৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:৪৯ পিএম
নির্দিষ্ট একজন ব্যাটার বা বোলারের বিপক্ষে কোনো ক্রিকেটারের বিশেষভাবে ভালো পারফর্ম করার অসংখ্য নজির রয়েছে ইতিহাসে। আবার কিছু খেলোয়াড় রয়েছেন, যারা গোটা দলকেই বানিয়ে ফেলেন ‘প্রিয় প্রতিপক্ষ’। ফর্ম, ম্যাচের পরিস্থিতি যেমনই হোক, সেই দলটির বিপক্ষে তার ব্যাট বা বল হাতে জ্বলে ওঠাটা যেন অনিবার্য। গত দেড় বছর ধরে ভারতের বিপক্ষে ঠিক সেই কাজটাই সব ফরম্যাটে বারবার করে অজি ব্যাটার তাই হয়ে উঠেছেন দলটির মাথাব্যথার কারণ। প্রিয় প্রতিপক্ষক ভারতকে পেলেই যেন একটু বেশি হাসছে হেডের ব্যাট।
হেডের এই ‘ভারতপ্রেমের’ শুরুটা সেই গত বছর আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল দিয়ে। প্রথম ইনিংসে খেলেন ১৭৪ বলে ১৬৩ রানের এমন ইনিংসে, যা প্রতিপক্ষকে মানসিকভাবেও একদম গুঁড়িয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত অনায়াস জয় পায় অস্ট্রেলিয়ার। ম্যাচ সেরাও হন হেড। এরপরের মঞ্চ গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল। তবে এখানে বাড়তি কিছু তথ্য যোগ করে নেওয়া যেতেই পারে।
আর সেটা হল, চোটের কারণে বিশ্বকাপের অর্ধেক মিস করা হেড প্রথম ম্যাচ খেলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আর মাঠে নেমেই হাঁকান শতক। মানে, বাঁহাতি এই ব্যাটার স্রেফ ভারতই নন, অন্য দলের বিপক্ষেও বড় রান করতে জানেন। তবে সেটা যে রোহিত-বুমরাহদের তুলনায় একেবারেই যৎসামান্য, সেটা স্পষ্ট এক পরিসংখ্যানেই। যেখানে দেখা যাচ্ছে ২০২৩ সাল থেকে সব ফরম্যাটে ভারতের বিপক্ষে ১৯ ইনিংসে ৪টি সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে ১ হাজার ৫২ রান করেছেন হেড। গড় অবিশ্বাস্য ৬১.৯০!
আরও পড়ুন
আইপিএলে তান্ডবে চালানো হেড চ্যালেঞ্জ দেখছেন বিশ্বকাপে |
![]() |
একজন ব্যাটারের এমন গড় অবিশ্বাস্য এমনিতেই বলা যায়। তবে হেডের অন্য দলের বিপক্ষে একই সময়ের পরিসংখ্যান দেখলে আপনিও মানতে বাধ্য হবেন তার অসামান্য কীর্তি। ভারত বাদে বাকি দলের বিপক্ষে গত বছর থেকে ৫৪ ম্যাচে এখন পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৮৭৫ রান করেছেন হেড। গড়? মোটে ৩৬.৮০! ফিফটি ১০টি, আর সেঞ্চুরি ভারতের সমান ৩টিই। জার্সি সাদা হোক বা রঙ্গিন প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকে পেলেই হেডের এই দানবীয় ব্যাটিংয়ের দেখা মিলছে বারবার।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালেই যেমন। ২৪১ রানের টার্গেটে জাসপ্রিত বুমরাহ তোপে মাত্র ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ত্রাহিত্রাহি অবস্থা অস্ট্রেলিয়ার। ইনিংসের শুরুর দিকে ভারতের তারকা পেসাদের কয়েকটি ডেলিভারিতে পুরোপুরি পরাস্ত হন হেড, অল্পের জন্য হননি বোল্ড বা ক্যাচ আউট। তবে একটু সেট হওয়ার পর ক্রমেই ভারতের মুঠো থেকে ম্যাচ বের করে নেন নান্দনিক সব শটের পসরা সাজিয়ে। স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে খেলেন ১২০ বলে ১৩৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। আসরে প্রথমবার ভারত পায় হারের দেখা। উল্লেখ্য, গ্রুপ পর্বে দুই দলের মুখোমুখি ম্যাচটি খেলেননি হেড।
তবে ফাইনালে নেমেই হয়ে যান আরও একবার ম্যাচ সেরা। ১২ বছর বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ, তাও ঘরের মাটিতে - এমন মেলবন্ধনের পথে কাঁটা হয়ে যাওয়ায় আজও ভারতের কাছে হেড এক দুঃখ, আক্ষেপ ও বিভীষিকার নামই বটে। বুমরাহর ওই স্পেলেই যদি তার বিদায় হত, কে জানে হয়ত কাপটা উঠত রোহিত শর্মার হাতেই!
