ফুটবল

এশিয়ায় বসুন্ধরা কিংসের ‘ফাইনাল’ পরীক্ষার আগে

 
রিফাত মাসুদ
রিফাত মাসুদ

১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫১ পিএম

news-details

কবে, কখন 

ওড়িশা-বসুন্ধরা কিংস 

এএফসি কাপ, গ্রুপ ডি

মঙ্গলবার, রাত ৮.০০ 

কালিঙ্গা স্টেডিয়া, ভুবনেশ্বর, ভারত 

সরাসরি টি স্পোর্টস ওটি স্পোর্টস অ্যাপ 


একটা ফাইনাল পরীক্ষা, পাস করলেই মিলবে এএফসি কাপে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ক্লাব হওয়ার স্বীকৃতি। ঘরোয়া ফুটবলের সিরিয়াল উইনার বসুন্ধরা কিংস এই দরজায় কড়া নেড়ে গেছে প্রতিবাদ। প্রথমবার কোভিড আক্রান্ত বিশ্বে ভুন্ডুল হলো টুর্নামেন্ট। পরের দুইবার ফরম্যাট পালটালো, বসুন্ধরা কিংস দ্বিতীয় হয়ে ফিরলো। হোম আর অ্যাওয়ে ভিত্তিতে এবার ফিরলো এএফসি কাপ, বসুন্ধরা কিংসও জাত চেনালো। কিন্তু কথা রাখতে পারবে বসুন্ধরা কিংস? 


জন্মলগ্ন থেকে ঘরোয়া ফুটবলের চেয়ে এশিয়ার টুর্নামেন্টকেই বড় করে দেখেছে বসুন্ধরা কিংস। যে স্বপ্ন এতোদিন ছিল অধরা, সেই স্বপ্নপূরণ এখন হাতছোঁয়া দূরত্বে। শেষ ম্যাচ ভারতের ভুবনেশ্বরে, প্রতিপক্ষ ওড়িশা এএফসি। হার এড়ালেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। হেরে গেলে আবারও বিদায়। তখন চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে ওড়িশা। এই ম্যাচটা তাই ফাইনাল তো বটেই, দুই দলের কাছে এর চেয়েও বেশি কিছু। 


ম্যাচের দুইদিন আগেই ভারতে গেছে বসুন্ধরা কিংস। এই মৌসুমে এএফসি কাপে ভারতে কিংসের দ্বিতীয় ম্যাচ। দুই মাস আগে মোহবাগানের বিপক্ষের ম্যাচটাও হয়েছিল এই কালিঙ্গা স্টেডিয়ামেই। সেবার ভিসা জটিলতায় ভারতযাত্রায় তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল কিংসকে। এবার কিংসকে পড়তে হয়েছে নতুন ঝামেলায়। এবারের নাটকের নাম ‘হোটেল সমাচার’। দুই মাস আগে যে হোটেলে বাস গেড়েছিল কিংস, সেখানে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দাম। দ্বিগুণ দামেও মেলেনি সবগুলো রুম। এবারও হোটেলে রুম বুঝে পেতে লবিতে ফুটবলারদের অপেক্ষা করতে হয়েছে পাক্কা চার ঘন্টা। আরও একটা ভারতযাত্রা তাই ঝুট-ঝামেলা সামলাতেই যাচ্ছে কিংসের। প্রশ্নটা তো তোলাই যায়, বারবার কিংসের সঙ্গে এমন কেন? 




ম্যাচের আগেরদিন বসুন্ধরা কিংস কোচ অস্কার ব্রুজোনও প্রেস কনফারেন্সে কথা বলেছেন এসব নিয়ে, “আমাদের মাঠে খেলতে এলে আমরা সর্বোচ্চটা নিশ্চিত করি প্রতিপক্ষের জন্য, কিংসের মতোই ফ্যাসিলিটি পায় তারা। অথচ এখানে আমাদের সঙ্গে ঘটে উলটোটা। এখানে মাঝরাত পর্যন্ত মিউজিক চলে, এমফন উদোহও এক মাস ধরেও ভিসা পায়নি। এসব কিছু আসলে এএফসি দেখা উচিত।“ 


