম পেসে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে উপহার দেন ৮২ রানের ইনিংস, যা তিনি সাজান ১০ চার ও ২ ছক্কায়। বল খেলেন মাত্র ৯৪টি।
আরও একবার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ জাকির হাসান ফেরেন মাত্র ১৯ রানে। একপ্রান্তে স্থিরতার প্রতীক হয়ে রান বের করেন সাইফ। অমিতে হাসানের সাথে তার ৪৩ রানের জুটি যখন সেট, তখনই বাধে বিপত্তি। ৫১ রানে সাইফকে সাজঘরের পথ দেখান ফউক্স।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ সিরিজে পাকিস্তান দলে নেই ৩ তারকা |
![]() |
এই উইকেটের খানিক বাদেই শুরু হয় বৃষ্টি, যা আর না থামায় শেষ পর্যন্ত আগেভাগেই শেষ হয় দিনের খেলা। ক্রিজে আছেন অমিতে (১৬*) ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (১*)।
প্রথম দুই ম্যাচে টপ অর্ডারের ব্যাটারদের কেউ না কেউ করেছিলেন বড় রান, তাতে শেষের ব্যাটারদের ওপর চাপ ছিল। তবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে এক তানজিদ হাসান তামিম ছাড়া কেউই পারলেন না ধ্রুপদী ব্যাটিং করতে। উল্টো ব্যাটিং ধসে শঙ্কা জাগল একশতেই গুটিয়ে যাওয়ার। তবে দাঁড়িয়ে গেলেন জাকের আলি অনিক আর লেজের ব্যাটাররা। তাতে ভর করে লড়িয়ে পুঁজি পেলেও কাজের কাজ আর হয়নি। পেশাদার এক রান তাড়ায় সহজেই ম্যাচ জেতার পাশাপাশি ইতিহাস গড়ে সিরিজও জয় করে ফেলল সংযুক্ত আরব আমিরাত।
শারজাহতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আমিরাত। সফরকারীদের করা ৯ উইকেটে ১৬২ রান দলটি তাড়া করেছে ৫ বল হাতে রেখেই।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল আমিরাত। টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে এটি দেশটির ইতিহাসে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আগের সিরিজে তাদেরই মাঠে সিরিজ হারানো লিটন দাসের দল শিকার হল বড় এক অঘটনের।
আগের ম্যাচ মত এদিনও একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমন অবশ্য প্রত্যাবর্তনটা ভুলে যেতেই চাইবেন। গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরতে হয় তরুণ এই ওপেনারকে।
আগের ম্যাচে দারুণ এক ফিফটি করা তানজিদ যেন দ্বিতীয় ম্যাচে যেখানে শেষ করেন, শুরু করেন ঠিক সেখান থেকেই। ইনিংসের একদম গোড়া থেকেই সপাটে ব্যাট চালিয়ে চাপে রাখার চেষ্টা করেন আমিরাত বোলারদের। তবে অন্যপ্রান্তে কেউই তাকে পারেননি সামান্যতম সঙ্গ দিতে।
দ্বিতীয় ম্যাচে ৪০ করা লিটন শুরুটা পেয়েছিলেন, তবে ধরে রাখতে পারেননি তাল। ১০ বলে ১৪ রানে শিকার হন হায়দার আলির, যিনি এরপর ধস নামান বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে। তাওহীদ হৃদয় শূন্য রানে আউট হওয়ার পর একাদশে ফেরা শেখ মাহেদি হাসান ৯ বলে করতে পারেন মাত্র ২। দুজনকেই ফেরান হায়দার।
এর মাঝেও আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়া তানজিদ ছুটছিলেন ফিফটির পথে। তবে থামতে হয় আগেই। তবে তার আগে উপহার দেন মাত্র ১৮ বলে ৪০ রানের বিনোদনময় এক ইনিংস, যা তিনি সাজান ৪টি করে চার ও ছক্কার মারে।
তানজিদের বিদায়ের সময় বোর্ডে মাত্র ৫৯ রান থাকা বাংলাদেশ খুব দ্রুতই নিজেদের আবিষ্কার করে ৭ উইকেটে ৭১ রানের চাপময় অবস্থানে। জাকের একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন বটে, তবে শারজাহর প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করতে হচ্ছিল তাকে। ফলে বাংলাদেশের স্কোর ১০০ পার হয় কিনা, তা নিয়েই জাগে সন্দেহ।
তবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আরও একবার দলের ত্রাতা হন জাকের। বাজে বল পেলেই বড় শট খেলে বের করেন গুরুত্বপূর্ণ রান। দলীয় ১২৮ রানে বিদায় নেন ৩৪ বলে ৪১ করে। সেই সময় ১৪০ রানও মনে হচ্ছিল প্রায় অসম্ভব।
তবে চমক দেখান দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও শরিফুল। দুই প্রান্ত থেকে দুজনেই চার-ছক্কার মারে চমকে দেন আমিরাতকে। তাদের চমৎকার দুই ক্যামিওতে বাংলাদেশ পার করে ফেলে ১৬০ রান। হাসান ১৫ বলে করেন ২৬, আর শরিফুল ৭ বলে ১৬।
চার ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে এক মেডেন সহ তিন উইকেট নেন হায়দার।
রান তাড়ায় মাহেদির প্রথম ওভারে চার মেরে আরও একবার বাংলাদেশের হুমকি হয়ে ওঠার আভাস ছিল মোহাম্মদ ওয়াসিমের ব্যাটে। আগের দুই ম্যাচে দুই ফিফটি করা আমিরাত অধিনায়ক এদিন অবশ্য আর পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। শরিফুলের অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে টাইমিং করতে ব্যর্থ হয়ে ক্যাচ তুলে দেন ফ্লাইং স্লিপে।