আরও পড়ুন
কীভাবে এমন তাণ্ডব চালাচ্ছেন ট্রাভিস হেড? |
![]() |
হেড এরপর চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটের ম্যাচে আরও একবার জ্বলে ওঠেন ভারতের বিপক্ষে। মাত্র ৪৩ বলে খেলেন ৭৬ রানের দারুণ এক ইনিংস। এবার অবশ্য দলকে জেতাতে পারেননি। তবে চলমান ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে যা করেছেন, সেটা হয়ত গড়ে দিতে পারে ম্যাচের ভাগ্য।
গোলাপি বলের এই ম্যাচে ভারতের বোলারদের আর একবার বেধড়ক পিটিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী মেলে ধরেন তিনি। ১৭ চার ও ৪ ছক্কায় ১৪১ বলে হেডের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪০ রান। দ্বিতীয় দিন শেষে হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে ভারত পিছিয়ে আছে ২৯ রানে। দলটি যদি এখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে না পেরে হেরে যায়, তাহলে সম্ভবত আরও একবার ভারতের হারের মূল কারণ হওয়ার পাশাপাশি ম্যাচ সেরাও হয়ে যাবেন হেডই। এমন প্রিয় প্রতিপক্ষ কে না চায়!
No posts available.
১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৫:৫৯ পিএম
বৃষ্টির বাধায় পরিত্যক্ত হলো ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে আজ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। তবে বৃষ্টি বাধায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের খেলা আর মাঠে গড়ায়নি।
ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডের ইনিংসের শুরুতেই ফিল সল্ট আউট হয়ে যান। আরেক ওপেনার জস বাটলার করেন ২৯ রান। মিচেল স্যান্টনার ও মাইকেল ব্রেসওয়েল পরপর দুই ওভারে ফেরান জস বাটলার ও টম বেন্টনকে। অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক আক্রমণাত্মক শুরু করলেও জিমি নিশামের বলে আউট হয়ে ফেরার ১৪ বলে ২০ রান করেন।
আরও পড়ুন
মিরপুরের স্পিন মঞ্চে ব্যাটারদের লড়াই |
![]() |
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে স্যাম কারানের ব্যাট থেকে। ৩৫ বলে ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার । ২৭ বছর বয়সী কারানের এটি টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫০ কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে তাঁর সর্বোচ্চ।
ইংল্যান্ডের ইনিংসেও হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলের পর প্রায় ৩০ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। কারানের অপরাজিত ইনিংসে ইংল্যান্ড লড়াইয়ে টিকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে মাঠে গড়ায়নি নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। তাতে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় ম্যাচ।
২০ অক্টোবর একই ভেন্যুতে হবে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
খেলা শুরুর আগে পিচ রিপোর্টে ফারভেজ মাহরুফ বললেন, ২৩০ রান করতে পারলেই হবে জেতার মতো স্কোর। এতেই স্পষ্ট, মিরপুরের ‘কালো’ চেহারার উইকেটে বোলারদের জন্য থাকবে বাড়তি সুবিধা। যেখানে আগে ব্যাট করে ২০৭ রানের পুঁজি পেল বাংলাদেশ।
শেষ দিকে ৬ ওভারের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে পুরো ৫০ ওভার খেলা হয়নি স্বাগতিকদের। দুই বল বাকি থাকতে অলআউট হয় তারা। নিজেদের ঘরের মাঠে অন্তত ৪৯.৪ ওভার খেলে গত ১১ বছরের মধ্যে এটিই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর।
শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের স্পিন মঞ্চে এই সংগ্রহ অবশ্য হতে পারে জয়ের জন্য যথেষ্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই স্পিনার খ্যারি পিয়েরে ও রস্টোন চেজ করেছেন দুর্দান্ত বোলিং, পেয়েছেন বড় বড় টার্নের দেখা। নতুন বলে পেসারদের বাউন্সও ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন
৩৪ বলে সেঞ্চুরি, নারী ক্রিকেটারের বিশ্ব রেকর্ড |
![]() |