এতোকিছুর ফেরে মাঠের খেলায় মনোযোগ কমার সুযোগ অবশ্য নেই। তবে রেফারিং নিয়ে ব্রুজোন যে সন্দিহান তার আঁচ মিললো তার কথায়, “দিনশেষে মাঠের খেলায় নির্ধারণ হবে সব। আমরা ভালো খেললে আমরা যাব, ওরা খেললে ওরা। তবে রেফারিদের ম্যাচ পরিচালনায় মুন্সিয়ানা দেখাতে হবে।“ 


বসুন্ধরা কিংস আর ওড়িশার এবারের যাত্রাটা অবশ্য একই রকম। দুই দলই প্রথম ম্যাচে হেরেছিল। বসুন্ধরা কিংসের জয়রথ শুরু এরপর থেকে, ঘরের মাঠে ওড়িশাকে হারিয়ে। টানা দুই ম্যাচ হারা ওড়িশা এরপর টানা ৩ ম্যাচ জিতেছে, গোল করেছে ১৪টা। ঘরের মাঠে বসুন্ধরা কিংস ৩ ম্যাচ জিতলেও, পরের মাঠে এখনও জয়ের দেখা পাওয়া হয়নি। ওড়িশা কোচ সের্হিও লোবেরা ঘরের মাঠের শক্তিটাই দেখাতে চান কিংসকে। 


“আমরা একের পর এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছি।  বেশ কিছু ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও জিতেছি। পুরো ৯০ মিনিট আমাদের ফুটবলাদের ভেতরে তাই একটা বিশ্বাস থাকে, হারার আগে হারে না। যে লক্ষ্যে নিয়ে আমাদের ক্লাবের শুরু, সেই স্বপ্ন আমরা কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে পূরণ করতে চাই।“ 


দলের খবর 

বসুন্ধরা কিংস 

মাজিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে দলে ছিলেন না রবসন রবিনিয়ো। নাম্বার টেনকে ছাড়া সে ম্যাচে ভুগতেও হয়েছিল কিংসকে। রবসসের খেলা নিয়ে অবশ্য সংশয় নেই, তবে ফিটনেস নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। আরেক মিডফিল্ডার চার্লস দিদিয়েরকে পাওয়ার নিশ্চয়তাও নেই। তারওপর নাইজেরিয়ান উইঙ্গার এমফন উদো তো ভিসা না পেয়ে দলের সঙ্গে ভ্রমণই করতে পারেননি। মোট ৬ বিদেশির বাকি তিন জনের অবশ্য খেলার কথা রয়েছে ম্যাচে।


দলের সঙ্গে ভ্রমণ করলেও খেলা হবে আনিসুর রহমান জিকোর। তার নিষেধাজ্ঞা সরবে ম্যাচের পরদিন। গোলকিপিং পজিশন নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে কিংসের। ৫ ম্যাচে সবমিলিয়ে ৩ জন গোলকিপারকে খেলিয়েছেন ব্রুজোন। একটিতেও জোটেনি ক্লিনশিট। তরুণ গোলকিপার মেহেদী শ্রাবণ ভুল করেছেন স্বাধীনতা কাপের শেষ ম্যাচেও। কিংসের হয়ে শেষ ৫ ম্যাচে গোলবারের নিচে দাঁড়ালেও শ্রাবণের খেলা নিয়ে থাকছে অনিশ্চয়তা।   


ওড়িশা এএফসি 

ওড়িশার সেনেগালিজ সেন্টারব্যাক মোর্তাদা ফল দলের সঙ্গে শেষ মুহুর্তে যোগ দিয়েছে। রক্ষণের এই স্তম্ভ এতোদিন দলের সঙ্গে ছিলেন না। তবুও তাকে ছাড়া খেলার ঝুঁকি কোচ নেবেন কি না তা নিয়ে আছে প্রশ্ন। সবমিলিয়ে ওড়িশা পাচ্ছে তাদের পুরো স্কোয়াডটাই। 