তবে এরপরও থামেনি আমিরাতের ব্যাটারদের দ্রুত রান তোলার ধারা। ছয় ওভারেই হয়ে যায় ৫৮ রান। আক্রমণে এসেই মুহাম্মদ জোহাইবকে (২৯) বোল্ড করে বাংলাদেশ শিবিরে আশা জাগান রিশাদ। এক ছক্কায় ১৩ রান করা রাহুল চোপড়াকে থামিয়ে দলকে আরেকটু এগিয়ে দিয়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। তবে সেখানেই শেষ সফরকারীদের প্রতিরোধ।
আসিফ খান ও আলিশান শারাফু মিলে পাল্টা আক্রমণে ভড়কে দেন বাংলাদেশ বোলারদের। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে কিছুটা চাপ তৈরি করেছিলেন রিশাদ। তবে গড়বর পাকান শেষ ওভারে। তিন ছক্কা হজম করে গুনেন ১৯ রান।
ওই ওভারেই ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ হয় শারাফুর। শেষ তিন ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় মাত্র ২৬ রানের। হাসানের করা ১৮তম ওভারে এক ছক্কা সহ রান আদায় করে জয়ের কাজ সহজ করে ফেলে আমিরাত।
হাসানকে চার মেরে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন শারাফু (৪৬ বলে ৬৪*)। আসিফ অপরাজিত থাকেন ২৬ বলে ৪১ রানে, যেখানে ছক্কার মার ছিল ৫টি।
অংশহগ্রহণকারী পাঁচ দল চূড়ান্ত হয়েছিল আগেই। এবার আসল গ্লোবাল সুপার লিগের (জিএসএল) সূচিও প্রকাশ পেল। বুধবার টুর্নামেন্ট কতৃপক্ষ নিজেদের ওয়েবসাইটে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরের সময়সূচী নিশ্চিত করেছে।
এবারের টুর্নামেন্ট শুরু হবে আগামী ১০ জুলাই, চলবে ১৮ জুলাই পর্যন্ত। সবগুলো ম্যাচই হবে আয়োজক গায়ানার প্রভিডেন্স ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে।
প্রথম আসরের মত এবারও অংশ নিচ্ছে পাঁচটি দল। তবে স্বাগতিক গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স ও প্রথমবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের রংপুর রাইডার্স ছাড়া পরিবর্তন এসেছে বাকি দলগুলোতে।
আরও পড়ুন
বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে সেঞ্চুরি মিস নাঈম শেখের |
![]() |
এবার অংশ নিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএলটি২০ চ্যাম্পিয়ন দুবাই ক্যাপিটালস, নিউজিল্যান্ডের সুপার স্ম্যাশ চ্যাম্পিয়ন সেন্ট্রাল স্ট্যাগস ও অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ চ্যাম্পিয়ন হোবার্ট হারিকেন্স।
জিএসএলের প্রথম আসর হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে। ফাইনালে ইংলিশ ক্লাব ভিক্টোরিয়াকে ৫৬ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর। এবার তাদের শিরোপার ধরে রাখার অভিযানে বাড়ছে প্রাইজমানি। চ্যাম্পিয়ন দল এবারের আসরে পাবে ১০ লাখ মার্কিন ডলার।
টুর্নামেন্টের প্রথম দিনেই মাঠে নামবে রংপুর। ১০ জুলাই দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক গায়ানা (ভোর ৫টা)। পরের ম্যাচ ১৩ জুলাই, প্রতিপক্ষ হোবার্ট হারিকেন্স (রাত ৮টা)। তৃতীয় ম্যাচ ১৬ জুলাই, প্রতিপক্ষ দুবাই ক্যাপিটালস ((রাত ৮টা)। নুরুল হাসান সোহানের দলের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ আগামী ১৭ জুলাই সেন্ট্রাল স্ট্যাগসের বিপক্ষে (রাত ৮টা)।
সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর চূড়ান্ত হওয়ার পর কমে গেল দলের শক্তি। পাকিস্তানের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে তরুণ পেসার নাহিদ রানা নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
শুধু নাহিদই নন, চলমান সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে দলের সাথে থাকা ফিটনেস ট্রেনার ন্যাথান কেলি ও ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্টও পাকিস্তান সফরে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) জানিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ সিরিজে পাকিস্তান দলে নেই ৩ তারকা |
![]() |
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বুধবারই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলতি মাসের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সংশোধিত সূচি প্রকাশ করেছে। প্রথমে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ হওয়ার কথা থাকলেও এখন সেটা তিন ম্যাচে নামিয়ে আনা হয়েছে, যেখানে সবগুলো ম্যাচ হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগামী ২৮ মে থেকে ১ জুনের মধ্যে।