সব মিলিয়ে ২৯৮ বলের মধ্যে ১৮৩টিই ডট খেলেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ ৩০ ওভারের বেশি বলে কোনো রান করতে পারেনি তারা। দলকে দুইশ পার করানোর কারিগর তাওহিদ হৃদয় ও অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শুরুর ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ১২২ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও হৃদয়।
৬৩ বলে ৩২ রান করে আউট হন শান্ত। এরপর অঙ্কনকে নিয়ে এগিয়ে যান হৃদয়। ৩০ ওভারে পূর্ণ হয় দলের একশ রান।
ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটি করে আর টিকতে পারেননি মিডল-অর্ডার ব্যাটার। ৯০ বলে ৫১ রান করে কট বিহাইন্ড হন হৃদয়।
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন অঙ্কন। চেজের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন ১৭ রান করা মিরাজ। চেজের পরের ওভারে বোল্ড হন ৭৬ বলে ৪৬ রান করা অভিষিক্ত মিডল-অর্ডার ব্যাটার অঙ্কন।
ইনিংসের ৪৮তম ওভারে প্রথম ছক্কা মারেন রিশাদ হোসেন। সব মিলিয়ে তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ২৬ রান। এছাড়া ৪ বলে ৯ রান করে দলকে দুইশ পার করান তানভির ইসলাম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন জেডেন সিলস। তবু খরুচে বোলিং করেন তিনি। খ্যারি পিয়েরে ১০ ওভারে মাত্র ১৯ রানে নেন ১ উইকেট। রস্টোন চেজের শিকার ৩০ রানে ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৯.৪ ওভারে ২০৭ (সাইফ ৩, সৌম্য ৪, শান্ত ৩২, হৃদয় ৫১, অঙ্কন ৪৬, মিরাজ ১৭, সোহান ৯, রিশাদ ২৬, তানভির ৯*, তাসকিন ০, মোস্তাফিজ ১; সিলস ৭-০-৪৮-৩, শেফার্ড ৭.৪-১-৩১-১, পিয়েরে ১০-২-১৯-১, চেজ ১০-০-৩০-২, মোতি ১০-০-৪৪-০, গ্রিভস ৫-০-৩২-২)
নারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ভারতের ওপেনার কিরণ নাভগিরে। গতকাল ইন্ডিয়ান উইমেনস টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে মহারাষ্ট্রের হয়ে পাঞ্জাবের বিপক্ষে মাত্র ৩৪ বলেই ১০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।
ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে নাভগিরে ভাঙলেন নিউজিল্যান্ডের সোফি ডিভাইনের রেকর্ড। ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট উইমেনস টি-টোয়েন্টিতে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন কিউই ব্যাটার। পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৩৫ বলে ৭টি ছক্কা ও ১৪টি চারে ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন নাভগিরে। ১১১ রানের লক্ষ্য আট ওভারেই তাড়া করে মহারাষ্ট্র। ম্যাচ জিতল তারা ৯ উইকেটে।
আরও পড়ুন
‘কোহলি-রোহিতকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য সম্মানের’ |
![]() |
৩১ বছর বয়সী নাভগিরের স্ট্রাইক রেট ৩০২.৮৬। একমাত্র নারী ক্রিকেটার হিসেবে ৩০০-এর ওপরে স্ট্রাইক রেটে সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়লেন তিনি।
যদিও আন্তর্জাতিক ম্যাচে সবচেয়ে দ্রুত সেঞ্চুরির রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিয়েন্ড্রা ডটিনের দখলে। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৮ বলেই সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
নাাভগিরে ভারতের সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২২ সালের অক্টোবরে- এশিয়া কাপে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে খেলেছেন ছয় টি-টোয়েন্টি।
পার্থে আগামীকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে ভারত। সমর্থকদের মধ্যে ম্যাচটি ঘিরে তৈরি হয়েছে বাড়তি আগ্রহ। আট মাস পর জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যেতে পারে ভারতের দুই সুপারস্টার বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাকে।
সবশেষ এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে খেলেছিলেন কোহলি-রোহিত। অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল জানিয়েছেন, এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। বললেন,