হেড টু হেড 

দুই দল একবারই মুখোমুখি হয়েছে। এএফসি কাপের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে বসুন্ধরা কিংস জিতেছিল ৩-২ এ। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ডোরিয়েলটনের জোড়া গোলে ৩-১ এর লিড নিয়েছিল কিংস। পরে আরও এক গোল শোধ করেছিল ভারতের ক্লাবটি।  


ট্যাকটিকসের টুকিটাকি 

ওড়িশাকে জিততে হবে এই ম্যাচ। হিসেবমতে তাই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার কথা স্বাগতিকদের। ৫ ম্যাচে কিংস গোল হজম করেছে ৯টি, নড়বড়ে গোলকিপিং -এর সুবিধা আদায় করতেই চাইবে ওড়িশা। শারীরিক দিক দিয়েও প্রথম লেগে বেশ কিছু সুবিধা আদায় করতে পেরেছিল লোবেরার দল। ফল না মিললেও সেই একই ছক থেকে ফেরার কারণ নেই ওড়িশা কোচের। ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে দলটাও যথেষ্ট স্থিতিশীল। দুই মিডফিল্ডার আহমেদ জাহহু আর লালথাঙ্গা খাওয়ালরিং এর সঙ্গে মূলত মিডফিল্ড দখলের লড়াইয়ে নামতে  হবে বসুন্ধরা কিংসের আসর গাফুরভ, দিদিয়েরের। পরের জনকে পাওয়া না গেলে সেই দায়িত্বটা পেতে পারেন সোহেল রানা। 


দুই দলের দুই মূল স্ট্রাইকারই ব্রাজিলিয়ান। ওড়িষার স্ট্রাইকার ডিয়েগো মাউরিসিও ৫ ম্যাচে করেছেন ৩ গোল আর ৩ অ্যাসিস্ট। অদ্ভুত হলেও ডোরিয়েলটনের ম্যাচ, গোল, অ্যাসিস্টের রেকর্ডও সমান। তবে এই ৫ ম্যাচের দুইটিতে গোল করেতে পেরছেন ডোরিয়েলটন, বাকি ৩টায় পাননি গোলের দেখা। 


বদলি হিসেবে সাইডবেঞ্চে রয় কৃষ্ণাও আছেন ওড়িশার। মূলত ৫ বিদেশী খেলিয়ে পরে একজনকে নামানোয় বিশ্বাসী ওড়িশা কোচ। অস্কার অবশ্য একটু আলাদা, ৬ জনকে নিয়েই শুরু করতে চান তিনি। সে হিসেবে পরে ম্যাচ পালটে দেওয়ার ক্ষমতা বেশি ওড়িশারই।    

 

প্রেডিশন 

ফর্মেশন, ট্যাকটিক্যাস এসব ছাপিয়ে ম্যাচের মূল বিষয় হয়ে যেতে পারে লড়াকু মানসিকতা, স্নায়ুর চাপ ধরে রাখা ও পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেও্যার দিকে। পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে থাকায় বসুন্ধরা কিংসকে এগিয়ে রাখা যেতে পারে। কিন্তু সেটা শুধুমাত্রই পয়েন্ট টেবিলের হিসেবে, ঘরের সুবিধা হিসেব করলে ওড়িশাও কম যায় না। পুরো ম্যাচটাই আসলে ঝুলছে সুতোর ওপর। ওড়িশা ১-১ বসুন্ধরা কিংস।

ফুটবল থেকে আরও পড়ুন

সর্বশেষ খবর
bottom-logo

ফুটবল

দুর্দান্ত জয়ের কৃতিত্ব পুরো দলকেই দিচ্ছেন অধিনায়ক মেসি

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

২০ জুন ২০২৫, ৩:৪৩ পিএম

news-details

প্রথম ম্যাচে মিশরের আল আহলির সাথে ড্র করে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাডতে হয়েছিল। নকআউট পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে পোর্তোকে হারিয়ে প্রথম কনকাকাফ ক্লাব হিসেবে ইন্টার মায়ামি ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে জয় পেয়েছে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। এতে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোল করা অধিনায়ক লিওনেল মেসি মনে করেন, দলগত প্রচেষ্টায় এসেছে এই জয়।