নাহিদ পাকিস্তান সফরে কেন যাচ্ছেন না, সেটা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি। তবে এর পেছনে থাকতে পারে তার দেশটিতে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) লিগ খেলতে গিয়ে হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত অভিজ্ঞতা। প্রথমবারের মত এই টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়ে মাঝপথে ফিরে আসতে বাধ্য হন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে। এরপর আরব আমিরাত সফরে অংশ নেওয়ার আগে তিন দিন আবার আটকা পড়েন দুবাই বিমানবন্দরে।
পাকিস্তান সফরে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে নাহিদ যদি শেষ পর্যন্ত অটল থাকেন, তাহলে আরব আমিরাতের সাথে সিরিজ শেষেই তিনি দেশে ফিরবেন। তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচ বুধবারই।
আরও পড়ুন
চূড়ান্ত হল বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের সূচি |
![]() |
আর পিসিবির বিবৃতি অনুযায়ী, বাংলাদেশ দল আগামী ২৫ মে লাহোরে পৌঁছাবে।
দুই বোর্ডের পক্ষ থেকে ঘোষণা না এলেও একদিন আগেই জানা গিয়েছিল সিরিজের আকার কমে যাওয়ার খবর। এবার আনুষ্ঠানিকভাবেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সফরের নতুন সূচি।
বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে পিসিবি টি-টোয়েন্টি সিরিজের সংশোধিত সময়সূচী ঘোষণা করেছে। প্রত্যাশিতভাবেই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ নেমে এসে তিন ম্যাচে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ সিরিজে পাকিস্তান দলে নেই ৩ তারকা |
![]() |
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে সবগুলো ম্যাচ। যা মাঠে গড়াবে যথাক্রমে ২৮ মে, ৩০ মে ও ১ জুন। সবগুলো ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা।
সিরিজটি খেলতে বাংলাদেশ স্কোয়াডের আগামী ২৫ মে লাহোরে পৌঁছানোর কথা। ২৬ ও ২৭ মে এরপর চলবে অনুশীলন।
বাংলাদেশ দল এখন ব্যস্ত সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে, যে সিরিজে শেষ সময়ে একটি ম্যাচ বাড়ানো হয়েছে। সিরিজে সমত এখন ১-১ ব্যাবধানে, শেষ ম্যাচ আজ (বুধবার) রাত ৯টায় শুরু।
চমক জাগানিয়াই বটে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে আসছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে খর্বশক্তির দল সাজিয়েছে পাকিস্তান, যেখানে নেই তিন মূল তারকা বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং শাহিন আফ্রিদি। পিসিবির নির্বাচকরা জানিয়েছেন, চলমান পিএসএলের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই দল বাছাই করা হয়েছে।
এবারের পিএসএলে এই তিনজনের মধ্যে বাবরের পারফরম্যান্স অবশ্য ভালোই বলা চলে। এরই মধ্যে খেলেছেন দারুণ কয়েকটি ইনিংস। সেটা ছাড়াও অবশ্য পাকিস্তান দলে তিনি, রিজওয়ান ও শাহিন নিয়মিত মুখই। ফলে তাদের একসাথে বাদ পড়াটা চমকের জন্মই দিয়েছে।
আরও পড়ুন
ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশকে হারিয়ে দিল আমিরাত |
![]() |
বুধবার পিসিবির দেওয়া ১৬ সদস্যের দলে অধিনায়কত্ব করবেন সালমান আলি আগা। আর সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে থাকবেন শাদাব খান।
দলে ফিরেছেন ব্যাটার ফখর জামান এবং দুই পেসার হারিস রউফ ও নাসিম শাহ। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পাওয়া গোড়ালির চোট কাটিয়ে ফিরেছেন ওপেনার সাইম আয়ুব।
দলে আছেন এবারের পিএসএলে সর্বোচ্চ রান স্কোরার সাহিবজাদা ফারহান, যিনি জাতীয় দলের হয়ে শেষবার ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন। ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান চলতি আসরে ১০ ইনিংসে ১৫৪.৫০ স্ট্রাইক রেটে ৩৯৪ রান করেছেন।
লাহোরে হতে যাওয়া তিন ম্যাচের সিরিজের তারিখ এখনও জানায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে এই মাসের শেষের আগেই তা শুরু হবে।
আরও পড়ুন
পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন লিটন-শান্তরা |
![]() |
পাকিস্তান স্কোয়াড:
সালমান আলি আগা (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, হারিস রউফ, হাসান আলি, হাসান নওয়াজ, হুসাইন তালাত, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, মোহাম্মদ ইরফান খান, নাসিম শাহ, সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আয়ুব।