‘তারা দুজনেই বিশ্বমানের খেলোয়াড়। নেটে অনুশীলন ও ফিটনেসে- খুব ভালো দেখাচ্ছে তাদের। প্রথম ম্যাচের পরই দেখতে পাবো তাদের ফর্ম কেমন। তারা পেশাদার, তাই জানে কি করতে হবে। তারা বেঙ্গালুরুর সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে অনুশীলন করেছে, তাই আমি মনে করি তারা খেলতে প্রস্তুত।’
গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ভারতের ওয়ানডে দলে দেখা যায়নি রোহিত ও কোহলিকে। তবে প্রত্যাবর্তনের জন্য পরিশ্রম করে চলেছেন তাঁরা। সাবেক অধিনায়ক রোহিত শর্মা ১০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমিয়েছেন ফিটনেস ঠিক রাখতে।
এই সিরিজের মধ্য দিয়ে ওয়ানডে নেতৃত্বের অভিষেক হচ্ছে শুভমান গিলের। অভিষেক ম্যাচেই গিল নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন রোহিত-কোহলির মতো তারকাদের। তবে গিল জানিয়েছেন, নেতৃত্বের কারণে তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারতের অধিনায়ক বলেন,
‘বাইরের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা, কিন্তু আমাদের মধ্যে কিছুই বদলায়নি। সবকিছু আগের মতোই আছে, আর এটা খুবই সহায়ক।’
ছোটবেলায় যাঁদের দেখে অনুপ্রাণিত হতেন, তাঁদের নেতৃত্ব দেওয়াকে দারুণ সম্মানের বিষয় হিসেবেই দেখছেন গিল,
‘যখন ছোট ছিলাম, তখন তাঁদের মতো খেলোয়াড়দের দেখে অনুপ্রাণিত হতাম। তাঁদের ক্ষুধা, জয়ের তাগিদ আমাকে প্রভাবিত করত। এখন এই কিংবদন্তিদের নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। আমি নিশ্চিত, এই সিরিজে এমন অনেক মুহূর্ত আসবে, যেখান থেকে আমি ওনাদের থেকে শিখতে পারব।’
কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের ওয়ানডে সংস্করণের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন শুভমান গিল। টেস্ট দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর কাল থেকে ৫০ ওভারের ম্যাচেও নেতৃত্বের অভিষেক হবে এই টপ অর্ডার ব্যাটারের।
তবে ভারতের বর্তমান টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের বিশ্বাস, ৫০ ওভারের সংস্করণে যদি নিয়মিত সুযোগ পেতেন, তাহলে তিনিও ভারতের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হতে পারতেন। সম্প্রতি তাঁর নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত।
এক পডকাস্টে নিজের ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার ইচ্ছের কথা প্রকাশ করেছেন সূর্যকুমার,
‘এখন ভাবছি, যদি ওয়ানডে সংস্করণে ভালো করতে পারতাম, যেমন এখন টি-টোয়েন্টিতে করছি, তাহলে হয়তো ওয়ানডে অধিনায়কত্বও পেতে পারতাম। এখন বিষয়টা নিয়ে ভাবি, আগে ভাবিনি। কারণ সংস্করণটা ৩০ ওভারের মতোই লম্বা, বলের রঙ একই, জার্সিটাও প্রায় একই। তবুও আমি চেষ্টা করব, শতভাগ দেব। এটা সব সময়ই আমার একটা স্বপ্ন।’
সূর্যকুমারের নেতৃত্বে পাকিস্তানকে হারিয়ে ২০২৫ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। তবে ওয়ানডে দলে এখনো নিয়মিত হতে পারেননি তিনি। সবশেষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছিলেন সূর্য। এই সংস্করণে ৩৫ ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ ৭৭৩ রান।
সূর্যের মতে, ওয়ানডে সংস্করণে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে নিয়মিত হতে পারতেন। তখন হয়তো রোহিত শর্মার অধ্যায়ের পর অধিনায়কত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো তাঁর। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার বলেন,
‘যখন আমরা বাড়িতে থাকি, এই বিষয়টা নিয়ে অনেক কথা হয়। আমি স্ত্রীকে বলি, যদি ওয়ানডেতে ভালো করতে পারতাম, কে জানে! রোহিত ভাই যখন ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবেন, তখন কে নেতৃত্ব দেবে? যদি তুমি ভালো পারফর্ম করো, তাহলে তুমিও একজন ভালো দাবিদার হতে পারো। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে সেই সুযোগটা পাইনি।’
আগামীকাল পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে ভারত। তবে এই সিরিজে নেই সূর্যকুমার যাদব। তিনি নেতৃত্ব দেবেন ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে। ওয়ানডে সিরিজ শেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ২৯ অক্টোবর।