বৃহস্পতিবার রাতে ক্লাব বিশ্বকাপের দুইবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন পোর্তোকে ২-১ গোলে হারায় মায়ামি। ১-১ সমতা থাকা অবস্থায় আটলান্টার মার্সেডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে ৫৪তম মিনিটে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার রদ্রিগো মোরা মেসিকে ফাউল করে ডি-বক্সের একটু বাইরে উপহার দেন ফ্রি-কিক। স্টেডিয়ামে ‘মেসি, মেসি’ ধ্বনির মধ্যেই ৮ আর্জেন্টাইন তারকার শট জাল খুঁজে নেয়।


মায়ামির জার্সিতে এটি মেসির ৫০তম গোল ছিল। ম্যাচ শেষে মেসি জয়ের কৃতিত্ব দেন পুরো দলকেই। 

“পুরো দলের চেষ্টায় এই জয়টা এসেছে। শুধু রক্ষণ সামলানোই নয়, আমরা বলের দখলও নিয়ন্ত্রণ করেছি। আল আহলির বিপক্ষে ম্যাচের পর মনের মধ্যে একটা তিক্ততা ছিল। তবে এই জয় সেই হতাশা ভুলিয়ে দিয়েছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জয়, আমরা এটা উদযাপন করব।”


প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় পোর্তো। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তেলাসকো সেগোভিয়া মায়ামিকে সমতায় ফেরান। এরপরেই মেসির জাদু। দুর্দান্ত এই এই জয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির জন্য ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। এই ম্যাচে ইতিবাচক ফলাফল মেসিদের নকআউট পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।


দল নিয়ে বেশ আশাবাদীই মেসি। 

“দেখতেই পাচ্ছেন যে আমরা লড়াই করতে চাই। আজ আমরা একটা ভালো দলের বিপক্ষে খেলেছি। যদিও বিরতির আগে কিছু জায়গায় আমরা খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। যেহেতু তরুণ খেলোয়াড়দের অনেকেই এই টুর্নামেন্টে প্রথমবার খেলেছে, তারা একটু নার্ভাস ছিল। তবে তারা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।”

ফুটবল থেকে আরও পড়ুন

bottom-logo

ফুটবল

উড়ন্ত পিএসজিকে ধরাশায়ী করল বোতাফোগো, প্রশংসায় পঞ্চমুখ এনরিকে

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

২০ জুন ২০২৫, ১২:১৮ পিএম

news-details

ক্লাব বিশ্বকাপের অন্যতম কঠিন গ্রুপ হলেও পিএসজিকে ধরা হচ্ছিল ফেভারিট হিসেবেই। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসেই বড় ধাক্কা খেয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলটি। অঘটনের জন্ম দিয়ে তাদের হারিয়ে দিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোতাফোগো। অবিশ্বাস্য এই পরাজয়ের পর পিএসজি কোচ লুইস এনরিকেও প্রশংসা করেছেন প্রতিপক্ষকের।

 

গত বৃহস্পতিবার রাতে রোজ বাউলে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইগর জেসুসের প্রথমার্ধের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়ন বোতাফোগো। এর মধ্য দিয়ে পিএসজি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৯ ম্যাচে পর প্রথমবার গোলহীন থেকে হারের স্বাদ পেয়েছে। গত মে মাসের শুরু থেকেই ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা অপরাজিত ছিল।

 

ম্যাচের পর এনরিকে বলেন, সেরা ফুটবল খেলতে পারেনি তার দল। “সব দলই আমাদের বিপক্ষে দ্বিগুণ উদ্দীপনা নিয়ে খেলে। আজ আমরা প্রতিপক্ষের ডিফেন্সের সামনে সংগ্রাম করেছি। যদি ডিফেন্সের কথা বলেন, তাহলে বোতাফোগো এই টুর্নামেন্টে অন্যতম সেরা দল।”

 

৩৬তম মিনিটে জেসুসের দুর্দান্ত একক প্রচেষ্টায় গোলটি আসে, যা গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। আগের ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া পিএসজি এই ম্যাচে গোলের জন্য ১৬টি শট নেয়, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে বোতাফোগো মাত্র ৪টি শট নিয়েই চারটিই লক্ষ্যে রাখে। এই জয়ে দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষেও উঠে গেছে ব্রাজিলের ক্লাবটি।

 

এমন জয়ের পর বোতাফোগো কোচ রেনাতো পাইভা জানান তার উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া। “আমি খেলোয়াড়দের বলেছিলাম, একসাথে আক্রমণ করো, একসাথে ডিফেন্ড করো আর খেলাটা উপভোগ করো। ছেলেরা সেটাই করেছে। পিএসজিকে তাদের নিজস্ব কৌশলে ঘায়েল করাই ছিল আমাদের মূলমন্ত্র।”

ফুটবল থেকে আরও পড়ুন

bottom-logo

ফুটবল

জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবলের শিরোপা জিতল রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৯ জুন ২০২৫, ৭:৫১ পিএম

news-details

পর্দা নামলো জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক ও বালিকা (অনূর্ধ্ব- ১৭) এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। দুটি বিভাগের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় স্টেডিয়ামে। 


বালিকা বিভাগের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ময়মনসিংহ ও রাজশাহী  বিভাগ। শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক ফুটবল খেল রাজশাহী বিভাগের মেয়েরা। প্রথমার্ধে গোল করে রাজশাহীকে এগিয়ে দেন জান্নাতুল। এরপর আরো আক্রমণ বাড়ায় রাজশাহী। একাই দুই গোল করে দলকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মৌসুমী। শেষ পর্যন্ত মানসিংহ আর কোন গোল শোধ না করতে পারায় প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই জয়ের আনন্দে মাতে রাজশাহীর মেয়েরা। 


বালক বিভাগে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবলে মাতে ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগ। প্রথমার্ধে মোজাম্মেল হকের গোলে লিড নেয় ময়মনসিংহ। রংপুর বিভাগ বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও গোল আদায় করে নিতে পারেনি প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধেও বেশিরভাগ সময় বলের দখল ধরে রাখে ময়মনসিংহ বিভাগ। মেহেদী হাসানের গোলে ব্যবধান ২-০তে এগিয়ে যায় তারা। কিন্তু শেষ পাঁচ মিনিটে সবকিছু এলোমেলো করে দেন রংপুরের অধিনায়ক রিয়াদ। একাই দুই গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। 


নির্ধারিত সময়ে আর কোন গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শুট আউট ভাগ্যে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে উল্লাসে মাতে রংপুরের ছেলেরা। এই টুর্নামেন্টের প্রথম আসর ২০১৮ সালেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রংপুর। 

খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মাহবুব-উল-আলম। উপস্থিত ছিলেন জনাব মোস্তফা জামান, পরিচালক (যুগ্মসচিব) ক্রীড়া পরিদপ্তর। 


ক্রীড়া পরিদপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ২০২৪ সালের জুন মাসে উপজেলার খেলা দিয়ে শুরু হয়েছিলো এই টুর্নামেন্ট। যেখানে অংশ নিয়েছিলো দেশের প্রায় ১,১০,২৬৪ জন খেলোয়াড়। এরপর প্রতিভাবান খেলোয়াড় নিয়ে জেলা ও বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় শেষ হয়োছিলো এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। জাতীয় এই আসর থেকে প্রতিভাবান ৪০ জন বালক ও ৪০ জন বালিকা বাছাই করা হবে। যাদের দীর্ঘ সময়ে দেশ ও দেশের বাইরে উন্নত প্রশিক্ষণ এর আয়োজন করবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

bottom-logo

ফুটবল

জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অ- ১৭'র জাতীয় পর্যায়ের ফাইনাল কাল

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৮ জুন ২০২৫, ৭:২৬ পিএম

news-details

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় গোল্ডকাপ অ-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট। আসরের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। 

এর আগে মোহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে বালক বিভাগে প্রথম সেমিফাইনালে 

সিলেট বিভাগকে টাইব্রেকারে হারিয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে ২ গোলের লিড ছিলো সিলেট বিভাগের। শেষ  ৪ মিনিটে দুই গোল পরিশোধ করে ময়মনসিংহ বিভাগ। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত হয় ময়মনসিংহ বিভাগের। 


বালকদের দ্বিতীয় সেমিফাইনালেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় খুলনা ও রংপুর বিভাগের মধ্যে। নির্ধারিত সময় ১-১ সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচ টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করে রংপুর বিভাগ। 


বালিকা বিভাগে প্রথম সেমিফাইনালে রংপুর এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ম্যাচ নির্ধারিত সময় গোলশূন্য ড্র ছিলো। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জয় নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ বিভাগ বালিকা দল। দিনের শেষ সেমিফাইনালে সিলেট বিভাগকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে রাজশাহী বিভাগের মেয়েরা। 


আগামীকাল ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে দুপুর ২.৩০ মিনিটে বালিকা বিভাগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগ। ছেলেদের ফাইনালে বিকাল ৪ টায় ময়মনসিংহ বনাম রংপুর বিভাগ। খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার তুলে দেবেন ক্রীড়া উপদেষ্টা মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।



খেলা দুটি সরাসরি দেখা যাবে বিটিভি এবং টি-স্পোর্টস নেটওয়ার্কে।

bottom-logo

ফুটবল

ক্লাব বিশ্বকাপের দর্শকশূন্যতার ‘অদ্ভুত পরিবেশে’ হতাশ চেলসি কোচ

 
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা

১৭ জুন ২০২৫, ২:৪১ পিএম

news-details

৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকেই আলোচনায় দর্শকদের কাছে এটির আবেদন নিয়ে। তবে একটা আশা ছিল যে বড় ও জনপ্রিয় দলগুলোর ম্যাচে দেখা মিলবে অধিক সংখ্যক সমর্থকদের। তবে চেলসির প্রথম ম্যাচের চিত্রটা ছিল একেবারেই ভিন্ন। এতে হতাশ কোচ এনজো মারেস্কা। তার মতে, অভিজ্ঞতাটা ভালো হয়নি তাদের।


যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব লস অ্যাঞ্জেলস এফসির বিপক্ষে আটলান্টায় মার্সেডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলের জয় পায় চেলসি। ম্যাচটি দেখতে ৭১ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে মাত্র ২২ হাজার ১৩৭ জন দর্শক উপস্থিত ছিলেন। অনেক অংশেই দেখা গেছে ১০০ জনেরও কম সমর্থক। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ম্যাচটা সাপ্তাহিক কাজের দিন সোমবার দিনের বেলায় হওয়ায় এমন দৃশ্য তৈরি হতে পারে।


আরও পড়ুন

ভিনিসিয়ুস বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণ : কারাদণ্ড পেলেন ৪ জন ভিনিসিয়ুস বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণ : কারাদণ্ড পেলেন ৪ জন


আর ম্যাচ শেষে মারেস্কা প্রকাশ করেন হতাশা। 

“বলতেই হবে পরিবেশটা আমাদের জন্য একটু অদ্ভুত ছল। স্টেডিয়ামটা প্রায় ফাঁকাই ছিল। আমরা পেশাদার, আমাদের যেকোনো পরিবেশে মানিয়ে নিতে হয়। তবে মানতেই হবে হবে, এটা স্বাভাবিক অভিজ্ঞতা ছিল না।”


এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে দর্শকদের আগ্রহ নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন ছিল একপম শুরু থেকেই। টিকিটের মূল্য কয়েক গুণ কমিয়ে সাধারণ প্রবেশ মূল্য ৫১ ডলার নির্ধারণ করা হলেও শেষ মুহূর্তে তাতেও আগ্রহ বাড়েনি দর্শকদের। অথচ আটলান্টায় শহরের এমএলএস ক্লাব আটলান্টা ইউনাইটেডের প্রতি ম্যাচে গড়ে প্রায় ৪৭ হাজার দর্শক স্টেড়িয়ামে উপস্থিত হন। এটাই বলে দিচ্ছে, ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে এখনও যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে তেমন আগ্রহ তৈরি হয়নি।

bottom-logo